তানিম আহমেদ, ঢাকা

দুই ধাপের ভাষা ও শব্দগত পরিবর্তনের মাধ্যমে জুলাই সনদ চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে ৭ দফার অঙ্গীকারনামা জুড়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে জুলাই সনদকে সংবিধানে তফসিল হিসেবে বা যথোপযুক্তভাবে সংযুক্ত করা, সনদের বৈধতা ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না এবং বাস্তবায়নের প্রতিটি ধাপে আইনি ও সাংবিধানিক সুরক্ষা নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে।
জুলাই সনদ তৈরি করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই ধাপের সংলাপ শেষ হয় গত ৩১ জুলাই। ২৯ জুলাই রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই সনদের খসড়ার নমুনা দেওয়া হয়। সেখানে সনদের পটভূমির পাশাপাশি বাস্তবায়নের ৭ দফা অঙ্গীকারনামা দেওয়া হয়। যেখানে বলা হয়, নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব গ্রহণের দুই বছরের মধ্যে সনদ বাস্তবায়ন করবে। কিন্তু এ নিয়ে আপত্তি তোলে জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) অধিকাংশ দল।
এরপর ১৬ আগস্ট দলগুলোর কাছে জুলাই সনদের চূড়ান্ত সমন্বিত খসড়া পাঠানো হয়। সেখানে পটভূমির সঙ্গে দুই ধাপের সংলাপে ঐকমত্য হওয়া ৮৪টি সুপারিশ ও বাস্তবায়নের ৮ দফা অঙ্গীকারনামা রাখা হয়। সনদকে সংবিধানের ওপরে স্থান দেওয়ার পাশাপাশি সনদের বৈধতা নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না বলে উল্লেখ করা হয় এতে। এবার বিএনপিসহ বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তোলে।
দলগুলোর আপত্তির মুখে কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, চূড়ান্ত সনদে অঙ্গীকারনামায় ভাষা ও শব্দগত পরিবর্তন করা হবে। একই সঙ্গে চূড়ান্ত সনদের সঙ্গে জুলাই সনদের সাংবিধানিক বিষয়গুলো বাস্তবায়নের রূপরেখাও দলগুলোকে দেওয়া হবে। এ ছাড়া জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি ঠিক করতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করে কমিশন। নানা আলাপ-আলোচনার পর সর্বশেষ সিদ্ধান্ত হয়—সাংবিধানিক বিষয়গুলো বিশেষ সংবিধান বা সাংবিধানিক সংস্কার সভার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। বাকিগুলো অধ্যাদেশ, বিধি ও নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে দ্রুত বাস্তবায়ন করবে সরকার।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সূত্রে জানা গেছে, জুলাই সনদের খসড়ার ওপর রাজনৈতিক দলগুলোর দেওয়া মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সনদ তৈরি করা হয়েছে। এতে জুলাই সনদের পটভূমির পাশাপাশি রাজনৈতিক ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলোকে দুভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ভাগে সংবিধান সংশোধন সাপেক্ষে সংস্কারের বিষয়, দ্বিতীয় ভাগে অধ্যাদেশ, বিধি ও নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সংস্কারের বিষয়গুলো রাখা হয়েছে। সনদের সর্বশেষ অংশে ৭ দফা অঙ্গীকারনামা রাখা হয়েছে। কমিশন এতে আর পরিবর্তন করবে না।
সূত্রে জানা গেছে, ঐকমত্য হওয়া ৮৪টি বিষয়ের ৪৩টি প্রস্তাব রাখা হয়েছে সংবিধান সংশোধন অংশে। যার প্রথম ছয়টি রাষ্ট্রভাষা, নাগরিকত্ব ও সংবিধান এবং পরের তিনটিতে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির বিষয়ে উল্লেখ আছে। এ ছাড়া ১০ থেকে ১৩ নম্বর প্রস্তাবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব, রাষ্ট্রপতির অভিশংসন এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের বিষয়ে বলা আছে।
চূড়ান্ত সনদের ১৪ ও ১৫ নম্বর প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ও একাধিক পদে থাকার বিধান ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। ১৬ নম্বর প্রস্তাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা, ১৭-২৫ নম্বরে আইনসভা, ২৬-৩৩ নম্বরে বিচার বিভাগ, ৩৪ নম্বরে নির্বাচন কমিশন, ৩৫-৩৭ নম্বরে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ, ৩৮-৩৯ নম্বরে দুর্নীতি দমন কমিশন, ৪০-৪৩ নম্বর সুপারিশে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে। এসব সুপারিশের সঙ্গে কোন কোন দল আপত্তি বা নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে, সেটা উল্লেখ করা হয়েছে।
৪৪ থেকে ৮৪ নম্বর সুপারিশগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ, বিধি ও নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে পারবে বলে মনে করে কমিশন, যার প্রথমটি সংসদের কমিটি ও সদস্যদের অধিকার নির্ধারণের আইন এবং পরেরটি নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ আইন। সনদের ৪৬ থেকে ৫৮ নম্বর সুপারিশে বিচার বিভাগ, ৫৯-৬০ নম্বরে জনপ্রশাসন, ৬১-৭৫ নম্বরে দুর্নীতি দমন কমিশন, ৭৬-৮১ নম্বরে জনপ্রশাসন কমিশন এবং বাকি তিনটি দুর্নীতি দমনসংক্রান্ত সুপারিশ উল্লেখ করা হয়েছে।
চূড়ান্ত খসড়ায় জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামায় ৮ দফার থাকলে চূড়ান্ত জুলাই সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে ৭ দফা অঙ্গীকারনামা নেওয়া হবে।
তবে সনদটি এখনো রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়নি। কমিশনের সূত্র জানিয়েছে, বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হওয়ার পর সনদ ও সেই প্রক্রিয়া একসঙ্গে পাঠানো হবে। বাস্তবায়নের বিষয়ে আলাদা এক পাতায় সুপারিশ দলগুলোর কাছে দেওয়া হবে। সেখানে গণভোট, বিশেষ সংবিধান/সাংবিধানিক আদেশ, অধ্যাদেশ ও নির্বাহী আদেশে বাস্তবায়নের পরামর্শ থাকবে।
এদিকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় ঠিক করতে বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপ করবে কমিশন। যদিও এর আগে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ ২৮টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে একাধিক অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করে কমিশন। সেখানে বাস্তবায়নের পদ্ধতি ঠিক করতে পারেনি দলগুলো।

দুই ধাপের ভাষা ও শব্দগত পরিবর্তনের মাধ্যমে জুলাই সনদ চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে ৭ দফার অঙ্গীকারনামা জুড়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে জুলাই সনদকে সংবিধানে তফসিল হিসেবে বা যথোপযুক্তভাবে সংযুক্ত করা, সনদের বৈধতা ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না এবং বাস্তবায়নের প্রতিটি ধাপে আইনি ও সাংবিধানিক সুরক্ষা নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে।
জুলাই সনদ তৈরি করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই ধাপের সংলাপ শেষ হয় গত ৩১ জুলাই। ২৯ জুলাই রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই সনদের খসড়ার নমুনা দেওয়া হয়। সেখানে সনদের পটভূমির পাশাপাশি বাস্তবায়নের ৭ দফা অঙ্গীকারনামা দেওয়া হয়। যেখানে বলা হয়, নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব গ্রহণের দুই বছরের মধ্যে সনদ বাস্তবায়ন করবে। কিন্তু এ নিয়ে আপত্তি তোলে জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) অধিকাংশ দল।
এরপর ১৬ আগস্ট দলগুলোর কাছে জুলাই সনদের চূড়ান্ত সমন্বিত খসড়া পাঠানো হয়। সেখানে পটভূমির সঙ্গে দুই ধাপের সংলাপে ঐকমত্য হওয়া ৮৪টি সুপারিশ ও বাস্তবায়নের ৮ দফা অঙ্গীকারনামা রাখা হয়। সনদকে সংবিধানের ওপরে স্থান দেওয়ার পাশাপাশি সনদের বৈধতা নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না বলে উল্লেখ করা হয় এতে। এবার বিএনপিসহ বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তোলে।
দলগুলোর আপত্তির মুখে কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, চূড়ান্ত সনদে অঙ্গীকারনামায় ভাষা ও শব্দগত পরিবর্তন করা হবে। একই সঙ্গে চূড়ান্ত সনদের সঙ্গে জুলাই সনদের সাংবিধানিক বিষয়গুলো বাস্তবায়নের রূপরেখাও দলগুলোকে দেওয়া হবে। এ ছাড়া জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি ঠিক করতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করে কমিশন। নানা আলাপ-আলোচনার পর সর্বশেষ সিদ্ধান্ত হয়—সাংবিধানিক বিষয়গুলো বিশেষ সংবিধান বা সাংবিধানিক সংস্কার সভার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। বাকিগুলো অধ্যাদেশ, বিধি ও নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে দ্রুত বাস্তবায়ন করবে সরকার।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সূত্রে জানা গেছে, জুলাই সনদের খসড়ার ওপর রাজনৈতিক দলগুলোর দেওয়া মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সনদ তৈরি করা হয়েছে। এতে জুলাই সনদের পটভূমির পাশাপাশি রাজনৈতিক ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলোকে দুভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ভাগে সংবিধান সংশোধন সাপেক্ষে সংস্কারের বিষয়, দ্বিতীয় ভাগে অধ্যাদেশ, বিধি ও নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সংস্কারের বিষয়গুলো রাখা হয়েছে। সনদের সর্বশেষ অংশে ৭ দফা অঙ্গীকারনামা রাখা হয়েছে। কমিশন এতে আর পরিবর্তন করবে না।
সূত্রে জানা গেছে, ঐকমত্য হওয়া ৮৪টি বিষয়ের ৪৩টি প্রস্তাব রাখা হয়েছে সংবিধান সংশোধন অংশে। যার প্রথম ছয়টি রাষ্ট্রভাষা, নাগরিকত্ব ও সংবিধান এবং পরের তিনটিতে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির বিষয়ে উল্লেখ আছে। এ ছাড়া ১০ থেকে ১৩ নম্বর প্রস্তাবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব, রাষ্ট্রপতির অভিশংসন এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের বিষয়ে বলা আছে।
চূড়ান্ত সনদের ১৪ ও ১৫ নম্বর প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ও একাধিক পদে থাকার বিধান ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। ১৬ নম্বর প্রস্তাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা, ১৭-২৫ নম্বরে আইনসভা, ২৬-৩৩ নম্বরে বিচার বিভাগ, ৩৪ নম্বরে নির্বাচন কমিশন, ৩৫-৩৭ নম্বরে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ, ৩৮-৩৯ নম্বরে দুর্নীতি দমন কমিশন, ৪০-৪৩ নম্বর সুপারিশে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে। এসব সুপারিশের সঙ্গে কোন কোন দল আপত্তি বা নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে, সেটা উল্লেখ করা হয়েছে।
৪৪ থেকে ৮৪ নম্বর সুপারিশগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ, বিধি ও নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে পারবে বলে মনে করে কমিশন, যার প্রথমটি সংসদের কমিটি ও সদস্যদের অধিকার নির্ধারণের আইন এবং পরেরটি নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ আইন। সনদের ৪৬ থেকে ৫৮ নম্বর সুপারিশে বিচার বিভাগ, ৫৯-৬০ নম্বরে জনপ্রশাসন, ৬১-৭৫ নম্বরে দুর্নীতি দমন কমিশন, ৭৬-৮১ নম্বরে জনপ্রশাসন কমিশন এবং বাকি তিনটি দুর্নীতি দমনসংক্রান্ত সুপারিশ উল্লেখ করা হয়েছে।
চূড়ান্ত খসড়ায় জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামায় ৮ দফার থাকলে চূড়ান্ত জুলাই সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে ৭ দফা অঙ্গীকারনামা নেওয়া হবে।
তবে সনদটি এখনো রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়নি। কমিশনের সূত্র জানিয়েছে, বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হওয়ার পর সনদ ও সেই প্রক্রিয়া একসঙ্গে পাঠানো হবে। বাস্তবায়নের বিষয়ে আলাদা এক পাতায় সুপারিশ দলগুলোর কাছে দেওয়া হবে। সেখানে গণভোট, বিশেষ সংবিধান/সাংবিধানিক আদেশ, অধ্যাদেশ ও নির্বাহী আদেশে বাস্তবায়নের পরামর্শ থাকবে।
এদিকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় ঠিক করতে বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপ করবে কমিশন। যদিও এর আগে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ ২৮টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে একাধিক অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করে কমিশন। সেখানে বাস্তবায়নের পদ্ধতি ঠিক করতে পারেনি দলগুলো।
তানিম আহমেদ, ঢাকা

দুই ধাপের ভাষা ও শব্দগত পরিবর্তনের মাধ্যমে জুলাই সনদ চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে ৭ দফার অঙ্গীকারনামা জুড়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে জুলাই সনদকে সংবিধানে তফসিল হিসেবে বা যথোপযুক্তভাবে সংযুক্ত করা, সনদের বৈধতা ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না এবং বাস্তবায়নের প্রতিটি ধাপে আইনি ও সাংবিধানিক সুরক্ষা নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে।
জুলাই সনদ তৈরি করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই ধাপের সংলাপ শেষ হয় গত ৩১ জুলাই। ২৯ জুলাই রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই সনদের খসড়ার নমুনা দেওয়া হয়। সেখানে সনদের পটভূমির পাশাপাশি বাস্তবায়নের ৭ দফা অঙ্গীকারনামা দেওয়া হয়। যেখানে বলা হয়, নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব গ্রহণের দুই বছরের মধ্যে সনদ বাস্তবায়ন করবে। কিন্তু এ নিয়ে আপত্তি তোলে জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) অধিকাংশ দল।
এরপর ১৬ আগস্ট দলগুলোর কাছে জুলাই সনদের চূড়ান্ত সমন্বিত খসড়া পাঠানো হয়। সেখানে পটভূমির সঙ্গে দুই ধাপের সংলাপে ঐকমত্য হওয়া ৮৪টি সুপারিশ ও বাস্তবায়নের ৮ দফা অঙ্গীকারনামা রাখা হয়। সনদকে সংবিধানের ওপরে স্থান দেওয়ার পাশাপাশি সনদের বৈধতা নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না বলে উল্লেখ করা হয় এতে। এবার বিএনপিসহ বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তোলে।
দলগুলোর আপত্তির মুখে কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, চূড়ান্ত সনদে অঙ্গীকারনামায় ভাষা ও শব্দগত পরিবর্তন করা হবে। একই সঙ্গে চূড়ান্ত সনদের সঙ্গে জুলাই সনদের সাংবিধানিক বিষয়গুলো বাস্তবায়নের রূপরেখাও দলগুলোকে দেওয়া হবে। এ ছাড়া জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি ঠিক করতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করে কমিশন। নানা আলাপ-আলোচনার পর সর্বশেষ সিদ্ধান্ত হয়—সাংবিধানিক বিষয়গুলো বিশেষ সংবিধান বা সাংবিধানিক সংস্কার সভার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। বাকিগুলো অধ্যাদেশ, বিধি ও নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে দ্রুত বাস্তবায়ন করবে সরকার।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সূত্রে জানা গেছে, জুলাই সনদের খসড়ার ওপর রাজনৈতিক দলগুলোর দেওয়া মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সনদ তৈরি করা হয়েছে। এতে জুলাই সনদের পটভূমির পাশাপাশি রাজনৈতিক ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলোকে দুভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ভাগে সংবিধান সংশোধন সাপেক্ষে সংস্কারের বিষয়, দ্বিতীয় ভাগে অধ্যাদেশ, বিধি ও নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সংস্কারের বিষয়গুলো রাখা হয়েছে। সনদের সর্বশেষ অংশে ৭ দফা অঙ্গীকারনামা রাখা হয়েছে। কমিশন এতে আর পরিবর্তন করবে না।
সূত্রে জানা গেছে, ঐকমত্য হওয়া ৮৪টি বিষয়ের ৪৩টি প্রস্তাব রাখা হয়েছে সংবিধান সংশোধন অংশে। যার প্রথম ছয়টি রাষ্ট্রভাষা, নাগরিকত্ব ও সংবিধান এবং পরের তিনটিতে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির বিষয়ে উল্লেখ আছে। এ ছাড়া ১০ থেকে ১৩ নম্বর প্রস্তাবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব, রাষ্ট্রপতির অভিশংসন এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের বিষয়ে বলা আছে।
চূড়ান্ত সনদের ১৪ ও ১৫ নম্বর প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ও একাধিক পদে থাকার বিধান ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। ১৬ নম্বর প্রস্তাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা, ১৭-২৫ নম্বরে আইনসভা, ২৬-৩৩ নম্বরে বিচার বিভাগ, ৩৪ নম্বরে নির্বাচন কমিশন, ৩৫-৩৭ নম্বরে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ, ৩৮-৩৯ নম্বরে দুর্নীতি দমন কমিশন, ৪০-৪৩ নম্বর সুপারিশে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে। এসব সুপারিশের সঙ্গে কোন কোন দল আপত্তি বা নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে, সেটা উল্লেখ করা হয়েছে।
৪৪ থেকে ৮৪ নম্বর সুপারিশগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ, বিধি ও নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে পারবে বলে মনে করে কমিশন, যার প্রথমটি সংসদের কমিটি ও সদস্যদের অধিকার নির্ধারণের আইন এবং পরেরটি নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ আইন। সনদের ৪৬ থেকে ৫৮ নম্বর সুপারিশে বিচার বিভাগ, ৫৯-৬০ নম্বরে জনপ্রশাসন, ৬১-৭৫ নম্বরে দুর্নীতি দমন কমিশন, ৭৬-৮১ নম্বরে জনপ্রশাসন কমিশন এবং বাকি তিনটি দুর্নীতি দমনসংক্রান্ত সুপারিশ উল্লেখ করা হয়েছে।
চূড়ান্ত খসড়ায় জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামায় ৮ দফার থাকলে চূড়ান্ত জুলাই সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে ৭ দফা অঙ্গীকারনামা নেওয়া হবে।
তবে সনদটি এখনো রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়নি। কমিশনের সূত্র জানিয়েছে, বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হওয়ার পর সনদ ও সেই প্রক্রিয়া একসঙ্গে পাঠানো হবে। বাস্তবায়নের বিষয়ে আলাদা এক পাতায় সুপারিশ দলগুলোর কাছে দেওয়া হবে। সেখানে গণভোট, বিশেষ সংবিধান/সাংবিধানিক আদেশ, অধ্যাদেশ ও নির্বাহী আদেশে বাস্তবায়নের পরামর্শ থাকবে।
এদিকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় ঠিক করতে বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপ করবে কমিশন। যদিও এর আগে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ ২৮টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে একাধিক অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করে কমিশন। সেখানে বাস্তবায়নের পদ্ধতি ঠিক করতে পারেনি দলগুলো।

দুই ধাপের ভাষা ও শব্দগত পরিবর্তনের মাধ্যমে জুলাই সনদ চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে ৭ দফার অঙ্গীকারনামা জুড়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে জুলাই সনদকে সংবিধানে তফসিল হিসেবে বা যথোপযুক্তভাবে সংযুক্ত করা, সনদের বৈধতা ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না এবং বাস্তবায়নের প্রতিটি ধাপে আইনি ও সাংবিধানিক সুরক্ষা নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে।
জুলাই সনদ তৈরি করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই ধাপের সংলাপ শেষ হয় গত ৩১ জুলাই। ২৯ জুলাই রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই সনদের খসড়ার নমুনা দেওয়া হয়। সেখানে সনদের পটভূমির পাশাপাশি বাস্তবায়নের ৭ দফা অঙ্গীকারনামা দেওয়া হয়। যেখানে বলা হয়, নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব গ্রহণের দুই বছরের মধ্যে সনদ বাস্তবায়ন করবে। কিন্তু এ নিয়ে আপত্তি তোলে জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) অধিকাংশ দল।
এরপর ১৬ আগস্ট দলগুলোর কাছে জুলাই সনদের চূড়ান্ত সমন্বিত খসড়া পাঠানো হয়। সেখানে পটভূমির সঙ্গে দুই ধাপের সংলাপে ঐকমত্য হওয়া ৮৪টি সুপারিশ ও বাস্তবায়নের ৮ দফা অঙ্গীকারনামা রাখা হয়। সনদকে সংবিধানের ওপরে স্থান দেওয়ার পাশাপাশি সনদের বৈধতা নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না বলে উল্লেখ করা হয় এতে। এবার বিএনপিসহ বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তোলে।
দলগুলোর আপত্তির মুখে কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, চূড়ান্ত সনদে অঙ্গীকারনামায় ভাষা ও শব্দগত পরিবর্তন করা হবে। একই সঙ্গে চূড়ান্ত সনদের সঙ্গে জুলাই সনদের সাংবিধানিক বিষয়গুলো বাস্তবায়নের রূপরেখাও দলগুলোকে দেওয়া হবে। এ ছাড়া জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি ঠিক করতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করে কমিশন। নানা আলাপ-আলোচনার পর সর্বশেষ সিদ্ধান্ত হয়—সাংবিধানিক বিষয়গুলো বিশেষ সংবিধান বা সাংবিধানিক সংস্কার সভার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। বাকিগুলো অধ্যাদেশ, বিধি ও নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে দ্রুত বাস্তবায়ন করবে সরকার।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সূত্রে জানা গেছে, জুলাই সনদের খসড়ার ওপর রাজনৈতিক দলগুলোর দেওয়া মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সনদ তৈরি করা হয়েছে। এতে জুলাই সনদের পটভূমির পাশাপাশি রাজনৈতিক ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলোকে দুভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ভাগে সংবিধান সংশোধন সাপেক্ষে সংস্কারের বিষয়, দ্বিতীয় ভাগে অধ্যাদেশ, বিধি ও নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সংস্কারের বিষয়গুলো রাখা হয়েছে। সনদের সর্বশেষ অংশে ৭ দফা অঙ্গীকারনামা রাখা হয়েছে। কমিশন এতে আর পরিবর্তন করবে না।
সূত্রে জানা গেছে, ঐকমত্য হওয়া ৮৪টি বিষয়ের ৪৩টি প্রস্তাব রাখা হয়েছে সংবিধান সংশোধন অংশে। যার প্রথম ছয়টি রাষ্ট্রভাষা, নাগরিকত্ব ও সংবিধান এবং পরের তিনটিতে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির বিষয়ে উল্লেখ আছে। এ ছাড়া ১০ থেকে ১৩ নম্বর প্রস্তাবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব, রাষ্ট্রপতির অভিশংসন এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের বিষয়ে বলা আছে।
চূড়ান্ত সনদের ১৪ ও ১৫ নম্বর প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ও একাধিক পদে থাকার বিধান ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। ১৬ নম্বর প্রস্তাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা, ১৭-২৫ নম্বরে আইনসভা, ২৬-৩৩ নম্বরে বিচার বিভাগ, ৩৪ নম্বরে নির্বাচন কমিশন, ৩৫-৩৭ নম্বরে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ, ৩৮-৩৯ নম্বরে দুর্নীতি দমন কমিশন, ৪০-৪৩ নম্বর সুপারিশে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে। এসব সুপারিশের সঙ্গে কোন কোন দল আপত্তি বা নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে, সেটা উল্লেখ করা হয়েছে।
৪৪ থেকে ৮৪ নম্বর সুপারিশগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ, বিধি ও নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে পারবে বলে মনে করে কমিশন, যার প্রথমটি সংসদের কমিটি ও সদস্যদের অধিকার নির্ধারণের আইন এবং পরেরটি নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ আইন। সনদের ৪৬ থেকে ৫৮ নম্বর সুপারিশে বিচার বিভাগ, ৫৯-৬০ নম্বরে জনপ্রশাসন, ৬১-৭৫ নম্বরে দুর্নীতি দমন কমিশন, ৭৬-৮১ নম্বরে জনপ্রশাসন কমিশন এবং বাকি তিনটি দুর্নীতি দমনসংক্রান্ত সুপারিশ উল্লেখ করা হয়েছে।
চূড়ান্ত খসড়ায় জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামায় ৮ দফার থাকলে চূড়ান্ত জুলাই সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে ৭ দফা অঙ্গীকারনামা নেওয়া হবে।
তবে সনদটি এখনো রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়নি। কমিশনের সূত্র জানিয়েছে, বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হওয়ার পর সনদ ও সেই প্রক্রিয়া একসঙ্গে পাঠানো হবে। বাস্তবায়নের বিষয়ে আলাদা এক পাতায় সুপারিশ দলগুলোর কাছে দেওয়া হবে। সেখানে গণভোট, বিশেষ সংবিধান/সাংবিধানিক আদেশ, অধ্যাদেশ ও নির্বাহী আদেশে বাস্তবায়নের পরামর্শ থাকবে।
এদিকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় ঠিক করতে বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপ করবে কমিশন। যদিও এর আগে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ ২৮টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে একাধিক অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করে কমিশন। সেখানে বাস্তবায়নের পদ্ধতি ঠিক করতে পারেনি দলগুলো।

বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নির্মাতা বোয়িং ও ইউরোপের এয়ারবাস—দুই জায়ান্ট কোম্পানি প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
২৬ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঘটনাটি তদন্তে এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিনিয়র সচিব কমিটির প্রধান। তিনি কয়েকটি দেশে চিঠি পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে দু-একটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞরাও এসে তদন্তে অংশ নিয়েছেন। তবে এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না—আসলেই কোনো অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যাঁরা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় কারাভোগ করেছেন—এমন ৩৭ বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
২ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ ও জলবায়ু বিপর্যয়ের মতো যৌথ সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়াকে এখনই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের সুরক্ষা ও উন্নয়ন—এ দুটো একে অন্যের বিকল্প নয়।
২ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা 

বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল অ্যাভিয়েশন খাতে নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে এবার সরাসরি কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে ইউরোপের শীর্ষ বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস।
আজ মঙ্গলবার ঢাকায় ফ্রান্স–জার্মান দূতাবাসে ‘বাংলাদেশের অ্যাভিয়েশন গ্রোথ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধিদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন চার প্রভাবশালী ইউরোপীয় কূটনীতিক।
তাঁরা হলেন ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যঁ-মার্ক সেরে-শার্লে, জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লটজ, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।
অনুষ্ঠানের আয়োজনটি ছিল এয়ারবাসের। তবে কূটনৈতিক উপস্থিতির মধ্য দিয়ে এটি রূপ নেয় একপ্রকার ‘ডিপ্লোমেটিক লবিং’-এ; যা বাংলাদেশের বিমানবহর সম্প্রসারণে এখনো সিদ্ধান্তহীন অবস্থায় থাকা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রতি এয়ারবাসের আগ্রহের ইঙ্গিত বহন করে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নির্মাতা বোয়িং ও ইউরোপের এয়ারবাস—দুই জায়ান্ট কোম্পানি প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
বোয়িং এর মধ্যে ২৫টি উড়োজাহাজ বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে আর এয়ারবাস দিয়েছে ১৪টি—যার মধ্যে রয়েছে ১০টি এ৩৫০ ও চারটি এ৩২০ নিও। উভয় প্রতিষ্ঠানই আকর্ষণীয় প্রস্তাব দিয়েছে। তবে এবার এয়ারবাস কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান আরও শক্ত করতে চাইছে।
আজ আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ওই চার ইউরোপীয় কূটনীতিক।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যঁ-মার্ক সেরে-শার্লে বলেন, ফ্রান্স ও ইউরোপের বিমানশিল্পের কেন্দ্রে অবস্থান করছে এয়ারবাস। প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও উদ্ভাবনের অনন্য সমন্বয়ই একে বিশ্বজুড়ে বিমান সংস্থাগুলোর এক বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বাংলাদেশের এই বিকাশপর্বে এয়ারবাস হতে পারে এক গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল সংযোগ ও ভৌগোলিক অবস্থান একে আঞ্চলিক অ্যাভিয়েশন হাব হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। বিমানের বহরে এয়ারবাস যুক্ত হলে এর নমনীয়তা, স্থিতিশীলতা ও প্রতিযোগিতা সক্ষমতা আরও বাড়বে।
জার্মান রাষ্ট্রদূত রুডিগার লটজ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত বাড়ছে। মধ্যবিত্ত শ্রেণি সম্প্রসারিত হচ্ছে। বিমানের এখন প্রয়োজন আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব উড়োজাহাজ, যেখানে এয়ারবাস শক্ত অবস্থানে রয়েছে।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক জানান, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও আঞ্চলিক বিমান পরিবহন হাব হওয়ার লক্ষ্যে যুক্তরাজ্য সব সময় পাশে থাকবে।
অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেন, বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে বাণিজ্যিক অংশীদারত্ব আরও গভীর করতে হবে। অ্যাভিয়েশন খাত এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সেতুবন্ধন তৈরি করতে পারে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এয়ারবাসের কমার্শিয়াল সেলস ডিরেক্টর (চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ, বাংলাদেশ) রাফায়েল গোমেজ নয়া।
রাফায়েল গোমেজ বলেন, বিশ্বে এখন পর্যন্ত এয়ারবাস ২৫ হাজার ১২৯টি উড়োজাহাজ বিক্রি করেছে, যার মধ্যে ১৬ হাজার ৪৭০টি ইতিমধ্যে ডেলিভারি দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পরিচালিত ফ্লাইটের ৭২ শতাংশেই এয়ারবাস ব্যবহৃত হচ্ছে।
রাফায়েল গোমেজ আরও যোগ করেন, ‘অন্য উড়োজাহাজগুলোর তুলনায় এয়ারবাস পরিচালন ব্যয়ে প্রায় ২০ শতাংশ সাশ্রয়ী। বাংলাদেশেও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস সফলতার সঙ্গে তিনটি এয়ারবাস ব্যবহার করছে। আশা করছি, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসও সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।’

বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল অ্যাভিয়েশন খাতে নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে এবার সরাসরি কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে ইউরোপের শীর্ষ বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস।
আজ মঙ্গলবার ঢাকায় ফ্রান্স–জার্মান দূতাবাসে ‘বাংলাদেশের অ্যাভিয়েশন গ্রোথ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধিদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন চার প্রভাবশালী ইউরোপীয় কূটনীতিক।
তাঁরা হলেন ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যঁ-মার্ক সেরে-শার্লে, জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লটজ, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।
অনুষ্ঠানের আয়োজনটি ছিল এয়ারবাসের। তবে কূটনৈতিক উপস্থিতির মধ্য দিয়ে এটি রূপ নেয় একপ্রকার ‘ডিপ্লোমেটিক লবিং’-এ; যা বাংলাদেশের বিমানবহর সম্প্রসারণে এখনো সিদ্ধান্তহীন অবস্থায় থাকা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রতি এয়ারবাসের আগ্রহের ইঙ্গিত বহন করে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নির্মাতা বোয়িং ও ইউরোপের এয়ারবাস—দুই জায়ান্ট কোম্পানি প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
বোয়িং এর মধ্যে ২৫টি উড়োজাহাজ বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে আর এয়ারবাস দিয়েছে ১৪টি—যার মধ্যে রয়েছে ১০টি এ৩৫০ ও চারটি এ৩২০ নিও। উভয় প্রতিষ্ঠানই আকর্ষণীয় প্রস্তাব দিয়েছে। তবে এবার এয়ারবাস কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান আরও শক্ত করতে চাইছে।
আজ আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ওই চার ইউরোপীয় কূটনীতিক।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যঁ-মার্ক সেরে-শার্লে বলেন, ফ্রান্স ও ইউরোপের বিমানশিল্পের কেন্দ্রে অবস্থান করছে এয়ারবাস। প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও উদ্ভাবনের অনন্য সমন্বয়ই একে বিশ্বজুড়ে বিমান সংস্থাগুলোর এক বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বাংলাদেশের এই বিকাশপর্বে এয়ারবাস হতে পারে এক গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল সংযোগ ও ভৌগোলিক অবস্থান একে আঞ্চলিক অ্যাভিয়েশন হাব হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। বিমানের বহরে এয়ারবাস যুক্ত হলে এর নমনীয়তা, স্থিতিশীলতা ও প্রতিযোগিতা সক্ষমতা আরও বাড়বে।
জার্মান রাষ্ট্রদূত রুডিগার লটজ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত বাড়ছে। মধ্যবিত্ত শ্রেণি সম্প্রসারিত হচ্ছে। বিমানের এখন প্রয়োজন আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব উড়োজাহাজ, যেখানে এয়ারবাস শক্ত অবস্থানে রয়েছে।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক জানান, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও আঞ্চলিক বিমান পরিবহন হাব হওয়ার লক্ষ্যে যুক্তরাজ্য সব সময় পাশে থাকবে।
অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেন, বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে বাণিজ্যিক অংশীদারত্ব আরও গভীর করতে হবে। অ্যাভিয়েশন খাত এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সেতুবন্ধন তৈরি করতে পারে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এয়ারবাসের কমার্শিয়াল সেলস ডিরেক্টর (চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ, বাংলাদেশ) রাফায়েল গোমেজ নয়া।
রাফায়েল গোমেজ বলেন, বিশ্বে এখন পর্যন্ত এয়ারবাস ২৫ হাজার ১২৯টি উড়োজাহাজ বিক্রি করেছে, যার মধ্যে ১৬ হাজার ৪৭০টি ইতিমধ্যে ডেলিভারি দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পরিচালিত ফ্লাইটের ৭২ শতাংশেই এয়ারবাস ব্যবহৃত হচ্ছে।
রাফায়েল গোমেজ আরও যোগ করেন, ‘অন্য উড়োজাহাজগুলোর তুলনায় এয়ারবাস পরিচালন ব্যয়ে প্রায় ২০ শতাংশ সাশ্রয়ী। বাংলাদেশেও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস সফলতার সঙ্গে তিনটি এয়ারবাস ব্যবহার করছে। আশা করছি, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসও সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।’

দুই ধাপের ভাষা ও শব্দগত পরিবর্তনের মাধ্যমে জুলাই সনদ চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে ৭ দফার অঙ্গীকারনামা জুড়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে জুলাই সনদকে সংবিধানে তফসিল হিসেবে বা যথোপযুক্তভাবে সংযুক্ত করা, সনদের বৈধতা ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না এবং বাস্তবায়নের...
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঘটনাটি তদন্তে এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিনিয়র সচিব কমিটির প্রধান। তিনি কয়েকটি দেশে চিঠি পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে দু-একটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞরাও এসে তদন্তে অংশ নিয়েছেন। তবে এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না—আসলেই কোনো অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যাঁরা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় কারাভোগ করেছেন—এমন ৩৭ বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
২ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ ও জলবায়ু বিপর্যয়ের মতো যৌথ সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়াকে এখনই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের সুরক্ষা ও উন্নয়ন—এ দুটো একে অন্যের বিকল্প নয়।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার সময় অস্ত্র চুরির অভিযোগটি তদন্তাধীন। আসলেই সেখান থেকে কোনো অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না, তা তদন্ত শেষে জানা যাবে।
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে কোর কমিটির বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
অস্ত্র চুরির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঘটনাটি তদন্তে এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিনিয়র সচিব কমিটির প্রধান। তিনি কয়েকটি দেশে চিঠি পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে দু-একটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞরাও এসে তদন্তে অংশ নিয়েছেন। তবে এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না—আসলেই কোনো অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যদি প্রমাণ হয় যে অস্ত্র চুরি হয়েছে, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা সংস্থাকে আইনের আওতায় আনা হবে। এখন পর্যন্ত কতটি অস্ত্র চুরি হয়েছে বা আদৌ হয়েছে কি না—তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গত ১৮ অক্টোবর রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে (পণ্য রাখার স্থান) ভয়াবহ আগুন লাগে। সেখানে থাকা বিভিন্ন আমদানি-রপ্তানি পণ্যের পাশাপাশি কিছু সরকারি সংস্থার মালামাল সংরক্ষিত ছিল।
পরে জানা যায়, সেখানে রক্ষিত একটি ভল্ট ভেঙে সাতটি অস্ত্র চুরি হয়েছে। বিমানবন্দর থানায় এ নিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার সময় অস্ত্র চুরির অভিযোগটি তদন্তাধীন। আসলেই সেখান থেকে কোনো অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না, তা তদন্ত শেষে জানা যাবে।
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে কোর কমিটির বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
অস্ত্র চুরির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঘটনাটি তদন্তে এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিনিয়র সচিব কমিটির প্রধান। তিনি কয়েকটি দেশে চিঠি পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে দু-একটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞরাও এসে তদন্তে অংশ নিয়েছেন। তবে এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না—আসলেই কোনো অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যদি প্রমাণ হয় যে অস্ত্র চুরি হয়েছে, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা সংস্থাকে আইনের আওতায় আনা হবে। এখন পর্যন্ত কতটি অস্ত্র চুরি হয়েছে বা আদৌ হয়েছে কি না—তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গত ১৮ অক্টোবর রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে (পণ্য রাখার স্থান) ভয়াবহ আগুন লাগে। সেখানে থাকা বিভিন্ন আমদানি-রপ্তানি পণ্যের পাশাপাশি কিছু সরকারি সংস্থার মালামাল সংরক্ষিত ছিল।
পরে জানা যায়, সেখানে রক্ষিত একটি ভল্ট ভেঙে সাতটি অস্ত্র চুরি হয়েছে। বিমানবন্দর থানায় এ নিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

দুই ধাপের ভাষা ও শব্দগত পরিবর্তনের মাধ্যমে জুলাই সনদ চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে ৭ দফার অঙ্গীকারনামা জুড়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে জুলাই সনদকে সংবিধানে তফসিল হিসেবে বা যথোপযুক্তভাবে সংযুক্ত করা, সনদের বৈধতা ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না এবং বাস্তবায়নের...
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নির্মাতা বোয়িং ও ইউরোপের এয়ারবাস—দুই জায়ান্ট কোম্পানি প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
২৬ মিনিট আগে
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যাঁরা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় কারাভোগ করেছেন—এমন ৩৭ বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
২ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ ও জলবায়ু বিপর্যয়ের মতো যৌথ সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়াকে এখনই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের সুরক্ষা ও উন্নয়ন—এ দুটো একে অন্যের বিকল্প নয়।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যাঁরা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় কারাভোগ করেছেন—এমন ৩৭ বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
কারা অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী এক-দুই দিনের মধ্যেই সরকারের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি বন্দীদের তালিকা অনুমোদন করেছে। কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলা কারাগারগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে এই তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছিল।
কারা অধিদপ্তর জানায়, কারাবিধির ৫৬৯ ধারা অনুযায়ী এই বন্দীদের অবশিষ্ট সাজা মওকুফ করা হয়েছে। মুক্তি পেতে যাওয়া এই বন্দীরা সবাই রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় কারাভোগ করেছেন।
কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) মো. জান্নাত-উল ফরহাদ বলেন, ‘৩০ বছর বা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যারা রেয়াতসহ ২০ বছর অতিক্রম করেছেন, তাঁদের মামলা বিচারিকভাবে পর্যালোচনা করা হয়েছে। বয়স, কারাজীবনে আচরণ ও অন্যান্য বিবেচনায় সরকার তাঁদের অবশিষ্ট সাজা মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চূড়ান্ত তালিকায় ৩৭ জন বন্দীর নাম রয়েছে। কারও অবশিষ্ট সাজা ছিল ১০ বছর, কারও সাত বা ছয় বছর—সবই মওকুফ করে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।’
কারা অধিদপ্তর আরও জানায়, যদিও প্রস্তাবে নারী-পুরুষ উভয়কেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, কিন্তু চূড়ান্ত তালিকায় কোনো নারী বন্দী নেই। মুক্তি পেতে যাওয়া অধিকাংশ বন্দী হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত এবং দেশের বিভিন্ন কারাগারে তাঁরা সাজা ভোগ করছিলেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘দেশের বিভিন্ন কারাগারে আটক বন্দীদের মধ্যে যাঁরা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি কারাভোগ করেছেন, তাঁদের মামলার প্রকৃতি, কারাজীবনে আচরণ, কারা অপরাধ, বয়স ইত্যাদি বিবেচনায় সদাশয় সরকার কারাবিধির ৫৬৯ ধারার আলোকে ৩৭ জন বন্দীর অবশিষ্ট সাজা মওকুফ করে আজ মুক্তির আদেশ দিয়েছেন। আদেশ পাওয়ার পরই তা কার্যকর করা হবে।’
আরও খবর পড়ুন:

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যাঁরা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় কারাভোগ করেছেন—এমন ৩৭ বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
কারা অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী এক-দুই দিনের মধ্যেই সরকারের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি বন্দীদের তালিকা অনুমোদন করেছে। কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলা কারাগারগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে এই তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছিল।
কারা অধিদপ্তর জানায়, কারাবিধির ৫৬৯ ধারা অনুযায়ী এই বন্দীদের অবশিষ্ট সাজা মওকুফ করা হয়েছে। মুক্তি পেতে যাওয়া এই বন্দীরা সবাই রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় কারাভোগ করেছেন।
কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) মো. জান্নাত-উল ফরহাদ বলেন, ‘৩০ বছর বা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যারা রেয়াতসহ ২০ বছর অতিক্রম করেছেন, তাঁদের মামলা বিচারিকভাবে পর্যালোচনা করা হয়েছে। বয়স, কারাজীবনে আচরণ ও অন্যান্য বিবেচনায় সরকার তাঁদের অবশিষ্ট সাজা মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চূড়ান্ত তালিকায় ৩৭ জন বন্দীর নাম রয়েছে। কারও অবশিষ্ট সাজা ছিল ১০ বছর, কারও সাত বা ছয় বছর—সবই মওকুফ করে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।’
কারা অধিদপ্তর আরও জানায়, যদিও প্রস্তাবে নারী-পুরুষ উভয়কেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, কিন্তু চূড়ান্ত তালিকায় কোনো নারী বন্দী নেই। মুক্তি পেতে যাওয়া অধিকাংশ বন্দী হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত এবং দেশের বিভিন্ন কারাগারে তাঁরা সাজা ভোগ করছিলেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘দেশের বিভিন্ন কারাগারে আটক বন্দীদের মধ্যে যাঁরা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি কারাভোগ করেছেন, তাঁদের মামলার প্রকৃতি, কারাজীবনে আচরণ, কারা অপরাধ, বয়স ইত্যাদি বিবেচনায় সদাশয় সরকার কারাবিধির ৫৬৯ ধারার আলোকে ৩৭ জন বন্দীর অবশিষ্ট সাজা মওকুফ করে আজ মুক্তির আদেশ দিয়েছেন। আদেশ পাওয়ার পরই তা কার্যকর করা হবে।’
আরও খবর পড়ুন:

দুই ধাপের ভাষা ও শব্দগত পরিবর্তনের মাধ্যমে জুলাই সনদ চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে ৭ দফার অঙ্গীকারনামা জুড়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে জুলাই সনদকে সংবিধানে তফসিল হিসেবে বা যথোপযুক্তভাবে সংযুক্ত করা, সনদের বৈধতা ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না এবং বাস্তবায়নের...
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নির্মাতা বোয়িং ও ইউরোপের এয়ারবাস—দুই জায়ান্ট কোম্পানি প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
২৬ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঘটনাটি তদন্তে এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিনিয়র সচিব কমিটির প্রধান। তিনি কয়েকটি দেশে চিঠি পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে দু-একটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞরাও এসে তদন্তে অংশ নিয়েছেন। তবে এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না—আসলেই কোনো অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ ও জলবায়ু বিপর্যয়ের মতো যৌথ সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়াকে এখনই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের সুরক্ষা ও উন্নয়ন—এ দুটো একে অন্যের বিকল্প নয়।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিশ্বব্যাপী অস্থিতিশীলতা যখন নতুন বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে, ঠিক সে সময় দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর প্রতি আস্থা পুনর্গঠন, আঞ্চলিক সংযোগ জোরদার ও যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
পাকিস্তানের ইসলামাবাদে আজ মঙ্গলবার সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট পলিসি ইনস্টিটিউটের (এসডিপিআই) বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এই আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ ও জলবায়ু বিপর্যয়ের মতো যৌথ সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়াকে এখনই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের সুরক্ষা ও উন্নয়ন—এ দুটো একে অন্যের বিকল্প নয়।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়া এরই মধ্যে ঘন ঘন বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, তাপপ্রবাহসহ আকস্মিক দুর্যোগের পাশাপাশি লবণাক্ততা বৃদ্ধি, মাটির উর্বরতা হ্রাস ও কৃষি উৎপাদন কমে যাওয়ার মতো ধীরগতির জলবায়ু বিপর্যয়ের মুখোমুখি। অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশের একাই প্রয়োজন ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বৈশ্বিক জলবায়ু অর্থায়নের ঘাটতি স্পষ্ট করে। অর্থ যদি না-ও আসে, আমরা অপেক্ষা করে থাকব না। আমাদের জাতীয় ও আঞ্চলিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।’
সম্মেলনের বিষয়বস্তুকে ‘সময়সাপেক্ষ ও গভীরতাসম্পন্ন’ উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, শাসনব্যবস্থার নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক কাঠামো আজ সংকটে। বৈষম্য, ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতা ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বব্যবস্থাকে নতুনভাবে গড়ছে।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, শ্রীলঙ্কা থেকে নেপাল পর্যন্ত জনগণের বিক্ষোভ প্রমাণ করে—বর্তমান শাসন মডেল জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ।
তবে রিজওয়ানা হাসান নতুন প্রজন্মের প্রতি আস্থা রেখে বলেন, তাঁদের হাতেই তৈরি হচ্ছে নতুন বিশ্বব্যবস্থা।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের পরিকল্পনামন্ত্রী অধ্যাপক আহসান ইকবাল, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, জাপানের আইজিইএস প্রেসিডেন্ট কাজুহিকো তাকেওচি, পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসেন খান প্রমুখ।

বিশ্বব্যাপী অস্থিতিশীলতা যখন নতুন বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে, ঠিক সে সময় দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর প্রতি আস্থা পুনর্গঠন, আঞ্চলিক সংযোগ জোরদার ও যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
পাকিস্তানের ইসলামাবাদে আজ মঙ্গলবার সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট পলিসি ইনস্টিটিউটের (এসডিপিআই) বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এই আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ ও জলবায়ু বিপর্যয়ের মতো যৌথ সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়াকে এখনই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের সুরক্ষা ও উন্নয়ন—এ দুটো একে অন্যের বিকল্প নয়।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়া এরই মধ্যে ঘন ঘন বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, তাপপ্রবাহসহ আকস্মিক দুর্যোগের পাশাপাশি লবণাক্ততা বৃদ্ধি, মাটির উর্বরতা হ্রাস ও কৃষি উৎপাদন কমে যাওয়ার মতো ধীরগতির জলবায়ু বিপর্যয়ের মুখোমুখি। অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশের একাই প্রয়োজন ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বৈশ্বিক জলবায়ু অর্থায়নের ঘাটতি স্পষ্ট করে। অর্থ যদি না-ও আসে, আমরা অপেক্ষা করে থাকব না। আমাদের জাতীয় ও আঞ্চলিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।’
সম্মেলনের বিষয়বস্তুকে ‘সময়সাপেক্ষ ও গভীরতাসম্পন্ন’ উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, শাসনব্যবস্থার নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক কাঠামো আজ সংকটে। বৈষম্য, ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতা ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বব্যবস্থাকে নতুনভাবে গড়ছে।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, শ্রীলঙ্কা থেকে নেপাল পর্যন্ত জনগণের বিক্ষোভ প্রমাণ করে—বর্তমান শাসন মডেল জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ।
তবে রিজওয়ানা হাসান নতুন প্রজন্মের প্রতি আস্থা রেখে বলেন, তাঁদের হাতেই তৈরি হচ্ছে নতুন বিশ্বব্যবস্থা।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের পরিকল্পনামন্ত্রী অধ্যাপক আহসান ইকবাল, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, জাপানের আইজিইএস প্রেসিডেন্ট কাজুহিকো তাকেওচি, পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসেন খান প্রমুখ।

দুই ধাপের ভাষা ও শব্দগত পরিবর্তনের মাধ্যমে জুলাই সনদ চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে ৭ দফার অঙ্গীকারনামা জুড়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে জুলাই সনদকে সংবিধানে তফসিল হিসেবে বা যথোপযুক্তভাবে সংযুক্ত করা, সনদের বৈধতা ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না এবং বাস্তবায়নের...
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নির্মাতা বোয়িং ও ইউরোপের এয়ারবাস—দুই জায়ান্ট কোম্পানি প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
২৬ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঘটনাটি তদন্তে এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিনিয়র সচিব কমিটির প্রধান। তিনি কয়েকটি দেশে চিঠি পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে দু-একটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞরাও এসে তদন্তে অংশ নিয়েছেন। তবে এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না—আসলেই কোনো অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যাঁরা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় কারাভোগ করেছেন—এমন ৩৭ বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
২ ঘণ্টা আগে