Ajker Patrika

দেশে মানসিক রোগী পৌনে ২ কোটি 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে মানসিক রোগী পৌনে ২ কোটি 

দেশেই ক্রমেই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে মানসিক রোগীর সংখ্যা। এই মুহূর্তে প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে ১৭ শতাংশই মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। যার মোট সংখ্যা পৌনে দুই কোটি। এমন কি মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণে প্রাণহানির সংখ্যা চলমান মহামারি করোনার চেয়েও বেশি।
 
তা সত্ত্বেও বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা মোকাবিলা ও চিকিৎসায় সম্পদ বরাদ্দ প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। দেশে মানসম্পন্ন মানসিক স্বাস্থ্যসেবার ঘাটতি রয়েছে যার ফলে মানুষ শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যে সর্বোচ্চ অধিকার ভোগ করতে পারছে না।
 
বুধবার সন্ধ্যায় ব্র্যাক আয়োজিত 'মানসিক স্বাস্থ্যসেবার কৌশল' শীর্ষক ভার্চুয়াল ওয়েবিনারে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা ও বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো।
 
অনুষ্ঠানে মৃত্যুর সংখ্যাটি প্রকাশ করা না হলেও চলমান করোনায় মৃত্যুর চিত্র থেকে ধারণা করা যায় মানসিক সমস্যায় ভুগে কি পরিমাণ মানুষের প্রাণহানি ঘটছে।
 
সেপ্পো যে তথ্য দিয়েছেন, তাতে এই মুহূর্তে দেশে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন এক কোটি ৭৬ লাখের বেশি মানুষ। ২০১৮ সালের হিসেব অনুযায়ী দেশে ১৮ বছরের বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা ১০ কোটি ২৭ লাখ ৯৩ হাজার। গত তিন বছরে সেই সংখ্যা আরও বেড়েছে।
 
সেপ্পো বলেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে মানসিক সেবার চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। বিদ্যমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মধ্যে প্রয়োজনীয় মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের ব্যবস্থা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্য শারীরিক স্বাস্থ্যের মতোই গুরুত্বপূর্ণ।
 
ফ্লোরা বলেন, সরকারের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কর্মসূচির মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্যসেবায় উন্নতি সাধন বর্তমানে অন্যতম একটি। দেশের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা পরিস্থিতির উন্নয়নে সরকার এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোকে একসঙ্গে মাল্টিসেক্টরাল পন্থায় কাজ করতে পারে। মানসিকভাবে সুস্থ জাতি, মানসিকভাবে সুস্থ বাংলাদেশ গড়তে একই লক্ষ্য সাধনে আমাদের হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে।
 
অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্ এবং সঞ্চালনা করেন ব্র্যাকের ঊর্ধ্বতন পরিচালক কেএএম মোর্শেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন।
 
সভাপতির বক্তব্যে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ বলেন, করোনার পটভূমি আমাদের ওপর যে গভীর মানসিক প্রভাব সৃষ্টি করেছে, তাতে করে সবার জন্য এই সেবা উন্নত করতে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। দেশের কেন্দ্র থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীগুলোর কাছে পর্যন্ত মানসিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানোর জন্য ব্র্যাক এই সমন্বিত কৌশলটি প্রণয়ন করেছে।
 
এখন এই উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে সরকার, বেসরকারি সংস্থা, ব্যক্তিমালিকানা প্রতিষ্ঠান এবং উন্নয়ন সহযোগী সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে বলেও মনে করেন তিনি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

রাখাইনে মানবিক করিডর কি প্রক্সি যুদ্ধের ফাঁদ হবে, ভারত-চীন কীভাবে দেখবে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত