নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বর্তমানে সরকারি হাসপাতালে সেবার মান বাড়লেও এখনো তা সন্তোষজনক পর্যায়ে পৌঁছেনি। সরকারি হাসপাতালে সেবা নিতে আসা ৯৩ শতাংশ রোগীই ওষুধ পান না। এ ছাড়া ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ রোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারলেও বাকিদের যেতে হয় বেসরকারি হাসপাতালে।
আজ রোববার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা ইউনিট আয়োজিত এক কর্মশালায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূরসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় গবেষণাপত্রের অবহিতকরণের ওপর দুটি উপস্থাপনা তুলে ধরা হয়। যেখানে বলা হয়, মাত্র ৩ শতাংশ রোগী সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে ওষুধ পেয়ে থাকেন। অধিকাংশ রোগীকে বেসরকারি ফার্মেসি থেকে ওষুধ কেনা ও ডায়াগনস্টিকে পরীক্ষা করাতে হয়। এতে করে রোগীর ব্যয় বেড়ে যায়। এর ফলে রোগী আর্থিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হন।
প্রবন্ধে বলা হয়, পরীক্ষা-নিরীক্ষা খাতে ৮ ভাগ এবং ওষুধে ৬৪ ভাগ ব্যয় রোগীদের নিজেদের বহন করতে হয়। এ ছাড়া গ্রাম পর্যায়ে সরকারি প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা যথাযথ কার্যকর না হওয়ায় এবং শহর এলাকায় পর্যাপ্ত প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা না থাকায় রোগী বেসরকারি হাসপাতালে সেবা নিতে বাধ্য হন।
এ সময় স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের পরিচালক নুরুল আমিন বলেন, ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বাদে প্রায় সকল প্রকার ওষুধ কেনার সুযোগ থাকায় রয়েছে। এ ছাড়া ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের মাত্রাতিরিক্ত বিপণনের ফলে স্বীকৃত ডাক্তারদের পাশা-পাশাপাশি পল্লি ও হাতুড়ে ডাক্তারগণও ব্যবস্থাপত্রে অতিমাত্রায় ওষুধ লিখে থাকেন। ফলে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ওষুধ সেবন করা হয়। এর ফলে রোগীর ব্যয় বেড়ে যায়।
এ ছাড়া বেসরকারি হাসপাতাল অ্যাক্রেডিটেশন পদ্ধতি না থাকা এবং এর সেবা মান ও মূল্যের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নজরদারি না থাকায় সেবা গ্রহণকারীরা প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
নুরুল আমিন আরও বলেন, জরুরি ওষুধের তালিকা সংশোধন ও সম্প্রসারণ এবং ব্যবস্থাপত্রে প্রটোকল অনুসরণ করে কোম্পানির ওষুধের ব্র্যান্ড নাম ব্যবহারের পরিবর্তে জেনেরিক নাম ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হলে এ ব্যয়ের লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যাকাউন্ট সেলের ফোকাল পারসন ডা. সুব্রত পাল বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের বাজেট কম। একই সঙ্গে দেশের জনপ্রতি স্বাস্থ্য খাতে খরচ সবচেয়ে কম। শুধুমাত্র সরকারি অর্থ বরাদ্দ বাড়িয়ে এর থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়।
বর্তমানে সরকারি হাসপাতালে সেবার মান বাড়লেও এখনো তা সন্তোষজনক পর্যায়ে পৌঁছেনি। সরকারি হাসপাতালে সেবা নিতে আসা ৯৩ শতাংশ রোগীই ওষুধ পান না। এ ছাড়া ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ রোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারলেও বাকিদের যেতে হয় বেসরকারি হাসপাতালে।
আজ রোববার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা ইউনিট আয়োজিত এক কর্মশালায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূরসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় গবেষণাপত্রের অবহিতকরণের ওপর দুটি উপস্থাপনা তুলে ধরা হয়। যেখানে বলা হয়, মাত্র ৩ শতাংশ রোগী সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে ওষুধ পেয়ে থাকেন। অধিকাংশ রোগীকে বেসরকারি ফার্মেসি থেকে ওষুধ কেনা ও ডায়াগনস্টিকে পরীক্ষা করাতে হয়। এতে করে রোগীর ব্যয় বেড়ে যায়। এর ফলে রোগী আর্থিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হন।
প্রবন্ধে বলা হয়, পরীক্ষা-নিরীক্ষা খাতে ৮ ভাগ এবং ওষুধে ৬৪ ভাগ ব্যয় রোগীদের নিজেদের বহন করতে হয়। এ ছাড়া গ্রাম পর্যায়ে সরকারি প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা যথাযথ কার্যকর না হওয়ায় এবং শহর এলাকায় পর্যাপ্ত প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা না থাকায় রোগী বেসরকারি হাসপাতালে সেবা নিতে বাধ্য হন।
এ সময় স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের পরিচালক নুরুল আমিন বলেন, ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বাদে প্রায় সকল প্রকার ওষুধ কেনার সুযোগ থাকায় রয়েছে। এ ছাড়া ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের মাত্রাতিরিক্ত বিপণনের ফলে স্বীকৃত ডাক্তারদের পাশা-পাশাপাশি পল্লি ও হাতুড়ে ডাক্তারগণও ব্যবস্থাপত্রে অতিমাত্রায় ওষুধ লিখে থাকেন। ফলে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ওষুধ সেবন করা হয়। এর ফলে রোগীর ব্যয় বেড়ে যায়।
এ ছাড়া বেসরকারি হাসপাতাল অ্যাক্রেডিটেশন পদ্ধতি না থাকা এবং এর সেবা মান ও মূল্যের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নজরদারি না থাকায় সেবা গ্রহণকারীরা প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
নুরুল আমিন আরও বলেন, জরুরি ওষুধের তালিকা সংশোধন ও সম্প্রসারণ এবং ব্যবস্থাপত্রে প্রটোকল অনুসরণ করে কোম্পানির ওষুধের ব্র্যান্ড নাম ব্যবহারের পরিবর্তে জেনেরিক নাম ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হলে এ ব্যয়ের লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যাকাউন্ট সেলের ফোকাল পারসন ডা. সুব্রত পাল বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের বাজেট কম। একই সঙ্গে দেশের জনপ্রতি স্বাস্থ্য খাতে খরচ সবচেয়ে কম। শুধুমাত্র সরকারি অর্থ বরাদ্দ বাড়িয়ে এর থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়।
আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর অনলাইন কার্যক্রম বন্ধে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এসব সংগঠনের ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট ব্লক করতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) চিঠি দিয়েছে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি।
৯ মিনিট আগেক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ ও বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনন্য অবদানের জন্য প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ডি. লিট ডিগ্রি দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তাঁকে...
১ ঘণ্টা আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন মুখপাত্র। অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার বিষয়ে প্রশ্ন করেন এক সাংবাদিক।
২ ঘণ্টা আগেসমালোচনার মুখে আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সরাসরি যাঁরা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেননি, তাঁদের মুক্তিযুদ্ধে সহযোগী হিসেবে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বহাল রাখছে সরকার।
৮ ঘণ্টা আগে