নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিভিন্ন জেলায় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, লুটপাট, উপাসনালয়ে হামলা এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন দেশের ৩৭ বিশিষ্ট নাগরিক। এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন তাঁরা।
ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণের অসত্য খবর প্রচারের চেষ্টা বিশেষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এ বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল, নিজেরা করির সমন্বয়কারী খুশী কবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফিরদৌস আজিম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ফারহা তানজীম তিতিল, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. নোভা আহমেদ, হানা শামস আহমেদ, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের কেন্দ্রীয় সদস্য দীপায়ন খীসা প্রমুখ।
বিবৃতিতে বলা হয়, কয়েক দিনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় কয়েক শ সংখ্যালঘু মানুষ, বিশেষত হিন্দু নাগরিকদের বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, মন্দিরে হামলা লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। কয়েকটি স্থানে দুষ্কৃতকারীরা তাঁদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছে বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। এ ছাড়া দুটি জেলায় সংখ্যালঘু আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও উপাসনালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর বা অগ্নিসংযোগ করেছে বলে আমরা জেনেছি। অন্যান্য এলাকা থেকেও আক্রমণ–লুটপাট–অগ্নিসংযোগের যে তথ্য আমরা অধিকাংশ জায়গা থেকে পেয়েছি তাতে দেখা যায় যে, সব হামলাই ধর্মীয় কারণে বা সম্পদ দখলের জন্য হয়েছে তা নয়, বরং অনেক ক্ষেত্রেই হামলা হয়েছে রাজনৈতিক ক্ষোভ ও প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ময়মনসিংহের শশী লজের ঐতিহাসিক ভাস্কর্য, দিনাজপুরে সিধু–কানুর ভাস্কর্য, হাইকোর্টে প্রাঙ্গণের ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার যে ঘটনা ঘটেছে তাকে নিতান্তই ধর্মান্ধ সহিংসতার অংশ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে যে উদ্দেশ্যেই এসব হামলা, লুটপাট বা অগ্নিসংযোগ বা ভাস্কর্য ভাঙা হয়ে থাকুক না কেন, প্রতিটি সহিংসতা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী সব অপতৎপরতার আমরা নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একই সময় আমরা লক্ষ্য করছি যে এই সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে অতিরঞ্জিত খবর, অসত্য তথ্য এবং গুজব ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে একটি মহল অত্যন্ত তৎপর হয়ে উঠেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ও অপপ্রচার থেকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রতিবেশী দেশ ভারতের গণমাধ্যমের একাংশে এখানকার সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণের ঘটনাকে নিয়ে অতিরঞ্জিত, বিকৃত ও অসত্য খবর প্রচারের চেষ্টা বিশেষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা আরও বেশি উদ্বিগ্ন এ জন্য যে এই অপপ্রচারের পেছনে ভারতের ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে জড়িত স্বার্থান্বেষী কুচক্রীমহল সক্রিয় থাকতে পারে, এমন সম্ভাবনা নাকচ করার কোনো সুযোগ নেই।
বিবৃতিতে বিভ্রান্তিকর, অসত্য ও বিকৃত তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমের কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, ভারতের সঙ্গে ঐতিহাসিক সুপ্রতিবেশী সুলভ সম্পর্ক বজায় রাখা ও জোরদার করার স্বার্থেই এটা তাদের করা উচিত।
বিভিন্ন জেলায় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, লুটপাট, উপাসনালয়ে হামলা এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন দেশের ৩৭ বিশিষ্ট নাগরিক। এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন তাঁরা।
ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণের অসত্য খবর প্রচারের চেষ্টা বিশেষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এ বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল, নিজেরা করির সমন্বয়কারী খুশী কবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফিরদৌস আজিম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ফারহা তানজীম তিতিল, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. নোভা আহমেদ, হানা শামস আহমেদ, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের কেন্দ্রীয় সদস্য দীপায়ন খীসা প্রমুখ।
বিবৃতিতে বলা হয়, কয়েক দিনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় কয়েক শ সংখ্যালঘু মানুষ, বিশেষত হিন্দু নাগরিকদের বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, মন্দিরে হামলা লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। কয়েকটি স্থানে দুষ্কৃতকারীরা তাঁদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছে বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। এ ছাড়া দুটি জেলায় সংখ্যালঘু আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও উপাসনালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর বা অগ্নিসংযোগ করেছে বলে আমরা জেনেছি। অন্যান্য এলাকা থেকেও আক্রমণ–লুটপাট–অগ্নিসংযোগের যে তথ্য আমরা অধিকাংশ জায়গা থেকে পেয়েছি তাতে দেখা যায় যে, সব হামলাই ধর্মীয় কারণে বা সম্পদ দখলের জন্য হয়েছে তা নয়, বরং অনেক ক্ষেত্রেই হামলা হয়েছে রাজনৈতিক ক্ষোভ ও প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ময়মনসিংহের শশী লজের ঐতিহাসিক ভাস্কর্য, দিনাজপুরে সিধু–কানুর ভাস্কর্য, হাইকোর্টে প্রাঙ্গণের ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার যে ঘটনা ঘটেছে তাকে নিতান্তই ধর্মান্ধ সহিংসতার অংশ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে যে উদ্দেশ্যেই এসব হামলা, লুটপাট বা অগ্নিসংযোগ বা ভাস্কর্য ভাঙা হয়ে থাকুক না কেন, প্রতিটি সহিংসতা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী সব অপতৎপরতার আমরা নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একই সময় আমরা লক্ষ্য করছি যে এই সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে অতিরঞ্জিত খবর, অসত্য তথ্য এবং গুজব ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে একটি মহল অত্যন্ত তৎপর হয়ে উঠেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ও অপপ্রচার থেকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রতিবেশী দেশ ভারতের গণমাধ্যমের একাংশে এখানকার সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণের ঘটনাকে নিয়ে অতিরঞ্জিত, বিকৃত ও অসত্য খবর প্রচারের চেষ্টা বিশেষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা আরও বেশি উদ্বিগ্ন এ জন্য যে এই অপপ্রচারের পেছনে ভারতের ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে জড়িত স্বার্থান্বেষী কুচক্রীমহল সক্রিয় থাকতে পারে, এমন সম্ভাবনা নাকচ করার কোনো সুযোগ নেই।
বিবৃতিতে বিভ্রান্তিকর, অসত্য ও বিকৃত তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমের কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, ভারতের সঙ্গে ঐতিহাসিক সুপ্রতিবেশী সুলভ সম্পর্ক বজায় রাখা ও জোরদার করার স্বার্থেই এটা তাদের করা উচিত।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বাস্তবায়নযোগ্য নির্বাচনী আইন-বিধিসংশ্লিষ্ট সুপারিশ চূড়ান্ত করে সরকারের কাছে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
১১ মিনিট আগেনির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত না আসায় আইনি বাধ্যবাধকতা থাকায় ইশরাক হোসেনের নামে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ‘চতুর্থ কমিশন সভা’ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
৩০ মিনিট আগেজাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ‘পাশ কাটিয়ে’ ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ চুক্তি করে শুল্ক ও কর অব্যাহতির মাধ্যমে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা ফাঁকির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব ড. আহমেদ কায়কাউসসহ সংশ্লিষ্টদের দুর্নীতি খতিয়ে দেখছে
৩৪ মিনিট আগেপ্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের উদ্যোগে দেশের নাগরিকদের সব সেবা এক ঠিকানায় পৌঁছে দিতে চালু হতে যাচ্ছে নতুন সেবা আউটলেট ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, যার সংক্ষেপিত রূপ ‘নাগরিক সেবা’। এই উদ্যোগের আওতায় ব্যক্তি উদ্যোক্তারা সেবাদাতা হিসেবে কাজ করার সুযোগ পাবেন এবং চলমান ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলোকেও এর সঙ্গে
৪০ মিনিট আগে