Ajker Patrika

এক দিনে ঘুরে আসুন ঝরনার দেশ মিরসরাই থেকে

মুহাম্মদ জাভেদ হাকিম 
এই বর্ষায় ঝরনা দেখতে যেতে পারেন চট্টগ্রামের মিরসরাই। ছবি: দে ছুট ভ্রমণ সংঘ
এই বর্ষায় ঝরনা দেখতে যেতে পারেন চট্টগ্রামের মিরসরাই। ছবি: দে ছুট ভ্রমণ সংঘ

চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই এমনই এক জায়গা, যেখানে আছে অনেক প্রাকৃতিক ঝরনা আর বৈচিত্র্যময় প্রকৃতি। ফলে এই বর্ষাকালে সেখানে না গিয়ে উপায় কি!

আহা রে আহা রে, আবারও পাহাড়ে বলে বেরিয়ে পড়লাম। ঝিরি, জঙ্গল আর পাহাড়ে ট্রেকিং ট্রেইলের কথা এলেই মনের ভেতর ঝিলমিল করে ওঠে। সারা রাত খোশগল্প করতে করতে সকাল ৭টায় পৌঁছাই গন্তব্যে। বারইয়ারহাটে গাইড নিজাম আমাদের স্বাগত জানালেন। আমবাড়িয়া ছোট বাজারের ঝুপড়ি হোটেলে নাশতা সেরে নিই। ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ৮টা।

আজ সারা দিনের জন্য দুই পা হবে ভরসা। তাই মাপমতো বাঁশ নিয়ে প্রথমে বোয়ালিয়া ঝরনার দিকে রওনা হলাম। পাহাড়ি পথে আপনার সবচেয়ে কাছের বন্ধু হবে বাঁশ। খুব স্বল্প সময়ে চলে গেলাম বোয়ালিয়া ঝরনার কাছে। সারা দিনে মোট সাতটি ঝরনা দেখার পরিকল্পনা।

বোয়ালিয়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে যেন সবাই আত্মহারা। অবিরাম ঝরে পড়া পানিতে শুরু হলো জলকেলি। এরপরে আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেলাম। তখন দেহমনে শুধুই নিসর্গ। কিছু দূরে পেয়ে গেলাম পালাকাটা কুম। কারও কারও মতে বাউশ্যা ঝরনা। নামে কীই-বা আসে যায়। সৌন্দর্যই মুখ্য বিষয়। রিমঝিম শব্দ আর সৌন্দর্যই হলো ঝরনার অলংকার।

এবার পাহাড়ের ঝিরিপথ ট্রেইল করে যাচ্ছি আন্ধারমানিক ঝরনার দিকে। দুপাশের গাছের ডালপালা এমনভাবে একে অন্যের সঙ্গে জড়িয়ে আছে, যেন দিনের আলো সেখানে মুখ লুকিয়েছে। ভরদুপুরেও মনে হচ্ছে সন্ধ্যা! আন্ধারমানিক ট্রেইলের সেই সৌন্দর্যের বর্ণনা ভাষায় প্রকাশ করা সত্যিই কঠিন। প্রায় ৭০ ফুট ওপর থেকে অবিরাম ধারায় ঝরে পড়া পানিতে শরীর ভিজিয়ে নিই আরও একবার। তারপর রওনা দিই তিন নম্বর ছড়া ঝরনার উদ্দেশে।

বেশ কিছু দৃষ্টিনন্দন ক্যাসকেড ও রোমাঞ্চকর ট্রেইল অতিক্রম করে চলেছি ঝরনার রাজা নোহাতে খুম। উচ্চতা খুব একটা নয়; তবে নোহাতের নিসর্গ অপার। ঝরনার চারপাশে পাথরের ভাঁজে ভাঁজে প্রাকৃতিকভাবে খাঁজ কাটা বেঞ্চের মতো। বেশ কিছুটা সময় নোহাতে খুমের সাহচর্যে থেকে ছুটলাম কলাতলী ঝরনার পথে। যাচ্ছি আর ভাবছি, পথের যে বুনো পরিবেশ, তাতে এবার মনে হয়, আমাদের না আবার টারজানের ভূমিকা পালন করতে হয়! যা ভেবেছি, তা-ই সত্যি। অনেক দিন পর লতাগুল্ম ধরে ঝুলেছি। আমার নাদুসনুদুস দেহটা বরাবরই রনি আর ইউশার সাহায্যে পার পেয়েছে। একটা সময় নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের এমন ঝিরিপথ এল, যা ছিল অকল্পনীয়। হাঁটু পর্যন্ত দেবে যাওয়া কাদামাটি। গা ছমছম করা নৈঃশব্দ্যের প্রকৃতি, কালো চিংড়ির ছোটাছুটি, ডুমুরের বুনো গন্ধ, নাম না জানা বাহারি রঙের ফুলের সৌরভ! আরও অনেক কিছু দেখতে দেখতে কানে ভেসে আসে রিমঝিম শব্দ। অনেকটা পথ হাঁটায় সবাই যখন কিছুটা ক্লান্ত, তখন ঝিরির পানিতে শুয়ে-বসে কিছুক্ষণ জিরিয়ে নিয়ে আবারও হাঁটা শুরু। অল্প সময় পরেই দেখা মেলে রূপসী কন্যার!

ভিন্ন পরিবেশে এক অন্য রকম সৌন্দর্যের কলাতলী ঝরনা। কাপ পাহাড় থেকে প্রায় ১০০ ফুট ওপর থেকে সরাসরি পড়ছে ঝরনার পানি। প্রতিটি ঝরনাই তার নিজস্ব রূপে উজ্জ্বল। স্বচক্ষে না দেখা পর্যন্ত এর রূপ বর্ণনা করা কঠিন।

স্বভাবসুলভ অভ্যাস অনুযায়ী এবার একটু ঝুঁকি নিয়ে আরেকটু ওপরে উঠে মনমাতানো কলাতলী ঝরনার পানিতে মেতে উঠি আনন্দে। এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, গড়িয়ে নয়, সরাসরি পাহাড় থেকে পড়ে পানি। বাড়ির শাওয়ার থেকে যেমন পানি পড়ে, ঠিক তেমনি। ঝরনার পানিতে আছে এক দুর্নিবার আকর্ষণ। আপনি যতই ভিজবেন, স্বাদ মিটবে না।

সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মোট ৬টি ঝরনায় অবগাহনের পরও যেন আমাদের তৃপ্তি মিটল না। অন্ধকার নেমে আসায় কেম্বাতলী ঝরনা দেখার মিশন বাদ রেখে ফেরার পথ ধরতে হলো আমাদের। তবে ফিরছি বৈবাঙ্গা পাহাড় দিয়ে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা আনুমানিক ১ হাজার ফুট। দেহকে জোঁকের কাছে সমর্পণ করে আমরা হাঁটছি পাহাড়ি জঙ্গল পথ ধরে। কোথাও কোথাও এতটা ঘন জঙ্গল আর খাড়া পথ যে পা পিছলে গেলেই শেষনিশ্বাস ত্যাগ করতে হতে পারে। এর মধ্যে আবার সারা দিন থেমে থেমে চলছে বৃষ্টি। আপনারা নিশ্চয় বুঝতে পারছেন, কেমন পিচ্ছিল পথ।

কীভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী যেকোনো পরিবহনে মিরসরাই যেতে হবে। সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় আমবাড়িয়া ব্র্যাক পোলট্রি। এর পাশেই ঝুপড়ি হোটেলে খুঁজলে পাবেন গাইড। তাদের সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেন মাত্র ৫০০ থেকে ৭০০ টাকার বিনিময়ে। গাইড নিয়ে যাওয়া ভালো। রাতের বাসে চড়ে সকালে মিরসরাই নেমে সারা দিন ঘুরে আবার রাতের বাসেই ফিরতে পারবেন।

খাওয়াদাওয়া

খাওয়াদাওয়ার সেখানে তেমন ভালো রেস্টুরেন্ট নেই। তাই সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনো খাবার এবং পানি রাখবেন। রাত্রি যাপন করতে চাইলে বারইয়ারহাট এলাকায় সাধারণ মানের বোর্ডিংয়ে থাকা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টিভির ব্রেকিং নিউজে এনসিপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে যা বললেন তাজনুভা জাবীন

জন্মস্থানে প্রথমবার ভোটের লড়াইয়ে নামছেন খালেদা জিয়া

দলে দলে নিউজিল্যান্ড ছাড়ছে মানুষ, কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় কেন যাচ্ছে

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

৭-৮ নভেম্বর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে পারে এনসিপি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সবুজ, লাল নাকি হলুদ, কোন ক্যাপসিকাম বেশি পুষ্টিকর

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
প্রতিদিন বিভিন্ন রঙের ক্যাপসিকাম খেলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, চোখ ও ত্বকের স্বাস্থ্য, হৃদ্‌যন্ত্রের সুরক্ষা এবং কোষের সঠিক কার্যক্রম নিশ্চিত করা সম্ভব। ছবি: ফ্রিপিক
প্রতিদিন বিভিন্ন রঙের ক্যাপসিকাম খেলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, চোখ ও ত্বকের স্বাস্থ্য, হৃদ্‌যন্ত্রের সুরক্ষা এবং কোষের সঠিক কার্যক্রম নিশ্চিত করা সম্ভব। ছবি: ফ্রিপিক

ক্যাপসিকাম শুধু দেখতেই সুন্দর নয়, পুষ্টিতেও ভরপুর। কম ক্যালরিযুক্ত হলেও এতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, বি৬ পটাশিয়াম, ফোলেট এবং নানা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ফলে এটি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ত্বক ও দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমায়।

সালাদে কাঁচা বা হালকা ভাজা ক্যাপসিকাম প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখা ভালো। বাজারে প্রধানত তিন রঙের পাওয়া যায় সবুজ, লাল এবং হলুদ। যদিও সবই পুষ্টিকর, কিন্তু প্রতিটি রঙের নিজস্ব গুণাগুণ রয়েছে।

সবুজ ক্যাপসিকাম ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ছবি: ফ্রিপিক
সবুজ ক্যাপসিকাম ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ছবি: ফ্রিপিক

সবুজ ক্যাপসিকামের পুষ্টিগুণ

১০০ গ্রাম কাঁচা সবুজ ক্যাপসিকামে থাকে

পানি: ৯৩.৮ গ্রাম

ক্যালরি: ২০

প্রোটিন: ০.৮৬ গ্রাম

কার্বোহাইড্রেট: ৪.৬ গ্রাম

ফাইবার: ১.৭ গ্রাম

ভিটামিন সি: ৮০.৪ মিলিগ্রাম

ভিটামিন এ: দৈনিক প্রয়োজনের ২ শতাংশ

ভিটামিন কে, ফোলেট ও পটাশিয়ামও থাকে ভালো পরিমাণে।

সবুজ ক্যাপসিকামের উপকারিতা

সবুজ ক্যাপসিকাম ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও ত্বকের জন্য কোলাজেন তৈরি করতে সাহায্য করে। এতে থাকা ভিটামিন ‘কে’ হাড় ও হৃদ্‌যন্ত্রের জন্য উপকারী। ভিটামিন ‘এ’ চোখের স্বাস্থ্য ও ত্বকের জন্য প্রয়োজন। এ ছাড়া ফোলেট কোষ বিভাজন ও ডিএনএ গঠনে সহায়তা করে, আর পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট লুটিন ও জিয়াজ্যানথিন চোখকে সুরক্ষা দেয় এবং বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন প্রতিরোধে সাহায্য করে। ফাইবার থাকায় এটি হজমে সাহায্য করে এবং পেটের সমস্যা যেমন কোলোন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।

লাল ক্যাপসিকামের পুষ্টিগুণ

লাল ক্যাপসিকাম সাধারণত সবচেয়ে পুষ্টিকর। ছবি: ফ্রিপিক
লাল ক্যাপসিকাম সাধারণত সবচেয়ে পুষ্টিকর। ছবি: ফ্রিপিক

১০০ গ্রাম লাল ক্যাপসিকামে থাকে—

পানি: ৯২.২ গ্রাম

ক্যালরি: ২৬

প্রোটিন: ০.৯৯ গ্রাম

কার্বোহাইড্রেট: ৬.০৩ গ্রাম

ফাইবার: ২.১ গ্রাম

ভিটামিন সি: ১২৮ মিলিগ্রাম

এ ছাড়া থাকে ভিটামিন এ, বি৬, পটাশিয়াম, ফোলেট।

লাল ক্যাপসিকামের উপকারিতা

লাল ক্যাপসিকাম পুরোপুরি পাকা এবং পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এতে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ আছে, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, কোলাজেন তৈরি করে এবং ত্বককে স্বাস্থ্যবান রাখে। ভিটামিন এ ও বি৬ মস্তিষ্ক ও চোখের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

এতে থাকা লাইকোপিন ও বিটা-ক্যারোটিন প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং দীর্ঘমেয়াদি রোগ যেমন হৃদ্‌রোগ, ক্যানসার ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস করে। লাল পেপারের মিষ্টি স্বাদ সালাদ, স্যান্ডউইচে ব্যবহার করা যায়।

হলুদ ক্যাপসিকামের পুষ্টিগুণ

ভিটামিন ‘সি’ সবচেয়ে বেশি থাকে হলুদ ক্যাপসিকামে। ছবি: ফ্রিপিক
ভিটামিন ‘সি’ সবচেয়ে বেশি থাকে হলুদ ক্যাপসিকামে। ছবি: ফ্রিপিক

প্রতি ১০০ গ্রাম হলুদ ক্যাপসিকামে থাকে—

পানি: ৯২ গ্রাম

ক্যালরি: ২৭

প্রোটিন: ১ গ্রাম

কার্বোহাইড্রেট: ৬.৩ গ্রাম

ফাইবার: ০.৯ গ্রাম

ভিটামিন সি: ১৮৪ মিলিগ্রাম

এ ছাড়া থাকে ভিটামিন এ, বি৬, পটাশিয়াম, ফোলেট।

হলুদ ক্যাপসিকামের উপকারিতা

ভিটামিন ‘সি’ সবচেয়ে বেশি থাকে হলুদ ক্যাপসিকামে। এটি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, কোষকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং প্রদাহ কমায়। ভিটামিন ‘এ’ চোখের জন্য, বি৬ মস্তিষ্কের জন্য প্রয়োজনীয়। পটাশিয়াম ও ফোলেট হৃদ্‌যন্ত্র ও কোষের স্বাভাবিক কার্যক্রমে সহায়ক।

ফাইবার থাকায় হজম ঠিক রাখে, পেটের সমস্যা কমায় এবং কম ক্যালরিযুক্ত হওয়ায় ডায়েটের জন্য উপযুক্ত। হলুদ ক্যাপসিকাম সহজে খাওয়া যায়।

কোনটি বেছে নেবেন?

সব রঙের ক্যাপসিকামই পুষ্টিকর, তবে—

লাল ক্যাপসিকাম সাধারণত সবচেয়ে পুষ্টিকর। পুরোপুরি পাকা হওয়ায় এতে ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বেশি থাকে।

হলুদ ক্যাপসিকাম ভিটামিন ‘সি’র দিক দিয়ে সবচেয়ে সমৃদ্ধ। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ।

সবুজ ক্যাপসিকাম হালকা স্বাদের পাশাপাশি চোখ, হাড় ও হজমের জন্য উপকারী।

সারা দিনে বিভিন্ন রঙের ক্যাপসিকাম খেলে শরীর নানা ধরনের ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পায়। প্রতিদিনই এক বা একাধিক রঙের ক্যাপসিকাম খাওয়া স্বাস্থ্যকর। ডা. আর্চনা বাত্রা, ভারত

খাওয়ার সহজ উপায়

  • কাঁচা স্লাইস করে খাওয়া
  • টুকরো করে সালাদে মেশানো
  • হালকা ভেজে খাওয়া

সবুজ, লাল বা হলুদ তিন রঙের ক্যাপসিকাম পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। প্রতিটি রঙের নিজস্ব গুণাগুণ রয়েছে, তবে লাল ক্যাপসিকাম সাধারণত সবচেয়ে পুষ্টিকর, হলুদ রঙে ভিটামিন ‘সি’র পরিমাণ বেশি। প্রতিদিন বিভিন্ন রঙের ক্যাপসিকাম খেলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, চোখ ও ত্বকের স্বাস্থ্য, হৃদ্‌যন্ত্রের সুরক্ষা এবং কোষের সঠিক কার্যক্রম নিশ্চিত করা সম্ভব।

সূত্র: হেলথশট

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টিভির ব্রেকিং নিউজে এনসিপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে যা বললেন তাজনুভা জাবীন

জন্মস্থানে প্রথমবার ভোটের লড়াইয়ে নামছেন খালেদা জিয়া

দলে দলে নিউজিল্যান্ড ছাড়ছে মানুষ, কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় কেন যাচ্ছে

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

৭-৮ নভেম্বর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে পারে এনসিপি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১০: ৫৩
আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

মেষ

আজ আপনার তেজ এবং উদ্দীপনা আকাশ ছুঁয়েছে। সমস্যা হলো, এই পুরো শক্তি ভুল জায়গায় ব্যবহার করতে পারেন। হয়তো চা বানাতে গিয়ে ভুল করে মাইক্রোওয়েভে ডিম সেদ্ধ করার চেষ্টা করবেন, অথবা অফিসে সহকর্মীর কলম চুরি হওয়া নিয়ে একটি রীতিমতো গোয়েন্দা অভিযান শুরু করে দেবেন। আপনার জন্য আজকের পরামর্শ: ‘শক্তিকে কাজে লাগান, তবে মাথাটাও লাগান!’ রাস্তায় হাঁটার সময় কোনো পাগলের সঙ্গে তর্ক করতে যাবেন না। সে আজ যুক্তিতে আপনাকে হারিয়ে দেবে।

বৃষ

আজকের দিনটি আপনার জন্য খাদ্য ও বিলাসের এক মহামিলন। প্রধান আর্থিক সিদ্ধান্ত হবে: ‘অতিরিক্ত একটি চিজ বার্গার অর্ডার করব, নাকি করব না?’ গ্রহ-নক্ষত্র বলছে, দ্বিধা করবেন না, সর্বদা ‘হ্যাঁ, অবশ্যই করব’ বলেন। তবে মনে রাখবেন, আলস্য আজ আপনার সেরা বন্ধু হতে পারে। আপনি এমন কঠিন কাজগুলো এড়িয়ে যাবেন, যা শোয়ার জায়গা থেকে দেড় মিটারের বেশি দূরে। যদি কোনো কাজ চেয়ার ছেড়ে উঠতে বাধ্য করে, তবে কাজটি আগামীকাল করার কথা ভাবুন।

মিথুন

আপনার ভেতরের দুটি সত্তা আজ চূড়ান্ত দ্বন্দ্বে লিপ্ত। একজন চাইবে একটি নতুন দক্ষতা শিখতে (যেমন চীনা ভাষা বা পান সাজানো), আর অন্যজন চাইবে শুধু বিছানায় শুয়ে ইন্টারনেট স্ক্রল করতে। দিনটি কাটবে মূলত নিজের সঙ্গেই তুমুল ঝগড়া করে। আপনি আয়নার সামনে গিয়ে নিজেকে বলবেন, ‘তুমি আমার জীবন নষ্ট করে দিচ্ছ!’ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একটি কয়েন টস করুন। এটি অন্তত আপনার একটি সত্তাকে কিছুক্ষণের জন্য চুপ করিয়ে দেবে। আজ কোনোভাবেই আয়নার দিকে তাকিয়ে বেশি হাসবেন না। নিজের হাসির প্রতিক্রিয়া দেখে আপনি আরও বিভ্রান্ত হতে পারেন।

কর্কট

আজ আপনার সংবেদনশীলতার মিটার ফুল স্কেলে! আপনি ডিটারজেন্টের বিজ্ঞাপনে আবেগের দৃশ্য দেখে কেঁদে ফেলতে পারেন অথবা সামান্য ট্রাফিকের শব্দে জীবন নিয়ে গভীর দার্শনিক চিন্তায় ডুবে যেতে পারেন। মনে হবে যেন সবাই আপনার শত্রু এবং আপনাকে আঘাত করার জন্যই পৃথিবীতে এসেছে। ফলস্বরূপ আপনি হয়তো একটি বিশাল বালিশের দুর্গ বানিয়ে তার ভেতরে লুকিয়ে থাকবেন। জরুরি অবস্থার জন্য আপনার বালিশের দুর্গে স্ন্যাকস এবং চকলেট মজুত রাখুন। আগে নিজে বাঁচুন, পরে পৃথিবী সামলানো যাবে। বালিশের দুর্গ থেকে না বেরিয়েও সফলভাবে টিভি রিমোট খুঁজে বের করাই হবে আজ দিনের সেরা অর্জন। মনে রাখবেন, ভাগ্য বলুন বা রাশিফল, সবচেয়ে বড় শক্তি হলো আপনার হাসির ক্ষমতা! উপভোগ করুন!

সিংহ

আজকের দিনটি আপনার জন্য স্পটলাইট! সমস্যা হলো, স্পটলাইটটা আজ আপনার দিকে ঘুরে আলমারি বা বাথরুমের ভুল জায়গায় ফোকাস করবে। আপনি চাইবেন সবাই আপনার প্রশংসা করুক, কিন্তু তারা হয়তো শুধু দেখবে আপনার জুতার তলায় লেগে থাকা চুইংগাম। আজকে ট্রাফিক জ্যাম মেজাজ খারাপ করবে। নিজেকে একটু আড়াল করুন। আজকের দিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন।

কন্যা

পারফেকশন আপনার রক্তে। আপনি হয়তো পুরো দিনটা কাটাবেন টুথব্রাশের ব্রিসলগুলো ঠিকঠাক সারিতে আছে কি না, তা নিশ্চিত করতে। যদি জীবনের কোনো কিছু আজ ০.০০১ শতাংশও এদিক-ওদিক হয়, তবে হয়তো পৃথিবী উল্টে দেবেন। মস্তিষ্কে আজ একটি চেকলিস্ট আছে, যা শেষ হওয়া অসম্ভব। বুক ভরে শ্বাস নিন। পৃথিবীটা এলোমেলো, বিশৃঙ্খল এবং এটিই তার সৌন্দর্য। একটি মশা আজ ঠিক আপনার টেবিলে ল্যান্ড করলেও তাকে মাফ করে দিন। এমন একটি জিনিস খুঁজে বের করুন, যা ত্রুটিপূর্ণ এবং সেটিকে সানন্দে উপেক্ষা করুন—এটিই আপনার জন্য আজকের পরামর্শ।

তুলা

আজ আপনার জীবন হলো একটি ভারসাম্যপূর্ণ দাঁড়িপাল্লা, যার একদিকে আছে সব কাজ ফেলে রেখে সিরিজ দেখা, আর অন্যদিকে আছে ‘আমার তো অনেক কাজ’— এই অপরাধবোধ। দিনের শেষে দেখা যাবে, দুটিই সমান ভারী এবং কাজ কিছুই হয়নি। সিদ্ধান্ত নিতে এতটাই বেশি সময় নেবেন যে, প্রিয় খাবারটা ততক্ষণে ঠান্ডা হয়ে যাবে। আজ যা ভালো লাগে, তা-ই করুন। কাউকে খুশি করতে যাবেন না। কারণ, তাতে ব্যালেন্স স্কেল বিগড়ে যাবে। অন্য কাউকে আপনার হয়ে রাতের খাবার অর্ডার করতে দিন—এটা সব দিক থেকে ভালো হবে।

বৃশ্চিক

আজ মস্তিষ্ক একটু বেশি সক্রিয় থাকবে, চিন্তাভাবনায় খুব উগ্র থাকবেন, সম্ভবত একটি সরল প্রশ্নকেও গভীর ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বলে মনে করবেন। যদি কেউ আপনাকে বলে, ‘আজ আবহাওয়া ভালো’, আপনি সঙ্গে সঙ্গে ভাববেন, ‘হঠাৎ আমার সঙ্গে এই কথা কেন, নিশ্চয়ই এর পেছনে অন্য উদ্দেশ্য থাকতে পারে!’ আপনার ভেতরের গোয়েন্দা আজ ওভারটাইম ডিউটি করবে। কোনো ইমোজি ব্যবহার করে মেসেজ পাঠাবেন না। এর ফল মারাত্মক হতে পারে। কারণ, প্রতিটি ইমোজির গভীর অর্থ খুঁজতে গিয়ে গুবলেট পাকিয়ে ফেলতে পারেন। নিজের ফোনটা আজ বারবার চেক করা বন্ধ করুন। কারণ, আপনাকে কেউ ফলো করছে না।

ধনু

ভ্রমণের নেশা আজ পেয়ে বসবে। আপনি হয়তো ড্রয়িংরুম থেকেই এক ঘণ্টার মধ্যে গুগল ম্যাপে পৃথিবীর সব কটি দেশের রাজধানী দেখে ফেলবেন। অ্যাডভেঞ্চার আপনার জন্য অপেক্ষা করছে, তবে তা হয়তো রান্নাঘরের ফ্রিজের পেছনে লুকিয়ে থাকা পুরোনো জ্যামের বোতল খুঁজে বের করার মতো ছোটখাটো কিছু হতে পারে। আপনি যে মহান আবিষ্কারটি আজ করতে চলেছেন, তা হয়তো হলো—‘বিছানার নিচে হারিয়ে যাওয়া চাবিটা আসলে আপনার হাতেই ছিল।’ অন্তত একটি দেশের নাম ভুল উচ্চারণ করুন, সেটা নিয়ে আবার গর্বও করুন। তাতে অন্তত অপমানিত হওয়ার অমোঘ নিয়তি থাকার পরও অল্পের ওপর দিয়ে যাবে।

মকর

দায়িত্বের বোঝা আজ কাঁধে হিমালয়ের মতো চেপে বসবে। এতটাই সিরিয়াস থাকবেন যে, কেউ যদি একটি জোকও বলে, আপনি সেটার নৈতিকতা ও কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনা শুরু করে দেবেন। মনে হবে আপনি একাই গোটা পৃথিবীকে চালাচ্ছেন, এমনকি যদি দিনের বেশির ভাগ সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থহীন পোস্ট দেখেও কাটান। আজ অন্তত একবার কোনো কারণ ছাড়াই হাসুন। এটা খুব কঠিন হবে, কিন্তু চেষ্টা করুন। আজই অবসর গ্রহণের পরিকল্পনা করুন, যদিও আপনি সবে ক্যারিয়ার শুরু করেছেন।

কুম্ভ

আজ অন্যদের থেকে এক হাজার বছর এগিয়ে আছেন। আপনার চিন্তাগুলো এতই মৌলিক যে কেউ সেগুলো বুঝতেই পারবে না। যখন সবাই ক্রিকেট নিয়ে কথা বলছে, আপনি তখন হয়তো মঙ্গল গ্রহে জলবায়ু পরিবর্তনের সমাধান নিয়ে গভীরভাবে মগ্ন। ফলস্বরূপ নিজেকে সমাজের ভুল জায়গায় থাকা একজন অ্যালিয়েন বলে মনে করবেন। আজ মানুষের সঙ্গে এমন একটি বিষয়ে কথা বলুন, যা গত ১০ বছরে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আজ আপনার মোজা জোড়া উল্টো করে পরুন। এটা আপনার ব্যক্তিগত বিপ্লব!

মীন

আজ স্বপ্ন আর বাস্তবতার মাঝামাঝি ভাসছেন। কল্পনার জগতে এতটা ডুবে থাকবেন যে বাস্তব জীবনে আপনি হয়তো কফি কাপের বদলে রিমোট কন্ট্রোল দিয়ে কফি বানাতে চাইবেন। আপনার আবেগ আজ একটি সমুদ্র, যেখানে নিজেই ডুবে যেতে পারেন। গুরুত্বপূর্ণ কথোপকথনে ঢোকার আগে কান পরিষ্কার করুন। আপনি হয়তো অর্ধেক কথা ভুল শুনবেন। দিনের শেষে মনে করার চেষ্টা করুন, আপনি স্বপ্ন দেখছিলেন নাকি সত্যিই কাজটি করেছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টিভির ব্রেকিং নিউজে এনসিপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে যা বললেন তাজনুভা জাবীন

জন্মস্থানে প্রথমবার ভোটের লড়াইয়ে নামছেন খালেদা জিয়া

দলে দলে নিউজিল্যান্ড ছাড়ছে মানুষ, কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় কেন যাচ্ছে

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

৭-৮ নভেম্বর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে পারে এনসিপি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সকালে মেথি ভেজানো পানি পান করার উপকারিতা ও নিয়ম

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
মেথির সম্ভাব্য উপকারের মধ্যে রয়েছে হজমশক্তি বাড়াতে সহায়তা করা, রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ উন্নত করা, প্রদাহ কমানো করা ইত্যাদি। ছবি: অনলি মাই হেলথ ডট কম
মেথির সম্ভাব্য উপকারের মধ্যে রয়েছে হজমশক্তি বাড়াতে সহায়তা করা, রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ উন্নত করা, প্রদাহ কমানো করা ইত্যাদি। ছবি: অনলি মাই হেলথ ডট কম

মেথি ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ একটি উদ্ভিদ। এটি সাধারণত রান্নায় মসলা এবং ভেষজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর বীজ কিছুটা তিতা স্বাদের। তবে এই উপাদানটি ভারত, মধ্যপ্রাচ্য এবং ভূমধ্যসাগরীয় রান্নায় ব্যবহৃত হয়। মেথিতে আরও আছে আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ। এর সম্ভাব্য উপকারের মধ্যে রয়েছে হজমশক্তির সহায়তা, রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ উন্নত করা, প্রদাহ হ্রাস করা ইত্যাদি।

মেথি ভেজানো পানি পানের উপকারিতা

মেথি ভেজানো পানি রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়ক বলে প্রমাণিত হয়েছে। ছবি:গুড হাউস কিপিং
মেথি ভেজানো পানি রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়ক বলে প্রমাণিত হয়েছে। ছবি:গুড হাউস কিপিং

উন্নত হজমশক্তি: মেথি পানিতে উচ্চ ফাইবার উপাদান থাকায় এটি বদহজম, পেট ফাঁপা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো হজমের সমস্যা কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটি পুষ্টির শোষণকেও উন্নত করতে পারে।

চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি: মেথি পানি চুল পড়া কমাতে, চুল গজাতে উদ্দীপনা জোগাতে এবং খুশকি বা চুলকানির মতো মাথার ত্বকের সমস্যা প্রতিরোধে সহায়ক বলে মনে করা হয়।

রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি: মেথি পানিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, যা শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমণ এবং রোগ থেকে রক্ষা করে।

ওজন কমাতে সাহায্য করে

মেথি পানি ক্ষুধা কমায়। অন্যদিকে এটি বিপাক হার বাড়ায় এবং ফ্যাট জমা কমাতে সাহায্য করে। এ কারণে এটি ওজন হ্রাসে সহায়তা করতে পারে।

কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস: মেথি পানি খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এমনকি এটি সামগ্রিক হৃদ্‌যন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। নিয়মিত পান করলে এই উপকার পাওয়া যায়।

রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ: মেথি পানি রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়ক বলে প্রমাণিত হয়েছে। এটি ডায়াবেটিস বা ইনসুলিন প্রতিরোধের সমস্যাযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য উপকারী।

প্রদাহরোধী বৈশিষ্ট্য: মেথি পানিতে এমন যৌগ রয়েছে যা প্রদাহরোধী প্রভাব ফেলে। ফলে আর্থ্রাইটিস এবং হাঁপানির মতো প্রদাহ-সম্পর্কিত অবস্থার উপশম ঘটাতে সাহায্য করে।

হরমোনের ভারসাম্য: মেথি পানি এর ফাইটোইস্ট্রোজেন উপাদানের জন্য পরিচিত। বিশেষত মেনোপজের উপসর্গ অনুভব করা নারীদের ক্ষেত্রে এটি হরমোনের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে। যারা মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তপাতের সমস্যায় ভোগেন, মেথি পানি তাঁদের কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে। মেথি জরায়ুর পেশি সংকোচন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, যা অতিরিক্ত প্রবাহ এবং মাসিকের ব্যথা কমাতে পারে। নিয়মিত পান করলে শরীর এই সময়ে সঠিক আয়রনের মাত্রা বজায় রাখতেও সাহায্য করে। মাসিকের সময় মেথি পানি পান করলে রক্তপাতের ভারসাম্য ঠিক থাকে এবং অতিরিক্ত দুর্বল বা ক্লান্ত বোধ করা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি: মেথি পানি নিয়মিত পান করা ব্রণ কমাতে, পরিষ্কার ত্বক বজায় রাখতে এবং ত্বকে স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা দিতে সহায়তা করে। সার্বিকভাবে এটি ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে পারে।

মানসিক চাপ কমায় মেথি পানি

মেথি পানি পান করার অভ্যাস মেজাজ ভালো রাখতে ও মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। শরীরে ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন হরমোনের পরিবর্তনের কারণে অনেক সময় কোনো স্পষ্ট কারণ ছাড়াই আবেগপ্রবণ, দুঃখী বা খিটখিটে লাগতে পারে। বিশেষ করে মাসিকের সময় মেথি ভেজানো পানি পান এই হরমোনগুলোকে ভারসাম্য রাখতে এবং মনকে স্বাভাবিকভাবে শান্ত রাখতে সাহায্য করতে পারে। মেথিতে ম্যাগনেশিয়াম এবং ভিটামিন বি৬-এর মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের সহায়তা করে এবং মানসিক চাপের মাত্রা কমায়। মন যখন শান্ত থাকে, তখন শরীরও ভালো অনুভব করে। একটি লম্বা কর্মময় দিনের শেষে আরাম পেতে আপনি প্রতিদিন একবার, বিশেষত সন্ধ্যায়, উষ্ণ মেথি পানি পান করতে পারেন।

কীভাবে তৈরি করবেন মেথি পানি

মেথি পানি প্রস্তুত করার প্রক্রিয়া বেশ সহজ। এর জন্য প্রথমে ১ থেকে ২ চা চামচ মেথি বীজ এক গ্লাস পানিতে সারা রাত (প্রায় ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা) বা কমপক্ষে ৪ ঘণ্টার জন্য ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খালি পেটে পানি থেকে মেথি ছেঁকে ফেলে দিয়ে পান করুন। হালকা স্বাদ চাইলে বীজগুলো গরম পানিতে ভেজাতে পারেন। চাইলে কয়েক মিনিট জলে ফুটিয়েও নিতে পারেন। অনেকেই বিশ্বাস করেন যে সকালে খালি পেটে মেথি পানি পান করা সবচেয়ে উপকারী। তবে আপনি আপনার পছন্দ বা প্রয়োজন অনুসারে দিনের অন্য যেকোনো সময় এটি পান করতে পারেন।

নিরাপত্তা এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

মেথি বেশির ভাগ মানুষের জন্য আপেক্ষিকভাবে নিরাপদ বলে মনে হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে ডায়রিয়া এবং বদহজমের মতো হালকা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। এ ছাড়া, এটি ক্ষুধা কমিয়ে দিতে পারে। যাঁরা ওজন বাড়াতে চান তাঁদের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। যেহেতু এটি রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে প্রভাব ফেলে, তাই যাঁরা ডায়াবেটিসের ওষুধ বা রক্তে শর্করা কমানোর অন্যান্য সাপ্লিমেন্ট নিচ্ছেন, তাঁদের মেথি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা উচিত।

সূত্র: হেলথ লাইন, হেলথ শর্টস

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টিভির ব্রেকিং নিউজে এনসিপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে যা বললেন তাজনুভা জাবীন

জন্মস্থানে প্রথমবার ভোটের লড়াইয়ে নামছেন খালেদা জিয়া

দলে দলে নিউজিল্যান্ড ছাড়ছে মানুষ, কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় কেন যাচ্ছে

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

৭-৮ নভেম্বর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে পারে এনসিপি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কফি পান করুন দুপুরের আগেই—হার্ভার্ড চিকিৎসকের সাত পরামর্শ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

অনেকের জীবনেই অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে কফি। সকালে এক কাপ গরম কফির সুবাস যেমন একটি সুন্দর দিনের সূচনা করে, তেমনি বিকেলের এক চুমুক ক্লান্তি দূর করে দেয়। কিন্তু হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক ও গবেষক ডা. তৃষা পাসরিচা সতর্ক করেছেন—কফি ঠিকভাবে না খেলে উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হতে পারে। সম্প্রতি তিনি কফি পানের সাতটি স্বাস্থ্যসম্মত উপায় জানিয়েছেন।

প্রতি কাপে এক চামচের বেশি চিনি নয়

২০২২ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা চিনি ছাড়া কফি পান করেন, তাদের মৃত্যুঝুঁকি কম। এমনকি যারা দিনে চার কাপের বেশি কফি পান করেন, তাদের জীবনকালও তুলনামূলক দীর্ঘ হয়। সামান্য (প্রায় এক চা চামচ) চিনি ব্যবহার করলেও তেমন ক্ষতি হয় না।

প্রক্রিয়াজাত কফি ক্রিমার এড়িয়ে চলুন

বেশির ভাগ জনপ্রিয় ক্রিমারে উদ্ভিজ্জ তেল (যেমন পাম বা সয়াবিন তেল) ও অতিরিক্ত চিনি থাকে। এর পরিবর্তে দারুচিনি বা প্রাকৃতিক মসলা ব্যবহার করলে স্বাদ ও স্বাস্থ্যের ভারসাম্য বজায় থাকে।

কৃত্রিম মিষ্টিকারক ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন

আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, কৃত্রিম সুইটনার কফির প্রাকৃতিক উপকারিতা নষ্ট করে দেয়। ডা. পাসরিচা বলেন, এসব বিকল্প মিষ্টি সবাইকে জন্য স্বাস্থ্যকর নয়।

ফ্রেঞ্চ প্রেস ব্যবহার কমান

তিনি জানান, দিনে তিন থেকে পাঁচ কাপ এসপ্রেসো বা ছয় বা ততোধিক কাপ ফ্রেঞ্চ প্রেস কফি পান করলে কোলেস্টেরল বেড়ে যায়। কারণ এতে থাকা ‘ডিটারপিন’ নামক যৌগ লিভারের এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরল অপসারণ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। কাগজের ফিল্টার এই যৌগ আটকে রাখতে পারে।

ইনস্ট্যান্ট ও ডিক্যাফ কফিও ভালো বিকল্প

২০২২ সালের আরেক গবেষণায় বলা হয়েছে, ইনস্ট্যান্ট ও ডিক্যাফ কফিতেও প্রায় একই স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়।

দুপুরের আগে কফি শেষ করুন

২০২৫ সালের এক গবেষণায় ৪০ হাজার মার্কিন নাগরিকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে—যারা দুপুরের আগে কফি খান, তাদের মৃত্যুঝুঁকি ১৬ শতাংশ কম। বিকেল বা রাতে কফি পান করলে ‘মেলাটোনিন’ হরমোনের নিঃসরণ প্রায় ৩০ শতাংশ কমে যায়, যা ঘুম ও দেহঘড়ির ছন্দ নষ্ট করে।

হজম প্রক্রিয়ায় কফির ভূমিকা

কফি পাকস্থলীতে পৌঁছে সঙ্গে সঙ্গে কোলনে সংকোচন ঘটায়—এ কারণেই অনেকের কফি খাওয়ার পর টয়লেটে যেতে হয়। এটি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ও স্বাস্থ্যকর প্রতিক্রিয়া।

তাই, কফিপ্রেমীদের জন্য পরামর্শ হলো—কফি পান করুন, তবে বুঝেশুনে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টিভির ব্রেকিং নিউজে এনসিপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে যা বললেন তাজনুভা জাবীন

জন্মস্থানে প্রথমবার ভোটের লড়াইয়ে নামছেন খালেদা জিয়া

দলে দলে নিউজিল্যান্ড ছাড়ছে মানুষ, কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় কেন যাচ্ছে

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

৭-৮ নভেম্বর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে পারে এনসিপি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত