Ajker Patrika

ভুটানের আকর্ষণীয় ১০ ভ্রমণ গন্তব্য

ইশতিয়াক হাসান
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৪: ৫৩
ভুটানের আকর্ষণীয় ১০ ভ্রমণ গন্তব্য

আশ্চর্য সুন্দর পাহাড়, ঝিরঝির করে বয়ে চলা শীতল জলের নদী, পাহাড়চূড়ার বৌদ্ধমন্দির—সবকিছু মিলিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভুটানের মতো চমৎকার ভ্রমণ গন্তব্য আছে কমই।

ভুটানি রীতির বাড়ি-ঘরগুলোও নজর কাড়ে পর্যটকদের। লাল-সাদা রঙের কাঠের সামনের অংশ, ছোট জানালা, ঢালু ছাদ প্রতিটি বাড়ির। তেমনি মৌসুমে আপেল, কমলাসহ নানা ধরনের বাগানের সৌন্দর্যও উপভোগ করতে পারবেন। হরেক জাতের বন্যপ্রাণীর আবাসও দেশটিতে। আবহাওয়াও খুব আরামদায়ক। হবে না-ই বা কেন? এটি যে কার্বন নেগেটিভ কান্ট্রি (যে পরিমাণ কার্বন ছাড়ে, তার চেয়ে শোষণক্ষমতা বেশি)। ভুটানে অসাধারণ সুন্দর সব জায়গার মধ্যে আপাতত ১০টিকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি। 

১. থিম্পু

ভুটানের রাজধানী শহরটিতে দেখার মতো অনেক কিছুই আছে। পাহাড়চূড়ার বুদ্ধ পয়েন্টের বড় আকর্ষণ গৌতম বুদ্ধের বিশাল এক সোনালি মূর্তি। ২০০৬ সালে কাজ শুরু হলেও ১৬৯ ফুট উঁচু বুদ্ধ ভাস্কর্য এবং অন্যান্য মূর্তিসহ গোটা কমপ্লেক্সের উদ্বোধন হয় ২০১৫। কয়েকটা সিঁড়ি পেরিয়ে ভেতরে গিয়ে ছোট ছোট আরও অনেক বুদ্ধমূর্তির দেখা পাবেন।

বিভিন্ন তাকে সাজিয়ে রাখা। সঙ্গের গাইড যখন জানাবেন আট ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের এক লাখ এবং ১২ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের ২৫ হাজার ব্রোঞ্জের বুদ্ধ স্ট্যাচু আছে এখানে, তখন রীতিমতো চমকাবেন।

বিশাল চত্বর থেকে উপভোগ করবেন চারপাশের তুষারের টুপি পরা উঁচু সব পর্বতের রূপ। চত্বরে বেশ কিছু মাঝারি আকারের মূর্তি আছে। বুদ্ধ পয়েন্ট এখন থিম্পুর অঘোষিত প্রতীকে পরিণত হয়েছে। 

শহরের ভেতর দিয়ে এঁকেবেঁকে বয়ে চলা পাহাড়ি নদী চু মুগ্ধ করবে আপনাকে। শহর থেকে গাড়িতে চেপে মিনিট পনেরো-কুড়ি গেলে পৌঁছে যাবেন ‘জিগমে দরজি ন্যাশনাল পার্কে’। এই বনের আয়তন কম নয়, ৪ হাজার ৩১৬ বর্গকিলোমিটার। গোটা ভুটানের প্রায় ৯ ভাগের এক ভাগ। মোটামুটি ১ হাজার ৬০০ থেকে ৭ হাজার ১০০ মিটার উচ্চতার এলাকা আছে এর আওতায়। ট্র্যাকারদের স্বর্গরাজ্য জিগমে দর্জি জাতীয় উদ্যান, বিশেষ করে ইউরোপ-আমেরিকার প্রচুর ট্র্যাকার এই জঙ্গলে ঘুরে বেড়ান। বনে বাঘ ছাড়া মিলবে মেঘলা চিতা, মাস্ক ডিয়ার, বন্য কুকুর, হিমালয়ান কালো ভালুক, লাল পান্ডার মতো প্রাণীদের। হিমালয়ের তুষারছাওয়া উঁচু সব শৃঙ্গও পড়েছে এর সীমানায়। ভুটানের জাতীয় প্রাণী টাকিনও সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় এই জঙ্গলে। আধা গরু-আধা ছাগল বলতে পারেন এই জন্তুটিকে। অবশ্য এই প্রাণীকে সহজে দেখতে চাইলে যেতে পারেন থিম্পুর টাকিন রিজার্ভে। 

পারো বিমানবন্দরের রানওয়ে এবং পাশের পাহাড় দেখে চোখ জুড়াবে২. পারো

পারোর কথা বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হয় এর আশ্চর্য সুন্দর বিমানবন্দরটির কথা। প্লেন থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে আরামদায়ক, শীতল এক বাতাস আপনার শরীর জুড়িয়ে দেবে। রানওয়ের পরেই পাহাড়সারি মনটা ভালো করে দেবে। নেট ঘেঁটে যতটা জানতে পেরেছি, পারো শহরটা গড়ে উঠেছে বেশি দিন হয়নি, ১৯৮৫ সালে একটা মূল সড়ক দিয়ে এর শুরু। তখন এর দুই পাশে ছিল কেবল বর্ণিল সব দোকান। ধীরে ধীরে আরও দালানকোঠা হয়। 

ভুটানের জাতীয় জাদুঘর পারোতেই। পাহাড়ের ওপরে। মূল ভবনটি গোল, ঐতিহ্যবাহী লাল-সাদা এক দালান। তা জং নামে পরিচিত বহু পুরোনো এই বিল্ডিংটাকে ভুটানের তৃতীয় রাজা জিগমে দর্জি ওয়ানচুকের নির্দেশে ১৯৬৮ সালে সংস্কার করে জাদুঘরে রূপান্তর করা হয়। তা জং মানে হলো ওয়াচ টাওয়ার। সত্যি এখানে দাঁড়ালে নিচের পারো উপত্যকা নিমেষে চোখের সামনে চলে আসবে। তবে প্রথমে নজর যাবে দুটি জংয়ের দিকে। বেশি মশহুর রিনপাং জং। এটা একই সঙ্গে দুর্গ এবং বৌদ্ধমন্দির বা গুম্ফা। এখন পারোর প্রশাসনিক সদর দপ্তর। এখান থেকে সবুজ পারো উপত্যকায়, মাঝে মাঝে বর্ণিল সব ভুটানি বাড়ি-ঘর, ফসলের খেত চোখ জুড়িয়ে দেবে। 

শহরের বাইরের দিকটা কেমন মায়া মাখানো। বড় জায়গা নিয়ে কয়েকটা রিসোর্ট, ভুটানিদের ছোট ফার্ম হাউস, চাষ করা জমিগুলো দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। পারো শহর কেটে চলে গেছে ভুটানের বড় নদীগুলোর একটি পা চু। 

পাহাড়ের চাতালে ঝুলতে থাকা মনাস্ট্রি৩. টাইগার নেস্ট

ভুটানের নাম শুনলে কোন দৃশ্যটা সবার আগে মনের পর্দায় ভাসতে থাকে, বলুন তো? আমিই বলে দিচ্ছি, উঁচু পাহাড়ের চাতালে ঝুলতে থাকা অনিন্দ্যসুন্দর এক মনাস্ট্রি বা গুম্ফা। কথাটা আমার নিজের বেলায়ও খাটে। প্রথম যখন ভুটান ভ্রমণের কথা ভাবছিলাম, মাথায় ঘুরছিল টাইগার নেস্ট বা পারো টেকটসাংয়ের ছবিই। পারো শহর থেকে টাইগার নেস্টের নিচের পার্ক মতো জায়গাটিতে পৌঁছাতে মিনিট ২৫-৩০ লাগবে। ঢংঢং শব্দে কয়েকটা সেতু পেরোবেন পথে। এর মধ্যে একটা বেশ বড়। টাইগার নেস্ট বা ‘বাঘের বাসা’র মূল প্রবেশপথের বাইরে হরেক জাতের স্যুভেনির নিয়ে বসেন বিক্রেতারা। কতক দূর যেতেই মোটামুটি খোলামেলা, তবে একটু এবড়োখেবড়ো এক জমিতে অনেকগুলো ঘোড়া চড়তে দেখবেন। যাঁরা পাহাড় বাইতে সাহস করেন না, তাঁদের চূড়ায় পৌঁছে দেবে এই ঘোড়া। 

গাছপালাময় এক জায়গা থেকেই ট্রেকিং আর হাইকিংয়ের পথের শুরু। কয়েকটি বোর্ডে এই ট্রেইলে কী ধরনের পাখির দেখা মিলতে পারে তা ছবিসহ চিহ্নিত করা হয়েছে। টাইগার নেস্টে উঠতে হয় ঘোরানো-প্যাঁচানো অনেকটা পথ পেরিয়ে। গুম্ফাটা সাগর সমতল থেকে ৩১০০ মিটার উচ্চতায়!

আপনার নিশ্চয় জানতে ইচ্ছা করছে এর নাম টাইগার নেস্ট কেন? বাঘের বাসা আছে কি? ১৬৯২ সালে প্রথম তৈরি হয় এটি। কথিত আছে গুরু রিনপোচ একটা বাঘিনীর পিঠে চড়ে বৌদ্ধ ধর্ম বিস্তারের জন্য তিব্বত থেকে এখানে এসেছিলেন। তাই এমন নামকরণ। অপর একটি কিংবদন্তি বলছে, গুরু তাঁর এক অভিজাত ভক্তের পীড়াপীড়িতে তাঁকে বাঘিনী বানিয়ে পিঠে সওয়ার হয়ে ওঠেন উঁচু পাহাড়টিতে। ওই বাঘিনী নাকি উড়ে পেরিয়েছিল দূরত্বটা। 

চেলালা পাস৪. চেলালা পাস 

গাড়িতে করে যাওয়া যায় ভুটানের এমন সবচেয়ে উঁচু জায়গা চেলালা পাস। উচ্চতা ৩ হাজার ৯৮৮ মিটার। পাহাড়ি রাস্তাটা ভয়ানক আঁকাবাঁকা, বিপজ্জনক। অবশ্য ভুটানের চালকেরা সাধারণত গাড়ি চালান সতর্কতার সঙ্গে। কখনো কখনো দূরে পাহাড়ের গায়ে টাইগার নেস্টটের চেহারাও দেখবেন চেলালা পাসে যাওয়ার পথে। উচ্চতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভূপ্রকৃতিতে বৈচিত্র্য নজর কাড়বে। নতুন নতুন প্রজাতির গাছের সঙ্গে পরিচিত হবেন। শীতও বাড়বে। এখানে শীতে এত্তো বরফ পড়ে যে অনেক সময় এই পথ বন্ধ হয়ে যায়। রেসকিউ পার্টি এসে বরফ পরিষ্কার করলেই তবে গাড়ি চলে। এদিকে রাস্তা সরু। উল্টো পাশ থেকে গাড়ি আসে কি না, বুঝতে সতর্ক থাকতে হয়। 

চেলালায় পৌঁছে গাড়ি থেকে নামলেই মনে হবে ঠান্ডায় জমে যাচ্ছেন। পাহাড়ের ওপরের দোকান থেকে গরম-গরম পাকোরা, বেসনে চুবানো ফুলকপি খেয়ে উষ্ণতা খুঁজতে পারেন।

পাহাড়ে কিনারে দাঁড়াতেই হিমালয়ের তুষারঢাকা পর্বতমালাগুলো নজর কাড়বে। নিচে এক পাশে পারো ভ্যালি, আরেক পাশে হা ভ্যালি। ওপর থেকে এই উপত্যকার দৃশ্য দেখে চোখ জুড়াবে। 

দোচুলা পাসের মূল আকর্ষণ এখানকার স্তুপাগুলো৫. দোচুলা পাস 

থিম্পু থেকে পুনাখা যাওয়ার পথে পড়ে দোচুলা পাস। সাগর সমতল থেকে প্রায় ৩ হাজার ১০০ মিটার উচ্চতায় এটি। এখান থেকে হিমালয়ের উঁচু উঁচু বরফঢাকা চূড়াগুলো দেখা যায়। তবে শর্ত আছে একটা, আকাশ থাকতে হবে পরিষ্কার। এদের মধ্যে আছে ভুটানের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট মাসানগাংও। দোচুলা পাসের মূল আকর্ষণ এখানকার স্তুপাগুলো। সাদা-লালে মেশানো এখানকার ১০৮ স্তুপা দেখে চোখ জুড়াবে। বৌদ্ধভিক্ষুদের ধ্যানের জায়গা স্তুপা। এই স্তুপাগুলো বানানো হয় কুইন মাদার আসি দরজি ওয়াংমো ওয়ানচুকের নির্দেশে, ২০০৪ সালে। একটা গুম্ফাও আছে দোচুলায়। অবশ্য ভুটানে দেখা বিভিন্ন প্রাচীন, পুরোনো গুম্ফাগুলোর তুলনায় এটা নেহাত ছোট। 

জায়গাটি পড়েছে ভুটানের জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানের সীমানায়। চারপাশে তাই লম্বা লম্বা গাছের রাজত্ব। আশপাশে সাইপ্রেস, ওক ও বার্চ গাছের রাজত্ব। পার্কের সীমানায় হেঁটে বেড়ানোর কয়েকটি ট্রেইল আছে, বিশেষ করে রডোডেনড্রন ট্রেইলটা অনেক সুন্দর। ইন্টারনেট ঘেঁটে জানা, ভুটানের বড় দুটি জঙ্গল জিগমে দর্জি ও জিগমে সিঙ্গির মাঝে প্রাকৃতিক করিডর এই উদ্যান। তাই এখানে বাঘ, চিতা বাঘ আর লাল পান্ডার মতো দুর্লভ বন্য জন্তুর দেখা পাওয়া সম্ভব। তবে এর জন্য সময় ও ধৈর্য দুটোই চাই। 

 পুনাখার ঝুলন্ত সেতু৬. পুনাখা

দোচুলা পাসের পর পুনাখা যাওয়ার পথটা ভারি সুন্দর। ডান পাশে গা ঘেঁষেই উঠে গেছে পাহাড়। তাই তাকিয়ে বেশি কিছু দেখতে পাবেন না। তবে বাঁয়ে তাকালেই চোখ জুড়াবে। একটু দূরে গাছপালায় ঢাকা সবুজ পাহাড়, এখানে-সেখানে দৃষ্টিনন্দন সব বাড়িঘর। কিছুক্ষণ পর বেশ উঁচুতে কয়েকটা স্থাপনা দেখবেন, ওটা নানারি। নারী ভিক্ষুরা ওখানে প্রশিক্ষণ নেন, ধ্যান করেন। বাঁয়ে নদীও চলবে। 

পুনাখায় ঢুকে ভেতরের একটা রাস্তা ধরে কিছু দূর গেলে ডান পাশে পাবেন অপরূপ এক নদী। পাথরের ওপর দিয়ে ঝিরঝির করে বয়ে চলেছে জল। ওপরে সেতু। দূরে দেখা দিল পুনাখা জং। একই সঙ্গে দুর্গ আর ধর্মীয় কাঠামো বলতে পারেন এই জংকে। পুনাখা জং তৈরি হয়েছে সেই ১৬৩৭-৩৮ সালে। এখন পুনাখা জেলার প্রশাসনিক সদর দপ্তর। ভুটানি স্থাপত্যরীতিতে তৈরি দালানটি মুগ্ধ করবে আপনাকে। পুনাখা জংয়ের সীমানায় ঢুকতে হয় নদীর ওপর একটা সেতু পেরিয়ে। পুনাখা উপত্যকার দুই নদীর মাঝখানে জংটি। আদপে পো চু হলো নদ, মো চু নদী। পো চোর উৎপত্তি পুনাখার পাহাড়ের হিমবাহের বরফগলা পানিতে হলেও মো চু এসেছে সেই তিব্বতের লাসা থেকে। কাঠের ব্রিজের ওপর থেকে নিচে নদীর স্বচ্ছ জলে মাছ দেখা যায়। 

জংয়ের পেছনের গেট পেরিয়ে রওনা দেবেন ঝুলন্ত সেতুর দিকে। প্রথমে দুই পশে গাছপালার গার্ড দেওয়া পাকা সড়ক, তারপর পাহাড়ের পাশ দিয়ে চলে যাওয়া মেঠোপথে। ৫০০ ফুটের বেশি লম্বা ঝুলন্ত সেতুটা সাং চু নদীর ওপর। দুই পাশে সিমেন্টের ব্লকের মাঝখানে শক্ত তার দিয়ে তৈরি। হাঁটার সময় সেতুর সঙ্গে দুলতে থাকবেন আপনিও। সেতুর গায়ে অনেক রঙিন পতাকা, সব সময়ই নাকি এই সেতুতে এমন অজস্র পতাকা ঝোলে অশুভ আত্মাদের দূরে রাখতে। ঝুলন্ত সেতু থেকে নিচের নদীটা ধরা দেবে আরও মোহনীয় চেহারায়। রাফটিং করতে দেখবেন মানুষকে। ওপাশে পাহাড়, সমতলে ধানখেত—সবকিছুই দারুণ! এই সেতুর ওপর দিয়ে মানুষ তো বটেই; বিভিন্ন গবাদিপশুও চলাচল করে। 

বুমথাং উপত্যকা৭. বুমথাং উপত্যকা

ভুটানিদের কাছে ধর্মীয় দিক থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জায়গা এটি। প্রায় ২ হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত বুমথামে অনেক পুরোনো বৌদ্ধমন্দির আছে।

পর্যটকদের, বিশেষ করে বিদেশি পর্যটকদের কাছে খুব প্রিয় এক গন্তব্য এটি। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মুগ্ধ করে তাঁদের। পুনাখা থেকে বুমথাং যাওয়ার পথে খাড়া পাহাড়ের ওপর মেঘের রাজ্যে ট্রংসা জংও পর্যটকদের কাছে বড় আকর্ষণ। ওই পথেই বেশ কয়েকটি ঝর্ণাও চোখে পড়ে। এগুলোর জল অবশ্য শীতে জমে বরফ হয়ে থাকে। প্রচুর আপেল বাগানেরও দেখা মেলে এই উপত্যকায়। অনেক পর্যটকই একে আদর করে ডাকেন ‘পুবের সুইজারল্যান্ড’। নানা ধরনের উৎসবের জন্যও বিখ্যাত জায়গাটি। 

ওপর থেকে দেখা হা উপত্যকা৮. হা ভ্যালি

হা ভ্যালি বা হা উপত্যকা ইদানীং ভুটানে বেড়াতে আসা পর্যটকদের খুব প্রিয় এক গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। উপত্যকাটি বিখ্যাত এখানকার অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য। এর পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন কয়েকটি দুর্গ ও বৌদ্ধমন্দির আছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম লাখাং কারপো (সাদা মন্দির) ও লাখাং নাগপো (কালো মন্দির), ১০০ বছরের পুরোনো মন্দির তাগচু গোয়েম্বা। দবিজ জং নামে পাহাড়চূড়ার পাঁচতলা দুর্গটিও এখানকার বিখ্যাত গন্তব্যগুলোর একটি। পারো থেকে দূরত্ব বেশি না হওয়ায় অনায়াসে সেখানে একটি কিংবা দুটি দিন কাটাতে পারেন। 

 ফুন্টসলিংয়ে ভুটান গেট। ছবি: টুইটার৯. ফুন্টসলিং 

বিশেষ করে যেসব বাংলাদেশি পর্যটক ভারত হয়ে ভুটানে ঢোকেন, তাঁদের কাছে বেশ পরিচিত ফুন্টসলিং। ছোট্ট এই শহরে আছে কুমির প্রজননকেন্দ্র, ভুটান গেট, মনাস্ট্রি। ফুন্টসলিংয়ের উঁচুনিচু রাস্তা ধরে হেঁটে বেড়ানোর মজাই আলাদা। রাস্তার পাশেই ছোট-বড় শপিংমল, হোটেল-রেস্তোরাঁ, বাহারি ফুলের দোকান পাবেন। বাজারে আশপাশের পাহাড়ে উৎপাদিত নানা ফল পাবেন। মোটের ওপর নীরব, শান্তিময় প্রাকৃতিক পরিবেশে যাঁরা দুটি দিন কাটাতে চান, তাঁরা ভুটান ভ্রমণের সময় শহরটির জন্য দুটি দিন রাখতে পারেন। 

ওয়াংদুয়ে ফোদরাং জং১০. ওয়াংদুয়ে ফোদরাং

ভুটানের আর একটি বিখ্যাত গন্তব্য। পুনাখার দক্ষিণে অবস্থিত ওয়াংদুয়ে ফোদরাং সেন্ট্রাল হাইওয়ে ধরে মধ্য ভুটানে পৌঁছার আগে সর্বশেষ শহর। ওয়াংদুয়ে ফোদরাং উপত্যকার ওপরের অংশ পশু চারণভূমি হিসেবে খুব বিখ্যাত। বাঁশের নানা সামগ্রী এবং স্লেট ও নানান পাথর কুঁদে তৈরি বিভিন্ন জিনিসের জন্যও আলাদা নাম আছে জায়গাটির।

পুনাখা চু ও তাং চু নদীর সংযোগস্থলে এক পাহাড়ের ওপর অবস্থিত ওয়াংদুয়ে ফোদরাং জংও আকৃষ্ট করে পর্যটকদের। 

সূত্র. হিমালয়ান গ্লেসিয়ার. কম, থ্রিলো ফিলিয়া ডট কম, উইকিপিডিয়া

ভ্রমণ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

বকশীগঞ্জের ‘বটগাছ’খ্যাত বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদারের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এই ডিসেম্বরে যা কিছু করতে পারেন

ফারিয়া রহমান খান 
ছবি: পেক্সেলস
ছবি: পেক্সেলস

ডিসেম্বর মানেই অন্য রকম অনুভূতি। একদিকে বছর শেষের সব হিসাবনিকাশ, নতুন বছরের আগমনী বার্তা; অন্যদিকে বিজয়ের আনন্দ আর পিঠা-পার্বণের আমেজ। সব মিলিয়ে এই মাসটি যেন সত্যিই বিশেষ। ডিসেম্বরে, বছরের শেষ সময়গুলো কীভাবে একটু অর্থবহ করা যায়, তা জেনে নিন।

উদ্দেশ্য স্থির করুন

নতুন বছরে আপনি কী কী করতে চান, তা এখনই ভেবে ফেলুন। একটু স্থির হয়ে বসে খাতা-কলমে লিখে আপনার নতুন বছরের উদ্দেশ্য স্থির করে নিন। লিখে রাখলে তা বিভিন্নভাবে উদ্দেশ্য পূরণে সহায়তা করবে।

ঘর সাজান

পুরোনো বছরকে সুন্দর করে বিদায় দিতেই হোক বা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে—ঘর সাজান সুন্দর করে। কিছু ওয়ার্ম লাইট ও জানালা বা টেবিলে কিছু গাছ রেখে ঘরে দিন একটু উষ্ণতার ছোঁয়া। সঙ্গে পুরোনো অপ্রয়োজনীয় জিনিস অন্য কাউকে দিয়ে দিন। দেখবেন বাসায় একটা শান্ত ও পরিচ্ছন্ন ভাব আসবে।

পিঠা-পার্বণের আমেজ ও আড্ডা

পিঠা সংস্কৃতির অংশ। তাই ঐতিহ্য ধরে রাখাতে পরিবার ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে সময় করে একদিন বিভিন্ন রকম পিঠা বানাতে পারেন। বড় আয়োজন নয়, বরং চা-বিস্কুট আর পিঠা নিয়ে একটি ঘরোয়া আড্ডা জমান। পুরোনো দিনের স্মৃতিচারণা করুন। দেখবেন, মন থেকে অনেকখানি ভার নেমে গেছে।

বই পড়ুন

ডিসেম্বরের আবহাওয়া বই পড়ার জন্য উপযুক্ত। ছুটির দিনে দুপুরগুলো কাজে লাগান। গায়ে হালকা কাঁথা জড়িয়ে একটা অলস দুপুর বই পড়ে দেখুন। অথবা একটা ভালো উপন্যাস নিয়ে শীতের মিষ্টি রোদে বসে পড়ুন। সঙ্গে রাখুন এক কাপ চা। দেখবেন, খুব ভালো লাগবে।

নিজেকে সময় দিন

বছরের এই শেষ সময় এসেও নিজের জন্য সময় বের করুন। নিজের যত্ন নিন, নিজেকে নিজেই কিছু উপহার দিন। দেখবেন নিজেকে মূল্যবান ও যোগ্য মনে হবে। তা ছাড়া কাউকে কিছু উপহার দিতে চাইলেও দিতে পারেন। সেটাও কিন্তু নিজেকে সময় দেওয়ার কাজ করবে।

ছবি: পেক্সেলস
ছবি: পেক্সেলস

স্থানীয় উদ্যোক্তাদের সহায়তা করুন

শীতকালে অনেক জায়গায় পিঠা মেলা বা হস্তশিল্প মেলা বসে। এই মেলাগুলোতে ঘুরে বেড়ান। উৎসবের কেনাকাটায় বড় শপিং মল এড়িয়ে স্থানীয় কারিগরদের কাছ থেকে কিছু কিনুন এবং শীতের খাবার চেখে দেখুন। এতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা উপকৃত হবেন। মনে রাখবেন, উদ্যোক্তাদের সহায়তা না করলে তারা বড় হতে পারবে না। তাদের বড় করতে সহায়তা করাও একটা উদ্যোগ বটে।

সহায়তার হাত বাড়ান

শীতকালে অসহায় মানুষদের কষ্ট কমাতে গরম কাপড় ও কম্বল দান করুন। ছোট ছোট কাজ করে অন্যের মুখে হাসি ফোটান; যেমন কাউকে চা বা কফি খাওয়ান, বাসে বয়স্ক কারও জন্য আসন ছেড়ে দিন, কাউকে রাস্তা পার করিয়ে দিন। ছোট একটি মানবিক কাজ আপনার জীবনকে অর্থবহ করে তুলবে।

ছবি: পেক্সেলস
ছবি: পেক্সেলস

বছরের প্রতিফলন

পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে বসে অথবা একা বসে এই বছর কী কী ভালো ও খারাপ হয়েছে, তা নিয়ে ভাবুন। কী কী ভুল করেছেন, সেগুলো ভেবে দেখুন। সামনের বছরগুলোতে এসব ভুল যেন না হয়, সে জন্য সতর্ক হোন। এই বছর যা কিছু ইতিবাচক হয়েছে, সেগুলো একটি ডায়েরিতে লিখে সৃষ্টিকর্তাকে কৃতজ্ঞতা জানান। কারও সঙ্গে মনোমালিন্য হয়ে থাকলে তা মিটিয়ে নিন। অযথা মনে রাগ পুষে রেখে নিজেকে কষ্ট দেবেন না।

পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করুন

পুরোনো বন্ধুরা আসলে মানুষের ব্রিদিং স্পেস বা নিশ্বাস ফেলার জায়গা। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। সবার সঙ্গে সম্ভব না হলেও যাঁদের বা যাঁর সঙ্গে সম্ভব, তাঁদের বা তাঁর সঙ্গে দেখা করে কিছু সময় কাটিয়ে আসুন। মন খুলে হাসুন। স্মৃতিচারণা করুন। অন্তত এক বেলা একসঙ্গে বসে খেয়ে ফেলুন মনের মতো কোনো খাবার। দেখবেন নতুন বছর অন্য রকমভাবে শুরু হবে।

সূত্র: ক্যামিলিস্টাইল ও অন্যান্য

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

বকশীগঞ্জের ‘বটগাছ’খ্যাত বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদারের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শীতের রোদে ত্বক পুড়েছে? গোসলের সময় এই প্যাকগুলো ব্যবহারে মিলবে উপকার

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
দীর্ঘক্ষণ রোদে বসে থাকলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিতে পাতলা ত্বকের মানুষদের ত্বক দ্রুত পুড়ে যায়। ফলে গায়ের রং তামাটে হয়ে যায়। প্রতীকী ছবি: পেক্সেলস
দীর্ঘক্ষণ রোদে বসে থাকলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিতে পাতলা ত্বকের মানুষদের ত্বক দ্রুত পুড়ে যায়। ফলে গায়ের রং তামাটে হয়ে যায়। প্রতীকী ছবি: পেক্সেলস

বলতে দ্বিধা নেই, গরমের দিনে রোদ গায়ে লাগিয়ে ভিটামিন ডি নেওয়ার কথা ভুলে গেলেও শীতে যেন তা বেশি বেশি মনে পড়ে। হিম সকালে রোদ গায়ে মাখতে কারো মন্দ লাগে না। ফলে এই মৌসুমে গায়ে রোদ লাগানোও হয় বেশি। আর এতে অতিরিক্ত পাতলা ত্বকের মানুষেরা একটু ঝামেলায় পড়েন। দীর্ঘক্ষণ রোদে বসে থাকলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিতে পাতলা ত্বকের মানুষদের ত্বক দ্রুত পুড়ে যায়। ফলে গায়ের রং তামাটে হয়ে যায়। তাই এ সময় নিয়মিত যাঁরা রোদ পোহাচ্ছেন, তাঁদের ত্বক যদি এ রকম রোদে পুড়ে তামাটে হয়ে যায়, তাঁরা গোসলের সময় কিছু ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। তাতে সুবিধা পাবেন।

লেবুর রস, মধু ও গোলাপজলের ফেসপ্যাক

লেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। অন্যদিকে মধু ত্বক আর্দ্র রাখে, যা শীতকালের রুক্ষ আবহাওয়ায় জরুরি। ১ চা-চামচ করে লেবুর রস, শসার রস, মধুর সঙ্গে আধা চা-চামচ গোলাপজল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটি মুখে লাগিয়ে রাখুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তবে এই প্যাক ব্যবহার করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরাসরি রোদে না বের হওয়াই ভালো। বের হলেও ছাতা ব্যবহার করুন।

দই, বেসন ও হলুদের ফেসপ্যাক

এই প্যাক একই সঙ্গে ট্যান দূর করতে, মৃত কোষ ঝরাতে এবং ত্বক উজ্জ্বল করতে খুব ভালো কাজ করে। ২ চা-চামচ টক দই, ১ চা-চামচ বেসন, এক চিমটি হলুদবাটা মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাক মুখে ও গলায় ভালো করে লাগিয়ে নিন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখুন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। প্রয়োজনে এই প্যাক শরীরের অন্য অংশের রোদে পোড়া দাগের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে।

লেবুর রস ও চিনির মিশ্রণ

ঘরে বসে ট্যান অপসারণের জন্য ফেসপ্যাকে যোগ করতে পারেন লেবুর রস। প্রাকৃতিক ব্লিচিং ক্ষমতার কারণে এটি ত্বকের যেকোনো দাগ দূর করতে খুব ভালো কাজ করে। এ ছাড়া এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ত্বকের দূষণ দূরে সহায়ক। সানট্যান দূর করতে লেবুর রস মধু বা চিনির সঙ্গে মিশিয়ে আক্রান্ত জায়গাগুলোয় স্ক্র‍্যাব করুন। ১৫ মিনিট আলতো করে ঘষে ধুয়ে নিন। তবে লেবু মিশ্রিত প্যাক বা স্ক্র‍্যাব ত্বকে ব্যবহার করলে ধোয়ার পর অবশ্যই ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। নয়তো ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে উঠতে পারে।

আলুর রস ও মুলতানি মাটির ফেসপ্যাক

আলুর রসে মৃদু ব্লিচিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা সানট্যান হালকা করতে পারে। অন্যদিকে মুলতানি মাটি ত্বক পরিষ্কার করে। ২ চা-চামচ আলুর রস, ১ চা-চামচ মুলতানি মাটি, অল্প পরিমাণে গোলাপজল বা পানি মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাক মুখে লাগান এবং ২০ মিনিট বা পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে পানি ও স্ক্র‍্যাবার দিয়ে ম্যাসাজ করে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।

নারকেলের দুধেও মিলবে উপকার

ট্যান দূর করার পাশাপাশি নারকেল দুধ ত্বকের অন্যান্য উপকারও করে। মুখ ও হাতে ট্যান পড়ে থাকলে নারকেলের দুধকেই সমাধান হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। রোদে পোড়া ত্বকে তাজা নারকেল দুধ লাগিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। এরপর ধুয়ে নিন। ত্বক ধীরে ধীরে উজ্জ্বলতা ছড়াবে।

শসা ও লেবুর রসের মিশ্রণ

শসা ত্বক আর্দ্র রাখে এবং পোড়া ত্বকে আরাম দেয়। অন্যদিকে লেবুর রস ত্বকের রং হালকা করতে সহায়ক। শসা দিয়ে মুখ, ঘাড় ও হাতের ট্যান দূর করার ভালো উপায় হলো, খোসা ছাড়িয়ে থেঁতো করে রস বের করে নিয়ে তাতে সমপরিমাণ লেবুর রস মিশিয়ে তুলার বল দিয়ে সেই রস আক্রান্ত জায়গায় লাগানো। এরপর সেই রস ত্বকে পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।

সূত্র: ফেমিনা ও অন্যান্য

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

বকশীগঞ্জের ‘বটগাছ’খ্যাত বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদারের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৫৫
আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

মেষ

আজ এক প্রকার ‘অটো-মোডে’ থাকবেন। সকালে উঠেই মনে হবে, ‘আমি কি ঘুমিয়েও কাজ করে ফেলতে পারি?’ বসের সামনে আপনার একটি ভুল আইডিয়া আজ এমনভাবে হিট করবে যে তিনি ভাববেন, আপনি হয়তো রাতের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোনো বিশ্বমানের কোর্স করেছেন। সাবধান; পুরোনো প্রেমিকার হঠাৎ ফোন আসতে পারে। ফোনটা ধরবেন নাকি বলবেন ‘নেটওয়ার্কের বাইরে আছি’, সেটা আপনার কর্মফল! প্রেমের ক্ষেত্রে বিরক্তি বা অনাগ্রহ না দেখানোই ভালো।

বৃষ

আজ আপনার ব্যাংক ব্যালেন্সের দিকে নজর দিতে হবে। না, অর্থ আসবে না; বরং অর্থ যাওয়ার পথ তৈরি হবে! বিশেষত অনলাইন শপিংয়ের দিকে মন ঝুঁকতে পারে। এমন কিছু অর্ডার করে ফেলবেন, যেটা হাতে আসার পর মনে হবে—‘এটার আসল প্রয়োজন কী ছিল?’ স্ত্রীর কাছ থেকে উপহার চেয়ে বসলে এমন কিছু পাবেন, যা দেখে হাসবেন নাকি কাঁদবেন, তা ঠিক করতে পারবেন না। ফাস্ট ফুডের দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে নিন। একটু কম তেল-ঝাল খান, নইলে গ্যাসের চোটে মহাকাশে যাত্রা শুরু করতে পারেন।

মিথুন

মিথুন রাশির দ্বৈত সত্তা আজ দ্বিগুণ সক্রিয়। এক মন বলবে, ‘কাজটা করে ফেলি,’ আর অন্য মন বলবে, ‘আরে বাবা! নেটফ্লিক্সের সিরিজটা আগে শেষ করা যাক!’ এই দোটানার জন্য দিনের শেষে আপনার কাজও হবে না, আবার সিরিজটাও শেষও হবে না। কর্মক্ষেত্রে সহকর্মী আজ আপনার সাফল্যের গল্পে এত বেশি রং মেশাবেন যে আসল গল্পের চেয়ে সেটা শুনেই বসের বেশি হাসি পাবে। সন্ধ্যায় পরিচিত কাউকে এমন একটি উপদেশ দেবেন, যা আপনি নিজে জীবনে কখনো মেনে চলেননি।

কর্কট

কর্কট রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত ঘরকুনো হন। কিন্তু আজ গ্রহরা আপনাকে ঘরের বাইরে ঠেলে দেবে। অপ্রত্যাশিতভাবে বন্ধু বা আত্মীয়ের দল বাড়িতে এসে আপনার শান্তি ভঙ্গ করতে পারে। তাদের আপ্যায়ন করতে গিয়ে পকেটের দফারফা হবে। তবে চিন্তা নেই, এই বিড়ম্বনার মধ্যেই লুকিয়ে আছে ভবিষ্যতের কোনো শুভ ইঙ্গিত। প্রেমিক/প্রেমিকা আজ আপনাকে ‘ডায়েট কন্ট্রোল’ করতে বলবে। আপনি গোপনে লুকিয়ে ফ্রিজের দিকে এগোনোর সময় ধরা পড়তে পারেন।

সিংহ

সিংহ রাশি, আজ আপনার ব্যক্তিত্বের তেজ এতটা বেশি থাকবে যে ঘরে ঢুকে লাইট না জ্বাললেও চলবে। সবাই আজ আপনার কথা শুনতে চাইবে, কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো—আপনার বলার মতো বিশেষ কোনো কথা আজ থাকবে না। বসের চোখে পড়তে চাচ্ছেন? যান, একটু উল্টাপাল্টা কিছু করুন। আপনার ভুল করার স্টাইল দেখেও তারা মুগ্ধ হতে পারে। অপ্রয়োজনীয় জিনিসে প্রচুর টাকা খরচ হতে পারে, যেমন চতুর্থ কফির কাপ অথবা একটি লাল রঙের ক্যাপ যা আপনার মোটেই প্রয়োজন নেই।

কন্যা

আজ আপনার ভেতরের ‘পারফেকশনিস্ট’ সত্তাটি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাবে। সহকর্মীর ফাইলে সামান্য একটি বানান ভুল পেলেও এমন রিঅ্যাক্ট করবেন যেন তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অপরাধটি করে ফেলেছেন। এই বাড়তি খুঁতখুঁতে স্বভাবের জন্য কিছু মানুষ আপনাকে এড়িয়ে যেতে পারে। নিজেকে নিয়ে একটু হাসিঠাট্টা করুন। সবকিছু সিরিয়াসলি নেবেন না। যদি দেখেন জুতা উল্টো পরে ফেলেছেন, তা নিয়ে একটা সেলফি তুলে পোস্ট করে দিন! দেখবেন দিনটি হালকা হয়ে গেছে।

তুলা

গ্রহদের মতে, আজ আপনার ‘ব্যালেন্সিং অ্যাক্ট’ সফল হবে। তবে এই ব্যালেন্স কর্মক্ষেত্র বা ব্যক্তিগত জীবনে নয়, হবে আপনার ফ্রিজের খাবার আর আপনার ডায়েটের মধ্যে! আপনি দুই দিকেই সামঞ্জস্য রক্ষা করবেন; অর্থাৎ ডায়েটও ভাঙবেন, আবার রাতে আফসোসও করবেন। আজ আপনার সঙ্গী এমন একটি অদ্ভুত প্রশ্ন করতে পারে, যার উত্তর দিতে গিয়ে আপনার মাথা পুরোপুরি ঘুরে যাবে; যেমন ‘বিয়ে না হলে আমাদের জীবনটা কেমন হতো?’ শান্ত থাকুন এবং হাসতে শিখুন।

বৃশ্চিক

বৃশ্চিক, আপনার রহস্যময় স্বভাব আজ কারও কাছে ধরা পড়বে না। কারণ, নিজেই আজ আপনার রহস্য ভুলে যাবেন! পুরোনো একটি ভুলে যাওয়া ঋণ বা পাওনা টাকা আজ হুট করে মনে পড়তে পারে। তবে যখন সেটি দাবি করতে যাবেন, তখন অন্য পক্ষ এমন এক গল্প শোনাবে যে আপনি উল্টো তাকেই সহানুভূতি দেখিয়ে টাকা দিয়ে আসতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে আজ এমন একজনের সঙ্গে দেখা হবে, যিনি আপনার চেয়েও বেশি গম্ভীর। দুজন মিলে এমন একটি হাসির মুহূর্ত তৈরি করবেন, যা কেউ কল্পনাও করেনি।

ধনু

ধনু রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন। কিন্তু আজকের অ্যাডভেঞ্চারটি হবে আলমারি গোছানো! ভাবতেও পারেননি, আপনার আলমারির ভেতরে এত অদ্ভুত জিনিস লুকিয়ে ছিল। পুরোনো প্রেমের চিঠি থেকে শুরু করে ছেঁড়া মোজা পর্যন্ত সবই পেয়ে যাবেন। যদি আজ কোথাও যাওয়ার প্ল্যান থাকে, তবে সাবধানে যান। মানিব্যাগটি ভুল করে রান্নাঘরে রেখে আসতে পারেন। এই ভুলে যাওয়াটাই আজ আপনার সবচেয়ে বড় কৌতুক হতে চলেছে।

মকর

মকর, আপনি সাধারণত খুব শৃঙ্খলাপরায়ণ। কিন্তু আজ গ্রহরা আপনাকে একটু ডিসকোয়ালিফাই করবে। দিনের শুরুতেই গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ের আগে মোবাইল ফোন খুঁজে পাবেন না। পরে দেখবেন, ফোনটি প্যান্টের পকেটেই ছিল। আপনার কঠোর পরিশ্রমের ফল আজ মিষ্টি হবে, তবে মিষ্টির সঙ্গে সামান্য তেতো অভিজ্ঞতাও আসতে পারে। বিনিয়োগের আগে দুবার চিন্তা করুন। এমন কাউকে বিশ্বাস করবেন না, যিনি আপনাকে ‘এক মাসে দ্বিগুণ লাভ’ করার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন।

কুম্ভ

কুম্ভ, আজ আপনার বুদ্ধি আকাশ ছুঁয়ে যাবে। এমন একটি সমস্যার সমাধান করবেন, যা কেউ ভাবতেও পারেনি। কিন্তু আফসোস! সেই সমস্যাটি হয়তো একেবারেই গুরুত্বহীন ছিল, যেমন ‘কে আগে রিমোট নেবে’ বা ‘চায়ের কাপের দাগটা কীভাবে তোলা যায়।’ বন্ধুদের মধ্যে কেউ আজ এমন একটি বড় দাবি করবে, যা শুনে আপনি প্রথমে অবাক হবেন, পরে হো হো করে হেসে উঠবেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করলে তাতে অপ্রত্যাশিতভাবে প্রচুর লাইক ও কমেন্ট পাবেন।

মীন

মীন রাশির জাতক-জাতিকারা স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন। আজ সেই স্বপ্নময় জগৎটি আপনার কর্মক্ষেত্রে এসে পড়তে পারে। কাজের মধ্যে হঠাৎ কল্পনায় ডুবে যাবেন এবং বসকে ভুল করে অন্য কারও নাম ধরে ডেকে ফেলতে পারেন। প্রেমের ক্ষেত্রে আবেগপ্রবণতা আজ অতিরিক্ত বাড়বে। নিজের হাতে লেখা একটি কবিতা বা চিঠি প্রিয়জনকে দিলে তারা হয়তো হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়বে। কারণ, আবেগ দেখানোর জন্য আপনার শব্দচয়ন হয়তো আজ খুব একটা সিরিয়াস হবে না। তবে মনে রাখবেন, হাসিই সম্পর্কের সেরা মসলা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

বকশীগঞ্জের ‘বটগাছ’খ্যাত বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদারের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শীতকালে কলা খাবেন কি না

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ২৭
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ কলাকে স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে সব ঋতুতে খাওয়ার সুপারিশ করেছে। ছবি: ফ্রিপিক
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ কলাকে স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে সব ঋতুতে খাওয়ার সুপারিশ করেছে। ছবি: ফ্রিপিক

শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।

কিন্তু এ বিষয়টি নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রচুর গবেষণা হয়েছে। সেগুলোতে শীতকালে কলা খাওয়ার ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। তাই বলাই যায়, শীতকালে কলা খাওয়া নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর। তবে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, খাবার খাওয়া এবং তা থেকে শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে ব্যক্তিগত সংবেদনশীলতা থেকে। যেসব খাবারে অ্যালার্জি আছে, সেসব খাবার না খাওয়া ভালো। তাতে শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ কলাকে স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে সব ঋতুতে খাওয়ার সুপারিশ করেছে। এ ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দিনে কলাসহ ৪০০ গ্রাম ফল ও সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

কিছু প্রচলিত ভুল ধারণা এবং তার সঠিক বৈজ্ঞানিক তথ্য জেনে নিন।

শীতে কলার পুষ্টিগুণ বদলে যায়

এ ধারণা ঠিক নয়। কলার পুষ্টিগুণ অর্থাৎ পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬, আঁশ ইত্যাদি ঋতুভেদে একই থাকে। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন কলাকে একটি পুষ্টিকর স্ন্যাক্স বা হালকা নাশতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

শীতে কলার পুষ্টিগুণ বদলে যায়, এ ধারণা ঠিক নয়। ছবি: ফ্রিপিক
শীতে কলার পুষ্টিগুণ বদলে যায়, এ ধারণা ঠিক নয়। ছবি: ফ্রিপিক

হজমে সমস্যা ও সর্দি-কাশি

আমাদের দেশেই শুধু নয়, পৃথিবীতে এমন বহু মানুষ আছেন যাঁরা বিশ্বাস করেন, কলা ঠান্ডা প্রকৃতির বলে শীতকালে খেলে সর্দি-কাশি বা হজমে সমস্যা করতে পারে। এটি আজ পর্যন্ত বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়নি। স্বাভাবিকভাবে যেকোনো ব্যক্তি শীতকালে কলা খেতে পারেন। বরং কলা দ্রুত শক্তি দেয় বলে শীতকালে এটি শরীরের উষ্ণতা বজায় রাখতে সহায়ক হতে পারে। তবে কলায় কারও অ্যালার্জি থাকলে খাওয়া ঠিক হবে না।

আয়ুর্বেদিক ধারণা

আয়ুর্বেদের মতো কিছু প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতি কলাকে ‘শীতল’ প্রকৃতির বলে বিবেচনা করে। সে জন্য রাতে বা শীতে বেশি পরিমাণে না খাওয়ার পরামর্শ দেয়। তবে এ পরামর্শ সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

বিশেষ পরিস্থিতিতে সতর্কতা

অ্যালার্জি ও কফ: যাঁদের কলায় অ্যালার্জি আছে এবং যাঁদের শীতকালে কফ জমে থাকা বা অ্যাজমার সমস্যা আছে, তাঁদের শীতকালে কলা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কলায় কোনো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া নেই। তবে যাঁদের আগে থেকে অ্যালার্জি বা অ্যাজমার সমস্যা আছে, তাঁদের অত্যধিক মিউকাস উৎপাদনে এটি কিছু ভূমিকা রাখতে পারে। সে জন্য যাঁদের আগে থেকে এসব সমস্যা আছে, তাঁদের শীতকালে কলা খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

ডায়াবেটিস: কলায় প্রাকৃতিক শর্করা থাকে, তাই ডায়াবেটিস রোগীদের এটি পরিমিত খাওয়া উচিত।

কলা কলা প্রাকৃতিক এনার্জি বার ও ইমিউনিটি বুস্টার হিসেবে পরিচিত। ছবি: ফ্রিপিক
কলা কলা প্রাকৃতিক এনার্জি বার ও ইমিউনিটি বুস্টার হিসেবে পরিচিত। ছবি: ফ্রিপিক

শীতকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা

কলা প্রাকৃতিক এনার্জি বার: কলায় থাকে ফ্রুকটোজ ও গ্লুকোজের মতো প্রাকৃতিক চিনি। এটি দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে, যা শীতকালে শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

ইমিউনিটি বুস্টার: ভিটামিন ‘সি’ এবং ‘বি৬’ রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় কলা। এতে শীতকালীন সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

সেরোটোনিন উৎপাদন: কলায় ট্রিপটোফ্যান নামে একটি অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে, যা মস্তিষ্কে সেরোটোনিন (মুড-রেগুলেটর) উৎপাদনে সাহায্য করে, শীতকালীন বিষণ্নতা মোকাবিলায় সহায়ক।

শীতকালে কলা খাওয়ার টিপস

রাতের বদলে সকাল বা দুপুরে খাওয়া ভালো। এ ছাড়া কলা বিভিন্ন জিনিসের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। যেমন ওটমিল ও দারুচিনির সঙ্গে কলা মিশিয়ে খেলে উষ্ণতা বাড়বে। কলার স্মুদির সঙ্গে আদা ও কাঁচা হলুদ যোগ করে খাওয়া যেতে পারে। সম্পূর্ণ পাকা কলায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বেশি থাকে। এ ধরনের কলা দিনে ১ থেকে ২টি খান।

শীতকালে কলা খাওয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর, যদি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য অবস্থা ও পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। তাই নিয়মিত কলা খেতে কোনো বৈজ্ঞানিক নিষেধ নেই। তবে অ্যাজমা, দীর্ঘস্থায়ী কফ, কিডনি রোগী ইত্যাদি সংবেদনশীল গ্রুপের মানুষেরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কলা খাবেন। এ ছাড়া কলাকে শীতের খাদ্যতালিকার একটি উপাদান হিসেবে দেখুন, একমাত্র উৎস হিসেবে নয়। অন্যান্য শীতকালীন ফলের সঙ্গে এর ভারসাম্য বজায় রাখুন।

তথ্যসূত্র

  • ইউএসডিএ জাতীয় পুষ্টি ডেটাবেইস: কলার পুষ্টি উপাদানের প্রামাণিক তথ্য
  • জার্নাল অব মেডিকেল ফুড (২০১৬)
  • আয়ুর্বেদিক ফারমাকোপিয়া অব ইন্ডিয়া (ভোল.১)
  • অন্যান্য
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

বকশীগঞ্জের ‘বটগাছ’খ্যাত বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদারের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত