নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কোভিড–১৯–এর টিকা আমদানিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকসহ সংশ্লিষ্টরা রাষ্ট্রের ২২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
এমন একটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার দুদক মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন কমিশনের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, কমিশনে অভিযোগটি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের উপপরিচালক আফরোজা হক খানের নেতৃত্বে চার সদস্যদের একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে। টিমের অপর তিন সদস্য হলেন—দুদকের সহকারী পরিচালক বিলকিস আক্তার, দুই উপসহকারী পরিচালক মো. জুয়েল রানা ও কাজী হাফিজুর রহমান।
অভিযোগে বলা হয়, ২০২১ সালে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩ কোটি টিকা কেনার জন্য সে বছরের ডিসেম্বরে চুক্তি করে বাংলাদেশ। এতে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয় সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস।
টিকা কেনার ওই চুক্তি প্রক্রিয়া অস্বচ্ছ উল্লেখ করে দুদকে করা অভিযোগে বলা হয়, কোভিড–১৯ টিকা কেনার ক্ষেত্রে সরকারি ক্রয়বিধি অনুসরণ করা হয়নি। ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন সরকারদলীয় সংসদ সদস্য এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, যা আইনের লঙ্ঘন। নীতিমালা লঙ্ঘন করে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় টিকা আমদানি করা হয়েছে।
সরকার তৃতীয় পক্ষ হিসেবে বেক্সিমকো ফার্মাকে অন্তর্ভুক্ত করায় অন্যান্য দেশের চেয়ে বেশি দামে বাংলাদেশকে সেরামের টিকা কিনতে হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।
এতে বলা হয়, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ভারত থেকে আমদানি করা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রতিটি ডোজ থেকে অন্য সব খরচ মিটিয়ে ৭৭ টাকা করে লাভ করেছে। সরকার সরাসরি সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে টিকা আনলে প্রতি ডোজে যে টাকা বাঁচত তা দিয়ে আরও ৬৮ লাখ বেশি টিকা কেনার চুক্তি করা যেত।
এ ছাড়া সরকারিভাবে পরিচালিত একটি কোভিড পরীক্ষার জন্য ৩ হাজার টাকা খরচও অনেক বেশি উল্লেখ করে এতেও সীমাহীন দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
দুর্নীতির এই সিন্ডিকেটে অন্য সদস্যদের মধ্যে তৎকালীন স্বাস্থ্যসচিব লোকমান হোসেন, বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের (বিএমআরসি) চেয়ারম্যান মোদাচ্ছের আলী ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্যসচিব আহমদ কায়কাউসের নাম অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, টিকা আমদানি করে চক্রটি অন্তত ২২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছিলেন, কোভিড–১৯ টিকা ক্রয় এবং বিতরণে ৪০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই খরচ সর্বোচ্চ ১৮ হাজার কোটি টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়।
কোভিড–১৯–এর টিকা আমদানিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকসহ সংশ্লিষ্টরা রাষ্ট্রের ২২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
এমন একটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার দুদক মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন কমিশনের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, কমিশনে অভিযোগটি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের উপপরিচালক আফরোজা হক খানের নেতৃত্বে চার সদস্যদের একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে। টিমের অপর তিন সদস্য হলেন—দুদকের সহকারী পরিচালক বিলকিস আক্তার, দুই উপসহকারী পরিচালক মো. জুয়েল রানা ও কাজী হাফিজুর রহমান।
অভিযোগে বলা হয়, ২০২১ সালে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩ কোটি টিকা কেনার জন্য সে বছরের ডিসেম্বরে চুক্তি করে বাংলাদেশ। এতে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয় সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস।
টিকা কেনার ওই চুক্তি প্রক্রিয়া অস্বচ্ছ উল্লেখ করে দুদকে করা অভিযোগে বলা হয়, কোভিড–১৯ টিকা কেনার ক্ষেত্রে সরকারি ক্রয়বিধি অনুসরণ করা হয়নি। ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন সরকারদলীয় সংসদ সদস্য এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, যা আইনের লঙ্ঘন। নীতিমালা লঙ্ঘন করে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় টিকা আমদানি করা হয়েছে।
সরকার তৃতীয় পক্ষ হিসেবে বেক্সিমকো ফার্মাকে অন্তর্ভুক্ত করায় অন্যান্য দেশের চেয়ে বেশি দামে বাংলাদেশকে সেরামের টিকা কিনতে হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।
এতে বলা হয়, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ভারত থেকে আমদানি করা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রতিটি ডোজ থেকে অন্য সব খরচ মিটিয়ে ৭৭ টাকা করে লাভ করেছে। সরকার সরাসরি সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে টিকা আনলে প্রতি ডোজে যে টাকা বাঁচত তা দিয়ে আরও ৬৮ লাখ বেশি টিকা কেনার চুক্তি করা যেত।
এ ছাড়া সরকারিভাবে পরিচালিত একটি কোভিড পরীক্ষার জন্য ৩ হাজার টাকা খরচও অনেক বেশি উল্লেখ করে এতেও সীমাহীন দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
দুর্নীতির এই সিন্ডিকেটে অন্য সদস্যদের মধ্যে তৎকালীন স্বাস্থ্যসচিব লোকমান হোসেন, বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের (বিএমআরসি) চেয়ারম্যান মোদাচ্ছের আলী ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্যসচিব আহমদ কায়কাউসের নাম অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, টিকা আমদানি করে চক্রটি অন্তত ২২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছিলেন, কোভিড–১৯ টিকা ক্রয় এবং বিতরণে ৪০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই খরচ সর্বোচ্চ ১৮ হাজার কোটি টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়।
ইসরায়েলকে জবাবদিহির আওতায় আনতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন আজ শনিবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৫১তম সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে এই আহ্বান জানান।
৩ ঘণ্টা আগেচীনের কুনমিংয়ে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিনিয়োগ, অবকাঠামো, প্রযুক্তিসহ পাঁচটি ক্ষেত্রে সহযোগিতার কথা বলা হয়।
৩ ঘণ্টা আগেসৌদি আরবে এ বছর পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে আরও দুই বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৩৮ বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যুর খবর জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগেনৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, দেশের সমুদ্র ও নাব্য জলপথের উন্নয়নে আধুনিক হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ ও নটিক্যাল চার্ট প্রণয়ন নিশ্চিত করা হবে। আজ রাজধানীর বিজয় সরণির মিলিটারি মিউজিয়ামে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিআইডব্লিউটিএর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত...
৭ ঘণ্টা আগে