আমিনুল ইসলাম নাবিল
শহর ছেড়ে দুদণ্ড শান্তির জন্য এখন খুব সহজে যাওয়া যায় সাগরকন্যা কুয়াকাটায়। এখানকার ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকত পর্যটনের বেশ ভালো জায়গা। পদ্মা সেতুর কল্যাণে কুয়াকাটা যাতায়াত এখন খুবই সহজ হয়ে গেছে।
যেভাবে যাবেন কুয়াকাটায়
সড়ক ও নৌ—দুই পথেই কুয়াকাটা যাওয়া যায়।
নৌপথ
রাজধানীর সদরঘাট থেকে পটুয়াখালী কিংবা বরিশালের লঞ্চে উঠতে হবে। সদরঘাট থেকে বরিশাল, সেখান থেকে রূপাতলী বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে কুয়াকাটার বাসে উঠতে হবে। বরিশাল থেকে কুয়াকাটার দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার। যেতে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় লাগে। বাসভেদে খরচ ২২০ থেকে ৩০০ টাকা।
বরিশালের লঞ্চ পটুয়াখালীগামী লঞ্চের চেয়ে আকারে বেশ বড়। তাই সেগুলোতে ভ্রমণ করা সুবিধাজনক। এসব লঞ্চের ডেকে উঠে বরিশাল যাওয়া যাবে ২০০ থেকে ৪০০ টাকায়। পরিবার নিয়ে যেতে চাইলে সেমি-ভিআইপি কেবিন বেছে নিতে পারেন। এগুলোর খরচ ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা। এ ছাড়া সোফায় ৬০০, সিঙ্গেল কেবিনে ১ হাজার ও ডাবল কেবিনে ১ হাজার ৮০০ টাকায় যাওয়া যাবে। আর ভিআইপি কেবিনের ভাড়া ৫ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা।
সড়কপথে এখন অনেক কম সময়ে কুয়াকাটা যাওয়া যায়। রাজধানীর সায়েদাবাদ থেকে মাত্র পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টায় সরাসরি কুয়াকাটা যাওয়া যায়। ঢাকা থেকে সড়কপথে এর দূরত্ব প্রায় ৩০০ কিলোমিটার। বাসভেদে ব্যয় হবে ৮০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা।
কুয়াকাটায় থাকবেন কোথায়
ফাইভ স্টার-সুবিধা সীমিত হলেও এখানে থাকার জন্য মোটামুটি বেশ ভালো ব্যবস্থা আছে। হোটেল তৈরি হয়েছে বেশ কিছু। এখানকার হোটেলগুলোতে সময়ভেদে ৪০০ থেকে ৩ হাজার টাকার মধ্যে রুম ভাড়া পাওয়া যায়। অল্প কিছু লাক্সারি হোটেলের মধ্যে আছে সিকদার রিসোর্ট অ্যান্ড ভিলা, কুয়াকাটা গ্র্যান্ড হোটেল অ্যান্ড সি রিসোর্ট, হোটেল গ্রেভার ইন, ওশান ভিউ হোটেল এবং কনভেনশন অন্যতম।
ভালো মানের হোটেলে থাকতে হলে গুনতে হবে ৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা। ভিলাসহ ভাড়া নিতে চাইলে খরচ করতে হবে আরও বেশি।
কোথায় খাবেন
সকালের নাশতার জন্য এখানে বেশ কয়েকটি খাবারের দোকান রয়েছে। এসব হোটেলে কম খরচে নাশতার পর্ব সারতে পারবেন। দুপুর ও রাতের খাবারে সামুদ্রিক মাছ বেছে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। পরোটার সঙ্গে মাছ বারবিকিউ করেও খেতে পারেন। আবার ভর্তা অথবা তরকারি করে ভাতের সঙ্গেও খেতে পারেন। সামুদ্রিক সব ধরনের মাছই পাবেন এখানে। মাছ চাষের না সমুদ্রের, সেটা বুঝে দামদর করে কিনতে হবে।
কোথায় ঘুরবেন
লাল কাঁকড়ার চর, কাউয়ার চর, লেবুবাগান, ঝাউবন, শুঁটকিপল্লি, চর গঙ্গামতী, রাখাইনপল্লি, বার্মিজ মার্কেট, কুয়াকাটা বৌদ্ধমন্দির, কুয়াকাটার কুয়া—এগুলো অন্যতম। মোটরসাইকেল ভাড়া নিয়ে বেরিয়ে পড়তে পারেন ঘোরার উদ্দেশে। সমুদ্রসৈকতের পাশ ধরে এমন বাইক রাইড আপনাকে অন্য রকম অনুভূতি এনে দেবে। জনপ্রতি খরচ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত উপভোগের জন্য কুয়াকাটা চমৎকার জায়গা।
কেনাকাটা
কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত ঘেঁষেই গড়ে উঠেছে অসংখ্য দোকান। সেগুলোতেই কিছু কেনাকাটা করতে পারেন। তবে এখানে স্যুভেনিরের দাম বেশি। হাতে বোনা চাদর পাওয়া যায় এখানে।
যেভাবে ফিরবেন
ঘোরাফেরা করে ক্লান্ত শরীর নিয়ে ফেরার জন্য লঞ্চের পরিবর্তে বাসই বেছে নিতে পারেন। প্রতি ঘণ্টায় বাস পাওয়া যায়। রাত ৯টার বাসে চড়লে ভোরে পৌঁছে যাবেন ঢাকায়।
শহর ছেড়ে দুদণ্ড শান্তির জন্য এখন খুব সহজে যাওয়া যায় সাগরকন্যা কুয়াকাটায়। এখানকার ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকত পর্যটনের বেশ ভালো জায়গা। পদ্মা সেতুর কল্যাণে কুয়াকাটা যাতায়াত এখন খুবই সহজ হয়ে গেছে।
যেভাবে যাবেন কুয়াকাটায়
সড়ক ও নৌ—দুই পথেই কুয়াকাটা যাওয়া যায়।
নৌপথ
রাজধানীর সদরঘাট থেকে পটুয়াখালী কিংবা বরিশালের লঞ্চে উঠতে হবে। সদরঘাট থেকে বরিশাল, সেখান থেকে রূপাতলী বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে কুয়াকাটার বাসে উঠতে হবে। বরিশাল থেকে কুয়াকাটার দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার। যেতে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় লাগে। বাসভেদে খরচ ২২০ থেকে ৩০০ টাকা।
বরিশালের লঞ্চ পটুয়াখালীগামী লঞ্চের চেয়ে আকারে বেশ বড়। তাই সেগুলোতে ভ্রমণ করা সুবিধাজনক। এসব লঞ্চের ডেকে উঠে বরিশাল যাওয়া যাবে ২০০ থেকে ৪০০ টাকায়। পরিবার নিয়ে যেতে চাইলে সেমি-ভিআইপি কেবিন বেছে নিতে পারেন। এগুলোর খরচ ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা। এ ছাড়া সোফায় ৬০০, সিঙ্গেল কেবিনে ১ হাজার ও ডাবল কেবিনে ১ হাজার ৮০০ টাকায় যাওয়া যাবে। আর ভিআইপি কেবিনের ভাড়া ৫ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা।
সড়কপথে এখন অনেক কম সময়ে কুয়াকাটা যাওয়া যায়। রাজধানীর সায়েদাবাদ থেকে মাত্র পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টায় সরাসরি কুয়াকাটা যাওয়া যায়। ঢাকা থেকে সড়কপথে এর দূরত্ব প্রায় ৩০০ কিলোমিটার। বাসভেদে ব্যয় হবে ৮০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা।
কুয়াকাটায় থাকবেন কোথায়
ফাইভ স্টার-সুবিধা সীমিত হলেও এখানে থাকার জন্য মোটামুটি বেশ ভালো ব্যবস্থা আছে। হোটেল তৈরি হয়েছে বেশ কিছু। এখানকার হোটেলগুলোতে সময়ভেদে ৪০০ থেকে ৩ হাজার টাকার মধ্যে রুম ভাড়া পাওয়া যায়। অল্প কিছু লাক্সারি হোটেলের মধ্যে আছে সিকদার রিসোর্ট অ্যান্ড ভিলা, কুয়াকাটা গ্র্যান্ড হোটেল অ্যান্ড সি রিসোর্ট, হোটেল গ্রেভার ইন, ওশান ভিউ হোটেল এবং কনভেনশন অন্যতম।
ভালো মানের হোটেলে থাকতে হলে গুনতে হবে ৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা। ভিলাসহ ভাড়া নিতে চাইলে খরচ করতে হবে আরও বেশি।
কোথায় খাবেন
সকালের নাশতার জন্য এখানে বেশ কয়েকটি খাবারের দোকান রয়েছে। এসব হোটেলে কম খরচে নাশতার পর্ব সারতে পারবেন। দুপুর ও রাতের খাবারে সামুদ্রিক মাছ বেছে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। পরোটার সঙ্গে মাছ বারবিকিউ করেও খেতে পারেন। আবার ভর্তা অথবা তরকারি করে ভাতের সঙ্গেও খেতে পারেন। সামুদ্রিক সব ধরনের মাছই পাবেন এখানে। মাছ চাষের না সমুদ্রের, সেটা বুঝে দামদর করে কিনতে হবে।
কোথায় ঘুরবেন
লাল কাঁকড়ার চর, কাউয়ার চর, লেবুবাগান, ঝাউবন, শুঁটকিপল্লি, চর গঙ্গামতী, রাখাইনপল্লি, বার্মিজ মার্কেট, কুয়াকাটা বৌদ্ধমন্দির, কুয়াকাটার কুয়া—এগুলো অন্যতম। মোটরসাইকেল ভাড়া নিয়ে বেরিয়ে পড়তে পারেন ঘোরার উদ্দেশে। সমুদ্রসৈকতের পাশ ধরে এমন বাইক রাইড আপনাকে অন্য রকম অনুভূতি এনে দেবে। জনপ্রতি খরচ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত উপভোগের জন্য কুয়াকাটা চমৎকার জায়গা।
কেনাকাটা
কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত ঘেঁষেই গড়ে উঠেছে অসংখ্য দোকান। সেগুলোতেই কিছু কেনাকাটা করতে পারেন। তবে এখানে স্যুভেনিরের দাম বেশি। হাতে বোনা চাদর পাওয়া যায় এখানে।
যেভাবে ফিরবেন
ঘোরাফেরা করে ক্লান্ত শরীর নিয়ে ফেরার জন্য লঞ্চের পরিবর্তে বাসই বেছে নিতে পারেন। প্রতি ঘণ্টায় বাস পাওয়া যায়। রাত ৯টার বাসে চড়লে ভোরে পৌঁছে যাবেন ঢাকায়।
ভ্রমণ সব বয়সের মানুষের জন্যই আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীর ও প্রয়োজনের ধরণও বদলায়। তাই বয়স্ক বা সিনিয়র নাগরিকদের জন্য ভ্রমণের আগে কিছু বাড়তি প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, আরাম, খাওয়া-দাওয়া সব দিকেই বিশেষ মনোযোগ দেওয়া দরকার।
২৭ মিনিট আগেছোট হোক বা বড়, যে কাজেই ব্যবহার হোক না কেন প্রায় সবার বাড়িতে একটি করে বুকশেলফ বা বইয়ের তাক থাকে। একটি বুকশেলফ দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করা যায়, তা সে কাঠ, বেত, বাঁশ, প্লাইউড বা যে উপকরণেই তৈরি হোক। কিন্তু এমন যদি হয় বহু পুরোনো বুকশেলফের কোনো অংশ ভেঙে গেছে, পায়া নষ্ট হয়ে গেছে বা এই বুকশেলফটি পরিবর্তন করে
১ ঘণ্টা আগেবিদেশ ভ্রমণে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ অনেক সময় প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায়। নতুন দেশে গিয়ে সিম কেনার আগে পর্যন্ত নিয়মিত যোগাযোগ থেকে অনেক সময় বিচ্ছিন্ন থাকতে হয়। তবে এর বিকল্প হিসেবে দেশের সিম দিয়ে রোমিং সুবিধা নেন অনেকে। তবে এর জন্য ডলারে পেমেন্ট করতে হয়। যেটি কারও কারও জন্য বিপত্তি তৈরি করে।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের মানুষের জাতীগত বড় সমস্যা হলো, তারা মনে করে পৃথিবীর সব ‘প্রথম’ ও ‘সবচেয়ে বড় বা ছোট’র রেকর্ড থাকবে শুধু তাদের অধিকারে। কিন্তু না। আপনি যদি ভোরবেলা হাঁসের মাংসে খেতে যেতে পারেন, তো অন্য অনেকে আপনাকে টেক্কা দিয়ে রাত ও ভোরের সঙ্গমস্থলের যে সময়, যাকে উষা নামে ডাকা হয়, সে সময় হাঁসের মাংস...
৪ ঘণ্টা আগে