Ajker Patrika

ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে ৩১ কোটি টাকা ঋণ: সাইফুজ্জামান চৌধুরীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী রুকমীলা জামান। ছবি: সংগৃহীত
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী রুকমীলা জামান। ছবি: সংগৃহীত

ভুয়া ও অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক ঋণ অনুমোদন করে ৩১ কোটি ৬৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, তাঁর স্ত্রী ইউসিবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান রুকমিলা জামানসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ মঙ্গলবার দুদকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে মামলাগুলো করা হয়েছে। দুদকের উপপরিচালক মশিউর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

দুদকের মামলায় বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে বশির আহমেদের প্রতিষ্ঠান বি অ্যান্ড বি ইলেকট্রনিকসের কর্মচারী মোস্তাফিজুর রহমান ও সিন্ডিকেট সদস্য মো. আবুল কালামের সহায়তায় কৌশলে গ্রামের সহজ-সরল কৃষক ও খণ্ডকালীন শ্রমিক নুরুল বশর, মোহাম্মদ আয়ুব, মো. ইউনুছ ও মো. ফরিদুল আলমের ব্যক্তিগত তথ্য (এনআইডি, ছবি ইত্যাদি) সংগ্রহ করে ব্যাংক কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে এসব ভুয়া তথ্য ব্যবহার করে অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক হিসাব খুলে ঋণ অনুমোদন করানো হয়। পরবর্তীতে অনুমোদিত ঋণের ৩১ কোটি ৬৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়।

দুদক বলেছে, এই কার্যক্রমের মাধ্যমে আসামিরা দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ৪০৬ / ৪০৯ / ৪২০ / ৪৬৭ / ৪৬৮ / ৪৭১ / ১০৯ ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭-এর ৫ (২) ধারা ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪ (২) (৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

দুদকের মামলায় ইউসিবিএল ও ইউসিবি পিএলসি’র এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য এবং সাবেক পরিচালক বশির আহমেদ, একই প্রতিষ্ঠানের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক পরিচালক আনিসুজ্জামান চৌধুরী, সাইফুজ্জামান চৌধুরীর স্ত্রী ও ইউসিবি পিএলসি’র সাবেক চেয়ারম্যান রুকমিলা জামান,

ইউসিবিএল পোর্ট শাখার (চট্টগ্রাম) এভিপি ও অপারেশন ম্যানেজার মো. আব্দুল আউয়াল, এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. আবু বকর খান, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার জামাল উদ্দিন, এভিপি জিয়াউল করিম খান এবং একই শাখার ভিপি ও শাখা প্রধান মো. জাহিদ হায়দারকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।

এ ছাড়া আরামিট পিএলসি সংশ্লিষ্ট দুই ব্যবসায়ী—মডেল ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ মিছাবাহুল আলম এবং ক্ল্যাসিক ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী ও এজিএম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের নাম রয়েছে মামলায়।

আলোক ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী প্রদীপ কুমার বিশ্বাস, বি অ্যান্ড বি ইলেকট্রনিকসের কর্মচারী মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এবং দিদারুল আলমকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।

একই সঙ্গে ইউসিবি পিএলসি’র এক্সিকিউটিভ কমিটির আরও কয়েকজন সাবেক পরিচালক বজল আহমেদ বাবুল (সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান), এম এ সবুর, ইউনুছ আহমদ, নুরুল ইসলাম চৌধুরী ও আসিফুজ্জামান চৌধুরীর নামও মামলার আসামির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ