Ajker Patrika

ফিরোজ রশীদের বিরুদ্ধে সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ, হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫: ৪৭
ফিরোজ রশীদের বিরুদ্ধে সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ, হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলা বাতিলের রায় প্রত্যাহার করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। ফিরোজ রশীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ আজ রোববার ছয় সপ্তাহের জন্য হাইকোর্টের প্রত্যাহার আদেশ স্থগিত করেন।

দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। কাজী ফিরোজ রশীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এম কে রহমান। ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক জুলফিকার আলী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। 

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ১৯৫১ সালে তৎকালীন কানাডার হাইকমিশনার মোহাম্মদ আলীর অনুকূলে এক বিঘা জমি বাড়িসহ বরাদ্দ দেয় সরকার, যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা। মোহাম্মদ আলী মারা যাওয়ার পর তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী বেগম আলিয়া মোহাম্মদ আলী, পুত্র সৈয়দ মাহমুদ আলী ও কন্যা সৈয়দা মাহমুদা আলীর নামে প্রথম স্ত্রী ও তার দুই পুত্র দলিল করে দেন, যার নামজারি হয় ১৯৭০ সালে।

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, ১৯৭৯ সালে কাজী ফিরোজ রশীদ বিক্রয় চুক্তির ভুয়া দলিলের মাধ্যমে ভুয়া দাতা বেগম আলেয়া মোহাম্মদ আলী ও আরিফুর রহমান নামের একজনকে সাক্ষী বানিয়ে ওই জমি নিজের নামে দলিল করে দখলে নেন। পরবর্তী সময়ে দুদক অনুসন্ধান শেষে ২০১৫ সালে মামলা করে। মামলায় কাজী ফিরোজ রশীদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪১৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮ ও ৪৭১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

দুদকের করা মামলার এখতিয়ার চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে কাজী ফিরোজ রশীদ আবেদন করলে আদালত রুল জারি করেন। পরবর্তী সময়ে ওই রুল গ্রহণ করে দুদকের মামলা এখতিয়ারবহির্ভূত ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। তবে রায়ের পর দুদক ওই মামলায় চার্জশিট দেয়। এতে দুদকের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করেন ফিরোজ রশীদ। অপরদিকে দুদক ওই রায় প্রত্যাহার চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে।

হাইকোর্ট দুদকের আবেদন শুনানি না করে প্রধান বিচারপতি বরাবর আবেদন করতে বলেন। এরপর দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতি রায় প্রদানকারী বেঞ্চে পাঠান। হাইকোর্টের ওই বেঞ্চ বিষয়টি শুনানি করে রায় প্রত্যাহার করেন। পরে হাইকোর্টের ওই প্রত্যাহারের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন কাজী ফিরোজ রশীদ। মোহাম্মদ আলীর জন্ম বগুড়া জেলায়। ১৯৫৩ থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৬৩ সালে বগুড়াতেই মারা যান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডাকসুতে শিবিরের জয়ে উদ্বেগ শশী থারুরের, জবাব দিলেন মেঘমল্লার

‘বেয়াদবি ছুটায় দেব’: সরি বলতে অসুবিধা নেই, বললেন সেই জামায়াত নেতা

স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির হোতা মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু গ্রেপ্তার

নতুন ট্রেন্ড ন্যানো ব্যানানা, নিজের থ্রিডি ফিগারিন বানাবেন যেভাবে

ইসরায়েলের হামলার কী জবাব হবে—আরব-ইসলামিক সম্মেলন ডাকল কাতার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত