ওয়াং ছুই ইয়াং জিনিয়া
চীনের হুবেই প্রদেশের শিয়াংইয়াং শহরে হান নদীর বড় দ্বীপ ইউলিয়াংচৌ। একসময় এটি পরিচিত ছিল ‘বনসাই দ্বীপ’ নামে। তবে এখন একে বলা হয় হান নদীর মুক্তা।
ইউলিয়াংচৌতে হেঁটে গেলে মনে হয়, যেন লম্বা ও শান্ত এক চিত্রপটের মধ্য দিয়ে হাঁটছেন। সেখানে পাহাড়, নদী, মানুষ আর শহর—সবাই একসঙ্গে মিলেমিশে এক সুরেলা গল্প বলে যাচ্ছে। তবে এই দ্বীপের গল্প সব সময় এমন রঙিন ছিল না। ইউলিয়াংচৌ একসময় ছিল স্রেফ নদীর মধ্যে এক অনাবাদি দ্বীপ। মাটি ছিল বালুময় আর গাছগাছালি দুষ্প্রাপ্য। প্রাণের স্পন্দন খুঁজে পাওয়া যেত না এখানে। তবে পুরো দ্বীপে সবুজায়ন প্রকল্প হাতে নিয়ে এর চেহারা বদলে ফেলে শহর কর্তৃপক্ষ।
বালু নিয়ন্ত্রণে আনার পর সেখানে সবুজের চাদর পেতে দেওয়া হয়। বানানো হয় এক শক্তপোক্ত পরিবেশগত ঢাল।
মাটির উর্বরতা শক্তি বাড়ানো হয়, পানি ও মাটি সংরক্ষণের ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। ফলে গাছ লাগালে টিকে যেত। মোটকথা হলো, ‘সবুজ’ নামের এক ম্যাজিক সেখানে কাজ করা শুরু করে। সে কারণে এখন সেই বনসাই দ্বীপ পরিণত হয়েছে শিয়াংইয়াং শহরের সবচেয়ে বড় নগরকেন্দ্রিক ইকোলজিক্যাল পার্কে।
ইউলিয়াংচৌর ৭ হাজার ৩৮ একর জমিতে রোপণ করা হয়েছে ২৩ লাখের বেশি গাছের চারা। ইউলিয়াংচৌ ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট জোনের ৭৫ শতাংশের বেশি এলাকা এখন সবুজ। এমনকি দ্বীপ ঘিরে ২৩ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি ল্যান্ডস্কেপ বেল্টও নির্মাণ করা হয়েছে।
এই সবুজ উন্নয়ন শুধু পরিবেশের সৌন্দর্য বাড়ায়নি, শিল্পের ক্ষেত্রেও প্রাণ সঞ্চার করেছে। পরিবেশগত বিশেষত্বকে কাজে লাগিয়ে ইউলিয়াংচৌতে গড়ে তোলা হয়েছে সাংস্কৃতিক ও পর্যটনশিল্প। সেখানকার সেন্ট্রাল ইকোলজিক্যাল পার্ক এবং আইল্যান্ড পার্ক এখন দর্শনার্থীদের ভিড়ে মুখর। এ ছাড়া সেখানে তৈরি হয়েছে বড় বড় সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়ার ক্ষেত্র। এগুলো হয়ে উঠেছে চীনের অর্থনীতির নতুন কেন্দ্র। ফলে ইউলিয়াংচৌর খ্যাতি ও আকর্ষণ ক্রমাগত বেড়ে চলেছে।
এখানকার এক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেছেন, ‘গত বছর সেন্ট্রাল ইকোলজিক্যাল পার্ক, আইল্যান্ড পার্ক ও ল্যাভেন্ডার ম্যানর মিলিয়ে ৫৬ লাখের বেশি পর্যটক এসেছেন। কোনো কোনো দিন দর্শনার্থীর সংখ্যা ছাড়িয়ে যায় ১ লাখ।’
চলতি বছর চীনের ১৪তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার এক গুরুত্বপূর্ণ বছর। একই সঙ্গে পঞ্চদশ পরিকল্পনার সূচনাও এই বছর। তাই পুরো বছর ইউলিয়াংচৌতে আয়োজন করা হয়েছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া উৎসব।
ইউলিয়াংচৌর সবুজ জাদু আসলে শিয়াংইয়াং শহরের পরিবেশ ও সভ্যতা নির্মাণের এক ক্ষুদ্র প্রতিচ্ছবি। তবে আশা করা যায়, সবুজ তুলি দিয়ে আরও অনেক স্বপ্ন আঁকবে এই দ্বীপ। আর হান নদীর বুকে সেই ‘মুক্তা’ উজ্জ্বল হয়ে থাকবে।
লেখক: সংবাদকর্মী, সিএমজি বাংলা
চীনের হুবেই প্রদেশের শিয়াংইয়াং শহরে হান নদীর বড় দ্বীপ ইউলিয়াংচৌ। একসময় এটি পরিচিত ছিল ‘বনসাই দ্বীপ’ নামে। তবে এখন একে বলা হয় হান নদীর মুক্তা।
ইউলিয়াংচৌতে হেঁটে গেলে মনে হয়, যেন লম্বা ও শান্ত এক চিত্রপটের মধ্য দিয়ে হাঁটছেন। সেখানে পাহাড়, নদী, মানুষ আর শহর—সবাই একসঙ্গে মিলেমিশে এক সুরেলা গল্প বলে যাচ্ছে। তবে এই দ্বীপের গল্প সব সময় এমন রঙিন ছিল না। ইউলিয়াংচৌ একসময় ছিল স্রেফ নদীর মধ্যে এক অনাবাদি দ্বীপ। মাটি ছিল বালুময় আর গাছগাছালি দুষ্প্রাপ্য। প্রাণের স্পন্দন খুঁজে পাওয়া যেত না এখানে। তবে পুরো দ্বীপে সবুজায়ন প্রকল্প হাতে নিয়ে এর চেহারা বদলে ফেলে শহর কর্তৃপক্ষ।
বালু নিয়ন্ত্রণে আনার পর সেখানে সবুজের চাদর পেতে দেওয়া হয়। বানানো হয় এক শক্তপোক্ত পরিবেশগত ঢাল।
মাটির উর্বরতা শক্তি বাড়ানো হয়, পানি ও মাটি সংরক্ষণের ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। ফলে গাছ লাগালে টিকে যেত। মোটকথা হলো, ‘সবুজ’ নামের এক ম্যাজিক সেখানে কাজ করা শুরু করে। সে কারণে এখন সেই বনসাই দ্বীপ পরিণত হয়েছে শিয়াংইয়াং শহরের সবচেয়ে বড় নগরকেন্দ্রিক ইকোলজিক্যাল পার্কে।
ইউলিয়াংচৌর ৭ হাজার ৩৮ একর জমিতে রোপণ করা হয়েছে ২৩ লাখের বেশি গাছের চারা। ইউলিয়াংচৌ ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট জোনের ৭৫ শতাংশের বেশি এলাকা এখন সবুজ। এমনকি দ্বীপ ঘিরে ২৩ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি ল্যান্ডস্কেপ বেল্টও নির্মাণ করা হয়েছে।
এই সবুজ উন্নয়ন শুধু পরিবেশের সৌন্দর্য বাড়ায়নি, শিল্পের ক্ষেত্রেও প্রাণ সঞ্চার করেছে। পরিবেশগত বিশেষত্বকে কাজে লাগিয়ে ইউলিয়াংচৌতে গড়ে তোলা হয়েছে সাংস্কৃতিক ও পর্যটনশিল্প। সেখানকার সেন্ট্রাল ইকোলজিক্যাল পার্ক এবং আইল্যান্ড পার্ক এখন দর্শনার্থীদের ভিড়ে মুখর। এ ছাড়া সেখানে তৈরি হয়েছে বড় বড় সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়ার ক্ষেত্র। এগুলো হয়ে উঠেছে চীনের অর্থনীতির নতুন কেন্দ্র। ফলে ইউলিয়াংচৌর খ্যাতি ও আকর্ষণ ক্রমাগত বেড়ে চলেছে।
এখানকার এক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেছেন, ‘গত বছর সেন্ট্রাল ইকোলজিক্যাল পার্ক, আইল্যান্ড পার্ক ও ল্যাভেন্ডার ম্যানর মিলিয়ে ৫৬ লাখের বেশি পর্যটক এসেছেন। কোনো কোনো দিন দর্শনার্থীর সংখ্যা ছাড়িয়ে যায় ১ লাখ।’
চলতি বছর চীনের ১৪তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার এক গুরুত্বপূর্ণ বছর। একই সঙ্গে পঞ্চদশ পরিকল্পনার সূচনাও এই বছর। তাই পুরো বছর ইউলিয়াংচৌতে আয়োজন করা হয়েছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া উৎসব।
ইউলিয়াংচৌর সবুজ জাদু আসলে শিয়াংইয়াং শহরের পরিবেশ ও সভ্যতা নির্মাণের এক ক্ষুদ্র প্রতিচ্ছবি। তবে আশা করা যায়, সবুজ তুলি দিয়ে আরও অনেক স্বপ্ন আঁকবে এই দ্বীপ। আর হান নদীর বুকে সেই ‘মুক্তা’ উজ্জ্বল হয়ে থাকবে।
লেখক: সংবাদকর্মী, সিএমজি বাংলা
যারা হাইকিং ভালোবাসেন এবং পৃথিবীর বিভিন্ন ট্রেইলে হাইকিং করে থাকেন, তাঁদের অনন্য অভিজ্ঞতা দেবে থাইল্যান্ডের ট্রেইলগুলো। এসব ট্রেইল ধরে হাঁটার সময় এক ভিন্ন রকম উপকূলীয় সৌন্দর্য এবং থাইল্যান্ডের এক ভিন্ন রকম সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হওয়া যাবে। ঘন জঙ্গল, ধানখেত, কুয়াশাচ্ছন্ন পাহাড় ও পাহাড়ের ওপরের মন্
৫ ঘণ্টা আগেপড়ন্ত দুপুরে আমরা তিনজন। বাগানের আঁকাবাঁকা পথ অতিক্রম করতে হবে, এই ভেবে বাইক সঙ্গে নিলাম। চৌহাট্টা, আম্বরখানা, লাক্কাতুরা চা-বাগানকে পাশ কাটিয়ে মিনিট দশেকের মধ্যে আমরা পৌঁছে গেলাম দেশের প্রথম চা-বাগান মালনীছড়ার মূল কার্যালয়সংলগ্ন রাস্তার মাথায়। বাগানটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৮৫৪ সালে।
৫ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির কারণে বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের আগ্রহ কমেছে। কিন্তু ভারতীয় পর্যটকদের মধ্যে দেশটিতে ভ্রমণের আগ্রহ বেড়েছে। সম্প্রতি ভ্রমণবিষয়ক ওয়েবসাইট স্কিফট রিসার্চের এক বিশেষ জরিপে দেখা গেছে, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বের কারণে কানাডা,
৫ ঘণ্টা আগেপর্যটকবান্ধব দেশ শ্রীলঙ্কা। সৈকত, বন্য প্রাণী, প্রাচীন মন্দির দেখতে দেশটিতে ব্যয় আছে বেশ। চলুন, দেখে নেওয়া যাক, শ্রীলঙ্কা ভ্রমণ ব্যয় কমানোর উপায়গুলো কী।
৫ ঘণ্টা আগে