দুই জেনারেলের মধ্যে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে অনিরাপদ হয়ে পড়েছে সুদান। সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে বেশ কয়েক দিনের সংঘাতে কয়েক শ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে; ঘরবাড়ি ছাড়তে হয়েছে হাজার হাজার মানুষকে। যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ এরই মধ্যে উত্তর আফ্রিকার যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি থেকে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে।
বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফেরানোর প্রস্তুতি শুরু করেছে সরকার। এ জন্য দেশে ফিরতে ইচ্ছুক সুদানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের দূতাবাসের হটলাইন নম্বরগুলোতে দ্রুত যোগাযোগ করতে বলেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় ফেসবুক পোস্টে দুজনের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দিয়েছে।
যাঁরা দেশে ফিরতে চান, তাঁদের +2349097551790 (হোয়াটসঅ্যাপ) নম্বরে খার্তুমে বাংলাদেশ দূতাবাসের থার্ড সেক্রেটারি একরামুলের সঙ্গে অথবা +8801737125349 (হোয়াটসঅ্যাপ) নম্বরে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
সুদানে বিবদমান নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষের মধ্যে গত ১২ দিনে কমপক্ষে দুবার আক্রান্ত হয়েছে রাজধানী খার্তুমে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও রাষ্ট্রদূতের বাসভবন। ১৫ ও ২২ এপ্রিল ভবনগুলোর কয়েকটি স্থানে দেয়াল ও জানালা ভেদ করে ভেতরে এসে পড়ে মেশিনগানের গুলি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত ২০ এপ্রিল রাষ্ট্রদূত সপরিবারে দূতাবাস ও বাসস্থান ছেড়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে চলে যান।
বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফেরানোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বলে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ গতকাল বুধবার আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, সুদান থেকে বাংলাদেশিদের ফেরিতে করে প্রথমে সৌদি আরবের জেদ্দায়, সেখান থেকে বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় নিয়ে আসার কথা ভাবছে সরকার। পুরো বিষয়টি জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ঢাকা অফিসকে অবহিত করা হয়েছে।
তারেক আহমেদ জানান, তিন দিন আগে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মানুষ দেশে ফিরতে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত এই ৫০০ লোকের সবাই ফিরবেন কি না, সে ব্যাপারে সংশয় আছে।
যাঁরা নিবন্ধন করেছেন, তাঁদের কবে নাগাদ সরিয়ে নেওয়া শুরু হতে পারে, জানতে চাইলে তারেক আহমেদ বলেন, কয়েকটি দেশ ২২ থেকে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে নিজেদের নাগরিকদের খার্তুম থেকে বন্দরনগরী পোর্ট সুদানে সরিয়ে নিয়েছে। সেখানে হাজার হাজার মানুষের থাকার কোনো ব্যবস্থা নেই। আবার তাঁদের বন্দরে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে জাহাজেও তোলা যায়নি। এ অবস্থায় কয়েক হাজার বিদেশি মানুষের সেখানে থাকা-খাওয়াসহ আনুষঙ্গিক সবকিছু নিশ্চিত করা নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশের নাগরিকেরা কবে নাগাদ জাহাজে উঠতে পারবেন, তা নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁদের সরাসরি বন্দরে নিয়ে গেলে ভোগান্তি কিছুটা কমানো যেতে পারে—এ বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে খার্তুম থেকে বাসবহর ছাড়ার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
নাগরিকদের মধ্যে যাঁরা দেশে ফিরবেন, তাঁদের অনেকের হালনাগাদ পাসপোর্ট নাও থাকতে পারে, এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, সে ক্ষেত্রে তাদের বিকল্প হিসেবে ‘ট্রাভেল পারমিট’ দেওয়া প্রয়োজন হতে পারে। এ ক্ষেত্রেও অন্তত দুই দিন লাগতে পারে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, খার্তুম থেকে বাসে পোর্ট সুদান, সেখান থেকে জাহাজে জেদ্দা, এরপর জেদ্দা থেকে ঢাকাগামী ফ্লাইটে যাত্রীদের তোলা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অপেক্ষার সময় যতটা সম্ভব কমিয়ে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে সপ্তাহখানেক সময় লাগতে পারে।
উল্লেখ্য, সুদানে প্রায় ১ হাজার ৫০০ বাংলাদেশি নাগরিক আছেন।
দুই জেনারেলের মধ্যে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে অনিরাপদ হয়ে পড়েছে সুদান। সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে বেশ কয়েক দিনের সংঘাতে কয়েক শ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে; ঘরবাড়ি ছাড়তে হয়েছে হাজার হাজার মানুষকে। যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ এরই মধ্যে উত্তর আফ্রিকার যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি থেকে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে।
বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফেরানোর প্রস্তুতি শুরু করেছে সরকার। এ জন্য দেশে ফিরতে ইচ্ছুক সুদানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের দূতাবাসের হটলাইন নম্বরগুলোতে দ্রুত যোগাযোগ করতে বলেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় ফেসবুক পোস্টে দুজনের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দিয়েছে।
যাঁরা দেশে ফিরতে চান, তাঁদের +2349097551790 (হোয়াটসঅ্যাপ) নম্বরে খার্তুমে বাংলাদেশ দূতাবাসের থার্ড সেক্রেটারি একরামুলের সঙ্গে অথবা +8801737125349 (হোয়াটসঅ্যাপ) নম্বরে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
সুদানে বিবদমান নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষের মধ্যে গত ১২ দিনে কমপক্ষে দুবার আক্রান্ত হয়েছে রাজধানী খার্তুমে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও রাষ্ট্রদূতের বাসভবন। ১৫ ও ২২ এপ্রিল ভবনগুলোর কয়েকটি স্থানে দেয়াল ও জানালা ভেদ করে ভেতরে এসে পড়ে মেশিনগানের গুলি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত ২০ এপ্রিল রাষ্ট্রদূত সপরিবারে দূতাবাস ও বাসস্থান ছেড়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে চলে যান।
বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফেরানোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বলে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ গতকাল বুধবার আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, সুদান থেকে বাংলাদেশিদের ফেরিতে করে প্রথমে সৌদি আরবের জেদ্দায়, সেখান থেকে বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় নিয়ে আসার কথা ভাবছে সরকার। পুরো বিষয়টি জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ঢাকা অফিসকে অবহিত করা হয়েছে।
তারেক আহমেদ জানান, তিন দিন আগে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মানুষ দেশে ফিরতে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত এই ৫০০ লোকের সবাই ফিরবেন কি না, সে ব্যাপারে সংশয় আছে।
যাঁরা নিবন্ধন করেছেন, তাঁদের কবে নাগাদ সরিয়ে নেওয়া শুরু হতে পারে, জানতে চাইলে তারেক আহমেদ বলেন, কয়েকটি দেশ ২২ থেকে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে নিজেদের নাগরিকদের খার্তুম থেকে বন্দরনগরী পোর্ট সুদানে সরিয়ে নিয়েছে। সেখানে হাজার হাজার মানুষের থাকার কোনো ব্যবস্থা নেই। আবার তাঁদের বন্দরে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে জাহাজেও তোলা যায়নি। এ অবস্থায় কয়েক হাজার বিদেশি মানুষের সেখানে থাকা-খাওয়াসহ আনুষঙ্গিক সবকিছু নিশ্চিত করা নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশের নাগরিকেরা কবে নাগাদ জাহাজে উঠতে পারবেন, তা নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁদের সরাসরি বন্দরে নিয়ে গেলে ভোগান্তি কিছুটা কমানো যেতে পারে—এ বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে খার্তুম থেকে বাসবহর ছাড়ার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
নাগরিকদের মধ্যে যাঁরা দেশে ফিরবেন, তাঁদের অনেকের হালনাগাদ পাসপোর্ট নাও থাকতে পারে, এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, সে ক্ষেত্রে তাদের বিকল্প হিসেবে ‘ট্রাভেল পারমিট’ দেওয়া প্রয়োজন হতে পারে। এ ক্ষেত্রেও অন্তত দুই দিন লাগতে পারে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, খার্তুম থেকে বাসে পোর্ট সুদান, সেখান থেকে জাহাজে জেদ্দা, এরপর জেদ্দা থেকে ঢাকাগামী ফ্লাইটে যাত্রীদের তোলা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অপেক্ষার সময় যতটা সম্ভব কমিয়ে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে সপ্তাহখানেক সময় লাগতে পারে।
উল্লেখ্য, সুদানে প্রায় ১ হাজার ৫০০ বাংলাদেশি নাগরিক আছেন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
২ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মালিকানাধীন ছয়টি ব্রিটিশ রিয়েল এস্টেট কোম্পানিকে দুর্নীতির অভিযোগে প্রশাসকের অধীনে নেওয়া হয়েছে। এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি ও সাবেক ব্রিটিশ ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের নামও জড়িয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে