
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর ক্ষুব্ধ জনতা প্রতিশোধমূলক হত্যাকাণ্ড এবং অন্যান্য গুরুতর সহিংস হামলায় লিপ্ত হয়। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, প্রকৃত বা ধারণাকৃত সমর্থক, পুলিশ ও আওয়ামীপন্থী হিসেবে বিবেচিত গণমাধ্যমকে লক্ষ্য করে এসব সহিংসতা চালানো হয়। এতে আওয়ামী লীগের ১৪৪ জন নেতা-কর্মী নিহত হয়েছেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের আমন্ত্রণে স্বাধীনভাবে তদন্ত পরিচালনার পর এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর)। গত জুলাই-আগস্ট মাস পর্যন্ত শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দ্বারা সংঘটিত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্বিচার গ্রেপ্তার, নির্যাতন এবং অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের মতো ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আগস্টের প্রথম সপ্তাহে আন্দোলনের মধ্যে কিছু সহিংস গোষ্ঠী প্রতিশোধমূলক হামলা শুরু করে। ১৯ জুলাই উত্তরায় গাজীপুরের সাবেক মেয়রকে গণপিটুনি দেওয়া হয় এবং তাঁর এক সহযোগীকে হত্যা করা হয়। বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানোর অভিযোগে এ ঘটনা ঘটে।
৪ আগস্ট থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ চরম আকার ধারণ করে। সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে আওয়ামী লীগের স্থানীয় কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সেখানে পাঁচজন আওয়ামী লীগ নেতা ও একজন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়। একই দিনে এনায়েতপুর স্টেশন আক্রমণের ঘটনায় ১৫ পুলিশ সদস্য নিহত হন।
গত ৫ আগস্ট ফেনীতে বিক্ষুব্ধ জনতা তিনটি থানায় অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায় এবং ১৬ জন পুলিশ কর্মকর্তার ওপর আক্রমণ করে। এর আগের দিন ৪ আগস্ট একই জেলায় ৩০০-৪০০ জন আগ্নেয়াস্ত্র ও অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থক ছাত্র-বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালায়। এতে ৮ জন বিক্ষোভকারী নিহত ও ৭৯ জন গুরুতর আহত হয়।
রংপুরে একজন আওয়ামী লীগ কাউন্সিলর ও তাঁর এক সহযোগীকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ রাস্তা দিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। নরসিংদীতে ৬ জন আওয়ামী লীগ কর্মীকে ধাওয়া করে হত্যা করা হয়, যারা বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালিয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করার পর দেশজুড়ে প্রতিশোধমূলক হামলা বেড়ে যায়। পুলিশের ৬৩৯টি স্টেশনের মধ্যে ৪৫০টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সাভার, সিলেট, যাত্রাবাড়ী, উত্তরা, আশুলিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে থানা আক্রমণের ঘটনা ঘটে। উত্তেজিত জনতা যাত্রাবাড়ী থানায় পেট্রলবোমা দিয়ে হামলা করে। এতে দুজন র্যাব কর্মকর্তাসহ চারজন আনসার ও পুলিশ সদস্য নিহত হন। উত্তরা থানায় চার পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয় এবং আশুলিয়ায় তিনজন পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা
৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ঘরবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও অফিস লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। ঢাকার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের একটি কার্যালয় আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। যাত্রাবাড়ীতে আওয়ামী লীগের কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। যশোরে একটি হোটেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়, যেখানে ২৪ জন নিহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া সাক্ষ্য অনুযায়ী, কিছু ক্ষেত্রে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সমর্থকেরাও এসব সহিংসতায় জড়িত ছিল। বিএনপি প্রকাশ্যে স্বীকার করেছে, তাদের কিছু স্থানীয় নেতা-কর্মী, বিশেষ করে ছাত্র ও যুব সংগঠনের সদস্যরা প্রতিশোধমূলক সহিংসতায় অংশ নিয়েছিল। ১০ আগস্ট বিএনপি সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৪৪ জন স্থানীয় নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করে।
১৪ আগস্ট বিএনপি-সমর্থিত ব্যক্তির নেতৃত্বে একটি কারখানায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে, যেখানে শ্রমিকদের মারধর করে অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।
এক ঘটনায় বিএনপির সমর্থকেরা এক সিনিয়র যুবলীগ নেতার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে তাঁর বাবা-মাকে জিম্মি করে। এরপর স্থানীয় এক বিএনপির নেতা মুক্তিপণ আদায় করেন। পরে বিএনপির কর্মীরা ওই নেতার ব্যবসা দখল করে নেয়। এ ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে গেলে ভুক্তভোগীর পরিবারের এক সদস্যকে আক্রমণ করা হয়।
যশোরে এক আওয়ামী লীগ নেতার মালিকানাধীন একটি হোটেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে প্রায় ২৪ জন নিহত হয়। এ ছাড়া বিরোধীদলীয় সমর্থকেরা শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে লুটপাট ও পেট্রলবোমা হামলার ঘটনাও ঘটে।
গণমাধ্যমের ওপর হামলা ও সাংবাদিক নির্যাতন
আওয়ামী লীগের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট ও সাবেক সরকারের সমর্থক হিসেবে বিবেচিত সাংবাদিক ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপরও চালানো হয়। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করার কিছুক্ষণ পর সংক্ষুব্ধ জনতা একাধিক টেলিভিশন চ্যানেলে হামলা চালিয়ে তা পুড়িয়ে দেয় বা ভাঙচুর করে।
৩ আগস্ট একাত্তর টিভিতে লাঠিসোঁটা ও পাথর হাতে সশস্ত্র একদল লোক হামলা চালায়, যারা অন্যান্য বিক্ষোভকারীর চেয়ে আলাদা ছিল। ৫ আগস্ট কয়েক শ লোক একাত্তর টিভিতে আবারও হামলা ও ভবনে ঢুকে লুটপাট-অগ্নিসংযোগ করে।
সময় টিভিও আক্রমণের শিকার হয়। স্থানীয় বাসিন্দা ও আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ে একদল লোক সেখানে হামলা চালিয়ে ভবনে আগুন দেয়। এটিএন নিউজ টিভিতে হামলাকারীরা দুই সাংবাদিক ও আরও দুই কর্মীর ওপর শারীরিকভাবে আক্রমণ করে, পাশাপাশি অফিস ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
৫ আগস্ট এটিএন বাংলা, ডিবিসি নিউজ, মাই টিভি, বিজয় টিভি ও গাজী টিভির দপ্তরেও হামলার ঘটনা ঘটে। ৭ আগস্ট প্রায় ২০০ জনের একটি দল আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিএনপির স্লোগান দিতে দিতে মোহনা টিভির ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে। তারা একজন সিনিয়র সাংবাদিককে মারধর করে এবং ভবন ধ্বংস বা আগুন না লাগানোর শর্তে চাঁদা আদায় করে।
একাধিক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হত্যা ও অন্যান্য সহিংস অপরাধের অভিযোগে মামলা দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগপন্থী হিসেবে পরিচিত কয়েকজন বিশিষ্ট সাংবাদিককে এসব মামলার ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে এই মামলাগুলো সাজানো বলে উদ্বেগ রয়েছে।
অক্টোবরে অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা পর্যবেক্ষণের জন্য একটি কমিটি গঠন করে। ২১ নভেম্বর এক গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা স্বীকার করেন, হত্যা মামলাগুলো ‘দ্রুতগতিতে, পুরোনো আইন ও প্রক্রিয়া অনুসরণ করে’ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের পাঠানো এক বিবৃতিতে জানানো হয়, আইনের আওতায় ভুক্তভোগীরাই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এবং এতে সরকারের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সরকার আরও জানায়, তদন্ত সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হবে এবং প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করা হবে।
৫ আগস্টের পর থেকে সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজের পর্যবেক্ষকদের মতে, উল্টো ধরনের ভয়ভীতি ছড়ানোর একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এখন গণমাধ্যমকর্মীরা আওয়ামী লীগের পক্ষে কোনো সংবাদ প্রকাশ করতে বা বিরোধী দলের সমালোচনা করতে সতর্কতা অবলম্বন করছে।
নারীদের ওপর সহিংসতা
আগস্ট মাসে চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ সদস্য এক নারীকে দুই ব্যক্তি আটকায়। বয়স ও পোশাক দেখে তাঁদের ছাত্রদের মতো মনে হয়নি। তাঁরা ওই নারীকে যৌন হয়রানিমূলক মন্তব্য করে, তাঁর পোশাক ধরে টান দেয়, গালে চড় মারে এবং বুকে ঘুষি মারে। কয়েক দিন পর ওই নারীর ওপর আরও ভয়াবহ হামলা হয়। একদল লোক তাঁকে ঘিরে ফেলে তাঁর পোশাক ছিঁড়ে ফেলে, শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং শেষ পর্যন্ত তাকে ধর্ষণ করে। শুধু তা-ই নয়, রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসাও দেওয়া হয়নি।
অন্য কয়েকটি ঘটনায় নারী আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ সমর্থকদের ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়। এসব সরাসরি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওএইচসিএইচআর মনে করে, বাস্তবে লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতার ঘটনা আরও বেশি ঘটেছে, তবে সবকিছু নথিভুক্ত করা সম্ভব হয়নি। আন্দোলনের পর অনেক নারীনেত্রী ও পরিচিত কর্মী হুমকির মুখে পড়েন এবং প্রতিশোধমূলক হামলার ভয়ে মুখ ও চুল ঢেকে রাখতে বাধ্য হন।
আওয়ামী লীগের তথ্য অনুসারে, ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত ১৪৪ জন নেতা-কর্মী নিহত হন। ৫ আগস্ট এক দিনেই ৬৮ জন নিহত হন। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ের মধ্যে ৪৪ পুলিশ সদস্য নিহত হন এবং ২ হাজার ৩০৮ জন আহত হন।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর ক্ষুব্ধ জনতা প্রতিশোধমূলক হত্যাকাণ্ড এবং অন্যান্য গুরুতর সহিংস হামলায় লিপ্ত হয়। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, প্রকৃত বা ধারণাকৃত সমর্থক, পুলিশ ও আওয়ামীপন্থী হিসেবে বিবেচিত গণমাধ্যমকে লক্ষ্য করে এসব সহিংসতা চালানো হয়। এতে আওয়ামী লীগের ১৪৪ জন নেতা-কর্মী নিহত হয়েছেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের আমন্ত্রণে স্বাধীনভাবে তদন্ত পরিচালনার পর এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর)। গত জুলাই-আগস্ট মাস পর্যন্ত শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দ্বারা সংঘটিত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্বিচার গ্রেপ্তার, নির্যাতন এবং অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের মতো ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আগস্টের প্রথম সপ্তাহে আন্দোলনের মধ্যে কিছু সহিংস গোষ্ঠী প্রতিশোধমূলক হামলা শুরু করে। ১৯ জুলাই উত্তরায় গাজীপুরের সাবেক মেয়রকে গণপিটুনি দেওয়া হয় এবং তাঁর এক সহযোগীকে হত্যা করা হয়। বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানোর অভিযোগে এ ঘটনা ঘটে।
৪ আগস্ট থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ চরম আকার ধারণ করে। সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে আওয়ামী লীগের স্থানীয় কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সেখানে পাঁচজন আওয়ামী লীগ নেতা ও একজন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়। একই দিনে এনায়েতপুর স্টেশন আক্রমণের ঘটনায় ১৫ পুলিশ সদস্য নিহত হন।
গত ৫ আগস্ট ফেনীতে বিক্ষুব্ধ জনতা তিনটি থানায় অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায় এবং ১৬ জন পুলিশ কর্মকর্তার ওপর আক্রমণ করে। এর আগের দিন ৪ আগস্ট একই জেলায় ৩০০-৪০০ জন আগ্নেয়াস্ত্র ও অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থক ছাত্র-বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালায়। এতে ৮ জন বিক্ষোভকারী নিহত ও ৭৯ জন গুরুতর আহত হয়।
রংপুরে একজন আওয়ামী লীগ কাউন্সিলর ও তাঁর এক সহযোগীকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ রাস্তা দিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। নরসিংদীতে ৬ জন আওয়ামী লীগ কর্মীকে ধাওয়া করে হত্যা করা হয়, যারা বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালিয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করার পর দেশজুড়ে প্রতিশোধমূলক হামলা বেড়ে যায়। পুলিশের ৬৩৯টি স্টেশনের মধ্যে ৪৫০টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সাভার, সিলেট, যাত্রাবাড়ী, উত্তরা, আশুলিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে থানা আক্রমণের ঘটনা ঘটে। উত্তেজিত জনতা যাত্রাবাড়ী থানায় পেট্রলবোমা দিয়ে হামলা করে। এতে দুজন র্যাব কর্মকর্তাসহ চারজন আনসার ও পুলিশ সদস্য নিহত হন। উত্তরা থানায় চার পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয় এবং আশুলিয়ায় তিনজন পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা
৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ঘরবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও অফিস লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। ঢাকার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের একটি কার্যালয় আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। যাত্রাবাড়ীতে আওয়ামী লীগের কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। যশোরে একটি হোটেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়, যেখানে ২৪ জন নিহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া সাক্ষ্য অনুযায়ী, কিছু ক্ষেত্রে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সমর্থকেরাও এসব সহিংসতায় জড়িত ছিল। বিএনপি প্রকাশ্যে স্বীকার করেছে, তাদের কিছু স্থানীয় নেতা-কর্মী, বিশেষ করে ছাত্র ও যুব সংগঠনের সদস্যরা প্রতিশোধমূলক সহিংসতায় অংশ নিয়েছিল। ১০ আগস্ট বিএনপি সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৪৪ জন স্থানীয় নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করে।
১৪ আগস্ট বিএনপি-সমর্থিত ব্যক্তির নেতৃত্বে একটি কারখানায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে, যেখানে শ্রমিকদের মারধর করে অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।
এক ঘটনায় বিএনপির সমর্থকেরা এক সিনিয়র যুবলীগ নেতার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে তাঁর বাবা-মাকে জিম্মি করে। এরপর স্থানীয় এক বিএনপির নেতা মুক্তিপণ আদায় করেন। পরে বিএনপির কর্মীরা ওই নেতার ব্যবসা দখল করে নেয়। এ ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে গেলে ভুক্তভোগীর পরিবারের এক সদস্যকে আক্রমণ করা হয়।
যশোরে এক আওয়ামী লীগ নেতার মালিকানাধীন একটি হোটেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে প্রায় ২৪ জন নিহত হয়। এ ছাড়া বিরোধীদলীয় সমর্থকেরা শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে লুটপাট ও পেট্রলবোমা হামলার ঘটনাও ঘটে।
গণমাধ্যমের ওপর হামলা ও সাংবাদিক নির্যাতন
আওয়ামী লীগের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট ও সাবেক সরকারের সমর্থক হিসেবে বিবেচিত সাংবাদিক ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপরও চালানো হয়। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করার কিছুক্ষণ পর সংক্ষুব্ধ জনতা একাধিক টেলিভিশন চ্যানেলে হামলা চালিয়ে তা পুড়িয়ে দেয় বা ভাঙচুর করে।
৩ আগস্ট একাত্তর টিভিতে লাঠিসোঁটা ও পাথর হাতে সশস্ত্র একদল লোক হামলা চালায়, যারা অন্যান্য বিক্ষোভকারীর চেয়ে আলাদা ছিল। ৫ আগস্ট কয়েক শ লোক একাত্তর টিভিতে আবারও হামলা ও ভবনে ঢুকে লুটপাট-অগ্নিসংযোগ করে।
সময় টিভিও আক্রমণের শিকার হয়। স্থানীয় বাসিন্দা ও আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ে একদল লোক সেখানে হামলা চালিয়ে ভবনে আগুন দেয়। এটিএন নিউজ টিভিতে হামলাকারীরা দুই সাংবাদিক ও আরও দুই কর্মীর ওপর শারীরিকভাবে আক্রমণ করে, পাশাপাশি অফিস ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
৫ আগস্ট এটিএন বাংলা, ডিবিসি নিউজ, মাই টিভি, বিজয় টিভি ও গাজী টিভির দপ্তরেও হামলার ঘটনা ঘটে। ৭ আগস্ট প্রায় ২০০ জনের একটি দল আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিএনপির স্লোগান দিতে দিতে মোহনা টিভির ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে। তারা একজন সিনিয়র সাংবাদিককে মারধর করে এবং ভবন ধ্বংস বা আগুন না লাগানোর শর্তে চাঁদা আদায় করে।
একাধিক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হত্যা ও অন্যান্য সহিংস অপরাধের অভিযোগে মামলা দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগপন্থী হিসেবে পরিচিত কয়েকজন বিশিষ্ট সাংবাদিককে এসব মামলার ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে এই মামলাগুলো সাজানো বলে উদ্বেগ রয়েছে।
অক্টোবরে অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা পর্যবেক্ষণের জন্য একটি কমিটি গঠন করে। ২১ নভেম্বর এক গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা স্বীকার করেন, হত্যা মামলাগুলো ‘দ্রুতগতিতে, পুরোনো আইন ও প্রক্রিয়া অনুসরণ করে’ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের পাঠানো এক বিবৃতিতে জানানো হয়, আইনের আওতায় ভুক্তভোগীরাই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এবং এতে সরকারের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সরকার আরও জানায়, তদন্ত সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হবে এবং প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করা হবে।
৫ আগস্টের পর থেকে সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজের পর্যবেক্ষকদের মতে, উল্টো ধরনের ভয়ভীতি ছড়ানোর একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এখন গণমাধ্যমকর্মীরা আওয়ামী লীগের পক্ষে কোনো সংবাদ প্রকাশ করতে বা বিরোধী দলের সমালোচনা করতে সতর্কতা অবলম্বন করছে।
নারীদের ওপর সহিংসতা
আগস্ট মাসে চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ সদস্য এক নারীকে দুই ব্যক্তি আটকায়। বয়স ও পোশাক দেখে তাঁদের ছাত্রদের মতো মনে হয়নি। তাঁরা ওই নারীকে যৌন হয়রানিমূলক মন্তব্য করে, তাঁর পোশাক ধরে টান দেয়, গালে চড় মারে এবং বুকে ঘুষি মারে। কয়েক দিন পর ওই নারীর ওপর আরও ভয়াবহ হামলা হয়। একদল লোক তাঁকে ঘিরে ফেলে তাঁর পোশাক ছিঁড়ে ফেলে, শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং শেষ পর্যন্ত তাকে ধর্ষণ করে। শুধু তা-ই নয়, রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসাও দেওয়া হয়নি।
অন্য কয়েকটি ঘটনায় নারী আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ সমর্থকদের ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়। এসব সরাসরি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওএইচসিএইচআর মনে করে, বাস্তবে লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতার ঘটনা আরও বেশি ঘটেছে, তবে সবকিছু নথিভুক্ত করা সম্ভব হয়নি। আন্দোলনের পর অনেক নারীনেত্রী ও পরিচিত কর্মী হুমকির মুখে পড়েন এবং প্রতিশোধমূলক হামলার ভয়ে মুখ ও চুল ঢেকে রাখতে বাধ্য হন।
আওয়ামী লীগের তথ্য অনুসারে, ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত ১৪৪ জন নেতা-কর্মী নিহত হন। ৫ আগস্ট এক দিনেই ৬৮ জন নিহত হন। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ের মধ্যে ৪৪ পুলিশ সদস্য নিহত হন এবং ২ হাজার ৩০৮ জন আহত হন।

দেশে বেজে উঠেছে নির্বাচনী সুর। রাজনৈতিক দলগুলো হঠাৎ নির্বাচনমুখী হয়ে উঠেছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি সারছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং গণভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতার মধ্যেও দেশজুড়ে এখন নির্বাচনী আমেজ।
১০ ঘণ্টা আগে
ফোনে কাউকে অশ্লীল, অশোভন বার্তা পাঠালে হতে পারে দুই বছরের কারাদণ্ড ও দেড় কোটি টাকা জরিমানা। আর কাউকে টেলিফোনে বিরক্ত করার সাজা হতে পারে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং তা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড। ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ায় এসব কথা বলা হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তাৎক্ষণিক তদন্তের কথা উল্লেখ করে বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—জনাব এরশাদ উল্লাহ এই হামলার টার্গেট ছিলেন না; বিক্ষিপ্তভাবে ছোড়া একটি গুলি তাঁর শরীরে এসে বিদ্ধ হয়। সরকার এই ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং গুলিতে আহত জনাব...
১২ ঘণ্টা আগে
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, দুর্ঘটনার মূল কারণ যেটা ছিল, সেটা হলো, পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির জন্য এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনিংয়ের সময় যখন ফ্লাই করছিলেন, পরিস্থিতি তাঁর আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
১৪ ঘণ্টা আগেরেজা করিম, ঢাকা

দেশে বেজে উঠেছে নির্বাচনী সুর। রাজনৈতিক দলগুলো হঠাৎ নির্বাচনমুখী হয়ে উঠেছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি সারছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং গণভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতার মধ্যেও দেশজুড়ে এখন নির্বাচনী আমেজ।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সূত্র বলছে, জুলাই জাতীয় সনদ, গণভোটসহ বিভিন্ন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগে পরিস্থিতি ক্রমেই ঘোলা হচ্ছিল। সংশয় ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয় নির্বাচন নিয়ে। এই অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা কয়েকটি দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেন। তাঁদের প্রচেষ্টাতেই দলগুলো মতবিরোধ পাশে রেখে নির্বাচনী তৎপরতা শুরু করেছে। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই সংসদ নির্বাচন।
বিএনপিসহ কয়েকটি দল ইতিমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকাও ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা করেছে। শিগগির তালিকা চূড়ান্ত করার ঘোষণা দিয়েছে। এ দুই দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা গণসংযোগও শুরু করেছেন। জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি) প্রাথমিকভাবে কয়েকজনের নাম বলেছে।
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলো আগে থেকে প্রার্থী বাছাই, দল গোছানোসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি শুরু করে। বিএনপি গত সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৩৭টিতে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে। দলটির নেতারা বলছেন, এটি সম্ভাব্য তালিকা। তফসিল ঘোষণার পর প্রয়োজনে এই তালিকায় অদলবদল হতে পারে। এর মধ্যে মাদারীপুর-১ আসনের প্রার্থীর নাম মঙ্গলবার স্থগিত করেছে দলটি।
বিএনপি প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর এনসিপিও প্রাথমিকভাবে কয়েকজন প্রার্থীর নাম বলেছে। দলটি ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার কথা জানিয়েছে। জামায়াতে ইসলামী শিগগির প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার ঘোষণা দিয়েছে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগবিহীন ভোটের মাঠে এই তিন দলের বাইরেও ৫০ আসনে একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে গণঅধিকার পরিষদ। ১৩৮ আসনে প্রার্থী দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চে থাকা ৬ দল। গণসংহতি আন্দোলন গতকাল বুধবার ৯১টি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। এবি পার্টি ১০৯, খেলাফত মজলিস ২৫৬, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ২৬৮ এবং ইসলামী আন্দোলন প্রায় ৩০০ আসনে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। এর বাইরেও অধিকাংশ দল সম্ভাব্য একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে। নির্বাচনমুখী এসব দলের প্রার্থী, নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের গণসংযোগে সাধারণ মানুষ পাচ্ছেন ভোটের আমেজ।
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে আর সংশয় নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। গতকাল চট্টগ্রাম নগরের মেহেদীবাগের বাসভবনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার মাধ্যমে দেশের মানুষ পুরোপুরি নির্বাচনী ট্রেনে উঠে গেছে। ফেব্রুয়ারিতে এই ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছাবে। এখানে আর কোনো সংশয় নেই।’
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘জুলাই সনদ নিয়ে আলোচনা করে সময় নষ্ট করার সুযোগ এখন আর নেই। অনেক আলোচনা হয়েছে, যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে, তার ওপর ভিত্তি করেই ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১৮ বছর পর জনগণ ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে উন্মুখ হয়ে আছে।’
নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবিতে এখনো অনড় থাকলেও পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি থেকে সরে এসেছে জামায়াতে ইসলামী। দলটি এখন ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানকেই যুক্তিযুক্ত মনে করছে। গতকাল সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্বাচন প্রসঙ্গে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেন, ‘সবাইকে নিয়েই আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আদায় করে ছাড়ব। এটা দেরি হলেই বিভিন্ন ধরনের আশঙ্কা ও বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা আছে।’ তিনি বলেন, ‘আমার দাবি বাস্তবায়ন হতে হবে এমনটি নয়। আমি বলব, আমার দাবিটাই মনে করি শ্রেষ্ঠ দাবি, জনগণ এইটা বিবেচনায় নেবে। আমরা যা করি, জনগণকে নিয়ে করব। জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছুই করব না।’
এনসিপিও নড়েচড়ে বসেছে। দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ১৫ নভেম্বরের মধ্যে দলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের ঘোষণা দিয়েছেন। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত গাজী সালাহউদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে গতকাল সাক্ষাৎ করেন তিনি। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমরা এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার লক্ষ্য আমাদের।’
ঘোষিত সময়ে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে নির্বাচন কমিশনও। কমিশন ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গেও বৈঠক করেছে। সম্প্রতি নির্বাচন ভবনে এক বৈঠক শেষে ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানান, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ সেনাসদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। একই সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন দেড় লাখ পুলিশ সদস্য। এ ছাড়া সারা দেশে দায়িত্ব পালন করবেন সাড়ে ৫ লাখ আনসার সদস্য।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের পক্ষে সেনাবাহিনীও। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাসদরের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং, সদর দপ্তর আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড (জিওসি আর্টডক) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাইনুর রহমান বলেন, ‘দেশের জনগণ যেমন চায়, সেনাবাহিনীও চায় সরকারঘোষিত রূপরেখা অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। নির্বাচন হলে দেশের স্থিতিশীলতা আরও ভালো হবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে বলে আশা করে সেনাবাহিনী।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেশের স্থিতিশীলতার জন্য রাজনৈতিক সরকারের বিকল্প নেই। এই অবস্থায় নির্বাচনের প্রশ্নে সবার এক জায়গায় আসাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন তাঁরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, একটি রাষ্ট্রের জন্য রাজনৈতিক ব্যবস্থায় যাওয়া খুব জরুরি। দায়বদ্ধতার জায়গা শক্তিশালী করতে হলে দরকার নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার। এই বিবেচনায় নির্বাচনেই স্বস্তি।

দেশে বেজে উঠেছে নির্বাচনী সুর। রাজনৈতিক দলগুলো হঠাৎ নির্বাচনমুখী হয়ে উঠেছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি সারছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং গণভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতার মধ্যেও দেশজুড়ে এখন নির্বাচনী আমেজ।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সূত্র বলছে, জুলাই জাতীয় সনদ, গণভোটসহ বিভিন্ন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগে পরিস্থিতি ক্রমেই ঘোলা হচ্ছিল। সংশয় ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয় নির্বাচন নিয়ে। এই অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা কয়েকটি দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেন। তাঁদের প্রচেষ্টাতেই দলগুলো মতবিরোধ পাশে রেখে নির্বাচনী তৎপরতা শুরু করেছে। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই সংসদ নির্বাচন।
বিএনপিসহ কয়েকটি দল ইতিমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকাও ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা করেছে। শিগগির তালিকা চূড়ান্ত করার ঘোষণা দিয়েছে। এ দুই দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা গণসংযোগও শুরু করেছেন। জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি) প্রাথমিকভাবে কয়েকজনের নাম বলেছে।
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলো আগে থেকে প্রার্থী বাছাই, দল গোছানোসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি শুরু করে। বিএনপি গত সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৩৭টিতে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে। দলটির নেতারা বলছেন, এটি সম্ভাব্য তালিকা। তফসিল ঘোষণার পর প্রয়োজনে এই তালিকায় অদলবদল হতে পারে। এর মধ্যে মাদারীপুর-১ আসনের প্রার্থীর নাম মঙ্গলবার স্থগিত করেছে দলটি।
বিএনপি প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর এনসিপিও প্রাথমিকভাবে কয়েকজন প্রার্থীর নাম বলেছে। দলটি ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার কথা জানিয়েছে। জামায়াতে ইসলামী শিগগির প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার ঘোষণা দিয়েছে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগবিহীন ভোটের মাঠে এই তিন দলের বাইরেও ৫০ আসনে একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে গণঅধিকার পরিষদ। ১৩৮ আসনে প্রার্থী দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চে থাকা ৬ দল। গণসংহতি আন্দোলন গতকাল বুধবার ৯১টি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। এবি পার্টি ১০৯, খেলাফত মজলিস ২৫৬, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ২৬৮ এবং ইসলামী আন্দোলন প্রায় ৩০০ আসনে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। এর বাইরেও অধিকাংশ দল সম্ভাব্য একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে। নির্বাচনমুখী এসব দলের প্রার্থী, নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের গণসংযোগে সাধারণ মানুষ পাচ্ছেন ভোটের আমেজ।
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে আর সংশয় নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। গতকাল চট্টগ্রাম নগরের মেহেদীবাগের বাসভবনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার মাধ্যমে দেশের মানুষ পুরোপুরি নির্বাচনী ট্রেনে উঠে গেছে। ফেব্রুয়ারিতে এই ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছাবে। এখানে আর কোনো সংশয় নেই।’
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘জুলাই সনদ নিয়ে আলোচনা করে সময় নষ্ট করার সুযোগ এখন আর নেই। অনেক আলোচনা হয়েছে, যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে, তার ওপর ভিত্তি করেই ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১৮ বছর পর জনগণ ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে উন্মুখ হয়ে আছে।’
নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবিতে এখনো অনড় থাকলেও পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি থেকে সরে এসেছে জামায়াতে ইসলামী। দলটি এখন ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানকেই যুক্তিযুক্ত মনে করছে। গতকাল সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্বাচন প্রসঙ্গে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেন, ‘সবাইকে নিয়েই আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আদায় করে ছাড়ব। এটা দেরি হলেই বিভিন্ন ধরনের আশঙ্কা ও বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা আছে।’ তিনি বলেন, ‘আমার দাবি বাস্তবায়ন হতে হবে এমনটি নয়। আমি বলব, আমার দাবিটাই মনে করি শ্রেষ্ঠ দাবি, জনগণ এইটা বিবেচনায় নেবে। আমরা যা করি, জনগণকে নিয়ে করব। জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছুই করব না।’
এনসিপিও নড়েচড়ে বসেছে। দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ১৫ নভেম্বরের মধ্যে দলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের ঘোষণা দিয়েছেন। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত গাজী সালাহউদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে গতকাল সাক্ষাৎ করেন তিনি। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমরা এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার লক্ষ্য আমাদের।’
ঘোষিত সময়ে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে নির্বাচন কমিশনও। কমিশন ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গেও বৈঠক করেছে। সম্প্রতি নির্বাচন ভবনে এক বৈঠক শেষে ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানান, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ সেনাসদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। একই সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন দেড় লাখ পুলিশ সদস্য। এ ছাড়া সারা দেশে দায়িত্ব পালন করবেন সাড়ে ৫ লাখ আনসার সদস্য।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের পক্ষে সেনাবাহিনীও। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাসদরের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং, সদর দপ্তর আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড (জিওসি আর্টডক) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাইনুর রহমান বলেন, ‘দেশের জনগণ যেমন চায়, সেনাবাহিনীও চায় সরকারঘোষিত রূপরেখা অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। নির্বাচন হলে দেশের স্থিতিশীলতা আরও ভালো হবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে বলে আশা করে সেনাবাহিনী।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেশের স্থিতিশীলতার জন্য রাজনৈতিক সরকারের বিকল্প নেই। এই অবস্থায় নির্বাচনের প্রশ্নে সবার এক জায়গায় আসাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন তাঁরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, একটি রাষ্ট্রের জন্য রাজনৈতিক ব্যবস্থায় যাওয়া খুব জরুরি। দায়বদ্ধতার জায়গা শক্তিশালী করতে হলে দরকার নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার। এই বিবেচনায় নির্বাচনেই স্বস্তি।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর ক্ষুব্ধ জনতা প্রতিশোধমূলক হত্যাকাণ্ড এবং অন্যান্য গুরুতর সহিংস হামলায় লিপ্ত হয়। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, প্রকৃত বা ধারণাকৃত সমর্থক, পুলিশ ও আওয়ামীপন্থী হিসেবে বিবেচিত গণমাধ্যমকে...
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ফোনে কাউকে অশ্লীল, অশোভন বার্তা পাঠালে হতে পারে দুই বছরের কারাদণ্ড ও দেড় কোটি টাকা জরিমানা। আর কাউকে টেলিফোনে বিরক্ত করার সাজা হতে পারে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং তা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড। ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ায় এসব কথা বলা হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তাৎক্ষণিক তদন্তের কথা উল্লেখ করে বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—জনাব এরশাদ উল্লাহ এই হামলার টার্গেট ছিলেন না; বিক্ষিপ্তভাবে ছোড়া একটি গুলি তাঁর শরীরে এসে বিদ্ধ হয়। সরকার এই ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং গুলিতে আহত জনাব...
১২ ঘণ্টা আগে
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, দুর্ঘটনার মূল কারণ যেটা ছিল, সেটা হলো, পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির জন্য এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনিংয়ের সময় যখন ফ্লাই করছিলেন, পরিস্থিতি তাঁর আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ফোনে কাউকে অশ্লীল, অশোভন বার্তা পাঠালে হতে পারে দুই বছরের কারাদণ্ড ও দেড় কোটি টাকা জরিমানা। আর কাউকে টেলিফোনে বিরক্ত করার সাজা হতে পারে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং তা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড। ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ায় এসব কথা বলা হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ গতকাল এই খসড়া প্রকাশ করেছে। সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও সাধারণ নাগরিকদের মতামত নেওয়ার জন্য খসড়াটি বিভাগের ওয়েবসাইটে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়ার ধারা ৭০-এ টেলিফোনে বিরক্ত করা সম্পর্কে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে যদি এমনভাবে বারবার ফোন করেন যে তা ওই ব্যক্তির জন্য বিরক্তিকর হয় বা অসুবিধার সৃষ্টি করে, তাহলে বিষয়টি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
অধ্যাদেশে অশ্লীল, অশোভন বার্তা পাঠালে হতে পারে দুই বছরের জেল, দেড় কোটি টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। ধারা ৬৯-এ বলা হয়েছে অশ্লীল, অশোভন ইত্যাদি বার্তা পাঠানোর অপরাধ ও এর সাজা বিষয়ে। এতে বলা হয়েছে, টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতির সাহায্যে কোনো অশ্লীল, ভীতি প্রদর্শনমূলক বা গুরুতরভাবে অপমানকর কোনো বার্তা, ছবি বা ছায়াছবি পাঠালে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট যন্ত্র পরিচালনাকারী ব্যক্তির কাছে এ কাজের প্রস্তাবকারী বা প্রেরণকারী কিংবা ক্ষেত্রমতো, উভয়েই অনধিক দুই বছর কারাদণ্ড বা অনধিক দেড় কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন। আইনের দফা (গ)-এর ক্ষেত্রে প্রেরণকারী অনধিক পাঁচ বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে এবং অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সাইবার সুরক্ষা আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা প্রযোজ্য হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
বেআইনিভাবে আড়ি পাতলে দুই বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক দেড় কোটি টাকা জরিমানা কিংবা উভয় সাজার বিধান রাখা হয়েছে।
অধ্যাদেশের খসড়া অনুযায়ী, ইন্টারনেটভিত্তিক সেবা—যেমন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, অনলাইন মেসেজিং ও ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপ—সবই সরকারের অনুমোদনের আওতায় আসবে। এসব সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে এখন থেকে বাংলাদেশে নিবন্ধন নিতে হবে এবং প্রয়োজনে নিরাপত্তা সংস্থাকে তথ্য সরবরাহ করতে হবে।
খসড়া অধ্যাদেশ অনুযায়ী, এই খাতে একটি স্বাধীন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কমিশন গঠন করা হবে, যা লাইসেন্স প্রদান, নীতিনির্ধারণ, স্পেকট্রাম বণ্টন ও প্রযুক্তিগত মান নিয়ন্ত্রণ করবে। কমিশন হবে পাঁচ সদস্যের, যার একজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যান থাকবেন।
খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, অনুমতিহীনভাবে টেলিযোগাযোগ সেবা পরিচালনা বা বিদেশি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করা হলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এ ছাড়া, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার স্বার্থে সরকার প্রয়োজনে যেকোনো প্ল্যাটফর্ম স্থগিত বা বন্ধ করতে পারবে।
অধ্যাদেশের খসড়ার বিষয়ে মতামত পাঠানো যাবে [email protected] ই-মেইল ঠিকানায় অথবা ডাকযোগে সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা ঠিকানায়। ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত মতামত দেওয়া যাবে।

ফোনে কাউকে অশ্লীল, অশোভন বার্তা পাঠালে হতে পারে দুই বছরের কারাদণ্ড ও দেড় কোটি টাকা জরিমানা। আর কাউকে টেলিফোনে বিরক্ত করার সাজা হতে পারে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং তা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড। ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ায় এসব কথা বলা হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ গতকাল এই খসড়া প্রকাশ করেছে। সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও সাধারণ নাগরিকদের মতামত নেওয়ার জন্য খসড়াটি বিভাগের ওয়েবসাইটে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়ার ধারা ৭০-এ টেলিফোনে বিরক্ত করা সম্পর্কে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে যদি এমনভাবে বারবার ফোন করেন যে তা ওই ব্যক্তির জন্য বিরক্তিকর হয় বা অসুবিধার সৃষ্টি করে, তাহলে বিষয়টি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
অধ্যাদেশে অশ্লীল, অশোভন বার্তা পাঠালে হতে পারে দুই বছরের জেল, দেড় কোটি টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। ধারা ৬৯-এ বলা হয়েছে অশ্লীল, অশোভন ইত্যাদি বার্তা পাঠানোর অপরাধ ও এর সাজা বিষয়ে। এতে বলা হয়েছে, টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতির সাহায্যে কোনো অশ্লীল, ভীতি প্রদর্শনমূলক বা গুরুতরভাবে অপমানকর কোনো বার্তা, ছবি বা ছায়াছবি পাঠালে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট যন্ত্র পরিচালনাকারী ব্যক্তির কাছে এ কাজের প্রস্তাবকারী বা প্রেরণকারী কিংবা ক্ষেত্রমতো, উভয়েই অনধিক দুই বছর কারাদণ্ড বা অনধিক দেড় কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন। আইনের দফা (গ)-এর ক্ষেত্রে প্রেরণকারী অনধিক পাঁচ বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে এবং অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সাইবার সুরক্ষা আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা প্রযোজ্য হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
বেআইনিভাবে আড়ি পাতলে দুই বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক দেড় কোটি টাকা জরিমানা কিংবা উভয় সাজার বিধান রাখা হয়েছে।
অধ্যাদেশের খসড়া অনুযায়ী, ইন্টারনেটভিত্তিক সেবা—যেমন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, অনলাইন মেসেজিং ও ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপ—সবই সরকারের অনুমোদনের আওতায় আসবে। এসব সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে এখন থেকে বাংলাদেশে নিবন্ধন নিতে হবে এবং প্রয়োজনে নিরাপত্তা সংস্থাকে তথ্য সরবরাহ করতে হবে।
খসড়া অধ্যাদেশ অনুযায়ী, এই খাতে একটি স্বাধীন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কমিশন গঠন করা হবে, যা লাইসেন্স প্রদান, নীতিনির্ধারণ, স্পেকট্রাম বণ্টন ও প্রযুক্তিগত মান নিয়ন্ত্রণ করবে। কমিশন হবে পাঁচ সদস্যের, যার একজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যান থাকবেন।
খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, অনুমতিহীনভাবে টেলিযোগাযোগ সেবা পরিচালনা বা বিদেশি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করা হলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এ ছাড়া, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার স্বার্থে সরকার প্রয়োজনে যেকোনো প্ল্যাটফর্ম স্থগিত বা বন্ধ করতে পারবে।
অধ্যাদেশের খসড়ার বিষয়ে মতামত পাঠানো যাবে [email protected] ই-মেইল ঠিকানায় অথবা ডাকযোগে সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা ঠিকানায়। ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত মতামত দেওয়া যাবে।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর ক্ষুব্ধ জনতা প্রতিশোধমূলক হত্যাকাণ্ড এবং অন্যান্য গুরুতর সহিংস হামলায় লিপ্ত হয়। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, প্রকৃত বা ধারণাকৃত সমর্থক, পুলিশ ও আওয়ামীপন্থী হিসেবে বিবেচিত গণমাধ্যমকে...
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
দেশে বেজে উঠেছে নির্বাচনী সুর। রাজনৈতিক দলগুলো হঠাৎ নির্বাচনমুখী হয়ে উঠেছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি সারছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং গণভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতার মধ্যেও দেশজুড়ে এখন নির্বাচনী আমেজ।
১০ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তাৎক্ষণিক তদন্তের কথা উল্লেখ করে বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—জনাব এরশাদ উল্লাহ এই হামলার টার্গেট ছিলেন না; বিক্ষিপ্তভাবে ছোড়া একটি গুলি তাঁর শরীরে এসে বিদ্ধ হয়। সরকার এই ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং গুলিতে আহত জনাব...
১২ ঘণ্টা আগে
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, দুর্ঘটনার মূল কারণ যেটা ছিল, সেটা হলো, পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির জন্য এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনিংয়ের সময় যখন ফ্লাই করছিলেন, পরিস্থিতি তাঁর আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চট্টগ্রাম-৮ আসনের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর নির্বাচনী প্রচারণা অনুষ্ঠানে সহিংস হামলার ঘটনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তাৎক্ষণিক তদন্তের কথা উল্লেখ করে বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—জনাব এরশাদ উল্লাহ এই হামলার টার্গেট ছিলেন না; বিক্ষিপ্তভাবে ছোড়া একটি গুলি তাঁর শরীরে এসে বিদ্ধ হয়। সরকার এই ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং গুলিতে আহত জনাব এরশাদ উল্লাহর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছে।
সরকার এই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী সকল প্রার্থী এবং নাগরিকের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে।
বিবৃতিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীদের শনাক্ত, গ্রেপ্তার এবং বিচারের আওতায় আনতে নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস নির্দেশ দিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আরও বলা হয়—‘আমাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনে সহিংসতা ও ভীতি প্রদর্শনের কোনো স্থান নেই। সিএমপি ইতিমধ্যেই হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে।’
বিবৃতিতে সকল রাজনৈতিক দল এবং তাদের সমর্থকদের শান্ত থাকার, সংযম প্রদর্শনের এবং ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচন যেন শান্তি, মর্যাদা ও ন্যায্যতার পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এ ছাড়া সারা দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য এবং উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে।

চট্টগ্রাম-৮ আসনের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর নির্বাচনী প্রচারণা অনুষ্ঠানে সহিংস হামলার ঘটনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তাৎক্ষণিক তদন্তের কথা উল্লেখ করে বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—জনাব এরশাদ উল্লাহ এই হামলার টার্গেট ছিলেন না; বিক্ষিপ্তভাবে ছোড়া একটি গুলি তাঁর শরীরে এসে বিদ্ধ হয়। সরকার এই ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং গুলিতে আহত জনাব এরশাদ উল্লাহর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছে।
সরকার এই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী সকল প্রার্থী এবং নাগরিকের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে।
বিবৃতিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীদের শনাক্ত, গ্রেপ্তার এবং বিচারের আওতায় আনতে নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস নির্দেশ দিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আরও বলা হয়—‘আমাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনে সহিংসতা ও ভীতি প্রদর্শনের কোনো স্থান নেই। সিএমপি ইতিমধ্যেই হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে।’
বিবৃতিতে সকল রাজনৈতিক দল এবং তাদের সমর্থকদের শান্ত থাকার, সংযম প্রদর্শনের এবং ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচন যেন শান্তি, মর্যাদা ও ন্যায্যতার পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এ ছাড়া সারা দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য এবং উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর ক্ষুব্ধ জনতা প্রতিশোধমূলক হত্যাকাণ্ড এবং অন্যান্য গুরুতর সহিংস হামলায় লিপ্ত হয়। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, প্রকৃত বা ধারণাকৃত সমর্থক, পুলিশ ও আওয়ামীপন্থী হিসেবে বিবেচিত গণমাধ্যমকে...
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
দেশে বেজে উঠেছে নির্বাচনী সুর। রাজনৈতিক দলগুলো হঠাৎ নির্বাচনমুখী হয়ে উঠেছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি সারছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং গণভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতার মধ্যেও দেশজুড়ে এখন নির্বাচনী আমেজ।
১০ ঘণ্টা আগে
ফোনে কাউকে অশ্লীল, অশোভন বার্তা পাঠালে হতে পারে দুই বছরের কারাদণ্ড ও দেড় কোটি টাকা জরিমানা। আর কাউকে টেলিফোনে বিরক্ত করার সাজা হতে পারে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং তা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড। ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ায় এসব কথা বলা হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, দুর্ঘটনার মূল কারণ যেটা ছিল, সেটা হলো, পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির জন্য এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনিংয়ের সময় যখন ফ্লাই করছিলেন, পরিস্থিতি তাঁর আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যে বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল, এর কারণ হিসেবে যুদ্ধবিমানের পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি চিহ্নিত হয়েছে তদন্তে।
ঘটনার তিন মাস পর আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত প্রতিবেদনের কিছু তথ্য ও সুপারিশ তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
প্রেস সচিব বলেন, ‘দুর্ঘটনার মূল কারণ ছিল, পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটি। ট্রেনিংয়ের সময় যখন ফ্লাই করছিলেন, পরিস্থিতি তাঁর আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। এটা হচ্ছে কনক্লুশন। এই পুরো তদন্ত কমিটি ১৫০ জনের সঙ্গে কথা বলেছে। তার মধ্যে এক্সপার্ট আছেন, আই উইটনেস আছেন, ভিকটিমস আছেন। সবার সঙ্গে তাঁরা কথা বলেছেন। উনারা ১৬৮টি তথ্য উদ্ঘাটন করেছেন এবং তার মধ্যে তাঁরা ৩৩টি রিকমেন্ডেশন করেছেন। প্রতিবেদনে অনেকগুলো ফাইন্ডিংসে অনেকগুলো রিকমেন্ডেশন এসেছে।’
প্রেস সচিব আরও বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে বিমানবন্দর ও আশপাশের ফায়ার স্টেশনগুলোর জন্য বিশেষ সরঞ্জাম ও ফোমের মতো উপকরণ থাকা নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়েছে। উড়োজাহাজের উড্ডয়ন ও অবতরণের পথে যে অংশ পড়ে (ফানেল), তার মধ্যে নির্মিত কাঠামোর উচ্চতার বিধিনিষেধ কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। এই ওঠানামার পথ বা ফানেলের আশপাশে আন্তর্জাতিক চর্চা অনুযায়ী হাসপাতাল, স্কুল বা বেশি জনসমাগম হয় এমন স্থাপনা নির্মাণের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে ৩৬ জন নিহত হয়, এর অধিকাংশই শিক্ষার্থী। বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামও নিহত হন।
এ ঘটনা নিয়ে ৯ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনকে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিত, কারণ, দায়দায়িত্ব ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং ঘটনাসংশ্লিষ্ট অপরাপর বিষয় চিহ্নিত করতে বলা হয়েছিল।

রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যে বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল, এর কারণ হিসেবে যুদ্ধবিমানের পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি চিহ্নিত হয়েছে তদন্তে।
ঘটনার তিন মাস পর আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত প্রতিবেদনের কিছু তথ্য ও সুপারিশ তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
প্রেস সচিব বলেন, ‘দুর্ঘটনার মূল কারণ ছিল, পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটি। ট্রেনিংয়ের সময় যখন ফ্লাই করছিলেন, পরিস্থিতি তাঁর আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। এটা হচ্ছে কনক্লুশন। এই পুরো তদন্ত কমিটি ১৫০ জনের সঙ্গে কথা বলেছে। তার মধ্যে এক্সপার্ট আছেন, আই উইটনেস আছেন, ভিকটিমস আছেন। সবার সঙ্গে তাঁরা কথা বলেছেন। উনারা ১৬৮টি তথ্য উদ্ঘাটন করেছেন এবং তার মধ্যে তাঁরা ৩৩টি রিকমেন্ডেশন করেছেন। প্রতিবেদনে অনেকগুলো ফাইন্ডিংসে অনেকগুলো রিকমেন্ডেশন এসেছে।’
প্রেস সচিব আরও বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে বিমানবন্দর ও আশপাশের ফায়ার স্টেশনগুলোর জন্য বিশেষ সরঞ্জাম ও ফোমের মতো উপকরণ থাকা নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়েছে। উড়োজাহাজের উড্ডয়ন ও অবতরণের পথে যে অংশ পড়ে (ফানেল), তার মধ্যে নির্মিত কাঠামোর উচ্চতার বিধিনিষেধ কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। এই ওঠানামার পথ বা ফানেলের আশপাশে আন্তর্জাতিক চর্চা অনুযায়ী হাসপাতাল, স্কুল বা বেশি জনসমাগম হয় এমন স্থাপনা নির্মাণের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে ৩৬ জন নিহত হয়, এর অধিকাংশই শিক্ষার্থী। বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামও নিহত হন।
এ ঘটনা নিয়ে ৯ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনকে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিত, কারণ, দায়দায়িত্ব ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং ঘটনাসংশ্লিষ্ট অপরাপর বিষয় চিহ্নিত করতে বলা হয়েছিল।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর ক্ষুব্ধ জনতা প্রতিশোধমূলক হত্যাকাণ্ড এবং অন্যান্য গুরুতর সহিংস হামলায় লিপ্ত হয়। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, প্রকৃত বা ধারণাকৃত সমর্থক, পুলিশ ও আওয়ামীপন্থী হিসেবে বিবেচিত গণমাধ্যমকে...
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
দেশে বেজে উঠেছে নির্বাচনী সুর। রাজনৈতিক দলগুলো হঠাৎ নির্বাচনমুখী হয়ে উঠেছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি সারছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং গণভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতার মধ্যেও দেশজুড়ে এখন নির্বাচনী আমেজ।
১০ ঘণ্টা আগে
ফোনে কাউকে অশ্লীল, অশোভন বার্তা পাঠালে হতে পারে দুই বছরের কারাদণ্ড ও দেড় কোটি টাকা জরিমানা। আর কাউকে টেলিফোনে বিরক্ত করার সাজা হতে পারে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং তা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড। ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ায় এসব কথা বলা হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তাৎক্ষণিক তদন্তের কথা উল্লেখ করে বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—জনাব এরশাদ উল্লাহ এই হামলার টার্গেট ছিলেন না; বিক্ষিপ্তভাবে ছোড়া একটি গুলি তাঁর শরীরে এসে বিদ্ধ হয়। সরকার এই ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং গুলিতে আহত জনাব...
১২ ঘণ্টা আগে