নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
স্বচ্ছ নির্বাচনের লক্ষ্যে খোলা মাঠে ভোটের পক্ষে আবারও মত দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার বেগম তাহমিদা আহমদ। তিনি বলেন, ‘ট্রান্সপারেন্ট নির্বাচন যদি চান, তাহলে ওপেন স্পেসে নির্বাচন করার মানসিকতা তৈরি করেন, সেটাই হবে স্বচ্ছ নির্বাচন। তা না হলে ট্রান্সপারেন্ট নির্বাচন কখনো হবে না। এতো সাংবাদিককে একসঙ্গে একোমোডেট (ভোটকক্ষে সংকুলান) করা যাবে না।’
আজ বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ‘সাংবাদিক/গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য নীতিমালা, ২০২৫’ নিয়ে নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি’র (আরএফইডি) সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আগেও গত ২ মার্চ জাতীয় ভোটার দিবসের আলোচনায়ও তিনি খোলা মাঠে ভোটের পক্ষে মত দিয়েছিলেন।
মতবিনিময় সভায় ইসি সাংবাদিকদের দাবির মুখে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের লক্ষ্যে সাংবাদিক নীতিমালা পর্যালোচনা করে প্রয়োজনে সংশোধনের আশ্বাস দেন।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ২৩ জুলাই সাংবাদিক/গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য নীতিমালা, ২০২৫ জারি করে ইসি। এতে ভোটকক্ষ থেকে সরাসরি সম্প্রচার ও গোপন কক্ষের ভেতরে গিয়ে ছবি তোলায় বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এ ছাড়া বৈধ কার্ডধারী সাংবাদিকেরা ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের পর প্রিজাইজিং অফিসারকে অবহিত করে তথ্য, ছবি ও ভিডিও নেবেন; গোপনকক্ষের ছবি তোলা যাবে না; একসঙ্গে দুজনের বেশি সংবাদকর্মী ভোটকক্ষে প্রবেশ করতে পারবে না; ভেতরে থাকতে পারবেন সর্বোচ্চ ১০ মিনিট ও ভেতরে নির্বাচনী কর্মকর্তা, এজেন্ট বা ভোটারের সাক্ষাৎকার নেওয়া যাবে না- এমন বিষয় যুক্ত করা হয়।
আরএফইডি নেতারা সার্বিক বিষয় নিয়ে ভিন্নমত ও আপত্তি তুলে ধরে জানান, বিদ্যমান নীতিমালা বহাল থাকলে সাংবাদিকদের অবাধ তথ্য প্রবাহ বিঘ্নিত হবে। সাংবাদিকদের এসব কড়াকড়ি আরোপ করলে অনিয়ম রোধে ইসির উদ্যোগের সব প্রচেষ্টা ভেস্তে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে বিদ্যমান নীতিমালা সংশোধন করতে হবে।
আরএফইডির প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে, অনুমোদিত সাংবাদিকদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে প্রিজাইডিং অফিসারকে অবহিত করার বিধান বাদ দেওয়া; গোপনকক্ষের ছবি ধারণে বারণ থাকলেও নির্বাচনী অনিয়মের সময় এটি প্রযোজ্য হবে না; একসঙ্গে অন্তত পাঁচ জন সাংবাদিককে ভোটকক্ষে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া; গণমাধ্যম প্রতিনিধিকে বাঁধা দিলে দোষী সাব্যস্ত করার বিধান যুক্ত করা ইত্যাদি।
মতমিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, ‘আপনারা-আমরা সবাই স্বচ্ছ নির্বাচন চাই। একটি ট্রান্সপারেন্ট ভোটের জন্য আপনাদের সহযোগিতা অত্যন্ত প্রয়োজন। অন্যায়কে কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। কাজেই আপনাদের সহযোগিতা চাই। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে দাবি লিখিতভাবে দিয়েছেন। এটি পর্যালোচনা করে আপনাদের জন্য সহজ হয়, যেটা উভয় পক্ষের জন্য, মানুষের জন্য স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য, ফেয়ার নির্বাচনের জন্য যেটা ভালো হয় সেটা ইনশাআল্লাহ করা হবে।’
নির্বাচন কমিশনার জনাব মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘সবচেয়ে মুশকিল হয়ে গেল কি! আমি আপনি আপনারা সবাই মিলে কেউ কিন্তু আস্থার জায়গায় নেই। আমি আস্থার জায়গায় আছি এই দাবি করি না। এই যে আস্থার সংকট এটা আমাদের জাতীয় সংকট।’
আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, ‘প্রত্যেকটা বিষয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা দরকার রয়েছে। আপনাদের দিক থেকেও আমাদেরকে সহযোগিতা করুন। বাস্তবতার নিরিখে যার যার অবস্থান থেকে যাতে আমরা একটা ভালো নির্বাচন করতে পারি সেজন্য পরস্পরকে সহযোগিতা করব। এটি নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনা বিশ্লেষণ আপনাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় দরকার। মূল উদ্দেশ্য যেহেতু আমাদের সবার একটাই, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এগুলো পরবর্তীতে সমাধান করা যায়। নীতিমালার খসড়া নিয়ে সাংবাদিকদের দাবি বিশ্লেষণ করে সমাধান করা হবে।’
মতবিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লা ও ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদও বক্তব্য রাখেন। তবে বৃহস্পতিবার রাতে ১৪ দিনের সফরে কানাডা যাওয়ার প্রস্তুতির মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সিইসি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না।
আরএফইডি সভাপতি কাজী এমাদ উদ্দীন (কাজী জেবেল) মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের জন্য প্রস্তাবিত নীতিমালা উপস্থাপন করেন এবং তা ইসির কাছে হস্তান্তর করেন। সঞ্চালনা করেন আরএফইডি সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।
স্বচ্ছ নির্বাচনের লক্ষ্যে খোলা মাঠে ভোটের পক্ষে আবারও মত দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার বেগম তাহমিদা আহমদ। তিনি বলেন, ‘ট্রান্সপারেন্ট নির্বাচন যদি চান, তাহলে ওপেন স্পেসে নির্বাচন করার মানসিকতা তৈরি করেন, সেটাই হবে স্বচ্ছ নির্বাচন। তা না হলে ট্রান্সপারেন্ট নির্বাচন কখনো হবে না। এতো সাংবাদিককে একসঙ্গে একোমোডেট (ভোটকক্ষে সংকুলান) করা যাবে না।’
আজ বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ‘সাংবাদিক/গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য নীতিমালা, ২০২৫’ নিয়ে নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি’র (আরএফইডি) সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আগেও গত ২ মার্চ জাতীয় ভোটার দিবসের আলোচনায়ও তিনি খোলা মাঠে ভোটের পক্ষে মত দিয়েছিলেন।
মতবিনিময় সভায় ইসি সাংবাদিকদের দাবির মুখে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের লক্ষ্যে সাংবাদিক নীতিমালা পর্যালোচনা করে প্রয়োজনে সংশোধনের আশ্বাস দেন।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ২৩ জুলাই সাংবাদিক/গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য নীতিমালা, ২০২৫ জারি করে ইসি। এতে ভোটকক্ষ থেকে সরাসরি সম্প্রচার ও গোপন কক্ষের ভেতরে গিয়ে ছবি তোলায় বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এ ছাড়া বৈধ কার্ডধারী সাংবাদিকেরা ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের পর প্রিজাইজিং অফিসারকে অবহিত করে তথ্য, ছবি ও ভিডিও নেবেন; গোপনকক্ষের ছবি তোলা যাবে না; একসঙ্গে দুজনের বেশি সংবাদকর্মী ভোটকক্ষে প্রবেশ করতে পারবে না; ভেতরে থাকতে পারবেন সর্বোচ্চ ১০ মিনিট ও ভেতরে নির্বাচনী কর্মকর্তা, এজেন্ট বা ভোটারের সাক্ষাৎকার নেওয়া যাবে না- এমন বিষয় যুক্ত করা হয়।
আরএফইডি নেতারা সার্বিক বিষয় নিয়ে ভিন্নমত ও আপত্তি তুলে ধরে জানান, বিদ্যমান নীতিমালা বহাল থাকলে সাংবাদিকদের অবাধ তথ্য প্রবাহ বিঘ্নিত হবে। সাংবাদিকদের এসব কড়াকড়ি আরোপ করলে অনিয়ম রোধে ইসির উদ্যোগের সব প্রচেষ্টা ভেস্তে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে বিদ্যমান নীতিমালা সংশোধন করতে হবে।
আরএফইডির প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে, অনুমোদিত সাংবাদিকদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে প্রিজাইডিং অফিসারকে অবহিত করার বিধান বাদ দেওয়া; গোপনকক্ষের ছবি ধারণে বারণ থাকলেও নির্বাচনী অনিয়মের সময় এটি প্রযোজ্য হবে না; একসঙ্গে অন্তত পাঁচ জন সাংবাদিককে ভোটকক্ষে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া; গণমাধ্যম প্রতিনিধিকে বাঁধা দিলে দোষী সাব্যস্ত করার বিধান যুক্ত করা ইত্যাদি।
মতমিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, ‘আপনারা-আমরা সবাই স্বচ্ছ নির্বাচন চাই। একটি ট্রান্সপারেন্ট ভোটের জন্য আপনাদের সহযোগিতা অত্যন্ত প্রয়োজন। অন্যায়কে কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। কাজেই আপনাদের সহযোগিতা চাই। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে দাবি লিখিতভাবে দিয়েছেন। এটি পর্যালোচনা করে আপনাদের জন্য সহজ হয়, যেটা উভয় পক্ষের জন্য, মানুষের জন্য স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য, ফেয়ার নির্বাচনের জন্য যেটা ভালো হয় সেটা ইনশাআল্লাহ করা হবে।’
নির্বাচন কমিশনার জনাব মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘সবচেয়ে মুশকিল হয়ে গেল কি! আমি আপনি আপনারা সবাই মিলে কেউ কিন্তু আস্থার জায়গায় নেই। আমি আস্থার জায়গায় আছি এই দাবি করি না। এই যে আস্থার সংকট এটা আমাদের জাতীয় সংকট।’
আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, ‘প্রত্যেকটা বিষয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা দরকার রয়েছে। আপনাদের দিক থেকেও আমাদেরকে সহযোগিতা করুন। বাস্তবতার নিরিখে যার যার অবস্থান থেকে যাতে আমরা একটা ভালো নির্বাচন করতে পারি সেজন্য পরস্পরকে সহযোগিতা করব। এটি নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনা বিশ্লেষণ আপনাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় দরকার। মূল উদ্দেশ্য যেহেতু আমাদের সবার একটাই, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এগুলো পরবর্তীতে সমাধান করা যায়। নীতিমালার খসড়া নিয়ে সাংবাদিকদের দাবি বিশ্লেষণ করে সমাধান করা হবে।’
মতবিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লা ও ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদও বক্তব্য রাখেন। তবে বৃহস্পতিবার রাতে ১৪ দিনের সফরে কানাডা যাওয়ার প্রস্তুতির মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সিইসি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না।
আরএফইডি সভাপতি কাজী এমাদ উদ্দীন (কাজী জেবেল) মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের জন্য প্রস্তাবিত নীতিমালা উপস্থাপন করেন এবং তা ইসির কাছে হস্তান্তর করেন। সঞ্চালনা করেন আরএফইডি সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।
তিনি বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যাঁরা অভিযুক্ত হবেন, তাঁরা কোনো নির্বাচন করতে পারবেন না। আজকের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অধ্যাদেশটির মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্টে সেকশন ২০ (সি) যুক্ত করা হয়েছে।
২১ মিনিট আগেবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৬ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে দুবাইয়ের আল বারশা, জাদ্দাফ, জাবেল আলি, বুর্জ খলিফা ও মার্সা দুবাইসহ বিভিন্ন এলাকায় মোট ২২৬টি ফ্ল্যাট কেনেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী। এসব সম্পত্তির বাজারমূল্য ৩৩ কোটি ৫৬ লাখ দিরহাম। তাঁর স্ত্রী রুকমীলা জামানের নামে আরও দুটি সম্পত্তি কেনা হয়, যার মূল্য ২২ লাখ
১ ঘণ্টা আগেবিবৃতিতে বলা হয়, ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সংগীতবিষয়ক শিক্ষক নিয়োগ জন-আকাঙ্ক্ষা পরিপন্থী। অথচ দীর্ঘ বছর ধরে প্রাইমারি স্কুলগুলোতে একজন আরবি বা নূরানি শিক্ষক নিয়োগের জন্য দেশের উলামায়ে কেরাম দাবি করে আসছেন। সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইসলাম ধর্ম শিক্ষক নিয়োগে এ দেশের অভিভাবকদের দীর্
১ ঘণ্টা আগেইসি সূত্র জানায়, চূড়ান্ত তালিকায় গাজীপুরের ১টি আসন বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং বাগেরহাটের একটি আসন কম রয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে