নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের দ্বিতীয় বৈঠকে আজ রোববার ৫০টি সংসদীয় কমিটির ১২টি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এবং বাকি ছয়টি সংসদ-সম্পর্কিত কমিটি। কমিটিগুলোর মধ্যে কার্য উপদেষ্টা কমিটি ও সংসদ কমিটি স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী নিজেই ঘোষণা করেন। অন্যগুলো সংসদ নেতার অনুমতিক্রমে চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী প্রস্তাব করলে সংসদে কণ্ঠে ভোটে পাস হয়।
একাদশ জাতীয় সংসদের মতো এবারও সরকারি হিসাব-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি করা হয়েছে বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে। দলটির সংসদ সদস্য ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদকে এ কমিটির সভাপতি করা হয়েছে।
কমিটির নাম প্রস্তাবকালে চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সংসদ নেতা ৫০টি কমিটির সবগুলোই নিজে হাতে লিখে তৈরি করে দিয়েছেন। সংসদ চাইলে এক দিনেই সবগুলো কমিটি গঠন করা সম্ভব হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর হাতে লেখা কমিটির নামগুলো সংসদের রেকর্ড রুমে সংরক্ষণ করা হবে বলে জানান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হয়ে সরকারের সাবেক দুই আমলা হয়েছেন দুটি কমিটির সভাপতি। নির্বাচিত হয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হয়েছেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সরকার দলের এমপি সাবেক ইসি সচিব মোহাম্মদ সাদিক। সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির সভাপতি হয়েছেন জামালপুর-৫ আসনে সংসদ সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ। অন্যদিকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হয়েছেন নেত্রকোনা-৪ আসনের সাজ্জাদুল হাসান। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব ছিলেন। সাজ্জাদুল হাসান একাদশ সংসদের মেয়াদের শেষ দিকে উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও একই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন।
কার্য উপদেষ্টা কমিটি
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী কার্য উপদেষ্টা কমিটির নাম ঘোষণা করেন। এ কমিটির সভাপতি— স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী নিজেই। সদস্য হিসেবে রয়েছেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আমির হোসেন আমু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ওবায়দুল কাদের, রাশেদ খান মেনন, গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের, আনিসুল হক, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, শামসুল হক টুকু, দীপু মনি, নূর-ই-আলম চৌধুরী ও এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন।
সংসদ কমিটি
সভাপতি চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী (মাদারীপুর-১)। সদস্য হিসেবে আছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী, দিনাজপুর-৩ ইকবালুর রহিম, জয়পুরহাট-২ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, হবিগঞ্জ-৩ আবু জাহির, কক্সবাজার-২ আশেক উল্লাহ রফিক, যশোর-৩ কাজী নাবিল আহমেদ, টাঙ্গাইল-৫ ছানোয়ার হোসেন, নেত্রকোনা-৪ সাজ্জাদুল হাসান, পটুয়াখালী-৩ এস এম শাহজাদা ও কুড়িগ্রাম-১ এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান।
কমিটি গঠন প্রক্রিয়ার শেষে স্পিকার বলেন, ‘দ্বাদশ সংসদ অধিবেশনের প্রথম অধিবেশনের দ্বিতীয় বৈঠকে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি গঠন দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
স্পিকার আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শত ব্যস্ততার মধ্যেও নিজ হাতে লিখে কমিটিগুলো তৈরি করে অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর হাতে লেখা এই কমিটি সংসদের রেকর্ডরুমে সংরক্ষণ করা হবে। দ্বিতীয় বৈঠকের মধ্যে স্থায়ী কমিটি গঠন সংসদকে কার্যকর করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।’
এর আগে চিফ হুইপ ১০টি কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন। পরে সেটা কণ্ঠ ভোটে পাস হয়।
সরকারি হিসাব-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
সভাপতি ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ (জাতীয় পার্টি), সদস্য কুমিল্লা-১ আ হ ম মুস্তাফা কামাল, দিনাজপুর-৫ মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা-২ কামরুল ইসলাম, জয়পুরহাট-২ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ ফয়জুর রহমান, কিশোরগঞ্জ-৩ মজিবুল হক, মানিকগঞ্জ-৩ জাহিদ মালেক, নওগাঁ-৩ সুরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, জামালপুর-১ নূর মোহাম্মদ, গাজীপুর-৫ আখতারউজ্জামান এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ এস এ কে একরামুজ্জামান।
এ কমিটির আগের সভাপতি ছিলেন জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদে তিনি জাপার মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন।
সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটি
সভাপতি জামালপুর-৫ আবুল কালাম আজাদ, নোয়াখালী-২ মোরশেদ আলম, নেত্রকোনা-২ আশরাফ আলী খান খসরু, কক্সবাজার-১ সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম, ফেনী-১ আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, লালমনিরহাট-২ নুরুজ্জামান আহমেদ, নাটোর-৪ সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী ও নরসিংহী-২ আনোয়ারুল আশরাফ খান। 
অনুমিত হিসাব কমিটি
সভাপতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ ক্যাপ্টেন এ বি তাজুল ইসলাম, সদস্য—মাদারীপুর-১ নূর-ই-আলম চৌধুরী, ঢাকা-১ সালমান ফজলুর রহমান, কুষ্টিয়া-৩ মাহবুব উল আলম হানিফ, খুলনা-৪ রশীদুজ্জামান, নরসিংদী-১ মো. নজরুল ইসলাম, কুমিল্লা-৭ প্রাণ গোপাল দত্ত, রাজশাহী-৫ আব্দুল ওয়াদুদ ও রাজশাহী-৬ শাহরিয়ার আলম।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
সভাপতি সুনামগঞ্জ-৪ মোহাম্মদ সাদিক, সদস্য—ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী (ফরহাদ হোসেন), মাদারীপুর-১ নূর-ই-আলম চৌধুরী, মাগুরা-২ বীরেন শিকদার, ময়মনসিংহ-২ শরীফ আহমেদ, চট্টগ্রাম-১২ মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, ফরিদপুর-২ শাহদাব আকবর, রাজশাহী-৩ আসাদুজ্জামান আসাদ ও গাইবান্ধা-২ শাহ সারোয়ার কবীর। 
সরকারি প্রতিশ্রুতি-সম্পর্কিত কমিটি
সভাপতি সুনামগঞ্জ-৫ মহিবুর রহমান মানিক, সদস্য—কুমিল্লা-১১ মুজিবুল হক, চাঁদপুর-৫ রফিকুল ইসলাম, ঢাকা-১৫ কামাল আহমেদ মজুমদার, চাঁদপুর-৪ শফিকুর রহমান, রাজশাহী-১ ওমর ফারুক চৌধুরী ও কুড়িগ্রাম-১ কে এম এম মোস্তাফিজুর রহমান। 
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
সভাপতি নারায়ণগঞ্জ-১ গোলাম দস্তগীর গাজী, সদস্য—ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী (জাহাঙ্গীর কবির নানক), ঝিনাইদহ-৪ আনোয়ারুল আজিম আনার, নরসিংদী-২ আনোয়ারুল আশরাফ খান, সিরাজগঞ্জ-৫ আব্দুল মোমিন মন্ডল, ঢাকা-১১ ওয়াকিল উদ্দিন, টাঙ্গাইল-৭ খান আহমেদ শুভ, বগুড়া-৬ রাগিবুল আহসান রিপু ও ঝিনাইদহ-২ মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী। 
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
সভাপতি নেত্রকোনা-৪ সাজ্জাদুল হাসান, সদস্য—ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী (মুহম্মদ ফারুক খান), কক্সবাজার-২ আশেকুল্লাহ রফিক, লক্ষ্মীপুর-১ আনোয়ার হোসেন খান, বাগেরহাট-২ শেখ তন্ময়, চট্টগ্রাম-১০ মহিউদ্দিন বাচ্চু, মৌলভীবাজার-৩ মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান ও ঢাকা-১৯ খসরু চৌধুরী। 
শিল্প মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি
সভাপতি ঝালকাঠি-২ আমির হোসেন আমু। সদস্য হিসেবে রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী (নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন), (ঢাকা-১৫) কামাল আহমেদ মজুমদার, মির্জা আজম (জামালপুর-৩), শামীম ওসমান (নারায়ণগঞ্জ-৪), আবদুদ ওদুদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩), আবদুল লতিফ সিদ্দিকী (টাঙ্গাইল-৪), মুহিতুর রহমান (ময়মনসিংহ-৪), এ বি এম আনিসুজ্জামান (ময়মনসিংহ-৭)। 
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
সভাপতি শফিকুল ইসলাম (সিরাজগঞ্জ-৪)। সদস্য হিসেবে আছেন ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী (তাজুল ইসলাম), আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ (বরিশাল-১), সাঈদ খোকন (ঢাকা-৬), ছানোয়ার হোসেন (টাঙ্গাইল-৫), মতিয়ার রহমান (লালমনিরহাট-৩), ইকবাল হোসেন (শরীয়তপুর-২), রেজাউল হক চৌধুরী (কুষ্টিয়া-১), মোহাম্মদ আলী (নোয়াখালী-৬)। 
খাদ্য মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি
সভাপতি মাদারীপুর-২ শাজাহান খান। সদস্য—ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী (সাধন চন্দ্র মজুমদার), মকবুল হোসেন (পাবনা-৩), আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব (ভোলা-৪), মোস্তফা আলম (বগুড়া-৭), আবুল কালাম মো. আহসানুল আলম (রংপুর-২), এস এম কামাল হোসেন (খুলনা-৩), এ কে একরামুজ্জামান (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১), খান মো. সাইফুল্লাহ আল মেহেদি (বগুড়া-৩)। 
এর আগে চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ‘এবার সংসদে এক শর ওপরে নতুন সদস্য। তারা যাতে সংসদে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে—এ কারণে প্রধানমন্ত্রী ৫০টি সংসদীয় কমিটির প্রায় ৬০০ জন সংসদ সদস্যের নাম নিজে হাতে লিখে দিয়েছেন। অনুমতি পেলে এক দিনেই সবগুলো কমিটি করে ফেলা সম্ভব। তবে সংসদের অন্যান্য কার্যক্রম বিবেচনা করে আমরা ১৫-২০টি করে কমিটি গঠনের অনুমতি চাচ্ছি। সংসদের দ্বিতীয় বৈঠকে ৫০টি কমিটি গঠন সংসদের ইতিহাসে রেকর্ড হয়ে থাকবে। তিনি কমিটি সংরক্ষণের জন্য স্পিকারের কাছে আবেদন করেন।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের দ্বিতীয় বৈঠকে আজ রোববার ৫০টি সংসদীয় কমিটির ১২টি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এবং বাকি ছয়টি সংসদ-সম্পর্কিত কমিটি। কমিটিগুলোর মধ্যে কার্য উপদেষ্টা কমিটি ও সংসদ কমিটি স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী নিজেই ঘোষণা করেন। অন্যগুলো সংসদ নেতার অনুমতিক্রমে চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী প্রস্তাব করলে সংসদে কণ্ঠে ভোটে পাস হয়।
একাদশ জাতীয় সংসদের মতো এবারও সরকারি হিসাব-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি করা হয়েছে বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে। দলটির সংসদ সদস্য ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদকে এ কমিটির সভাপতি করা হয়েছে।
কমিটির নাম প্রস্তাবকালে চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সংসদ নেতা ৫০টি কমিটির সবগুলোই নিজে হাতে লিখে তৈরি করে দিয়েছেন। সংসদ চাইলে এক দিনেই সবগুলো কমিটি গঠন করা সম্ভব হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর হাতে লেখা কমিটির নামগুলো সংসদের রেকর্ড রুমে সংরক্ষণ করা হবে বলে জানান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হয়ে সরকারের সাবেক দুই আমলা হয়েছেন দুটি কমিটির সভাপতি। নির্বাচিত হয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হয়েছেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সরকার দলের এমপি সাবেক ইসি সচিব মোহাম্মদ সাদিক। সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির সভাপতি হয়েছেন জামালপুর-৫ আসনে সংসদ সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ। অন্যদিকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হয়েছেন নেত্রকোনা-৪ আসনের সাজ্জাদুল হাসান। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব ছিলেন। সাজ্জাদুল হাসান একাদশ সংসদের মেয়াদের শেষ দিকে উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও একই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন।
কার্য উপদেষ্টা কমিটি
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী কার্য উপদেষ্টা কমিটির নাম ঘোষণা করেন। এ কমিটির সভাপতি— স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী নিজেই। সদস্য হিসেবে রয়েছেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আমির হোসেন আমু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ওবায়দুল কাদের, রাশেদ খান মেনন, গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের, আনিসুল হক, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, শামসুল হক টুকু, দীপু মনি, নূর-ই-আলম চৌধুরী ও এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন।
সংসদ কমিটি
সভাপতি চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী (মাদারীপুর-১)। সদস্য হিসেবে আছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী, দিনাজপুর-৩ ইকবালুর রহিম, জয়পুরহাট-২ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, হবিগঞ্জ-৩ আবু জাহির, কক্সবাজার-২ আশেক উল্লাহ রফিক, যশোর-৩ কাজী নাবিল আহমেদ, টাঙ্গাইল-৫ ছানোয়ার হোসেন, নেত্রকোনা-৪ সাজ্জাদুল হাসান, পটুয়াখালী-৩ এস এম শাহজাদা ও কুড়িগ্রাম-১ এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান।
কমিটি গঠন প্রক্রিয়ার শেষে স্পিকার বলেন, ‘দ্বাদশ সংসদ অধিবেশনের প্রথম অধিবেশনের দ্বিতীয় বৈঠকে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি গঠন দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
স্পিকার আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শত ব্যস্ততার মধ্যেও নিজ হাতে লিখে কমিটিগুলো তৈরি করে অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর হাতে লেখা এই কমিটি সংসদের রেকর্ডরুমে সংরক্ষণ করা হবে। দ্বিতীয় বৈঠকের মধ্যে স্থায়ী কমিটি গঠন সংসদকে কার্যকর করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।’
এর আগে চিফ হুইপ ১০টি কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন। পরে সেটা কণ্ঠ ভোটে পাস হয়।
সরকারি হিসাব-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
সভাপতি ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ (জাতীয় পার্টি), সদস্য কুমিল্লা-১ আ হ ম মুস্তাফা কামাল, দিনাজপুর-৫ মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা-২ কামরুল ইসলাম, জয়পুরহাট-২ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ ফয়জুর রহমান, কিশোরগঞ্জ-৩ মজিবুল হক, মানিকগঞ্জ-৩ জাহিদ মালেক, নওগাঁ-৩ সুরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, জামালপুর-১ নূর মোহাম্মদ, গাজীপুর-৫ আখতারউজ্জামান এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ এস এ কে একরামুজ্জামান।
এ কমিটির আগের সভাপতি ছিলেন জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদে তিনি জাপার মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন।
সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটি
সভাপতি জামালপুর-৫ আবুল কালাম আজাদ, নোয়াখালী-২ মোরশেদ আলম, নেত্রকোনা-২ আশরাফ আলী খান খসরু, কক্সবাজার-১ সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম, ফেনী-১ আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, লালমনিরহাট-২ নুরুজ্জামান আহমেদ, নাটোর-৪ সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী ও নরসিংহী-২ আনোয়ারুল আশরাফ খান। 
অনুমিত হিসাব কমিটি
সভাপতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ ক্যাপ্টেন এ বি তাজুল ইসলাম, সদস্য—মাদারীপুর-১ নূর-ই-আলম চৌধুরী, ঢাকা-১ সালমান ফজলুর রহমান, কুষ্টিয়া-৩ মাহবুব উল আলম হানিফ, খুলনা-৪ রশীদুজ্জামান, নরসিংদী-১ মো. নজরুল ইসলাম, কুমিল্লা-৭ প্রাণ গোপাল দত্ত, রাজশাহী-৫ আব্দুল ওয়াদুদ ও রাজশাহী-৬ শাহরিয়ার আলম।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
সভাপতি সুনামগঞ্জ-৪ মোহাম্মদ সাদিক, সদস্য—ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী (ফরহাদ হোসেন), মাদারীপুর-১ নূর-ই-আলম চৌধুরী, মাগুরা-২ বীরেন শিকদার, ময়মনসিংহ-২ শরীফ আহমেদ, চট্টগ্রাম-১২ মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, ফরিদপুর-২ শাহদাব আকবর, রাজশাহী-৩ আসাদুজ্জামান আসাদ ও গাইবান্ধা-২ শাহ সারোয়ার কবীর। 
সরকারি প্রতিশ্রুতি-সম্পর্কিত কমিটি
সভাপতি সুনামগঞ্জ-৫ মহিবুর রহমান মানিক, সদস্য—কুমিল্লা-১১ মুজিবুল হক, চাঁদপুর-৫ রফিকুল ইসলাম, ঢাকা-১৫ কামাল আহমেদ মজুমদার, চাঁদপুর-৪ শফিকুর রহমান, রাজশাহী-১ ওমর ফারুক চৌধুরী ও কুড়িগ্রাম-১ কে এম এম মোস্তাফিজুর রহমান। 
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
সভাপতি নারায়ণগঞ্জ-১ গোলাম দস্তগীর গাজী, সদস্য—ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী (জাহাঙ্গীর কবির নানক), ঝিনাইদহ-৪ আনোয়ারুল আজিম আনার, নরসিংদী-২ আনোয়ারুল আশরাফ খান, সিরাজগঞ্জ-৫ আব্দুল মোমিন মন্ডল, ঢাকা-১১ ওয়াকিল উদ্দিন, টাঙ্গাইল-৭ খান আহমেদ শুভ, বগুড়া-৬ রাগিবুল আহসান রিপু ও ঝিনাইদহ-২ মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী। 
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
সভাপতি নেত্রকোনা-৪ সাজ্জাদুল হাসান, সদস্য—ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী (মুহম্মদ ফারুক খান), কক্সবাজার-২ আশেকুল্লাহ রফিক, লক্ষ্মীপুর-১ আনোয়ার হোসেন খান, বাগেরহাট-২ শেখ তন্ময়, চট্টগ্রাম-১০ মহিউদ্দিন বাচ্চু, মৌলভীবাজার-৩ মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান ও ঢাকা-১৯ খসরু চৌধুরী। 
শিল্প মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি
সভাপতি ঝালকাঠি-২ আমির হোসেন আমু। সদস্য হিসেবে রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী (নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন), (ঢাকা-১৫) কামাল আহমেদ মজুমদার, মির্জা আজম (জামালপুর-৩), শামীম ওসমান (নারায়ণগঞ্জ-৪), আবদুদ ওদুদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩), আবদুল লতিফ সিদ্দিকী (টাঙ্গাইল-৪), মুহিতুর রহমান (ময়মনসিংহ-৪), এ বি এম আনিসুজ্জামান (ময়মনসিংহ-৭)। 
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
সভাপতি শফিকুল ইসলাম (সিরাজগঞ্জ-৪)। সদস্য হিসেবে আছেন ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী (তাজুল ইসলাম), আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ (বরিশাল-১), সাঈদ খোকন (ঢাকা-৬), ছানোয়ার হোসেন (টাঙ্গাইল-৫), মতিয়ার রহমান (লালমনিরহাট-৩), ইকবাল হোসেন (শরীয়তপুর-২), রেজাউল হক চৌধুরী (কুষ্টিয়া-১), মোহাম্মদ আলী (নোয়াখালী-৬)। 
খাদ্য মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি
সভাপতি মাদারীপুর-২ শাজাহান খান। সদস্য—ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী (সাধন চন্দ্র মজুমদার), মকবুল হোসেন (পাবনা-৩), আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব (ভোলা-৪), মোস্তফা আলম (বগুড়া-৭), আবুল কালাম মো. আহসানুল আলম (রংপুর-২), এস এম কামাল হোসেন (খুলনা-৩), এ কে একরামুজ্জামান (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১), খান মো. সাইফুল্লাহ আল মেহেদি (বগুড়া-৩)। 
এর আগে চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ‘এবার সংসদে এক শর ওপরে নতুন সদস্য। তারা যাতে সংসদে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে—এ কারণে প্রধানমন্ত্রী ৫০টি সংসদীয় কমিটির প্রায় ৬০০ জন সংসদ সদস্যের নাম নিজে হাতে লিখে দিয়েছেন। অনুমতি পেলে এক দিনেই সবগুলো কমিটি করে ফেলা সম্ভব। তবে সংসদের অন্যান্য কার্যক্রম বিবেচনা করে আমরা ১৫-২০টি করে কমিটি গঠনের অনুমতি চাচ্ছি। সংসদের দ্বিতীয় বৈঠকে ৫০টি কমিটি গঠন সংসদের ইতিহাসে রেকর্ড হয়ে থাকবে। তিনি কমিটি সংরক্ষণের জন্য স্পিকারের কাছে আবেদন করেন।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের দ্বিতীয় বৈঠকে আজ রোববার ৫০টি সংসদীয় কমিটির ১২টি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এবং বাকি ছয়টি সংসদ-সম্পর্কিত কমিটি। কমিটিগুলোর মধ্যে কার্য উপদেষ্টা কমিটি ও সংসদ কমিটি স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী নিজেই ঘোষণা করেন। অন্যগুলো সংসদ নেতার অনুমতিক্রমে চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী প্রস্তাব করলে সংসদে কণ্ঠে ভোটে পাস হয়।
একাদশ জাতীয় সংসদের মতো এবারও সরকারি হিসাব-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি করা হয়েছে বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে। দলটির সংসদ সদস্য ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদকে এ কমিটির সভাপতি করা হয়েছে।
কমিটির নাম প্রস্তাবকালে চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সংসদ নেতা ৫০টি কমিটির সবগুলোই নিজে হাতে লিখে তৈরি করে দিয়েছেন। সংসদ চাইলে এক দিনেই সবগুলো কমিটি গঠন করা সম্ভব হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর হাতে লেখা কমিটির নামগুলো সংসদের রেকর্ড রুমে সংরক্ষণ করা হবে বলে জানান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হয়ে সরকারের সাবেক দুই আমলা হয়েছেন দুটি কমিটির সভাপতি। নির্বাচিত হয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হয়েছেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সরকার দলের এমপি সাবেক ইসি সচিব মোহাম্মদ সাদিক। সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির সভাপতি হয়েছেন জামালপুর-৫ আসনে সংসদ সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ। অন্যদিকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হয়েছেন নেত্রকোনা-৪ আসনের সাজ্জাদুল হাসান। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব ছিলেন। সাজ্জাদুল হাসান একাদশ সংসদের মেয়াদের শেষ দিকে উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও একই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন।
কার্য উপদেষ্টা কমিটি
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী কার্য উপদেষ্টা কমিটির নাম ঘোষণা করেন। এ কমিটির সভাপতি— স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী নিজেই। সদস্য হিসেবে রয়েছেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আমির হোসেন আমু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ওবায়দুল কাদের, রাশেদ খান মেনন, গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের, আনিসুল হক, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, শামসুল হক টুকু, দীপু মনি, নূর-ই-আলম চৌধুরী ও এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন।
সংসদ কমিটি
সভাপতি চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী (মাদারীপুর-১)। সদস্য হিসেবে আছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী, দিনাজপুর-৩ ইকবালুর রহিম, জয়পুরহাট-২ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, হবিগঞ্জ-৩ আবু জাহির, কক্সবাজার-২ আশেক উল্লাহ রফিক, যশোর-৩ কাজী নাবিল আহমেদ, টাঙ্গাইল-৫ ছানোয়ার হোসেন, নেত্রকোনা-৪ সাজ্জাদুল হাসান, পটুয়াখালী-৩ এস এম শাহজাদা ও কুড়িগ্রাম-১ এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান।
কমিটি গঠন প্রক্রিয়ার শেষে স্পিকার বলেন, ‘দ্বাদশ সংসদ অধিবেশনের প্রথম অধিবেশনের দ্বিতীয় বৈঠকে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি গঠন দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
স্পিকার আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শত ব্যস্ততার মধ্যেও নিজ হাতে লিখে কমিটিগুলো তৈরি করে অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর হাতে লেখা এই কমিটি সংসদের রেকর্ডরুমে সংরক্ষণ করা হবে। দ্বিতীয় বৈঠকের মধ্যে স্থায়ী কমিটি গঠন সংসদকে কার্যকর করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।’
এর আগে চিফ হুইপ ১০টি কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন। পরে সেটা কণ্ঠ ভোটে পাস হয়।
সরকারি হিসাব-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
সভাপতি ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ (জাতীয় পার্টি), সদস্য কুমিল্লা-১ আ হ ম মুস্তাফা কামাল, দিনাজপুর-৫ মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা-২ কামরুল ইসলাম, জয়পুরহাট-২ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ ফয়জুর রহমান, কিশোরগঞ্জ-৩ মজিবুল হক, মানিকগঞ্জ-৩ জাহিদ মালেক, নওগাঁ-৩ সুরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, জামালপুর-১ নূর মোহাম্মদ, গাজীপুর-৫ আখতারউজ্জামান এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ এস এ কে একরামুজ্জামান।
এ কমিটির আগের সভাপতি ছিলেন জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদে তিনি জাপার মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন।
সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটি
সভাপতি জামালপুর-৫ আবুল কালাম আজাদ, নোয়াখালী-২ মোরশেদ আলম, নেত্রকোনা-২ আশরাফ আলী খান খসরু, কক্সবাজার-১ সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম, ফেনী-১ আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, লালমনিরহাট-২ নুরুজ্জামান আহমেদ, নাটোর-৪ সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী ও নরসিংহী-২ আনোয়ারুল আশরাফ খান। 
অনুমিত হিসাব কমিটি
সভাপতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ ক্যাপ্টেন এ বি তাজুল ইসলাম, সদস্য—মাদারীপুর-১ নূর-ই-আলম চৌধুরী, ঢাকা-১ সালমান ফজলুর রহমান, কুষ্টিয়া-৩ মাহবুব উল আলম হানিফ, খুলনা-৪ রশীদুজ্জামান, নরসিংদী-১ মো. নজরুল ইসলাম, কুমিল্লা-৭ প্রাণ গোপাল দত্ত, রাজশাহী-৫ আব্দুল ওয়াদুদ ও রাজশাহী-৬ শাহরিয়ার আলম।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
সভাপতি সুনামগঞ্জ-৪ মোহাম্মদ সাদিক, সদস্য—ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী (ফরহাদ হোসেন), মাদারীপুর-১ নূর-ই-আলম চৌধুরী, মাগুরা-২ বীরেন শিকদার, ময়মনসিংহ-২ শরীফ আহমেদ, চট্টগ্রাম-১২ মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, ফরিদপুর-২ শাহদাব আকবর, রাজশাহী-৩ আসাদুজ্জামান আসাদ ও গাইবান্ধা-২ শাহ সারোয়ার কবীর। 
সরকারি প্রতিশ্রুতি-সম্পর্কিত কমিটি
সভাপতি সুনামগঞ্জ-৫ মহিবুর রহমান মানিক, সদস্য—কুমিল্লা-১১ মুজিবুল হক, চাঁদপুর-৫ রফিকুল ইসলাম, ঢাকা-১৫ কামাল আহমেদ মজুমদার, চাঁদপুর-৪ শফিকুর রহমান, রাজশাহী-১ ওমর ফারুক চৌধুরী ও কুড়িগ্রাম-১ কে এম এম মোস্তাফিজুর রহমান। 
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
সভাপতি নারায়ণগঞ্জ-১ গোলাম দস্তগীর গাজী, সদস্য—ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী (জাহাঙ্গীর কবির নানক), ঝিনাইদহ-৪ আনোয়ারুল আজিম আনার, নরসিংদী-২ আনোয়ারুল আশরাফ খান, সিরাজগঞ্জ-৫ আব্দুল মোমিন মন্ডল, ঢাকা-১১ ওয়াকিল উদ্দিন, টাঙ্গাইল-৭ খান আহমেদ শুভ, বগুড়া-৬ রাগিবুল আহসান রিপু ও ঝিনাইদহ-২ মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী। 
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
সভাপতি নেত্রকোনা-৪ সাজ্জাদুল হাসান, সদস্য—ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী (মুহম্মদ ফারুক খান), কক্সবাজার-২ আশেকুল্লাহ রফিক, লক্ষ্মীপুর-১ আনোয়ার হোসেন খান, বাগেরহাট-২ শেখ তন্ময়, চট্টগ্রাম-১০ মহিউদ্দিন বাচ্চু, মৌলভীবাজার-৩ মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান ও ঢাকা-১৯ খসরু চৌধুরী। 
শিল্প মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি
সভাপতি ঝালকাঠি-২ আমির হোসেন আমু। সদস্য হিসেবে রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী (নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন), (ঢাকা-১৫) কামাল আহমেদ মজুমদার, মির্জা আজম (জামালপুর-৩), শামীম ওসমান (নারায়ণগঞ্জ-৪), আবদুদ ওদুদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩), আবদুল লতিফ সিদ্দিকী (টাঙ্গাইল-৪), মুহিতুর রহমান (ময়মনসিংহ-৪), এ বি এম আনিসুজ্জামান (ময়মনসিংহ-৭)। 
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
সভাপতি শফিকুল ইসলাম (সিরাজগঞ্জ-৪)। সদস্য হিসেবে আছেন ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী (তাজুল ইসলাম), আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ (বরিশাল-১), সাঈদ খোকন (ঢাকা-৬), ছানোয়ার হোসেন (টাঙ্গাইল-৫), মতিয়ার রহমান (লালমনিরহাট-৩), ইকবাল হোসেন (শরীয়তপুর-২), রেজাউল হক চৌধুরী (কুষ্টিয়া-১), মোহাম্মদ আলী (নোয়াখালী-৬)। 
খাদ্য মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি
সভাপতি মাদারীপুর-২ শাজাহান খান। সদস্য—ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী (সাধন চন্দ্র মজুমদার), মকবুল হোসেন (পাবনা-৩), আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব (ভোলা-৪), মোস্তফা আলম (বগুড়া-৭), আবুল কালাম মো. আহসানুল আলম (রংপুর-২), এস এম কামাল হোসেন (খুলনা-৩), এ কে একরামুজ্জামান (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১), খান মো. সাইফুল্লাহ আল মেহেদি (বগুড়া-৩)। 
এর আগে চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ‘এবার সংসদে এক শর ওপরে নতুন সদস্য। তারা যাতে সংসদে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে—এ কারণে প্রধানমন্ত্রী ৫০টি সংসদীয় কমিটির প্রায় ৬০০ জন সংসদ সদস্যের নাম নিজে হাতে লিখে দিয়েছেন। অনুমতি পেলে এক দিনেই সবগুলো কমিটি করে ফেলা সম্ভব। তবে সংসদের অন্যান্য কার্যক্রম বিবেচনা করে আমরা ১৫-২০টি করে কমিটি গঠনের অনুমতি চাচ্ছি। সংসদের দ্বিতীয় বৈঠকে ৫০টি কমিটি গঠন সংসদের ইতিহাসে রেকর্ড হয়ে থাকবে। তিনি কমিটি সংরক্ষণের জন্য স্পিকারের কাছে আবেদন করেন।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের দ্বিতীয় বৈঠকে আজ রোববার ৫০টি সংসদীয় কমিটির ১২টি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এবং বাকি ছয়টি সংসদ-সম্পর্কিত কমিটি। কমিটিগুলোর মধ্যে কার্য উপদেষ্টা কমিটি ও সংসদ কমিটি স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী নিজেই ঘোষণা করেন। অন্যগুলো সংসদ নেতার অনুমতিক্রমে চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী প্রস্তাব করলে সংসদে কণ্ঠে ভোটে পাস হয়।
একাদশ জাতীয় সংসদের মতো এবারও সরকারি হিসাব-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি করা হয়েছে বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে। দলটির সংসদ সদস্য ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদকে এ কমিটির সভাপতি করা হয়েছে।
কমিটির নাম প্রস্তাবকালে চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সংসদ নেতা ৫০টি কমিটির সবগুলোই নিজে হাতে লিখে তৈরি করে দিয়েছেন। সংসদ চাইলে এক দিনেই সবগুলো কমিটি গঠন করা সম্ভব হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর হাতে লেখা কমিটির নামগুলো সংসদের রেকর্ড রুমে সংরক্ষণ করা হবে বলে জানান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হয়ে সরকারের সাবেক দুই আমলা হয়েছেন দুটি কমিটির সভাপতি। নির্বাচিত হয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হয়েছেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সরকার দলের এমপি সাবেক ইসি সচিব মোহাম্মদ সাদিক। সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির সভাপতি হয়েছেন জামালপুর-৫ আসনে সংসদ সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ। অন্যদিকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হয়েছেন নেত্রকোনা-৪ আসনের সাজ্জাদুল হাসান। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব ছিলেন। সাজ্জাদুল হাসান একাদশ সংসদের মেয়াদের শেষ দিকে উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও একই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন।
কার্য উপদেষ্টা কমিটি
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী কার্য উপদেষ্টা কমিটির নাম ঘোষণা করেন। এ কমিটির সভাপতি— স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী নিজেই। সদস্য হিসেবে রয়েছেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আমির হোসেন আমু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ওবায়দুল কাদের, রাশেদ খান মেনন, গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের, আনিসুল হক, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, শামসুল হক টুকু, দীপু মনি, নূর-ই-আলম চৌধুরী ও এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন।
সংসদ কমিটি
সভাপতি চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী (মাদারীপুর-১)। সদস্য হিসেবে আছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী, দিনাজপুর-৩ ইকবালুর রহিম, জয়পুরহাট-২ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, হবিগঞ্জ-৩ আবু জাহির, কক্সবাজার-২ আশেক উল্লাহ রফিক, যশোর-৩ কাজী নাবিল আহমেদ, টাঙ্গাইল-৫ ছানোয়ার হোসেন, নেত্রকোনা-৪ সাজ্জাদুল হাসান, পটুয়াখালী-৩ এস এম শাহজাদা ও কুড়িগ্রাম-১ এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান।
কমিটি গঠন প্রক্রিয়ার শেষে স্পিকার বলেন, ‘দ্বাদশ সংসদ অধিবেশনের প্রথম অধিবেশনের দ্বিতীয় বৈঠকে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি গঠন দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
স্পিকার আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শত ব্যস্ততার মধ্যেও নিজ হাতে লিখে কমিটিগুলো তৈরি করে অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর হাতে লেখা এই কমিটি সংসদের রেকর্ডরুমে সংরক্ষণ করা হবে। দ্বিতীয় বৈঠকের মধ্যে স্থায়ী কমিটি গঠন সংসদকে কার্যকর করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।’
এর আগে চিফ হুইপ ১০টি কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন। পরে সেটা কণ্ঠ ভোটে পাস হয়।
সরকারি হিসাব-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
সভাপতি ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ (জাতীয় পার্টি), সদস্য কুমিল্লা-১ আ হ ম মুস্তাফা কামাল, দিনাজপুর-৫ মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা-২ কামরুল ইসলাম, জয়পুরহাট-২ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ ফয়জুর রহমান, কিশোরগঞ্জ-৩ মজিবুল হক, মানিকগঞ্জ-৩ জাহিদ মালেক, নওগাঁ-৩ সুরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, জামালপুর-১ নূর মোহাম্মদ, গাজীপুর-৫ আখতারউজ্জামান এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ এস এ কে একরামুজ্জামান।
এ কমিটির আগের সভাপতি ছিলেন জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদে তিনি জাপার মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন।
সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটি
সভাপতি জামালপুর-৫ আবুল কালাম আজাদ, নোয়াখালী-২ মোরশেদ আলম, নেত্রকোনা-২ আশরাফ আলী খান খসরু, কক্সবাজার-১ সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম, ফেনী-১ আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, লালমনিরহাট-২ নুরুজ্জামান আহমেদ, নাটোর-৪ সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী ও নরসিংহী-২ আনোয়ারুল আশরাফ খান। 
অনুমিত হিসাব কমিটি
সভাপতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ ক্যাপ্টেন এ বি তাজুল ইসলাম, সদস্য—মাদারীপুর-১ নূর-ই-আলম চৌধুরী, ঢাকা-১ সালমান ফজলুর রহমান, কুষ্টিয়া-৩ মাহবুব উল আলম হানিফ, খুলনা-৪ রশীদুজ্জামান, নরসিংদী-১ মো. নজরুল ইসলাম, কুমিল্লা-৭ প্রাণ গোপাল দত্ত, রাজশাহী-৫ আব্দুল ওয়াদুদ ও রাজশাহী-৬ শাহরিয়ার আলম।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
সভাপতি সুনামগঞ্জ-৪ মোহাম্মদ সাদিক, সদস্য—ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী (ফরহাদ হোসেন), মাদারীপুর-১ নূর-ই-আলম চৌধুরী, মাগুরা-২ বীরেন শিকদার, ময়মনসিংহ-২ শরীফ আহমেদ, চট্টগ্রাম-১২ মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, ফরিদপুর-২ শাহদাব আকবর, রাজশাহী-৩ আসাদুজ্জামান আসাদ ও গাইবান্ধা-২ শাহ সারোয়ার কবীর। 
সরকারি প্রতিশ্রুতি-সম্পর্কিত কমিটি
সভাপতি সুনামগঞ্জ-৫ মহিবুর রহমান মানিক, সদস্য—কুমিল্লা-১১ মুজিবুল হক, চাঁদপুর-৫ রফিকুল ইসলাম, ঢাকা-১৫ কামাল আহমেদ মজুমদার, চাঁদপুর-৪ শফিকুর রহমান, রাজশাহী-১ ওমর ফারুক চৌধুরী ও কুড়িগ্রাম-১ কে এম এম মোস্তাফিজুর রহমান। 
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
সভাপতি নারায়ণগঞ্জ-১ গোলাম দস্তগীর গাজী, সদস্য—ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী (জাহাঙ্গীর কবির নানক), ঝিনাইদহ-৪ আনোয়ারুল আজিম আনার, নরসিংদী-২ আনোয়ারুল আশরাফ খান, সিরাজগঞ্জ-৫ আব্দুল মোমিন মন্ডল, ঢাকা-১১ ওয়াকিল উদ্দিন, টাঙ্গাইল-৭ খান আহমেদ শুভ, বগুড়া-৬ রাগিবুল আহসান রিপু ও ঝিনাইদহ-২ মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী। 
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
সভাপতি নেত্রকোনা-৪ সাজ্জাদুল হাসান, সদস্য—ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী (মুহম্মদ ফারুক খান), কক্সবাজার-২ আশেকুল্লাহ রফিক, লক্ষ্মীপুর-১ আনোয়ার হোসেন খান, বাগেরহাট-২ শেখ তন্ময়, চট্টগ্রাম-১০ মহিউদ্দিন বাচ্চু, মৌলভীবাজার-৩ মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান ও ঢাকা-১৯ খসরু চৌধুরী। 
শিল্প মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি
সভাপতি ঝালকাঠি-২ আমির হোসেন আমু। সদস্য হিসেবে রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী (নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন), (ঢাকা-১৫) কামাল আহমেদ মজুমদার, মির্জা আজম (জামালপুর-৩), শামীম ওসমান (নারায়ণগঞ্জ-৪), আবদুদ ওদুদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩), আবদুল লতিফ সিদ্দিকী (টাঙ্গাইল-৪), মুহিতুর রহমান (ময়মনসিংহ-৪), এ বি এম আনিসুজ্জামান (ময়মনসিংহ-৭)। 
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
সভাপতি শফিকুল ইসলাম (সিরাজগঞ্জ-৪)। সদস্য হিসেবে আছেন ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী (তাজুল ইসলাম), আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ (বরিশাল-১), সাঈদ খোকন (ঢাকা-৬), ছানোয়ার হোসেন (টাঙ্গাইল-৫), মতিয়ার রহমান (লালমনিরহাট-৩), ইকবাল হোসেন (শরীয়তপুর-২), রেজাউল হক চৌধুরী (কুষ্টিয়া-১), মোহাম্মদ আলী (নোয়াখালী-৬)। 
খাদ্য মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি
সভাপতি মাদারীপুর-২ শাজাহান খান। সদস্য—ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী (সাধন চন্দ্র মজুমদার), মকবুল হোসেন (পাবনা-৩), আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব (ভোলা-৪), মোস্তফা আলম (বগুড়া-৭), আবুল কালাম মো. আহসানুল আলম (রংপুর-২), এস এম কামাল হোসেন (খুলনা-৩), এ কে একরামুজ্জামান (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১), খান মো. সাইফুল্লাহ আল মেহেদি (বগুড়া-৩)। 
এর আগে চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ‘এবার সংসদে এক শর ওপরে নতুন সদস্য। তারা যাতে সংসদে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে—এ কারণে প্রধানমন্ত্রী ৫০টি সংসদীয় কমিটির প্রায় ৬০০ জন সংসদ সদস্যের নাম নিজে হাতে লিখে দিয়েছেন। অনুমতি পেলে এক দিনেই সবগুলো কমিটি করে ফেলা সম্ভব। তবে সংসদের অন্যান্য কার্যক্রম বিবেচনা করে আমরা ১৫-২০টি করে কমিটি গঠনের অনুমতি চাচ্ছি। সংসদের দ্বিতীয় বৈঠকে ৫০টি কমিটি গঠন সংসদের ইতিহাসে রেকর্ড হয়ে থাকবে। তিনি কমিটি সংরক্ষণের জন্য স্পিকারের কাছে আবেদন করেন।’

ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন চৌধুরী), তাঁর ভাই মাদারীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাবেক পিএস অ্যাডভোকেট তোফিকা আফতাব ওরফে তৌফিকা করিমসহ পাঁচজনের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৮ মিনিট আগে
বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নির্মাতা বোয়িং ও ইউরোপের এয়ারবাস—দুই জায়ান্ট কোম্পানি প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
১ ঘণ্টা আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঘটনাটি তদন্তে এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিনিয়র সচিব কমিটির প্রধান। তিনি কয়েকটি দেশে চিঠি পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে দু-একটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞরাও এসে তদন্তে অংশ নিয়েছেন। তবে এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না—আসলেই কোনো অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যাঁরা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় কারাভোগ করেছেন—এমন ৩৭ বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন চৌধুরী), তাঁর ভাই মাদারীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাবেক পিএস অ্যাডভোকেট তোফিকা আফতাব ওরফে তৌফিকা করিমসহ পাঁচজনের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এই নির্দেশ দেন।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদালত এই নির্দেশ দেন। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি আজিজুল হক দিদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেওয়া অন্য দুজন হলেন নিক্সন চৌধুরীর স্ত্রী তারিন হোসেন এবং মাদারীপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও নিক্সন চৌধুরীর পিএস মো. শাহাদাৎ হোসেন।
সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের এসআই মো. মনিরুজ্জামান আয়কর নথি বিবরণী ও আনুষঙ্গিক কাগজপত্র জব্দের অনুমতি চেয়ে আদালতে পাঁচটি পৃথক আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, অভিযুক্তরা ও তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্জিত অর্থ দিয়ে ফ্ল্যাট, গাড়ি ও জমি ক্রয়সহ মানি লন্ডারিংয়ে জড়িত থেকে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। এ-সংক্রান্ত অভিযোগ অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।
অনুসন্ধানের সুষ্ঠুতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিতের স্বার্থে আদালত, ২০১০ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে অভিযুক্তদের আয়কর নথি বিবরণী ও এর সঙ্গে থাকা সব আনুষঙ্গিক কাগজপত্র জব্দ করে যাচাই-বাছাই করা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাবেক পিএস তৌফিকা করিম মন্ত্রীর প্রভাব খাটিয়ে আদালতে আসামিদের জামিন, নিয়োগ-বাণিজ্য ও বদলির তদবিরসহ নানা অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিপুল অর্থ অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন চৌধুরী), তাঁর ভাই মাদারীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাবেক পিএস অ্যাডভোকেট তোফিকা আফতাব ওরফে তৌফিকা করিমসহ পাঁচজনের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এই নির্দেশ দেন।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদালত এই নির্দেশ দেন। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি আজিজুল হক দিদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেওয়া অন্য দুজন হলেন নিক্সন চৌধুরীর স্ত্রী তারিন হোসেন এবং মাদারীপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও নিক্সন চৌধুরীর পিএস মো. শাহাদাৎ হোসেন।
সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের এসআই মো. মনিরুজ্জামান আয়কর নথি বিবরণী ও আনুষঙ্গিক কাগজপত্র জব্দের অনুমতি চেয়ে আদালতে পাঁচটি পৃথক আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, অভিযুক্তরা ও তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্জিত অর্থ দিয়ে ফ্ল্যাট, গাড়ি ও জমি ক্রয়সহ মানি লন্ডারিংয়ে জড়িত থেকে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। এ-সংক্রান্ত অভিযোগ অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।
অনুসন্ধানের সুষ্ঠুতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিতের স্বার্থে আদালত, ২০১০ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে অভিযুক্তদের আয়কর নথি বিবরণী ও এর সঙ্গে থাকা সব আনুষঙ্গিক কাগজপত্র জব্দ করে যাচাই-বাছাই করা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাবেক পিএস তৌফিকা করিম মন্ত্রীর প্রভাব খাটিয়ে আদালতে আসামিদের জামিন, নিয়োগ-বাণিজ্য ও বদলির তদবিরসহ নানা অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিপুল অর্থ অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের দ্বিতীয় বৈঠকে আজ রোববার ৫০টি সংসদীয় কমিটির ১২টি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এবং বাকি ছয়টি সংসদ-সম্পর্কিত কমিটি। কমিটিগুলোর মধ্যে কার্য উপদেষ্টা কমিটি ও সংসদ কমিটি স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী নিজেই ঘোষণা করেন। অন্যগুলো সংসদ
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নির্মাতা বোয়িং ও ইউরোপের এয়ারবাস—দুই জায়ান্ট কোম্পানি প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
১ ঘণ্টা আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঘটনাটি তদন্তে এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিনিয়র সচিব কমিটির প্রধান। তিনি কয়েকটি দেশে চিঠি পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে দু-একটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞরাও এসে তদন্তে অংশ নিয়েছেন। তবে এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না—আসলেই কোনো অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যাঁরা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় কারাভোগ করেছেন—এমন ৩৭ বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
২ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা 

বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল অ্যাভিয়েশন খাতে নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে এবার সরাসরি কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে ইউরোপের শীর্ষ বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস।
আজ মঙ্গলবার ঢাকায় ফ্রান্স–জার্মান দূতাবাসে ‘বাংলাদেশের অ্যাভিয়েশন গ্রোথ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধিদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন চার প্রভাবশালী ইউরোপীয় কূটনীতিক।
তাঁরা হলেন ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যঁ-মার্ক সেরে-শার্লে, জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লটজ, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।
অনুষ্ঠানের আয়োজনটি ছিল এয়ারবাসের। তবে কূটনৈতিক উপস্থিতির মধ্য দিয়ে এটি রূপ নেয় একপ্রকার ‘ডিপ্লোমেটিক লবিং’-এ; যা বাংলাদেশের বিমানবহর সম্প্রসারণে এখনো সিদ্ধান্তহীন অবস্থায় থাকা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রতি এয়ারবাসের আগ্রহের ইঙ্গিত বহন করে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নির্মাতা বোয়িং ও ইউরোপের এয়ারবাস—দুই জায়ান্ট কোম্পানি প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
বোয়িং এর মধ্যে ২৫টি উড়োজাহাজ বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে আর এয়ারবাস দিয়েছে ১৪টি—যার মধ্যে রয়েছে ১০টি এ৩৫০ ও চারটি এ৩২০ নিও। উভয় প্রতিষ্ঠানই আকর্ষণীয় প্রস্তাব দিয়েছে। তবে এবার এয়ারবাস কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান আরও শক্ত করতে চাইছে।
আজ আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ওই চার ইউরোপীয় কূটনীতিক।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যঁ-মার্ক সেরে-শার্লে বলেন, ফ্রান্স ও ইউরোপের বিমানশিল্পের কেন্দ্রে অবস্থান করছে এয়ারবাস। প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও উদ্ভাবনের অনন্য সমন্বয়ই একে বিশ্বজুড়ে বিমান সংস্থাগুলোর এক বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বাংলাদেশের এই বিকাশপর্বে এয়ারবাস হতে পারে এক গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।

ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল সংযোগ ও ভৌগোলিক অবস্থান একে আঞ্চলিক অ্যাভিয়েশন হাব হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। বিমানের বহরে এয়ারবাস যুক্ত হলে এর নমনীয়তা, স্থিতিশীলতা ও প্রতিযোগিতা সক্ষমতা আরও বাড়বে।
জার্মান রাষ্ট্রদূত রুডিগার লটজ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত বাড়ছে। মধ্যবিত্ত শ্রেণি সম্প্রসারিত হচ্ছে। বিমানের এখন প্রয়োজন আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব উড়োজাহাজ, যেখানে এয়ারবাস শক্ত অবস্থানে রয়েছে।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক জানান, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও আঞ্চলিক বিমান পরিবহন হাব হওয়ার লক্ষ্যে যুক্তরাজ্য সব সময় পাশে থাকবে।
অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেন, বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে বাণিজ্যিক অংশীদারত্ব আরও গভীর করতে হবে। অ্যাভিয়েশন খাত এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সেতুবন্ধন তৈরি করতে পারে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এয়ারবাসের কমার্শিয়াল সেলস ডিরেক্টর (চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ, বাংলাদেশ) রাফায়েল গোমেজ নয়া।
রাফায়েল গোমেজ বলেন, বিশ্বে এখন পর্যন্ত এয়ারবাস ২৫ হাজার ১২৯টি উড়োজাহাজ বিক্রি করেছে, যার মধ্যে ১৬ হাজার ৪৭০টি ইতিমধ্যে ডেলিভারি দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পরিচালিত ফ্লাইটের ৭২ শতাংশেই এয়ারবাস ব্যবহৃত হচ্ছে।
রাফায়েল গোমেজ আরও যোগ করেন, ‘অন্য উড়োজাহাজগুলোর তুলনায় এয়ারবাস পরিচালন ব্যয়ে প্রায় ২০ শতাংশ সাশ্রয়ী। বাংলাদেশেও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস সফলতার সঙ্গে তিনটি এয়ারবাস ব্যবহার করছে। আশা করছি, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসও সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।’

বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল অ্যাভিয়েশন খাতে নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে এবার সরাসরি কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে ইউরোপের শীর্ষ বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস।
আজ মঙ্গলবার ঢাকায় ফ্রান্স–জার্মান দূতাবাসে ‘বাংলাদেশের অ্যাভিয়েশন গ্রোথ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধিদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন চার প্রভাবশালী ইউরোপীয় কূটনীতিক।
তাঁরা হলেন ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যঁ-মার্ক সেরে-শার্লে, জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লটজ, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।
অনুষ্ঠানের আয়োজনটি ছিল এয়ারবাসের। তবে কূটনৈতিক উপস্থিতির মধ্য দিয়ে এটি রূপ নেয় একপ্রকার ‘ডিপ্লোমেটিক লবিং’-এ; যা বাংলাদেশের বিমানবহর সম্প্রসারণে এখনো সিদ্ধান্তহীন অবস্থায় থাকা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রতি এয়ারবাসের আগ্রহের ইঙ্গিত বহন করে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নির্মাতা বোয়িং ও ইউরোপের এয়ারবাস—দুই জায়ান্ট কোম্পানি প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
বোয়িং এর মধ্যে ২৫টি উড়োজাহাজ বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে আর এয়ারবাস দিয়েছে ১৪টি—যার মধ্যে রয়েছে ১০টি এ৩৫০ ও চারটি এ৩২০ নিও। উভয় প্রতিষ্ঠানই আকর্ষণীয় প্রস্তাব দিয়েছে। তবে এবার এয়ারবাস কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান আরও শক্ত করতে চাইছে।
আজ আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ওই চার ইউরোপীয় কূটনীতিক।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যঁ-মার্ক সেরে-শার্লে বলেন, ফ্রান্স ও ইউরোপের বিমানশিল্পের কেন্দ্রে অবস্থান করছে এয়ারবাস। প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও উদ্ভাবনের অনন্য সমন্বয়ই একে বিশ্বজুড়ে বিমান সংস্থাগুলোর এক বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বাংলাদেশের এই বিকাশপর্বে এয়ারবাস হতে পারে এক গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।

ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল সংযোগ ও ভৌগোলিক অবস্থান একে আঞ্চলিক অ্যাভিয়েশন হাব হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। বিমানের বহরে এয়ারবাস যুক্ত হলে এর নমনীয়তা, স্থিতিশীলতা ও প্রতিযোগিতা সক্ষমতা আরও বাড়বে।
জার্মান রাষ্ট্রদূত রুডিগার লটজ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত বাড়ছে। মধ্যবিত্ত শ্রেণি সম্প্রসারিত হচ্ছে। বিমানের এখন প্রয়োজন আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব উড়োজাহাজ, যেখানে এয়ারবাস শক্ত অবস্থানে রয়েছে।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক জানান, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও আঞ্চলিক বিমান পরিবহন হাব হওয়ার লক্ষ্যে যুক্তরাজ্য সব সময় পাশে থাকবে।
অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেন, বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে বাণিজ্যিক অংশীদারত্ব আরও গভীর করতে হবে। অ্যাভিয়েশন খাত এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সেতুবন্ধন তৈরি করতে পারে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এয়ারবাসের কমার্শিয়াল সেলস ডিরেক্টর (চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ, বাংলাদেশ) রাফায়েল গোমেজ নয়া।
রাফায়েল গোমেজ বলেন, বিশ্বে এখন পর্যন্ত এয়ারবাস ২৫ হাজার ১২৯টি উড়োজাহাজ বিক্রি করেছে, যার মধ্যে ১৬ হাজার ৪৭০টি ইতিমধ্যে ডেলিভারি দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পরিচালিত ফ্লাইটের ৭২ শতাংশেই এয়ারবাস ব্যবহৃত হচ্ছে।
রাফায়েল গোমেজ আরও যোগ করেন, ‘অন্য উড়োজাহাজগুলোর তুলনায় এয়ারবাস পরিচালন ব্যয়ে প্রায় ২০ শতাংশ সাশ্রয়ী। বাংলাদেশেও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস সফলতার সঙ্গে তিনটি এয়ারবাস ব্যবহার করছে। আশা করছি, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসও সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের দ্বিতীয় বৈঠকে আজ রোববার ৫০টি সংসদীয় কমিটির ১২টি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এবং বাকি ছয়টি সংসদ-সম্পর্কিত কমিটি। কমিটিগুলোর মধ্যে কার্য উপদেষ্টা কমিটি ও সংসদ কমিটি স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী নিজেই ঘোষণা করেন। অন্যগুলো সংসদ
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন চৌধুরী), তাঁর ভাই মাদারীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাবেক পিএস অ্যাডভোকেট তোফিকা আফতাব ওরফে তৌফিকা করিমসহ পাঁচজনের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৮ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঘটনাটি তদন্তে এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিনিয়র সচিব কমিটির প্রধান। তিনি কয়েকটি দেশে চিঠি পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে দু-একটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞরাও এসে তদন্তে অংশ নিয়েছেন। তবে এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না—আসলেই কোনো অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যাঁরা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় কারাভোগ করেছেন—এমন ৩৭ বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার সময় অস্ত্র চুরির অভিযোগটি তদন্তাধীন। আসলেই সেখান থেকে কোনো অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না, তা তদন্ত শেষে জানা যাবে।
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে কোর কমিটির বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
অস্ত্র চুরির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঘটনাটি তদন্তে এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিনিয়র সচিব কমিটির প্রধান। তিনি কয়েকটি দেশে চিঠি পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে দু-একটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞরাও এসে তদন্তে অংশ নিয়েছেন। তবে এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না—আসলেই কোনো অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যদি প্রমাণ হয় যে অস্ত্র চুরি হয়েছে, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা সংস্থাকে আইনের আওতায় আনা হবে। এখন পর্যন্ত কতটি অস্ত্র চুরি হয়েছে বা আদৌ হয়েছে কি না—তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গত ১৮ অক্টোবর রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে (পণ্য রাখার স্থান) ভয়াবহ আগুন লাগে। সেখানে থাকা বিভিন্ন আমদানি-রপ্তানি পণ্যের পাশাপাশি কিছু সরকারি সংস্থার মালামাল সংরক্ষিত ছিল।
পরে জানা যায়, সেখানে রক্ষিত একটি ভল্ট ভেঙে সাতটি অস্ত্র চুরি হয়েছে। বিমানবন্দর থানায় এ নিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার সময় অস্ত্র চুরির অভিযোগটি তদন্তাধীন। আসলেই সেখান থেকে কোনো অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না, তা তদন্ত শেষে জানা যাবে।
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে কোর কমিটির বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
অস্ত্র চুরির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঘটনাটি তদন্তে এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিনিয়র সচিব কমিটির প্রধান। তিনি কয়েকটি দেশে চিঠি পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে দু-একটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞরাও এসে তদন্তে অংশ নিয়েছেন। তবে এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না—আসলেই কোনো অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যদি প্রমাণ হয় যে অস্ত্র চুরি হয়েছে, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা সংস্থাকে আইনের আওতায় আনা হবে। এখন পর্যন্ত কতটি অস্ত্র চুরি হয়েছে বা আদৌ হয়েছে কি না—তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গত ১৮ অক্টোবর রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে (পণ্য রাখার স্থান) ভয়াবহ আগুন লাগে। সেখানে থাকা বিভিন্ন আমদানি-রপ্তানি পণ্যের পাশাপাশি কিছু সরকারি সংস্থার মালামাল সংরক্ষিত ছিল।
পরে জানা যায়, সেখানে রক্ষিত একটি ভল্ট ভেঙে সাতটি অস্ত্র চুরি হয়েছে। বিমানবন্দর থানায় এ নিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের দ্বিতীয় বৈঠকে আজ রোববার ৫০টি সংসদীয় কমিটির ১২টি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এবং বাকি ছয়টি সংসদ-সম্পর্কিত কমিটি। কমিটিগুলোর মধ্যে কার্য উপদেষ্টা কমিটি ও সংসদ কমিটি স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী নিজেই ঘোষণা করেন। অন্যগুলো সংসদ
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন চৌধুরী), তাঁর ভাই মাদারীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাবেক পিএস অ্যাডভোকেট তোফিকা আফতাব ওরফে তৌফিকা করিমসহ পাঁচজনের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৮ মিনিট আগে
বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নির্মাতা বোয়িং ও ইউরোপের এয়ারবাস—দুই জায়ান্ট কোম্পানি প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
১ ঘণ্টা আগে
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যাঁরা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় কারাভোগ করেছেন—এমন ৩৭ বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যাঁরা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় কারাভোগ করেছেন—এমন ৩৭ বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
কারা অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী এক-দুই দিনের মধ্যেই সরকারের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি বন্দীদের তালিকা অনুমোদন করেছে। কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলা কারাগারগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে এই তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছিল।
কারা অধিদপ্তর জানায়, কারাবিধির ৫৬৯ ধারা অনুযায়ী এই বন্দীদের অবশিষ্ট সাজা মওকুফ করা হয়েছে। মুক্তি পেতে যাওয়া এই বন্দীরা সবাই রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় কারাভোগ করেছেন।
কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) মো. জান্নাত-উল ফরহাদ বলেন, ‘৩০ বছর বা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যারা রেয়াতসহ ২০ বছর অতিক্রম করেছেন, তাঁদের মামলা বিচারিকভাবে পর্যালোচনা করা হয়েছে। বয়স, কারাজীবনে আচরণ ও অন্যান্য বিবেচনায় সরকার তাঁদের অবশিষ্ট সাজা মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চূড়ান্ত তালিকায় ৩৭ জন বন্দীর নাম রয়েছে। কারও অবশিষ্ট সাজা ছিল ১০ বছর, কারও সাত বা ছয় বছর—সবই মওকুফ করে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।’
কারা অধিদপ্তর আরও জানায়, যদিও প্রস্তাবে নারী-পুরুষ উভয়কেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, কিন্তু চূড়ান্ত তালিকায় কোনো নারী বন্দী নেই। মুক্তি পেতে যাওয়া অধিকাংশ বন্দী হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত এবং দেশের বিভিন্ন কারাগারে তাঁরা সাজা ভোগ করছিলেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘দেশের বিভিন্ন কারাগারে আটক বন্দীদের মধ্যে যাঁরা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি কারাভোগ করেছেন, তাঁদের মামলার প্রকৃতি, কারাজীবনে আচরণ, কারা অপরাধ, বয়স ইত্যাদি বিবেচনায় সদাশয় সরকার কারাবিধির ৫৬৯ ধারার আলোকে ৩৭ জন বন্দীর অবশিষ্ট সাজা মওকুফ করে আজ মুক্তির আদেশ দিয়েছেন। আদেশ পাওয়ার পরই তা কার্যকর করা হবে।’
আরও খবর পড়ুন:

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যাঁরা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় কারাভোগ করেছেন—এমন ৩৭ বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
কারা অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী এক-দুই দিনের মধ্যেই সরকারের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি বন্দীদের তালিকা অনুমোদন করেছে। কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলা কারাগারগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে এই তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছিল।
কারা অধিদপ্তর জানায়, কারাবিধির ৫৬৯ ধারা অনুযায়ী এই বন্দীদের অবশিষ্ট সাজা মওকুফ করা হয়েছে। মুক্তি পেতে যাওয়া এই বন্দীরা সবাই রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় কারাভোগ করেছেন।
কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) মো. জান্নাত-উল ফরহাদ বলেন, ‘৩০ বছর বা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যারা রেয়াতসহ ২০ বছর অতিক্রম করেছেন, তাঁদের মামলা বিচারিকভাবে পর্যালোচনা করা হয়েছে। বয়স, কারাজীবনে আচরণ ও অন্যান্য বিবেচনায় সরকার তাঁদের অবশিষ্ট সাজা মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চূড়ান্ত তালিকায় ৩৭ জন বন্দীর নাম রয়েছে। কারও অবশিষ্ট সাজা ছিল ১০ বছর, কারও সাত বা ছয় বছর—সবই মওকুফ করে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।’
কারা অধিদপ্তর আরও জানায়, যদিও প্রস্তাবে নারী-পুরুষ উভয়কেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, কিন্তু চূড়ান্ত তালিকায় কোনো নারী বন্দী নেই। মুক্তি পেতে যাওয়া অধিকাংশ বন্দী হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত এবং দেশের বিভিন্ন কারাগারে তাঁরা সাজা ভোগ করছিলেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘দেশের বিভিন্ন কারাগারে আটক বন্দীদের মধ্যে যাঁরা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি কারাভোগ করেছেন, তাঁদের মামলার প্রকৃতি, কারাজীবনে আচরণ, কারা অপরাধ, বয়স ইত্যাদি বিবেচনায় সদাশয় সরকার কারাবিধির ৫৬৯ ধারার আলোকে ৩৭ জন বন্দীর অবশিষ্ট সাজা মওকুফ করে আজ মুক্তির আদেশ দিয়েছেন। আদেশ পাওয়ার পরই তা কার্যকর করা হবে।’
আরও খবর পড়ুন:

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের দ্বিতীয় বৈঠকে আজ রোববার ৫০টি সংসদীয় কমিটির ১২টি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এবং বাকি ছয়টি সংসদ-সম্পর্কিত কমিটি। কমিটিগুলোর মধ্যে কার্য উপদেষ্টা কমিটি ও সংসদ কমিটি স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী নিজেই ঘোষণা করেন। অন্যগুলো সংসদ
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন চৌধুরী), তাঁর ভাই মাদারীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাবেক পিএস অ্যাডভোকেট তোফিকা আফতাব ওরফে তৌফিকা করিমসহ পাঁচজনের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৮ মিনিট আগে
বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নির্মাতা বোয়িং ও ইউরোপের এয়ারবাস—দুই জায়ান্ট কোম্পানি প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
১ ঘণ্টা আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঘটনাটি তদন্তে এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিনিয়র সচিব কমিটির প্রধান। তিনি কয়েকটি দেশে চিঠি পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে দু-একটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞরাও এসে তদন্তে অংশ নিয়েছেন। তবে এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না—আসলেই কোনো অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে