নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের দাবি উঠলেও এ নিয়ে গতকাল বুধবার পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি অন্তর্বর্তী সরকার। অবস্থানও স্পষ্ট করেনি। সূত্র বলেছে, এই ইস্যুতে বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সমর্থন না পাওয়ায় সরকার সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছে।
বিএনপির নেতারা গতকাল স্পষ্টই বলেছেন, এখন রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করা হলে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হবে। নির্বাচনও বিলম্বিত হবে। সন্ধ্যায় দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও এ মুহূর্তে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়ে একই অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের একজন উপদেষ্টা বলেছেন, রাষ্ট্রপতির থাকা না থাকা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। ফলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে রাজনৈতিক সমঝোতায়।
অন্তর্বর্তী সরকারের একাধিক সূত্র বলেছে, রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের বিষয়ে গতকাল বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টাসহ কয়েকজন উপদেষ্টার একাধিক আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক বৈঠক এবং আলাপ-আলোচনা হয়েছে। বড় রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তেমন সমর্থন পাওয়া যায়নি; বরং তাঁরা বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করা হলে দেশে সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকট দেখা দেবে। রাষ্ট্র সংস্কার ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিলম্বিত হতে পারে। কোনো কোনো রাজনৈতিক দল এই উদ্যোগের পেছনে ষড়যন্ত্রের আশঙ্কাও প্রকাশ করেছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পতন ঘটে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের। তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। পরে এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি জানিয়েছিলেন, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র তিনি পাননি। রাষ্ট্রপতির বক্তব্যকে কেন্দ্র করে গত সোমবার তাঁর বিরুদ্ধে শপথ ভঙ্গের অভিযোগ আনেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। পরদিন মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব বলেন, আইন উপদেষ্টার বক্তব্যের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকার একমত। আইন উপদেষ্টা ও তথ্য উপদেষ্টা দুপুরে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। একই দিন বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলতি সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবি জানায়। একই দাবিতে সংগঠনটি দেশের বিভিন্ন স্থানেও সমাবেশ ও বিক্ষোভ করে। দুপুরের পর রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করে কয়েকটি সংগঠন। কয়েক শ বিক্ষোভকারীর মধ্যে একাংশ রাত আটটার দিকে নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হন। পরে সেনাসদস্যরা পরিস্থিতি শান্ত করেন। রাত দুইটার দিকে বিক্ষোভকারীরা বঙ্গভবনের সামনের সড়ক ছেড়ে যায়।
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে মঙ্গলবার উত্তেজনা, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হলেও বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো কোনো কথা বলেনি। ঘটনাক্রমে মনে হচ্ছিল, রাষ্ট্রপতির সরে যাওয়া সময়ের ব্যাপার। তবে গতকাল পরিস্থিতি ছিল অন্য রকম। দেশের বিভিন্ন স্থানে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিক্ষোভ করলেও রাজধানীতে কোনো বিক্ষোভ হয়নি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির তিন সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান ও সালাহ উদ্দিন আহমদ বেলা ১১টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে। এ সময় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম উপস্থিত ছিলেন।
দুপুর ১২টার দিকে বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের বিষয়ে বিএনপির অবস্থান জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বলেছি, দেশে যেন নতুন কোনো সাংবিধানিক বা রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি না হয়, সেদিকে সবার খেয়াল রাখতে হবে।’
বিএনপির তিন নেতা বৈঠক করে যমুনা থেকে বের হওয়ার কিছুক্ষণ পর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে সেখানে যান ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি বের হন।
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ইস্যু এবং চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে হেলেন লাফেভের সাক্ষাতের কোনো যোগসূত্র আছে কি না—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘গত তিন মাসে কমপক্ষে ৪০টি দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা এখানে এসেছেন। এটা তো রুটিন মিটিংয়ের বিষয়। প্রতিটি মিটিং যখনই হয়, আমরা আপনাদের জানিয়েছি।’
বেলা আড়াইটার দিকে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, এ মুহূর্তে রাষ্ট্রপতির পদে শূন্যতা রাষ্ট্রীয় সংকট ও সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি করবে—এটা জাতির কাম্য নয়। তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ বিলম্বিত বা বাধাগ্রস্ত হওয়া কিংবা কণ্টকাকীর্ণ হওয়া—সেটা জাতির কাম্য হতে পারে না।
সন্ধ্যায় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভা হয়েছে। সভাসূত্র জানায়, রাষ্ট্রপতির পদ থেকে এখনই সাহাবুদ্দিনের অপসারণ না করার পক্ষে বিএনপি। সভায় এমন সিদ্ধান্তই হয়েছে। নেতারা মনে করছেন, হঠাৎ করে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবির পেছনে দুরভিসন্ধি রয়েছে। মঙ্গলবারও দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের বৈঠকেও এমন মত এসেছে; যা তাঁরা গতকাল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে জানিয়ে এসেছেন।
সচিবালয়ে গতকাল সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি থাকবেন কি থাকবেন না, এই প্রশ্ন এ মুহূর্তে আইনি বা সাংবিধানিক কোনো প্রশ্ন নয়। এটি একেবারেই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। ফলে রাজনৈতিক সমঝোতা এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তে আসা যেতে পারে।’
তবে গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শনকালে এ বিষয়ে জানতে চাইলে আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি প্রত্যেক দিন কথা বলতে পারব না। আমরা (ট্রাইব্যুনালের) কাজের অগ্রগতি দেখতে এসেছি। খুব ভালোভাবে কাজ এগোচ্ছে।’
সূত্র বলেছে, রাষ্ট্রপতির অপসারণ ইস্যুতে আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে গতকাল অনানুষ্ঠানিক আলাপ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের কেউ কেউ। তবে বিষয়টি কোনো পক্ষই আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি।
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকার যেহেতু সংবিধানের মধ্যে থাকতে চাইছে, সে ক্ষেত্রে এটা নিয়ে কোনো হইচই না করাই ভালো।
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ নিয়ে আলোচনাকে অপ্রয়োজনীয় মনে করেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারগুলো শেষ করে দ্রুত নির্বাচনের পথে এগোবে, এটাকে আমরা প্রধান অ্যাজেন্ডা মনে করি। পদত্যাগ করা না করা, এ নিয়ে রাষ্ট্রপতি সর্বশেষ যে বক্তব্য (বঙ্গভবনের ব্যাখ্যা) দিয়েছেন, তাতে এই আলোচনাকে অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করি।’

রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের দাবি উঠলেও এ নিয়ে গতকাল বুধবার পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি অন্তর্বর্তী সরকার। অবস্থানও স্পষ্ট করেনি। সূত্র বলেছে, এই ইস্যুতে বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সমর্থন না পাওয়ায় সরকার সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছে।
বিএনপির নেতারা গতকাল স্পষ্টই বলেছেন, এখন রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করা হলে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হবে। নির্বাচনও বিলম্বিত হবে। সন্ধ্যায় দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও এ মুহূর্তে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়ে একই অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের একজন উপদেষ্টা বলেছেন, রাষ্ট্রপতির থাকা না থাকা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। ফলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে রাজনৈতিক সমঝোতায়।
অন্তর্বর্তী সরকারের একাধিক সূত্র বলেছে, রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের বিষয়ে গতকাল বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টাসহ কয়েকজন উপদেষ্টার একাধিক আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক বৈঠক এবং আলাপ-আলোচনা হয়েছে। বড় রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তেমন সমর্থন পাওয়া যায়নি; বরং তাঁরা বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করা হলে দেশে সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকট দেখা দেবে। রাষ্ট্র সংস্কার ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিলম্বিত হতে পারে। কোনো কোনো রাজনৈতিক দল এই উদ্যোগের পেছনে ষড়যন্ত্রের আশঙ্কাও প্রকাশ করেছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পতন ঘটে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের। তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। পরে এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি জানিয়েছিলেন, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র তিনি পাননি। রাষ্ট্রপতির বক্তব্যকে কেন্দ্র করে গত সোমবার তাঁর বিরুদ্ধে শপথ ভঙ্গের অভিযোগ আনেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। পরদিন মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব বলেন, আইন উপদেষ্টার বক্তব্যের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকার একমত। আইন উপদেষ্টা ও তথ্য উপদেষ্টা দুপুরে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। একই দিন বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলতি সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবি জানায়। একই দাবিতে সংগঠনটি দেশের বিভিন্ন স্থানেও সমাবেশ ও বিক্ষোভ করে। দুপুরের পর রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করে কয়েকটি সংগঠন। কয়েক শ বিক্ষোভকারীর মধ্যে একাংশ রাত আটটার দিকে নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হন। পরে সেনাসদস্যরা পরিস্থিতি শান্ত করেন। রাত দুইটার দিকে বিক্ষোভকারীরা বঙ্গভবনের সামনের সড়ক ছেড়ে যায়।
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে মঙ্গলবার উত্তেজনা, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হলেও বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো কোনো কথা বলেনি। ঘটনাক্রমে মনে হচ্ছিল, রাষ্ট্রপতির সরে যাওয়া সময়ের ব্যাপার। তবে গতকাল পরিস্থিতি ছিল অন্য রকম। দেশের বিভিন্ন স্থানে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিক্ষোভ করলেও রাজধানীতে কোনো বিক্ষোভ হয়নি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির তিন সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান ও সালাহ উদ্দিন আহমদ বেলা ১১টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে। এ সময় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম উপস্থিত ছিলেন।
দুপুর ১২টার দিকে বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের বিষয়ে বিএনপির অবস্থান জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বলেছি, দেশে যেন নতুন কোনো সাংবিধানিক বা রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি না হয়, সেদিকে সবার খেয়াল রাখতে হবে।’
বিএনপির তিন নেতা বৈঠক করে যমুনা থেকে বের হওয়ার কিছুক্ষণ পর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে সেখানে যান ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি বের হন।
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ইস্যু এবং চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে হেলেন লাফেভের সাক্ষাতের কোনো যোগসূত্র আছে কি না—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘গত তিন মাসে কমপক্ষে ৪০টি দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা এখানে এসেছেন। এটা তো রুটিন মিটিংয়ের বিষয়। প্রতিটি মিটিং যখনই হয়, আমরা আপনাদের জানিয়েছি।’
বেলা আড়াইটার দিকে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, এ মুহূর্তে রাষ্ট্রপতির পদে শূন্যতা রাষ্ট্রীয় সংকট ও সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি করবে—এটা জাতির কাম্য নয়। তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ বিলম্বিত বা বাধাগ্রস্ত হওয়া কিংবা কণ্টকাকীর্ণ হওয়া—সেটা জাতির কাম্য হতে পারে না।
সন্ধ্যায় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভা হয়েছে। সভাসূত্র জানায়, রাষ্ট্রপতির পদ থেকে এখনই সাহাবুদ্দিনের অপসারণ না করার পক্ষে বিএনপি। সভায় এমন সিদ্ধান্তই হয়েছে। নেতারা মনে করছেন, হঠাৎ করে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবির পেছনে দুরভিসন্ধি রয়েছে। মঙ্গলবারও দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের বৈঠকেও এমন মত এসেছে; যা তাঁরা গতকাল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে জানিয়ে এসেছেন।
সচিবালয়ে গতকাল সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি থাকবেন কি থাকবেন না, এই প্রশ্ন এ মুহূর্তে আইনি বা সাংবিধানিক কোনো প্রশ্ন নয়। এটি একেবারেই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। ফলে রাজনৈতিক সমঝোতা এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তে আসা যেতে পারে।’
তবে গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শনকালে এ বিষয়ে জানতে চাইলে আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি প্রত্যেক দিন কথা বলতে পারব না। আমরা (ট্রাইব্যুনালের) কাজের অগ্রগতি দেখতে এসেছি। খুব ভালোভাবে কাজ এগোচ্ছে।’
সূত্র বলেছে, রাষ্ট্রপতির অপসারণ ইস্যুতে আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে গতকাল অনানুষ্ঠানিক আলাপ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের কেউ কেউ। তবে বিষয়টি কোনো পক্ষই আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি।
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকার যেহেতু সংবিধানের মধ্যে থাকতে চাইছে, সে ক্ষেত্রে এটা নিয়ে কোনো হইচই না করাই ভালো।
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ নিয়ে আলোচনাকে অপ্রয়োজনীয় মনে করেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারগুলো শেষ করে দ্রুত নির্বাচনের পথে এগোবে, এটাকে আমরা প্রধান অ্যাজেন্ডা মনে করি। পদত্যাগ করা না করা, এ নিয়ে রাষ্ট্রপতি সর্বশেষ যে বক্তব্য (বঙ্গভবনের ব্যাখ্যা) দিয়েছেন, তাতে এই আলোচনাকে অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করি।’

রাজনৈতিক দলগুলোকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে শক্ত ও ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। দলটির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডকে জাতির গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য ‘অস্তিত্বের হুমকি’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
চার দিনের শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ পিএনএস সাইফ (PNS SAIF)। আজ শনিবার জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছালে কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ-অঞ্চলের পক্ষ থেকে চিফ স্টাফ অফিসার জাহাজের কর্মকর্তা ও নাবিকদের স্বাগত জানান। এ সময় নৌবাহিনীর সুসজ্জিত বাদকদল ঐতিহ্যবাহী রীতি অনুযায়ী
১ ঘণ্টা আগে
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শরীরচর্চা বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করা সুদূরপ্রসারী চক্রান্তমূলক রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের অংশ। পাঠ্যক্রম থেকে চারুকলা, সংগীত, নৃত্যকলা, নাট্যকলাও বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। উদীচী মনে করে, এসব সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী, সাম্প্রদায়িক ও রাজনৈতিক সংকীর্ণতাপ্রসূত
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আরও ১৬টি দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধনের জন্য প্রাথমিকভাবে অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই নতুন ঘোষণার ফলে মোট নিবন্ধিত দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার সংখ্যা ৮২-তে পৌঁছানোর পথে।
৩ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

রাজনৈতিক দলগুলোকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে শক্ত ও ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। দলটির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডকে জাতির গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য ‘অস্তিত্বের হুমকি’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
আজ শনিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ট্রেস কনসাল্টিং আয়োজিত ‘রাজনৈতিক দলগুলো কীভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে জনগণের আকাঙ্ক্ষা নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিফলিত করতে পারে’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, “শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিষয়ে এখন সবার একটি স্পষ্ট অবস্থান নেওয়া জরুরি। তিনি এখনো জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন। বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।”
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বক্তব্যের সমালোচনা করে প্রেস সচিব বলেন, “তিনি বাংলাদেশের জনগণকে ‘সন্ত্রাসী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। আমি মনে করি, এই বক্তব্য বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য অস্তিত্বের হুমকি। একজন মানুষকে যখন ‘সন্ত্রাসী’ বলা হয়, তখন আসলে তাঁকে হত্যাযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তিনি কি ১৮ কোটি মানুষকে শত্রু ঘোষণা করে আবার ক্ষমতায় ফেরার চেষ্টা করছেন?”
সাংবাদিক এনায়েতুল্লাহ খানের বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘এনায়েতুল্লাহ খান একসময় লিখেছিলেন— ১৯৭৪ সালে শেখ মুজিব ৬ কোটি ৫০ লাখ মানুষকে কোলাবরেটরস বা রাজাকার বানিয়েছিলেন, আর এখন তাঁর মেয়ে ১৮ কোটি মানুষকে সন্ত্রাসী বলছেন! এটা কল্পনাতীত।’
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, ‘সরকার ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে নির্বাচন সম্পন্ন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ নিয়ে কোনো দ্বিধা-সংকোচ থাকা উচিত নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘শাসন ব্যবস্থা ও জুলাই সনদ নিয়ে বিতর্ক সুস্থ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ। সারা বিশ্বে সংবিধান সংক্রান্ত বিতর্কে সময় লাগে, কখনো তা দশক ধরেও চলে। রাতারাতি কোনো সমাধান চাপিয়ে দেওয়া যায় না।’
শফিকুল আলম বলেন, ‘যদি রাজনৈতিক দলগুলো সিদ্ধান্ত না নিতে পারে, তাহলে নির্বাচন অনুষ্ঠানের অনিশ্চয়তা দূর করতে ম্যান্ডেট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে অন্তর্বর্তী সরকার।’
প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা এখন একটি ফ্র্যাকচারড পলিটিক্যাল সিচুয়েশন দেখছি। এখন ডান, বাম ও মধ্যপন্থী সব পক্ষের অংশগ্রহণে গণতান্ত্রিক সমাধান প্রয়োজন।’
অনুষ্ঠানে আরও অংশ নেন— বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ট্রেস-এর সিইও ফুয়াদ এম খালিদ হোসেন, বাংলাদেশ কটন ও কনফেকশনরি এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)-এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম।
প্যানেল আলোচনায় সঞ্চালনা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. সাহাব এনাম খান। এতে কূটনীতিক, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিসহ প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা ছিলেন।

রাজনৈতিক দলগুলোকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে শক্ত ও ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। দলটির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডকে জাতির গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য ‘অস্তিত্বের হুমকি’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
আজ শনিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ট্রেস কনসাল্টিং আয়োজিত ‘রাজনৈতিক দলগুলো কীভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে জনগণের আকাঙ্ক্ষা নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিফলিত করতে পারে’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, “শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিষয়ে এখন সবার একটি স্পষ্ট অবস্থান নেওয়া জরুরি। তিনি এখনো জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন। বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।”
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বক্তব্যের সমালোচনা করে প্রেস সচিব বলেন, “তিনি বাংলাদেশের জনগণকে ‘সন্ত্রাসী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। আমি মনে করি, এই বক্তব্য বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য অস্তিত্বের হুমকি। একজন মানুষকে যখন ‘সন্ত্রাসী’ বলা হয়, তখন আসলে তাঁকে হত্যাযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তিনি কি ১৮ কোটি মানুষকে শত্রু ঘোষণা করে আবার ক্ষমতায় ফেরার চেষ্টা করছেন?”
সাংবাদিক এনায়েতুল্লাহ খানের বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘এনায়েতুল্লাহ খান একসময় লিখেছিলেন— ১৯৭৪ সালে শেখ মুজিব ৬ কোটি ৫০ লাখ মানুষকে কোলাবরেটরস বা রাজাকার বানিয়েছিলেন, আর এখন তাঁর মেয়ে ১৮ কোটি মানুষকে সন্ত্রাসী বলছেন! এটা কল্পনাতীত।’
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, ‘সরকার ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে নির্বাচন সম্পন্ন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ নিয়ে কোনো দ্বিধা-সংকোচ থাকা উচিত নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘শাসন ব্যবস্থা ও জুলাই সনদ নিয়ে বিতর্ক সুস্থ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ। সারা বিশ্বে সংবিধান সংক্রান্ত বিতর্কে সময় লাগে, কখনো তা দশক ধরেও চলে। রাতারাতি কোনো সমাধান চাপিয়ে দেওয়া যায় না।’
শফিকুল আলম বলেন, ‘যদি রাজনৈতিক দলগুলো সিদ্ধান্ত না নিতে পারে, তাহলে নির্বাচন অনুষ্ঠানের অনিশ্চয়তা দূর করতে ম্যান্ডেট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে অন্তর্বর্তী সরকার।’
প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা এখন একটি ফ্র্যাকচারড পলিটিক্যাল সিচুয়েশন দেখছি। এখন ডান, বাম ও মধ্যপন্থী সব পক্ষের অংশগ্রহণে গণতান্ত্রিক সমাধান প্রয়োজন।’
অনুষ্ঠানে আরও অংশ নেন— বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ট্রেস-এর সিইও ফুয়াদ এম খালিদ হোসেন, বাংলাদেশ কটন ও কনফেকশনরি এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)-এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম।
প্যানেল আলোচনায় সঞ্চালনা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. সাহাব এনাম খান। এতে কূটনীতিক, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিসহ প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা ছিলেন।

রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের দাবি উঠলেও এ নিয়ে গতকাল বুধবার পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি অন্তর্বর্তী সরকার। অবস্থানও স্পষ্ট করেনি। সূত্র বলেছে, এই ইস্যুতে বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সমর্থন না পাওয়ায় সরকার সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছে।
২৪ অক্টোবর ২০২৪
চার দিনের শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ পিএনএস সাইফ (PNS SAIF)। আজ শনিবার জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছালে কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ-অঞ্চলের পক্ষ থেকে চিফ স্টাফ অফিসার জাহাজের কর্মকর্তা ও নাবিকদের স্বাগত জানান। এ সময় নৌবাহিনীর সুসজ্জিত বাদকদল ঐতিহ্যবাহী রীতি অনুযায়ী
১ ঘণ্টা আগে
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শরীরচর্চা বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করা সুদূরপ্রসারী চক্রান্তমূলক রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের অংশ। পাঠ্যক্রম থেকে চারুকলা, সংগীত, নৃত্যকলা, নাট্যকলাও বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। উদীচী মনে করে, এসব সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী, সাম্প্রদায়িক ও রাজনৈতিক সংকীর্ণতাপ্রসূত
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আরও ১৬টি দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধনের জন্য প্রাথমিকভাবে অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই নতুন ঘোষণার ফলে মোট নিবন্ধিত দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার সংখ্যা ৮২-তে পৌঁছানোর পথে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চার দিনের শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ পিএনএস সাইফ (PNS SAIF)। আজ শনিবার জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছালে কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ-অঞ্চলের পক্ষ থেকে চিফ স্টাফ অফিসার জাহাজের কর্মকর্তা ও নাবিকদের স্বাগত জানান। এ সময় নৌবাহিনীর সুসজ্জিত বাদকদল ঐতিহ্যবাহী রীতি অনুযায়ী ব্যান্ড পরিবেশন করে।
জাহাজটিকে স্বাগত জানাতে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রতিনিধিসহ নৌবাহিনীর স্থানীয় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ বানৌজা স্বাধীনতা তাদের অভ্যর্থনা জানায়। বিকেলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে অবস্থানকালে জাহাজটির অধিনায়ক ও অন্যান্য কর্মকর্তাসহ একটি প্রতিনিধিদল কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ-অঞ্চল, কমান্ডার বিএন ফ্লিট, এরিয়া সুপারিনটেনডেন্ট ডকইয়ার্ডের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
চট্টগ্রাম নৌ-অঞ্চলে অবস্থানকালে জাহাজের অফিসার, নাবিক ও প্রশিক্ষণার্থীগণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থান, নৌবাহিনী জাহাজ ও ঘাঁটি পরিদর্শন করবেন।
এ ছাড়া বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও নাবিকেরা পাকিস্তানের জাহাজটি পরিদর্শন করবেন।
পাকিস্তান নৌবাহিনী জাহাজের এই বাংলাদেশ সফরের ফলে দুই দেশের মধ্যকার সৌহার্দ্যপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশা করা হচ্ছে। শুভেচ্ছা সফর শেষে জাহাজটি ১২ নভেম্বর বাংলাদেশ ত্যাগ করবে।

চার দিনের শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ পিএনএস সাইফ (PNS SAIF)। আজ শনিবার জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছালে কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ-অঞ্চলের পক্ষ থেকে চিফ স্টাফ অফিসার জাহাজের কর্মকর্তা ও নাবিকদের স্বাগত জানান। এ সময় নৌবাহিনীর সুসজ্জিত বাদকদল ঐতিহ্যবাহী রীতি অনুযায়ী ব্যান্ড পরিবেশন করে।
জাহাজটিকে স্বাগত জানাতে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রতিনিধিসহ নৌবাহিনীর স্থানীয় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ বানৌজা স্বাধীনতা তাদের অভ্যর্থনা জানায়। বিকেলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে অবস্থানকালে জাহাজটির অধিনায়ক ও অন্যান্য কর্মকর্তাসহ একটি প্রতিনিধিদল কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ-অঞ্চল, কমান্ডার বিএন ফ্লিট, এরিয়া সুপারিনটেনডেন্ট ডকইয়ার্ডের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
চট্টগ্রাম নৌ-অঞ্চলে অবস্থানকালে জাহাজের অফিসার, নাবিক ও প্রশিক্ষণার্থীগণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থান, নৌবাহিনী জাহাজ ও ঘাঁটি পরিদর্শন করবেন।
এ ছাড়া বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও নাবিকেরা পাকিস্তানের জাহাজটি পরিদর্শন করবেন।
পাকিস্তান নৌবাহিনী জাহাজের এই বাংলাদেশ সফরের ফলে দুই দেশের মধ্যকার সৌহার্দ্যপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশা করা হচ্ছে। শুভেচ্ছা সফর শেষে জাহাজটি ১২ নভেম্বর বাংলাদেশ ত্যাগ করবে।

রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের দাবি উঠলেও এ নিয়ে গতকাল বুধবার পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি অন্তর্বর্তী সরকার। অবস্থানও স্পষ্ট করেনি। সূত্র বলেছে, এই ইস্যুতে বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সমর্থন না পাওয়ায় সরকার সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছে।
২৪ অক্টোবর ২০২৪
রাজনৈতিক দলগুলোকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে শক্ত ও ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। দলটির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডকে জাতির গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য ‘অস্তিত্বের হুমকি’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শরীরচর্চা বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করা সুদূরপ্রসারী চক্রান্তমূলক রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের অংশ। পাঠ্যক্রম থেকে চারুকলা, সংগীত, নৃত্যকলা, নাট্যকলাও বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। উদীচী মনে করে, এসব সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী, সাম্প্রদায়িক ও রাজনৈতিক সংকীর্ণতাপ্রসূত
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আরও ১৬টি দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধনের জন্য প্রাথমিকভাবে অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই নতুন ঘোষণার ফলে মোট নিবন্ধিত দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার সংখ্যা ৮২-তে পৌঁছানোর পথে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শরীরচর্চা বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিলের প্রতিবাদে দেশজুড়ে দুই সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ মিলনায়তনে আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন উদীচীর কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শরীরচর্চা বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করা সুদূরপ্রসারী চক্রান্তমূলক রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের অংশ। পাঠ্যক্রম থেকে চারুকলা, সংগীত, নৃত্যকলা, নাট্যকলাও বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। উদীচী মনে করে, এসব সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী, সাম্প্রদায়িক ও রাজনৈতিক সংকীর্ণতাপ্রসূত।
সংবাদ সম্মেলনে অমিত রঞ্জন দে বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি ও জাতীয় শিক্ষাক্রমে শিশুর মানসিক ও মানবিক বিকাশে শারীরিক শিক্ষা ও সংগীত শিক্ষা অপরিহার্য বলা হয়েছে। বাংলার হাজার বছরের ঐতিহ্য টোল চতুষ্পাঠের গুরুকেন্দ্রিক শিক্ষা থেকে অদ্যাবধি প্রচলিত পাশ্চাত্য শিক্ষাধারা পর্যন্ত সব কালে এবং সরকারের সময় শারীরিক শিক্ষা পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত ছিল। জাতীয় শিক্ষানীতি সংগীত শিক্ষাকে শিক্ষার অপরিহার্য অনুষঙ্গ বিবেচনা করেছে। তাই এই দুই বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগ বাহুল্য হতে পারে না।
তিনি বলেন, উদীচী বিশ্বাস করে, আর্থসামাজিক প্রেক্ষিত বাংলাদেশের প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হতাশা ও নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এখান থেকে নতুন প্রজন্মকে রক্ষার উপায় সৃজনশীলতা, শারীরিক সক্ষমতা ও মানবিক হিসেবে গড়ে তোলা। এই মানবিক কাজটি করতে পারেন শারীরিক শিক্ষার শিক্ষকসহ শিল্পকলার শিক্ষকেরা। তাই তাঁরা প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় অপরিহার্য। উদীচী সরকারের অনধিকারচর্চাপ্রবণ এই আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জোর দাবি জানাচ্ছে। একই সঙ্গে অপরাপর সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিল্পীদের নিয়ে বৃহত্তর ঐক্য গঠনের প্রত্যয় ব্যক্ত করছে।
কর্মসূচি সম্পর্কে উদীচীর সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামী দুই সপ্তাহ অপরাপর সমমনা প্রগতিশীল সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে নিয়ে উদীচীর সব জেলা ও শাখা সংসদের উদ্যোগে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশ, মানববন্ধন, গানের মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি প্রদান, গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন, বিশিষ্টজনদের বিবৃতি প্রদান ইত্যাদি কর্মসূচি পালন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উদীচীর নেতারা ছাড়াও সমমনা প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক ও সামাজিক বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শরীরচর্চা বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিলের প্রতিবাদে দেশজুড়ে দুই সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ মিলনায়তনে আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন উদীচীর কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শরীরচর্চা বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করা সুদূরপ্রসারী চক্রান্তমূলক রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের অংশ। পাঠ্যক্রম থেকে চারুকলা, সংগীত, নৃত্যকলা, নাট্যকলাও বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। উদীচী মনে করে, এসব সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী, সাম্প্রদায়িক ও রাজনৈতিক সংকীর্ণতাপ্রসূত।
সংবাদ সম্মেলনে অমিত রঞ্জন দে বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি ও জাতীয় শিক্ষাক্রমে শিশুর মানসিক ও মানবিক বিকাশে শারীরিক শিক্ষা ও সংগীত শিক্ষা অপরিহার্য বলা হয়েছে। বাংলার হাজার বছরের ঐতিহ্য টোল চতুষ্পাঠের গুরুকেন্দ্রিক শিক্ষা থেকে অদ্যাবধি প্রচলিত পাশ্চাত্য শিক্ষাধারা পর্যন্ত সব কালে এবং সরকারের সময় শারীরিক শিক্ষা পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত ছিল। জাতীয় শিক্ষানীতি সংগীত শিক্ষাকে শিক্ষার অপরিহার্য অনুষঙ্গ বিবেচনা করেছে। তাই এই দুই বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগ বাহুল্য হতে পারে না।
তিনি বলেন, উদীচী বিশ্বাস করে, আর্থসামাজিক প্রেক্ষিত বাংলাদেশের প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হতাশা ও নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এখান থেকে নতুন প্রজন্মকে রক্ষার উপায় সৃজনশীলতা, শারীরিক সক্ষমতা ও মানবিক হিসেবে গড়ে তোলা। এই মানবিক কাজটি করতে পারেন শারীরিক শিক্ষার শিক্ষকসহ শিল্পকলার শিক্ষকেরা। তাই তাঁরা প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় অপরিহার্য। উদীচী সরকারের অনধিকারচর্চাপ্রবণ এই আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জোর দাবি জানাচ্ছে। একই সঙ্গে অপরাপর সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিল্পীদের নিয়ে বৃহত্তর ঐক্য গঠনের প্রত্যয় ব্যক্ত করছে।
কর্মসূচি সম্পর্কে উদীচীর সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামী দুই সপ্তাহ অপরাপর সমমনা প্রগতিশীল সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে নিয়ে উদীচীর সব জেলা ও শাখা সংসদের উদ্যোগে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশ, মানববন্ধন, গানের মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি প্রদান, গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন, বিশিষ্টজনদের বিবৃতি প্রদান ইত্যাদি কর্মসূচি পালন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উদীচীর নেতারা ছাড়াও সমমনা প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক ও সামাজিক বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের দাবি উঠলেও এ নিয়ে গতকাল বুধবার পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি অন্তর্বর্তী সরকার। অবস্থানও স্পষ্ট করেনি। সূত্র বলেছে, এই ইস্যুতে বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সমর্থন না পাওয়ায় সরকার সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছে।
২৪ অক্টোবর ২০২৪
রাজনৈতিক দলগুলোকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে শক্ত ও ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। দলটির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডকে জাতির গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য ‘অস্তিত্বের হুমকি’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
চার দিনের শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ পিএনএস সাইফ (PNS SAIF)। আজ শনিবার জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছালে কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ-অঞ্চলের পক্ষ থেকে চিফ স্টাফ অফিসার জাহাজের কর্মকর্তা ও নাবিকদের স্বাগত জানান। এ সময় নৌবাহিনীর সুসজ্জিত বাদকদল ঐতিহ্যবাহী রীতি অনুযায়ী
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আরও ১৬টি দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধনের জন্য প্রাথমিকভাবে অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই নতুন ঘোষণার ফলে মোট নিবন্ধিত দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার সংখ্যা ৮২-তে পৌঁছানোর পথে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আরও ১৬টি দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধনের জন্য প্রাথমিকভাবে অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই নতুন ঘোষণার ফলে মোট নিবন্ধিত দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার সংখ্যা ৮২-তে পৌঁছানোর পথে।
আজ শনিবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে এই ১৬টি সংস্থাকে প্রাথমিকভাবে নিবন্ধনযোগ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
এই ১৬টি প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে কারও কোনো দাবি, আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে তা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ১৫ (পনেরো) কার্যদিবসের মধ্যে অর্থাৎ আগামী ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর লিখিতভাবে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
যে ১৬টি বেসরকারি সংস্থাকে প্রাথমিকভাবে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে, সেগুলো হলো:
এর আগে, গত ৬ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন প্রথম দফায় ৬৬টি দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল। নতুন ১৬টি সংস্থাকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হলে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে মোট ৮২টি দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থা কাজ করার সুযোগ পাবে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আরও ১৬টি দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধনের জন্য প্রাথমিকভাবে অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই নতুন ঘোষণার ফলে মোট নিবন্ধিত দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার সংখ্যা ৮২-তে পৌঁছানোর পথে।
আজ শনিবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে এই ১৬টি সংস্থাকে প্রাথমিকভাবে নিবন্ধনযোগ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
এই ১৬টি প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে কারও কোনো দাবি, আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে তা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ১৫ (পনেরো) কার্যদিবসের মধ্যে অর্থাৎ আগামী ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর লিখিতভাবে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
যে ১৬টি বেসরকারি সংস্থাকে প্রাথমিকভাবে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে, সেগুলো হলো:
এর আগে, গত ৬ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন প্রথম দফায় ৬৬টি দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল। নতুন ১৬টি সংস্থাকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হলে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে মোট ৮২টি দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থা কাজ করার সুযোগ পাবে।

রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের দাবি উঠলেও এ নিয়ে গতকাল বুধবার পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি অন্তর্বর্তী সরকার। অবস্থানও স্পষ্ট করেনি। সূত্র বলেছে, এই ইস্যুতে বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সমর্থন না পাওয়ায় সরকার সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছে।
২৪ অক্টোবর ২০২৪
রাজনৈতিক দলগুলোকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে শক্ত ও ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। দলটির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডকে জাতির গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য ‘অস্তিত্বের হুমকি’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
চার দিনের শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ পিএনএস সাইফ (PNS SAIF)। আজ শনিবার জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছালে কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ-অঞ্চলের পক্ষ থেকে চিফ স্টাফ অফিসার জাহাজের কর্মকর্তা ও নাবিকদের স্বাগত জানান। এ সময় নৌবাহিনীর সুসজ্জিত বাদকদল ঐতিহ্যবাহী রীতি অনুযায়ী
১ ঘণ্টা আগে
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শরীরচর্চা বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করা সুদূরপ্রসারী চক্রান্তমূলক রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের অংশ। পাঠ্যক্রম থেকে চারুকলা, সংগীত, নৃত্যকলা, নাট্যকলাও বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। উদীচী মনে করে, এসব সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী, সাম্প্রদায়িক ও রাজনৈতিক সংকীর্ণতাপ্রসূত
২ ঘণ্টা আগে