ফিচার ডেস্ক
দক্ষিণ কোরিয়ার ‘হাওয়াই’ হলো জেজু দ্বীপ। নীল সমুদ্র, সবুজ চা-বাগান আর বরফে ঢাকা হাল্লাসান পর্বতের জন্য এ দ্বীপে প্রতিবছর লাখো পর্যটক ভিড় করে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশি ভ্রমণকারীদের নানা অসদাচরণের কারণে স্থানীয় লোকজন বিরক্ত হয়ে উঠেছে। সে কারণে জেজু কর্তৃপক্ষ এবার পর্যটকদের জন্য বিশেষ আচরণবিধি প্রকাশ করেছে।
পর্যটকদের ঢল
২০২৪ সালে জেজুতে মোট ভ্রমণকারীর সংখ্যা ছিল প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ। সিউল থেকে জেজু এখন বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানপথ। করোনাভাইরাস মহামারি শেষে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যাও হঠাৎ বেড়ে গেছে দ্বীপটিতে। ২০২৪ সালে প্রায় ১৯ লাখ বিদেশি জেজু ভ্রমণ করেছে।
কী আছে আচরণবিধিতে
অতিরিক্ত ভিড় ও অনিয়ম ঠেকাতে প্রশাসন কোরীয়, ইংরেজি ও চায়নিজ ভাষায় ৮ হাজার কপি নির্দেশিকা ছাপিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ধূমপান, আবর্জনা ফেলা, রাস্তা পারাপারে আইন ভঙ্গ বা প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্টের মতো কাজ করলে ৫০ হাজার উওন বা প্রায় ৩৫ মার্কিন ডলার জরিমানা গুনতে হবে। গুরুতর অপরাধ হলে কারাদণ্ডের ব্যবস্থাও রয়েছে।
অসদাচরণে ক্ষোভ
কয়েক মাস আগে জেজুর একটি বাসে বিদেশি এক পর্যটকের ধূমপানের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শাস্তির দাবি তোলেন। কেউ কেউ মন্তব্য করেন, ‘ওই পর্যটককে জরিমানা করো, নাহলে তার টিকিট কেনা বন্ধ করে দাও।’
শুধু জেজুই নয়
এই সমস্যা শুধু জেজুতে নয়, বিশ্বজুড়েই দেখা যাচ্ছে। সিউলের ঐতিহাসিক বুকচন হনোক গ্রামে স্থানীয় লোকজনের অভিযোগে রাতে পর্যটকদের প্রবেশ সীমিত করা হয়েছে। জাপানের কিয়োটোর ঐতিহ্যবাহী গিয়ন এলাকায় বিদেশিদের নিয়মভঙ্গ ঠেকাতে কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার বালির স্থানীয় জনগণ দীর্ঘদিন ধরে বিদেশি পর্যটকের অসদাচরণে ভুগছে।
ইউরোপের স্পেন, গ্রিস, ইতালি ও ফ্রান্সে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ করেছে। গত বছর বার্সেলোনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের পর্যটকদের পানি ছিটিয়ে তাড়ানোর ঘটনাও ভাইরাল হয়েছিল।
ইতালির পর্যটন সংস্থা ভিজিট ইতালির প্রধান নির্বাহী রুবেন সান্টোপিয়েত্রো বলেন, শহরের বাসিন্দারা যদি খুশি না থাকে, তবে সেই শহর টিকতে পারে না। তখন শহরের নিজস্বতা নষ্ট হয়ে যায়, স্থানীয় লোকজন বাদ পড়ে, সেই এলাকা শুধু পর্যটকদের দখলে চলে যায়।
জেজু দ্বীপের সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিবছর লাখো মানুষ ভিড় জমায়। কিন্তু পর্যটকের অসদাচরণে যদি স্থানীয় লোকজন বিরক্ত হয়ে ওঠে, তবে সেই আনন্দ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই জেজুর নতুন আচরণবিধি শুধু নিয়ম নয়, এটি স্থানীয় লোকজনের সম্মান রক্ষা ও দ্বীপের স্বাভাবিক পরিবেশ টিকিয়ে রাখার জন্য জরুরি পদক্ষেপ।
সূত্র: সিএনএন
দক্ষিণ কোরিয়ার ‘হাওয়াই’ হলো জেজু দ্বীপ। নীল সমুদ্র, সবুজ চা-বাগান আর বরফে ঢাকা হাল্লাসান পর্বতের জন্য এ দ্বীপে প্রতিবছর লাখো পর্যটক ভিড় করে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশি ভ্রমণকারীদের নানা অসদাচরণের কারণে স্থানীয় লোকজন বিরক্ত হয়ে উঠেছে। সে কারণে জেজু কর্তৃপক্ষ এবার পর্যটকদের জন্য বিশেষ আচরণবিধি প্রকাশ করেছে।
পর্যটকদের ঢল
২০২৪ সালে জেজুতে মোট ভ্রমণকারীর সংখ্যা ছিল প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ। সিউল থেকে জেজু এখন বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানপথ। করোনাভাইরাস মহামারি শেষে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যাও হঠাৎ বেড়ে গেছে দ্বীপটিতে। ২০২৪ সালে প্রায় ১৯ লাখ বিদেশি জেজু ভ্রমণ করেছে।
কী আছে আচরণবিধিতে
অতিরিক্ত ভিড় ও অনিয়ম ঠেকাতে প্রশাসন কোরীয়, ইংরেজি ও চায়নিজ ভাষায় ৮ হাজার কপি নির্দেশিকা ছাপিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ধূমপান, আবর্জনা ফেলা, রাস্তা পারাপারে আইন ভঙ্গ বা প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্টের মতো কাজ করলে ৫০ হাজার উওন বা প্রায় ৩৫ মার্কিন ডলার জরিমানা গুনতে হবে। গুরুতর অপরাধ হলে কারাদণ্ডের ব্যবস্থাও রয়েছে।
অসদাচরণে ক্ষোভ
কয়েক মাস আগে জেজুর একটি বাসে বিদেশি এক পর্যটকের ধূমপানের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শাস্তির দাবি তোলেন। কেউ কেউ মন্তব্য করেন, ‘ওই পর্যটককে জরিমানা করো, নাহলে তার টিকিট কেনা বন্ধ করে দাও।’
শুধু জেজুই নয়
এই সমস্যা শুধু জেজুতে নয়, বিশ্বজুড়েই দেখা যাচ্ছে। সিউলের ঐতিহাসিক বুকচন হনোক গ্রামে স্থানীয় লোকজনের অভিযোগে রাতে পর্যটকদের প্রবেশ সীমিত করা হয়েছে। জাপানের কিয়োটোর ঐতিহ্যবাহী গিয়ন এলাকায় বিদেশিদের নিয়মভঙ্গ ঠেকাতে কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার বালির স্থানীয় জনগণ দীর্ঘদিন ধরে বিদেশি পর্যটকের অসদাচরণে ভুগছে।
ইউরোপের স্পেন, গ্রিস, ইতালি ও ফ্রান্সে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ করেছে। গত বছর বার্সেলোনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের পর্যটকদের পানি ছিটিয়ে তাড়ানোর ঘটনাও ভাইরাল হয়েছিল।
ইতালির পর্যটন সংস্থা ভিজিট ইতালির প্রধান নির্বাহী রুবেন সান্টোপিয়েত্রো বলেন, শহরের বাসিন্দারা যদি খুশি না থাকে, তবে সেই শহর টিকতে পারে না। তখন শহরের নিজস্বতা নষ্ট হয়ে যায়, স্থানীয় লোকজন বাদ পড়ে, সেই এলাকা শুধু পর্যটকদের দখলে চলে যায়।
জেজু দ্বীপের সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিবছর লাখো মানুষ ভিড় জমায়। কিন্তু পর্যটকের অসদাচরণে যদি স্থানীয় লোকজন বিরক্ত হয়ে ওঠে, তবে সেই আনন্দ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই জেজুর নতুন আচরণবিধি শুধু নিয়ম নয়, এটি স্থানীয় লোকজনের সম্মান রক্ষা ও দ্বীপের স্বাভাবিক পরিবেশ টিকিয়ে রাখার জন্য জরুরি পদক্ষেপ।
সূত্র: সিএনএন
সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়ায় নানা রকম ট্রাভেল হ্যাকস। এর মধ্যে একটি হলো নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য স্যুটকেসের জিপার জিপ টাই দিয়ে বেঁধে ফেলা। তবে এই ভাইরাল টিপসকে ‘অপ্রয়োজনীয় ও বিপজ্জনক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিমানবন্দরের কর্মীরা।
১১ ঘণ্টা আগেইস্তাম্বুলের সরু গলির এক দোকান। দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকলে ভেসে আসে কফির সুবাস। চোখে পড়ে ছোট ছোট তামার পাত্র জেজভের দিকে। তুর্কি কফি বানানোর জন্য বিশেষভাবে তৈরি পাত্র জেজভে। দোকানি ধীরে ধীরে সেগুলো বালুর ওপর বসিয়ে কফি তৈরি করছেন।
১৩ ঘণ্টা আগেবিরাট বিরাট কংক্রিটের ভিড় তখনো জমেনি বাংলার শহর, গঞ্জ, মফস্বলে। তাই তো কাশফুলে ভরা মাঠ পেরিয়ে অপু-দুর্গা ছুটেছিল রেলগাড়ি দেখতে। অথচ বাঙালিকে আজ সেই কাশফুল দেখতেই শহর ছাড়িয়ে ছুটতে হয় প্রত্যন্ত গ্রামে! যেখানে আজও কাশের দল বেঁচে থাকার লড়াই করছে।
১৫ ঘণ্টা আগেঢাকা থেকে খুব বেশি দূরে নয়। সাকল্যে ১০৫ কিলোমিটারের মতো পথ। বলছি ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার গলর বিলের কথা। প্রায় ৭৫ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত এই বিলে রয়েছে প্রচুর লাল শাপলা। এই সংবাদ শোনার পর এক সন্ধ্যায় আমাদের বন্ধু রিয়াদ আশ্রাফের গাড়িতে রওনা দিলাম গলর বিল দেখব বলে।
১৮ ঘণ্টা আগে