আশরাফ-উল-আলম, ঢাকা

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার দিন আরও ২২ জনকে হত্যা করা হয়। গত ৪৮ বছরেও এসব হত্যার বিচার হয়নি। কবে হবে তাও অনিশ্চিত। ওই দিন যাঁরা প্রাণ হারিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন তৎকালীন পানি, সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণমন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাত। তখন তাঁর পরিবারের ৮ জনকেও হত্যা করা হয়। ঘাতকদের কামানের গোলায় ওই দিন মোহাম্মদপুরের ১৪ জন সাধারণ মানুষও প্রাণ হারান।
সেরনিয়াবাতসহ আটজনকে হত্যার মামলা স্থগিত রয়েছে উচ্চ আদালতের নির্দেশে। উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারে রাষ্ট্রপক্ষের কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি। আর মোহাম্মদপুরের ১৪ জনকে হত্যা মামলার বিচার চললেও রাষ্ট্রপক্ষের অবহেলায় বিচার শেষ হচ্ছে না বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
আদালত সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি সেরনিয়াবাতসহ আটজনকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় ১৯৯৯ সালে কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর হাইকোর্টের আদেশে কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যাওয়ায় মামলাটি আর আলোর মুখ দেখেনি। মামলার বিচার সম্পন্ন করতে গত কয়েক বছরে সরকারও কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এমনকি বাদীপক্ষও ব্যক্তিগত উদ্যোগে হাইকোর্টে মামলা শুনানির কোনো চেষ্টা করেনি।
১৫ আগস্ট মোহাম্মদপুরের শের শাহ শূরি রোডের ৮ ও ৯ নম্বর বাসায় ১৪ জন নারী-পুরুষকে হত্যার অভিযোগে করা মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয় ২০০১ সালে। বিচারকাজও শুরু হয়। তবে এখন পর্যন্ত মাত্র কয়েকজন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। মামলা চলছে ধীরগতিতে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৫ আগস্ট ভোরে কয়েকজন উচ্ছৃঙ্খল সেনা সদস্য অস্ত্রের মুখে মন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাতের ২৭ নম্বর মিন্টো রোডের সরকারি বাড়িতে ঢোকেন। মেজর শাহরিয়ার রশিদ, আজিজ পাশা ও ক্যাপ্টেন নুরুল হুদার নেতৃত্বে উর্দি পরা সেনা সদস্যরা ভেতরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে বাসার সদস্যদের বসার ঘরে জড়ো করেন।
একপর্যায়ে সবাইকে লাইন ধরিয়ে গুলি করেন তাঁরা। মন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাত, মেয়ে বেবী সেরনিয়াবাত, ছেলে আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি চার বছরের শিশু বাবু সেরনিয়াবাত, চাচাতো ভাই অ্যাডভোকেট শহীদ সেরনিয়াবাত, গৃহপরিচারিকা লক্ষ্মীর মা, কাজের ছেলে পোটকা, আবদুর রহিম খান ওরফে রিন্টু নিহত হন। বাবু আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর ছেলে।
এ ঘটনায় আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর মা আমেনা বেগম, স্ত্রী সাহান আরা বেগম ও ভাই আবুল খায়ের আবদুল্লাহ, বোন বিউটি সেরনিয়াবাত, রীনা সেরনিয়াবাতসহ রফিকুল ইসলাম, সলিল দাস ও গোলাম মাহমুদ মারাত্মক আহত হন। ঘটনার পর রমনা থানার তৎকালীন ওসি ঘটনাস্থলে যান। তিনি আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করালেও তখন কোনো মামলা করেননি।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৬ সালের ২১ অক্টোবর আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর স্ত্রী সাহান আরা বেগম বাদী হয়ে মেজর শাহরিয়ার, মেজর আজিজ পাশা, ক্যাপ্টেন মাজেদ, ক্যাপ্টেন নুরুল হুদা হিরুকে আসামি করে রমনা থানায় হত্যা মামলা করেন। রাজনৈতিক চাপের মুখে এবং জীবনের নিরাপত্তা ও হুমকির কারণে আগে মামলা দায়ের করা হয়নি বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
তদন্ত শেষে ১৯৯৭ সালের ৩০ জুলাই সাবেক সেনা কর্মকর্তাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। তাঁরা হলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, ক্যাপ্টেন (অব.) নুরুল হুদা, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সৈয়দ ফারুক রহমান, মেজর (অব.) বজলুল হুদা, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহিউদ্দিন আহমেদ, তাহের উদ্দিন ঠাকুর, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) আবদুল আজিজ পাশা, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খন্দকার আবদুর রশিদ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) শরিফুল হক ডালিম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) এ এম রাশেদ চৌধুরী, ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল মাজেদ, ক্যাপ্টেন (অব.) মো. কিসমত হাশেম, ক্যাপ্টেন (অব.) নাজমুল হোসেন ও মেজর (অব.) আহম্মদ শরফুল হোসেন ওরফে শরফুল ইসলাম।
অভিযোগপত্র দাখিলের পর মামলাটি ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারের জন্য পাঠানো হয়। আদালতের তৎকালীন বিচারক এ কে রায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৯৯ সালের ৪ অক্টোবর অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। ১০ অক্টোবর একজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির হন। কিন্তু আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিন সাক্ষ্য গ্রহণ স্থগিত রাখা হয়।
পরের বছর ফেব্রুয়ারিতে আসামি তাহের উদ্দিন ঠাকুরের বিরুদ্ধে মামলাটি চলতে পারে না বলে একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট সরকারের প্রতি রুল জারি করে মামলার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন। স্থগিত আদেশের মেয়াদ কয়েকবার বাড়ানোর পর ২০০৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি সরকারের প্রতি দেওয়া রুলের শুনানি না হওয়া পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী শাহাদত হোসেন জানান, মামলাটি এখনো স্থগিত রয়েছে।
এই মামলায় নিয়োজিত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শাহাবুদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলাটির কার্যক্রম হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত রয়েছে।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর চাচাতো ভাই উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত বলেন, ১৫ আগস্ট আব্দুর রব সেরনিয়াবাতসহ তাঁর পরিবারের সদস্যরা শাহাদfত বরণ করলেও আজ পর্যন্ত এই মামলার কোনো অগ্রগতি নেই। আজও তাঁর পরিবার এই হত্যাকাণ্ডের বিচার পায়নি।
কামানের গোলায় ১৪ নিহতের মামলা
মোহাম্মদপুরে কামানের গোলা নামে পরিচিত মামলায় বলা হয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর বাড়ি আক্রমণের সময় খুনিদের কামানের গোলা মোহাম্মদপুর থানার শের শাহ শূরি রোডের ৮ ও ৯ নম্বর বাড়িতে গিয়ে পড়ে। সেখানে গৃহিণী রোজিয়া বেগম, তাঁর মেয়ে নাসিমা, হাবিবুর রহমান, আনোয়ারা বেগম-১, আনোয়ারা বেগম-২, ময়ফুল বিবি, সাবেরা বেগম, আবদুল্লাহ, রফিকুল, সাবিয়া, সাহাবুদ্দিন, আমিনুদ্দিন, কাশেদা ও দুই বছরের শিশু আনোয়ারা নিহত হন। আহত হন আরও ১৭ জন।
এ ঘটনায় ১৯৯৬ সালের ২৯ নভেম্বর রোজিয়ার স্বামী মোহাম্মদ আলী মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। সিআইডি তদন্ত শেষে ২০০১ সালের ৩০ এপ্রিল কর্নেল ফারুক, তাহের উদ্দিন ঠাকুরসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। মহানগর চতুর্থ অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে মামলার বিচার চলছিল। সম্প্রতি ১৩তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, এ মামলার ৫৮ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত মাত্র ২২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। তবে এ আদালতের অতিরিক্ত পিপি সাইফুল ইসলাম হেলাল বলেন, মামলার বিচার দ্রুত চলছিল। ২২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। আর মাত্র কয়েকজন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়ার পর বিচারকাজ শেষ করা যাবে। তবে মামলাটি অন্য একটি আদালতে বদলি হয়েছে সম্প্রতি। তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলার বিচার নিয়ে আগের থেকে এখন আন্তরিক।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার দিন আরও ২২ জনকে হত্যা করা হয়। গত ৪৮ বছরেও এসব হত্যার বিচার হয়নি। কবে হবে তাও অনিশ্চিত। ওই দিন যাঁরা প্রাণ হারিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন তৎকালীন পানি, সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণমন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাত। তখন তাঁর পরিবারের ৮ জনকেও হত্যা করা হয়। ঘাতকদের কামানের গোলায় ওই দিন মোহাম্মদপুরের ১৪ জন সাধারণ মানুষও প্রাণ হারান।
সেরনিয়াবাতসহ আটজনকে হত্যার মামলা স্থগিত রয়েছে উচ্চ আদালতের নির্দেশে। উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারে রাষ্ট্রপক্ষের কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি। আর মোহাম্মদপুরের ১৪ জনকে হত্যা মামলার বিচার চললেও রাষ্ট্রপক্ষের অবহেলায় বিচার শেষ হচ্ছে না বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
আদালত সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি সেরনিয়াবাতসহ আটজনকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় ১৯৯৯ সালে কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর হাইকোর্টের আদেশে কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যাওয়ায় মামলাটি আর আলোর মুখ দেখেনি। মামলার বিচার সম্পন্ন করতে গত কয়েক বছরে সরকারও কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এমনকি বাদীপক্ষও ব্যক্তিগত উদ্যোগে হাইকোর্টে মামলা শুনানির কোনো চেষ্টা করেনি।
১৫ আগস্ট মোহাম্মদপুরের শের শাহ শূরি রোডের ৮ ও ৯ নম্বর বাসায় ১৪ জন নারী-পুরুষকে হত্যার অভিযোগে করা মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয় ২০০১ সালে। বিচারকাজও শুরু হয়। তবে এখন পর্যন্ত মাত্র কয়েকজন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। মামলা চলছে ধীরগতিতে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৫ আগস্ট ভোরে কয়েকজন উচ্ছৃঙ্খল সেনা সদস্য অস্ত্রের মুখে মন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাতের ২৭ নম্বর মিন্টো রোডের সরকারি বাড়িতে ঢোকেন। মেজর শাহরিয়ার রশিদ, আজিজ পাশা ও ক্যাপ্টেন নুরুল হুদার নেতৃত্বে উর্দি পরা সেনা সদস্যরা ভেতরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে বাসার সদস্যদের বসার ঘরে জড়ো করেন।
একপর্যায়ে সবাইকে লাইন ধরিয়ে গুলি করেন তাঁরা। মন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাত, মেয়ে বেবী সেরনিয়াবাত, ছেলে আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি চার বছরের শিশু বাবু সেরনিয়াবাত, চাচাতো ভাই অ্যাডভোকেট শহীদ সেরনিয়াবাত, গৃহপরিচারিকা লক্ষ্মীর মা, কাজের ছেলে পোটকা, আবদুর রহিম খান ওরফে রিন্টু নিহত হন। বাবু আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর ছেলে।
এ ঘটনায় আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর মা আমেনা বেগম, স্ত্রী সাহান আরা বেগম ও ভাই আবুল খায়ের আবদুল্লাহ, বোন বিউটি সেরনিয়াবাত, রীনা সেরনিয়াবাতসহ রফিকুল ইসলাম, সলিল দাস ও গোলাম মাহমুদ মারাত্মক আহত হন। ঘটনার পর রমনা থানার তৎকালীন ওসি ঘটনাস্থলে যান। তিনি আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করালেও তখন কোনো মামলা করেননি।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৬ সালের ২১ অক্টোবর আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর স্ত্রী সাহান আরা বেগম বাদী হয়ে মেজর শাহরিয়ার, মেজর আজিজ পাশা, ক্যাপ্টেন মাজেদ, ক্যাপ্টেন নুরুল হুদা হিরুকে আসামি করে রমনা থানায় হত্যা মামলা করেন। রাজনৈতিক চাপের মুখে এবং জীবনের নিরাপত্তা ও হুমকির কারণে আগে মামলা দায়ের করা হয়নি বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
তদন্ত শেষে ১৯৯৭ সালের ৩০ জুলাই সাবেক সেনা কর্মকর্তাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। তাঁরা হলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, ক্যাপ্টেন (অব.) নুরুল হুদা, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সৈয়দ ফারুক রহমান, মেজর (অব.) বজলুল হুদা, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহিউদ্দিন আহমেদ, তাহের উদ্দিন ঠাকুর, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) আবদুল আজিজ পাশা, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খন্দকার আবদুর রশিদ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) শরিফুল হক ডালিম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) এ এম রাশেদ চৌধুরী, ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল মাজেদ, ক্যাপ্টেন (অব.) মো. কিসমত হাশেম, ক্যাপ্টেন (অব.) নাজমুল হোসেন ও মেজর (অব.) আহম্মদ শরফুল হোসেন ওরফে শরফুল ইসলাম।
অভিযোগপত্র দাখিলের পর মামলাটি ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারের জন্য পাঠানো হয়। আদালতের তৎকালীন বিচারক এ কে রায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৯৯ সালের ৪ অক্টোবর অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। ১০ অক্টোবর একজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির হন। কিন্তু আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিন সাক্ষ্য গ্রহণ স্থগিত রাখা হয়।
পরের বছর ফেব্রুয়ারিতে আসামি তাহের উদ্দিন ঠাকুরের বিরুদ্ধে মামলাটি চলতে পারে না বলে একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট সরকারের প্রতি রুল জারি করে মামলার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন। স্থগিত আদেশের মেয়াদ কয়েকবার বাড়ানোর পর ২০০৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি সরকারের প্রতি দেওয়া রুলের শুনানি না হওয়া পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী শাহাদত হোসেন জানান, মামলাটি এখনো স্থগিত রয়েছে।
এই মামলায় নিয়োজিত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শাহাবুদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলাটির কার্যক্রম হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত রয়েছে।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর চাচাতো ভাই উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত বলেন, ১৫ আগস্ট আব্দুর রব সেরনিয়াবাতসহ তাঁর পরিবারের সদস্যরা শাহাদfত বরণ করলেও আজ পর্যন্ত এই মামলার কোনো অগ্রগতি নেই। আজও তাঁর পরিবার এই হত্যাকাণ্ডের বিচার পায়নি।
কামানের গোলায় ১৪ নিহতের মামলা
মোহাম্মদপুরে কামানের গোলা নামে পরিচিত মামলায় বলা হয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর বাড়ি আক্রমণের সময় খুনিদের কামানের গোলা মোহাম্মদপুর থানার শের শাহ শূরি রোডের ৮ ও ৯ নম্বর বাড়িতে গিয়ে পড়ে। সেখানে গৃহিণী রোজিয়া বেগম, তাঁর মেয়ে নাসিমা, হাবিবুর রহমান, আনোয়ারা বেগম-১, আনোয়ারা বেগম-২, ময়ফুল বিবি, সাবেরা বেগম, আবদুল্লাহ, রফিকুল, সাবিয়া, সাহাবুদ্দিন, আমিনুদ্দিন, কাশেদা ও দুই বছরের শিশু আনোয়ারা নিহত হন। আহত হন আরও ১৭ জন।
এ ঘটনায় ১৯৯৬ সালের ২৯ নভেম্বর রোজিয়ার স্বামী মোহাম্মদ আলী মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। সিআইডি তদন্ত শেষে ২০০১ সালের ৩০ এপ্রিল কর্নেল ফারুক, তাহের উদ্দিন ঠাকুরসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। মহানগর চতুর্থ অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে মামলার বিচার চলছিল। সম্প্রতি ১৩তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, এ মামলার ৫৮ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত মাত্র ২২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। তবে এ আদালতের অতিরিক্ত পিপি সাইফুল ইসলাম হেলাল বলেন, মামলার বিচার দ্রুত চলছিল। ২২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। আর মাত্র কয়েকজন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়ার পর বিচারকাজ শেষ করা যাবে। তবে মামলাটি অন্য একটি আদালতে বদলি হয়েছে সম্প্রতি। তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলার বিচার নিয়ে আগের থেকে এখন আন্তরিক।
আশরাফ-উল-আলম, ঢাকা

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার দিন আরও ২২ জনকে হত্যা করা হয়। গত ৪৮ বছরেও এসব হত্যার বিচার হয়নি। কবে হবে তাও অনিশ্চিত। ওই দিন যাঁরা প্রাণ হারিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন তৎকালীন পানি, সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণমন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাত। তখন তাঁর পরিবারের ৮ জনকেও হত্যা করা হয়। ঘাতকদের কামানের গোলায় ওই দিন মোহাম্মদপুরের ১৪ জন সাধারণ মানুষও প্রাণ হারান।
সেরনিয়াবাতসহ আটজনকে হত্যার মামলা স্থগিত রয়েছে উচ্চ আদালতের নির্দেশে। উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারে রাষ্ট্রপক্ষের কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি। আর মোহাম্মদপুরের ১৪ জনকে হত্যা মামলার বিচার চললেও রাষ্ট্রপক্ষের অবহেলায় বিচার শেষ হচ্ছে না বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
আদালত সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি সেরনিয়াবাতসহ আটজনকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় ১৯৯৯ সালে কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর হাইকোর্টের আদেশে কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যাওয়ায় মামলাটি আর আলোর মুখ দেখেনি। মামলার বিচার সম্পন্ন করতে গত কয়েক বছরে সরকারও কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এমনকি বাদীপক্ষও ব্যক্তিগত উদ্যোগে হাইকোর্টে মামলা শুনানির কোনো চেষ্টা করেনি।
১৫ আগস্ট মোহাম্মদপুরের শের শাহ শূরি রোডের ৮ ও ৯ নম্বর বাসায় ১৪ জন নারী-পুরুষকে হত্যার অভিযোগে করা মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয় ২০০১ সালে। বিচারকাজও শুরু হয়। তবে এখন পর্যন্ত মাত্র কয়েকজন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। মামলা চলছে ধীরগতিতে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৫ আগস্ট ভোরে কয়েকজন উচ্ছৃঙ্খল সেনা সদস্য অস্ত্রের মুখে মন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাতের ২৭ নম্বর মিন্টো রোডের সরকারি বাড়িতে ঢোকেন। মেজর শাহরিয়ার রশিদ, আজিজ পাশা ও ক্যাপ্টেন নুরুল হুদার নেতৃত্বে উর্দি পরা সেনা সদস্যরা ভেতরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে বাসার সদস্যদের বসার ঘরে জড়ো করেন।
একপর্যায়ে সবাইকে লাইন ধরিয়ে গুলি করেন তাঁরা। মন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাত, মেয়ে বেবী সেরনিয়াবাত, ছেলে আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি চার বছরের শিশু বাবু সেরনিয়াবাত, চাচাতো ভাই অ্যাডভোকেট শহীদ সেরনিয়াবাত, গৃহপরিচারিকা লক্ষ্মীর মা, কাজের ছেলে পোটকা, আবদুর রহিম খান ওরফে রিন্টু নিহত হন। বাবু আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর ছেলে।
এ ঘটনায় আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর মা আমেনা বেগম, স্ত্রী সাহান আরা বেগম ও ভাই আবুল খায়ের আবদুল্লাহ, বোন বিউটি সেরনিয়াবাত, রীনা সেরনিয়াবাতসহ রফিকুল ইসলাম, সলিল দাস ও গোলাম মাহমুদ মারাত্মক আহত হন। ঘটনার পর রমনা থানার তৎকালীন ওসি ঘটনাস্থলে যান। তিনি আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করালেও তখন কোনো মামলা করেননি।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৬ সালের ২১ অক্টোবর আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর স্ত্রী সাহান আরা বেগম বাদী হয়ে মেজর শাহরিয়ার, মেজর আজিজ পাশা, ক্যাপ্টেন মাজেদ, ক্যাপ্টেন নুরুল হুদা হিরুকে আসামি করে রমনা থানায় হত্যা মামলা করেন। রাজনৈতিক চাপের মুখে এবং জীবনের নিরাপত্তা ও হুমকির কারণে আগে মামলা দায়ের করা হয়নি বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
তদন্ত শেষে ১৯৯৭ সালের ৩০ জুলাই সাবেক সেনা কর্মকর্তাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। তাঁরা হলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, ক্যাপ্টেন (অব.) নুরুল হুদা, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সৈয়দ ফারুক রহমান, মেজর (অব.) বজলুল হুদা, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহিউদ্দিন আহমেদ, তাহের উদ্দিন ঠাকুর, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) আবদুল আজিজ পাশা, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খন্দকার আবদুর রশিদ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) শরিফুল হক ডালিম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) এ এম রাশেদ চৌধুরী, ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল মাজেদ, ক্যাপ্টেন (অব.) মো. কিসমত হাশেম, ক্যাপ্টেন (অব.) নাজমুল হোসেন ও মেজর (অব.) আহম্মদ শরফুল হোসেন ওরফে শরফুল ইসলাম।
অভিযোগপত্র দাখিলের পর মামলাটি ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারের জন্য পাঠানো হয়। আদালতের তৎকালীন বিচারক এ কে রায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৯৯ সালের ৪ অক্টোবর অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। ১০ অক্টোবর একজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির হন। কিন্তু আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিন সাক্ষ্য গ্রহণ স্থগিত রাখা হয়।
পরের বছর ফেব্রুয়ারিতে আসামি তাহের উদ্দিন ঠাকুরের বিরুদ্ধে মামলাটি চলতে পারে না বলে একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট সরকারের প্রতি রুল জারি করে মামলার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন। স্থগিত আদেশের মেয়াদ কয়েকবার বাড়ানোর পর ২০০৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি সরকারের প্রতি দেওয়া রুলের শুনানি না হওয়া পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী শাহাদত হোসেন জানান, মামলাটি এখনো স্থগিত রয়েছে।
এই মামলায় নিয়োজিত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শাহাবুদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলাটির কার্যক্রম হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত রয়েছে।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর চাচাতো ভাই উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত বলেন, ১৫ আগস্ট আব্দুর রব সেরনিয়াবাতসহ তাঁর পরিবারের সদস্যরা শাহাদfত বরণ করলেও আজ পর্যন্ত এই মামলার কোনো অগ্রগতি নেই। আজও তাঁর পরিবার এই হত্যাকাণ্ডের বিচার পায়নি।
কামানের গোলায় ১৪ নিহতের মামলা
মোহাম্মদপুরে কামানের গোলা নামে পরিচিত মামলায় বলা হয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর বাড়ি আক্রমণের সময় খুনিদের কামানের গোলা মোহাম্মদপুর থানার শের শাহ শূরি রোডের ৮ ও ৯ নম্বর বাড়িতে গিয়ে পড়ে। সেখানে গৃহিণী রোজিয়া বেগম, তাঁর মেয়ে নাসিমা, হাবিবুর রহমান, আনোয়ারা বেগম-১, আনোয়ারা বেগম-২, ময়ফুল বিবি, সাবেরা বেগম, আবদুল্লাহ, রফিকুল, সাবিয়া, সাহাবুদ্দিন, আমিনুদ্দিন, কাশেদা ও দুই বছরের শিশু আনোয়ারা নিহত হন। আহত হন আরও ১৭ জন।
এ ঘটনায় ১৯৯৬ সালের ২৯ নভেম্বর রোজিয়ার স্বামী মোহাম্মদ আলী মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। সিআইডি তদন্ত শেষে ২০০১ সালের ৩০ এপ্রিল কর্নেল ফারুক, তাহের উদ্দিন ঠাকুরসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। মহানগর চতুর্থ অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে মামলার বিচার চলছিল। সম্প্রতি ১৩তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, এ মামলার ৫৮ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত মাত্র ২২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। তবে এ আদালতের অতিরিক্ত পিপি সাইফুল ইসলাম হেলাল বলেন, মামলার বিচার দ্রুত চলছিল। ২২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। আর মাত্র কয়েকজন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়ার পর বিচারকাজ শেষ করা যাবে। তবে মামলাটি অন্য একটি আদালতে বদলি হয়েছে সম্প্রতি। তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলার বিচার নিয়ে আগের থেকে এখন আন্তরিক।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার দিন আরও ২২ জনকে হত্যা করা হয়। গত ৪৮ বছরেও এসব হত্যার বিচার হয়নি। কবে হবে তাও অনিশ্চিত। ওই দিন যাঁরা প্রাণ হারিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন তৎকালীন পানি, সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণমন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাত। তখন তাঁর পরিবারের ৮ জনকেও হত্যা করা হয়। ঘাতকদের কামানের গোলায় ওই দিন মোহাম্মদপুরের ১৪ জন সাধারণ মানুষও প্রাণ হারান।
সেরনিয়াবাতসহ আটজনকে হত্যার মামলা স্থগিত রয়েছে উচ্চ আদালতের নির্দেশে। উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারে রাষ্ট্রপক্ষের কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি। আর মোহাম্মদপুরের ১৪ জনকে হত্যা মামলার বিচার চললেও রাষ্ট্রপক্ষের অবহেলায় বিচার শেষ হচ্ছে না বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
আদালত সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি সেরনিয়াবাতসহ আটজনকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় ১৯৯৯ সালে কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর হাইকোর্টের আদেশে কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যাওয়ায় মামলাটি আর আলোর মুখ দেখেনি। মামলার বিচার সম্পন্ন করতে গত কয়েক বছরে সরকারও কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এমনকি বাদীপক্ষও ব্যক্তিগত উদ্যোগে হাইকোর্টে মামলা শুনানির কোনো চেষ্টা করেনি।
১৫ আগস্ট মোহাম্মদপুরের শের শাহ শূরি রোডের ৮ ও ৯ নম্বর বাসায় ১৪ জন নারী-পুরুষকে হত্যার অভিযোগে করা মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয় ২০০১ সালে। বিচারকাজও শুরু হয়। তবে এখন পর্যন্ত মাত্র কয়েকজন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। মামলা চলছে ধীরগতিতে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৫ আগস্ট ভোরে কয়েকজন উচ্ছৃঙ্খল সেনা সদস্য অস্ত্রের মুখে মন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাতের ২৭ নম্বর মিন্টো রোডের সরকারি বাড়িতে ঢোকেন। মেজর শাহরিয়ার রশিদ, আজিজ পাশা ও ক্যাপ্টেন নুরুল হুদার নেতৃত্বে উর্দি পরা সেনা সদস্যরা ভেতরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে বাসার সদস্যদের বসার ঘরে জড়ো করেন।
একপর্যায়ে সবাইকে লাইন ধরিয়ে গুলি করেন তাঁরা। মন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাত, মেয়ে বেবী সেরনিয়াবাত, ছেলে আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি চার বছরের শিশু বাবু সেরনিয়াবাত, চাচাতো ভাই অ্যাডভোকেট শহীদ সেরনিয়াবাত, গৃহপরিচারিকা লক্ষ্মীর মা, কাজের ছেলে পোটকা, আবদুর রহিম খান ওরফে রিন্টু নিহত হন। বাবু আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর ছেলে।
এ ঘটনায় আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর মা আমেনা বেগম, স্ত্রী সাহান আরা বেগম ও ভাই আবুল খায়ের আবদুল্লাহ, বোন বিউটি সেরনিয়াবাত, রীনা সেরনিয়াবাতসহ রফিকুল ইসলাম, সলিল দাস ও গোলাম মাহমুদ মারাত্মক আহত হন। ঘটনার পর রমনা থানার তৎকালীন ওসি ঘটনাস্থলে যান। তিনি আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করালেও তখন কোনো মামলা করেননি।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৬ সালের ২১ অক্টোবর আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর স্ত্রী সাহান আরা বেগম বাদী হয়ে মেজর শাহরিয়ার, মেজর আজিজ পাশা, ক্যাপ্টেন মাজেদ, ক্যাপ্টেন নুরুল হুদা হিরুকে আসামি করে রমনা থানায় হত্যা মামলা করেন। রাজনৈতিক চাপের মুখে এবং জীবনের নিরাপত্তা ও হুমকির কারণে আগে মামলা দায়ের করা হয়নি বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
তদন্ত শেষে ১৯৯৭ সালের ৩০ জুলাই সাবেক সেনা কর্মকর্তাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। তাঁরা হলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, ক্যাপ্টেন (অব.) নুরুল হুদা, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সৈয়দ ফারুক রহমান, মেজর (অব.) বজলুল হুদা, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহিউদ্দিন আহমেদ, তাহের উদ্দিন ঠাকুর, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) আবদুল আজিজ পাশা, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খন্দকার আবদুর রশিদ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) শরিফুল হক ডালিম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) এ এম রাশেদ চৌধুরী, ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল মাজেদ, ক্যাপ্টেন (অব.) মো. কিসমত হাশেম, ক্যাপ্টেন (অব.) নাজমুল হোসেন ও মেজর (অব.) আহম্মদ শরফুল হোসেন ওরফে শরফুল ইসলাম।
অভিযোগপত্র দাখিলের পর মামলাটি ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারের জন্য পাঠানো হয়। আদালতের তৎকালীন বিচারক এ কে রায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৯৯ সালের ৪ অক্টোবর অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। ১০ অক্টোবর একজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির হন। কিন্তু আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিন সাক্ষ্য গ্রহণ স্থগিত রাখা হয়।
পরের বছর ফেব্রুয়ারিতে আসামি তাহের উদ্দিন ঠাকুরের বিরুদ্ধে মামলাটি চলতে পারে না বলে একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট সরকারের প্রতি রুল জারি করে মামলার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন। স্থগিত আদেশের মেয়াদ কয়েকবার বাড়ানোর পর ২০০৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি সরকারের প্রতি দেওয়া রুলের শুনানি না হওয়া পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী শাহাদত হোসেন জানান, মামলাটি এখনো স্থগিত রয়েছে।
এই মামলায় নিয়োজিত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শাহাবুদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলাটির কার্যক্রম হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত রয়েছে।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর চাচাতো ভাই উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত বলেন, ১৫ আগস্ট আব্দুর রব সেরনিয়াবাতসহ তাঁর পরিবারের সদস্যরা শাহাদfত বরণ করলেও আজ পর্যন্ত এই মামলার কোনো অগ্রগতি নেই। আজও তাঁর পরিবার এই হত্যাকাণ্ডের বিচার পায়নি।
কামানের গোলায় ১৪ নিহতের মামলা
মোহাম্মদপুরে কামানের গোলা নামে পরিচিত মামলায় বলা হয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর বাড়ি আক্রমণের সময় খুনিদের কামানের গোলা মোহাম্মদপুর থানার শের শাহ শূরি রোডের ৮ ও ৯ নম্বর বাড়িতে গিয়ে পড়ে। সেখানে গৃহিণী রোজিয়া বেগম, তাঁর মেয়ে নাসিমা, হাবিবুর রহমান, আনোয়ারা বেগম-১, আনোয়ারা বেগম-২, ময়ফুল বিবি, সাবেরা বেগম, আবদুল্লাহ, রফিকুল, সাবিয়া, সাহাবুদ্দিন, আমিনুদ্দিন, কাশেদা ও দুই বছরের শিশু আনোয়ারা নিহত হন। আহত হন আরও ১৭ জন।
এ ঘটনায় ১৯৯৬ সালের ২৯ নভেম্বর রোজিয়ার স্বামী মোহাম্মদ আলী মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। সিআইডি তদন্ত শেষে ২০০১ সালের ৩০ এপ্রিল কর্নেল ফারুক, তাহের উদ্দিন ঠাকুরসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। মহানগর চতুর্থ অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে মামলার বিচার চলছিল। সম্প্রতি ১৩তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, এ মামলার ৫৮ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত মাত্র ২২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। তবে এ আদালতের অতিরিক্ত পিপি সাইফুল ইসলাম হেলাল বলেন, মামলার বিচার দ্রুত চলছিল। ২২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। আর মাত্র কয়েকজন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়ার পর বিচারকাজ শেষ করা যাবে। তবে মামলাটি অন্য একটি আদালতে বদলি হয়েছে সম্প্রতি। তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলার বিচার নিয়ে আগের থেকে এখন আন্তরিক।

একাদশ গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে অর্থ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ ঘোষণা দেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া-সংক্রান্ত বিধান কেন আইনগত কর্তৃত্ব-বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি...
২ ঘণ্টা আগে
বাজারে থাকা অননুমোদিত সব মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা দিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। চিঠিতে মোবাইল ফোন সেট ও ফোন সেট উৎপাদনের যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক এবং দেশে উৎপাদিত হ্যান্ডসেটের ভ্যাট কমানোর কথাও বলা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

একাদশ গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে অর্থ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ ঘোষণা দেন তাঁরা।
সভা শেষে আন্দোলনরত শিক্ষক সংগঠনগুলোর মোর্চা ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির (শাহিন-লিপি) সাধারণ সম্পাদক খায়রুন নাহার লিপি প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয় আমাদের একাদশ গ্রেডে বেতন দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় আমাদের আশ্বাস দিয়েছে, এমনটা কখনো দেয়নি। তাই আমরা আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করব। শহীদ মিনারে গিয়ে নেতারা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন। আগামীকাল থেকে আমরা ক্লাসে ফিরে যাব।’
গত শনিবার থেকে দশম গ্রেডের দাবিতে শিক্ষকেরা লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন। আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে তাঁরা গতকাল রোববার থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন। দশম গ্রেডে বেতন, চাকরির ১০ ও ১৬ বছরে উচ্চতর গ্রেড পাওয়া নিয়ে জটিলতা নিরসন এবং শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা দেওয়ার দাবি জানাচ্ছিলেন তাঁরা।
তৃতীয় দিনের অবস্থান ও দ্বিতীয় দিনের কর্মবিরতি শেষে অর্থ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা শেষে তাঁরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন।
শিক্ষকদের ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির বিষয়ে জটিলতা প্রসঙ্গে অর্থসচিব বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে অর্থ বিভাগে একটি প্রস্তাব করলে অর্থ বিভাগ বিষয়টি পর্যালোচনা করবে। শিক্ষকদের শতভাগ পদোন্নতির বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিদ্যমান বিধিমালার আলোকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ নেবে।
এর আগে গতকাল রোববার সারা দেশে কর্মবিরতি ও শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচির পর সন্ধ্যায় আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই বৈঠকে আশানুরূপ সমাধান না এলেও প্রথমে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন শিক্ষকেরা। তবে গভীর রাতে ফের কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষক নেতারা।
এ ঘোষণার পর আজ দেশের প্রায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ছিল। বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কোটালীপাড়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ওলিউল্লাহ হাওলাদার বলেন, ‘আমরা উপজেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন সফল করার জন্য শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বিরতিতে রয়েছি।’ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন ভক্ত বলেন, ঢাকার আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে কোটালীপাড়ায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি করছেন শিক্ষকেরা। তবে তাঁরা বিদ্যালয়েই আছেন।
গাইবান্ধা সদর উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. ময়নুর রহমান মিলন জানান, প্রাথমিকের কেন্দ্রীয় শিক্ষক সংগঠনগুলোর ঘোষিত কর্মসূচি সফল করার জন্য গাইবান্ধায় সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি চলছে। তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন হলেই তাঁরা পুনরায় ক্লাসে ফিরবেন।
এই তিন দফা দাবিতে গত শনিবার সকাল থেকে শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকেরা। ওই দিন বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তাঁরা ‘কলমবিরতি কর্মসূচি’ পালনে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যাওয়া শুরু করেন। বিকেল ৪টার দিকে শাহবাগ থানার সামনে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান, লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাসে কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায় শিক্ষকদের। এ সময় দেড় শতাধিক শিক্ষক আহত হওয়ার পাশাপাশি পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেন শিক্ষক নেতারা। এরপর ওই দিন রাতেই শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি দেশজুড়ে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।

একাদশ গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে অর্থ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ ঘোষণা দেন তাঁরা।
সভা শেষে আন্দোলনরত শিক্ষক সংগঠনগুলোর মোর্চা ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির (শাহিন-লিপি) সাধারণ সম্পাদক খায়রুন নাহার লিপি প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয় আমাদের একাদশ গ্রেডে বেতন দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় আমাদের আশ্বাস দিয়েছে, এমনটা কখনো দেয়নি। তাই আমরা আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করব। শহীদ মিনারে গিয়ে নেতারা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন। আগামীকাল থেকে আমরা ক্লাসে ফিরে যাব।’
গত শনিবার থেকে দশম গ্রেডের দাবিতে শিক্ষকেরা লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন। আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে তাঁরা গতকাল রোববার থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন। দশম গ্রেডে বেতন, চাকরির ১০ ও ১৬ বছরে উচ্চতর গ্রেড পাওয়া নিয়ে জটিলতা নিরসন এবং শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা দেওয়ার দাবি জানাচ্ছিলেন তাঁরা।
তৃতীয় দিনের অবস্থান ও দ্বিতীয় দিনের কর্মবিরতি শেষে অর্থ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা শেষে তাঁরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন।
শিক্ষকদের ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির বিষয়ে জটিলতা প্রসঙ্গে অর্থসচিব বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে অর্থ বিভাগে একটি প্রস্তাব করলে অর্থ বিভাগ বিষয়টি পর্যালোচনা করবে। শিক্ষকদের শতভাগ পদোন্নতির বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিদ্যমান বিধিমালার আলোকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ নেবে।
এর আগে গতকাল রোববার সারা দেশে কর্মবিরতি ও শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচির পর সন্ধ্যায় আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই বৈঠকে আশানুরূপ সমাধান না এলেও প্রথমে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন শিক্ষকেরা। তবে গভীর রাতে ফের কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষক নেতারা।
এ ঘোষণার পর আজ দেশের প্রায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ছিল। বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কোটালীপাড়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ওলিউল্লাহ হাওলাদার বলেন, ‘আমরা উপজেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন সফল করার জন্য শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বিরতিতে রয়েছি।’ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন ভক্ত বলেন, ঢাকার আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে কোটালীপাড়ায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি করছেন শিক্ষকেরা। তবে তাঁরা বিদ্যালয়েই আছেন।
গাইবান্ধা সদর উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. ময়নুর রহমান মিলন জানান, প্রাথমিকের কেন্দ্রীয় শিক্ষক সংগঠনগুলোর ঘোষিত কর্মসূচি সফল করার জন্য গাইবান্ধায় সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি চলছে। তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন হলেই তাঁরা পুনরায় ক্লাসে ফিরবেন।
এই তিন দফা দাবিতে গত শনিবার সকাল থেকে শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকেরা। ওই দিন বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তাঁরা ‘কলমবিরতি কর্মসূচি’ পালনে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যাওয়া শুরু করেন। বিকেল ৪টার দিকে শাহবাগ থানার সামনে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান, লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাসে কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায় শিক্ষকদের। এ সময় দেড় শতাধিক শিক্ষক আহত হওয়ার পাশাপাশি পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেন শিক্ষক নেতারা। এরপর ওই দিন রাতেই শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি দেশজুড়ে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার দিন আরও ২২ জনকে হত্যা করা হয়। গত ৪৮ বছরেও এসব হত্যার বিচার হয়নি। কবে হবে তাও অনিশ্চিত। ওই দিন যাঁরা প্রাণ হারিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন তৎকালীন পানি, সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণমন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাত।
১৫ আগস্ট ২০২৩
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া-সংক্রান্ত বিধান কেন আইনগত কর্তৃত্ব-বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি...
২ ঘণ্টা আগে
বাজারে থাকা অননুমোদিত সব মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা দিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। চিঠিতে মোবাইল ফোন সেট ও ফোন সেট উৎপাদনের যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক এবং দেশে উৎপাদিত হ্যান্ডসেটের ভ্যাট কমানোর কথাও বলা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া-সংক্রান্ত বিধান কেন আইনগত কর্তৃত্ব-বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মো. আসিফ হাসানের বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।শিক্ষাসচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষাসচিব এবং সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ২৮ আগস্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫-এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছিল। এর দুই মাসের মধ্যে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালায়’ সংশোধন আনা হয়। সংশোধিত বিধিমালায় সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া হয়। সংশোধিত বিধিমালা গেজেটে ২ নভেম্বর প্রকাশ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
পরে সংশোধিত ওই বিধিমালার গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সারওয়াত সিরাজ শুক্লা। রিটের পক্ষে শুক্লা নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ শফিকুর রহমান।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া-সংক্রান্ত বিধান কেন আইনগত কর্তৃত্ব-বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মো. আসিফ হাসানের বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।শিক্ষাসচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষাসচিব এবং সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ২৮ আগস্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫-এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছিল। এর দুই মাসের মধ্যে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালায়’ সংশোধন আনা হয়। সংশোধিত বিধিমালায় সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া হয়। সংশোধিত বিধিমালা গেজেটে ২ নভেম্বর প্রকাশ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
পরে সংশোধিত ওই বিধিমালার গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সারওয়াত সিরাজ শুক্লা। রিটের পক্ষে শুক্লা নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ শফিকুর রহমান।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার দিন আরও ২২ জনকে হত্যা করা হয়। গত ৪৮ বছরেও এসব হত্যার বিচার হয়নি। কবে হবে তাও অনিশ্চিত। ওই দিন যাঁরা প্রাণ হারিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন তৎকালীন পানি, সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণমন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাত।
১৫ আগস্ট ২০২৩
একাদশ গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে অর্থ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ ঘোষণা দেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগে
বাজারে থাকা অননুমোদিত সব মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা দিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। চিঠিতে মোবাইল ফোন সেট ও ফোন সেট উৎপাদনের যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক এবং দেশে উৎপাদিত হ্যান্ডসেটের ভ্যাট কমানোর কথাও বলা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজারে থাকা অননুমোদিত সব মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা দিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। চিঠিতে মোবাইল ফোন সেট ও ফোন সেট উৎপাদনের যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক এবং দেশে উৎপাদিত হ্যান্ডসেটের ভ্যাট কমানোর কথাও বলা হয়েছে।
৪ নভেম্বর বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আমিনুল হক স্বাক্ষরিত চিঠিটি এনবিআর চেয়ারম্যানকে পাঠানো হয়। একই চিঠি অর্থসচিবের কাছেও পাঠানো হয়েছে।
আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে দেশে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে বিটিআরসির এমন পদক্ষেপের তথ্য সামনে এল। এনইআইআর কার্যকর হলে ১৬ ডিসেম্বর থেকে চালু হওয়া প্রতিটি হ্যান্ডসেট নিবন্ধিত হতে হবে। না হলে সেগুলো নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। চাইলেই একজনের সিম কার্ড আরেকজনের হ্যান্ডসেটে ব্যবহার করা যাবে না। তবে ১৬ ডিসেম্বরের আগপর্যন্ত নেটওয়ার্কে ব্যবহার হতে থাকা ফোনগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধন হবে। বিটিআরসি চাইছে, ব্যবহার হতে থাকা ফোনগুলোর পাশাপাশি যেগুলো ইতিমধ্যে দেশের বাজারে প্রবেশ করেছে, সেগুলোকেও বৈধ করা হোক।
বিটিআরসির চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের বাজারে দীর্ঘ সময় ধরে একটি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক স্মার্টফোন হ্যান্ডসেট অবৈধ পথে অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এই খাতের সংশ্লিষ্টদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশের বাজারে যে সংখ্যক অননুমোদিত হ্যান্ডসেট রয়েছে, তার একটি বিশাল অংশ আগামী ১৬ ডিসেম্বর এনইআইআর সিস্টেম চালু হলে অবিক্রীত থেকে যাবে। পরবর্তী সময়ে এই হ্যান্ডসেটগুলো নেটওয়ার্কে ব্যবহারের সুযোগ থাকবে না। বিশাল আর্থিক লোকসান থেকে রক্ষা পেতে এই খাতের ব্যবসায়ীরা বিটিআরসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছে। কারিগরি দিক বিবেচনায় অননুমোদিত হ্যান্ডসেটগুলোর আইএমইআই (ইউনিক কোড, যা প্রতিটি মোবাইল ফোনকে শনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়) বিটিআরসির ডেটাবেইসে সংযুক্ত করার সুযোগ রয়েছে। অননুমোদিত হ্যান্ডসেটগুলোর তথ্য বিটিআরসির ডেটাবেইসে সংযুক্ত হলে সে ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শুল্কায়নের বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মতামতসহ সিদ্ধান্ত প্রয়োজন।
চিঠিতে মোবাইল ফোন ও ফোন উৎপাদনের যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক এবং দেশে উৎপাদিত হ্যান্ডসেটের ভ্যাট কমানোর বিষয়ে বলা হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদন এবং আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আমদানি শুল্ক এবং উৎপাদিত পণ্যের ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) বেশি। তাই মোবাইল হ্যান্ডসেটের দাম অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি। তাই এ ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কার্যকরী ভূমিকার মাধ্যমে শুল্কহার যৌক্তিকভাবে পুনর্বিবেচনা করার সুযোগ রয়েছে।
চিঠিতে জানানো হয়, বর্তমানে বিদেশ থেকে আমদানি করা মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেটের আমদানি শুল্ক প্রায় ৫৮ দশমিক ৬ শতাংশ। এনইআইআর সিস্টেম চালু হলে দেশে অবৈধ পথে হ্যান্ডসেট আনা বন্ধ হবে। ফলে দেশে মোবাইলের উৎপাদন বাড়বে। একই সঙ্গে যেসব ব্র্যান্ডের বা মডেলের মোবাইল হ্যান্ডসেট দেশে উৎপাদন হয় না, সেগুলোর বৈধভাবে আমদানির পরিমাণ বাড়বে। তাই মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানির ক্ষেত্রে বর্তমানে প্রযোজ্য উচ্চ আমদানি শুল্ক কমিয়ে আনা প্রয়োজন বলে মনে করে কমিশন।
চিঠিতে বিটিআরসি বলেছে, ‘বাংলাদেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদন এবং আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আমদানি শুল্ক এবং উৎপাদিত পণ্যের মূল্য সংযোজন কর কমানোর জন্য যদি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়, তবে তা এমনভাবে সমন্বয় করতে হবে যাতে দেশের অভ্যন্তরে স্থাপিত মোবাইল হ্যান্ডসেট শিল্প এবং এ খাতে কর্মরত সকলের স্বার্থ রক্ষা হয়।’
সার্বিক দিক বিবেচনায় তিনটি বিষয়ে এনবিআরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানিয়েছে বিটিআরসি। এগুলো হলো ইতিমধ্যে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করা অননুমোদিত হ্যান্ডসেটগুলো বিটিআরসির ডেটাবেইসে সংযুক্ত করা হলে সে ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শুল্কায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত, দেশের অভ্যন্তরে কারখানায় মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদন এবং বিদেশ থেকে হ্যান্ডসেট আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক ও ভ্যাট কমানোর ব্যবস্থা এবং বিদেশ থেকে আমদানি করা ও দেশের অভ্যন্তরে তৈরি মোবাইল সেটের শুল্কের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।
বিটিআরসির উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. জাকির হোসেন খান এনবিআরের চেয়ারম্যানকে চিঠি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি এ বিষয়ে এর বেশি কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

বাজারে থাকা অননুমোদিত সব মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা দিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। চিঠিতে মোবাইল ফোন সেট ও ফোন সেট উৎপাদনের যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক এবং দেশে উৎপাদিত হ্যান্ডসেটের ভ্যাট কমানোর কথাও বলা হয়েছে।
৪ নভেম্বর বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আমিনুল হক স্বাক্ষরিত চিঠিটি এনবিআর চেয়ারম্যানকে পাঠানো হয়। একই চিঠি অর্থসচিবের কাছেও পাঠানো হয়েছে।
আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে দেশে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে বিটিআরসির এমন পদক্ষেপের তথ্য সামনে এল। এনইআইআর কার্যকর হলে ১৬ ডিসেম্বর থেকে চালু হওয়া প্রতিটি হ্যান্ডসেট নিবন্ধিত হতে হবে। না হলে সেগুলো নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। চাইলেই একজনের সিম কার্ড আরেকজনের হ্যান্ডসেটে ব্যবহার করা যাবে না। তবে ১৬ ডিসেম্বরের আগপর্যন্ত নেটওয়ার্কে ব্যবহার হতে থাকা ফোনগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধন হবে। বিটিআরসি চাইছে, ব্যবহার হতে থাকা ফোনগুলোর পাশাপাশি যেগুলো ইতিমধ্যে দেশের বাজারে প্রবেশ করেছে, সেগুলোকেও বৈধ করা হোক।
বিটিআরসির চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের বাজারে দীর্ঘ সময় ধরে একটি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক স্মার্টফোন হ্যান্ডসেট অবৈধ পথে অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এই খাতের সংশ্লিষ্টদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশের বাজারে যে সংখ্যক অননুমোদিত হ্যান্ডসেট রয়েছে, তার একটি বিশাল অংশ আগামী ১৬ ডিসেম্বর এনইআইআর সিস্টেম চালু হলে অবিক্রীত থেকে যাবে। পরবর্তী সময়ে এই হ্যান্ডসেটগুলো নেটওয়ার্কে ব্যবহারের সুযোগ থাকবে না। বিশাল আর্থিক লোকসান থেকে রক্ষা পেতে এই খাতের ব্যবসায়ীরা বিটিআরসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছে। কারিগরি দিক বিবেচনায় অননুমোদিত হ্যান্ডসেটগুলোর আইএমইআই (ইউনিক কোড, যা প্রতিটি মোবাইল ফোনকে শনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়) বিটিআরসির ডেটাবেইসে সংযুক্ত করার সুযোগ রয়েছে। অননুমোদিত হ্যান্ডসেটগুলোর তথ্য বিটিআরসির ডেটাবেইসে সংযুক্ত হলে সে ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শুল্কায়নের বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মতামতসহ সিদ্ধান্ত প্রয়োজন।
চিঠিতে মোবাইল ফোন ও ফোন উৎপাদনের যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক এবং দেশে উৎপাদিত হ্যান্ডসেটের ভ্যাট কমানোর বিষয়ে বলা হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদন এবং আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আমদানি শুল্ক এবং উৎপাদিত পণ্যের ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) বেশি। তাই মোবাইল হ্যান্ডসেটের দাম অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি। তাই এ ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কার্যকরী ভূমিকার মাধ্যমে শুল্কহার যৌক্তিকভাবে পুনর্বিবেচনা করার সুযোগ রয়েছে।
চিঠিতে জানানো হয়, বর্তমানে বিদেশ থেকে আমদানি করা মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেটের আমদানি শুল্ক প্রায় ৫৮ দশমিক ৬ শতাংশ। এনইআইআর সিস্টেম চালু হলে দেশে অবৈধ পথে হ্যান্ডসেট আনা বন্ধ হবে। ফলে দেশে মোবাইলের উৎপাদন বাড়বে। একই সঙ্গে যেসব ব্র্যান্ডের বা মডেলের মোবাইল হ্যান্ডসেট দেশে উৎপাদন হয় না, সেগুলোর বৈধভাবে আমদানির পরিমাণ বাড়বে। তাই মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানির ক্ষেত্রে বর্তমানে প্রযোজ্য উচ্চ আমদানি শুল্ক কমিয়ে আনা প্রয়োজন বলে মনে করে কমিশন।
চিঠিতে বিটিআরসি বলেছে, ‘বাংলাদেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদন এবং আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আমদানি শুল্ক এবং উৎপাদিত পণ্যের মূল্য সংযোজন কর কমানোর জন্য যদি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়, তবে তা এমনভাবে সমন্বয় করতে হবে যাতে দেশের অভ্যন্তরে স্থাপিত মোবাইল হ্যান্ডসেট শিল্প এবং এ খাতে কর্মরত সকলের স্বার্থ রক্ষা হয়।’
সার্বিক দিক বিবেচনায় তিনটি বিষয়ে এনবিআরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানিয়েছে বিটিআরসি। এগুলো হলো ইতিমধ্যে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করা অননুমোদিত হ্যান্ডসেটগুলো বিটিআরসির ডেটাবেইসে সংযুক্ত করা হলে সে ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শুল্কায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত, দেশের অভ্যন্তরে কারখানায় মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদন এবং বিদেশ থেকে হ্যান্ডসেট আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক ও ভ্যাট কমানোর ব্যবস্থা এবং বিদেশ থেকে আমদানি করা ও দেশের অভ্যন্তরে তৈরি মোবাইল সেটের শুল্কের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।
বিটিআরসির উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. জাকির হোসেন খান এনবিআরের চেয়ারম্যানকে চিঠি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি এ বিষয়ে এর বেশি কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার দিন আরও ২২ জনকে হত্যা করা হয়। গত ৪৮ বছরেও এসব হত্যার বিচার হয়নি। কবে হবে তাও অনিশ্চিত। ওই দিন যাঁরা প্রাণ হারিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন তৎকালীন পানি, সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণমন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাত।
১৫ আগস্ট ২০২৩
একাদশ গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে অর্থ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ ঘোষণা দেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া-সংক্রান্ত বিধান কেন আইনগত কর্তৃত্ব-বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি...
২ ঘণ্টা আগে
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
আজ সোমবার সকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সিইসির কার্যালয়ে ঘণ্টাখানেক বৈঠক করেন তিনি। এ সময় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
তবে কী বিষয় নিয়ে বিজিবি মহাপরিচালক সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেন, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
আজ সোমবার সকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সিইসির কার্যালয়ে ঘণ্টাখানেক বৈঠক করেন তিনি। এ সময় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
তবে কী বিষয় নিয়ে বিজিবি মহাপরিচালক সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেন, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার দিন আরও ২২ জনকে হত্যা করা হয়। গত ৪৮ বছরেও এসব হত্যার বিচার হয়নি। কবে হবে তাও অনিশ্চিত। ওই দিন যাঁরা প্রাণ হারিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন তৎকালীন পানি, সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণমন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাত।
১৫ আগস্ট ২০২৩
একাদশ গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে অর্থ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ ঘোষণা দেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া-সংক্রান্ত বিধান কেন আইনগত কর্তৃত্ব-বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি...
২ ঘণ্টা আগে
বাজারে থাকা অননুমোদিত সব মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা দিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। চিঠিতে মোবাইল ফোন সেট ও ফোন সেট উৎপাদনের যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক এবং দেশে উৎপাদিত হ্যান্ডসেটের ভ্যাট কমানোর কথাও বলা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে