Ajker Patrika

পশ্চিমবঙ্গের হাসপাতালে বাংলাদেশের ওষুধের বিষয়টি খতিয়ে দেখবে সরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৬ এপ্রিল ২০২২, ২৩: ১২
পশ্চিমবঙ্গের হাসপাতালে বাংলাদেশের ওষুধের বিষয়টি খতিয়ে দেখবে সরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে বাংলাদেশ সরকারের ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। ওষুধের পাতায় লেখা ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সম্পদ, ক্রয় বিক্রয় আইনত দণ্ডনীয়’। তবে ওষুধের গায়ে মেয়াদের উল্লেখ নেই। গতকাল মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখবে সরকার। এর পর একটা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের (ইডিসিএল) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত বছর করোনা মহামারির তৃতীয় ঢেউ সামাল দিতে যখন ভারত হিমশিম খাচ্ছিল, তখন করোনার মৃদু উপসর্গের রোগীদের চিকিৎসার জন্য জরুরি ওষুধ ডক্সিসাইক্লিন ক্যাপসুলসহ জীবন রক্ষাকারী বেশ কয়েক ধরনের ওষুধ পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। ওই বছরের মে মাসে এসব ওষুধ পাঠানো হয়, যা ধাপে ধাপে বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহার করছে দেশটি। 

এসেনসিয়াল ড্রাগসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক এহসানুল কবির জগলুল বলেছেন, ‘এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে ভারতে মহামারি মোকাবিলায় সাহায্যের জন্য এসব ওষুধ পাঠানো হয়। ওষুধগুলো মে মাসের দিকে পাঠানো হয়। দেশটির সরকারই এ ব্যাপারে সবকিছু বন্দোবস্ত করে নিয়ে যায়। এমনকি এ নিয়ে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে একটি অনুষ্ঠানও হয়।’ 

এহসানুল কবির জগলুল বলেন, ‘ওষুধগুলোর উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ না থাকার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং দুঃখজনক। এ নিয়ে সংবাদ প্রচারের কোনো অবকাশ নেই।’ 

উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইন সংস্করণের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনাস্থল কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের আউটডোর। মঙ্গলবার একাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে এসে ডাক্তার দেখানোর পর হাতে পান ডক্সিসাইক্লিন ক্যাপসুল। ওষুধের পাতায় লেখা ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সম্পদ, ক্রয় বিক্রয় আইনত দণ্ডনীয়’। প্রতিবেশী দেশের সরকারি ওষুধ কীভাবে এ রাজ্যের হাসপাতালে পৌঁছাল, তা জানে না জেলা প্রশাসন। প্রশ্ন উঠতেই খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কীভাবে এমনটা হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। প্রশাসনের দাবি, এই ওষুধ পাঠানো হয়েছে কলকাতা থেকে। 

এমন প্রতিবেদন প্রকাশের পরদিনই বাংলাদেশের ওষুধ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হলো। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইরানের ‘দানবীয় ক্ষেপণাস্ত্রের’ সামনে উন্মুক্ত ইসরায়েলের ‘অ্যাকিলিস হিল’

ভারতীয় বিমানবন্দরে ১১ দিন ধরে পড়ে আছে ব্রিটিশ এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, ঘনাচ্ছে রহস্য

মা-মেয়ের ত্রিভুজ প্রেম, বিয়ে ও একটি খুন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফল আজ, যেভাবে দেখবেন

পাকিস্তানের পরমাণু প্রকল্প ধ্বংসে ভারত-ইসরায়েলের যৌথ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় যেভাবে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত