Ajker Patrika

ভোটের আগেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শক্তি বৃদ্ধিতে জোর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে শক্তিশালী করার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে, যাতে তারা নির্বাচনে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানেরাও নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনায় এ বিষয়গুলো উঠে আসে।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে পুলিশের সঙ্গে মানুষের দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। সে দূরত্ব এখনো পুরোপুরি ঘোচেনি। তবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের অধীনে দায়িত্ব পালন করতে পুলিশ বাধ্য।

তাই নির্বাচনের আগে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কীভাবে শক্তিশালী করা যায়, তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর আলোচনা হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একার ওপর পড়ে না। রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা থেকে শুরু করে প্রার্থীদেরও নির্বাচনের পরিবেশ ভালো রাখার দায়িত্ব রয়েছে।

বিগত সময়ে দিনের ভোট রাতে হয়েছে। ওই সময় পুলিশের উপস্থিতিতে এটা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, তখনো তো আপনারা উপস্থিত ছিলেন। তখন তো আপনারাও কিছু বলেননি।

জাতীয় নির্বাচন কবে নাগাদ অনুষ্ঠিত হতে পারে—এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা এ নিয়ে কাজ করছি। নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্বাচন কমিশন ঠিক করবে। পুরো নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও সবার কাজে গ্রহণযোগ্য হয়, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানেরা বৈঠকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা কেটেছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পুলিশ তো নিষ্ক্রিয় নয়। পুলিশ আগের থেকে অনেকটা মানবিক হয়েছে। পুলিশের সক্ষমতা আগের থেকে অনেক বেড়েছে। আগের চেয়ে তাদের ট্রেনিং ও মনোবল অনেক ভালো হয়েছে।’

আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ আছে। কিন্তু সোমবার ঢাকার বাইরে দু-তিনটা বিশাল মিছিল হয়েছে। সে বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, সোমবার আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছিল। তারা ঢাকায় ও আশপাশে কিছু করতে পারেনি। তারা আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত