Ajker Patrika

খাগড়াছড়িতে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ দায়মুক্তির সংস্কৃতির প্রতিফলন: এমজেএফ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

খাগড়াছড়িতে ১২ বছরের অষ্টম শ্রেণির এক মারমা ছাত্রীকে ‘দলবদ্ধ ধর্ষণের’ ঘটনায় তীব্র নিন্দা এবং অবিলম্বে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) ও বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্ৰ।

আজ শনিবার পৃথক বিবৃতিতে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা এই দুই সংস্থা ও সংগঠন এ দাবি জানায়।

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন খাগড়াছড়িতে শিশু ধর্ষণের ঘটনা উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলেছে, এ ঘটনা বাংলাদেশের শিশু ও নারীদের ওপর চলমান সহিংসতার ভয়াবহ নিদর্শন। ভুক্তভোগী অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ২৩ সেপ্টেম্বর প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয় এবং পরে একটি মাঠে অচেতন অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। বর্তমানে শিশুটি খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনায় এমজেএফের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এই মর্মান্তিক নির্যাতন কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি এমন এক দায়মুক্তির সংস্কৃতির প্রতিফলন, যেখানে নারী ও শিশুরা সর্বদা ঝুঁকির মুখে থাকে এবং অপরাধীরা শাস্তির ভয় ছাড়াই অপরাধ করে যায়। শিশু ও নারীরা নিজেদের সমাজেই নিরাপদ নয়, যা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। প্রত্যেক নারী ও শিশু ভয়ভীতির বাইরে নিরাপদ জীবনযাপনের অধিকার রাখে।

খাগড়াছড়ির ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানায় এমজেএফ।

বেসরকারি সংস্থাটি বিবৃতিতে কয়েকটি দাবিও তুলে ধরে; যার মধ্যে রয়েছে—ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচার নিশ্চিত করা; শিশু ও নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ দমনে কঠোর শাস্তি কার্যকর করা; ভুক্তভোগীদের জন্য আশ্রয়, কাউন্সেলিং এবং জীবিকা সহায়তা দেওয়া এবং জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতার স্বাভাবিকীকরণ রোধে জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক সচেতনতা ও প্রচার চালানো।

খাগড়াছড়িতে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার, সঠিক মেডিকেল রিপোর্ট প্রদান এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে জুম্ম ছাত্র-জনতার চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়েছে বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্ৰ।

সংগঠনের সভাপতি সীমা দত্ত এবং সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী এক বিবৃতিতে বলেন, ‘পাহাড়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। ধর্ষকেরা অনেক সময় ধরাও পড়ছে। কিন্তু কোনোটারই বিচার হচ্ছে না। তিন পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘদিন ধরে সেনাশাসন চলছে নিরাপত্তার কথা বলে। কিন্তু সেখানে মানুষের কোনো নিরাপত্তা নেই।

‘ধর্ষণের ঘটনাগুলো প্রমাণ করতে প্রধান প্রমাণ ধরা হয় মেডিকেল রিপোর্ট। অথচ কখনোই সঠিক মেডিকেল রিপোর্ট দেওয়া হয় না। ফলে আইনের ফাঁকফোকরে অপরাধীরা পার পেয়ে যায়। বর্তমানে ঘটে যাওয়া ঘটনার ক্ষেত্রেও একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। আমরা অবিলম্বে ধর্ষকদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জাতিসংঘে নেতানিয়াহুর ভাষণের সময় ওয়াকআউট করল কোন কোন দেশ, বাংলাদেশও কি ছিল

ভারতীয় সাংবাদিকের প্রশ্নে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর জবাব ভাইরাল

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডির সঙ্গে ড. ইউনূস, পাশে মেয়ে দীনা

জুনেও যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলাম, এবার বাধা দেওয়ায় বিস্মিত হয়েছি: সোহেল তাজ

ইসরায়েলকে তুলোধুনোর পর ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট, ভিসা বাতিলের ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত