Ajker Patrika

চার নেতা হত্যার তদন্ত কমিটিকে সার্বজনীনভাবে গ্রহণযোগ্য হতে হবে: সোহেল তাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাক
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২২, ১৫: ৩১
চার নেতা হত্যার তদন্ত কমিটিকে সার্বজনীনভাবে গ্রহণযোগ্য হতে হবে: সোহেল তাজ

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সোহেল তাজ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাত্র আড়াই মাসের মাথায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। অবশ্যই এ দুই হত্যাকাণ্ড একই সূত্রে গাঁথা। এই হত্যার সম্পূর্ণ তদন্ত হওয়া উচিত। তদন্ত কমিটি যেটা করা হবে তা হতে হবে সার্বজনীনভাবে গ্রহণযোগ্য।’

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর পুরান ঢাকায় জাতীয় জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে শ্রদ্ধা জানাতে এসে তিনি এ কথা বলেন। 

সোহেল তাজ বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনী বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথেই জাতীয় চার নেতা বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠন করেন। বিচক্ষণ ও দুর্দশার সঙ্গে তাঁরা সরকার পরিচালনা করেছেন এমন একটি বৈরী অবস্থায়, যখন গ্লোবাল পলিটিক্যাল অবস্থা মুহূর্ত থেকে মুহূর্তে পরিবর্তন হচ্ছিল, যখন সোভিয়েত রাশিয়া ও পশ্চিমা বিশ্বে স্নায়ুযুদ্ধ চলছিল। ১ কোটি শরণার্থীকে সামলানো, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, অস্ত্রসজ্জিত করা, অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে যাঁরা আমাদের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছেন ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে; সেই বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ চার সহচর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হলো বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাত্র আড়াই মাসের মাথায়। অবশ্যই এ দুই হত্যাকাণ্ড একই সূত্রে গাঁথা। এই হত্যার সম্পূর্ণ তদন্ত হওয়া উচিত। 

মেজর জিয়া সামরিক ফরমান জারি করে এই বিচার নিষিদ্ধ করেছিল। তিনিও এই হত্যাকাণ্ডের পেছনের মানুষ কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে সোহেল তাজ বলেন, আমাদের সবকিছু পুঙ্খানুভাবে তদন্ত করে বের করে নিয়ে আসা উচিত। হত্যাকাণ্ডের পেছনে কারা ছিল। কীভাবে কী হয়েছে। আমি মনে করি সবকিছু জানার অধিকার আছে। এবং সম্পূর্ণ তদন্ত করে বের করতে হবে। সত্য কিন্তু তিতা হয় ৷ কিন্তু সবকিছু আনতে হবে। সমস্ত সত্য বের করে আনতে হবে। 

কমিশন গঠনের বিষয়টিকে বিএনপি প্রহসন বলছে, এতে তারা বিচারকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে কি না জানতে চাইলে সোহেল তাজ বলেন, ‘আমার মনে হয়, তদন্ত কমিটি যেটা করা হবে সেটি হতে হবে গ্রহণযোগ্য, এমন মানুষ দিয়ে তদন্ত করতে হবে, যিনি সার্বজনীনভাবে গ্রহণযোগ্য, এখানে যেন কোনো সন্দেহের অবকাশ না থাকে। এটা জাতির জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ।’ 

ক্যাপ্টেন এম মুনসুর আলীর পরিবারের পক্ষে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিমপুত্র বলেন, জাতীয় চার নেতার খুনিরা বিদেশে পলাতক রয়েছে। আমাদের দাবি, এই ১০ খুনিকে ফেরত আনতে হবে। এর জন্য বাংলাদেশের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে, কিন্তু বিশ্বের বড় বড় যে দেশ মানবতার কথা বলে, আমাদের জাতীয় চার নেতার পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি আহ্বান, আপনাদের দেশে খুনিরা লুকিয়ে আছে। তাদের অবিলম্বে ফেরত পাঠানো হোক এবং বিচার করা হোক। এ ছাড়া এই হত্যাকাণ্ডের পেছনের কুশীলবেরা আছেন, তাঁদের মুখোশ উন্মোচন করা হোক। 

কামারুজ্জামানের ছোট ছেলে এহসানুজ্জামান স্বপন বলেন, এই বিচার পেতে আমদের দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয়েছে। ১৯৯৬ সালে যখন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার ক্ষমতায় আসে, তখন বিচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই বিচার ২০১৫ সালে শেষ হয়। আমার মা দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি এই বিচারের অপেক্ষায় ছিলেন। আমাদের সৌভাগ্য যে তিনি এই বিচার দেখে গিয়েছেন। যদিও তিনি রায় শুনে গেছেন, তবে রায় বাস্তবায়ন দেখে যেতে পারেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

যুক্তরাষ্ট্রে পা রাখামাত্র পুতিনকে গ্রেপ্তারের আহ্বান

জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে উচ্চপদস্থ বোর্ড গঠন: আইএসপিআর

ফেসবুকে ছাত্রলীগ নেতার ‘হুমকি’, রাবিতে ১৫ আগস্টের কনসার্টে যাচ্ছে না আর্টসেল

পাবনায় প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে এএসআই উধাও, থানায় শ্বশুরের জিডি

সিঙ্গাপুরে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ, আবেদন ফি মাত্র ৭ হাজার টাকা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত