Ajker Patrika

বাজার স্থিতিশীল রাখতে ওএমএস কার্যক্রম চলবে: খাদ্যমন্ত্রী 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাজার স্থিতিশীল রাখতে ওএমএস কার্যক্রম চলবে: খাদ্যমন্ত্রী 

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘দেশের প্রকৃতি যেমন অস্থির। দেশের ব্যবসায়ীদের মন মানসিকতাও অস্থির। আল্লাহ তাঁদের বিবেক দান করুক।’ 

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে বোরো সংগ্রহ অভিযান ও চলমান খাদ্যবান্ধব এবং ওএমএস কর্মসূচিসহ সামগ্রিক খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এ কথা বলেন। 

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘খাদ্য নিরাপত্তার জন্য বিদেশ থেকে খাদ্যশস্য আমদানি করা হচ্ছে। এরই মধ্যে বাজার স্থিতিশীল রাখতে যত দিন প্রয়োজন তত দিন খোলাবাজারে (ওএমএস) চাল ও আটা বিক্রির কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া হবে। চলতি আমন মৌসুমে খরা কাটিয়ে কৃষক যাতে ন্যায্য দামে ধান বিক্রি করতে পারে সে লক্ষ্যে সরকারিভাবে আরও চাল আমদানি করা হবে।’ 

মন্ত্রী বলেন, দেশের ৫০ লাখের অধিক পরিবারকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে চাল দেওয়া হচ্ছে। চলতি বছর ৫ মাস (মার্চ থেকে এপ্রিল এবং সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর) এই কর্মসূচি চালু থাকবে। এই কর্মসূচির সময় বাড়াতে হলে মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। 

খাদ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের অনুরোধ করে বলেন, মোকাম, আড়ত ও খুচরা বাজার তদারকি করে কে কত লাভে চাল বিক্রি করছে তা খুঁজে বের করতে হবে। কেউ অস্বাভাবিক মুনাফা করলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, এরই মধ্যে ভিয়েতনাম থেকে ২ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন চাল, মিয়ানমার থেকে ২ লাখ মেট্রিক টন চাল এবং ভারত থেকে এক লাখ টন চাল কেনা হচ্ছে। এছাড়া রাশিয়া থেকে ৫ লাখ মেট্রিক টন গম কেনা হচ্ছে। ভিয়েতনাম, ভারত ও রাশিয়া থেকে চাল আমদানির বিষয়টি এরই মধ্যে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদন হয়েছে। এরই মধ্যে আমদানির বিষয়ে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। 

খাদ্যমন্ত্রী জানান, বোরো মৌসুমে ১১ লাখ ২১ হাজার ৯১০ মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল এবং ৫৫ হাজার ২০৮ মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি চাল কেনা হয়েছে। তবে ধান কেনায় সরকার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। ৬ লাখ টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত থাকলেও কেনা হয়েছে ২ লাখ ৬৮ হাজার ২৪৮ টন। কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে জন্য ধান কম কেনা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। 

খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ওএমসের ডিলার ও ট্রাক থেকে যে কেউ দিনে সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল ৩০ টাকা কেজি দরে কিনতে পারবেন। এছাড়া ১৮ টাকা দরে দুই কেজি আটা কেনা যাবে। প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ২২ দিন ওএমএসের ট্রাক বা দোকানে চাল বিক্রি করা হবে। সারা দেশে মোট ২ হাজার ৩৬৩টি কেন্দ্রের মধ্যে চাল বিতরণ করা হবে এক হাজার ৯৬০টি কেন্দ্র থেকে। আর আটা বিতরণ করা হবে ৪০৩টি কেন্দ্র থেকে। 

খাদ্যমন্ত্রী জানান, সরকার চলতি আমন মৌসুমে কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করে তবেই চাল আমদানি করবে। সরকারিভাবে বিভিন্ন দেশ থেকে ১০ লাখ ৩০ হাজার টন চাল ও গম কেনা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে আরও খাদ্যশস্য কেনা হবে বলে জানান তিনি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত