শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস আজ
অর্চি হক, ঢাকা

‘আমাগো ঈদেও ছুটি নাই। এইখানে থাকি, এইখানেই ঘুমাই। বাড়ি গ্যালেই বেতন কাটা।’ বলছিল রাজধানীর দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার একটি শিশুপার্কের রাইড অপারেটর রাজু (ছদ্মনাম)। গত বছর ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত সে। লেখাপড়া ছেড়ে গত বছরই ঢাকায় এসে শিশুপার্কের কাজে যোগ দেয় রাজু। এরপর আর স্কুলে ফেরা হয়নি। এখন দিনরাত শিশুপার্কেই কাটে তার। যে বয়সে বাবা-মায়ের হাত ধরে তার শিশুপার্কে ঘুরে বেড়ানোর কথা, সে বয়সে শিশুদের জন্য রাইড চালিয়ে রোজগার করতে হয় তাকে।
বুধবার বিকেলে শিশুপার্কেই কথা হয় রাজুর সঙ্গে। সে জানায়, ছোট ছেলে-মেয়েরা যখন বাবা-মায়ের হাত ধরে পার্কে এসে নানা রকম বায়না ধরে, তখন তার খুব কষ্ট হয়। কারণ, এখানে তার বায়না ধরারও সুযোগ নেই। বাবা-মা আছেন; তাঁরা থাকেন ফরিদপুরের এক গ্রামে। বাবা কৃষিকাজ করেন। আরও তিনজন ভাই-বোন আছে রাজুর। তার বাবার একার পক্ষে সবার দেখভাল করা সম্ভব হয় না। তাই ছোটবেলা থেকে কাজে নামতে হয় তাদের।
রাজু আরও জানায়, সে এই পার্কে বাচ্চাদের ট্রেনের মেশিন অপারেটর। সকাল ১০টা থেকে ১২ ঘণ্টা করতে হয় এই কাজ। নেই কোনো সাপ্তাহিক ছুটি বা ঈদের ছুটি।
রাজুর স্বপ্ন, নানা রকম মেশিন চালানো শেষে একটু বড় হয়ে বিদেশে যাবে সে। রাজু বলে, ‘বিদ্যাশে গিয়া অনেক টাকা রোজগার করবো। যখন ছেলে-মেয়ে হবে, তাগো পড়াশোনা শিখতে দিবো, স্কুলে পাঠাবো। আমার মতো বয়সে কখনো বাইরে কাজে দেবো না।’
শুধু রাজু নয়, দেশের বহু শিশু স্কুল থেকে ঝরে পড়ে। পেটের তাগিদে কাজে যোগ দিতে বাধ্য হয়। গত বছরের মার্চে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ, ২০২২ অনুযায়ী, দেশে শ্রমে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা ৩৫ লাখ ৩৬ হাজার। তাদের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত আছে ১০ লাখ ৭০ হাজার শিশু। আর শিশু গৃহকর্মী ২০ লাখ ৯০ হাজার।
বিবিএসের জরিপ অনুযায়ী, শ্রমে নিয়োজিত ২০ লাখ ১০ হাজার শিশুই পারিশ্রমিক পায় না। আর যারা পারিশ্রমিক পায়, তাদের গড় আয় মাসে ৬ হাজার ৬৭৫ টাকা।
অনানুষ্ঠানিক খাত; যেমন গৃহকর্ম, ছোট কারখানায় নিয়োজিত শিশুদের পারিশ্রমিক দেওয়া হয় না। কারখানায় কাজ শেখানোর কথা বলে মাসের পর মাস শিশুকে বেতন-ভাতার বাইরে রাখা হয়।
শিশু অধিকারকর্মীরা জানান, খুব কম খরচে শিশুদের দিয়ে বেশি কাজ করিয়ে নেওয়া যায় বলে নিয়োগকর্তারা শিশুদের কাজে নেন। আর পরিবারগুলো কখনো দারিদ্র্যের কারণে, কখনো বাড়তি আয়ের আশায়, কখনো আবার নিরাপত্তাহীনতা কিংবা অসচেতনতার কারণে শিশুদের কাজে পাঠায় ৷
এমন প্রেক্ষাপটে আজ ১২ জুন বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য, ‘স্বপ্নের ডানায় ভর করি, শিশুশ্রমের শৃঙ্খল ছিঁড়ি—এগিয়ে চলি দৃপ্ত পায়ে, আশার আগুন বুকে জ্বালি।’
জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি, ২০১০ অনুযায়ী, ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে যারা সপ্তাহে ৪২ ঘণ্টা পর্যন্ত হালকা পরিশ্রম বা ঝুঁকিহীন কাজ করে, তাদের এই শ্রমকে অনুমোদনযোগ্য হিসেবে ধরা হয়। তবে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী কোনো শিশু যদি ঝুঁকিহীন কাজও করে, তবে সেটা শিশুশ্রম হবে। আর ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী কেউ যদি সপ্তাহে ৪২ ঘণ্টার বেশি কাজ করে, সেটি ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, শিশুশ্রম নিরসনে এক যুগে ৩৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে নানা প্রকল্প ও কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। কিন্তু শিশুশ্রম না কমে বরং বেড়েছে। জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ, ২০২২ অনুসারে, দেশে শ্রমে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা ৩৫ লাখ ৩৬ হাজার ৯২৭। এটা ২০১৩ সালের জরিপের তুলনায় প্রায় ৩ শতাংশ বেশি।
শিশুশ্রম নিরসনে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিশু অধিকারকর্মীরা। এ বিষয়ে বেসরকারি সংস্থা এডুকো বাংলাদেশের ব্যবস্থাপক (শিশুশ্রম নিরসন) আফজাল কবির খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিশুশ্রম নিরসনে যে পরিকল্পনা ও প্রকল্পগুলো নেওয়া হয়, তা বাস্তবায়নের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ থাকে না। যেটা বরাদ্দ থাকে, সেটাও সঠিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে কি না, তা তদারক করা হয় না।
আফজাল কবির জানান, শিশুশ্রম নিরসনে আইন প্রয়োগের দৃষ্টান্ত থাকা দরকার। যাঁরা প্রকৃতপক্ষেই দারিদ্র্যের কারণে সন্তানকে কাজে দিচ্ছেন, তাঁদের সন্তানকে স্কুলে ফিরিয়ে নিতে সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় আনা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে প্রয়োজন সচেতনতা বাড়ানো।
শিশুশ্রম নিরসনে সরকারি পদক্ষেপ সম্পর্কে শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুছ সামাদ আল আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিশুশ্রমের সঙ্গে অভিভাবকেরা জড়িত, দারিদ্র্য জড়িত, আরও বিভিন্ন বিষয় জড়িত। শিশুশ্রম নিরসনে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা, ২০২১-২০২৫ গ্রহণ করা হয়েছিল। সেখানে সব অংশীজনকে কার্যকরভাবে সম্পৃক্ত করা যায়নি। এই কর্মপরিকল্পনা ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাড়িয়ে সব অংশীজনকে যুক্ত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

‘আমাগো ঈদেও ছুটি নাই। এইখানে থাকি, এইখানেই ঘুমাই। বাড়ি গ্যালেই বেতন কাটা।’ বলছিল রাজধানীর দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার একটি শিশুপার্কের রাইড অপারেটর রাজু (ছদ্মনাম)। গত বছর ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত সে। লেখাপড়া ছেড়ে গত বছরই ঢাকায় এসে শিশুপার্কের কাজে যোগ দেয় রাজু। এরপর আর স্কুলে ফেরা হয়নি। এখন দিনরাত শিশুপার্কেই কাটে তার। যে বয়সে বাবা-মায়ের হাত ধরে তার শিশুপার্কে ঘুরে বেড়ানোর কথা, সে বয়সে শিশুদের জন্য রাইড চালিয়ে রোজগার করতে হয় তাকে।
বুধবার বিকেলে শিশুপার্কেই কথা হয় রাজুর সঙ্গে। সে জানায়, ছোট ছেলে-মেয়েরা যখন বাবা-মায়ের হাত ধরে পার্কে এসে নানা রকম বায়না ধরে, তখন তার খুব কষ্ট হয়। কারণ, এখানে তার বায়না ধরারও সুযোগ নেই। বাবা-মা আছেন; তাঁরা থাকেন ফরিদপুরের এক গ্রামে। বাবা কৃষিকাজ করেন। আরও তিনজন ভাই-বোন আছে রাজুর। তার বাবার একার পক্ষে সবার দেখভাল করা সম্ভব হয় না। তাই ছোটবেলা থেকে কাজে নামতে হয় তাদের।
রাজু আরও জানায়, সে এই পার্কে বাচ্চাদের ট্রেনের মেশিন অপারেটর। সকাল ১০টা থেকে ১২ ঘণ্টা করতে হয় এই কাজ। নেই কোনো সাপ্তাহিক ছুটি বা ঈদের ছুটি।
রাজুর স্বপ্ন, নানা রকম মেশিন চালানো শেষে একটু বড় হয়ে বিদেশে যাবে সে। রাজু বলে, ‘বিদ্যাশে গিয়া অনেক টাকা রোজগার করবো। যখন ছেলে-মেয়ে হবে, তাগো পড়াশোনা শিখতে দিবো, স্কুলে পাঠাবো। আমার মতো বয়সে কখনো বাইরে কাজে দেবো না।’
শুধু রাজু নয়, দেশের বহু শিশু স্কুল থেকে ঝরে পড়ে। পেটের তাগিদে কাজে যোগ দিতে বাধ্য হয়। গত বছরের মার্চে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ, ২০২২ অনুযায়ী, দেশে শ্রমে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা ৩৫ লাখ ৩৬ হাজার। তাদের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত আছে ১০ লাখ ৭০ হাজার শিশু। আর শিশু গৃহকর্মী ২০ লাখ ৯০ হাজার।
বিবিএসের জরিপ অনুযায়ী, শ্রমে নিয়োজিত ২০ লাখ ১০ হাজার শিশুই পারিশ্রমিক পায় না। আর যারা পারিশ্রমিক পায়, তাদের গড় আয় মাসে ৬ হাজার ৬৭৫ টাকা।
অনানুষ্ঠানিক খাত; যেমন গৃহকর্ম, ছোট কারখানায় নিয়োজিত শিশুদের পারিশ্রমিক দেওয়া হয় না। কারখানায় কাজ শেখানোর কথা বলে মাসের পর মাস শিশুকে বেতন-ভাতার বাইরে রাখা হয়।
শিশু অধিকারকর্মীরা জানান, খুব কম খরচে শিশুদের দিয়ে বেশি কাজ করিয়ে নেওয়া যায় বলে নিয়োগকর্তারা শিশুদের কাজে নেন। আর পরিবারগুলো কখনো দারিদ্র্যের কারণে, কখনো বাড়তি আয়ের আশায়, কখনো আবার নিরাপত্তাহীনতা কিংবা অসচেতনতার কারণে শিশুদের কাজে পাঠায় ৷
এমন প্রেক্ষাপটে আজ ১২ জুন বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য, ‘স্বপ্নের ডানায় ভর করি, শিশুশ্রমের শৃঙ্খল ছিঁড়ি—এগিয়ে চলি দৃপ্ত পায়ে, আশার আগুন বুকে জ্বালি।’
জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি, ২০১০ অনুযায়ী, ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে যারা সপ্তাহে ৪২ ঘণ্টা পর্যন্ত হালকা পরিশ্রম বা ঝুঁকিহীন কাজ করে, তাদের এই শ্রমকে অনুমোদনযোগ্য হিসেবে ধরা হয়। তবে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী কোনো শিশু যদি ঝুঁকিহীন কাজও করে, তবে সেটা শিশুশ্রম হবে। আর ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী কেউ যদি সপ্তাহে ৪২ ঘণ্টার বেশি কাজ করে, সেটি ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, শিশুশ্রম নিরসনে এক যুগে ৩৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে নানা প্রকল্প ও কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। কিন্তু শিশুশ্রম না কমে বরং বেড়েছে। জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ, ২০২২ অনুসারে, দেশে শ্রমে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা ৩৫ লাখ ৩৬ হাজার ৯২৭। এটা ২০১৩ সালের জরিপের তুলনায় প্রায় ৩ শতাংশ বেশি।
শিশুশ্রম নিরসনে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিশু অধিকারকর্মীরা। এ বিষয়ে বেসরকারি সংস্থা এডুকো বাংলাদেশের ব্যবস্থাপক (শিশুশ্রম নিরসন) আফজাল কবির খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিশুশ্রম নিরসনে যে পরিকল্পনা ও প্রকল্পগুলো নেওয়া হয়, তা বাস্তবায়নের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ থাকে না। যেটা বরাদ্দ থাকে, সেটাও সঠিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে কি না, তা তদারক করা হয় না।
আফজাল কবির জানান, শিশুশ্রম নিরসনে আইন প্রয়োগের দৃষ্টান্ত থাকা দরকার। যাঁরা প্রকৃতপক্ষেই দারিদ্র্যের কারণে সন্তানকে কাজে দিচ্ছেন, তাঁদের সন্তানকে স্কুলে ফিরিয়ে নিতে সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় আনা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে প্রয়োজন সচেতনতা বাড়ানো।
শিশুশ্রম নিরসনে সরকারি পদক্ষেপ সম্পর্কে শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুছ সামাদ আল আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিশুশ্রমের সঙ্গে অভিভাবকেরা জড়িত, দারিদ্র্য জড়িত, আরও বিভিন্ন বিষয় জড়িত। শিশুশ্রম নিরসনে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা, ২০২১-২০২৫ গ্রহণ করা হয়েছিল। সেখানে সব অংশীজনকে কার্যকরভাবে সম্পৃক্ত করা যায়নি। এই কর্মপরিকল্পনা ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাড়িয়ে সব অংশীজনকে যুক্ত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস আজ
অর্চি হক, ঢাকা

‘আমাগো ঈদেও ছুটি নাই। এইখানে থাকি, এইখানেই ঘুমাই। বাড়ি গ্যালেই বেতন কাটা।’ বলছিল রাজধানীর দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার একটি শিশুপার্কের রাইড অপারেটর রাজু (ছদ্মনাম)। গত বছর ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত সে। লেখাপড়া ছেড়ে গত বছরই ঢাকায় এসে শিশুপার্কের কাজে যোগ দেয় রাজু। এরপর আর স্কুলে ফেরা হয়নি। এখন দিনরাত শিশুপার্কেই কাটে তার। যে বয়সে বাবা-মায়ের হাত ধরে তার শিশুপার্কে ঘুরে বেড়ানোর কথা, সে বয়সে শিশুদের জন্য রাইড চালিয়ে রোজগার করতে হয় তাকে।
বুধবার বিকেলে শিশুপার্কেই কথা হয় রাজুর সঙ্গে। সে জানায়, ছোট ছেলে-মেয়েরা যখন বাবা-মায়ের হাত ধরে পার্কে এসে নানা রকম বায়না ধরে, তখন তার খুব কষ্ট হয়। কারণ, এখানে তার বায়না ধরারও সুযোগ নেই। বাবা-মা আছেন; তাঁরা থাকেন ফরিদপুরের এক গ্রামে। বাবা কৃষিকাজ করেন। আরও তিনজন ভাই-বোন আছে রাজুর। তার বাবার একার পক্ষে সবার দেখভাল করা সম্ভব হয় না। তাই ছোটবেলা থেকে কাজে নামতে হয় তাদের।
রাজু আরও জানায়, সে এই পার্কে বাচ্চাদের ট্রেনের মেশিন অপারেটর। সকাল ১০টা থেকে ১২ ঘণ্টা করতে হয় এই কাজ। নেই কোনো সাপ্তাহিক ছুটি বা ঈদের ছুটি।
রাজুর স্বপ্ন, নানা রকম মেশিন চালানো শেষে একটু বড় হয়ে বিদেশে যাবে সে। রাজু বলে, ‘বিদ্যাশে গিয়া অনেক টাকা রোজগার করবো। যখন ছেলে-মেয়ে হবে, তাগো পড়াশোনা শিখতে দিবো, স্কুলে পাঠাবো। আমার মতো বয়সে কখনো বাইরে কাজে দেবো না।’
শুধু রাজু নয়, দেশের বহু শিশু স্কুল থেকে ঝরে পড়ে। পেটের তাগিদে কাজে যোগ দিতে বাধ্য হয়। গত বছরের মার্চে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ, ২০২২ অনুযায়ী, দেশে শ্রমে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা ৩৫ লাখ ৩৬ হাজার। তাদের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত আছে ১০ লাখ ৭০ হাজার শিশু। আর শিশু গৃহকর্মী ২০ লাখ ৯০ হাজার।
বিবিএসের জরিপ অনুযায়ী, শ্রমে নিয়োজিত ২০ লাখ ১০ হাজার শিশুই পারিশ্রমিক পায় না। আর যারা পারিশ্রমিক পায়, তাদের গড় আয় মাসে ৬ হাজার ৬৭৫ টাকা।
অনানুষ্ঠানিক খাত; যেমন গৃহকর্ম, ছোট কারখানায় নিয়োজিত শিশুদের পারিশ্রমিক দেওয়া হয় না। কারখানায় কাজ শেখানোর কথা বলে মাসের পর মাস শিশুকে বেতন-ভাতার বাইরে রাখা হয়।
শিশু অধিকারকর্মীরা জানান, খুব কম খরচে শিশুদের দিয়ে বেশি কাজ করিয়ে নেওয়া যায় বলে নিয়োগকর্তারা শিশুদের কাজে নেন। আর পরিবারগুলো কখনো দারিদ্র্যের কারণে, কখনো বাড়তি আয়ের আশায়, কখনো আবার নিরাপত্তাহীনতা কিংবা অসচেতনতার কারণে শিশুদের কাজে পাঠায় ৷
এমন প্রেক্ষাপটে আজ ১২ জুন বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য, ‘স্বপ্নের ডানায় ভর করি, শিশুশ্রমের শৃঙ্খল ছিঁড়ি—এগিয়ে চলি দৃপ্ত পায়ে, আশার আগুন বুকে জ্বালি।’
জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি, ২০১০ অনুযায়ী, ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে যারা সপ্তাহে ৪২ ঘণ্টা পর্যন্ত হালকা পরিশ্রম বা ঝুঁকিহীন কাজ করে, তাদের এই শ্রমকে অনুমোদনযোগ্য হিসেবে ধরা হয়। তবে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী কোনো শিশু যদি ঝুঁকিহীন কাজও করে, তবে সেটা শিশুশ্রম হবে। আর ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী কেউ যদি সপ্তাহে ৪২ ঘণ্টার বেশি কাজ করে, সেটি ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, শিশুশ্রম নিরসনে এক যুগে ৩৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে নানা প্রকল্প ও কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। কিন্তু শিশুশ্রম না কমে বরং বেড়েছে। জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ, ২০২২ অনুসারে, দেশে শ্রমে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা ৩৫ লাখ ৩৬ হাজার ৯২৭। এটা ২০১৩ সালের জরিপের তুলনায় প্রায় ৩ শতাংশ বেশি।
শিশুশ্রম নিরসনে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিশু অধিকারকর্মীরা। এ বিষয়ে বেসরকারি সংস্থা এডুকো বাংলাদেশের ব্যবস্থাপক (শিশুশ্রম নিরসন) আফজাল কবির খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিশুশ্রম নিরসনে যে পরিকল্পনা ও প্রকল্পগুলো নেওয়া হয়, তা বাস্তবায়নের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ থাকে না। যেটা বরাদ্দ থাকে, সেটাও সঠিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে কি না, তা তদারক করা হয় না।
আফজাল কবির জানান, শিশুশ্রম নিরসনে আইন প্রয়োগের দৃষ্টান্ত থাকা দরকার। যাঁরা প্রকৃতপক্ষেই দারিদ্র্যের কারণে সন্তানকে কাজে দিচ্ছেন, তাঁদের সন্তানকে স্কুলে ফিরিয়ে নিতে সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় আনা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে প্রয়োজন সচেতনতা বাড়ানো।
শিশুশ্রম নিরসনে সরকারি পদক্ষেপ সম্পর্কে শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুছ সামাদ আল আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিশুশ্রমের সঙ্গে অভিভাবকেরা জড়িত, দারিদ্র্য জড়িত, আরও বিভিন্ন বিষয় জড়িত। শিশুশ্রম নিরসনে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা, ২০২১-২০২৫ গ্রহণ করা হয়েছিল। সেখানে সব অংশীজনকে কার্যকরভাবে সম্পৃক্ত করা যায়নি। এই কর্মপরিকল্পনা ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাড়িয়ে সব অংশীজনকে যুক্ত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

‘আমাগো ঈদেও ছুটি নাই। এইখানে থাকি, এইখানেই ঘুমাই। বাড়ি গ্যালেই বেতন কাটা।’ বলছিল রাজধানীর দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার একটি শিশুপার্কের রাইড অপারেটর রাজু (ছদ্মনাম)। গত বছর ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত সে। লেখাপড়া ছেড়ে গত বছরই ঢাকায় এসে শিশুপার্কের কাজে যোগ দেয় রাজু। এরপর আর স্কুলে ফেরা হয়নি। এখন দিনরাত শিশুপার্কেই কাটে তার। যে বয়সে বাবা-মায়ের হাত ধরে তার শিশুপার্কে ঘুরে বেড়ানোর কথা, সে বয়সে শিশুদের জন্য রাইড চালিয়ে রোজগার করতে হয় তাকে।
বুধবার বিকেলে শিশুপার্কেই কথা হয় রাজুর সঙ্গে। সে জানায়, ছোট ছেলে-মেয়েরা যখন বাবা-মায়ের হাত ধরে পার্কে এসে নানা রকম বায়না ধরে, তখন তার খুব কষ্ট হয়। কারণ, এখানে তার বায়না ধরারও সুযোগ নেই। বাবা-মা আছেন; তাঁরা থাকেন ফরিদপুরের এক গ্রামে। বাবা কৃষিকাজ করেন। আরও তিনজন ভাই-বোন আছে রাজুর। তার বাবার একার পক্ষে সবার দেখভাল করা সম্ভব হয় না। তাই ছোটবেলা থেকে কাজে নামতে হয় তাদের।
রাজু আরও জানায়, সে এই পার্কে বাচ্চাদের ট্রেনের মেশিন অপারেটর। সকাল ১০টা থেকে ১২ ঘণ্টা করতে হয় এই কাজ। নেই কোনো সাপ্তাহিক ছুটি বা ঈদের ছুটি।
রাজুর স্বপ্ন, নানা রকম মেশিন চালানো শেষে একটু বড় হয়ে বিদেশে যাবে সে। রাজু বলে, ‘বিদ্যাশে গিয়া অনেক টাকা রোজগার করবো। যখন ছেলে-মেয়ে হবে, তাগো পড়াশোনা শিখতে দিবো, স্কুলে পাঠাবো। আমার মতো বয়সে কখনো বাইরে কাজে দেবো না।’
শুধু রাজু নয়, দেশের বহু শিশু স্কুল থেকে ঝরে পড়ে। পেটের তাগিদে কাজে যোগ দিতে বাধ্য হয়। গত বছরের মার্চে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ, ২০২২ অনুযায়ী, দেশে শ্রমে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা ৩৫ লাখ ৩৬ হাজার। তাদের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত আছে ১০ লাখ ৭০ হাজার শিশু। আর শিশু গৃহকর্মী ২০ লাখ ৯০ হাজার।
বিবিএসের জরিপ অনুযায়ী, শ্রমে নিয়োজিত ২০ লাখ ১০ হাজার শিশুই পারিশ্রমিক পায় না। আর যারা পারিশ্রমিক পায়, তাদের গড় আয় মাসে ৬ হাজার ৬৭৫ টাকা।
অনানুষ্ঠানিক খাত; যেমন গৃহকর্ম, ছোট কারখানায় নিয়োজিত শিশুদের পারিশ্রমিক দেওয়া হয় না। কারখানায় কাজ শেখানোর কথা বলে মাসের পর মাস শিশুকে বেতন-ভাতার বাইরে রাখা হয়।
শিশু অধিকারকর্মীরা জানান, খুব কম খরচে শিশুদের দিয়ে বেশি কাজ করিয়ে নেওয়া যায় বলে নিয়োগকর্তারা শিশুদের কাজে নেন। আর পরিবারগুলো কখনো দারিদ্র্যের কারণে, কখনো বাড়তি আয়ের আশায়, কখনো আবার নিরাপত্তাহীনতা কিংবা অসচেতনতার কারণে শিশুদের কাজে পাঠায় ৷
এমন প্রেক্ষাপটে আজ ১২ জুন বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য, ‘স্বপ্নের ডানায় ভর করি, শিশুশ্রমের শৃঙ্খল ছিঁড়ি—এগিয়ে চলি দৃপ্ত পায়ে, আশার আগুন বুকে জ্বালি।’
জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি, ২০১০ অনুযায়ী, ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে যারা সপ্তাহে ৪২ ঘণ্টা পর্যন্ত হালকা পরিশ্রম বা ঝুঁকিহীন কাজ করে, তাদের এই শ্রমকে অনুমোদনযোগ্য হিসেবে ধরা হয়। তবে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী কোনো শিশু যদি ঝুঁকিহীন কাজও করে, তবে সেটা শিশুশ্রম হবে। আর ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী কেউ যদি সপ্তাহে ৪২ ঘণ্টার বেশি কাজ করে, সেটি ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, শিশুশ্রম নিরসনে এক যুগে ৩৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে নানা প্রকল্প ও কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। কিন্তু শিশুশ্রম না কমে বরং বেড়েছে। জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ, ২০২২ অনুসারে, দেশে শ্রমে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা ৩৫ লাখ ৩৬ হাজার ৯২৭। এটা ২০১৩ সালের জরিপের তুলনায় প্রায় ৩ শতাংশ বেশি।
শিশুশ্রম নিরসনে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিশু অধিকারকর্মীরা। এ বিষয়ে বেসরকারি সংস্থা এডুকো বাংলাদেশের ব্যবস্থাপক (শিশুশ্রম নিরসন) আফজাল কবির খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিশুশ্রম নিরসনে যে পরিকল্পনা ও প্রকল্পগুলো নেওয়া হয়, তা বাস্তবায়নের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ থাকে না। যেটা বরাদ্দ থাকে, সেটাও সঠিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে কি না, তা তদারক করা হয় না।
আফজাল কবির জানান, শিশুশ্রম নিরসনে আইন প্রয়োগের দৃষ্টান্ত থাকা দরকার। যাঁরা প্রকৃতপক্ষেই দারিদ্র্যের কারণে সন্তানকে কাজে দিচ্ছেন, তাঁদের সন্তানকে স্কুলে ফিরিয়ে নিতে সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় আনা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে প্রয়োজন সচেতনতা বাড়ানো।
শিশুশ্রম নিরসনে সরকারি পদক্ষেপ সম্পর্কে শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুছ সামাদ আল আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিশুশ্রমের সঙ্গে অভিভাবকেরা জড়িত, দারিদ্র্য জড়িত, আরও বিভিন্ন বিষয় জড়িত। শিশুশ্রম নিরসনে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা, ২০২১-২০২৫ গ্রহণ করা হয়েছিল। সেখানে সব অংশীজনকে কার্যকরভাবে সম্পৃক্ত করা যায়নি। এই কর্মপরিকল্পনা ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাড়িয়ে সব অংশীজনকে যুক্ত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বাগেরহাটে চারটি এবং গাজীপুরে পাঁচটি সংসদীয় আসনই থাকবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি আসন করে নির্বাচন কমিশনের গেজেট অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন
১৩ মিনিট আগে
সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এই নির্দেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশ দেন।
১ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলার বিচারকাজ জানুয়ারির মধ্যে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।
৩ ঘণ্টা আগে
২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। গতকাল রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। নতুন বছরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব মিলিয়ে মোট ২৮ দিন ছুটি ভোগ করার সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে নয় দিন সাপ্তাহিক ছুটির (শুক্র ও শনিবার) সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাগেরহাটে চারটি এবং গাজীপুরে পাঁচটি সংসদীয় আসনই থাকবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি আসন করে নির্বাচন কমিশনের গেজেট অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
আজ সোমবার বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন প্রাথমিকভাবে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। পরে নির্বাচন কমিশন গত ৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। এতে চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে বাগেরহাটকে তিন আসনে ভাগ করা হয়।
এদিকে বাগেরহাটে আসন কমানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করলে গত ১৬ সেপ্টেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ওই রুল নিষ্পত্তি করে সোমবার রায় দেন আদালত।
রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাসান।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রুল যথাযথ ঘোষণা করে ইসির নতুন গেজেট অবৈধ ঘোষণা করেছেন। এতে বাগেরহাটে চারটি আসন বহাল থাকল। আর গাজীপুরের পাঁচটি সংসদীয় আসন বহাল থাকছে।

বাগেরহাটে চারটি এবং গাজীপুরে পাঁচটি সংসদীয় আসনই থাকবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি আসন করে নির্বাচন কমিশনের গেজেট অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
আজ সোমবার বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন প্রাথমিকভাবে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। পরে নির্বাচন কমিশন গত ৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। এতে চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে বাগেরহাটকে তিন আসনে ভাগ করা হয়।
এদিকে বাগেরহাটে আসন কমানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করলে গত ১৬ সেপ্টেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ওই রুল নিষ্পত্তি করে সোমবার রায় দেন আদালত।
রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাসান।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রুল যথাযথ ঘোষণা করে ইসির নতুন গেজেট অবৈধ ঘোষণা করেছেন। এতে বাগেরহাটে চারটি আসন বহাল থাকল। আর গাজীপুরের পাঁচটি সংসদীয় আসন বহাল থাকছে।

‘আমাগো ঈদেও ছুটি নাই। এইখানে থাকি, এইখানেই ঘুমাই। বাড়ি গ্যালেই বেতন কাটা।’ বলছিল রাজধানীর দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার একটি শিশুপার্কের রাইড অপারেটর রাজু (ছদ্মনাম)। গত বছর ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত সে। লেখাপড়া ছেড়ে গত বছরই ঢাকায় এসে শিশুপার্কের কাজে যোগ দেয় রাজু। এরপর আর স্কুলে ফেরা হয়নি। এখন দিনরাত...
১২ জুন ২০২৫
সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এই নির্দেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশ দেন।
১ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলার বিচারকাজ জানুয়ারির মধ্যে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।
৩ ঘণ্টা আগে
২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। গতকাল রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। নতুন বছরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব মিলিয়ে মোট ২৮ দিন ছুটি ভোগ করার সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে নয় দিন সাপ্তাহিক ছুটির (শুক্র ও শনিবার) সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা ও ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানের ১২টি ব্যাংকে থাকা ২ কোটি ৯২ লাখ ৪১ হাজার ৯২৬ টাকা অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এই নির্দেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক এ কে এম মর্তুজা আলী সাগর এসব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, সাদেক খানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ভূমি দস্যুতাসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে ৭ কোটি ৩০ লাখ ২০ হাজার ৬৬৪ টাকার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করে নিজ দখলে রেখেছেন। এ ছাড়া সংসদ সদস্য থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধমূলক অসদাচরণের মাধ্যমে নিজ ও তাঁর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে ২৯টি ব্যাংক হিসাবে ৪৬৬ কোটি ৪৭ লাখ ৬২ হাজার ১৯০ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করেছিলেন। অনুসন্ধান করে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় দুদক ইতিমধ্যে মামলা করেছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন। তদন্তে সাদেক খানের নামে এসব অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে।
দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, তদন্তকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, সাদেক খানের নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর/স্থানান্তর বা অন্য কোনো পন্থায় মালিকানা পরিবর্তন/হস্তান্তর করে বাংলাদেশের বাইরে গিয়ে আত্মগোপনের সম্ভাবনা রয়েছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে সাদেক খানের অর্জিত এসব অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা ও ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানের ১২টি ব্যাংকে থাকা ২ কোটি ৯২ লাখ ৪১ হাজার ৯২৬ টাকা অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এই নির্দেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক এ কে এম মর্তুজা আলী সাগর এসব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, সাদেক খানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ভূমি দস্যুতাসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে ৭ কোটি ৩০ লাখ ২০ হাজার ৬৬৪ টাকার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করে নিজ দখলে রেখেছেন। এ ছাড়া সংসদ সদস্য থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধমূলক অসদাচরণের মাধ্যমে নিজ ও তাঁর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে ২৯টি ব্যাংক হিসাবে ৪৬৬ কোটি ৪৭ লাখ ৬২ হাজার ১৯০ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করেছিলেন। অনুসন্ধান করে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় দুদক ইতিমধ্যে মামলা করেছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন। তদন্তে সাদেক খানের নামে এসব অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে।
দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, তদন্তকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, সাদেক খানের নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর/স্থানান্তর বা অন্য কোনো পন্থায় মালিকানা পরিবর্তন/হস্তান্তর করে বাংলাদেশের বাইরে গিয়ে আত্মগোপনের সম্ভাবনা রয়েছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে সাদেক খানের অর্জিত এসব অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।

‘আমাগো ঈদেও ছুটি নাই। এইখানে থাকি, এইখানেই ঘুমাই। বাড়ি গ্যালেই বেতন কাটা।’ বলছিল রাজধানীর দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার একটি শিশুপার্কের রাইড অপারেটর রাজু (ছদ্মনাম)। গত বছর ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত সে। লেখাপড়া ছেড়ে গত বছরই ঢাকায় এসে শিশুপার্কের কাজে যোগ দেয় রাজু। এরপর আর স্কুলে ফেরা হয়নি। এখন দিনরাত...
১২ জুন ২০২৫
বাগেরহাটে চারটি এবং গাজীপুরে পাঁচটি সংসদীয় আসনই থাকবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি আসন করে নির্বাচন কমিশনের গেজেট অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন
১৩ মিনিট আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলার বিচারকাজ জানুয়ারির মধ্যে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।
৩ ঘণ্টা আগে
২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। গতকাল রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। নতুন বছরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব মিলিয়ে মোট ২৮ দিন ছুটি ভোগ করার সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে নয় দিন সাপ্তাহিক ছুটির (শুক্র ও শনিবার) সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলার বিচারকাজ জানুয়ারির মধ্যে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।
আজ সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আবু সাইদ হত্যা মামলার ১২ তম সাক্ষীর জবানবন্দি শেষে তিনি এ কথা বলেন।
আজ প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আকিব রেজা খানের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রামপুরায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় আজ দুজন সাক্ষী দিয়েছেন। এরা হলেন—পুলিশের এএসআই কামরুল হাসান ও কনস্টেবল আব্দুর রহমান।
এ মামলায় ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পাঁচজন আসামি। তবে গ্রেপ্তার আছেন কেবল একজন।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলার বিচারকাজ জানুয়ারির মধ্যে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।
আজ সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আবু সাইদ হত্যা মামলার ১২ তম সাক্ষীর জবানবন্দি শেষে তিনি এ কথা বলেন।
আজ প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আকিব রেজা খানের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রামপুরায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় আজ দুজন সাক্ষী দিয়েছেন। এরা হলেন—পুলিশের এএসআই কামরুল হাসান ও কনস্টেবল আব্দুর রহমান।
এ মামলায় ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পাঁচজন আসামি। তবে গ্রেপ্তার আছেন কেবল একজন।

‘আমাগো ঈদেও ছুটি নাই। এইখানে থাকি, এইখানেই ঘুমাই। বাড়ি গ্যালেই বেতন কাটা।’ বলছিল রাজধানীর দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার একটি শিশুপার্কের রাইড অপারেটর রাজু (ছদ্মনাম)। গত বছর ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত সে। লেখাপড়া ছেড়ে গত বছরই ঢাকায় এসে শিশুপার্কের কাজে যোগ দেয় রাজু। এরপর আর স্কুলে ফেরা হয়নি। এখন দিনরাত...
১২ জুন ২০২৫
বাগেরহাটে চারটি এবং গাজীপুরে পাঁচটি সংসদীয় আসনই থাকবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি আসন করে নির্বাচন কমিশনের গেজেট অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন
১৩ মিনিট আগে
সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এই নির্দেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশ দেন।
১ ঘণ্টা আগে
২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। গতকাল রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। নতুন বছরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব মিলিয়ে মোট ২৮ দিন ছুটি ভোগ করার সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে নয় দিন সাপ্তাহিক ছুটির (শুক্র ও শনিবার) সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। গতকাল রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। নতুন বছরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব মিলিয়ে মোট ২৮ দিন ছুটি ভোগ করার সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে নয় দিন সাপ্তাহিক ছুটির (শুক্র ও শনিবার) সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ গত বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর, ২০২৫) আগামী বছরের সরকারি ছুটির তালিকার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার পর এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ২০২৬ সালে সাধারণ ছুটি থাকছে মোট ১৪ দিন। এ ছাড়া নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি থাকছে আরও ১৪ দিন। এই ২৮ দিনের মধ্যে ৯ দিন সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে মিশে যাওয়ায়, কর্মজীবীরা বাস্তবে মোট ১৯ দিনের কর্মদিবস ছুটি পাবেন, যা সাপ্তাহিক ছুটির সাথে যুক্ত হয়ে দীর্ঘ অবসর যাপনের সুযোগ এনে দেবে।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে, বাংলাদেশের সব সরকারি ও আধা–সরকারি অফিস এবং সংবিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা–স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় এই ছুটি পালন করা হবে।
সাধারণ ও নির্বাহী আদেশের ছুটি ছাড়াও বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী কর্মীদের জন্য ঐচ্ছিক ছুটির বিধান রাখা হয়েছে। নিজ নিজ ধর্মীয় উৎসব পালনের জন্য একজন কর্মচারী বছরে অনধিক মোট ৩ (তিন) দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করতে পারবেন। এর জন্য বছরের শুরুতে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করতে হবে। এই ঐচ্ছিক ছুটি সাধারণ ছুটি, নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে যুক্ত করে নেওয়া যাবে।

বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর জন্য ঐচ্ছিক ছুটির তালিকা নিম্নরূপ:
প্রজ্ঞাপনে আরও জানানো হয়েছে, যেসব অফিসের সময়সূচি ও ছুটি নিজস্ব আইন-কানুন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, অথবা যেসব অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চাকরি সরকার কর্তৃক অত্যাবশ্যক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জনস্বার্থ বিবেচনা করে নিজস্ব আইন-কানুন অনুযায়ী ছুটির ব্যবস্থা করবে।
সরকারি ছুটির প্রজ্ঞাপন ও ছুটির তালিকা দেখুন

২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। গতকাল রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। নতুন বছরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব মিলিয়ে মোট ২৮ দিন ছুটি ভোগ করার সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে নয় দিন সাপ্তাহিক ছুটির (শুক্র ও শনিবার) সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ গত বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর, ২০২৫) আগামী বছরের সরকারি ছুটির তালিকার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার পর এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ২০২৬ সালে সাধারণ ছুটি থাকছে মোট ১৪ দিন। এ ছাড়া নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি থাকছে আরও ১৪ দিন। এই ২৮ দিনের মধ্যে ৯ দিন সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে মিশে যাওয়ায়, কর্মজীবীরা বাস্তবে মোট ১৯ দিনের কর্মদিবস ছুটি পাবেন, যা সাপ্তাহিক ছুটির সাথে যুক্ত হয়ে দীর্ঘ অবসর যাপনের সুযোগ এনে দেবে।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে, বাংলাদেশের সব সরকারি ও আধা–সরকারি অফিস এবং সংবিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা–স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় এই ছুটি পালন করা হবে।
সাধারণ ও নির্বাহী আদেশের ছুটি ছাড়াও বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী কর্মীদের জন্য ঐচ্ছিক ছুটির বিধান রাখা হয়েছে। নিজ নিজ ধর্মীয় উৎসব পালনের জন্য একজন কর্মচারী বছরে অনধিক মোট ৩ (তিন) দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করতে পারবেন। এর জন্য বছরের শুরুতে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করতে হবে। এই ঐচ্ছিক ছুটি সাধারণ ছুটি, নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে যুক্ত করে নেওয়া যাবে।

বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর জন্য ঐচ্ছিক ছুটির তালিকা নিম্নরূপ:
প্রজ্ঞাপনে আরও জানানো হয়েছে, যেসব অফিসের সময়সূচি ও ছুটি নিজস্ব আইন-কানুন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, অথবা যেসব অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চাকরি সরকার কর্তৃক অত্যাবশ্যক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জনস্বার্থ বিবেচনা করে নিজস্ব আইন-কানুন অনুযায়ী ছুটির ব্যবস্থা করবে।
সরকারি ছুটির প্রজ্ঞাপন ও ছুটির তালিকা দেখুন

‘আমাগো ঈদেও ছুটি নাই। এইখানে থাকি, এইখানেই ঘুমাই। বাড়ি গ্যালেই বেতন কাটা।’ বলছিল রাজধানীর দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার একটি শিশুপার্কের রাইড অপারেটর রাজু (ছদ্মনাম)। গত বছর ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত সে। লেখাপড়া ছেড়ে গত বছরই ঢাকায় এসে শিশুপার্কের কাজে যোগ দেয় রাজু। এরপর আর স্কুলে ফেরা হয়নি। এখন দিনরাত...
১২ জুন ২০২৫
বাগেরহাটে চারটি এবং গাজীপুরে পাঁচটি সংসদীয় আসনই থাকবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি আসন করে নির্বাচন কমিশনের গেজেট অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন
১৩ মিনিট আগে
সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এই নির্দেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশ দেন।
১ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলার বিচারকাজ জানুয়ারির মধ্যে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।
৩ ঘণ্টা আগে