আজকের পত্রিকা ডেস্ক

‘ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের নিন্দিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সব মামলা এখনো বাতিল হয়নি কেন, এই দাবি খুব জোরালোভাবে ওঠা উচিত। সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪-এর খসড়ায় কালাকানুনের উপাদান রয়ে গেছে। তাই সংশ্লিষ্ট সবার মতামত নিয়ে এ অধ্যাদেশের খসড়া নতুন করে তৈরি করা উচিত।’
আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘ভয়েস ফর রিফর্ম’ আয়োজিত ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ (খসড়া)-রাষ্ট্রীয় নিবর্তনব্যবস্থা বহাল ও ভুক্তভোগীদের বয়ান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ অভিমত দেন।
সভায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ভুক্তভোগীরা তাঁদের তিক্ত অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেন, ‘৭ দিনের মধ্যেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সব মামলা বাতিল হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তারপর বহু ৭ দিন পার হয়ে গেলেও তা বাতিল হয়নি কেন, এই দাবি খুব জোরালোভাবে ওঠা উচিত। যাঁরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার কারণে জেল খেটেছেন, তাঁদের কাছে ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাইতে হবে।’
সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশ, ২০২৪ খসড়া প্রসঙ্গে কামাল আহমেদ বলেন, এই আইন করার ক্ষেত্রে সবার মতামত নেওয়া হয়নি। সরকার সব শ্রেণির নাগরিকদের সঙ্গে আলোচনা করে এই খসড়ার পুনর্লিখন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সভার আয়োজক ‘ভয়েস ফর রিফর্ম’-এর সহ-আহ্বায়ক শহীদুল আলম জানান, তাঁকে ৫৭ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। জামিনের সময় রায়ে বিচারক লিখেছিলেন, অভিযোগের সঙ্গে সম্পর্কিত আলামত পাওয়া যায়নি। কিন্তু তারপরও সেই মামলা চলমান।
সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাংবাদিক সিমু নাসের। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪; গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা এবং মানবাধিকারের বিরুদ্ধে একটি কালাকানুন। এটি পুলিশকে পরোয়ানা ছাড়াই তল্লাশি ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দিয়ে নাগরিক হয়রানির সুযোগ সৃষ্টি করেছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করে সৃজনশীলতার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। জনগণের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এই অধ্যাদেশ আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। তাই এটি অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানাই।’
সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ভুক্তভোগী ইসরাত জাহান রেইলী তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘দুই বছর সাত মাস আমি কারাগারে ছিলাম। আমাকে জানানো হয়, দোষ স্বীকার করলে খালাস পাব। দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করার পর আমাকে মুক্তি দেওয়া হয়। তার আগে আমার রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছিল। তা কার্যকর করেন একজন পুরুষ কর্মকর্তা। এটি আমার জন্য অত্যন্ত অপমানজনক অভিজ্ঞতা ছিল।’
‘ডিএসএ ভিকটিম নেটওয়ার্ক’-এর আহ্বায়ক দিদারুল ভূঁইয়া আওয়ামী লীগ আমলের বিতর্কিত মামলা এখনো প্রত্যাহার না করার বিষয়ে বলেন, ‘৭ হাজার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার মধ্যে মাত্র একটি বাতিল হয়েছে। সেটি উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের।’
ভয়েস ফর রিফর্মের সহ-আহ্বায়ক ফাহিম মাশরুরের সঞ্চালনায় আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসিব উদ্দিন হোসেন, বাংলাদেশ মোবাইল ফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন, সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী সালিম সামাদ প্রমুখ।

‘ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের নিন্দিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সব মামলা এখনো বাতিল হয়নি কেন, এই দাবি খুব জোরালোভাবে ওঠা উচিত। সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪-এর খসড়ায় কালাকানুনের উপাদান রয়ে গেছে। তাই সংশ্লিষ্ট সবার মতামত নিয়ে এ অধ্যাদেশের খসড়া নতুন করে তৈরি করা উচিত।’
আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘ভয়েস ফর রিফর্ম’ আয়োজিত ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ (খসড়া)-রাষ্ট্রীয় নিবর্তনব্যবস্থা বহাল ও ভুক্তভোগীদের বয়ান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ অভিমত দেন।
সভায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ভুক্তভোগীরা তাঁদের তিক্ত অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেন, ‘৭ দিনের মধ্যেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সব মামলা বাতিল হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তারপর বহু ৭ দিন পার হয়ে গেলেও তা বাতিল হয়নি কেন, এই দাবি খুব জোরালোভাবে ওঠা উচিত। যাঁরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার কারণে জেল খেটেছেন, তাঁদের কাছে ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাইতে হবে।’
সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশ, ২০২৪ খসড়া প্রসঙ্গে কামাল আহমেদ বলেন, এই আইন করার ক্ষেত্রে সবার মতামত নেওয়া হয়নি। সরকার সব শ্রেণির নাগরিকদের সঙ্গে আলোচনা করে এই খসড়ার পুনর্লিখন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সভার আয়োজক ‘ভয়েস ফর রিফর্ম’-এর সহ-আহ্বায়ক শহীদুল আলম জানান, তাঁকে ৫৭ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। জামিনের সময় রায়ে বিচারক লিখেছিলেন, অভিযোগের সঙ্গে সম্পর্কিত আলামত পাওয়া যায়নি। কিন্তু তারপরও সেই মামলা চলমান।
সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাংবাদিক সিমু নাসের। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪; গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা এবং মানবাধিকারের বিরুদ্ধে একটি কালাকানুন। এটি পুলিশকে পরোয়ানা ছাড়াই তল্লাশি ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দিয়ে নাগরিক হয়রানির সুযোগ সৃষ্টি করেছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করে সৃজনশীলতার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। জনগণের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এই অধ্যাদেশ আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। তাই এটি অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানাই।’
সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ভুক্তভোগী ইসরাত জাহান রেইলী তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘দুই বছর সাত মাস আমি কারাগারে ছিলাম। আমাকে জানানো হয়, দোষ স্বীকার করলে খালাস পাব। দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করার পর আমাকে মুক্তি দেওয়া হয়। তার আগে আমার রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছিল। তা কার্যকর করেন একজন পুরুষ কর্মকর্তা। এটি আমার জন্য অত্যন্ত অপমানজনক অভিজ্ঞতা ছিল।’
‘ডিএসএ ভিকটিম নেটওয়ার্ক’-এর আহ্বায়ক দিদারুল ভূঁইয়া আওয়ামী লীগ আমলের বিতর্কিত মামলা এখনো প্রত্যাহার না করার বিষয়ে বলেন, ‘৭ হাজার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার মধ্যে মাত্র একটি বাতিল হয়েছে। সেটি উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের।’
ভয়েস ফর রিফর্মের সহ-আহ্বায়ক ফাহিম মাশরুরের সঞ্চালনায় আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসিব উদ্দিন হোসেন, বাংলাদেশ মোবাইল ফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন, সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী সালিম সামাদ প্রমুখ।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

‘ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের নিন্দিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সব মামলা এখনো বাতিল হয়নি কেন, এই দাবি খুব জোরালোভাবে ওঠা উচিত। সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪-এর খসড়ায় কালাকানুনের উপাদান রয়ে গেছে। তাই সংশ্লিষ্ট সবার মতামত নিয়ে এ অধ্যাদেশের খসড়া নতুন করে তৈরি করা উচিত।’
আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘ভয়েস ফর রিফর্ম’ আয়োজিত ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ (খসড়া)-রাষ্ট্রীয় নিবর্তনব্যবস্থা বহাল ও ভুক্তভোগীদের বয়ান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ অভিমত দেন।
সভায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ভুক্তভোগীরা তাঁদের তিক্ত অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেন, ‘৭ দিনের মধ্যেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সব মামলা বাতিল হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তারপর বহু ৭ দিন পার হয়ে গেলেও তা বাতিল হয়নি কেন, এই দাবি খুব জোরালোভাবে ওঠা উচিত। যাঁরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার কারণে জেল খেটেছেন, তাঁদের কাছে ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাইতে হবে।’
সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশ, ২০২৪ খসড়া প্রসঙ্গে কামাল আহমেদ বলেন, এই আইন করার ক্ষেত্রে সবার মতামত নেওয়া হয়নি। সরকার সব শ্রেণির নাগরিকদের সঙ্গে আলোচনা করে এই খসড়ার পুনর্লিখন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সভার আয়োজক ‘ভয়েস ফর রিফর্ম’-এর সহ-আহ্বায়ক শহীদুল আলম জানান, তাঁকে ৫৭ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। জামিনের সময় রায়ে বিচারক লিখেছিলেন, অভিযোগের সঙ্গে সম্পর্কিত আলামত পাওয়া যায়নি। কিন্তু তারপরও সেই মামলা চলমান।
সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাংবাদিক সিমু নাসের। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪; গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা এবং মানবাধিকারের বিরুদ্ধে একটি কালাকানুন। এটি পুলিশকে পরোয়ানা ছাড়াই তল্লাশি ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দিয়ে নাগরিক হয়রানির সুযোগ সৃষ্টি করেছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করে সৃজনশীলতার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। জনগণের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এই অধ্যাদেশ আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। তাই এটি অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানাই।’
সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ভুক্তভোগী ইসরাত জাহান রেইলী তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘দুই বছর সাত মাস আমি কারাগারে ছিলাম। আমাকে জানানো হয়, দোষ স্বীকার করলে খালাস পাব। দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করার পর আমাকে মুক্তি দেওয়া হয়। তার আগে আমার রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছিল। তা কার্যকর করেন একজন পুরুষ কর্মকর্তা। এটি আমার জন্য অত্যন্ত অপমানজনক অভিজ্ঞতা ছিল।’
‘ডিএসএ ভিকটিম নেটওয়ার্ক’-এর আহ্বায়ক দিদারুল ভূঁইয়া আওয়ামী লীগ আমলের বিতর্কিত মামলা এখনো প্রত্যাহার না করার বিষয়ে বলেন, ‘৭ হাজার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার মধ্যে মাত্র একটি বাতিল হয়েছে। সেটি উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের।’
ভয়েস ফর রিফর্মের সহ-আহ্বায়ক ফাহিম মাশরুরের সঞ্চালনায় আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসিব উদ্দিন হোসেন, বাংলাদেশ মোবাইল ফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন, সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী সালিম সামাদ প্রমুখ।

‘ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের নিন্দিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সব মামলা এখনো বাতিল হয়নি কেন, এই দাবি খুব জোরালোভাবে ওঠা উচিত। সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪-এর খসড়ায় কালাকানুনের উপাদান রয়ে গেছে। তাই সংশ্লিষ্ট সবার মতামত নিয়ে এ অধ্যাদেশের খসড়া নতুন করে তৈরি করা উচিত।’
আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘ভয়েস ফর রিফর্ম’ আয়োজিত ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ (খসড়া)-রাষ্ট্রীয় নিবর্তনব্যবস্থা বহাল ও ভুক্তভোগীদের বয়ান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ অভিমত দেন।
সভায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ভুক্তভোগীরা তাঁদের তিক্ত অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেন, ‘৭ দিনের মধ্যেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সব মামলা বাতিল হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তারপর বহু ৭ দিন পার হয়ে গেলেও তা বাতিল হয়নি কেন, এই দাবি খুব জোরালোভাবে ওঠা উচিত। যাঁরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার কারণে জেল খেটেছেন, তাঁদের কাছে ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাইতে হবে।’
সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশ, ২০২৪ খসড়া প্রসঙ্গে কামাল আহমেদ বলেন, এই আইন করার ক্ষেত্রে সবার মতামত নেওয়া হয়নি। সরকার সব শ্রেণির নাগরিকদের সঙ্গে আলোচনা করে এই খসড়ার পুনর্লিখন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সভার আয়োজক ‘ভয়েস ফর রিফর্ম’-এর সহ-আহ্বায়ক শহীদুল আলম জানান, তাঁকে ৫৭ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। জামিনের সময় রায়ে বিচারক লিখেছিলেন, অভিযোগের সঙ্গে সম্পর্কিত আলামত পাওয়া যায়নি। কিন্তু তারপরও সেই মামলা চলমান।
সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাংবাদিক সিমু নাসের। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪; গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা এবং মানবাধিকারের বিরুদ্ধে একটি কালাকানুন। এটি পুলিশকে পরোয়ানা ছাড়াই তল্লাশি ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দিয়ে নাগরিক হয়রানির সুযোগ সৃষ্টি করেছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করে সৃজনশীলতার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। জনগণের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এই অধ্যাদেশ আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। তাই এটি অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানাই।’
সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ভুক্তভোগী ইসরাত জাহান রেইলী তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘দুই বছর সাত মাস আমি কারাগারে ছিলাম। আমাকে জানানো হয়, দোষ স্বীকার করলে খালাস পাব। দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করার পর আমাকে মুক্তি দেওয়া হয়। তার আগে আমার রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছিল। তা কার্যকর করেন একজন পুরুষ কর্মকর্তা। এটি আমার জন্য অত্যন্ত অপমানজনক অভিজ্ঞতা ছিল।’
‘ডিএসএ ভিকটিম নেটওয়ার্ক’-এর আহ্বায়ক দিদারুল ভূঁইয়া আওয়ামী লীগ আমলের বিতর্কিত মামলা এখনো প্রত্যাহার না করার বিষয়ে বলেন, ‘৭ হাজার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার মধ্যে মাত্র একটি বাতিল হয়েছে। সেটি উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের।’
ভয়েস ফর রিফর্মের সহ-আহ্বায়ক ফাহিম মাশরুরের সঞ্চালনায় আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসিব উদ্দিন হোসেন, বাংলাদেশ মোবাইল ফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন, সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী সালিম সামাদ প্রমুখ।

নিজের চাচা-চাচিকে বাবা-মা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেনকে ওএসডি করেছে সরকার। আজ বুধবার তাঁকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
৭ মিনিট আগে
আসাদুজ্জামান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার মাধ্যমে দেশে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাংলাদেশে আসার পরে যেভাবে দেশের গণতন্ত্র উন্নত হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলোপের পরে সেই সুযোগ হয়নি। এই ব্যবস্থা বাতিল করার পর...
৩০ মিনিট আগে
সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের পারিতোষিক, ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকারসংক্রান্ত আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে। ১৩ জনের পক্ষে এ রিট করা হয়েছে বলে আজ বুধবার জানিয়েছেন তাঁদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
৪১ মিনিট আগে
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) কর জালিয়াতি ও প্রতিষ্ঠানের নামে অনৈতিক অর্থ সুবিধা নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ৮ জনের...
১ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

নিজের চাচা-চাচিকে বাবা-মা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেনকে ওএসডি করেছে সরকার। আজ বুধবার তাঁকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
কামাল হোসেন তাঁর পিতা-মাতা মো. আবুল কাশেম ও মোছা. হাবীয়া খাতুনের পরিবর্তে নিজের চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আহসান হাবীব ও চাচি মোছা. সানোয়ারা খাতুনকে পিতা-মাতা দেখিয়ে ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মুক্তিযোদ্ধা কোটার সুবিধা নিতে জালিয়াতির অভিযোগে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর দুদকের ঢাকা-১-এর সম্মিলিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. মনজুরুল ইসলাম মিন্টু বাদী হয়ে কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
কামাল হোসেনের প্রকৃত মা-বাবা কারা, তা নিশ্চিত হতে গত মঙ্গলবার ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। দুদক আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরদিন ইউএনও কামাল হোসেনকে ওএসডি করা হলো।

নিজের চাচা-চাচিকে বাবা-মা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেনকে ওএসডি করেছে সরকার। আজ বুধবার তাঁকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
কামাল হোসেন তাঁর পিতা-মাতা মো. আবুল কাশেম ও মোছা. হাবীয়া খাতুনের পরিবর্তে নিজের চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আহসান হাবীব ও চাচি মোছা. সানোয়ারা খাতুনকে পিতা-মাতা দেখিয়ে ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মুক্তিযোদ্ধা কোটার সুবিধা নিতে জালিয়াতির অভিযোগে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর দুদকের ঢাকা-১-এর সম্মিলিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. মনজুরুল ইসলাম মিন্টু বাদী হয়ে কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
কামাল হোসেনের প্রকৃত মা-বাবা কারা, তা নিশ্চিত হতে গত মঙ্গলবার ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। দুদক আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরদিন ইউএনও কামাল হোসেনকে ওএসডি করা হলো।

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেন, যাঁরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার কারণে জেল খেটেছেন, তাঁদের কাছে ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাইতে হবে।’
১১ জানুয়ারি ২০২৫
আসাদুজ্জামান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার মাধ্যমে দেশে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাংলাদেশে আসার পরে যেভাবে দেশের গণতন্ত্র উন্নত হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলোপের পরে সেই সুযোগ হয়নি। এই ব্যবস্থা বাতিল করার পর...
৩০ মিনিট আগে
সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের পারিতোষিক, ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকারসংক্রান্ত আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে। ১৩ জনের পক্ষে এ রিট করা হয়েছে বলে আজ বুধবার জানিয়েছেন তাঁদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
৪১ মিনিট আগে
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) কর জালিয়াতি ও প্রতিষ্ঠানের নামে অনৈতিক অর্থ সুবিধা নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ৮ জনের...
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘জুলাই বিপ্লবীরা যদি ঐক্যবদ্ধভাবে বলত, “আমরা ৭২-এর সংবিধান চাই না, আমরা নতুন সংবিধান রচনা করতে চাই”—তাহলে সেটাই হতো সংবিধান। কিন্তু তাদের মধ্যে বিভেদ থাকলে হবে না। ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানিতে আজ বুধবার এসব কথা বলেন রাষ্ট্রের প্রধান এই আইন কর্মকর্তা।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগে অষ্টম দিনের মতো এ বিষয়ে শুনানি হয়।
এদিন আরও শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আনীক আর হক এবং বিএনপি-সমর্থিত আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল।
শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘হাকিম নড়ে তো হুকুম নড়ে না। খায়রুল হক সাহেবরা হুকুম নড়ায়ে দিয়েছেন সংক্ষিপ্ত রায় এবং পূর্ণাঙ্গ রায়ের মধ্য দিয়ে; যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। শাস্তি হতে পারে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড। সংবিধান একটা অরগানিক ডকুমেন্ট। এটা বিভিন্ন রকমভাবে উপস্থাপিত হয়। কোরআন কিংবা বাইবেল—কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না। সংবিধান পরিবর্তনযোগ্য। আজকে সংবিধানের অ্যামেন্ডমেন্টে (সংশোধন) যদি বলে দেন, তত্ত্বাবধায়কে ফিরে গেলাম, সেটাই যে অ্যাবসোলিউট (যথাযথ) হবে—তাও না। এটাও জনগণের চাহিদা অনুসারে হবে। জনগণ যদি মনে করে, এটাতে তার ভোটাধিকার নিশ্চিত হচ্ছে না, জনগণ ইচ্ছা করলে এর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে পারবে।’
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা মনে করি, ওই (তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল) রায় থাকা উচিত না। আমরা বিশ্বাস করি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রায়টা লেখা হয়েছে একটি বিশেষ দলকে সুবিধা দেওয়ার জন্য। এই রায় দুটি গ্রাউন্ডে বাতিল হবে। সাতজন মিলে ঘোষণা করলেন, আগামী দুটি সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে। সেখানে উনারা ডেভিয়েট (বিচ্যুত) করে পূর্ণাঙ্গ যে রায় দিলেন, তা ওপেন ঘোষণা রায়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ঘোষিত রায় পরিবর্তন করার জন্য রিভিউ করতে হবে। রিভিউ যেকোনো পক্ষ করতে পারে। আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়েও করতে পারেন। খায়রুল হক সেই পথে না গিয়ে যে পথে হেঁটেছেন, তা আইনের ব্যত্যয়। রিভিউ না করে উনি রায় পরিবর্তন করেছেন। এটা দণ্ডবিধির ২১৯ ধারা অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। উনি পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে জানতেন, এ ধরনের পরিবর্তন করা আইনে সম্ভব নয়। তারপরও উনি সেটা করেছেন।’
আসাদুজ্জামান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাংলাদেশে আসার পরে যেভাবে দেশের গণতন্ত্র উন্নত হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলোপের পরে সেই সুযোগ হয়নি। এই ব্যবস্থা বাতিল করার পর হত্যা, গুম, রাতের বেলায় ভোট দেওয়া, মিথ্যা মামলায় মানুষকে কারাগারে পাঠানো—এ ধরনের রাজনীতি শুরু হয়। ৭০ লাখের মতো মানুষ গায়েবি মামলায় আসামি হয়। সেই কারণে এটা ২১৯ ধারার অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘জুলাই বিপ্লবীরা যদি ঐক্যবদ্ধভাবে বলত, “আমরা ৭২-এর সংবিধান চাই না, আমরা নতুন সংবিধান রচনা করতে চাই”—তাহলে সেটাই হতো সংবিধান। কিন্তু তাদের মধ্যে বিভেদ থাকলে হবে না। ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানিতে আজ বুধবার এসব কথা বলেন রাষ্ট্রের প্রধান এই আইন কর্মকর্তা।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগে অষ্টম দিনের মতো এ বিষয়ে শুনানি হয়।
এদিন আরও শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আনীক আর হক এবং বিএনপি-সমর্থিত আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল।
শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘হাকিম নড়ে তো হুকুম নড়ে না। খায়রুল হক সাহেবরা হুকুম নড়ায়ে দিয়েছেন সংক্ষিপ্ত রায় এবং পূর্ণাঙ্গ রায়ের মধ্য দিয়ে; যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। শাস্তি হতে পারে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড। সংবিধান একটা অরগানিক ডকুমেন্ট। এটা বিভিন্ন রকমভাবে উপস্থাপিত হয়। কোরআন কিংবা বাইবেল—কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না। সংবিধান পরিবর্তনযোগ্য। আজকে সংবিধানের অ্যামেন্ডমেন্টে (সংশোধন) যদি বলে দেন, তত্ত্বাবধায়কে ফিরে গেলাম, সেটাই যে অ্যাবসোলিউট (যথাযথ) হবে—তাও না। এটাও জনগণের চাহিদা অনুসারে হবে। জনগণ যদি মনে করে, এটাতে তার ভোটাধিকার নিশ্চিত হচ্ছে না, জনগণ ইচ্ছা করলে এর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে পারবে।’
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা মনে করি, ওই (তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল) রায় থাকা উচিত না। আমরা বিশ্বাস করি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রায়টা লেখা হয়েছে একটি বিশেষ দলকে সুবিধা দেওয়ার জন্য। এই রায় দুটি গ্রাউন্ডে বাতিল হবে। সাতজন মিলে ঘোষণা করলেন, আগামী দুটি সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে। সেখানে উনারা ডেভিয়েট (বিচ্যুত) করে পূর্ণাঙ্গ যে রায় দিলেন, তা ওপেন ঘোষণা রায়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ঘোষিত রায় পরিবর্তন করার জন্য রিভিউ করতে হবে। রিভিউ যেকোনো পক্ষ করতে পারে। আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়েও করতে পারেন। খায়রুল হক সেই পথে না গিয়ে যে পথে হেঁটেছেন, তা আইনের ব্যত্যয়। রিভিউ না করে উনি রায় পরিবর্তন করেছেন। এটা দণ্ডবিধির ২১৯ ধারা অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। উনি পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে জানতেন, এ ধরনের পরিবর্তন করা আইনে সম্ভব নয়। তারপরও উনি সেটা করেছেন।’
আসাদুজ্জামান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাংলাদেশে আসার পরে যেভাবে দেশের গণতন্ত্র উন্নত হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলোপের পরে সেই সুযোগ হয়নি। এই ব্যবস্থা বাতিল করার পর হত্যা, গুম, রাতের বেলায় ভোট দেওয়া, মিথ্যা মামলায় মানুষকে কারাগারে পাঠানো—এ ধরনের রাজনীতি শুরু হয়। ৭০ লাখের মতো মানুষ গায়েবি মামলায় আসামি হয়। সেই কারণে এটা ২১৯ ধারার অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেন, যাঁরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার কারণে জেল খেটেছেন, তাঁদের কাছে ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাইতে হবে।’
১১ জানুয়ারি ২০২৫
নিজের চাচা-চাচিকে বাবা-মা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেনকে ওএসডি করেছে সরকার। আজ বুধবার তাঁকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
৭ মিনিট আগে
সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের পারিতোষিক, ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকারসংক্রান্ত আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে। ১৩ জনের পক্ষে এ রিট করা হয়েছে বলে আজ বুধবার জানিয়েছেন তাঁদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
৪১ মিনিট আগে
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) কর জালিয়াতি ও প্রতিষ্ঠানের নামে অনৈতিক অর্থ সুবিধা নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ৮ জনের...
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের পারিতোষিক, ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকারসংক্রান্ত আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে। ১৩ জনের পক্ষে এ রিট করা হয়েছে বলে আজ বুধবার জানিয়েছেন তাঁদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
রিটকারীরা হলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, আবদুল্লাহ সাদিক, মো. মিজানুল হক, আব্দুল ওয়াদুদ, রহিম উল্লাহ, আমিনুল ইসলাম শাকিল, ঢাকার জেলা জজ আদালতের আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ, শিক্ষানবিশ আইনজীবী সাব্বির রহমান, মাহমুদুল হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের শিক্ষার্থী সাখাওয়াত জাকারিয়া, রাফিউল সাব্বির, শামিম সাহিদি ও হাবিবুর রহমান আল হাসান।
রিট আবেদনে বলা হয়, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর অংশ। সংবিধানের ৯৪(৪) ও ১৪৭(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের আর্থিক স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা সংবিধান প্রদত্ত অধিকার। তবে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) আইন, ২০২১ ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকার) আইন, ২০২৩ অনুযায়ী বিচারকদের বেতন, পেনশন ও বিশেষাধিকার এমনভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে, যা বাস্তবে তাঁদের আর্থিক স্বাধীনতা ও প্রাতিষ্ঠানিক মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করছে।
আবেদনে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের প্রধান বিচারপতি ও বিচারকদের বেতনকাঠামো তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের আর্থিক অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় নিম্ন স্তরে রয়েছে। এই অসামঞ্জস্য শুধু আর্থিক নয়, বরং বিচার বিভাগের মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের মানের প্রতি সাংঘর্ষিক।
রিটে আরও বলা হয়, সংবিধানে প্রদত্ত বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ক্ষমতার বিভাজনের নীতিকে উপেক্ষা করে সংসদ তার সাংবিধানিক ক্ষমতার সীমা অতিক্রম করে উক্ত আইন দুটি প্রণয়ন করেছে। এর ফলে বিচারপতিদের জন্য এক অন্যায্য ও বৈষম্যমূলক বেতনকাঠামো সৃষ্টি হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের পারিতোষিক, ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকারসংক্রান্ত আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে। ১৩ জনের পক্ষে এ রিট করা হয়েছে বলে আজ বুধবার জানিয়েছেন তাঁদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
রিটকারীরা হলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, আবদুল্লাহ সাদিক, মো. মিজানুল হক, আব্দুল ওয়াদুদ, রহিম উল্লাহ, আমিনুল ইসলাম শাকিল, ঢাকার জেলা জজ আদালতের আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ, শিক্ষানবিশ আইনজীবী সাব্বির রহমান, মাহমুদুল হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের শিক্ষার্থী সাখাওয়াত জাকারিয়া, রাফিউল সাব্বির, শামিম সাহিদি ও হাবিবুর রহমান আল হাসান।
রিট আবেদনে বলা হয়, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর অংশ। সংবিধানের ৯৪(৪) ও ১৪৭(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের আর্থিক স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা সংবিধান প্রদত্ত অধিকার। তবে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) আইন, ২০২১ ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকার) আইন, ২০২৩ অনুযায়ী বিচারকদের বেতন, পেনশন ও বিশেষাধিকার এমনভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে, যা বাস্তবে তাঁদের আর্থিক স্বাধীনতা ও প্রাতিষ্ঠানিক মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করছে।
আবেদনে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের প্রধান বিচারপতি ও বিচারকদের বেতনকাঠামো তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের আর্থিক অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় নিম্ন স্তরে রয়েছে। এই অসামঞ্জস্য শুধু আর্থিক নয়, বরং বিচার বিভাগের মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের মানের প্রতি সাংঘর্ষিক।
রিটে আরও বলা হয়, সংবিধানে প্রদত্ত বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ক্ষমতার বিভাজনের নীতিকে উপেক্ষা করে সংসদ তার সাংবিধানিক ক্ষমতার সীমা অতিক্রম করে উক্ত আইন দুটি প্রণয়ন করেছে। এর ফলে বিচারপতিদের জন্য এক অন্যায্য ও বৈষম্যমূলক বেতনকাঠামো সৃষ্টি হয়েছে।

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেন, যাঁরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার কারণে জেল খেটেছেন, তাঁদের কাছে ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাইতে হবে।’
১১ জানুয়ারি ২০২৫
নিজের চাচা-চাচিকে বাবা-মা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেনকে ওএসডি করেছে সরকার। আজ বুধবার তাঁকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
৭ মিনিট আগে
আসাদুজ্জামান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার মাধ্যমে দেশে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাংলাদেশে আসার পরে যেভাবে দেশের গণতন্ত্র উন্নত হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলোপের পরে সেই সুযোগ হয়নি। এই ব্যবস্থা বাতিল করার পর...
৩০ মিনিট আগে
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) কর জালিয়াতি ও প্রতিষ্ঠানের নামে অনৈতিক অর্থ সুবিধা নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ৮ জনের...
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) কর জালিয়াতি ও প্রতিষ্ঠানের নামে অনৈতিক অর্থ সুবিধা নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ৮ জনের নামে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পুতুল সিআরআইয়ের ট্রাস্টি ও ভাইস চেয়ারম্যান।
দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে মামলাটি অনুমোদনের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান। তিনি জানান, জনকল্যাণের নামে গঠিত এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কমিশন থেকে মামলা করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অন্য যে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে, তাঁরা হলেন সিআরআইয়ের ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি (শেখ রেহানার ছেলে), নসরুল হামিদ বিপু (সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী), নির্বাহী পরিচালক শাব্বির বিন শামস, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কর আপিল) রওশন আরা আক্তার, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৩-১৪ থেকে ২০২৩-২৪ কর বর্ষ পর্যন্ত সিআরআই ২৩টি কোম্পানির কাছ থেকে ৪৫ কোটি ৩৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা অনুদান হিসেবে নেয়। এ ছাড়া একই সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অনুদান হিসেবে ১০০ কোটি ৩১ লাখ ৪০ হাজার ৪৮৬ টাকা নেয়। বৈধ ব্যয় বাদে হিসাব অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির ব্যাংক হিসাবে ৭০ কোটি ৮০ লাখ ৪২ হাজার ৩৯০ টাকা স্থিতি থাকার কথা। কিন্তু পাওয়া গেছে ৫৫ কোটি ১১ লাখ ৮২ হাজার ৮৯৬ টাকা। অর্থাৎ ১৫ কোটি ৬৮ লাখ ৫৯ হাজার ৫২১ টাকা কম; যা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমাজসেবা অধিদপ্তরে নিবন্ধিত না থাকা সত্ত্বেও সিআরআই কর সুবিধা লাভের জন্য চাপ প্রয়োগ, প্রতিষ্ঠানটি সুনির্দিষ্ট এসআরও জারি করিয়ে সরকার থেকে কর মওকুফের সুযোগ নিয়েছে। এতে প্রতিষ্ঠানটি জনকল্যাণের নামে প্রাপ্ত তহবিলকে নিজের সুবিধার্থে ব্যবহার করেছে এবং বহু কোটি টাকা অবৈধভাবে আয় ও আত্মসাৎ করেছে।
দুদক বলছে, অভিযুক্তরা ২৫টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ৪৩৯ কোটি ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৪৮০ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন এবং আয়কর পরিশোধ না করে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি করেছেন।

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) কর জালিয়াতি ও প্রতিষ্ঠানের নামে অনৈতিক অর্থ সুবিধা নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ৮ জনের নামে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পুতুল সিআরআইয়ের ট্রাস্টি ও ভাইস চেয়ারম্যান।
দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে মামলাটি অনুমোদনের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান। তিনি জানান, জনকল্যাণের নামে গঠিত এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কমিশন থেকে মামলা করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অন্য যে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে, তাঁরা হলেন সিআরআইয়ের ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি (শেখ রেহানার ছেলে), নসরুল হামিদ বিপু (সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী), নির্বাহী পরিচালক শাব্বির বিন শামস, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কর আপিল) রওশন আরা আক্তার, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৩-১৪ থেকে ২০২৩-২৪ কর বর্ষ পর্যন্ত সিআরআই ২৩টি কোম্পানির কাছ থেকে ৪৫ কোটি ৩৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা অনুদান হিসেবে নেয়। এ ছাড়া একই সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অনুদান হিসেবে ১০০ কোটি ৩১ লাখ ৪০ হাজার ৪৮৬ টাকা নেয়। বৈধ ব্যয় বাদে হিসাব অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির ব্যাংক হিসাবে ৭০ কোটি ৮০ লাখ ৪২ হাজার ৩৯০ টাকা স্থিতি থাকার কথা। কিন্তু পাওয়া গেছে ৫৫ কোটি ১১ লাখ ৮২ হাজার ৮৯৬ টাকা। অর্থাৎ ১৫ কোটি ৬৮ লাখ ৫৯ হাজার ৫২১ টাকা কম; যা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমাজসেবা অধিদপ্তরে নিবন্ধিত না থাকা সত্ত্বেও সিআরআই কর সুবিধা লাভের জন্য চাপ প্রয়োগ, প্রতিষ্ঠানটি সুনির্দিষ্ট এসআরও জারি করিয়ে সরকার থেকে কর মওকুফের সুযোগ নিয়েছে। এতে প্রতিষ্ঠানটি জনকল্যাণের নামে প্রাপ্ত তহবিলকে নিজের সুবিধার্থে ব্যবহার করেছে এবং বহু কোটি টাকা অবৈধভাবে আয় ও আত্মসাৎ করেছে।
দুদক বলছে, অভিযুক্তরা ২৫টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ৪৩৯ কোটি ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৪৮০ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন এবং আয়কর পরিশোধ না করে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি করেছেন।

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেন, যাঁরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার কারণে জেল খেটেছেন, তাঁদের কাছে ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাইতে হবে।’
১১ জানুয়ারি ২০২৫
নিজের চাচা-চাচিকে বাবা-মা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেনকে ওএসডি করেছে সরকার। আজ বুধবার তাঁকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
৭ মিনিট আগে
আসাদুজ্জামান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার মাধ্যমে দেশে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাংলাদেশে আসার পরে যেভাবে দেশের গণতন্ত্র উন্নত হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলোপের পরে সেই সুযোগ হয়নি। এই ব্যবস্থা বাতিল করার পর...
৩০ মিনিট আগে
সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের পারিতোষিক, ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকারসংক্রান্ত আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে। ১৩ জনের পক্ষে এ রিট করা হয়েছে বলে আজ বুধবার জানিয়েছেন তাঁদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
৪১ মিনিট আগে