Ajker Patrika

নিউইয়র্কের জার্নাল-২: পৃথিবীর রাজধানীর গল্প

জাহীদ রেজা নূর
আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০২৩, ১৩: ০৯
নিউইয়র্কের জার্নাল-২: পৃথিবীর রাজধানীর গল্প

নিউইয়র্কে পা দিতে না দিতেই ঈদের আমেজ। সৌদি আরবে কবে চাঁদ দেখা যাবে, তা নিয়ে ছিল সংশয়। মনে করা হচ্ছিল, এবার এক দিন পিছিয়ে যেতে পারে ঈদ। কিন্তু একসময় বলা হলো, সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, তাই এবার ঈদ হবে ২১ এপ্রিল। ব্যস, শুরু হয়ে গেল তোড়জোড়। বাঙালি পাড়ায় পাড়ায় এল ঈদের আমেজ। জ্যাকসন হাইটস জেগে থাকল সারা রাত। পালা করে চলল মেহেদী উৎসব। সাজগোজের হিড়িক পড়ে গেল। ঈদের দিন কে কার বাড়িতে বেড়াতে যাবে, তা নিয়ে শুরু হলো জল্পনা-কল্পনা।

যারা বহুদিন ধরে বসবাস করছেন এই নগরীতে, তাদের বন্ধুমহল দাঁড়িয়ে গেছে। ঈদ বা যে কোনো উৎসব এলে এই পরিবারগুলো একে অন্যের সঙ্গে মোলাকাত করে।

আমরা তিন পরিবার মিলে ঠিক করলাম যে যার বাড়িতে রান্না করে কুইনস ভিলেজে বড় ভাইয়ের বাড়িতে দুপুরের খাবার খাব। বন্ধু যাঁরা আছেন, তাঁদেরও কেউ কেউ যোগ দেবেন লাঞ্চে। কে কী রান্না করল, সে কথা না বলে জানিয়ে রাখি, সেদিন কোন কোন খাবারের ভারে নুয়ে পড়েছিল টেবিল। ছিল খাসির বিরিয়ানি, গরুর রেজালা, চাপালি কাবাব, মুরগির রোস্ট, রাশান বেগুন, ডিম ভুনা, ফ্রেশ সালাদ, জর্দা, পায়েস, সেমাই। টেবিলে এই খাবারগুলো সাজিয়ে রাখার পর বোঝা গেল, এত আয়োজনের প্রয়োজন ছিল না। খাসির বিরিয়ানি থাকলে ফ্রেশ সালাদই যথেষ্ট। আর কিছু তৈরি না করলেও চলত।

সেদিন আরো দুই পরিবার এসে যোগ দিয়েছিল আমাদের মিলনমেলায়। সবচেয়ে দরকারি কথা হলো, সেই দুই পরিবারের তরুণ সদস্যরাও এবার এসেছিল বাবা-মায়ের সঙ্গে। নিউইয়র্কের বাঙালি পরিবারগুলোর দিকে খেয়াল করলে দেখা যায়, তরুণ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা নিজেদের মতো করে সময় কাটাতে পছন্দ করে। বাবা-মায়েরা যে বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলে, আড্ডা দেয়, তার সঙ্গে তরুণদের যোগাযোগ কম। এটাকেই বুঝি জেনারেশন গ্যাপ বলে।

একটু নির্দয় হয়েই বলি, বাবা-মায়ের প্রজন্ম যে বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ করে, তাতে নস্টালজিয়ার পরিমাণ থাকে বেশি, এই এলাকায় একত্রে বসবাসকারী পরিবারগুলোর ভালো-মন্দ নিয়ে থাকে আলোচনা, ইহকাল ও পরকাল নিয়ে থাকে গম্ভীর আলোচনা, পোশাক-আশাক নিয়ে কথাবার্তা। এইগুলো তরুণ প্রজন্মকে একেবারেই টানে না। নতুন প্রযুক্তির প্রতি সারা বিশ্বের তরুণদের যে আগ্রহ, এখানকার বাঙালি তরুণ-তরুণীর আগ্রহও সেদিকে। ফলে বড়দের সঙ্গে কথা বলার মতো বিষয়বস্তুর বড্ড অভাব তাদের। সে রকম একটা পরিপ্রেক্ষিতে দুই পরিবারের তরুণেরা বেড়াতে এল, এটা খুবই আশাপ্রদ একটি ব্যাপার। এর মধ্যে এক তরুণ তার মনের মানুষ খুঁজে পেয়েছে, সেই খবরও পাওয়া গেল।

আমরা একসময় ঢাকার চামেলীবাগে বসবাস করেছি। সেখানে পাশের বাড়িতে ছিল শামীম ভাইদের বাস। তিনি এসেছিলেন সস্ত্রীক, সসন্তান। সেই ছেলেবেলার চামেলীবাগ নিয়ে যখন আলাপ শুরু হলো, তখন কত না নাম ভেসে এল। যা ছিল বিস্মৃতির অতলে, তাও বেরিয়ে এল। মনে হলো, কত দিন পর সেই নামগুলো শোনা যাচ্ছে আর এক একটা চেহারা ভেসে উঠছে চোখের সামনে, অথচ সময়ের ব্যবধানে হয়তো সেই মুখগুলো এমনভাবে পরিবর্তন করে দিয়েছে, যে সামনাসামনি দেখা হলেও তাদের অনেককেই চিনতে পারব না।

newyorkমুখোশহীন অবয়ব এবং মনের সুখে গান

গতবার যখন এসেছিলাম নিউইয়র্কে, তখনো করোনার ভয় ছিল মানুষের মনে। তখনো পাবলিক ট্রান্সপোর্টে মাস্ক ছাড়া ওঠা যেত না। দোকানে ঢুকতে হলেও মাস্কের প্রয়োজনীয়তা ছিল। এবার সে ভয় নেই। যত্রতত্র মাস্কহীন চলাচল। খাবার-দাবারের জন্য আমাদের প্রিয় দোকান কি-ফুডে ঢুকলাম মাস্ক ছাড়াই। বিশাল সেই দোকানটা একাই একটা মার্কেটের সমান। থরে থরে সাজানো খাবারদাবার। ফলমূল। মরিচ-পেঁয়াজ। রুটি-মাখন। কাচা, আধা রান্না করা, খাওয়ার উপযোগী কত না খাবার সেখানে।

সেখানেই দেখলাম এক বৃদ্ধা এসেছেন মাস্ক পরে। তিনি হয়তো এখনো বিশ্বাস করতে পারছেন না, করোনা আর নেই। তাঁকে দেখেই মনে পড়ল, করোনাকালে বিমানযাত্রার সময় করোনার টেস্ট ছিল কী ভয়ংকর। শীতের মধ্যে হাসপাতালের সামনে ঘণ্টা, দুই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে করোনার টেস্ট করাতে হতো। সময়মতো সেই টেস্টের ফল না এলে বিমানে ওঠা যেত না। একবার সময়মতো আসেনি বলে আমাকে ফিরে আসতে হয়েছিল। পরে আরো ৩০০ ডলার গচ্চা দিয়ে তিন দিন পরের টিকিট জোগাড় করতে হয়েছিল। নতুন করে লাইনে দাঁড়িয়ে করোনা টেস্ট করাতে হয়েছিল। সে যে কী এক সময় পার করতে হয়েছে!

মাস্ক কখনো কখনো নিরাপদ রাখে শরীর। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক হলেই কেবল মনে হয়, কেন এই বাড়াবাড়ি!

এখন চারদিকে মাস্কবিহীন মানুষের চলাচল দেখে বোঝারই উপায় নেই, কী এক সময় পার করেছিল পৃথিবী!

কাল শনিবার সাবওয়ে থেকে নেমে বাসের জন্য অপেক্ষা করার সময় এক নারীকে দেখলাম মুখে মাস্ক দিয়ে রেখেছেন। কিউ ৪৩ বাস এলে আমরা একেবারে পেছন দিকে গিয়ে বসলাম। আমাদের পেছনে বসলেন সেই নারী। বয়স আনুমানিক ৫০। কিছু বেশিও হতে পারে। চেহারা দেখে মনে হলো লাতিন আর আফ্রিকান মিশ্রণ। বাস চলা শুরু করলে তিনি মাস্ক খুললেন। রং করা চুলগুলো ঝুঁটি করে বাঁধলেন। তারপর মোবাইল ফোনে গান ছাড়লেন এবং দুচোখ বন্ধ করে মনের সুখে গাইতে লাগলেন গান। সেই গান অন্য কাউকে অস্বস্তিতে ফেলছে কি না, সেদিকে নজরই দিলেন না। আমাদের অবশ্য ভালোই লাগছিল। একঘেয়ে জীবনে মাঝে মাঝে এ রকম ঘটনা মনকে শান্ত করে।

কিন্তু সেই শান্তি একটু পরই উধাও হলো।  বাসের সামনের দিক থেকেও ভেসে আসতে শুরু করল আরেক নারীর কণ্ঠনিসৃত গান। গানটি কর্কশ। বোঝাই যাচ্ছিল, গোটা দুনিয়াকে তাচ্ছিল্য করে গাইছেন তিনি। এই নারীর বয়স আরো বেশি। জীবনসংগ্রামের চিহ্ন তাঁর চোখে-মুখে। কেউ প্রতিবাদ করছে না। সবাই জানে, প্রতিবাদে কাজ হবে না। যে কষ্ট আর বঞ্চনার বহিঃপ্রকাশ ঘটছে গানে, তাতে নিষেধ করা হেল বারুদে আগুন দেওয়া হবে।

আমরা যে স্টেশনে বাস থেকে নামলাম, এই গায়িকাও সেখানেই নামলেন। তারপর আরেকটু এগিয়ে অন্য এক বাসস্টেশনে দাঁড়িয়ে চিৎকার করতে লাগলেন। যেন হাজার মানুষের জনসভায় বক্তৃতা দিচ্ছেন। বিষয়টিতকে হাস্যকর ভাবলে এক রকম, কষ্টের ভাবলে আরেক রকম।

আমার বুক থেকে দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এল।

মাঠের বাতাসে কীসের গন্ধ?

newyork03ব্র্যাডক অ্যাভিনিউতে যে পার্কটি আছে, সেটায় হাঁটতে যাই। ঘণ্টাখানেক হাঁটলে শরীর ঝরঝরে হয়ে ওঠে। সেদিনও গেছি হাঁটতে। মাঠে কেউ নেই। শুধু একপাশে এক বেঞ্চিতে বসে আছে এক তরুণী আর এক তরুণ। তাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে এক তরুণ। তাদের সামনে দিয়ে হেঁটে আসার সময় দেখলাম, বসে থাকা তরুণটি দাঁড়িয়ে থাকা তরুণের হাতে ধরিয়ে দিল তার হাতে থাকা সিগারেটটি। সিগারেটে টান দিয়ে যখন ধোঁয়া ছাড়ল সেই তরুণ, আমি টের পেলাম, এই গন্ধ আমি চিনি। ইদানীং ঢাকা শহরের বিভিন্ন রাস্তায় এই গন্ধ পাওয়া যায়। বিশেষ করে ধানমন্ডি লেকের আশপাশে পরিচিত এই গন্ধ।

হ্যাঁ, গাঁজার গন্ধ।

ব্র্যাডক অ্যাভিনিউর পার্কটার বেঞ্চিতে বসে গাঁজা টেনে চলেছে তিন তরুণ-তরুণী।

এতে অবশ্য অবাক হওয়ার কিছু নেই। নিউইয়র্ক শহরে এখন গাঁজা কোনো নিষিদ্ধ বন্তু নয়। ক্যানাবিস, মারিউয়ানা, পট কিংবা গাঁজা যে নামেই ডাকা হোক না কেন, এই নেশায় এখন নিষেধাজ্ঞা নেই। আইনগতভাবেই গাঁজার বিক্রি এখন বৈধ, সুতরাং সিগারেটের মতো গাঁজায় দম দেওয়া এই শহরে স্বাভাবিক ব্যাপার।

গাঁজাকে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য কিছুদিন আগে নিউইয়র্কে গাঁজা উৎসবও হয়েছে। বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, আগামী ৬ মে নিউইয়র্ক ক্যানাবিস প্যারেড হবে ম্যানহাটনে। ব্রডওয়েতে বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত হবে ক্যানাবিস মেলা।

নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলি এই সিনেটে রিক্রিয়েশনাল মারিউয়ানা বিক্রি ও সেবন বিল পাশ হয়েছিল ২০২১ সালে। একসঙ্গে তিন আউন্স গাঁজা ব্যবহারের জন্য যে কেউ কাছে রাখতে পারবে, এটাই ছিল আইন। তবে গাঁজা সেবনের জন্য বয়স হতে হবে অন্তত ২১।

গাঁজা বিক্রি থেকে যে রাজস্ব আয় হবে, তা মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো। প্রথম বছরে নিউইয়র্ক স্টেট ক্যানাবিস বিক্রি থেকে রাজস্ব পাবে ১.২ বিলিয়ন ডলার। ৪ থেকে ৫ বছরের মধ্যে এই আয় বেড়ে দাঁড়াবে ৪ বিলিয়ন ডলার। ভাবা যায়!

আবহাওয়া

সকালের দিকে রোদ ওঠার পর বাইরে বের হলে হালকা জামার ওপর হালকা সোয়েটার জড়ালেই চলে। কিন্তু দিন যত বিকেলের দিকে গড়ায়, ততোই বাতাসে ভর করে শীত এসে জাঁকিয়ে বসে নিউইয়র্ক শহরে। এ সময় বীরত্ব দেখিয়ে সোয়েটারের ওপর ভরসা করলেই মুশকিল। শীতে দাঁতকপাটি লেগে গেলে কাউকে দোষ দেওয়া যাবে না।

সোভিয়েত ইউনিয়নের রাশিয়ায় বসবাস করেছি ১০ বছর। শীতের নাড়ি-নক্ষত্রের খোঁজ নিয়েছিলাম এবং তা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার উপায় শিখেছিলাম সেখানেই। একটা কথা কখনই ভুলি না। খুব বেশি শীত পড়লে শরীরের তিনটি স্থান সুরক্ষিত রাখতে হয়। মাথা-বুক-পা। এই তিন জায়গায় ভারী কাপড় থাকলে শীতের বাবার সাধ্য নেই কাউকে কাবু করে ফেলবে।

এখানে, এই নিউইয়র্কেও সেই সত্য মেনে চলি। জানি, হঠাৎ করে আসা ঠান্ডা বাতাস কতটা নিস্তেজ করে দিতে পারে শরীর।

হুমায়ূন আহমেদ তাঁর লেখায় নিউইয়র্কের নীল আকাশ নিয়ে লিখেছেন। তিনি ভুল লেখেননি। এখানকার আকাশটা সত্যিই অদ্ভুত সুন্দর। এই এপ্রিলের শেষে ঋতু পরিবর্তনের তোড়জোড়ের মধ্যে নীল আকাশে সাদা মেঘ এমনভাবে ছড়িয়ে আছে, যেন মনে হচ্ছে শিল্পীর তুলিতে আঁকা কোনো ছবি। সে তেলরং হতে পারে, জলরংও হতে পারে, অ্যাক্রিলিকের ছোঁয়া থাকলেও ক্ষতি নেই।

আমরা এই শহরে ঘুরতে আসা মানুষরা যেভাবে এই আকাশ দেখি, নিউইয়র্কবাসী কি সেভাবে দেখে? এই প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই। কাউকে ভরসা করে জিজ্ঞেস করতেও ইচ্ছে করে না। কে জানে, যদি ভেবে বসেন, এত ‘আজাইরা’ ভাবনারও সময় আছে আমার!

কুইনস ভিলেজের সারি সারি বাড়ির মাঝ দিয়ে তৈরি রাস্তাগুলোয় হাঁটতে ভালো লাগে। কাল দুপুরে যখন হাঁটতে বের হলাম, তখন মনে হলো এ যেন এক মৃত শহর। বাড়িগুলোর ভেতরে নিশ্চয়ই মানুষ আছে, কিন্তু তাদের কারো দেখা নেই রাস্তায়। দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার সময় একজন মানুষও চোখে পড়ল না। রাস্তায় সারি সারি গাড়ি অলসভাবে দাঁড়িয়ে আছে। বহুক্ষণ সময় পার করে কোনো গাড়ি পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে। ওটুকুতেই বোঝা যায়, শহরটা মৃত নয়।

newyork02জ্যামাইকা অ্যাভিনিউ পর্যন্ত গিয়ে ডলার শপ আর টিডি ব্যাংক পার হয়ে কি-ফুডে ঢুকলাম কিছুক্ষণের জন্য। সেখানে অদ্ভুত রঙের একটি মাছ আমার দৃষ্টি কেড়ে নিল। মাছ যে এ রকম সাজুগুজু করে বিক্রির জন্য হাজির হতে পারে, তা আমার জানা ছিল না। আর সেই সাজগোজ মোটেই কৃত্রিম নয়, একেবারে প্রাকৃতিক। একবার ভাবলাম, কিনে ফেলি মাছ। কিন্তু তখনই মনে পড়ল, ফ্রিজে রাখা খাবারের একটা হিল্লে না হওয়া পর্যন্ত অযথা টাকা খরচ করা বারন।

২১৩ নম্বর স্ট্রিট দিয়ে ফিরে আসার পথে হাতের বাঁয়ে একটা বাড়ির নাম দেখে থমকে দাঁড়ালাম।

বাড়িটির নাম ‘ক্ষণিকা’। বাংলায় লেখা। আমি দাঁড়াতেই দরজা খুলে বেরিয়ে এলেন এক ভদ্রলোক। আমি তাঁর পরিচয় জানতে চাইলাম না। বাংলাতেই জিজ্ঞেস করলাম, ‘আপনি তো বাঙালি।’

হাসলেন ভদ্রলোক। বললেন, ‘হ্যাঁ, বাঙালি। আপনি কোনদিকে থাকেন, বেলরোজের দিকে?’

আমি যে পথ ধরে হেঁটে আসছিলাম, তার পেছন দিকটায় বেলরোজ পাড়া।

বললাম, ‘না, আমি আছি স্প্রিংফিল্ডের দিকে। আপনার বাড়ির নামটা সুন্দর।’

ভদ্রলোক হাসলেন। বিদায় নিয়ে যখন আবার পা বাড়িয়েছি রাস্তায়, তখনই কেবল মনে পড়ল, ভদ্রলোকের নামটাও তো জানা হলো না। কবে থেকে এখানে আছেন, বয়স কত, এখানেই থেকে গেলেন কেন—কত প্রশ্নই তো করা যেত। তা নিয়ে লেখা যেত একটা ফিচার। কিন্তু সেটা সময়মতো মনে পড়ল না। বহমান জীবনে কত কিছুই তো ঘটে যায়, কত কিছু মনোযোগ পায়, আবার কত কিছুই তো বিনা মনোযোগে চলে যায় দূরে। একসময় অদৃশ্য হয়ে যায় জীবন থেকে। এই যে নিউইয়র্কের কুইনস ভিলেজে একটি বাড়ির নাম বাংলায় ‘ক্ষণিকা’ হয়ে রয়েছে, তার ইতিহাস কি আর জানা হবে কখনো? আমি নিজেই কি দ্বিতীয়বারের মতো এই বাড়ির কাছে যাব আর?

উত্তর মেলে না।

শুধু মনে হয়, ‘ক্ষণিকা’ নামটিই তো বুঝিয়ে দিচ্ছে, খুব স্বল্প সময়ের জন্যই আমাদের এই চলাফেরা। খুব অল্প সময়ের গল্পগুলোই বেঁচে থাকে মনে। তাই ক্ষণিকা বা ক্ষণিকের এই হৃদয়ে দোলা দেওয়া ঘটনারও একটা মানে থেকে যায়।

আরে! দেখ দেখি কাণ্ড! ভদ্রলোকের অনুমতি নিয়ে বাড়ির নামসহ একটা ছবি ত্র তুলতে পারতাম। সেটাও হলো না! পথে আরেকটু এগোতেই এক মহাজ্ঞানী কাঠবেড়ালি লেজতুলে যখন পালাচ্ছিল, তখন তার পায়ের শব্দে উড়ে গেল কয়েকটি পাখি। আকাশে ভাসতে থাকা পাখিগুলোকে দেখে হঠাৎ করেই মনে ভেসে উঠল গানটি, ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়…।’ কেন ভেসে উঠল, কে জানে!

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

বকশীগঞ্জের ‘বটগাছ’খ্যাত বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদারের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এই ডিসেম্বরে যা কিছু করতে পারেন

ফারিয়া রহমান খান 
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ২৯
ছবি: পেক্সেলস
ছবি: পেক্সেলস

ডিসেম্বর মানেই অন্য রকম অনুভূতি। একদিকে বছর শেষের সব হিসাবনিকাশ, নতুন বছরের আগমনী বার্তা; অন্যদিকে বিজয়ের আনন্দ আর পিঠা-পার্বণের আমেজ। সব মিলিয়ে এই মাসটি যেন সত্যিই বিশেষ। ডিসেম্বরে, বছরের শেষ সময়গুলো কীভাবে একটু অর্থবহ করা যায়, তা জেনে নিন।

উদ্দেশ্য স্থির করুন

নতুন বছরে আপনি কী কী করতে চান, তা এখনই ভেবে ফেলুন। একটু স্থির হয়ে বসে খাতা-কলমে লিখে আপনার নতুন বছরের উদ্দেশ্য স্থির করে নিন। লিখে রাখলে তা বিভিন্নভাবে উদ্দেশ্য পূরণে সহায়তা করবে।

ঘর সাজান

পুরোনো বছরকে সুন্দর করে বিদায় দিতেই হোক বা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে—ঘর সাজান সুন্দর করে। কিছু ওয়ার্ম লাইট ও জানালা বা টেবিলে কিছু গাছ রেখে ঘরে দিন একটু উষ্ণতার ছোঁয়া। সঙ্গে পুরোনো অপ্রয়োজনীয় জিনিস অন্য কাউকে দিয়ে দিন। দেখবেন বাসায় একটা শান্ত ও পরিচ্ছন্ন ভাব আসবে।

পিঠা-পার্বণের আমেজ ও আড্ডা

পিঠা সংস্কৃতির অংশ। তাই ঐতিহ্য ধরে রাখাতে পরিবার ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে সময় করে একদিন বিভিন্ন রকম পিঠা বানাতে পারেন। বড় আয়োজন নয়, বরং চা-বিস্কুট আর পিঠা নিয়ে একটি ঘরোয়া আড্ডা জমান। পুরোনো দিনের স্মৃতিচারণা করুন। দেখবেন, মন থেকে অনেকখানি ভার নেমে গেছে।

বই পড়ুন

ডিসেম্বরের আবহাওয়া বই পড়ার জন্য উপযুক্ত। ছুটির দিনে দুপুরগুলো কাজে লাগান। গায়ে হালকা কাঁথা জড়িয়ে একটা অলস দুপুর বই পড়ে দেখুন। অথবা একটা ভালো উপন্যাস নিয়ে শীতের মিষ্টি রোদে বসে পড়ুন। সঙ্গে রাখুন এক কাপ চা। দেখবেন, খুব ভালো লাগবে।

নিজেকে সময় দিন

বছরের এই শেষ সময় এসেও নিজের জন্য সময় বের করুন। নিজের যত্ন নিন, নিজেকে নিজেই কিছু উপহার দিন। দেখবেন নিজেকে মূল্যবান ও যোগ্য মনে হবে। তা ছাড়া কাউকে কিছু উপহার দিতে চাইলেও দিতে পারেন। সেটাও কিন্তু নিজেকে সময় দেওয়ার কাজ করবে।

ছবি: পেক্সেলস
ছবি: পেক্সেলস

স্থানীয় উদ্যোক্তাদের সহায়তা করুন

শীতকালে অনেক জায়গায় পিঠা মেলা বা হস্তশিল্প মেলা বসে। এই মেলাগুলোতে ঘুরে বেড়ান। উৎসবের কেনাকাটায় বড় শপিং মল এড়িয়ে স্থানীয় কারিগরদের কাছ থেকে কিছু কিনুন এবং শীতের খাবার চেখে দেখুন। এতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা উপকৃত হবেন। মনে রাখবেন, উদ্যোক্তাদের সহায়তা না করলে তারা বড় হতে পারবে না। তাদের বড় করতে সহায়তা করাও একটা উদ্যোগ বটে।

সহায়তার হাত বাড়ান

শীতকালে অসহায় মানুষদের কষ্ট কমাতে গরম কাপড় ও কম্বল দান করুন। ছোট ছোট কাজ করে অন্যের মুখে হাসি ফোটান; যেমন কাউকে চা বা কফি খাওয়ান, বাসে বয়স্ক কারও জন্য আসন ছেড়ে দিন, কাউকে রাস্তা পার করিয়ে দিন। ছোট একটি মানবিক কাজ আপনার জীবনকে অর্থবহ করে তুলবে।

ছবি: পেক্সেলস
ছবি: পেক্সেলস

বছরের প্রতিফলন

পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে বসে অথবা একা বসে এই বছর কী কী ভালো ও খারাপ হয়েছে, তা নিয়ে ভাবুন। কী কী ভুল করেছেন, সেগুলো ভেবে দেখুন। সামনের বছরগুলোতে এসব ভুল যেন না হয়, সে জন্য সতর্ক হোন। এই বছর যা কিছু ইতিবাচক হয়েছে, সেগুলো একটি ডায়েরিতে লিখে সৃষ্টিকর্তাকে কৃতজ্ঞতা জানান। কারও সঙ্গে মনোমালিন্য হয়ে থাকলে তা মিটিয়ে নিন। অযথা মনে রাগ পুষে রেখে নিজেকে কষ্ট দেবেন না।

পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করুন

পুরোনো বন্ধুরা আসলে মানুষের ব্রিদিং স্পেস বা নিশ্বাস ফেলার জায়গা। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। সবার সঙ্গে সম্ভব না হলেও যাঁদের বা যাঁর সঙ্গে সম্ভব, তাঁদের বা তাঁর সঙ্গে দেখা করে কিছু সময় কাটিয়ে আসুন। মন খুলে হাসুন। স্মৃতিচারণা করুন। অন্তত এক বেলা একসঙ্গে বসে খেয়ে ফেলুন মনের মতো কোনো খাবার। দেখবেন নতুন বছর অন্য রকমভাবে শুরু হবে।

সূত্র: ক্যামিলিস্টাইল ও অন্যান্য

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

বকশীগঞ্জের ‘বটগাছ’খ্যাত বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদারের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শীতের রোদে ত্বক পুড়েছে? গোসলের সময় এই প্যাকগুলো ব্যবহারে মিলবে উপকার

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
দীর্ঘক্ষণ রোদে বসে থাকলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিতে পাতলা ত্বকের মানুষদের ত্বক দ্রুত পুড়ে যায়। ফলে গায়ের রং তামাটে হয়ে যায়। প্রতীকী ছবি: পেক্সেলস
দীর্ঘক্ষণ রোদে বসে থাকলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিতে পাতলা ত্বকের মানুষদের ত্বক দ্রুত পুড়ে যায়। ফলে গায়ের রং তামাটে হয়ে যায়। প্রতীকী ছবি: পেক্সেলস

বলতে দ্বিধা নেই, গরমের দিনে রোদ গায়ে লাগিয়ে ভিটামিন ডি নেওয়ার কথা ভুলে গেলেও শীতে যেন তা বেশি বেশি মনে পড়ে। হিম সকালে রোদ গায়ে মাখতে কারো মন্দ লাগে না। ফলে এই মৌসুমে গায়ে রোদ লাগানোও হয় বেশি। আর এতে অতিরিক্ত পাতলা ত্বকের মানুষেরা একটু ঝামেলায় পড়েন। দীর্ঘক্ষণ রোদে বসে থাকলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিতে পাতলা ত্বকের মানুষদের ত্বক দ্রুত পুড়ে যায়। ফলে গায়ের রং তামাটে হয়ে যায়। তাই এ সময় নিয়মিত যাঁরা রোদ পোহাচ্ছেন, তাঁদের ত্বক যদি এ রকম রোদে পুড়ে তামাটে হয়ে যায়, তাঁরা গোসলের সময় কিছু ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। তাতে সুবিধা পাবেন।

লেবুর রস, মধু ও গোলাপজলের ফেসপ্যাক

লেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। অন্যদিকে মধু ত্বক আর্দ্র রাখে, যা শীতকালের রুক্ষ আবহাওয়ায় জরুরি। ১ চা-চামচ করে লেবুর রস, শসার রস, মধুর সঙ্গে আধা চা-চামচ গোলাপজল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটি মুখে লাগিয়ে রাখুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তবে এই প্যাক ব্যবহার করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরাসরি রোদে না বের হওয়াই ভালো। বের হলেও ছাতা ব্যবহার করুন।

দই, বেসন ও হলুদের ফেসপ্যাক

এই প্যাক একই সঙ্গে ট্যান দূর করতে, মৃত কোষ ঝরাতে এবং ত্বক উজ্জ্বল করতে খুব ভালো কাজ করে। ২ চা-চামচ টক দই, ১ চা-চামচ বেসন, এক চিমটি হলুদবাটা মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাক মুখে ও গলায় ভালো করে লাগিয়ে নিন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখুন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। প্রয়োজনে এই প্যাক শরীরের অন্য অংশের রোদে পোড়া দাগের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে।

লেবুর রস ও চিনির মিশ্রণ

ঘরে বসে ট্যান অপসারণের জন্য ফেসপ্যাকে যোগ করতে পারেন লেবুর রস। প্রাকৃতিক ব্লিচিং ক্ষমতার কারণে এটি ত্বকের যেকোনো দাগ দূর করতে খুব ভালো কাজ করে। এ ছাড়া এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ত্বকের দূষণ দূরে সহায়ক। সানট্যান দূর করতে লেবুর রস মধু বা চিনির সঙ্গে মিশিয়ে আক্রান্ত জায়গাগুলোয় স্ক্র‍্যাব করুন। ১৫ মিনিট আলতো করে ঘষে ধুয়ে নিন। তবে লেবু মিশ্রিত প্যাক বা স্ক্র‍্যাব ত্বকে ব্যবহার করলে ধোয়ার পর অবশ্যই ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। নয়তো ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে উঠতে পারে।

আলুর রস ও মুলতানি মাটির ফেসপ্যাক

আলুর রসে মৃদু ব্লিচিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা সানট্যান হালকা করতে পারে। অন্যদিকে মুলতানি মাটি ত্বক পরিষ্কার করে। ২ চা-চামচ আলুর রস, ১ চা-চামচ মুলতানি মাটি, অল্প পরিমাণে গোলাপজল বা পানি মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাক মুখে লাগান এবং ২০ মিনিট বা পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে পানি ও স্ক্র‍্যাবার দিয়ে ম্যাসাজ করে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।

নারকেলের দুধেও মিলবে উপকার

ট্যান দূর করার পাশাপাশি নারকেল দুধ ত্বকের অন্যান্য উপকারও করে। মুখ ও হাতে ট্যান পড়ে থাকলে নারকেলের দুধকেই সমাধান হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। রোদে পোড়া ত্বকে তাজা নারকেল দুধ লাগিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। এরপর ধুয়ে নিন। ত্বক ধীরে ধীরে উজ্জ্বলতা ছড়াবে।

শসা ও লেবুর রসের মিশ্রণ

শসা ত্বক আর্দ্র রাখে এবং পোড়া ত্বকে আরাম দেয়। অন্যদিকে লেবুর রস ত্বকের রং হালকা করতে সহায়ক। শসা দিয়ে মুখ, ঘাড় ও হাতের ট্যান দূর করার ভালো উপায় হলো, খোসা ছাড়িয়ে থেঁতো করে রস বের করে নিয়ে তাতে সমপরিমাণ লেবুর রস মিশিয়ে তুলার বল দিয়ে সেই রস আক্রান্ত জায়গায় লাগানো। এরপর সেই রস ত্বকে পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।

সূত্র: ফেমিনা ও অন্যান্য

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

বকশীগঞ্জের ‘বটগাছ’খ্যাত বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদারের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৫৫
আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

মেষ

আজ এক প্রকার ‘অটো-মোডে’ থাকবেন। সকালে উঠেই মনে হবে, ‘আমি কি ঘুমিয়েও কাজ করে ফেলতে পারি?’ বসের সামনে আপনার একটি ভুল আইডিয়া আজ এমনভাবে হিট করবে যে তিনি ভাববেন, আপনি হয়তো রাতের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোনো বিশ্বমানের কোর্স করেছেন। সাবধান; পুরোনো প্রেমিকার হঠাৎ ফোন আসতে পারে। ফোনটা ধরবেন নাকি বলবেন ‘নেটওয়ার্কের বাইরে আছি’, সেটা আপনার কর্মফল! প্রেমের ক্ষেত্রে বিরক্তি বা অনাগ্রহ না দেখানোই ভালো।

বৃষ

আজ আপনার ব্যাংক ব্যালেন্সের দিকে নজর দিতে হবে। না, অর্থ আসবে না; বরং অর্থ যাওয়ার পথ তৈরি হবে! বিশেষত অনলাইন শপিংয়ের দিকে মন ঝুঁকতে পারে। এমন কিছু অর্ডার করে ফেলবেন, যেটা হাতে আসার পর মনে হবে—‘এটার আসল প্রয়োজন কী ছিল?’ স্ত্রীর কাছ থেকে উপহার চেয়ে বসলে এমন কিছু পাবেন, যা দেখে হাসবেন নাকি কাঁদবেন, তা ঠিক করতে পারবেন না। ফাস্ট ফুডের দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে নিন। একটু কম তেল-ঝাল খান, নইলে গ্যাসের চোটে মহাকাশে যাত্রা শুরু করতে পারেন।

মিথুন

মিথুন রাশির দ্বৈত সত্তা আজ দ্বিগুণ সক্রিয়। এক মন বলবে, ‘কাজটা করে ফেলি,’ আর অন্য মন বলবে, ‘আরে বাবা! নেটফ্লিক্সের সিরিজটা আগে শেষ করা যাক!’ এই দোটানার জন্য দিনের শেষে আপনার কাজও হবে না, আবার সিরিজটাও শেষও হবে না। কর্মক্ষেত্রে সহকর্মী আজ আপনার সাফল্যের গল্পে এত বেশি রং মেশাবেন যে আসল গল্পের চেয়ে সেটা শুনেই বসের বেশি হাসি পাবে। সন্ধ্যায় পরিচিত কাউকে এমন একটি উপদেশ দেবেন, যা আপনি নিজে জীবনে কখনো মেনে চলেননি।

কর্কট

কর্কট রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত ঘরকুনো হন। কিন্তু আজ গ্রহরা আপনাকে ঘরের বাইরে ঠেলে দেবে। অপ্রত্যাশিতভাবে বন্ধু বা আত্মীয়ের দল বাড়িতে এসে আপনার শান্তি ভঙ্গ করতে পারে। তাদের আপ্যায়ন করতে গিয়ে পকেটের দফারফা হবে। তবে চিন্তা নেই, এই বিড়ম্বনার মধ্যেই লুকিয়ে আছে ভবিষ্যতের কোনো শুভ ইঙ্গিত। প্রেমিক/প্রেমিকা আজ আপনাকে ‘ডায়েট কন্ট্রোল’ করতে বলবে। আপনি গোপনে লুকিয়ে ফ্রিজের দিকে এগোনোর সময় ধরা পড়তে পারেন।

সিংহ

সিংহ রাশি, আজ আপনার ব্যক্তিত্বের তেজ এতটা বেশি থাকবে যে ঘরে ঢুকে লাইট না জ্বাললেও চলবে। সবাই আজ আপনার কথা শুনতে চাইবে, কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো—আপনার বলার মতো বিশেষ কোনো কথা আজ থাকবে না। বসের চোখে পড়তে চাচ্ছেন? যান, একটু উল্টাপাল্টা কিছু করুন। আপনার ভুল করার স্টাইল দেখেও তারা মুগ্ধ হতে পারে। অপ্রয়োজনীয় জিনিসে প্রচুর টাকা খরচ হতে পারে, যেমন চতুর্থ কফির কাপ অথবা একটি লাল রঙের ক্যাপ যা আপনার মোটেই প্রয়োজন নেই।

কন্যা

আজ আপনার ভেতরের ‘পারফেকশনিস্ট’ সত্তাটি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাবে। সহকর্মীর ফাইলে সামান্য একটি বানান ভুল পেলেও এমন রিঅ্যাক্ট করবেন যেন তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অপরাধটি করে ফেলেছেন। এই বাড়তি খুঁতখুঁতে স্বভাবের জন্য কিছু মানুষ আপনাকে এড়িয়ে যেতে পারে। নিজেকে নিয়ে একটু হাসিঠাট্টা করুন। সবকিছু সিরিয়াসলি নেবেন না। যদি দেখেন জুতা উল্টো পরে ফেলেছেন, তা নিয়ে একটা সেলফি তুলে পোস্ট করে দিন! দেখবেন দিনটি হালকা হয়ে গেছে।

তুলা

গ্রহদের মতে, আজ আপনার ‘ব্যালেন্সিং অ্যাক্ট’ সফল হবে। তবে এই ব্যালেন্স কর্মক্ষেত্র বা ব্যক্তিগত জীবনে নয়, হবে আপনার ফ্রিজের খাবার আর আপনার ডায়েটের মধ্যে! আপনি দুই দিকেই সামঞ্জস্য রক্ষা করবেন; অর্থাৎ ডায়েটও ভাঙবেন, আবার রাতে আফসোসও করবেন। আজ আপনার সঙ্গী এমন একটি অদ্ভুত প্রশ্ন করতে পারে, যার উত্তর দিতে গিয়ে আপনার মাথা পুরোপুরি ঘুরে যাবে; যেমন ‘বিয়ে না হলে আমাদের জীবনটা কেমন হতো?’ শান্ত থাকুন এবং হাসতে শিখুন।

বৃশ্চিক

বৃশ্চিক, আপনার রহস্যময় স্বভাব আজ কারও কাছে ধরা পড়বে না। কারণ, নিজেই আজ আপনার রহস্য ভুলে যাবেন! পুরোনো একটি ভুলে যাওয়া ঋণ বা পাওনা টাকা আজ হুট করে মনে পড়তে পারে। তবে যখন সেটি দাবি করতে যাবেন, তখন অন্য পক্ষ এমন এক গল্প শোনাবে যে আপনি উল্টো তাকেই সহানুভূতি দেখিয়ে টাকা দিয়ে আসতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে আজ এমন একজনের সঙ্গে দেখা হবে, যিনি আপনার চেয়েও বেশি গম্ভীর। দুজন মিলে এমন একটি হাসির মুহূর্ত তৈরি করবেন, যা কেউ কল্পনাও করেনি।

ধনু

ধনু রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন। কিন্তু আজকের অ্যাডভেঞ্চারটি হবে আলমারি গোছানো! ভাবতেও পারেননি, আপনার আলমারির ভেতরে এত অদ্ভুত জিনিস লুকিয়ে ছিল। পুরোনো প্রেমের চিঠি থেকে শুরু করে ছেঁড়া মোজা পর্যন্ত সবই পেয়ে যাবেন। যদি আজ কোথাও যাওয়ার প্ল্যান থাকে, তবে সাবধানে যান। মানিব্যাগটি ভুল করে রান্নাঘরে রেখে আসতে পারেন। এই ভুলে যাওয়াটাই আজ আপনার সবচেয়ে বড় কৌতুক হতে চলেছে।

মকর

মকর, আপনি সাধারণত খুব শৃঙ্খলাপরায়ণ। কিন্তু আজ গ্রহরা আপনাকে একটু ডিসকোয়ালিফাই করবে। দিনের শুরুতেই গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ের আগে মোবাইল ফোন খুঁজে পাবেন না। পরে দেখবেন, ফোনটি প্যান্টের পকেটেই ছিল। আপনার কঠোর পরিশ্রমের ফল আজ মিষ্টি হবে, তবে মিষ্টির সঙ্গে সামান্য তেতো অভিজ্ঞতাও আসতে পারে। বিনিয়োগের আগে দুবার চিন্তা করুন। এমন কাউকে বিশ্বাস করবেন না, যিনি আপনাকে ‘এক মাসে দ্বিগুণ লাভ’ করার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন।

কুম্ভ

কুম্ভ, আজ আপনার বুদ্ধি আকাশ ছুঁয়ে যাবে। এমন একটি সমস্যার সমাধান করবেন, যা কেউ ভাবতেও পারেনি। কিন্তু আফসোস! সেই সমস্যাটি হয়তো একেবারেই গুরুত্বহীন ছিল, যেমন ‘কে আগে রিমোট নেবে’ বা ‘চায়ের কাপের দাগটা কীভাবে তোলা যায়।’ বন্ধুদের মধ্যে কেউ আজ এমন একটি বড় দাবি করবে, যা শুনে আপনি প্রথমে অবাক হবেন, পরে হো হো করে হেসে উঠবেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করলে তাতে অপ্রত্যাশিতভাবে প্রচুর লাইক ও কমেন্ট পাবেন।

মীন

মীন রাশির জাতক-জাতিকারা স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন। আজ সেই স্বপ্নময় জগৎটি আপনার কর্মক্ষেত্রে এসে পড়তে পারে। কাজের মধ্যে হঠাৎ কল্পনায় ডুবে যাবেন এবং বসকে ভুল করে অন্য কারও নাম ধরে ডেকে ফেলতে পারেন। প্রেমের ক্ষেত্রে আবেগপ্রবণতা আজ অতিরিক্ত বাড়বে। নিজের হাতে লেখা একটি কবিতা বা চিঠি প্রিয়জনকে দিলে তারা হয়তো হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়বে। কারণ, আবেগ দেখানোর জন্য আপনার শব্দচয়ন হয়তো আজ খুব একটা সিরিয়াস হবে না। তবে মনে রাখবেন, হাসিই সম্পর্কের সেরা মসলা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

বকশীগঞ্জের ‘বটগাছ’খ্যাত বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদারের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শীতকালে কলা খাবেন কি না

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ২৭
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ কলাকে স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে সব ঋতুতে খাওয়ার সুপারিশ করেছে। ছবি: ফ্রিপিক
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ কলাকে স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে সব ঋতুতে খাওয়ার সুপারিশ করেছে। ছবি: ফ্রিপিক

শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।

কিন্তু এ বিষয়টি নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রচুর গবেষণা হয়েছে। সেগুলোতে শীতকালে কলা খাওয়ার ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। তাই বলাই যায়, শীতকালে কলা খাওয়া নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর। তবে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, খাবার খাওয়া এবং তা থেকে শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে ব্যক্তিগত সংবেদনশীলতা থেকে। যেসব খাবারে অ্যালার্জি আছে, সেসব খাবার না খাওয়া ভালো। তাতে শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ কলাকে স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে সব ঋতুতে খাওয়ার সুপারিশ করেছে। এ ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দিনে কলাসহ ৪০০ গ্রাম ফল ও সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

কিছু প্রচলিত ভুল ধারণা এবং তার সঠিক বৈজ্ঞানিক তথ্য জেনে নিন।

শীতে কলার পুষ্টিগুণ বদলে যায়

এ ধারণা ঠিক নয়। কলার পুষ্টিগুণ অর্থাৎ পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬, আঁশ ইত্যাদি ঋতুভেদে একই থাকে। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন কলাকে একটি পুষ্টিকর স্ন্যাক্স বা হালকা নাশতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

শীতে কলার পুষ্টিগুণ বদলে যায়, এ ধারণা ঠিক নয়। ছবি: ফ্রিপিক
শীতে কলার পুষ্টিগুণ বদলে যায়, এ ধারণা ঠিক নয়। ছবি: ফ্রিপিক

হজমে সমস্যা ও সর্দি-কাশি

আমাদের দেশেই শুধু নয়, পৃথিবীতে এমন বহু মানুষ আছেন যাঁরা বিশ্বাস করেন, কলা ঠান্ডা প্রকৃতির বলে শীতকালে খেলে সর্দি-কাশি বা হজমে সমস্যা করতে পারে। এটি আজ পর্যন্ত বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়নি। স্বাভাবিকভাবে যেকোনো ব্যক্তি শীতকালে কলা খেতে পারেন। বরং কলা দ্রুত শক্তি দেয় বলে শীতকালে এটি শরীরের উষ্ণতা বজায় রাখতে সহায়ক হতে পারে। তবে কলায় কারও অ্যালার্জি থাকলে খাওয়া ঠিক হবে না।

আয়ুর্বেদিক ধারণা

আয়ুর্বেদের মতো কিছু প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতি কলাকে ‘শীতল’ প্রকৃতির বলে বিবেচনা করে। সে জন্য রাতে বা শীতে বেশি পরিমাণে না খাওয়ার পরামর্শ দেয়। তবে এ পরামর্শ সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

বিশেষ পরিস্থিতিতে সতর্কতা

অ্যালার্জি ও কফ: যাঁদের কলায় অ্যালার্জি আছে এবং যাঁদের শীতকালে কফ জমে থাকা বা অ্যাজমার সমস্যা আছে, তাঁদের শীতকালে কলা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কলায় কোনো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া নেই। তবে যাঁদের আগে থেকে অ্যালার্জি বা অ্যাজমার সমস্যা আছে, তাঁদের অত্যধিক মিউকাস উৎপাদনে এটি কিছু ভূমিকা রাখতে পারে। সে জন্য যাঁদের আগে থেকে এসব সমস্যা আছে, তাঁদের শীতকালে কলা খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

ডায়াবেটিস: কলায় প্রাকৃতিক শর্করা থাকে, তাই ডায়াবেটিস রোগীদের এটি পরিমিত খাওয়া উচিত।

কলা কলা প্রাকৃতিক এনার্জি বার ও ইমিউনিটি বুস্টার হিসেবে পরিচিত। ছবি: ফ্রিপিক
কলা কলা প্রাকৃতিক এনার্জি বার ও ইমিউনিটি বুস্টার হিসেবে পরিচিত। ছবি: ফ্রিপিক

শীতকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা

কলা প্রাকৃতিক এনার্জি বার: কলায় থাকে ফ্রুকটোজ ও গ্লুকোজের মতো প্রাকৃতিক চিনি। এটি দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে, যা শীতকালে শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

ইমিউনিটি বুস্টার: ভিটামিন ‘সি’ এবং ‘বি৬’ রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় কলা। এতে শীতকালীন সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

সেরোটোনিন উৎপাদন: কলায় ট্রিপটোফ্যান নামে একটি অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে, যা মস্তিষ্কে সেরোটোনিন (মুড-রেগুলেটর) উৎপাদনে সাহায্য করে, শীতকালীন বিষণ্নতা মোকাবিলায় সহায়ক।

শীতকালে কলা খাওয়ার টিপস

রাতের বদলে সকাল বা দুপুরে খাওয়া ভালো। এ ছাড়া কলা বিভিন্ন জিনিসের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। যেমন ওটমিল ও দারুচিনির সঙ্গে কলা মিশিয়ে খেলে উষ্ণতা বাড়বে। কলার স্মুদির সঙ্গে আদা ও কাঁচা হলুদ যোগ করে খাওয়া যেতে পারে। সম্পূর্ণ পাকা কলায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বেশি থাকে। এ ধরনের কলা দিনে ১ থেকে ২টি খান।

শীতকালে কলা খাওয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর, যদি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য অবস্থা ও পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। তাই নিয়মিত কলা খেতে কোনো বৈজ্ঞানিক নিষেধ নেই। তবে অ্যাজমা, দীর্ঘস্থায়ী কফ, কিডনি রোগী ইত্যাদি সংবেদনশীল গ্রুপের মানুষেরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কলা খাবেন। এ ছাড়া কলাকে শীতের খাদ্যতালিকার একটি উপাদান হিসেবে দেখুন, একমাত্র উৎস হিসেবে নয়। অন্যান্য শীতকালীন ফলের সঙ্গে এর ভারসাম্য বজায় রাখুন।

তথ্যসূত্র

  • ইউএসডিএ জাতীয় পুষ্টি ডেটাবেইস: কলার পুষ্টি উপাদানের প্রামাণিক তথ্য
  • জার্নাল অব মেডিকেল ফুড (২০১৬)
  • আয়ুর্বেদিক ফারমাকোপিয়া অব ইন্ডিয়া (ভোল.১)
  • অন্যান্য
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

বকশীগঞ্জের ‘বটগাছ’খ্যাত বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদারের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত