নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
করোনা মহামারির এই সময়ে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত-২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ আইন প্রয়োজন। এ জন্য তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে শক্তিশালী করতে এর ছয়টি ধারা সংশোধন করা জরুরি। গতকাল বুধবার ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টারস ফোরাম ও ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের সহযোগিতায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রিসার্চ কো–অর্ডিনেটর ডা. আহমদ খাইরুল আবরার। তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রায় পৌনে চার কোটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করে। কর্মক্ষেত্রসহ পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয় ৩ কোটি ৮৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। তামাকজাত দ্রব্যের বহুল ব্যবহার হৃদ্রোগ, ক্যানসার, বক্ষব্যাধি ছাড়াও অন্যান্য অনেক প্রতিরোধযোগ্য রোগ ও মৃত্যুর প্রধান কারণ।
সভায় আরও বলা হয়, দেশে প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। তা ছাড়া বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ধূমপায়ীদের মারাত্মকভাবে অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা ১৪ গুণ বেশি। তামাকের এসব ক্ষতি থেকে জনস্বাস্থ্যকে রক্ষার জন্য তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে শক্তিশালী করা প্রয়োজন বলে মত দেন বক্তারা।
ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের লিড পলিসি অ্যাডভাইজর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দেশে বিদ্যমান ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনটির বিভিন্ন দিক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এফসিটিসি’র সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, তারপরও কিছু জায়গায় দুর্বলতা রয়েছে। এই দুর্বলতাগুলো সংশোধন করা হলে, আইনটি আরও কার্যকর হবে।
সভায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনীর দাবি জানান বক্তারা। এগুলো হলো, করোনার এই সময়ে সব ধরনের পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহনকে শতভাগ তামাকমুক্ত করা, দোকানে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির সিএসআর নিষিদ্ধ করা, ই-সিগারেট আমদানি, উৎপাদন, বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা, তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে মুদ্রিত সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার বৃদ্ধি করা এবং তামাকদ্রব্যের খুচরা বিক্রি নিষিদ্ধ করা।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টারস ফোরামের সভাপতি তৌফিক মারুফ বলেন, জনস্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করছে হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম। এই ফোরামের সদস্যরা তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে নিয়মিত প্রতিবেদন করে থাকেন। তারা সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন বিষয়ে নীতিনির্ধারকদের সচেতন করবেন বলে জানান।
এ সময় হেলথ রিপোর্টারস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ রাব্বি বক্তব্য রাখেন। অন্যান্যের মধ্যে ফোরামের সদস্যরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের সিনিয়র পলিসি অ্যাডভাইজর আতাউর রহমান মাসুদ প্রমুখ।
করোনা মহামারির এই সময়ে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত-২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ আইন প্রয়োজন। এ জন্য তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে শক্তিশালী করতে এর ছয়টি ধারা সংশোধন করা জরুরি। গতকাল বুধবার ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টারস ফোরাম ও ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের সহযোগিতায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রিসার্চ কো–অর্ডিনেটর ডা. আহমদ খাইরুল আবরার। তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রায় পৌনে চার কোটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করে। কর্মক্ষেত্রসহ পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয় ৩ কোটি ৮৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। তামাকজাত দ্রব্যের বহুল ব্যবহার হৃদ্রোগ, ক্যানসার, বক্ষব্যাধি ছাড়াও অন্যান্য অনেক প্রতিরোধযোগ্য রোগ ও মৃত্যুর প্রধান কারণ।
সভায় আরও বলা হয়, দেশে প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। তা ছাড়া বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ধূমপায়ীদের মারাত্মকভাবে অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা ১৪ গুণ বেশি। তামাকের এসব ক্ষতি থেকে জনস্বাস্থ্যকে রক্ষার জন্য তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে শক্তিশালী করা প্রয়োজন বলে মত দেন বক্তারা।
ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের লিড পলিসি অ্যাডভাইজর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দেশে বিদ্যমান ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনটির বিভিন্ন দিক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এফসিটিসি’র সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, তারপরও কিছু জায়গায় দুর্বলতা রয়েছে। এই দুর্বলতাগুলো সংশোধন করা হলে, আইনটি আরও কার্যকর হবে।
সভায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনীর দাবি জানান বক্তারা। এগুলো হলো, করোনার এই সময়ে সব ধরনের পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহনকে শতভাগ তামাকমুক্ত করা, দোকানে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির সিএসআর নিষিদ্ধ করা, ই-সিগারেট আমদানি, উৎপাদন, বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা, তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে মুদ্রিত সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার বৃদ্ধি করা এবং তামাকদ্রব্যের খুচরা বিক্রি নিষিদ্ধ করা।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টারস ফোরামের সভাপতি তৌফিক মারুফ বলেন, জনস্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করছে হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম। এই ফোরামের সদস্যরা তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে নিয়মিত প্রতিবেদন করে থাকেন। তারা সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন বিষয়ে নীতিনির্ধারকদের সচেতন করবেন বলে জানান।
এ সময় হেলথ রিপোর্টারস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ রাব্বি বক্তব্য রাখেন। অন্যান্যের মধ্যে ফোরামের সদস্যরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের সিনিয়র পলিসি অ্যাডভাইজর আতাউর রহমান মাসুদ প্রমুখ।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যাপক সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এক বছরেরও বেশি সময় আগে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশে সহিংস বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর এটিই হবে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে প্রথম নির্বাচন।
৭ ঘণ্টা আগেশীতাতপনিয়ন্ত্রিত (এসি) বাস ও পণ্যবাহী যানবাহনের জন্য সরকার কোনো ভাড়া নির্ধারণ করেনি। এসব যানের ভাড়া ঠিক করছেন পরিবহনের মালিকেরা। দূরপাল্লার এসি বাসে ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায়ের অভিযোগ যাত্রীদের। পণ্যবাহী যানবাহনের ক্ষেত্রেও একই অভিযোগ। এ অবস্থায় এসি বাস ও পণ্যবাহী যানের ভাড়া নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে...
১৩ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে জাতীয় সনদকে বিশেষ মর্যাদা ও আইনি ভিত্তি দেওয়ার কথা আছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতামত গ্রহণ এবং কিছু শব্দ ও ভাষাগত সংযোজন-বিয়োজন শেষে দু-এক দিনের মধ্যে সনদের চূড়ান্ত...
১৪ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ জন উপদেষ্টা ও বিশেষ সহকারীর সহকারী একান্ত সচিবদের (এপিএস) বেতন একলাফে ৩১ হাজার টাকার বেশি বেড়েছে। এটিকে আর্থিক অনিয়ম হিসেবেই দেখছেন জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা।
১৫ ঘণ্টা আগে