অনলাইন ডেস্ক
‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালন শেষে ধারাবাহিক আলোচনার অংশ হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা মতবিনিময়ে সাড়া দেয়নি অধিকাংশ ছাত্র সংগঠন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দলের ছাত্র সংগঠন অংশ নিয়েছিল।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ন টাওয়ারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা মতবিনিময় সভায় দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি ও বামপন্থী দলগুলোর ছাত্র সংগঠন অংশ নেয়নি।
মতবিনিময়ে অংশ না নেওয়া ছাত্র সংগঠনগুলো বলছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে জাতীয় ঐক্যের যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তা নেতারা রক্ষা করতে পারেননি। সেজন্য তাঁরা এই সভা থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নেন।
পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আনুষ্ঠানিক মত বিনিময় শুরু হয়। সেখানে ইসলামি ছাত্র শিবিরসহ কয়েকটি ইসলামপন্থী দলের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি দেখা গেছে।
মতবিনিময়ে উপস্থিত না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার প্রকল্প, শহীদদের নিয়ে বিভিন্ন উদ্যোগসহ নানাবিধ কার্যক্রমে ছাত্রদের যুক্ত করার কথা বলেছে। কিন্তু আমরা সবক্ষেত্রে দেখেছি কেবল একটি সুনির্দিষ্ট পক্ষকেই সব কার্যক্রমে যুক্ত করা হচ্ছে। অন্য কোনো সংগঠনের সঙ্গে কোনো প্রকার আলোচনাও করা হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা ছাত্রনেতাদের সঙ্গে আলোচনার নামে কেবল কয়েকজন সমন্বয়কের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এতে জুলাই আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে যে অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতীয় ঐক্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তা এখন একটি পক্ষের সংকীর্ণ গণ্ডিতে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে।’
বিদ্যমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ছাত্রদের মধ্যে জাতীয় ঐক্যের বিষয়ে নতুন করে ভাবতে হবে বলে জানান তিনি।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালমান সিদ্দিকী বলেন, ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ গত ১২ আগস্টের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকে অঙ্গীকার করেছিলো, সকল ছাত্র সংগঠনকে নিয়ে ধারাবাহিকভাবে বসা হবে এবং সবার মতামত নিয়ে গণতান্ত্রিকভাবে যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। কিন্তু আমরা দেখছি, তারা সে অঙ্গীকার থেকে সরে এসেছে। বর্তমানে ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ সব সংগঠনকে বাদ দিয়ে অগণতান্ত্রিক উপায়ে সকল সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট হচ্ছে। এর দায় তারা কোনমতেই অস্বীকার করতে পারে না।
ছাত্র ফেডারেশনের (গণসংহতি) সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতসপ্তাহে আমরা সকল ছাত্র সংগঠনকে নিয়ে জাতীয় ছাত্র কাউন্সিল গঠনের দাবি জানিয়েছিলাম উপস্থিত ছাত্র সংগঠনের বেশিরভাগই সেই দাবিতে একমত ছিলেন। যার মাধ্যমে ছাত্র সমাজের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা যেতো। কিন্তু সকল ক্ষেত্রে নিজেদের গোষ্ঠীগত স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে তারা ছাত্র সংগঠনগুলো দূরে ঠেলে দিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করেছি, সকলের মাঝে ঐক্য টিকিয়ে রাখার মতো পরিপক্ক আচরণ তারা করেন নি। তাই আমরা আজকের বৈঠকে অংশ নেই নি। তবে অন্তর্বরতীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করার সকল অপচেষ্টার বিরুদ্ধে ছাত্রদের সংহতি জোড়ালো করতে অভ্যুত্থানকারী সকল শক্তিগুলোর সঙ্গে দলের পারস্পরিক আলাপ অব্যহত থাকবে বলে জানান।’
পরে রাত ১০টায় মত বিনিময় শেষে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ জানান, ‘আগামী জানুয়ারির শেষে অথবা ফেব্রুয়ারির শুরুতে ডাকসুসহ সকল ছাত্র সংসদ নির্বাচন শুরু হোক, এটা প্রত্যাশা করছি।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই জাতীয় নির্বাচনের আগেই ডাকসুসহ সকল ছাত্র সংসদ নির্বাচন হোক।’ এ সময় আবদুল হান্নান মাসুদ জানান, আজকের মতবিনিময়ের ৩০টি ছাত্র সংগঠন উপস্থিত ছিল।
‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালন শেষে ধারাবাহিক আলোচনার অংশ হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা মতবিনিময়ে সাড়া দেয়নি অধিকাংশ ছাত্র সংগঠন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দলের ছাত্র সংগঠন অংশ নিয়েছিল।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ন টাওয়ারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা মতবিনিময় সভায় দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি ও বামপন্থী দলগুলোর ছাত্র সংগঠন অংশ নেয়নি।
মতবিনিময়ে অংশ না নেওয়া ছাত্র সংগঠনগুলো বলছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে জাতীয় ঐক্যের যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তা নেতারা রক্ষা করতে পারেননি। সেজন্য তাঁরা এই সভা থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নেন।
পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আনুষ্ঠানিক মত বিনিময় শুরু হয়। সেখানে ইসলামি ছাত্র শিবিরসহ কয়েকটি ইসলামপন্থী দলের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি দেখা গেছে।
মতবিনিময়ে উপস্থিত না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার প্রকল্প, শহীদদের নিয়ে বিভিন্ন উদ্যোগসহ নানাবিধ কার্যক্রমে ছাত্রদের যুক্ত করার কথা বলেছে। কিন্তু আমরা সবক্ষেত্রে দেখেছি কেবল একটি সুনির্দিষ্ট পক্ষকেই সব কার্যক্রমে যুক্ত করা হচ্ছে। অন্য কোনো সংগঠনের সঙ্গে কোনো প্রকার আলোচনাও করা হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা ছাত্রনেতাদের সঙ্গে আলোচনার নামে কেবল কয়েকজন সমন্বয়কের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এতে জুলাই আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে যে অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতীয় ঐক্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তা এখন একটি পক্ষের সংকীর্ণ গণ্ডিতে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে।’
বিদ্যমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ছাত্রদের মধ্যে জাতীয় ঐক্যের বিষয়ে নতুন করে ভাবতে হবে বলে জানান তিনি।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালমান সিদ্দিকী বলেন, ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ গত ১২ আগস্টের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকে অঙ্গীকার করেছিলো, সকল ছাত্র সংগঠনকে নিয়ে ধারাবাহিকভাবে বসা হবে এবং সবার মতামত নিয়ে গণতান্ত্রিকভাবে যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। কিন্তু আমরা দেখছি, তারা সে অঙ্গীকার থেকে সরে এসেছে। বর্তমানে ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ সব সংগঠনকে বাদ দিয়ে অগণতান্ত্রিক উপায়ে সকল সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট হচ্ছে। এর দায় তারা কোনমতেই অস্বীকার করতে পারে না।
ছাত্র ফেডারেশনের (গণসংহতি) সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতসপ্তাহে আমরা সকল ছাত্র সংগঠনকে নিয়ে জাতীয় ছাত্র কাউন্সিল গঠনের দাবি জানিয়েছিলাম উপস্থিত ছাত্র সংগঠনের বেশিরভাগই সেই দাবিতে একমত ছিলেন। যার মাধ্যমে ছাত্র সমাজের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা যেতো। কিন্তু সকল ক্ষেত্রে নিজেদের গোষ্ঠীগত স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে তারা ছাত্র সংগঠনগুলো দূরে ঠেলে দিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করেছি, সকলের মাঝে ঐক্য টিকিয়ে রাখার মতো পরিপক্ক আচরণ তারা করেন নি। তাই আমরা আজকের বৈঠকে অংশ নেই নি। তবে অন্তর্বরতীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করার সকল অপচেষ্টার বিরুদ্ধে ছাত্রদের সংহতি জোড়ালো করতে অভ্যুত্থানকারী সকল শক্তিগুলোর সঙ্গে দলের পারস্পরিক আলাপ অব্যহত থাকবে বলে জানান।’
পরে রাত ১০টায় মত বিনিময় শেষে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ জানান, ‘আগামী জানুয়ারির শেষে অথবা ফেব্রুয়ারির শুরুতে ডাকসুসহ সকল ছাত্র সংসদ নির্বাচন শুরু হোক, এটা প্রত্যাশা করছি।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই জাতীয় নির্বাচনের আগেই ডাকসুসহ সকল ছাত্র সংসদ নির্বাচন হোক।’ এ সময় আবদুল হান্নান মাসুদ জানান, আজকের মতবিনিময়ের ৩০টি ছাত্র সংগঠন উপস্থিত ছিল।
গত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মুখে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।
৩২ মিনিট আগেবিবৃতিতে বলা হয়, সরকার গণমাধ্যমে স্বচ্ছতা, সুরক্ষা ও স্বাধীনতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একই সঙ্গে এই মূল্যবোধ সংরক্ষণ ও বৃদ্ধির জন্য সব অংশীজনের একসঙ্গে কাজ করা দরকার। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অন্তর্বর্তী সরকার কোনো গণমাধ্যমে সম্পাদকীয়, পরিচালনাগত বা ব্যবসায়িক দিকগুলোতে হস্তক্ষেপ করেনি।
১ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস তিন দিনের দ্বিপক্ষীয় সরকারি সফরে ১১ আগস্ট মালয়েশিয়া যাচ্ছেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ সরকারপ্রধানের এটি ফিরতি সফর। আনোয়ার ইব্রাহিম গত অক্টোবরে মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে বাংলাদেশে আসেন।
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বন্ধুত্বপূর্ণ ও কল্যাণকর উদ্যোগের জন্য চীনের জনগণ ও সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। তিনি বলেছেন, চীন সব সময় বাংলাদেশের দীর্ঘস্থায়ী বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে দুর্যোগ ও সংকটময় সময়ে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দ
৪ ঘণ্টা আগে