তোফাজ্জল হোসেন রুবেল, ঢাকা
জুলাই অভ্যুত্থানের স্মরণে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে জেলা পর্যায়ে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর শাহবাগ ও অন্য ৬৩ জেলার প্রতিটির গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থাপন করা হবে এই স্মৃতিস্তম্ভ। ১৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৬ ফুট ব্যাসের এই স্তম্ভে থাকছে গত বছরের জুলাইয়ের স্লোগান, কবিতা ও গ্রাফিতি।
এই প্রকল্পে ব্যয় হবে ৯ কোটি টাকার মতো। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে কাজ করছে পূর্ত অধিদপ্তর। গতকাল বুধবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম স্তম্ভের চূড়ান্ত নকশা অনুমোদন করেন। এরপর শুরু হয়েছে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে ইতিমধ্যে জায়গা চিহ্নিত করতে সব জেলা প্রশাসককে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
জুলাই পুনর্জাগরণ কর্মসূচি নিয়ে কাজ করা নকশা প্রণয়নকারী আব্দুল হালিম চঞ্চল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক মাস ধরে জুলাই স্মৃতি ধরে রাখা নিয়ে আমরা কাজ করছি। এরই অংশ হিসেবে ঢাকার শাহবাগসহ দেশের সব জেলায় ভাস্কর্য স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘মূলত জুলাই আন্দোলনের কবিতা, গ্রাফিতি এবং বিভিন্ন স্লোগান নিয়ে একটি থিম তৈরি করা হয়েছে। সবার কাছে পছন্দনীয় ও মর্মস্পর্শী হয়, এমন একটি জিনিস আমরা তৈরি করতে যাচ্ছি। যেসব জেলায় মানুষ শহীদ হয়েছেন, তাঁদের নাম বেদিতে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আশা করছি আগামী ৫ আগস্টের আগেই সব কাজ শেষ হবে। ৫ আগস্ট সারা দেশে এসব স্তম্ভে মানুষ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। তালিকাভুক্ত সব শহীদকেই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস উদ্যাপনের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে কর্মসূচি সমন্বয়ক করে ৩৭ সদস্যের জাতীয় কমিটি গঠন করেছে সরকার। গত ২৬ জুন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দেশব্যাপী ১ জুলাই থেকে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস উদ্যাপনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা ও কর্মসূচির বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস উদ্যাপনসংক্রান্ত বিষয়ে কমিটি গৃহীত কার্যক্রমের তত্ত্বাবধান সমন্বয় সাধন পরিবীক্ষণ ও অগ্রগতি পর্যালোচনা করবে। এ কমিটিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সাচিবিক সহায়তা করবে।
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি ধরে রাখতে সারা দেশে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য সরকারি এই উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং গণপূর্ত মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করছে। ইতিমধ্যে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক ব্যক্তির প্রণয়ন করা নকশা প্রধান স্থপতি, জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক এবং সর্বশেষ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অনুমোদন করেছেন। সারা দেশে জেলা পর্যায়ে স্থান নির্বাচনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বেশির ভাগ জেলায় জায়গাও নির্বাচন করা হয়েছে। নির্বাচিত স্থানে আরসিসি ঢালাই দিয়ে নির্মাণ করা একটি প্ল্যাটফর্মের ওপর ১৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও ছয় ফুট ব্যাসের একটি স্টিলের তৈরি স্তম্ভ বসানো হবে। স্থাপনাটিতে এমনভাবে বিভিন্ন লেখা থাকবে, যা ভেতরে আলো জ্বালানোর পর দুই পাশ থেকে মানুষ পড়তে পারবে। এ ছাড়া দেড় ফুট চওড়া একটি বেদি তৈরি করা হচ্ছে, যেখানে মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে পারবে।
জানতে চাইলে পূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকাসহ সারা দেশে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মরণে ৬৪টি ভাস্কর্য তৈরি করা হচ্ছে। এসব ভাস্কর্যের জন্য জেলা পর্যায়ে জায়গা বাছাইয়ের কাজ চলছে। আশা করছি খুব দ্রুত জায়গা চিহ্নিত করে কাজ করতে পারব।’ তিনি বলেন, নান্দনিক এসব ভাস্কর্যের প্রতিটির জন্য ১৪ লাখ টাকার মতো খরচ হবে। ৬৪টির জন্য মোট ৯ কোটি টাকার মতো খরচ হতে পারে।
জুলাই অভ্যুত্থানের স্মরণে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে জেলা পর্যায়ে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর শাহবাগ ও অন্য ৬৩ জেলার প্রতিটির গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থাপন করা হবে এই স্মৃতিস্তম্ভ। ১৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৬ ফুট ব্যাসের এই স্তম্ভে থাকছে গত বছরের জুলাইয়ের স্লোগান, কবিতা ও গ্রাফিতি।
এই প্রকল্পে ব্যয় হবে ৯ কোটি টাকার মতো। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে কাজ করছে পূর্ত অধিদপ্তর। গতকাল বুধবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম স্তম্ভের চূড়ান্ত নকশা অনুমোদন করেন। এরপর শুরু হয়েছে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে ইতিমধ্যে জায়গা চিহ্নিত করতে সব জেলা প্রশাসককে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
জুলাই পুনর্জাগরণ কর্মসূচি নিয়ে কাজ করা নকশা প্রণয়নকারী আব্দুল হালিম চঞ্চল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক মাস ধরে জুলাই স্মৃতি ধরে রাখা নিয়ে আমরা কাজ করছি। এরই অংশ হিসেবে ঢাকার শাহবাগসহ দেশের সব জেলায় ভাস্কর্য স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘মূলত জুলাই আন্দোলনের কবিতা, গ্রাফিতি এবং বিভিন্ন স্লোগান নিয়ে একটি থিম তৈরি করা হয়েছে। সবার কাছে পছন্দনীয় ও মর্মস্পর্শী হয়, এমন একটি জিনিস আমরা তৈরি করতে যাচ্ছি। যেসব জেলায় মানুষ শহীদ হয়েছেন, তাঁদের নাম বেদিতে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আশা করছি আগামী ৫ আগস্টের আগেই সব কাজ শেষ হবে। ৫ আগস্ট সারা দেশে এসব স্তম্ভে মানুষ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। তালিকাভুক্ত সব শহীদকেই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস উদ্যাপনের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে কর্মসূচি সমন্বয়ক করে ৩৭ সদস্যের জাতীয় কমিটি গঠন করেছে সরকার। গত ২৬ জুন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দেশব্যাপী ১ জুলাই থেকে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস উদ্যাপনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা ও কর্মসূচির বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস উদ্যাপনসংক্রান্ত বিষয়ে কমিটি গৃহীত কার্যক্রমের তত্ত্বাবধান সমন্বয় সাধন পরিবীক্ষণ ও অগ্রগতি পর্যালোচনা করবে। এ কমিটিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সাচিবিক সহায়তা করবে।
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি ধরে রাখতে সারা দেশে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য সরকারি এই উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং গণপূর্ত মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করছে। ইতিমধ্যে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক ব্যক্তির প্রণয়ন করা নকশা প্রধান স্থপতি, জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক এবং সর্বশেষ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অনুমোদন করেছেন। সারা দেশে জেলা পর্যায়ে স্থান নির্বাচনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বেশির ভাগ জেলায় জায়গাও নির্বাচন করা হয়েছে। নির্বাচিত স্থানে আরসিসি ঢালাই দিয়ে নির্মাণ করা একটি প্ল্যাটফর্মের ওপর ১৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও ছয় ফুট ব্যাসের একটি স্টিলের তৈরি স্তম্ভ বসানো হবে। স্থাপনাটিতে এমনভাবে বিভিন্ন লেখা থাকবে, যা ভেতরে আলো জ্বালানোর পর দুই পাশ থেকে মানুষ পড়তে পারবে। এ ছাড়া দেড় ফুট চওড়া একটি বেদি তৈরি করা হচ্ছে, যেখানে মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে পারবে।
জানতে চাইলে পূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকাসহ সারা দেশে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মরণে ৬৪টি ভাস্কর্য তৈরি করা হচ্ছে। এসব ভাস্কর্যের জন্য জেলা পর্যায়ে জায়গা বাছাইয়ের কাজ চলছে। আশা করছি খুব দ্রুত জায়গা চিহ্নিত করে কাজ করতে পারব।’ তিনি বলেন, নান্দনিক এসব ভাস্কর্যের প্রতিটির জন্য ১৪ লাখ টাকার মতো খরচ হবে। ৬৪টির জন্য মোট ৯ কোটি টাকার মতো খরচ হতে পারে।
দেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রুটে নতুন রেলপথ হলেও লোকোমোটিভের (ইঞ্জিন) অভাবে চাহিদা অনুযায়ী ট্রেন সার্ভিস চালু করা যাচ্ছে না। অথচ এমন পরিস্থিতিতে ৩০টি নতুন ইঞ্জিন কেনার পরও বিভিন্ন কারিগরি সমস্যায় সব কটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কোনো সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়াই ইঞ্জিনগুলো কিনে...
৩৩ মিনিট আগেআইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘আমি যেটা করব, সেটা আপনারা দেখতে পারবেন। সেটা আপনাকে দেখতে হবে কাজের মধ্য দিয়ে। এই যে লিগ্যাল এইডের কাজ করলাম, এর বাইরে আমরা অনেক কাজ করেছি, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো দিন হয়নি।’
৩ ঘণ্টা আগেজাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে আগামী সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্ক যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এবার প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গীর তালিকায় চার রাজনৈতিক নেতাকে অন্তর্ভুক্ত করেছে সরকার। যাঁদের মধ্যে বিএনপির দুজন, জামায়াতের একজন ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একজন
৪ ঘণ্টা আগেসভায় সাম্প্রতিক সময়ে বিমানের উড়োজাহাজে দেখা দেওয়া বিভিন্ন কারিগরি ত্রুটি পর্যালোচনা করে উপদেষ্টা বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটি সরাসরি জনগণের জীবনের নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই বিমানের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে এসব সমস্যাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে এবং ভবিষ্যতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে
৫ ঘণ্টা আগে