নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে ২৭ নভেম্বর থেকে অনুষ্ঠেয় ৪৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা নির্বাচনের পরে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন পরীক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার পরীক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন ভবনে এসে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে এই দাবি জানান। সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ না হলেও তাঁরা এই দাবি জানিয়ে সিইসির পিএসের কাছে একটি চিঠি দিয়ে যান।
প্রায় ৫০ জন পরীক্ষার্থী তাঁদের দাবি নিয়ে আসেন নির্বাচন ভবনে, যাঁরা সবাই প্রিলিমিনারি উত্তীর্ণ বলে নিজেদের দাবি করেন। তাঁদের একজন এসএম হামিদুল্লাহ কায়সার সাংবাদিকদের বলেন, ‘যেহেতু রাজনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ, তাই আমরা পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানিয়েছি। এটা গণমাধ্যমে প্রচার হলে সাংবাদিকদের কাছে পিএসসি চেয়ারম্যান বলেছেন, নির্বাচন কমিশন থেকে যদি বলা হয়, তাহলে তাঁরা কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’
পরীক্ষা পেছানোর প্রয়োজন কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি একটু খারাপের দিকে যাচ্ছে। বিরোধী দলগুলোর হরতাল, অবরোধ যেভাবে চলছে, সেভাবে চলবে। সে ক্ষেত্রে ঢাকায় আমরা বেশির ভাগ পরীক্ষার্থী, এ জন্য আমরা শঙ্কায় আছি যে পরিস্থিতি কেমন হবে। যেহেতু আমাদের টানা পরীক্ষা, ১৫ দিন। এ জন্য আমাদের শঙ্কা যে সুস্থ, স্বাভাবিকভাবে পরীক্ষা শেষ করতে পারব কি না। ২৭ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরীক্ষা।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন কমিশনে আমরা আবেদন নিয়ে এসেছি। ১২ হাজার পরীক্ষার্থীর জরিপ নিয়ে এসেছি। এতে ৯৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানিয়েছেন।’
নির্বাচন হয়ে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তা কি আপনারা নিশ্চিত—এমন প্রশ্নের জবাবে এই পরীক্ষার্থী বলেন, ‘সেটা আমরা বলতে পারব না। তবে বর্তমানে যে পরিস্থিতি, এতে কমিশনই ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারে—তারা পরীক্ষা পরে নেবে নাকি এখন নেবে। নাকি শুক্র-শনিবার নেবে নাকি অন্য কোনো মাধ্যমে নেবে, নাকি আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতি আছে। কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু কমিশন যেন একটা প্রপার সিদ্ধান্ত নেয়। পরীক্ষা যদি ভোটের পরে হয় তাহলে সবচেয়ে ভালো হয়। এ ছাড়া অফ ডে’তে পরীক্ষা গ্রহণ বা পরিবহন ব্যবস্থা করার পদক্ষেপ তারা নিতে পারে। তাদের সিদ্ধান্ত যেন আমাদের ফেভারে হয়।’
এদিকে পরীক্ষার্থীরা সিইসিকে লেখা চিঠিতে বলেন, ‘একজন চাকরিপ্রার্থী ও ৪৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার্থী হিসেবে উক্ত সময়সূচি অনুযায়ী পরীক্ষা দিতে আমাদের কোনো আপত্তি ছিল না। তবে বর্তমানে বিরোধী দলগুলোর টানা হরতাল-অবরোধ চলছে। এ ছাড়া নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর চলমান হরতাল-অবরোধ আরও ব্যাপক ও ধ্বংসাত্মক আকার ধারণ করেছে।’
চিঠিতে আরও জানানো হয়, গত পরশু কুমিল্লায় ককটেল বোমার বিস্ফোরণে আহত হন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নানের (২নং সেক্টর, গেজেট নাহার; ৩৮২৪) ছেলে আকিব মাহমুদ (৪৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার্থী)। বিদ্যমান অরাজকতার শিকার হয়ে লিখিত পরীক্ষা থেকে ছিটকে গেছেন।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্য সেন হলের ছাত্র মঈনুল ইসলাম (যিনিও একজন লিখিত প্রার্থী) গত ১৮ নভেম্বর মারাত্মকভাবে আহত হন। দীর্ঘ ১৫ দিনের পরীক্ষায় এমন অপ্রীতিকর ও অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থার শিকার হতে পারেন অসংখ্য পরীক্ষার্থী।
তাই চিঠিতে তাঁরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে বিনীত আবেদন জানিয়ে আরও বলেন, যেন তাঁদের নিরাপত্তা ও শঙ্কার বিষয়গুলো মানবিক দৃষ্টিতে বিবেচনা করা হয়।
রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে ২৭ নভেম্বর থেকে অনুষ্ঠেয় ৪৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা নির্বাচনের পরে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন পরীক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার পরীক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন ভবনে এসে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে এই দাবি জানান। সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ না হলেও তাঁরা এই দাবি জানিয়ে সিইসির পিএসের কাছে একটি চিঠি দিয়ে যান।
প্রায় ৫০ জন পরীক্ষার্থী তাঁদের দাবি নিয়ে আসেন নির্বাচন ভবনে, যাঁরা সবাই প্রিলিমিনারি উত্তীর্ণ বলে নিজেদের দাবি করেন। তাঁদের একজন এসএম হামিদুল্লাহ কায়সার সাংবাদিকদের বলেন, ‘যেহেতু রাজনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ, তাই আমরা পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানিয়েছি। এটা গণমাধ্যমে প্রচার হলে সাংবাদিকদের কাছে পিএসসি চেয়ারম্যান বলেছেন, নির্বাচন কমিশন থেকে যদি বলা হয়, তাহলে তাঁরা কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’
পরীক্ষা পেছানোর প্রয়োজন কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি একটু খারাপের দিকে যাচ্ছে। বিরোধী দলগুলোর হরতাল, অবরোধ যেভাবে চলছে, সেভাবে চলবে। সে ক্ষেত্রে ঢাকায় আমরা বেশির ভাগ পরীক্ষার্থী, এ জন্য আমরা শঙ্কায় আছি যে পরিস্থিতি কেমন হবে। যেহেতু আমাদের টানা পরীক্ষা, ১৫ দিন। এ জন্য আমাদের শঙ্কা যে সুস্থ, স্বাভাবিকভাবে পরীক্ষা শেষ করতে পারব কি না। ২৭ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরীক্ষা।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন কমিশনে আমরা আবেদন নিয়ে এসেছি। ১২ হাজার পরীক্ষার্থীর জরিপ নিয়ে এসেছি। এতে ৯৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানিয়েছেন।’
নির্বাচন হয়ে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তা কি আপনারা নিশ্চিত—এমন প্রশ্নের জবাবে এই পরীক্ষার্থী বলেন, ‘সেটা আমরা বলতে পারব না। তবে বর্তমানে যে পরিস্থিতি, এতে কমিশনই ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারে—তারা পরীক্ষা পরে নেবে নাকি এখন নেবে। নাকি শুক্র-শনিবার নেবে নাকি অন্য কোনো মাধ্যমে নেবে, নাকি আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতি আছে। কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু কমিশন যেন একটা প্রপার সিদ্ধান্ত নেয়। পরীক্ষা যদি ভোটের পরে হয় তাহলে সবচেয়ে ভালো হয়। এ ছাড়া অফ ডে’তে পরীক্ষা গ্রহণ বা পরিবহন ব্যবস্থা করার পদক্ষেপ তারা নিতে পারে। তাদের সিদ্ধান্ত যেন আমাদের ফেভারে হয়।’
এদিকে পরীক্ষার্থীরা সিইসিকে লেখা চিঠিতে বলেন, ‘একজন চাকরিপ্রার্থী ও ৪৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার্থী হিসেবে উক্ত সময়সূচি অনুযায়ী পরীক্ষা দিতে আমাদের কোনো আপত্তি ছিল না। তবে বর্তমানে বিরোধী দলগুলোর টানা হরতাল-অবরোধ চলছে। এ ছাড়া নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর চলমান হরতাল-অবরোধ আরও ব্যাপক ও ধ্বংসাত্মক আকার ধারণ করেছে।’
চিঠিতে আরও জানানো হয়, গত পরশু কুমিল্লায় ককটেল বোমার বিস্ফোরণে আহত হন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নানের (২নং সেক্টর, গেজেট নাহার; ৩৮২৪) ছেলে আকিব মাহমুদ (৪৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার্থী)। বিদ্যমান অরাজকতার শিকার হয়ে লিখিত পরীক্ষা থেকে ছিটকে গেছেন।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্য সেন হলের ছাত্র মঈনুল ইসলাম (যিনিও একজন লিখিত প্রার্থী) গত ১৮ নভেম্বর মারাত্মকভাবে আহত হন। দীর্ঘ ১৫ দিনের পরীক্ষায় এমন অপ্রীতিকর ও অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থার শিকার হতে পারেন অসংখ্য পরীক্ষার্থী।
তাই চিঠিতে তাঁরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে বিনীত আবেদন জানিয়ে আরও বলেন, যেন তাঁদের নিরাপত্তা ও শঙ্কার বিষয়গুলো মানবিক দৃষ্টিতে বিবেচনা করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর। তিনি সমাজে বিদ্যমান শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সম্প্রীতি বিনষ্টের যেকোনো চেষ্টা রোধে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
১৩ মিনিট আগেবিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফুলের তোড়া পাঠিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে এসব কথা জানান।
৩ ঘণ্টা আগেএকজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওঠা নারী নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তে উচ্চপদস্থ বোর্ড গঠন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই কর্মকর্তার নারী নির্যাতন-সংক্রান্ত একটি অভিযোগ প্রচার হয়েছে। তবে বিষয়টি প্রচারিত হওয়ার আগেই সেনাবাহিনী জানতে পেরে গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত কার্যক্রম
৪ ঘণ্টা আগেআগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যাপক সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এক বছরেরও বেশি সময় আগে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশে সহিংস বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর এটিই হবে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে প্রথম নির্বাচন।
১০ ঘণ্টা আগে