কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রতিরক্ষা খাতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যৌথ উৎপাদনে সহযোগিতা বৃদ্ধি দেখতে চায় বলে জানালেন ঢাকা সফররত ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধণ সিংলা। ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ঢাকা সফর নিয়ে ঢাকার ভারতীয় হাই কমিশনের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এক কথা বলেন।
আজ বুধবার রাতে হোটেল সোনারগাঁয়ে বাংলাদেশে ভারতের রাষ্ট্রপতির সফর নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করে ভারতীয় হাই কমিশন।
বাংলাদেশের কাছে অত্যাধুনিক অস্ত্র বিক্রির কোন প্রস্তাব আছে কী-না এমন প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বলেন, প্রতিরক্ষা খাতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পঞ্চাশ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি রয়েছে। এরই মধ্যে এ অর্থ দিয়ে কিছু অস্ত্র কেনার জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। যার প্রক্রিয়া বর্তমানে প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সামনের দিনে আমরা দেখব, কিছু সমরাস্ত্র ভারত থেকে বাংলাদেশে রপ্তানি হচ্ছে।
তিনি বলেন, দুই দেশের সামরিক পর্যায়ের প্রশিক্ষণ হোক বা বিনিময় হোক অথবা যৌথ উৎপাদন, পুরো প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি দেখতে চায় ভারত।
কোয়াডে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন করলে হর্ষ বর্ধণ সিংলা বলেন, কোয়াড মূলত অবাধ মুক্ত ভারত প্রশান্ত মহা সাগরীয় অঞ্চলের একটি ঐক্য। এটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে করোনা মোকাবিলা ও টিকা নিয়ে কাজ করেছে। যদিও কোয়াড চার দেশের একটি ঐক্য। তারপরও এ অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশকে এর পাশে চাই আমরা।
সম্প্রতি র্যাবের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের সম্পর্ক এক অনন্য পর্যায়ে রয়েছে। তৃতীয় কোন দেশের সিদ্ধান্তের ওপরে আমাদের সম্পর্ক নির্ভর করে না।
বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের অবস্থা ও সীমান্ত হত্যা নিয়ে প্রশ্ন করলে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বলেন, বৈঠকে সকল বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কিন্তু গোপনীয়তার স্বার্থে সবকিছু বলা যাচ্ছে না। তবে, আলোচিত বিষয়গুলোর বেশির ভাগই বাংলাদেশ ও ভারত ঐক্যমতে রয়েছে।
সীমান্ত হত্যা নিয়ে তিনি বলেন, বৈঠকে সীমান্ত হত্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আরও ভালো সীমান্ত ব্যবস্থাপনা কীভাবে করা যায় তা নিয়ে আমরা কাজ করছি।
নেপাল ও ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি নিয়ে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি কবে হতে পারে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, জলবিদ্যুতের এ বিষয়টিতে বিদ্যুৎ বাণিজ্য নীতি নিয়ে কাজ করছে ভারত। ভুটান বা নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি নিয়ে বিধি সংক্রান্ত কোন জটিলতা নেই। এখানে মূল সমস্যা হচ্ছে, বিদ্যুৎ রপ্তানিতে সঞ্চালন লাইন তৈরি। তা নিয়ে বর্তমানে কাজ করছে ভারত। এ খাতে দেশগুলোর সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
সামনের দিনগুলোতে দুই দেশের সম্পর্কে কী গুরুত্ব পাবে এই প্রশ্নের উত্তরে হর্ষ বর্ধণ সিংলা বলেন, দুই দেশের সম্পর্কে সবুজ বা নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জলবায়ু পরিবর্তন, তরুণদের জন্য আরও কর্ম সংস্থান তৈরির মতো বিষয়গুলো দুই দেশের সম্পর্কে প্রাধান্য পাবে।
দ্বিপক্ষীয় যৌথ পাইপলাইন নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে অভূতপূর্ব পাইপলাইন তৈরি হতে যাচ্ছে। যা দিয়ে ভারতের এক অংশ থেকে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে অন্য অংশে হাই স্পিড ডিজেল প্রেরণ করা হবে। আশা করছি আগামী বছরে পাইপলাইনের উদ্বোধন করা হবে।
প্রতিরক্ষা খাতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যৌথ উৎপাদনে সহযোগিতা বৃদ্ধি দেখতে চায় বলে জানালেন ঢাকা সফররত ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধণ সিংলা। ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ঢাকা সফর নিয়ে ঢাকার ভারতীয় হাই কমিশনের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এক কথা বলেন।
আজ বুধবার রাতে হোটেল সোনারগাঁয়ে বাংলাদেশে ভারতের রাষ্ট্রপতির সফর নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করে ভারতীয় হাই কমিশন।
বাংলাদেশের কাছে অত্যাধুনিক অস্ত্র বিক্রির কোন প্রস্তাব আছে কী-না এমন প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বলেন, প্রতিরক্ষা খাতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পঞ্চাশ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি রয়েছে। এরই মধ্যে এ অর্থ দিয়ে কিছু অস্ত্র কেনার জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। যার প্রক্রিয়া বর্তমানে প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সামনের দিনে আমরা দেখব, কিছু সমরাস্ত্র ভারত থেকে বাংলাদেশে রপ্তানি হচ্ছে।
তিনি বলেন, দুই দেশের সামরিক পর্যায়ের প্রশিক্ষণ হোক বা বিনিময় হোক অথবা যৌথ উৎপাদন, পুরো প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি দেখতে চায় ভারত।
কোয়াডে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন করলে হর্ষ বর্ধণ সিংলা বলেন, কোয়াড মূলত অবাধ মুক্ত ভারত প্রশান্ত মহা সাগরীয় অঞ্চলের একটি ঐক্য। এটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে করোনা মোকাবিলা ও টিকা নিয়ে কাজ করেছে। যদিও কোয়াড চার দেশের একটি ঐক্য। তারপরও এ অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশকে এর পাশে চাই আমরা।
সম্প্রতি র্যাবের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের সম্পর্ক এক অনন্য পর্যায়ে রয়েছে। তৃতীয় কোন দেশের সিদ্ধান্তের ওপরে আমাদের সম্পর্ক নির্ভর করে না।
বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের অবস্থা ও সীমান্ত হত্যা নিয়ে প্রশ্ন করলে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বলেন, বৈঠকে সকল বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কিন্তু গোপনীয়তার স্বার্থে সবকিছু বলা যাচ্ছে না। তবে, আলোচিত বিষয়গুলোর বেশির ভাগই বাংলাদেশ ও ভারত ঐক্যমতে রয়েছে।
সীমান্ত হত্যা নিয়ে তিনি বলেন, বৈঠকে সীমান্ত হত্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আরও ভালো সীমান্ত ব্যবস্থাপনা কীভাবে করা যায় তা নিয়ে আমরা কাজ করছি।
নেপাল ও ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি নিয়ে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি কবে হতে পারে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, জলবিদ্যুতের এ বিষয়টিতে বিদ্যুৎ বাণিজ্য নীতি নিয়ে কাজ করছে ভারত। ভুটান বা নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি নিয়ে বিধি সংক্রান্ত কোন জটিলতা নেই। এখানে মূল সমস্যা হচ্ছে, বিদ্যুৎ রপ্তানিতে সঞ্চালন লাইন তৈরি। তা নিয়ে বর্তমানে কাজ করছে ভারত। এ খাতে দেশগুলোর সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
সামনের দিনগুলোতে দুই দেশের সম্পর্কে কী গুরুত্ব পাবে এই প্রশ্নের উত্তরে হর্ষ বর্ধণ সিংলা বলেন, দুই দেশের সম্পর্কে সবুজ বা নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জলবায়ু পরিবর্তন, তরুণদের জন্য আরও কর্ম সংস্থান তৈরির মতো বিষয়গুলো দুই দেশের সম্পর্কে প্রাধান্য পাবে।
দ্বিপক্ষীয় যৌথ পাইপলাইন নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে অভূতপূর্ব পাইপলাইন তৈরি হতে যাচ্ছে। যা দিয়ে ভারতের এক অংশ থেকে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে অন্য অংশে হাই স্পিড ডিজেল প্রেরণ করা হবে। আশা করছি আগামী বছরে পাইপলাইনের উদ্বোধন করা হবে।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যাপক সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এক বছরেরও বেশি সময় আগে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশে সহিংস বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর এটিই হবে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে প্রথম নির্বাচন।
৭ ঘণ্টা আগেশীতাতপনিয়ন্ত্রিত (এসি) বাস ও পণ্যবাহী যানবাহনের জন্য সরকার কোনো ভাড়া নির্ধারণ করেনি। এসব যানের ভাড়া ঠিক করছেন পরিবহনের মালিকেরা। দূরপাল্লার এসি বাসে ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায়ের অভিযোগ যাত্রীদের। পণ্যবাহী যানবাহনের ক্ষেত্রেও একই অভিযোগ। এ অবস্থায় এসি বাস ও পণ্যবাহী যানের ভাড়া নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে...
১৩ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে জাতীয় সনদকে বিশেষ মর্যাদা ও আইনি ভিত্তি দেওয়ার কথা আছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতামত গ্রহণ এবং কিছু শব্দ ও ভাষাগত সংযোজন-বিয়োজন শেষে দু-এক দিনের মধ্যে সনদের চূড়ান্ত...
১৪ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ জন উপদেষ্টা ও বিশেষ সহকারীর সহকারী একান্ত সচিবদের (এপিএস) বেতন একলাফে ৩১ হাজার টাকার বেশি বেড়েছে। এটিকে আর্থিক অনিয়ম হিসেবেই দেখছেন জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা।
১৫ ঘণ্টা আগে