Ajker Patrika

সাদিক-শাম্মীসহ ৯ প্রার্থীর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০২ জানুয়ারি ২০২৪, ১০: ৩৮
সাদিক-শাম্মীসহ ৯ প্রার্থীর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আজ

আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। ঠিক সেই সময়েও সর্বোচ্চ আদালতের দিকে তাকিয়ে আছেন কয়েজন প্রার্থী। এর মধ্যে ভোটে অংশ নিতে তিন প্রার্থী এবং মাঠ থেকে ছয় প্রার্থীকে সরিয়ে দিতে করা আবেদন শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। আজ মঙ্গলবার শুনানি শেষে তাঁদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ। 

ভোটের মাঠে ফিরতে আবেদন করেছেন বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাম্মী আহমেদ এবং নোয়াখালী-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার রুহুল আমিন। 

আর ভোটের মাঠ থেকে বাদ দিতে আবেদন করা হয়েছে ফরিদপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামীম হক, যশোর-৪ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী এনামুল হক বাবুল, ঢাকা-৭ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ হাসিবুর রহমান মানিক, গাজীপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলম আহমেদ, সিলেট-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমান এবং লালমনিরহাট-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আতাউর রহমান প্রধানের বিরুদ্ধে। 

সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, আপিল বিভাগের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। শেষ পর্যন্ত কেউ প্রার্থিতা ফিরে পেলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। আর ওই আসনে ব্যালট ছাপানো হয়ে গেলেও নতুন করে ব্যালট ছাপাতে হবে। 

সাদিক আবদুল্লাহ: 
দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ তুলে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিলে ইসিতে আপিল করেছিলেন ওই আসনের নৌকার প্রার্থী জাহিদ ফারুক শামীম। তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। পরে হাইকোর্টে গিয়ে প্রার্থিতা ফিরে পান সাদিক। তবে জাহিদ ফারুক চেম্বার আদালতে আবেদন করলে আবারও আটকে যান সাদিক আব্দুল্লাহ। অবশেষে ভোটে ফিরতে চেম্বার আদালতে আবেদন করেন সাদিক, যা আজ শুনানির জন্য রয়েছে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে। 

শাম্মী আহমেদ: 
দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকার অভিযোগে রিটার্নিং কর্মকর্তা, নির্বাচন কমিশন ও হাইকোর্টে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আবেদন করেও বিফল হন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাম্মী আহমেদ। এমনকি চেম্বার আদালতে গিয়েও সাড়া মেলেনি। পরে প্রার্থিতা ফিরে পেতে লিভ টু আপিল করেন তিনি, যা আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য রয়েছে। 

খন্দকার রুহুল আমিন: 
দ্বৈত নাগরিকত্বের তথ্য গোপন করায় স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার রুহুল আমিনের প্রার্থিতা বাতিল করতে ইসিতে আবেদন করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুর রহমান। তাতে সাড়া না পেয়ে রিট করেন তিনি। দুই সংস্থার প্রতিবেদনে রুহুল আমিনের দ্বৈত নাগরিকত্বের প্রমাণ মেলায় তার প্রার্থিতা বাতিল করে হাইকোর্ট। পরে প্রার্থিতা ফিরে পেতে চেম্বার আদালতে আবেদন করেন রুহুল আমিন। 

শামীম হক: 
দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যবসায়ী এ কে আজাদের আবেদনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল করেছিল নির্বাচন কমিশন। পরে শামীম হক রিট করলেও তা খারিজ হয়। তবে চেম্বার আদালতের নির্দেশে ভোটের মাঠে ফেরেন শামীম। পরবর্তী সময়ে শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিলে চেম্বার আদালতে আবেদন করেন এ কে আজাদ। যা শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গে বেঞ্চে রয়েছে। 

আলম আহমেদ: 
ঋণখেলাপির অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলম আহমেদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। পরে নির্বাচন কমিশনে আপিল এবং হাইকোর্টে সাড়া না পেলেও চেম্বার আদালতের নির্দেশে ভোটের মাঠে ফেরেন আলম। তবে আলমের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সিমিন হোসেন রিমি চেম্বার আদালতে আবেদন করেন, যা শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানো হয়। 

এনামুল হক বাবুল: 
ঋণখেলাপির অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী রণজিত কুমার রায়ের আবেদনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এনামুল হক বাবুলের প্রার্থিতা বাতিল করেন ইসি। পরে হাইকোর্টে গিয়ে সাড়া না পেলেও চেম্বার আদালতের নির্দেশে ভোটের মাঠে ফেরেন তিনি। পরবর্তীতে বাবুলের প্রার্থিতা বাতিল করতে চেম্বার আদালতে যান রণজিত, যা আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য রয়েছে। 

হাসিবুর রহমান মানিক: 
ঋণখেলাপির অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ হাসিবুর রহমান মানিকের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। ইসিতে আপিল করেও সাড়া না পেয়ে রিট করেন তিনি। হাইকোর্টের নির্দেশে ভোটের মাঠে ফিরলেও নির্বাচন কমিশন চেম্বার আদালতে আবেদন করে। এখন বিষয়টি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে সিদ্ধান্ত হবে। 

আতাউর রহমান প্রধান: 
অবসর গ্রহণের পর তিন বছর পার হয়নি–এমন অভিযোগ তুলে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আতাউর রহমান প্রধানের প্রার্থিতা বাতিল করতে ইসিতে আবেদন করেছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোতাহার হোসেন। তবে সেখানে সাড়া না পেয়ে রিট করেন তিনি। হাইকোর্টেও সাড়া না পেয়ে যান চেম্বার আদালতে। চেম্বার বিচারপতি বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান। 

মুহিবুর রহমান: 
মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ না করায় ইসিতে ব্যর্থ হয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ ভোটের মাঠে ফেরেন সিলেট-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমান। তবে নির্বাচন কমিশন চেম্বার আদালতে তার প্রার্থিতা বাতিলের জন্য আবেদন করেন, যা আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য রয়েছে। 

নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ প্রাপ্তি সাপেক্ষে কমিশন এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

বিচার বিভাগ: পদোন্নতির প্যানেলে ১১ শতাধিক কর্মকর্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দেশ থেকে পালানো পুলিশ কর্মকর্তাদের ফিরিয়ে আনা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা

দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা অপরাধে জড়িত ছিলেন তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।

পুলিশের অনেক কর্মকর্তা যাঁরা অপরাধে জড়িত ছিলেন দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে কি না—প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘তাঁরা আইনের চোখে অপরাধী। তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।’

পুলিশের অনেক কর্মকর্তা যারা সাবেক ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সময় দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁদের অনেকেই এখন রাজধানীতে ওসির দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁদের ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যারা ২০১৪,২০১৯ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁদের বাছাই করে বাদ দেওয়া হবে।’

নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর হাতে ম্যাজিস্ট্রেসি থাকবে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন যেহেতু তারা ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার ব্যবহার করছেন নির্বাচনের সময়ও তা বহাল থাকবে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লুৎফে সিদ্দিকী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

বিচার বিভাগ: পদোন্নতির প্যানেলে ১১ শতাধিক কর্মকর্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নির্বাচনী প্রশিক্ষণ নিলেন ৪৮ হাজার ১৩৪ পুলিশ সদস্য

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে পুলিশ বাহিনীর ৪৮ হাজার ১৩৪ সদস্য তাঁদের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন। নির্বাচনে পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য তাঁদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

আজ মঙ্গলবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে উল্লেখ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ পুলিশের ৪৮ হাজার ১৩৪ জন সদস্য এ পর্যন্ত নির্বাচনী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। এর আগে গত ৩১ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ প্রশিক্ষণের ওপর ট্রেনিং অব ট্রেইনার্স কোর্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, পুলিশের প্রায় দেড় লাখ সদস্য আগামী সংসদ নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁদের প্রত্যেকের কর্মকাণ্ড জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিরীক্ষিত হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে দক্ষ ও সুশৃঙ্খল হিসেবে গড়ে তোলাই নির্বাচনী প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য।

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), বাংলাদেশ পুলিশের চলমান নির্বাচনী প্রশিক্ষণ নিবিড় তদারকির মাধ্যমে পরিচালনার জন্য পুলিশের সকল ইউনিট প্রধানকে বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করেছেন। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম যথাযথভাবে মনিটর করা হচ্ছে।

আইজিপি মাঠপর্যায়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য গত বোরবার (২ নভেম্বর) রাজশাহী ও বগুড়া সফর করেছেন। তিনি নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রশিক্ষণার্থী পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।

এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী গত ৭ সেপ্টেম্বর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বাংলাদেশ এই নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। চলমান নির্বাচনী প্রশিক্ষণ আগামী মধ্য জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে পুলিশ সদস্যদের এ ধরনের প্রশিক্ষণ আয়োজন এবারই প্রথম।

পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশজুড়ে বাংলাদেশ পুলিশের ১৩০টি ছোট ও চারটি বড় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পুলিশ সদস্যদের নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানিয়েছেন, সরকার ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। নির্বাচন প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মোট ৭ লাখ ৬৮ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য—পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং আনসার ও ভিডিপি সদস্য নিরপেক্ষ ও দক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে বিশেষ নির্বাচন-সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।

এর মধ্যে ১ লাখ ৫০ হাজার পুলিশ সদস্যকে আইন ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে পুলিশ সদর দপ্তরের মানবসম্পদ বিভাগ প্রণীত নয়টি প্রশিক্ষণ মডিউলের আওতায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

এ ছাড়া দেশের ৪৫ হাজার ভোটকেন্দ্রে নিয়োগের লক্ষ্যে ৫ লাখ ৮৫ হাজার আনসার ও ভিডিপি সদস্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। যার মধ্যে ১ লাখ ৩৫ হাজার সশস্ত্র এবং ৪ লাখ ৫০ হাজার নিরস্ত্র সদস্য রয়েছেন। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে গড়ে ১৩ জন নিরাপত্তা সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও জানান, বিজিবির ৩৩ হাজার সদস্য (১ হাজার ১০০ প্লাটুন) নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করছেন, যা ডিসেম্বরের ৩১ তারিখের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২৬ সালের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সব প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হবে। এ ছাড়া সংসদ নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৮০ হাজার সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসেবে মাঠে থাকবে।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, নির্বাচনকালীন সমন্বয়ের জন্য পুলিশ সদর দপ্তর এবং প্রতিটি জেলায় নির্বাচন কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হবে। ভোটকেন্দ্রগুলোতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সিসিটিভি ক্যামেরা ও বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে।

তিনি বলেন, নির্বাচন চলাকালে মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স সারা দেশে প্রস্তুত থাকবে যাতে কোনো নিরাপত্তাজনিত সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারে। এ ছাড়া নির্বাচন দায়িত্ব পালনের জন্য ১০ হাজার ২৬৪ পুলিশ সদস্য, ২ হাজার ১৪৫ আনসার ও ভিডিপি সদস্য, ৫ হাজার ৫১৩ বিজিবি সদস্য এবং ৬৩৪ কোস্ট গার্ড সদস্য নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

বিচার বিভাগ: পদোন্নতির প্যানেলে ১১ শতাধিক কর্মকর্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জোটে নিজ দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিধান রেখে আরপিও অধ্যাদেশ জারি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ৫২
জোটে নিজ দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিধান রেখে আরপিও অধ্যাদেশ জারি

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে সরকার অধ্যাদেশ জারি করেছে। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। তবে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে গতকাল সোমবার অধ্যাদেশ জারি করা হয়।

সংশোধিত আরপিওতে জোটবদ্ধ নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রতীক পছন্দের বিষয়ে বলা হয়েছে, দুই বা ততোধিক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ের ক্ষেত্রে যারা নির্বাচনে যৌথ প্রার্থী মনোনীত করতে সম্মত হয়েছে, তারা প্রার্থী যে দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, সেই রাজনৈতিক দলের জন্য সংরক্ষিত প্রতীক বরাদ্দ করবে।

প্রস্তাবিত আরপিওতে জোট প্রার্থীর নিজস্ব দলীয় প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছিল। এ বিষয়টি নিয়ে বিএনপি তীব্র আপত্তি জানায়। এটি সংশোধনের আবেদন জানিয়ে আনুষ্ঠানিক চিঠিও দিয়েছিল তারা। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও জামায়াতে ইসলামী বিধানটি রাখার পক্ষে।

আরপিওতে এবার ‘না’ ভোটের বিধানও যুক্ত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, যাচাই-বাছাই বা পর্যালোচনার পর একটি আসন থেকে সদস্য হিসেবে নির্বাচনের জন্য মাত্র একজন ব্যক্তি বৈধভাবে মনোনীত থাকেন অথবা প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর মাত্র একজন প্রার্থী অবশিষ্ট থাকেন, সে ক্ষেত্রে নির্বাচনটি একক প্রার্থী এবং 'না ভোট' (No Vote) বিকল্পের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।

যদি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কর্তৃক প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা 'না ভোট'-এর সংখ্যা অপেক্ষা বেশি হয়, তাহলে রিটার্নিং কর্মকর্তা জনবিজ্ঞপ্তি দ্বারা ওই প্রার্থীকে নির্বাচিত বলে ঘোষণা করবেন।

যদি 'না ভোট'-এর সংখ্যা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কর্তৃক প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা অপেক্ষা বেশি হয়, তবে নতুন সময়সূচি ঘোষণা করে সেই নির্বাচনী এলাকায় নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

বিচার বিভাগ: পদোন্নতির প্যানেলে ১১ শতাধিক কর্মকর্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিচার বিভাগ: পদোন্নতির প্যানেলে ১১ শতাধিক কর্মকর্তা

  • সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় উঠছে আজ।
  • প্যানেলে আছেন দুদকে অনুসন্ধান চলা কর্মকর্তাও।
  • একসঙ্গে এত কর্মকর্তা আগে প্যানেলভুক্ত হননি।
  • ‘নতুন পদ ও আদালতের কারণে সংখ্যা বেড়েছে।’
এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা  
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১১: ২৬
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আইন মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি ১১ শতাধিক বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে পদোন্নতির প্যানেলভুক্ত করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় উঠছে। এ সভায় বিষয়টি অনুমোদিত হলে তা আবারও পাঠানো হবে আইন মন্ত্রণালয়ে। এরপর সময়ে সময়ে ওই প্যানেল থেকে পদোন্নতি দেওয়া হবে।

বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জন্য প্যানেল তৈরি করে রাখা হয়। পদ খালি হলে পর্যায়ক্রমে শূন্য পদে পদোন্নতি দেওয়া হয় ওই প্যানেল থেকে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে আজ ফুলকোর্ট সভা ডেকেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। বেলা ৩টায় সুপ্রিম কোর্টের কনফারেন্স রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।

সুপ্রিম কোর্টে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পদোন্নতির জন্য প্যানেলে রয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ থেকে জেলা ও দায়রা জজ পদের জন্য ৩৪৫ জন, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদে ২০৭ জন, সিনিয়র সহকারী জজ থেকে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ পদে ৫৫১ জন। সব মিলিয়ে এবারের পদোন্নতির প্যানেলে ১ হাজার ১০৩ জন বিচারিক কর্মকর্তার নাম রয়েছে।

এবারের পদোন্নতির প্যানেলে কয়েকজন বিতর্কিত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার নাম রয়েছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। তাঁদের পদোন্নতির বিষয়ে অবশ্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ফুলকোর্ট সভা। ফুলকোর্ট সভার মতামত অনুযায়ী পদোন্নতির বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।

এবারের মতো এত বেশিসংখ্যক কর্মকর্তার নাম কখনো একসঙ্গে পদোন্নতির প্যানেলে পাঠানো হয়নি বলে জানিয়েছেন একাধিক বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা। এই বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আমিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সম্প্রতি ১৯১টি জেলা জজের পদ সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত পৃথক করায় নতুন আদালত সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণেই একসঙ্গে এত বিচারকের পদোন্নতির জন্য প্যানেল করে রাখতে হচ্ছে।

এ নিয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোছাইনও কিছুটা অনুরূপ জবাব দেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, এবারের ফুলকোর্টে ২০২৬ সালের ক্যালেন্ডার ও পদোন্নতি-সংক্রান্ত কিছু বিষয় অনুমোদনের জন্য রয়েছে। ...আড়াই শর মতো নতুন পদ সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যাচের একসঙ্গে পদোন্নতির জন্য প্রস্তাব এসেছে। এ কারণে সংখ্যাটা বেশি মনে হচ্ছে। তবে এটি স্বাভাবিক।’

সব মন্ত্রণালয়ে পদোন্নতির জন্য ডিপিসি (বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটি) থাকে। এ কমিটি পদোন্নতির প্যানেল চূড়ান্ত করার পর তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যায়। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে এক দিনেই প্যানেলের সবার পদোন্নতির আদেশ জারি করা হয়। তবে বিচারকদের ক্ষেত্রে প্যানেল চূড়ান্ত করার পর তা সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হয়। বাছাই কমিটির মাধ্যমে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় ওঠে। সভায় অনুমোদন দেওয়ার পর তা আবার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয় থেকে তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যায়। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে ওই প্যানেল আইন মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষিত থাকে। এরপর পদ খালি হওয়া সাপেক্ষে সময়ে সময়ে আদেশ জারি করা হয়।

বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস বিধিমালা ২০০৭ অনুযায়ী সিনিয়র সহকারী জজ পদে পদোন্নতির জন্য সহকারী জজদের এই পদে চার বছর দায়িত্ব পালনের শর্ত পূরণ করতে হয়। সিনিয়র সহকারী জজদের যুগ্ম জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছর, যুগ্ম জেলা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছর এবং অতিরিক্ত জেলা জজ থেকে জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছরের শর্ত পূরণ করতে হয়। তবে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে অনেক সময় এই নিয়ম মানা হয় না। অনেকেই প্যানেলভুক্ত হয়ে থাকেন বছরের পর বছর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

বিচার বিভাগ: পদোন্নতির প্যানেলে ১১ শতাধিক কর্মকর্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত