ফিচার ডেস্ক
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো পর্যটনে বিনিয়োগ ও পর্যটকদের চমৎকৃত করতে চেষ্টার কমতি রাখছে না। সৌদি আরবের মতোই সংযুক্ত আরব আমিরাতও পর্যটনে বিনিয়োগ করছে দেদার। তারই ফলে মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাসে এই দেশটিতে প্রথম নির্মিত হতে চলেছে ডিজনি থিম পার্ক।
ওয়াল্ট ডিজনি এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় থিম পার্ক নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে। সেটিই তৈরি হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে। এর মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে প্রথমবার ডিজনির থিম পার্ক নির্মাণ হতে যাচ্ছে। ওয়াল্ট ডিজনির সঙ্গে এই প্রকল্পে রয়েছে স্থানীয় ডেভেলপার মিরাল গ্রুপ।
ডিজনি ওয়াটার ফ্রন্ট রিসোর্ট নামে এই থিম পার্কটি নির্মাণ হবে আবুধাবির ইয়াস আইল্যান্ডে। এটি সেখানকার জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র এবং আগে থেকেই সেখানে ওয়ার্নার ব্রোস ওয়ার্ল্ড, সি ওয়ার্ল্ড ইয়াস আইল্যান্ড এবং ইয়াস ওয়াটারওয়ার্ল্ড এর মতো থিম পার্ক রয়েছে।
আবুধাবির জনসংখ্যা প্রায় ২৫ লাখ হলেও ২০২৩ সালে ইয়াস আইল্যান্ডে প্রায় ৩ কোটি ৪০ লাখ পর্যটক ভ্রমণ করেছে। এ সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় ৩৮ শতাংশ বেশি।
ডিজনির এক্সপেরিয়েন্স ইউনিটের চেয়ারম্যান জশ ডি’আমারো রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আমরা সব সময়ই মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে আগ্রহী ছিলাম। এই অঞ্চলে ডিজনির গল্পগুলোকে নতুন ও তরুণ দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিতে চেয়েছি। এর জন্য আবুধাবি আমাদের জন্য আদর্শ জায়গা।’
আবুধাবিভিত্তিক লিজার ও এন্টারটেইনমেন্ট গ্রুপ মিরাল এই রিসোর্টটির অর্থায়ন, নির্মাণ এবং পরিচালনা করবে। ডিজনির থিম পার্ক ডিজাইনের দায়িত্বরতরা সৃজনশীল দিকনির্দেশনা ও পরিচালনার তত্ত্বাবধান করবে। ডিজনি পার্ক আয়ের ভিত্তিতে রয়্যালটি পাবে বলে জানানো হয়েছে।
ডিজনির সিইও বব আইগার জানান, থিম পার্কটি দুই ভাগে ডিজাইন করা হচ্ছে। একদিকে থাকবে ডিজনির সকল আয়োজন। আর অন্যদিকের ডিজাইন হবে আরব আমিরাতের সংস্কৃতির আদলে।
আবুধাবি তার তেল সম্পদের জন্য পরিচিত হলেও গত বছর তারা পর্যটন শিল্পের সম্প্রসারণে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক কেন্দ্র দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ২০২৬ সালের মধ্যে বছরে ১২ কোটি যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করছে।
ডিজনি এখনো পার্কের উদ্বোধনের তারিখ জানায়নি। তবে ডি’আমারো বলেছেন, এ ধরনের একটি প্রকল্প ডিজাইনে এক বা দুই বছর এবং নির্মাণে চার থেকে ছয় বছর সময় লাগতে পারে।
প্রকল্পটি শেষ হলে এই রিসোর্টে ডিজনি থিমযুক্ত বিভিন্ন আকর্ষণ, খাবার ও কেনাকাটার আয়োজন থাকবে। এটি ডিজনি এবং আবুধাবির ঐতিহ্যের সমন্বয়ে গঠিত হবে বলে জানান ডি’আমারো।
ডিজনির নতুন বিনিয়োগ পরিকল্পনা
২০১৬ সালের সাংহাই ডিজনিল্যান্ডের পর শুরু হলো আবুধাবিতে ডিজনির থিম পার্ক প্রকল্প। এটি ডিজনির এক্সপেরিয়েন্স ইউনিটকে আরও অগ্রসর করার পরিকল্পনারই একটি অংশ। এর আওতায় তাদের ছয়টি বৈশ্বিক থিম পার্ক রিসোর্ট, একটি ক্রুজ লাইন ও হাওয়াইয়ে একটি পারিবারিক রিসোর্ট রয়েছে।
২০২৩ সালে ডিজনি ঘোষণা দেয়, তারা আগামী দশকে ৬০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে তাদের থিম পার্ক ও ক্রুজ ব্যবসা সম্প্রসারণে। ডি’আমারো বলেন, ‘মিরাল প্রথমে ডিজনির সঙ্গে যোগাযোগ করে আবুধাবিকে একটি পর্যটন কেন্দ্রে রূপান্তর করার পরিকল্পনা নিয়ে। সেই আলোচনার প্রেক্ষিতে ডিজনি কর্মকর্তারা গত সেপ্টেম্বরে সম্ভাব্য থিম পার্ক সাইট পরিদর্শনে যান।’ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সেখানে আরেকবার ভ্রমণের পর তারা মূল আলোচনা শুরু করে যা পরবর্তীতে চুক্তিতে পরিণত হয়। তবে মিরালের বিনিয়োগের পরিমাণ প্রকাশ করা হয়নি।
মিরাল গ্রুপের সিইও মোহাম্মদ আবদাল্লা আল জা’বি বলেছেন, ‘ইয়াস আইল্যান্ডে ডিজনি থিম পার্কের সংযোজন একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। এটি দ্বীপটিকে একটি বৈশ্বিক বিনোদন গন্তব্যে রূপান্তর করার পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’
থিম পার্কে যা থাকবে
আবুধাবিতে নির্মাণাধীন ডিজনি থিম পার্কে থাকবে নানা ধরনের আকর্ষণ। সেগুলোর মধ্যে আছে জনপ্রিয় ডিজনি সিনেমার ওপর ভিত্তি করে তৈরি রোলার কোস্টার ও অ্যাডভেঞ্চার রাইড, লাইভ শো ও চরিত্রভিত্তিক প্যারেড, থিমভিত্তিক এলাকা, খাবার ও কেনাকাটার জন্য ডিজনি থিমযুক্ত রেস্তোরাঁ ও গিফট শপ এবং শিশুদের জন্য ডিজনির চরিত্রদের সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ।
থিম পার্কের সঙ্গে থাকতে পারে ডিজনি থিমযুক্ত হোটেল ও রিসোর্ট। যেখানে পরিবারসহ পর্যটকেরা পুরো অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন।
সূত্র: রয়টার্স
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো পর্যটনে বিনিয়োগ ও পর্যটকদের চমৎকৃত করতে চেষ্টার কমতি রাখছে না। সৌদি আরবের মতোই সংযুক্ত আরব আমিরাতও পর্যটনে বিনিয়োগ করছে দেদার। তারই ফলে মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাসে এই দেশটিতে প্রথম নির্মিত হতে চলেছে ডিজনি থিম পার্ক।
ওয়াল্ট ডিজনি এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় থিম পার্ক নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে। সেটিই তৈরি হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে। এর মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে প্রথমবার ডিজনির থিম পার্ক নির্মাণ হতে যাচ্ছে। ওয়াল্ট ডিজনির সঙ্গে এই প্রকল্পে রয়েছে স্থানীয় ডেভেলপার মিরাল গ্রুপ।
ডিজনি ওয়াটার ফ্রন্ট রিসোর্ট নামে এই থিম পার্কটি নির্মাণ হবে আবুধাবির ইয়াস আইল্যান্ডে। এটি সেখানকার জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র এবং আগে থেকেই সেখানে ওয়ার্নার ব্রোস ওয়ার্ল্ড, সি ওয়ার্ল্ড ইয়াস আইল্যান্ড এবং ইয়াস ওয়াটারওয়ার্ল্ড এর মতো থিম পার্ক রয়েছে।
আবুধাবির জনসংখ্যা প্রায় ২৫ লাখ হলেও ২০২৩ সালে ইয়াস আইল্যান্ডে প্রায় ৩ কোটি ৪০ লাখ পর্যটক ভ্রমণ করেছে। এ সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় ৩৮ শতাংশ বেশি।
ডিজনির এক্সপেরিয়েন্স ইউনিটের চেয়ারম্যান জশ ডি’আমারো রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আমরা সব সময়ই মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে আগ্রহী ছিলাম। এই অঞ্চলে ডিজনির গল্পগুলোকে নতুন ও তরুণ দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিতে চেয়েছি। এর জন্য আবুধাবি আমাদের জন্য আদর্শ জায়গা।’
আবুধাবিভিত্তিক লিজার ও এন্টারটেইনমেন্ট গ্রুপ মিরাল এই রিসোর্টটির অর্থায়ন, নির্মাণ এবং পরিচালনা করবে। ডিজনির থিম পার্ক ডিজাইনের দায়িত্বরতরা সৃজনশীল দিকনির্দেশনা ও পরিচালনার তত্ত্বাবধান করবে। ডিজনি পার্ক আয়ের ভিত্তিতে রয়্যালটি পাবে বলে জানানো হয়েছে।
ডিজনির সিইও বব আইগার জানান, থিম পার্কটি দুই ভাগে ডিজাইন করা হচ্ছে। একদিকে থাকবে ডিজনির সকল আয়োজন। আর অন্যদিকের ডিজাইন হবে আরব আমিরাতের সংস্কৃতির আদলে।
আবুধাবি তার তেল সম্পদের জন্য পরিচিত হলেও গত বছর তারা পর্যটন শিল্পের সম্প্রসারণে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক কেন্দ্র দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ২০২৬ সালের মধ্যে বছরে ১২ কোটি যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করছে।
ডিজনি এখনো পার্কের উদ্বোধনের তারিখ জানায়নি। তবে ডি’আমারো বলেছেন, এ ধরনের একটি প্রকল্প ডিজাইনে এক বা দুই বছর এবং নির্মাণে চার থেকে ছয় বছর সময় লাগতে পারে।
প্রকল্পটি শেষ হলে এই রিসোর্টে ডিজনি থিমযুক্ত বিভিন্ন আকর্ষণ, খাবার ও কেনাকাটার আয়োজন থাকবে। এটি ডিজনি এবং আবুধাবির ঐতিহ্যের সমন্বয়ে গঠিত হবে বলে জানান ডি’আমারো।
ডিজনির নতুন বিনিয়োগ পরিকল্পনা
২০১৬ সালের সাংহাই ডিজনিল্যান্ডের পর শুরু হলো আবুধাবিতে ডিজনির থিম পার্ক প্রকল্প। এটি ডিজনির এক্সপেরিয়েন্স ইউনিটকে আরও অগ্রসর করার পরিকল্পনারই একটি অংশ। এর আওতায় তাদের ছয়টি বৈশ্বিক থিম পার্ক রিসোর্ট, একটি ক্রুজ লাইন ও হাওয়াইয়ে একটি পারিবারিক রিসোর্ট রয়েছে।
২০২৩ সালে ডিজনি ঘোষণা দেয়, তারা আগামী দশকে ৬০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে তাদের থিম পার্ক ও ক্রুজ ব্যবসা সম্প্রসারণে। ডি’আমারো বলেন, ‘মিরাল প্রথমে ডিজনির সঙ্গে যোগাযোগ করে আবুধাবিকে একটি পর্যটন কেন্দ্রে রূপান্তর করার পরিকল্পনা নিয়ে। সেই আলোচনার প্রেক্ষিতে ডিজনি কর্মকর্তারা গত সেপ্টেম্বরে সম্ভাব্য থিম পার্ক সাইট পরিদর্শনে যান।’ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সেখানে আরেকবার ভ্রমণের পর তারা মূল আলোচনা শুরু করে যা পরবর্তীতে চুক্তিতে পরিণত হয়। তবে মিরালের বিনিয়োগের পরিমাণ প্রকাশ করা হয়নি।
মিরাল গ্রুপের সিইও মোহাম্মদ আবদাল্লা আল জা’বি বলেছেন, ‘ইয়াস আইল্যান্ডে ডিজনি থিম পার্কের সংযোজন একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। এটি দ্বীপটিকে একটি বৈশ্বিক বিনোদন গন্তব্যে রূপান্তর করার পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’
থিম পার্কে যা থাকবে
আবুধাবিতে নির্মাণাধীন ডিজনি থিম পার্কে থাকবে নানা ধরনের আকর্ষণ। সেগুলোর মধ্যে আছে জনপ্রিয় ডিজনি সিনেমার ওপর ভিত্তি করে তৈরি রোলার কোস্টার ও অ্যাডভেঞ্চার রাইড, লাইভ শো ও চরিত্রভিত্তিক প্যারেড, থিমভিত্তিক এলাকা, খাবার ও কেনাকাটার জন্য ডিজনি থিমযুক্ত রেস্তোরাঁ ও গিফট শপ এবং শিশুদের জন্য ডিজনির চরিত্রদের সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ।
থিম পার্কের সঙ্গে থাকতে পারে ডিজনি থিমযুক্ত হোটেল ও রিসোর্ট। যেখানে পরিবারসহ পর্যটকেরা পুরো অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন।
সূত্র: রয়টার্স
কোথাও নেই কোনো ইট-পাথরের রাস্তা। চারপাশে শুধু থইথই পানি। সেই পানির বুকেই গড়ে উঠেছে বসতি—পুরো একটি গ্রাম। ঘরবাড়ি, দোকানপাট, স্কুল, উপাসনালয়—সবই আছে সেই গ্রামে। কিন্তু পানির ওপর! মোটরগাড়ি নেই, নেই বাহারি মোটরবাইক। ফলে শব্দদূষণ নেই। আর নেই দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়ার বুকে অ
১১ ঘণ্টা আগে‘শক্ত মনের মানুষ’ বলে একটি কথা আমরা প্রায়ই শুনে থাকি। কিন্তু সেই মানুষের বৈশিষ্ট্য কী? আর করেই বা কী? খেয়াল করলে দেখবেন, সেই মানুষ সাফল্যে খুব বেশি উচ্ছ্বাস দেখায় না, ব্যর্থতায় কারও কাছে সহানুভূতি চায় না, শোকে কাতর হয় না, প্রায় সব দায়িত্ব নীরবে পালন করে, কোনো কাজে অজুহাত দেখায় না ইত্যাদি।
১২ ঘণ্টা আগেরোজ লিপস্টিক ব্যবহারের ফলে ঠোঁটের রং স্বাভাবিক গোলাপি থাকে না। লিপস্টিক ভালোভাবে না তুললে বা এটির মান ভালো না হলেও ঠোঁটের রং কালচে হয়ে যেতে পারে। ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করে একে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করতে কিছু ঘরোয়া টিপস মেনে চলতে পারেন। এতে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হবে। সেই সঙ্গে ঠোঁটে ফিরবে গোলাপি আভা।
১৩ ঘণ্টা আগেবাজারে এখন যেসব সবজি পাওয়া যাচ্ছে, তার মধ্য়ে পটোল আর ঢ্যাঁড়স বলতে গেলে দু-এক দিন পরপরই কিনছেন প্রায় সবাই। কিন্তু সব সময় কি এগুলোর ভাজা আর তরকারি খেতে ভালো লাগে? মাঝেমধ্যে একটু ভিন্ন কায়দায় রান্না করলে এসব সবজিও একঘেয়ে অবস্থা কাটিয়ে হয়ে উঠতে পারে মুখরোচক।
১৭ ঘণ্টা আগে