আজকের পত্রিকা ডেস্ক
দুই দিনব্যাপী জাতীয় কবিতা উৎসবের উদ্বোধন হলো। আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি চত্বরে উৎসবের উদ্বোধন করেন শহীদ আবু সাঈদের মা মনোয়ারা বেগম। ‘স্বাধীনতা সাম্য সম্প্রীতির জন্য কবিতা’ স্লোগানে শুরু হলো কবিদের এই মিলনমেলা।
শুরুতেই কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, শিল্পী কামরুল হাসানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন কবিরা। এরপর র্যালি নিয়ে তাঁরা আসেন অনুষ্ঠানস্থলে। শ্রদ্ধা জানানো হয় জুলাই বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে অনুষ্ঠানস্থলে তৈরি প্রতীকী মিনারেও।
এরপরে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, পতাকা উত্তোলন, একুশের গান, উৎসব সংগীত, জুলাইয়ের গান পরিবেশিত হয়। উদ্বোধনী দিনে আহ্বায়ক কবি মোহন রায়হানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘আমরা দেশের জন্য কাজ করার সুযোগ পেয়েছি এটা করে দিয়েছেন জুলাই আন্দোলনের শহীদেরা। এবারের আন্দোলনে গুণগত কয়েকটি পরিবর্তনের একটি হলো—নারীরা এত ফ্রন্টলাইনে ছিলেন যা অন্য আন্দোলনে ছিল কিনা আমি জানি না। এ ছাড়া গ্রাফিতি যে আন্দোলনের টুল হতে পারে এটা এই আন্দোলনে প্রমাণ হয়েছে। এরপরে কবিতা অসাধারণভাবে মানুষকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। আমরা শিল্প সংস্কৃতির কাছে পৌঁছেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সময়ের প্রয়োজন হলে কবিতা মানুষের পাশে দাঁড়ায়। কবিতা ব্যক্তিগত জিনিস। কিন্তু যখন কবিকে মানুষের পাশে রাষ্ট্রের পাশে দাঁড়াবার প্রয়োজন হয় কবিকে দাঁড়াতে হয়। কিন্তু গত ১৫-১৬ বছরে অনেক কবি মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি। আমি মনে করি, কবিরা মানুষের পাশে থাকবে তাতে যদি সরকারের, আমাদের সমালোচনা করতে হয়, করেন।’
সদস্যসচিব কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন বলেন, ‘কবিরাই প্রথম রুখে দাঁড়ায়। ১৯৮৭ সালে যখন কোনো রাজনৈতিক নেতা নামেনি তখন আমরা জাতীয় কবিতা পরিষদ গঠন করে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে বিজয় অর্জন করেছিলাম। কবিরা সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলে। তবে দলদাস যারা তারা কবি নয়। তারা কোনো আন্দোলনে থাকে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘কবিতা পরিষদ মানুষের জয়গান করে, করতেই থাকবে। কবিতা সেই শিল্পকর্ম যা মানুষকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সাহায্য করে। আপনারা দেখেছেন নজরুলের কবিতা কীভাবে আন্দোলনে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। আমরা আজকে অঙ্গীকার করতে চাই কবিরা আমরা সব সময় গণতন্ত্রের পক্ষে থাকব।’
আয়োজনে শোকপ্রস্তাব পাঠ করেন কবি নূরুন্নবী সোহেল, ঘোষণাপত্র পাঠ করেন শ্যামল জাকারিয়া, স্বাগত ভাষণ দেন নূরুল ইসলাম মনি। আলোচনার পরে বিভিন্ন পর্বে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা কবিরা তাদের কবিতা পাঠ করেন। আবৃত্তি করেন আমন্ত্রিত আবৃত্তিশিল্পীরা।
আয়োজকেরা জানিয়েছেন, এবারের জাতীয় কবিতা উৎসবে জাপান, ইরান ও ফিলিস্তিন থেকে কবিরা অংশগ্রহণ করছেন।
আগামীকাল রোববার দ্বিতীয় দিনেও থাকছে কবিতা পাঠ পর্ব। দ্বিতীয় দিনের বিশেষ অনুষ্ঠান সেমিনার। বাংলা একাডেমির সভাপতি আবুল কাশেম ফজলুল হকের সভাপতিত্বে মূল আলোচক থাকবেন শিক্ষাবিদ ও চিন্তক সলিমুল্লাহ খান। ‘স্বাধীনতা সাম্য ও সম্প্রীতি: বাংলাদেশের কবিতা’ সেমিনারের বিষয় হিসেবে থাকছে। আরও আলোচনা করবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, মঞ্জুরুর রহমান, কুদরতে খোদা, তাহমিদ জামিল। সঞ্চালক থাকবেন সোহরাব হাসান।
দ্বিতীয় দিনে আরও থাকবে কবিতা পরিষদ পুরস্কার ঘোষণা। সন্ধ্যায় আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হবে দুই দিনের এই আয়োজন। এবারের উৎসবের সংগীত রচনা করেছেন কবি শহীদুল্লাহ ফরায়েজী।
দুই দিনব্যাপী জাতীয় কবিতা উৎসবের উদ্বোধন হলো। আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি চত্বরে উৎসবের উদ্বোধন করেন শহীদ আবু সাঈদের মা মনোয়ারা বেগম। ‘স্বাধীনতা সাম্য সম্প্রীতির জন্য কবিতা’ স্লোগানে শুরু হলো কবিদের এই মিলনমেলা।
শুরুতেই কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, শিল্পী কামরুল হাসানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন কবিরা। এরপর র্যালি নিয়ে তাঁরা আসেন অনুষ্ঠানস্থলে। শ্রদ্ধা জানানো হয় জুলাই বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে অনুষ্ঠানস্থলে তৈরি প্রতীকী মিনারেও।
এরপরে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, পতাকা উত্তোলন, একুশের গান, উৎসব সংগীত, জুলাইয়ের গান পরিবেশিত হয়। উদ্বোধনী দিনে আহ্বায়ক কবি মোহন রায়হানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘আমরা দেশের জন্য কাজ করার সুযোগ পেয়েছি এটা করে দিয়েছেন জুলাই আন্দোলনের শহীদেরা। এবারের আন্দোলনে গুণগত কয়েকটি পরিবর্তনের একটি হলো—নারীরা এত ফ্রন্টলাইনে ছিলেন যা অন্য আন্দোলনে ছিল কিনা আমি জানি না। এ ছাড়া গ্রাফিতি যে আন্দোলনের টুল হতে পারে এটা এই আন্দোলনে প্রমাণ হয়েছে। এরপরে কবিতা অসাধারণভাবে মানুষকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। আমরা শিল্প সংস্কৃতির কাছে পৌঁছেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সময়ের প্রয়োজন হলে কবিতা মানুষের পাশে দাঁড়ায়। কবিতা ব্যক্তিগত জিনিস। কিন্তু যখন কবিকে মানুষের পাশে রাষ্ট্রের পাশে দাঁড়াবার প্রয়োজন হয় কবিকে দাঁড়াতে হয়। কিন্তু গত ১৫-১৬ বছরে অনেক কবি মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি। আমি মনে করি, কবিরা মানুষের পাশে থাকবে তাতে যদি সরকারের, আমাদের সমালোচনা করতে হয়, করেন।’
সদস্যসচিব কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন বলেন, ‘কবিরাই প্রথম রুখে দাঁড়ায়। ১৯৮৭ সালে যখন কোনো রাজনৈতিক নেতা নামেনি তখন আমরা জাতীয় কবিতা পরিষদ গঠন করে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে বিজয় অর্জন করেছিলাম। কবিরা সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলে। তবে দলদাস যারা তারা কবি নয়। তারা কোনো আন্দোলনে থাকে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘কবিতা পরিষদ মানুষের জয়গান করে, করতেই থাকবে। কবিতা সেই শিল্পকর্ম যা মানুষকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সাহায্য করে। আপনারা দেখেছেন নজরুলের কবিতা কীভাবে আন্দোলনে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। আমরা আজকে অঙ্গীকার করতে চাই কবিরা আমরা সব সময় গণতন্ত্রের পক্ষে থাকব।’
আয়োজনে শোকপ্রস্তাব পাঠ করেন কবি নূরুন্নবী সোহেল, ঘোষণাপত্র পাঠ করেন শ্যামল জাকারিয়া, স্বাগত ভাষণ দেন নূরুল ইসলাম মনি। আলোচনার পরে বিভিন্ন পর্বে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা কবিরা তাদের কবিতা পাঠ করেন। আবৃত্তি করেন আমন্ত্রিত আবৃত্তিশিল্পীরা।
আয়োজকেরা জানিয়েছেন, এবারের জাতীয় কবিতা উৎসবে জাপান, ইরান ও ফিলিস্তিন থেকে কবিরা অংশগ্রহণ করছেন।
আগামীকাল রোববার দ্বিতীয় দিনেও থাকছে কবিতা পাঠ পর্ব। দ্বিতীয় দিনের বিশেষ অনুষ্ঠান সেমিনার। বাংলা একাডেমির সভাপতি আবুল কাশেম ফজলুল হকের সভাপতিত্বে মূল আলোচক থাকবেন শিক্ষাবিদ ও চিন্তক সলিমুল্লাহ খান। ‘স্বাধীনতা সাম্য ও সম্প্রীতি: বাংলাদেশের কবিতা’ সেমিনারের বিষয় হিসেবে থাকছে। আরও আলোচনা করবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, মঞ্জুরুর রহমান, কুদরতে খোদা, তাহমিদ জামিল। সঞ্চালক থাকবেন সোহরাব হাসান।
দ্বিতীয় দিনে আরও থাকবে কবিতা পরিষদ পুরস্কার ঘোষণা। সন্ধ্যায় আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হবে দুই দিনের এই আয়োজন। এবারের উৎসবের সংগীত রচনা করেছেন কবি শহীদুল্লাহ ফরায়েজী।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নামে ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও কার্যাদেশ ছড়িয়ে প্রতারণার চেষ্টা করছে একটি চক্র। আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে সবার প্রতি সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
২৯ মিনিট আগেআজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। পরে তা আমলে নিয়ে ২৯ সেপ্টেম্বর এ মামলায় তাঁকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
৩৮ মিনিট আগেআগামী ১ নভেম্বর পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন। নতুন নিয়ম অনুযায়ী প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২ হাজার পর্যটক দ্বীপে ভ্রমণের সুযোগ পাবে। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর
১ ঘণ্টা আগেজঙ্গিসংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার ৩৬ জনকে দেশে এনে আলাদা করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তাঁরা মূলত শ্রমিক শ্রেণির মানুষ। সরাসরি জঙ্গিবাদে জড়িত ছিলেন না, বরং দুস্থ ও অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করার উদ্দেশ্যে তাঁরা সেখানে গিয়েছিল
২ ঘণ্টা আগে