উবায়দুল্লাহ বাদল, ঢাকা
আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগেই প্রায় ১০০ যুগ্ম সচিব পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত সচিব হতে যাচ্ছেন। চলতি সপ্তাহের যেকোনো দিন এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এবারের পদোন্নতিতে বিসিএস ১৭তম ব্যাচকে নিয়মিত ব্যাচ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এই ব্যাচের ৪৯ জনসহ বিলুপ্ত ইকোনমিক ক্যাডার, অন্য ক্যাডারসহ আগে পদোন্নতিবঞ্চিত অন্তত ৩০০ কর্মকর্তার চাকরিজীবনের যাবতীয় তথ্য যাচাই ও বিশ্লেষণ করেছে সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি)।
এরই মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক করে এসএসবি পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তাদের তালিকা চূড়ান্ত করেছে। এসব বৈঠকে কর্মকর্তাদের কর্মজীবনের যাবতীয় নথি, প্রয়োজনীয় নম্বর, চাকরিজীবনের শৃঙ্খলা, দুর্নীতির অভিযোগসহ সামগ্রিক বিষয় বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির কাজ চলছে। প্রক্রিয়া শেষে শিগগিরই প্রজ্ঞাপন জারি হবে।’
এদিকে প্রশাসনে অতিরিক্ত সচিবের অনুমোদিত পদ ১৩৫টি। বর্তমানে কর্মরত ৩২০ জন। অর্থাৎ অনুমোদিত পদের দ্বিগুণেরও বেশি। এর সঙ্গে আরও ১০০ জন যুক্ত হলে প্রশাসনের মাথা আরও ভারী হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, প্রশাসনে ভারসাম্য রক্ষার জন্যই বিভিন্ন স্তরে পদসংখ্যার বিন্যাস হয় পিরামিডের মতো। এই পিরামিড আকৃতি নষ্ট হলে প্রশাসনের ভারসাম্যও নষ্ট হয়।
পদ ছাড়া পদোন্নতি দিলে প্রশাসনে নানা ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে বলে মনে করেন প্রশাসনবিষয়ক বেশ কিছু গ্রন্থের লেখক ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. ফিরোজ মিয়া। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পদ ছাড়া পদোন্নতি হলে পদায়নে সমস্যা হবে। পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের আগের পদেই কাজ করতে হবে। পদোন্নতির পর নতুন দায়িত্ব না পেলে কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি পায় না, প্রশাসনের পিরামিডও অক্ষুণ্ন থাকে না।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বিসিএস ১৭তম ব্যাচ ১৯৯৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি চাকরিতে যোগ দেয়। ওই ব্যাচের ৬৭ জন কর্মকর্তার মধ্যে ৪৯ জন এরই মধ্যে যুগ্ম সচিব হয়েছেন। তাঁদের চাকরির মেয়াদ ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে সদ্য বিলুপ্ত হওয়া ইকোনমিক ক্যাডারের ১৮ কর্মকর্তাও আছেন। এই ব্যাচের কর্মকর্তারা ২০১৮ সালের ১৬ অক্টোবর যুগ্ম সচিব হন। ফলে যোগ্যতার ঘাটতি নেই তাদের। অন্য ক্যাডার থেকেও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাও পদোন্নতি পাবেন। এর বাইরে বিভিন্ন সময়ে পদোন্নতি না পাওয়া ১৫৯ জন কর্মকর্তার মধ্য থেকেও কেউ কেউ পদোন্নতি পেতে পারেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, প্রশাসনের যুগ্ম সচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দিতে প্রয়োজনীয় বৈঠক সম্পন্ন করেছে এসএসবি। ঈদুল ফিতরের আগেই কমবেশি ১০০ কর্মকর্তা অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পদোন্নতি পেতে পারেন। প্রশাসন ক্যাডারের পাশাপাশি অন্য ক্যাডার থেকেও পদোন্নতি দেওয়া হবে।
পদোন্নতি বিধিমালা-২০০২ অনুযায়ী, অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৭০ শতাংশ প্রশাসন ক্যাডার এবং ৩০ শতাংশ অন্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বিবেচনায় নিতে হবে। মূল্যায়ন নম্বরের অন্তত ৮৫ নম্বর থাকতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। যুগ্ম সচিব পদে তিন বছরসহ ২০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা বা যুগ্ম সচিব পদে কমপক্ষে দুই বছরের চাকরিসহ ২২ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হন।
আরও খবর পড়ুন:
আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগেই প্রায় ১০০ যুগ্ম সচিব পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত সচিব হতে যাচ্ছেন। চলতি সপ্তাহের যেকোনো দিন এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এবারের পদোন্নতিতে বিসিএস ১৭তম ব্যাচকে নিয়মিত ব্যাচ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এই ব্যাচের ৪৯ জনসহ বিলুপ্ত ইকোনমিক ক্যাডার, অন্য ক্যাডারসহ আগে পদোন্নতিবঞ্চিত অন্তত ৩০০ কর্মকর্তার চাকরিজীবনের যাবতীয় তথ্য যাচাই ও বিশ্লেষণ করেছে সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি)।
এরই মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক করে এসএসবি পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তাদের তালিকা চূড়ান্ত করেছে। এসব বৈঠকে কর্মকর্তাদের কর্মজীবনের যাবতীয় নথি, প্রয়োজনীয় নম্বর, চাকরিজীবনের শৃঙ্খলা, দুর্নীতির অভিযোগসহ সামগ্রিক বিষয় বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির কাজ চলছে। প্রক্রিয়া শেষে শিগগিরই প্রজ্ঞাপন জারি হবে।’
এদিকে প্রশাসনে অতিরিক্ত সচিবের অনুমোদিত পদ ১৩৫টি। বর্তমানে কর্মরত ৩২০ জন। অর্থাৎ অনুমোদিত পদের দ্বিগুণেরও বেশি। এর সঙ্গে আরও ১০০ জন যুক্ত হলে প্রশাসনের মাথা আরও ভারী হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, প্রশাসনে ভারসাম্য রক্ষার জন্যই বিভিন্ন স্তরে পদসংখ্যার বিন্যাস হয় পিরামিডের মতো। এই পিরামিড আকৃতি নষ্ট হলে প্রশাসনের ভারসাম্যও নষ্ট হয়।
পদ ছাড়া পদোন্নতি দিলে প্রশাসনে নানা ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে বলে মনে করেন প্রশাসনবিষয়ক বেশ কিছু গ্রন্থের লেখক ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. ফিরোজ মিয়া। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পদ ছাড়া পদোন্নতি হলে পদায়নে সমস্যা হবে। পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের আগের পদেই কাজ করতে হবে। পদোন্নতির পর নতুন দায়িত্ব না পেলে কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি পায় না, প্রশাসনের পিরামিডও অক্ষুণ্ন থাকে না।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বিসিএস ১৭তম ব্যাচ ১৯৯৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি চাকরিতে যোগ দেয়। ওই ব্যাচের ৬৭ জন কর্মকর্তার মধ্যে ৪৯ জন এরই মধ্যে যুগ্ম সচিব হয়েছেন। তাঁদের চাকরির মেয়াদ ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে সদ্য বিলুপ্ত হওয়া ইকোনমিক ক্যাডারের ১৮ কর্মকর্তাও আছেন। এই ব্যাচের কর্মকর্তারা ২০১৮ সালের ১৬ অক্টোবর যুগ্ম সচিব হন। ফলে যোগ্যতার ঘাটতি নেই তাদের। অন্য ক্যাডার থেকেও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাও পদোন্নতি পাবেন। এর বাইরে বিভিন্ন সময়ে পদোন্নতি না পাওয়া ১৫৯ জন কর্মকর্তার মধ্য থেকেও কেউ কেউ পদোন্নতি পেতে পারেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, প্রশাসনের যুগ্ম সচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দিতে প্রয়োজনীয় বৈঠক সম্পন্ন করেছে এসএসবি। ঈদুল ফিতরের আগেই কমবেশি ১০০ কর্মকর্তা অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পদোন্নতি পেতে পারেন। প্রশাসন ক্যাডারের পাশাপাশি অন্য ক্যাডার থেকেও পদোন্নতি দেওয়া হবে।
পদোন্নতি বিধিমালা-২০০২ অনুযায়ী, অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৭০ শতাংশ প্রশাসন ক্যাডার এবং ৩০ শতাংশ অন্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বিবেচনায় নিতে হবে। মূল্যায়ন নম্বরের অন্তত ৮৫ নম্বর থাকতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। যুগ্ম সচিব পদে তিন বছরসহ ২০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা বা যুগ্ম সচিব পদে কমপক্ষে দুই বছরের চাকরিসহ ২২ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হন।
আরও খবর পড়ুন:
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর। তিনি সমাজে বিদ্যমান শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সম্প্রীতি বিনষ্টের যেকোনো চেষ্টা রোধে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
১২ মিনিট আগেবিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফুলের তোড়া পাঠিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে এসব কথা জানান।
৩ ঘণ্টা আগেএকজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওঠা নারী নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তে উচ্চপদস্থ বোর্ড গঠন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই কর্মকর্তার নারী নির্যাতন-সংক্রান্ত একটি অভিযোগ প্রচার হয়েছে। তবে বিষয়টি প্রচারিত হওয়ার আগেই সেনাবাহিনী জানতে পেরে গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত কার্যক্রম
৪ ঘণ্টা আগেআগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যাপক সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এক বছরেরও বেশি সময় আগে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশে সহিংস বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর এটিই হবে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে প্রথম নির্বাচন।
১০ ঘণ্টা আগে