অনলাইন ডেস্ক
‘আমার ছেলের বয়স ছিল ১৭ বছর। দুই মাস পর ও আঠারোতে পা দিত। নগদে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আমার ভোটার আইডি কার্ড চাইত। না দেওয়ায় রাগ করে বলত, দুই মাস পরে আমার ১৮ হবে। আমিও ভোটার আইডি পাব। কিন্তু ভোটার আইডি হওয়ার আগেই ওর ডেথ সার্টিফিকেট হয়ে গেল!’
এভাবেই ছেলের স্মৃতিচারণ করেন জুলাই আন্দোলনে শহীদ শাফিক উদ্দিন আহমেদ আহনাফের মা জারতাজ পারভিন।
আজ সোমবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে আয়োজিত জুলাই গণ–অভ্যুত্থান নিয়ে বিশেষ প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় সন্তানের স্মৃতিচারণ করেন তিনি। একই সঙ্গে নতুন বাংলাদেশে তাঁর প্রত্যাশার কথাও জানান। জারতাজ পারভিন বলেন, ‘স্বৈরাচার যে–ই আসুক, তার যেন পতন হয়।’
জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ নাঈমা সুলতানার মা আইনুন নাহার বলেন, ‘নাঈমাকে হারিয়ে ওর বড় বোন আর ছোট ভাই এখনো ট্রমাতে আছে। ছোট ছেলেটা এখনো বলে, মা, গুলি আসে, গুলি। আমরা এখনো ঘুমাতে পারি না!’
আলোচনা সভায় আন্দোলনে শহীদদের স্মৃতিচারণ করেন মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর বড় ভাই মীর মাহমুদুর রহমান (দীপ্ত), আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী, ছয় বছরের শিশু জাবির ইব্রাহিমের বাবা কবীর হোসেন এবং মাহমুদুর রহমান সৈকতের বড় বোন সাবরিনা আফরোজ সেবন্তী।
শহীদ জাবির ইব্রাহিমের বাবা কবীর হোসেন বলেন, ‘আমার জাবির মাত্র ছয় বছরের শিশু। ওর তো রক্ত দেওয়ার কথা ছিল না। কিন্তু ওকে প্রাণ দিতে হলো।’
আলোচনা সভায় অতিথি ছিলেন জাতীয় কর্ম কমিশনের অধ্যাপক ড. চৌধুরী সায়মা ফেরদৌস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সামিনা লুৎফা।
সামিনা লুৎফা বলেন, ‘আমরা যেন মনে রাখি, আমরা কী চেয়েছিলাম। আমরা কথা বলার সুযোগ চেয়েছিলাম। আমরা যেন আর কোনো ব্যবস্থা তৈরি না করি, যাতে আমাদের সন্তানকে প্রাণ দিতে হয়। আমরা এমন কোনো ব্যবস্থা চাই না, যেটা নতুন করে স্বৈরশাসক তৈরি করে।’
অধ্যাপক ড. চৌধুরী সায়মা ফেরদৌস বলেন, ‘যে বাংলাদেশে আজ দাঁড়িয়ে আছি, সেটা আপনাদের সন্তানদের অবদান। আহত হাজার হাজার ছাত্রদের আর্তনাদ আমাকে ঘুমাতে দেয় না। আমি প্রতিটা হত্যার বিচার চাই। যতবার আমাদের কাছ থেকে সার্বভৌমত্ব বাক–স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া চেষ্টা হবে, ততবার আমরা দাঁড়িয়ে যাব।’
আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক সুমনা শারমীন। জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে শহীদদের ব্যবহৃত সামগ্রী, রক্তমাখা পরিচয়পত্র, গিটার, শহীদের আঁকা ছবি। আরও রয়েছে প্রথম আলোর আলোকচিত্রীদের তোলা জুলাই আন্দোলনের নিয়তিনির্ধারক মুহূর্তের নির্বাচিত ছবি, প্রথম আলো পত্রিকা ও অনলাইন থেকে আলোচিত সংবাদ এবং অনুসন্ধানী ভিডিও প্রতিবেদন। গত ২৪ জানুয়ারি শুরু হয় এ প্রদর্শনী। চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।
‘আমার ছেলের বয়স ছিল ১৭ বছর। দুই মাস পর ও আঠারোতে পা দিত। নগদে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আমার ভোটার আইডি কার্ড চাইত। না দেওয়ায় রাগ করে বলত, দুই মাস পরে আমার ১৮ হবে। আমিও ভোটার আইডি পাব। কিন্তু ভোটার আইডি হওয়ার আগেই ওর ডেথ সার্টিফিকেট হয়ে গেল!’
এভাবেই ছেলের স্মৃতিচারণ করেন জুলাই আন্দোলনে শহীদ শাফিক উদ্দিন আহমেদ আহনাফের মা জারতাজ পারভিন।
আজ সোমবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে আয়োজিত জুলাই গণ–অভ্যুত্থান নিয়ে বিশেষ প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় সন্তানের স্মৃতিচারণ করেন তিনি। একই সঙ্গে নতুন বাংলাদেশে তাঁর প্রত্যাশার কথাও জানান। জারতাজ পারভিন বলেন, ‘স্বৈরাচার যে–ই আসুক, তার যেন পতন হয়।’
জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ নাঈমা সুলতানার মা আইনুন নাহার বলেন, ‘নাঈমাকে হারিয়ে ওর বড় বোন আর ছোট ভাই এখনো ট্রমাতে আছে। ছোট ছেলেটা এখনো বলে, মা, গুলি আসে, গুলি। আমরা এখনো ঘুমাতে পারি না!’
আলোচনা সভায় আন্দোলনে শহীদদের স্মৃতিচারণ করেন মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর বড় ভাই মীর মাহমুদুর রহমান (দীপ্ত), আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী, ছয় বছরের শিশু জাবির ইব্রাহিমের বাবা কবীর হোসেন এবং মাহমুদুর রহমান সৈকতের বড় বোন সাবরিনা আফরোজ সেবন্তী।
শহীদ জাবির ইব্রাহিমের বাবা কবীর হোসেন বলেন, ‘আমার জাবির মাত্র ছয় বছরের শিশু। ওর তো রক্ত দেওয়ার কথা ছিল না। কিন্তু ওকে প্রাণ দিতে হলো।’
আলোচনা সভায় অতিথি ছিলেন জাতীয় কর্ম কমিশনের অধ্যাপক ড. চৌধুরী সায়মা ফেরদৌস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সামিনা লুৎফা।
সামিনা লুৎফা বলেন, ‘আমরা যেন মনে রাখি, আমরা কী চেয়েছিলাম। আমরা কথা বলার সুযোগ চেয়েছিলাম। আমরা যেন আর কোনো ব্যবস্থা তৈরি না করি, যাতে আমাদের সন্তানকে প্রাণ দিতে হয়। আমরা এমন কোনো ব্যবস্থা চাই না, যেটা নতুন করে স্বৈরশাসক তৈরি করে।’
অধ্যাপক ড. চৌধুরী সায়মা ফেরদৌস বলেন, ‘যে বাংলাদেশে আজ দাঁড়িয়ে আছি, সেটা আপনাদের সন্তানদের অবদান। আহত হাজার হাজার ছাত্রদের আর্তনাদ আমাকে ঘুমাতে দেয় না। আমি প্রতিটা হত্যার বিচার চাই। যতবার আমাদের কাছ থেকে সার্বভৌমত্ব বাক–স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া চেষ্টা হবে, ততবার আমরা দাঁড়িয়ে যাব।’
আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক সুমনা শারমীন। জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে শহীদদের ব্যবহৃত সামগ্রী, রক্তমাখা পরিচয়পত্র, গিটার, শহীদের আঁকা ছবি। আরও রয়েছে প্রথম আলোর আলোকচিত্রীদের তোলা জুলাই আন্দোলনের নিয়তিনির্ধারক মুহূর্তের নির্বাচিত ছবি, প্রথম আলো পত্রিকা ও অনলাইন থেকে আলোচিত সংবাদ এবং অনুসন্ধানী ভিডিও প্রতিবেদন। গত ২৪ জানুয়ারি শুরু হয় এ প্রদর্শনী। চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।
ভারতীয় টিভি চ্যানেল রিপাবলিক বাংলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং বাংলাদেশে তাদের সম্প্রচার নিষিদ্ধে নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
৪২ মিনিট আগেপররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এই হামলার পরিণতিতে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা ইতিমধ্যেই নাজুক একটি অঞ্চলের স্থিতিশীলতা আরও বিঘ্নিত করার ঝুঁকি তৈরি করেছে, যা আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি হুমকিস্বরূপ। বাংলাদেশ সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা
৩ ঘণ্টা আগেদূতাবাস বলছে, তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন স্থানে বৈধ ও অবৈধভাবে অবস্থান করছেন প্রায় আড়াই হাজার বাংলাদেশি। তাঁদের মধ্যে ২০০ শিক্ষার্থী, দূতাবাসের কূটনীতিক কর্মী, তাঁদের পরিবারসহ প্রায় ৪০ জন, চিকিৎসার জন্য সেখানে যাওয়া কিছু রোগীসহ প্রায় ৩০০ জনের নিরাপত্তা ও অন্যান্য ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে বেশি।
৩ ঘণ্টা আগেবিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিইসি ও ইসি সচিবের কাছে অভিযোগ জমা দিয়েছি। আমরা জানি, বর্তমান কমিশন এ অভিযোগের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। আগের কমিশন যেহেতু সংবিধান লঙ্ঘন করে ফৌজদারি অপরাধ করেছে, এ জন্য তাদের বিরুদ্ধে শেরেবাংলা থানায় মামলা করা হয়েছে।’
৩ ঘণ্টা আগে