আগামী সংসদ নির্বাচন
মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় সংসদ (দশম, একাদশ ও দ্বাদশ) নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ব্যক্তিদের আগামী সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব দেওয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশন (ইসি), জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও পুলিশ অধিদপ্তরকে বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৪ সালে দশম, ২০১৮ সালে একাদশ ও ২০২৪ সালে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই তিনটি নির্বাচনই বিতর্কিত। সর্বশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১৫ লাখের বেশি ব্যক্তি ভোট গ্রহণের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। তাঁদের মধ্যে জেলা প্রশাসক (ডিসি), বিভাগীয় কমিশনার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী, ব্যাংক কর্মকর্তা, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, পুলিশ, ব্যাটালিয়ন আনসার, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র্যাব, কোস্ট গার্ড, নির্বাহী হাকিম, বিচারিক হাকিম রয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ওই বৈঠকে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করার কথা উল্লেখ করা হয়। বৈঠকে নেওয়া অন্যান্য সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার সমন্বয়ে একটি সুস্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা; মাঠপর্যায়ে ডিসি, পুলিশ সুপার (এসপি), ইউএনও এবং ওসিদের নিরপেক্ষভাবে কাজ করা; আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দুটি পৃথক প্রস্তুতিমূলক মহড়া পরিচালনা; নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঝুঁকিপূর্ণ সব ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও কার্যকর মনিটরিং ব্যবস্থা নেওয়া; নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি যেন না ঘটে, সে জন্য নজরদারি জোরদার করা; নির্বাচনের আগে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক প্রচার থেকে সতর্ক থাকা; নির্বাচন-পূর্ব এবং নির্বাচনকালীন সব সংস্থাকে নিরপেক্ষভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা।
সূত্র আরও জানায়, কমিটির এসব সিদ্ধান্ত জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ইসিসহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। ইসিতে পাঠানো চিঠিতে আগামী ৩ আগস্টের মধ্যে বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানাতে বলা হয়েছে।
এই চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চিঠি এখনো দেখিনি। দেখে বলতে পারব।’
এদিকে বিতর্কিত ওই তিনটি নির্বাচন নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সূত্র জানায়, ৩ জুলাই পিবিআই ওই তিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের তথ্য চেয়েছে ইসির কাছে। এর ভিত্তিতে দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাদের তথ্য চেয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ও সব ডিসিকে চিঠি দিয়েছে ইসি। চিঠিতে সংশ্লিষ্ট ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের নাম-ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট নম্বর ও মোবাইল নম্বরসহ আরও কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছে।
দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে গত ২২ জুন রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেছে বিএনপি। মামলায় সাবেক তিন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, কে এম নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়াল এবং তাঁদের নেতৃত্বাধীন তিন কমিশনের সব নির্বাচন কমিশনারের পাশাপাশি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ২৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার পর সাবেক দুই সিইসি নূরুল হুদা এবং কাজী হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা বর্তমানে কারাগারে।
ওই তিন নির্বাচনের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করা ২২ জন সাবেক ডিসিকে গত ২০ ফেব্রুয়ারি বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় সংসদ (দশম, একাদশ ও দ্বাদশ) নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ব্যক্তিদের আগামী সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব দেওয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশন (ইসি), জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও পুলিশ অধিদপ্তরকে বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৪ সালে দশম, ২০১৮ সালে একাদশ ও ২০২৪ সালে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই তিনটি নির্বাচনই বিতর্কিত। সর্বশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১৫ লাখের বেশি ব্যক্তি ভোট গ্রহণের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। তাঁদের মধ্যে জেলা প্রশাসক (ডিসি), বিভাগীয় কমিশনার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী, ব্যাংক কর্মকর্তা, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, পুলিশ, ব্যাটালিয়ন আনসার, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র্যাব, কোস্ট গার্ড, নির্বাহী হাকিম, বিচারিক হাকিম রয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ওই বৈঠকে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করার কথা উল্লেখ করা হয়। বৈঠকে নেওয়া অন্যান্য সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার সমন্বয়ে একটি সুস্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা; মাঠপর্যায়ে ডিসি, পুলিশ সুপার (এসপি), ইউএনও এবং ওসিদের নিরপেক্ষভাবে কাজ করা; আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দুটি পৃথক প্রস্তুতিমূলক মহড়া পরিচালনা; নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঝুঁকিপূর্ণ সব ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও কার্যকর মনিটরিং ব্যবস্থা নেওয়া; নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি যেন না ঘটে, সে জন্য নজরদারি জোরদার করা; নির্বাচনের আগে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক প্রচার থেকে সতর্ক থাকা; নির্বাচন-পূর্ব এবং নির্বাচনকালীন সব সংস্থাকে নিরপেক্ষভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা।
সূত্র আরও জানায়, কমিটির এসব সিদ্ধান্ত জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ইসিসহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। ইসিতে পাঠানো চিঠিতে আগামী ৩ আগস্টের মধ্যে বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানাতে বলা হয়েছে।
এই চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চিঠি এখনো দেখিনি। দেখে বলতে পারব।’
এদিকে বিতর্কিত ওই তিনটি নির্বাচন নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সূত্র জানায়, ৩ জুলাই পিবিআই ওই তিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের তথ্য চেয়েছে ইসির কাছে। এর ভিত্তিতে দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাদের তথ্য চেয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ও সব ডিসিকে চিঠি দিয়েছে ইসি। চিঠিতে সংশ্লিষ্ট ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের নাম-ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট নম্বর ও মোবাইল নম্বরসহ আরও কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছে।
দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে গত ২২ জুন রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেছে বিএনপি। মামলায় সাবেক তিন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, কে এম নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়াল এবং তাঁদের নেতৃত্বাধীন তিন কমিশনের সব নির্বাচন কমিশনারের পাশাপাশি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ২৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার পর সাবেক দুই সিইসি নূরুল হুদা এবং কাজী হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা বর্তমানে কারাগারে।
ওই তিন নির্বাচনের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করা ২২ জন সাবেক ডিসিকে গত ২০ ফেব্রুয়ারি বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার।
আগামী সংসদ নির্বাচন
মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় সংসদ (দশম, একাদশ ও দ্বাদশ) নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ব্যক্তিদের আগামী সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব দেওয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশন (ইসি), জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও পুলিশ অধিদপ্তরকে বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৪ সালে দশম, ২০১৮ সালে একাদশ ও ২০২৪ সালে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই তিনটি নির্বাচনই বিতর্কিত। সর্বশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১৫ লাখের বেশি ব্যক্তি ভোট গ্রহণের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। তাঁদের মধ্যে জেলা প্রশাসক (ডিসি), বিভাগীয় কমিশনার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী, ব্যাংক কর্মকর্তা, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, পুলিশ, ব্যাটালিয়ন আনসার, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র্যাব, কোস্ট গার্ড, নির্বাহী হাকিম, বিচারিক হাকিম রয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ওই বৈঠকে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করার কথা উল্লেখ করা হয়। বৈঠকে নেওয়া অন্যান্য সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার সমন্বয়ে একটি সুস্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা; মাঠপর্যায়ে ডিসি, পুলিশ সুপার (এসপি), ইউএনও এবং ওসিদের নিরপেক্ষভাবে কাজ করা; আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দুটি পৃথক প্রস্তুতিমূলক মহড়া পরিচালনা; নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঝুঁকিপূর্ণ সব ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও কার্যকর মনিটরিং ব্যবস্থা নেওয়া; নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি যেন না ঘটে, সে জন্য নজরদারি জোরদার করা; নির্বাচনের আগে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক প্রচার থেকে সতর্ক থাকা; নির্বাচন-পূর্ব এবং নির্বাচনকালীন সব সংস্থাকে নিরপেক্ষভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা।
সূত্র আরও জানায়, কমিটির এসব সিদ্ধান্ত জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ইসিসহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। ইসিতে পাঠানো চিঠিতে আগামী ৩ আগস্টের মধ্যে বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানাতে বলা হয়েছে।
এই চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চিঠি এখনো দেখিনি। দেখে বলতে পারব।’
এদিকে বিতর্কিত ওই তিনটি নির্বাচন নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সূত্র জানায়, ৩ জুলাই পিবিআই ওই তিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের তথ্য চেয়েছে ইসির কাছে। এর ভিত্তিতে দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাদের তথ্য চেয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ও সব ডিসিকে চিঠি দিয়েছে ইসি। চিঠিতে সংশ্লিষ্ট ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের নাম-ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট নম্বর ও মোবাইল নম্বরসহ আরও কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছে।
দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে গত ২২ জুন রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেছে বিএনপি। মামলায় সাবেক তিন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, কে এম নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়াল এবং তাঁদের নেতৃত্বাধীন তিন কমিশনের সব নির্বাচন কমিশনারের পাশাপাশি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ২৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার পর সাবেক দুই সিইসি নূরুল হুদা এবং কাজী হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা বর্তমানে কারাগারে।
ওই তিন নির্বাচনের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করা ২২ জন সাবেক ডিসিকে গত ২০ ফেব্রুয়ারি বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় সংসদ (দশম, একাদশ ও দ্বাদশ) নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ব্যক্তিদের আগামী সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব দেওয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশন (ইসি), জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও পুলিশ অধিদপ্তরকে বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৪ সালে দশম, ২০১৮ সালে একাদশ ও ২০২৪ সালে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই তিনটি নির্বাচনই বিতর্কিত। সর্বশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১৫ লাখের বেশি ব্যক্তি ভোট গ্রহণের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। তাঁদের মধ্যে জেলা প্রশাসক (ডিসি), বিভাগীয় কমিশনার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী, ব্যাংক কর্মকর্তা, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, পুলিশ, ব্যাটালিয়ন আনসার, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র্যাব, কোস্ট গার্ড, নির্বাহী হাকিম, বিচারিক হাকিম রয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ওই বৈঠকে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করার কথা উল্লেখ করা হয়। বৈঠকে নেওয়া অন্যান্য সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার সমন্বয়ে একটি সুস্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা; মাঠপর্যায়ে ডিসি, পুলিশ সুপার (এসপি), ইউএনও এবং ওসিদের নিরপেক্ষভাবে কাজ করা; আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দুটি পৃথক প্রস্তুতিমূলক মহড়া পরিচালনা; নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঝুঁকিপূর্ণ সব ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও কার্যকর মনিটরিং ব্যবস্থা নেওয়া; নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি যেন না ঘটে, সে জন্য নজরদারি জোরদার করা; নির্বাচনের আগে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক প্রচার থেকে সতর্ক থাকা; নির্বাচন-পূর্ব এবং নির্বাচনকালীন সব সংস্থাকে নিরপেক্ষভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা।
সূত্র আরও জানায়, কমিটির এসব সিদ্ধান্ত জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ইসিসহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। ইসিতে পাঠানো চিঠিতে আগামী ৩ আগস্টের মধ্যে বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানাতে বলা হয়েছে।
এই চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চিঠি এখনো দেখিনি। দেখে বলতে পারব।’
এদিকে বিতর্কিত ওই তিনটি নির্বাচন নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সূত্র জানায়, ৩ জুলাই পিবিআই ওই তিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের তথ্য চেয়েছে ইসির কাছে। এর ভিত্তিতে দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাদের তথ্য চেয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ও সব ডিসিকে চিঠি দিয়েছে ইসি। চিঠিতে সংশ্লিষ্ট ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের নাম-ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট নম্বর ও মোবাইল নম্বরসহ আরও কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছে।
দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে গত ২২ জুন রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেছে বিএনপি। মামলায় সাবেক তিন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, কে এম নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়াল এবং তাঁদের নেতৃত্বাধীন তিন কমিশনের সব নির্বাচন কমিশনারের পাশাপাশি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ২৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার পর সাবেক দুই সিইসি নূরুল হুদা এবং কাজী হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা বর্তমানে কারাগারে।
ওই তিন নির্বাচনের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করা ২২ জন সাবেক ডিসিকে গত ২০ ফেব্রুয়ারি বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল রোববার ঢাকা সেনানিবাসে কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে নিহতদের মরদেহ নিজ নিজ ঠিকানায় হেলিকপ্টারে পাঠিয়ে যথাযথ সামরিক মর্যাদায় দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
১২ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তাঁকে দাফন করা হয়। এর আগে বেলা ৩টা ২ মিনিটে হাদির মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিস্থলে পৌঁছায়।
২৪ মিনিট আগে
তিনি বলেন, এ কে খন্দকার ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় সৈনিক। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সাহসিকতা, দূরদর্শিতা ও নেতৃত্বগুণের পরিচয় দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
৪০ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো জনতার অংশগ্রহণে এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয় সদস্যের মরদেহ রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছে।
এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে আজ শনিবার নিহতদের মরদেহ দেশে পৌঁছায় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম বিমানবন্দরে শান্তিরক্ষীদের মৃতদেহ গ্রহণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশে জাতিসংঘের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রতিনিধি, আবেইতে মোতায়েনরত জাতিসংঘ মিশন ইউনিসফার ফোর্স কমান্ডারের প্রতিনিধি, চিফ কমিউনিটি লিয়াজোঁ অফিসারসহ অন্যরা।
সেনাবাহিনীর সদস্যদের মরদেহ নেওয়ার সময় সবাই দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন এবং সব সামরিক ব্যক্তি শাহাদাতবরণকারীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে স্যালুট দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল রোববার ঢাকা সেনানিবাসে কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে নিহতদের মরদেহ নিজ নিজ ঠিকানায় হেলিকপ্টারে পাঠিয়ে যথাযথ সামরিক মর্যাদায় দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
সুদানের আবেই এলাকায় ১৩ ডিসেম্বর ড্রোন হামলায় ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হওয়ার পাশাপাশি নয়জন আহত হন; যাঁদের মধ্যে আটজন কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে আগা খান ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বর্তমানে সবাই শঙ্কামুক্ত রয়েছেন বলে জানায় আইএসপিআর।

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয় সদস্যের মরদেহ রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছে।
এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে আজ শনিবার নিহতদের মরদেহ দেশে পৌঁছায় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম বিমানবন্দরে শান্তিরক্ষীদের মৃতদেহ গ্রহণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশে জাতিসংঘের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রতিনিধি, আবেইতে মোতায়েনরত জাতিসংঘ মিশন ইউনিসফার ফোর্স কমান্ডারের প্রতিনিধি, চিফ কমিউনিটি লিয়াজোঁ অফিসারসহ অন্যরা।
সেনাবাহিনীর সদস্যদের মরদেহ নেওয়ার সময় সবাই দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন এবং সব সামরিক ব্যক্তি শাহাদাতবরণকারীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে স্যালুট দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল রোববার ঢাকা সেনানিবাসে কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে নিহতদের মরদেহ নিজ নিজ ঠিকানায় হেলিকপ্টারে পাঠিয়ে যথাযথ সামরিক মর্যাদায় দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
সুদানের আবেই এলাকায় ১৩ ডিসেম্বর ড্রোন হামলায় ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হওয়ার পাশাপাশি নয়জন আহত হন; যাঁদের মধ্যে আটজন কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে আগা খান ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বর্তমানে সবাই শঙ্কামুক্ত রয়েছেন বলে জানায় আইএসপিআর।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় সংসদ (দশম, একাদশ ও দ্বাদশ) নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ব্যক্তিদের আগামী সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব দেওয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২৭ জুলাই ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তাঁকে দাফন করা হয়। এর আগে বেলা ৩টা ২ মিনিটে হাদির মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিস্থলে পৌঁছায়।
২৪ মিনিট আগে
তিনি বলেন, এ কে খন্দকার ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় সৈনিক। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সাহসিকতা, দূরদর্শিতা ও নেতৃত্বগুণের পরিচয় দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
৪০ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো জনতার অংশগ্রহণে এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তাঁকে দাফন করা হয়।
এর আগে বেলা ৩টা ২ মিনিটে হাদির মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিস্থলে পৌঁছায়।
আজ বেলা আড়াইটার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো মানুষের অংশগ্রহণে হাদির জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ওসমান হাদিকে মাথায় গুলি করে দুর্বৃত্তরা। প্রথমে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার তিনি মারা যান। তাঁর মরদেহ গতকাল সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আনা হয়। রাখা হয় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালের মর্গে। শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আজ রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তাঁকে দাফন করা হয়।
এর আগে বেলা ৩টা ২ মিনিটে হাদির মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিস্থলে পৌঁছায়।
আজ বেলা আড়াইটার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো মানুষের অংশগ্রহণে হাদির জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ওসমান হাদিকে মাথায় গুলি করে দুর্বৃত্তরা। প্রথমে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার তিনি মারা যান। তাঁর মরদেহ গতকাল সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আনা হয়। রাখা হয় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালের মর্গে। শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আজ রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় সংসদ (দশম, একাদশ ও দ্বাদশ) নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ব্যক্তিদের আগামী সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব দেওয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২৭ জুলাই ২০২৫
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল রোববার ঢাকা সেনানিবাসে কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে নিহতদের মরদেহ নিজ নিজ ঠিকানায় হেলিকপ্টারে পাঠিয়ে যথাযথ সামরিক মর্যাদায় দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
১২ মিনিট আগে
তিনি বলেন, এ কে খন্দকার ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় সৈনিক। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সাহসিকতা, দূরদর্শিতা ও নেতৃত্বগুণের পরিচয় দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
৪০ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো জনতার অংশগ্রহণে এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
১ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

মুক্তিযুদ্ধের উপসেনাপতি (ডেপুটি চিফ অব স্টাফ), স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিমানবাহিনীর প্রধান ও সাবেক মন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আবদুল করিম খন্দকারের (এ কে খন্দকার) মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, এ কে খন্দকার বীর উত্তম ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় সৈনিক। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সাহসিকতা, দূরদর্শিতা ও নেতৃত্বগুণের পরিচয় দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হিসেবে তাঁর কৌশলগত সিদ্ধান্ত, সাংগঠনিক দক্ষতা ও অটল দেশপ্রেম স্বাধীনতার সংগ্রামকে আরও সুসংহত করেছিল।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, স্বাধীনতার পর এ কে খন্দকার বাংলাদেশ বিমানবাহিনী গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন এবং দেশের প্রথম বিমানবাহিনীর প্রধান হিসেবে এই বাহিনীকে একটি সুসংগঠিত ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড় করাতে অসামান্য অবদান রাখেন।
তিনি বলেন, এ কে খন্দকার রণাঙ্গনের একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে গ্রন্থ রচনা করে পতিত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে ব্যাপক রোষানলে পড়েন। মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরাই ছিল পতিত শাসনের দৃষ্টিতে তাঁর অপরাধ।
ড. ইউনূস বলেন, এ কে খন্দকার ছিলেন একজন দৃঢ়চেতা মুক্তিযোদ্ধা, সৎ ও সাহসী এবং আদর্শনিষ্ঠ দেশপ্রেমিক। তাঁর কর্ম, চিন্তা ও আদর্শ নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে একজন বীর সন্তানকে হারাল দেশ। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন, সহযোদ্ধা ও গুণগ্রাহীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’

মুক্তিযুদ্ধের উপসেনাপতি (ডেপুটি চিফ অব স্টাফ), স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিমানবাহিনীর প্রধান ও সাবেক মন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আবদুল করিম খন্দকারের (এ কে খন্দকার) মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, এ কে খন্দকার বীর উত্তম ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় সৈনিক। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সাহসিকতা, দূরদর্শিতা ও নেতৃত্বগুণের পরিচয় দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হিসেবে তাঁর কৌশলগত সিদ্ধান্ত, সাংগঠনিক দক্ষতা ও অটল দেশপ্রেম স্বাধীনতার সংগ্রামকে আরও সুসংহত করেছিল।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, স্বাধীনতার পর এ কে খন্দকার বাংলাদেশ বিমানবাহিনী গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন এবং দেশের প্রথম বিমানবাহিনীর প্রধান হিসেবে এই বাহিনীকে একটি সুসংগঠিত ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড় করাতে অসামান্য অবদান রাখেন।
তিনি বলেন, এ কে খন্দকার রণাঙ্গনের একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে গ্রন্থ রচনা করে পতিত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে ব্যাপক রোষানলে পড়েন। মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরাই ছিল পতিত শাসনের দৃষ্টিতে তাঁর অপরাধ।
ড. ইউনূস বলেন, এ কে খন্দকার ছিলেন একজন দৃঢ়চেতা মুক্তিযোদ্ধা, সৎ ও সাহসী এবং আদর্শনিষ্ঠ দেশপ্রেমিক। তাঁর কর্ম, চিন্তা ও আদর্শ নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে একজন বীর সন্তানকে হারাল দেশ। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন, সহযোদ্ধা ও গুণগ্রাহীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় সংসদ (দশম, একাদশ ও দ্বাদশ) নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ব্যক্তিদের আগামী সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব দেওয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২৭ জুলাই ২০২৫
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল রোববার ঢাকা সেনানিবাসে কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে নিহতদের মরদেহ নিজ নিজ ঠিকানায় হেলিকপ্টারে পাঠিয়ে যথাযথ সামরিক মর্যাদায় দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
১২ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তাঁকে দাফন করা হয়। এর আগে বেলা ৩টা ২ মিনিটে হাদির মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিস্থলে পৌঁছায়।
২৪ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো জনতার অংশগ্রহণে এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো জনতার অংশগ্রহণে এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
শহীদ ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আবেগঘন বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘প্রিয় ওসমান হাদি, তোমাকে আমরা বিদায় দিতে আসিনি। তুমি আমাদের বুকের ভেতরে আছ এবং বাংলাদেশ যত দিন থাকবে, তুমি সব বাংলাদেশির বুকের মধ্যে থাকবে।’
ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘আজকে পথে ঢেউয়ের মতো লোক আসছে, সারা বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ এই মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরা তোমার কাছে ওয়াদা করতে এসেছি—তুমি যা বলে গেছ, আমরা যেন তা পূরণ করতে পারি। সেই ওয়াদা শুধু আমরা নয়, পুরুষানুক্রমে বাংলাদেশের সব মানুষ পূরণ করবে। তোমার মানবপ্রেম, সাধারণ মানুষের সঙ্গে মেলামেশা এবং রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি আমরা প্রাণে গ্রহণ করছি।’
জানাজায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। হাদিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষের ঢলে সংসদ ভবন এলাকা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ জনসমুদ্রে পরিণত হয়। দেশের বাইরে অবস্থানরত বাংলাদেশিরাও ভার্চ্যুয়ালি এই মুহূর্তের খবরাখবর রাখছেন বলে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী জানাজা দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা আড়াইটায় শুরু হয়। জানাজা উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ১০০০টি বডি ওর্ন ক্যামেরা ও গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে পুরো এলাকা সুরক্ষিত রাখা হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, জানাজায় অংশগ্রহণকারীরা কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী বস্তু ছাড়াই অংশগ্রহণ করেন এবং সংসদ ভবন এলাকায় ড্রোন ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবির সমাধির পাশে ওসমান হাদিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরে মারা যান ওসমান হাদি। তাঁর মৃত্যুতে আজ রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হচ্ছে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো জনতার অংশগ্রহণে এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
শহীদ ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আবেগঘন বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘প্রিয় ওসমান হাদি, তোমাকে আমরা বিদায় দিতে আসিনি। তুমি আমাদের বুকের ভেতরে আছ এবং বাংলাদেশ যত দিন থাকবে, তুমি সব বাংলাদেশির বুকের মধ্যে থাকবে।’
ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘আজকে পথে ঢেউয়ের মতো লোক আসছে, সারা বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ এই মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরা তোমার কাছে ওয়াদা করতে এসেছি—তুমি যা বলে গেছ, আমরা যেন তা পূরণ করতে পারি। সেই ওয়াদা শুধু আমরা নয়, পুরুষানুক্রমে বাংলাদেশের সব মানুষ পূরণ করবে। তোমার মানবপ্রেম, সাধারণ মানুষের সঙ্গে মেলামেশা এবং রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি আমরা প্রাণে গ্রহণ করছি।’
জানাজায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। হাদিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষের ঢলে সংসদ ভবন এলাকা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ জনসমুদ্রে পরিণত হয়। দেশের বাইরে অবস্থানরত বাংলাদেশিরাও ভার্চ্যুয়ালি এই মুহূর্তের খবরাখবর রাখছেন বলে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী জানাজা দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা আড়াইটায় শুরু হয়। জানাজা উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ১০০০টি বডি ওর্ন ক্যামেরা ও গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে পুরো এলাকা সুরক্ষিত রাখা হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, জানাজায় অংশগ্রহণকারীরা কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী বস্তু ছাড়াই অংশগ্রহণ করেন এবং সংসদ ভবন এলাকায় ড্রোন ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবির সমাধির পাশে ওসমান হাদিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরে মারা যান ওসমান হাদি। তাঁর মৃত্যুতে আজ রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হচ্ছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় সংসদ (দশম, একাদশ ও দ্বাদশ) নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ব্যক্তিদের আগামী সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব দেওয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২৭ জুলাই ২০২৫
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল রোববার ঢাকা সেনানিবাসে কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে নিহতদের মরদেহ নিজ নিজ ঠিকানায় হেলিকপ্টারে পাঠিয়ে যথাযথ সামরিক মর্যাদায় দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
১২ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তাঁকে দাফন করা হয়। এর আগে বেলা ৩টা ২ মিনিটে হাদির মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিস্থলে পৌঁছায়।
২৪ মিনিট আগে
তিনি বলেন, এ কে খন্দকার ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় সৈনিক। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সাহসিকতা, দূরদর্শিতা ও নেতৃত্বগুণের পরিচয় দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
৪০ মিনিট আগে