নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগ মনে করে যে, শুধুমাত্র শেখ মুজিবুর রহমানই বাংলাদেশের স্বাধীনতার একক কারিগর। তাই তাকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ক্ষমতায় এক ধরণের পারিবারিক উত্তরাধিকার হিসেবে চিত্রিত করে শেখ মুজিবের কন্যা হিসেবে শেখ হাসিনাকে ‘জাতির অভিভাবক’ রুপে উপস্থাপন করা হয়। শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যের নামে দেশের বিভিন্ন স্থাপনার নামকরণ করা হয়। শেখ পরিবারের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ আইন, শেখ পরিবারের বিভিন্ন ব্যক্তিগত ঘটনাকে জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। সংবিধান সংশোধন করে শেখ মুজিবুর রহমানের এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার নিজের ছবি সরকারিসহ সকল প্রতিষ্ঠানে প্রদর্শনপূর্বক ঝুলিয়ে রাখতে ব্যাধ্য করা হয়। সারাদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে অপব্যয় করে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল, মুর্তি এবং প্রতিকৃতি তৈরি করা হয়।
জুলাই-আগস্টে সারাদেশে চালানো গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানিতে মঙ্গলবার এসব কথা বলেন চিফ প্রসিকিউটর। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এই বিষয়ে শুনানি হয়। এদিন ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। বাকি দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। শুনানির সময় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তার পক্ষে ছিলেন ছিলেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ। পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, শেখ মুজিবকে দেবতাস্বরূপ পুজনীয়রুপে কোমলমতি শিশুদের সামনে উপস্থাপন করার উদ্দেশ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুজিবের জন্ম-মৃত্যু বার্ষিকীসহ বিভিন্ন দিবস পালনে বাধ্য করা, প্রতিষ্ঠানে প্রতিকৃতি ও ম্যুরালের নামে মূর্তি স্থাপন, স্কুলের অ্যাসেম্বিলিতে মুজিবের বন্দনা গাইতে শপথনামার পরিবর্তন, সকল অফিস আদালতে মুজিব কর্ণার স্থাপনে বাধ্য করা, শেখ মুজিব সংক্রান্ত বই সকল প্রতিষ্ঠানে রাখতে বাধ্য করা, সরকারি সকল নথি-চিঠির উপরে শেখ মুজিবের ছবি সম্বলিত লোগো স্থাপনে সরকারি আদেশ দ্বারা বাধ্য করা। শেখ পরিবারের সদস্যদের নামে শত শত প্রতিষ্ঠানসহ রাস্তাঘাট, ব্রিজ ও কালভার্টের নামকরণ, জন্ম-মৃত্যু দিবস পালনে বাধ্য করা, অংকন প্রতিযোগীতা ও ক্রীড়া প্রতিযোগীতার নামে জাতির সামনে পূজনীয় হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হয়। শেখ মুজিবরের মূর্তি স্থাপনসহ মুজিব বন্দনায় রাষ্ট্রের চার হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ হয়। সকল প্রিণ্য ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নিয়মিতভাবে মুজিব বন্দনা প্রকাশ ও সম্প্রচার করতে বাধ্য করা হয়।
তাজুল ইসলাম বলেন, তৎকালীন আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের বিভিন্ন বাহিনী ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের সশস্ত্র ক্যাডারদের আক্রমণে আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা গ্রহনে বাধা প্রদান করে। চিকিৎসা সহায়তা বাধাগ্রস্ত করার জন্য অ্যাম্বুলেন্স আটকে দেওয়া, হাসপাতাল এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভকারীদের তথ্য সংগ্রহ করা, রোগীদের চিকিৎসা না দিয়ে গ্রেপ্তার করা এবং চিকিৎসা প্রদানকারী কর্মীদের ভয় দেখানো হয়। ডিজিএফআই, এনএসআইসহ গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলো হাসপাতালগুলোতে অভিযান চালিয়ে মেডিক্যাল রেকর্ড জব্দ করে এবং চিকিৎসা প্রদানকারীদের মিথ্যা রিপোর্ট তৈরী করতে বা চিকিৎসা প্রদানে অস্বীকার করতে চাপ দেয়। চিকিৎসা সেবা ব্যাহত করার ফলে আহতদের জখম গুরুতর আকার ধারণ করে এবং অনেক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
চিফ প্রসিকিউটর ৫ আগস্টের কথা উল্লেখ করে বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি বিভীষিকাময় দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার পতনের দিনে যখন লাখো জনতা’ মার্চ টু ঢাকা’ আন্দোলনের মাধ্যমে রাস্তায় নেমে আসে, তখন সরকারের দমন পীড়নের নিষ্ঠুরতা পৌঁছায় চূড়ান্ত সীমায়। সকাল থেকেই সেনাবাহিনী জানত শেখ হাসিনার শাসনের অবসান ঘটেছে। কিন্তু হাসিনার অনুগত পুলিশ বাহিনীর কিছু সদস্যরা প্রাণপণে গণবিপ্লব রুখে দেওয়ার চেষ্টা করে। শহরের বিভিন্ন প্রবেশ পথে ও কেন্দ্রস্থলে পুলিশের আর্মড ইউনিট ও আনসার সদস্যরা ছাত্র ও সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে নির্বিচারে প্রাণঘাতী রাইফেল ও শটগানের গুলি ছোড়ে।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগ মনে করে যে, শুধুমাত্র শেখ মুজিবুর রহমানই বাংলাদেশের স্বাধীনতার একক কারিগর। তাই তাকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ক্ষমতায় এক ধরণের পারিবারিক উত্তরাধিকার হিসেবে চিত্রিত করে শেখ মুজিবের কন্যা হিসেবে শেখ হাসিনাকে ‘জাতির অভিভাবক’ রুপে উপস্থাপন করা হয়। শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যের নামে দেশের বিভিন্ন স্থাপনার নামকরণ করা হয়। শেখ পরিবারের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ আইন, শেখ পরিবারের বিভিন্ন ব্যক্তিগত ঘটনাকে জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। সংবিধান সংশোধন করে শেখ মুজিবুর রহমানের এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার নিজের ছবি সরকারিসহ সকল প্রতিষ্ঠানে প্রদর্শনপূর্বক ঝুলিয়ে রাখতে ব্যাধ্য করা হয়। সারাদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে অপব্যয় করে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল, মুর্তি এবং প্রতিকৃতি তৈরি করা হয়।
জুলাই-আগস্টে সারাদেশে চালানো গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানিতে মঙ্গলবার এসব কথা বলেন চিফ প্রসিকিউটর। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এই বিষয়ে শুনানি হয়। এদিন ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। বাকি দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। শুনানির সময় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তার পক্ষে ছিলেন ছিলেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ। পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, শেখ মুজিবকে দেবতাস্বরূপ পুজনীয়রুপে কোমলমতি শিশুদের সামনে উপস্থাপন করার উদ্দেশ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুজিবের জন্ম-মৃত্যু বার্ষিকীসহ বিভিন্ন দিবস পালনে বাধ্য করা, প্রতিষ্ঠানে প্রতিকৃতি ও ম্যুরালের নামে মূর্তি স্থাপন, স্কুলের অ্যাসেম্বিলিতে মুজিবের বন্দনা গাইতে শপথনামার পরিবর্তন, সকল অফিস আদালতে মুজিব কর্ণার স্থাপনে বাধ্য করা, শেখ মুজিব সংক্রান্ত বই সকল প্রতিষ্ঠানে রাখতে বাধ্য করা, সরকারি সকল নথি-চিঠির উপরে শেখ মুজিবের ছবি সম্বলিত লোগো স্থাপনে সরকারি আদেশ দ্বারা বাধ্য করা। শেখ পরিবারের সদস্যদের নামে শত শত প্রতিষ্ঠানসহ রাস্তাঘাট, ব্রিজ ও কালভার্টের নামকরণ, জন্ম-মৃত্যু দিবস পালনে বাধ্য করা, অংকন প্রতিযোগীতা ও ক্রীড়া প্রতিযোগীতার নামে জাতির সামনে পূজনীয় হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হয়। শেখ মুজিবরের মূর্তি স্থাপনসহ মুজিব বন্দনায় রাষ্ট্রের চার হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ হয়। সকল প্রিণ্য ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নিয়মিতভাবে মুজিব বন্দনা প্রকাশ ও সম্প্রচার করতে বাধ্য করা হয়।
তাজুল ইসলাম বলেন, তৎকালীন আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের বিভিন্ন বাহিনী ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের সশস্ত্র ক্যাডারদের আক্রমণে আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা গ্রহনে বাধা প্রদান করে। চিকিৎসা সহায়তা বাধাগ্রস্ত করার জন্য অ্যাম্বুলেন্স আটকে দেওয়া, হাসপাতাল এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভকারীদের তথ্য সংগ্রহ করা, রোগীদের চিকিৎসা না দিয়ে গ্রেপ্তার করা এবং চিকিৎসা প্রদানকারী কর্মীদের ভয় দেখানো হয়। ডিজিএফআই, এনএসআইসহ গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলো হাসপাতালগুলোতে অভিযান চালিয়ে মেডিক্যাল রেকর্ড জব্দ করে এবং চিকিৎসা প্রদানকারীদের মিথ্যা রিপোর্ট তৈরী করতে বা চিকিৎসা প্রদানে অস্বীকার করতে চাপ দেয়। চিকিৎসা সেবা ব্যাহত করার ফলে আহতদের জখম গুরুতর আকার ধারণ করে এবং অনেক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
চিফ প্রসিকিউটর ৫ আগস্টের কথা উল্লেখ করে বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি বিভীষিকাময় দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার পতনের দিনে যখন লাখো জনতা’ মার্চ টু ঢাকা’ আন্দোলনের মাধ্যমে রাস্তায় নেমে আসে, তখন সরকারের দমন পীড়নের নিষ্ঠুরতা পৌঁছায় চূড়ান্ত সীমায়। সকাল থেকেই সেনাবাহিনী জানত শেখ হাসিনার শাসনের অবসান ঘটেছে। কিন্তু হাসিনার অনুগত পুলিশ বাহিনীর কিছু সদস্যরা প্রাণপণে গণবিপ্লব রুখে দেওয়ার চেষ্টা করে। শহরের বিভিন্ন প্রবেশ পথে ও কেন্দ্রস্থলে পুলিশের আর্মড ইউনিট ও আনসার সদস্যরা ছাত্র ও সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে নির্বিচারে প্রাণঘাতী রাইফেল ও শটগানের গুলি ছোড়ে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীনে গঠিত আন্তমন্ত্রণালয় কমিটি গত ১১ ফেব্রুয়ারি ফ্লাইটের টিকিটের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা পর্যালোচনা করে। পরবর্তীকালে ২৫ মার্চ জমা দেওয়া প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলোর সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘প্রত্যাশা অনুযায়ী মিডিয়ার সংস্কার হয়নি। ডিজিএফআই আগে যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করত, এখনো সেই চর্চা রয়েছে। মিডিয়া রাজনৈতিক দলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমি দায়িত্বে থাকাকালে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন করেছিলাম।
২ ঘণ্টা আগেস্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘৫ আগস্টের আগে র্যাবের যে কর্মকাণ্ড, সেটি আর নেই। এখন সবাই ভালোভাবে কাজ করে যাচ্ছে। র্যাবের পারফরম্যান্স এখন অনেক ভালো। মাদক ও হাতিয়ার উদ্ধারের ক্ষেত্রে, সেই সঙ্গে দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান এখন প্রশংসার দাবিদার। তার জন্য আমি র্যাবের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’
২ ঘণ্টা আগেঅমর একুশে বইমেলা ২০২৬ শুরু হবে চলতি বছরের ১৭ ডিসেম্বর। আজ বৃহস্পতিবার বাংলা একাডেমিতে বইমেলার তারিখ নির্ধারণ-সংক্রান্ত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে