ইশতিয়াক হাসান

বান্দরবানের রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হয়নি এখনো। তবে বান্দরবান সদর, লামা, নাইক্ষ্যংছড়ি ও আলীকদমে যেতে বাধা নেই। এখন আলীকদম, লামা যাওয়া সহজ কক্সবাজারের চকরিয়া হয়ে। এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ির অবস্থানও কক্সবাজারের কাছে। ধরুন এ পরিস্থিতিতে দুই দিনের জন্য বান্দরবান শহরে গেলেন আপনি, সেক্ষেত্রে তো ঘুরে দেখার মতো কিছু জায়গা দরকার। এদিকে নীলগিরি, চিম্বুক, শৈলপ্রপাত, নীলাচলের মতো জায়গা ভ্রমণ করে ভাজা ভাজা ভাজা করে ফেলেছেন। এখন বান্দরবানেই একটু ভিড়-বাট্টা কম এমন কয়েকটি জায়গা ঘুরে দেখতে চান, উপভোগ করতে চান প্রকৃতি। তাহলে আজকের এই লেখাটি আপনার জন্য।
ইটের মোরাম বিছানো পথটা ধরে হাঁটছি। দুই পাশে উঁচু গাছ, একটু দূরেই পাহাড়ের ঢেউখেলানো শরীর। লোকজন নেই খুব একটা, একজন-দুজন পর্যটককে কেবল দেখা যাচ্ছে, উল্টো দিক থেকে আসছে। পথটায় হালকা চড়াই-উতরাই। পাহাড়টা এখন পাশে চলে এসেছে, কিংবা পথটা পাহাড়ের কাছে। তারপর একটা ঢাল পেরোতেই চলে এলাম প্রিয় সে জায়গাটিতে। মারমাদের ছোট্ট এক বাজার। বেশ কয়েকটা দোকান। ডাব, কলা, পাহাড়ি কমলাসহ হরেক জাতের ফল, আচার-চকলেট সব কিছুই আছে। আমরা বসে বসে ডাবের জল খেলাম। দোকানে বসা এক মারমা নারী আমার মেয়ে ওয়াফিকাকে আদর করল। বান্দরবানের মেঘলা পর্যটনকেন্দ্র বেশ জনপ্রিয় পর্যটকদের কাছে। পর্যটক কম থাকলে আমারও ভালো লাগে জায়গাটা, ঝুলন্ত সেতু দুটি বিশেষ করে, ছোট্ট একটা কেবল কারও আছে।
তবে কথা হলো ভিড় বেশি থাকলে? তখনই আমি মেঘলার চিড়িয়াখানাটি পেরিয়ে ওই সড়কটায় হাঁটতে থাকি। এখান থেকে ডান পাশের পাহাড়ের যে দৃশ্য পাবেন এক কথায় অসাধারণ। খুব বেশি রোদ না থাকলে, দারুণ এক আনন্দদায়ক হাঁটা, আর সবশেষে মারমা নারীদের পরিচালিত বাজারে ডাবের পানি খেয়ে প্রাণটা জুড়িয়ে নিতে পারেন। বিশেষ করে এখন যখন হালকা শীত পড়তে শুরু করেছে, রোদে এই পথে হাঁটার অভিজ্ঞতার কোনো তুলনা হয় না।
মেঘলার সামনের পাকা রাস্তা ধরে (ঢাকা-বান্দরবান সড়ক) কতকটা হেঁটে এক পাশে দাঁড়ালে ওপর থেকে এখানকার পাহাড় কে কী যে সুন্দর লাগে! এখানটায় একটা রেস্তোরাঁয় এক বৃষ্টিতে আটকা পড়েছিলাম লাঞ্চের পর, রেস্তোরাঁর কাঠের বারান্দায় দাঁড়িয়ে নিচের, দূরের ওই পাহাড়গুলো দেখতে দেখতে কীভাবে যে সময় কেটে গিয়েছিল!

লোকজনের ভিড় এড়িয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে যেতে পারেন প্রান্তিক লেকেও। মেঘলার ওখান থেকে বেশি না, পাহাড়ি পথে এই ঘণ্টা-সোয়া ঘণ্টার মতো লাগে। পাহাড়ের মধ্যে, গাছপালা ঘেরা আশ্চর্য সুন্দর এক লেক। অনেক পর্যটকই সুন্দর এই লেকটির কথা জানেন না। সিঁড়ি ধরে আমরা নেমে পড়েছিলাম নিচে। এখান থেকে দেখেছিলাম এক মাঝি নৌকা নিয়ে লেকে ধরে হারিয়ে যাচ্ছে পাহাড়ের আড়ালে। যেখান থেকে দেখছিলাম বেশ রহস্যময় লাগছিল, মনে হচ্ছিল মাঝি যেন নৌকাটা নিয়ে পাহাড়রাজ্যের অচেনা কোনো জগতে চলে যাচ্ছে জলকেটে।

কেয়ারটেকার বলল, লেকের ওপাশের পাহাড়ে মায়া হরিণ, মেছো বিড়াল আছে। কখনো হাতির পালও নামে। ভাগ্য ভালো থাকলে পাড়ে নৌকাও পেয়ে যাবেন, সঙ্গে যদি মাঝিও থাকে অল্প টাকাতেই জলভ্রমণ হয়ে যাবে। আবার যারা বগা লেক যাওয়ার সময় করতে পারবেন না তাদের জন্য হাতের নাগালে সুন্দর বিকল্প হতে পারে এই হ্রদ।

নীলাচল বান্দরবানের সবচেয়ে জনপ্রিয় টুরিস্ট স্পটগুলোর একটা। আমার বিবেচনায় ওখানে পর্যটকের ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। কিন্তু আপনারও আমার মতো মানুষের এত ভিড় পছন্দ নয়? ঠিকই তো ঢাকা বা বড় যে কোনো শহরে থাকলে প্রায় গোটা সময়টাই মানুষজনের পরিবেষ্টিত হয়ে থাকতে হয়, এখন ঘুরতে এসেও এটা কার ভালো লাগে?

তাহলে সমাধান আছে। ভোরে, এখনকার এই চমৎকার আবহাওয়ায় শীতকালেও যেতে পারেন, দেখবেন অনেকটাই সুনসান নীলাচল। ওপর থেকে নিচের পাহাড়রাজ্য কী যে সুন্দর লাগবে! তবে আমার অবশ্য নীলাচলের ওপর থেকে তাকালে খুব আফসোস হয়! মনে হয় আহ্ এই মাইলের পর মাইল পাহাড়! এখানে তো বাঘ, চিতা বাঘ, হাতিদের আনাগোনা থাকার কথা ছিল। একসময় ছিলও! এখন নেই কেন?

কিন্তু আপনি নীলাচলেই সূর্যাস্ত দেখতে চান? তাহলেও কিছুটা হলেও গ্যাঞ্জাম এড়াবার সুযোগ আছে। নীলাচলের মূল যে চত্বরটা ওটা পরোলে নিচে নামার সিঁড়ি, ওই সিঁড়ি পথ ব্যবহার করেই নেমে হাঁটতে থাকুন। মিনিট দশেক পা চালালেই পৌঁছে যাবেন পাহাড়ের কিনারে। এখানটা থেকেও চারপাশের গিরি, সূর্যাস্ত দারুণ উপভোগ করা যায়। কপালের ফেরে এখানটায়ও যদি কোনো বড় দল হাজির হয়, তখন একটা শুড়ি পথ ধরে এক পাশে নেমে মাটির ওপর বসে পড়ুন। চারপাশে তাকালেই পাহাড় জগতের দুয়ার মেলে যাবে সামনে, আলাদা হয়ে যাবেন গোটা পৃথিবী থেকে! চমকে গিয়ে, হঠাৎ দেখবেন পিঁপড়ের মতো একটা-দুটো গাড়ি চলছে নিচের পথে।
এবার মানুষের তুলনামূলক কম চেনা একটি জায়গার গল্প। চিম্বুক পেরোনোর পর তবে নীলিগিরির বেশ আগেই হাতের বামে পড়ে জায়গাটি। ঢালু পথ ধরে উঠে যাবেন পাহাড়ে। আমিও এ বছরের বর্ষায় প্রথম যাই সেখানে। সামনের মূল পথটা আটকানো। তবে মূল সড়ক থেকে বামের পাহাড়ে ওঠার পর একটি পায়ে চলা পথ পেয়ে যাবেন। এই পাহাড়টি চিতার পাহাড় নামেই বেশি পরিচিত। শুরুতে এই ভেবে খুশি হয়েছিলাম যে, এখন না থাকলেও কোনো এক সময় নিশ্চয় চিতা বাঘের আস্তানা ছিল পাহাড়টি। তবে পরে স্থানীয় একজনের কাছে পরে জানলাম এটার আসল নাম নাকি সীতার পাহাড়।

পাহাড়টিতে ওঠার পর প্রথম যে বিষয়টি মুগ্ধ করবে তা হলো মাঝখানে লম্বা ঘাসের রাজ্য। হঠাৎ মনে হতে পারে আফ্রিকার সাভানা এলাকায় চলে এসেছেন। ছবি তোলার জন্য জায়গাটির জুড়ি মেলা ভার। ওপরে একটি অর্ধ নির্মিত দালানও দেখতে পাবেন। যার জায়গা তিনি নাকি একটি রিসোর্ট বানানো শুরু করেছিলেন। কোনো একটা ঝামেলা হওয়ায় কাজ এগুয়নি আর। আবার পাহাড়টির দুই পাশ থেকে ম্রোদের দুটি পাড়ার দেখা পাওয়া যায়। পাহাড়ের ওপর থেকে সবুজ গালিচা বিছানো চারপাশের পাহাড় রাজ্যও ধরা দেয় আশ্চর্য সুন্দর চেহারায়।
তেমনি নীলগিরির দিকে যাওয়ার সময় চলার পথে হয়তো পাহাড়ের বেশ নিচে পেয়ে যাবেন কোনো জুম ঘর। চাইলে শুধু দেখে প্রাণ জুড়াতে পারেন। না হয় পকদণ্ডী পথে কিছুটা হেঁটে জুমঘরে গিয়ে, বাঁশের তৈরি বারান্দায় বসে দু-দণ্ড জিরানোর ফাঁকে চারপাশের প্রকৃতিকে দেখতে পারেন অপলক!
আবার পাহাড়ি পথে চলার সময় ফলমূল নিয়ে বসে থাকতে দেখবেন স্থানীয়দের। পেঁপে, জাম্বুরা, কলা, আনারস, ডাব, কমলা সিজন ভেদে পাবেন অনেক কিছু। পাহাড়ি ফল খাওয়া থেকে নিজেকে বঞ্চিত করবেন না।
কিংবা চলে আসবেন বান্দরবান শহরের ভেতর সাঙ্গু ব্রিজে। ওটার ওপর দাঁড়িয়ে নিচে তর তর করে বয়ে চলা সাঙ্গু, ওর দু-পাশের পাহাড় দেখতে পারেন। সবচেয়ে ভালো হয় সেতুর ঠিক আগে, মাটির পথ ধরে নদী পর্যন্ত নেমে গেলে। ওখান থেকে একটা নৌকা ভাড়া করে বেরিয়ে পড়বেন। নদী, পাহাড় দুটোই যাদের পছন্দ তাদের জন্য এটা হবে এক দুর্লভ অভিজ্ঞতা। তা ছাড়া আপাতত যেহেতু সাঙ্গু নদী ধরে রেমাক্রির দিকে যেতে পারছেন না, এটা হতে পারে আপনার ট্যুরের বড় আকর্ষণ। নদীর দুই পাশে পাহাড়, মাঝে মাঝে একটা-দুটো কুঁড়ে, জুম ঘর মুগ্ধ করবে। যাওয়ার পথে হাতের ডানে মারমাদের পাড়াও পাবেন। নেমে পাড়ায় ঘুরে-ফিরে কাটাতে পারেন অনেকটা সময়।
সব কথার শেষ কথা ভ্রমণে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখি, পাহাড়-জঙ্গলকে ভালোবাসি, ওখানকার জীবনধারাকে শ্রদ্ধা করি, বন্যপ্রাণী রক্ষা করি।

বান্দরবানের রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হয়নি এখনো। তবে বান্দরবান সদর, লামা, নাইক্ষ্যংছড়ি ও আলীকদমে যেতে বাধা নেই। এখন আলীকদম, লামা যাওয়া সহজ কক্সবাজারের চকরিয়া হয়ে। এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ির অবস্থানও কক্সবাজারের কাছে। ধরুন এ পরিস্থিতিতে দুই দিনের জন্য বান্দরবান শহরে গেলেন আপনি, সেক্ষেত্রে তো ঘুরে দেখার মতো কিছু জায়গা দরকার। এদিকে নীলগিরি, চিম্বুক, শৈলপ্রপাত, নীলাচলের মতো জায়গা ভ্রমণ করে ভাজা ভাজা ভাজা করে ফেলেছেন। এখন বান্দরবানেই একটু ভিড়-বাট্টা কম এমন কয়েকটি জায়গা ঘুরে দেখতে চান, উপভোগ করতে চান প্রকৃতি। তাহলে আজকের এই লেখাটি আপনার জন্য।
ইটের মোরাম বিছানো পথটা ধরে হাঁটছি। দুই পাশে উঁচু গাছ, একটু দূরেই পাহাড়ের ঢেউখেলানো শরীর। লোকজন নেই খুব একটা, একজন-দুজন পর্যটককে কেবল দেখা যাচ্ছে, উল্টো দিক থেকে আসছে। পথটায় হালকা চড়াই-উতরাই। পাহাড়টা এখন পাশে চলে এসেছে, কিংবা পথটা পাহাড়ের কাছে। তারপর একটা ঢাল পেরোতেই চলে এলাম প্রিয় সে জায়গাটিতে। মারমাদের ছোট্ট এক বাজার। বেশ কয়েকটা দোকান। ডাব, কলা, পাহাড়ি কমলাসহ হরেক জাতের ফল, আচার-চকলেট সব কিছুই আছে। আমরা বসে বসে ডাবের জল খেলাম। দোকানে বসা এক মারমা নারী আমার মেয়ে ওয়াফিকাকে আদর করল। বান্দরবানের মেঘলা পর্যটনকেন্দ্র বেশ জনপ্রিয় পর্যটকদের কাছে। পর্যটক কম থাকলে আমারও ভালো লাগে জায়গাটা, ঝুলন্ত সেতু দুটি বিশেষ করে, ছোট্ট একটা কেবল কারও আছে।
তবে কথা হলো ভিড় বেশি থাকলে? তখনই আমি মেঘলার চিড়িয়াখানাটি পেরিয়ে ওই সড়কটায় হাঁটতে থাকি। এখান থেকে ডান পাশের পাহাড়ের যে দৃশ্য পাবেন এক কথায় অসাধারণ। খুব বেশি রোদ না থাকলে, দারুণ এক আনন্দদায়ক হাঁটা, আর সবশেষে মারমা নারীদের পরিচালিত বাজারে ডাবের পানি খেয়ে প্রাণটা জুড়িয়ে নিতে পারেন। বিশেষ করে এখন যখন হালকা শীত পড়তে শুরু করেছে, রোদে এই পথে হাঁটার অভিজ্ঞতার কোনো তুলনা হয় না।
মেঘলার সামনের পাকা রাস্তা ধরে (ঢাকা-বান্দরবান সড়ক) কতকটা হেঁটে এক পাশে দাঁড়ালে ওপর থেকে এখানকার পাহাড় কে কী যে সুন্দর লাগে! এখানটায় একটা রেস্তোরাঁয় এক বৃষ্টিতে আটকা পড়েছিলাম লাঞ্চের পর, রেস্তোরাঁর কাঠের বারান্দায় দাঁড়িয়ে নিচের, দূরের ওই পাহাড়গুলো দেখতে দেখতে কীভাবে যে সময় কেটে গিয়েছিল!

লোকজনের ভিড় এড়িয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে যেতে পারেন প্রান্তিক লেকেও। মেঘলার ওখান থেকে বেশি না, পাহাড়ি পথে এই ঘণ্টা-সোয়া ঘণ্টার মতো লাগে। পাহাড়ের মধ্যে, গাছপালা ঘেরা আশ্চর্য সুন্দর এক লেক। অনেক পর্যটকই সুন্দর এই লেকটির কথা জানেন না। সিঁড়ি ধরে আমরা নেমে পড়েছিলাম নিচে। এখান থেকে দেখেছিলাম এক মাঝি নৌকা নিয়ে লেকে ধরে হারিয়ে যাচ্ছে পাহাড়ের আড়ালে। যেখান থেকে দেখছিলাম বেশ রহস্যময় লাগছিল, মনে হচ্ছিল মাঝি যেন নৌকাটা নিয়ে পাহাড়রাজ্যের অচেনা কোনো জগতে চলে যাচ্ছে জলকেটে।

কেয়ারটেকার বলল, লেকের ওপাশের পাহাড়ে মায়া হরিণ, মেছো বিড়াল আছে। কখনো হাতির পালও নামে। ভাগ্য ভালো থাকলে পাড়ে নৌকাও পেয়ে যাবেন, সঙ্গে যদি মাঝিও থাকে অল্প টাকাতেই জলভ্রমণ হয়ে যাবে। আবার যারা বগা লেক যাওয়ার সময় করতে পারবেন না তাদের জন্য হাতের নাগালে সুন্দর বিকল্প হতে পারে এই হ্রদ।

নীলাচল বান্দরবানের সবচেয়ে জনপ্রিয় টুরিস্ট স্পটগুলোর একটা। আমার বিবেচনায় ওখানে পর্যটকের ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। কিন্তু আপনারও আমার মতো মানুষের এত ভিড় পছন্দ নয়? ঠিকই তো ঢাকা বা বড় যে কোনো শহরে থাকলে প্রায় গোটা সময়টাই মানুষজনের পরিবেষ্টিত হয়ে থাকতে হয়, এখন ঘুরতে এসেও এটা কার ভালো লাগে?

তাহলে সমাধান আছে। ভোরে, এখনকার এই চমৎকার আবহাওয়ায় শীতকালেও যেতে পারেন, দেখবেন অনেকটাই সুনসান নীলাচল। ওপর থেকে নিচের পাহাড়রাজ্য কী যে সুন্দর লাগবে! তবে আমার অবশ্য নীলাচলের ওপর থেকে তাকালে খুব আফসোস হয়! মনে হয় আহ্ এই মাইলের পর মাইল পাহাড়! এখানে তো বাঘ, চিতা বাঘ, হাতিদের আনাগোনা থাকার কথা ছিল। একসময় ছিলও! এখন নেই কেন?

কিন্তু আপনি নীলাচলেই সূর্যাস্ত দেখতে চান? তাহলেও কিছুটা হলেও গ্যাঞ্জাম এড়াবার সুযোগ আছে। নীলাচলের মূল যে চত্বরটা ওটা পরোলে নিচে নামার সিঁড়ি, ওই সিঁড়ি পথ ব্যবহার করেই নেমে হাঁটতে থাকুন। মিনিট দশেক পা চালালেই পৌঁছে যাবেন পাহাড়ের কিনারে। এখানটা থেকেও চারপাশের গিরি, সূর্যাস্ত দারুণ উপভোগ করা যায়। কপালের ফেরে এখানটায়ও যদি কোনো বড় দল হাজির হয়, তখন একটা শুড়ি পথ ধরে এক পাশে নেমে মাটির ওপর বসে পড়ুন। চারপাশে তাকালেই পাহাড় জগতের দুয়ার মেলে যাবে সামনে, আলাদা হয়ে যাবেন গোটা পৃথিবী থেকে! চমকে গিয়ে, হঠাৎ দেখবেন পিঁপড়ের মতো একটা-দুটো গাড়ি চলছে নিচের পথে।
এবার মানুষের তুলনামূলক কম চেনা একটি জায়গার গল্প। চিম্বুক পেরোনোর পর তবে নীলিগিরির বেশ আগেই হাতের বামে পড়ে জায়গাটি। ঢালু পথ ধরে উঠে যাবেন পাহাড়ে। আমিও এ বছরের বর্ষায় প্রথম যাই সেখানে। সামনের মূল পথটা আটকানো। তবে মূল সড়ক থেকে বামের পাহাড়ে ওঠার পর একটি পায়ে চলা পথ পেয়ে যাবেন। এই পাহাড়টি চিতার পাহাড় নামেই বেশি পরিচিত। শুরুতে এই ভেবে খুশি হয়েছিলাম যে, এখন না থাকলেও কোনো এক সময় নিশ্চয় চিতা বাঘের আস্তানা ছিল পাহাড়টি। তবে পরে স্থানীয় একজনের কাছে পরে জানলাম এটার আসল নাম নাকি সীতার পাহাড়।

পাহাড়টিতে ওঠার পর প্রথম যে বিষয়টি মুগ্ধ করবে তা হলো মাঝখানে লম্বা ঘাসের রাজ্য। হঠাৎ মনে হতে পারে আফ্রিকার সাভানা এলাকায় চলে এসেছেন। ছবি তোলার জন্য জায়গাটির জুড়ি মেলা ভার। ওপরে একটি অর্ধ নির্মিত দালানও দেখতে পাবেন। যার জায়গা তিনি নাকি একটি রিসোর্ট বানানো শুরু করেছিলেন। কোনো একটা ঝামেলা হওয়ায় কাজ এগুয়নি আর। আবার পাহাড়টির দুই পাশ থেকে ম্রোদের দুটি পাড়ার দেখা পাওয়া যায়। পাহাড়ের ওপর থেকে সবুজ গালিচা বিছানো চারপাশের পাহাড় রাজ্যও ধরা দেয় আশ্চর্য সুন্দর চেহারায়।
তেমনি নীলগিরির দিকে যাওয়ার সময় চলার পথে হয়তো পাহাড়ের বেশ নিচে পেয়ে যাবেন কোনো জুম ঘর। চাইলে শুধু দেখে প্রাণ জুড়াতে পারেন। না হয় পকদণ্ডী পথে কিছুটা হেঁটে জুমঘরে গিয়ে, বাঁশের তৈরি বারান্দায় বসে দু-দণ্ড জিরানোর ফাঁকে চারপাশের প্রকৃতিকে দেখতে পারেন অপলক!
আবার পাহাড়ি পথে চলার সময় ফলমূল নিয়ে বসে থাকতে দেখবেন স্থানীয়দের। পেঁপে, জাম্বুরা, কলা, আনারস, ডাব, কমলা সিজন ভেদে পাবেন অনেক কিছু। পাহাড়ি ফল খাওয়া থেকে নিজেকে বঞ্চিত করবেন না।
কিংবা চলে আসবেন বান্দরবান শহরের ভেতর সাঙ্গু ব্রিজে। ওটার ওপর দাঁড়িয়ে নিচে তর তর করে বয়ে চলা সাঙ্গু, ওর দু-পাশের পাহাড় দেখতে পারেন। সবচেয়ে ভালো হয় সেতুর ঠিক আগে, মাটির পথ ধরে নদী পর্যন্ত নেমে গেলে। ওখান থেকে একটা নৌকা ভাড়া করে বেরিয়ে পড়বেন। নদী, পাহাড় দুটোই যাদের পছন্দ তাদের জন্য এটা হবে এক দুর্লভ অভিজ্ঞতা। তা ছাড়া আপাতত যেহেতু সাঙ্গু নদী ধরে রেমাক্রির দিকে যেতে পারছেন না, এটা হতে পারে আপনার ট্যুরের বড় আকর্ষণ। নদীর দুই পাশে পাহাড়, মাঝে মাঝে একটা-দুটো কুঁড়ে, জুম ঘর মুগ্ধ করবে। যাওয়ার পথে হাতের ডানে মারমাদের পাড়াও পাবেন। নেমে পাড়ায় ঘুরে-ফিরে কাটাতে পারেন অনেকটা সময়।
সব কথার শেষ কথা ভ্রমণে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখি, পাহাড়-জঙ্গলকে ভালোবাসি, ওখানকার জীবনধারাকে শ্রদ্ধা করি, বন্যপ্রাণী রক্ষা করি।

আজকের দিনে স্বাস্থ্য খুবই চাঙা থাকবে, যা আপনাকে নতুন কিছু করে দেখানোর শক্তি দেবে। তবে গ্রহরা বলছে, এই অতিরিক্ত এনার্জি যেন আবার ঝগড়া-বিবাদের দিকে না যায়! কর্মক্ষেত্রে আবেগ প্রকাশে শান্ত থাকতে বলা হচ্ছে।
৬ মিনিট আগে
স্টাইল করে পোশাক পরতে জানলে শীতকালই কিন্তু সেরা সময়। রঙের মেলবন্ধন, পোশাকের কাটিং, টপ অ্যান্ড বটম নির্ধারণ করে শীতের পোশাক পরলেই আপনি ফিট। কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখলে শীতের পোশাকে নিজেকে অনবদ্যভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব।
১ ঘণ্টা আগে
শহর থেকে একটু দূরেই যাঁদের বসবাস, তাঁরা এরই মধ্য়ে হালকা শীতের কাপড় নামিয়ে ফেলেছেন। দীর্ঘদিন বাক্সবন্দী সোয়েটার, জ্যাকেট, উলের মোজা, টুপি, চাদর, কার্ডিগান বের করে সঙ্গে সঙ্গেই তো আর গায়ে তোলা যায় না।
২ ঘণ্টা আগে
আমাদের প্লেটে পরিবেশিত এমন অনেক জনপ্রিয় খাদ্য আছে, যেগুলো নিঃশব্দে পরিবেশের ক্ষতি করছে। এই খাবারগুলো বন উজাড়, পানি সংকট, জলবায়ু পরিবর্তনসহ পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতিকর বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত। এখন আমাদের খাদ্যাভ্যাসে সেই খাবারগুলো রাখা নিয়ে পুনর্বিবেচনা করার সময় এসেছে। খাদ্যপ্রবণতার উন্মাদনা ফিকে হয়ে...
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজকের দিনে স্বাস্থ্য খুবই চাঙা থাকবে, যা আপনাকে নতুন কিছু করে দেখানোর শক্তি দেবে। তবে গ্রহরা বলছে, এই অতিরিক্ত এনার্জি যেন আবার ঝগড়া-বিবাদের দিকে না যায়! কর্মক্ষেত্রে আবেগ প্রকাশে শান্ত থাকতে বলা হচ্ছে। ‘ভালো স্বাস্থ্য’ মানে হলো, আজ আপনি ব্রেকফাস্টে দুটো পরোটা বেশি খেতে পারবেন, কিন্তু সেটার সুযোগ নিয়ে বসকে তর্কযুদ্ধে হারানো যাবে না। শান্ত থাকুন। রাশিতে জেদ এবং তাড়াহুড়ো করার যে একটা গোপন চুক্তি আছে, আজ সেটাকে সাসপেন্ড করে দিন। জেদ করে আজ কোনো সিদ্ধান্ত নিলে, পরে দেখা যাবে সেটা ছিল জীবনের সবচেয়ে খারাপ ইন্টারনেট প্ল্যান।
বৃষ
আপনার ইতিবাচক মনোভাব আজ চারপাশে সুগন্ধি ছড়াবে। পুরোনো বিনিয়োগ থেকে অপ্রত্যাশিত সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। পারিবারিক জীবনে সুখ থাকবে এবং বাড়িতে কোনো অতিথির আগমন হতে পারে। পজিটিভ অ্যাটিটিউড দেখে চারপাশের মানুষজন মুগ্ধ হবে। এর মানে হলো, তারা আপনার বসের কাছে আপনার নামে নালিশ করবে না। পুরোনো বিনিয়োগ থেকে সুবিধা মানে, সেই শেয়ারটা আজ বাড়বে, যেটা আপনি বেচার কথা ভাবছিলেন না। আর বাড়িতে অতিথি আসছে? দ্রুত আপনার কফি টেবিলের নোংরা কাপগুলো আর গোপন চিপসের প্যাকেটগুলো লুকিয়ে ফেলুন! আপনার দায়িত্বশীল কথাবার্তা আজ সম্পর্ককে মধুর করবে, তবে বেশি দায়িত্ব নিতে গিয়ে যেন আবার ফ্রিজ সামলে রাখার দায়িত্বটা না নিয়ে নেন। আজ যে কোনো হঠকারিতা এড়িয়ে চলুন। তাড়াহুড়ো করে অনলাইনে জামাকাপড় কিনলে দেখবেন, সাইজ ভুল আসবেই।
মিথুন
আপনার ব্যক্তিত্ব আজ সুগন্ধির মতো কাজ করবে—মানুষ কাছে আসতে চাইবে। মানসিক সম্পর্ক উন্নত হবে এবং সামাজিক বন্ধনের জন্য দিনটি খুবই ভালো। তবে প্রেমের সম্পর্কে সন্দেহপ্রবণতা আজ তিক্ততা বাড়াতে পারে। ব্যক্তিত্বই আজ সুগন্ধি, কিন্তু মাথায় রাখবেন, সুগন্ধি অতিরিক্ত হলে সেটা কিন্তু গ্যাস-চেম্বারের মতো লাগে। দুটো মন আজ সৌভাগ্যবশত একই দিকে হাঁটছে, তাই আজ দ্বৈত সত্তা কম জ্বালাবে। সভা-সমাবেশে উৎসাহ বজায় রাখবেন, কিন্তু সন্দেহপ্রবণতা ছাড়ুন! সঙ্গী ফোন কেন দেখালেন না, তার কারণ তিনি হয়তো আপনার জন্য একটা সারপ্রাইজ প্ল্যান করছিলেন, অথবা শুধু একটা গেমে আপনার চেয়ে বেশি স্কোর করেছেন, আর আপনি সেটা দেখলে মানবেন না। আজ ভাই-বোনের সঙ্গে তর্কে জড়ালে সেটা ডব্লুডব্লুই ফাইটের পর্যায়ে যেতে পারে, সাবধানে!
কর্কট
আটকে থাকা পাওনা টাকা আজ ফেরত পেতে পারেন। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাগুলো আজ গতি পাবে। স্ত্রীর ব্যবহারে আজ মনে শান্তি থাকবে। নতুন কোনো প্রকল্প শুরু করার এটি দারুণ সময়। মন আজ ভালো জিনিসের প্রতি আগ্রহী হবে। এই ‘ভালো জিনিস’ সম্ভবত হয় সুস্বাদু বিরিয়ানি, নয়তো দুপুর বেলার একটা আরামের ঘুম। আটকে থাকা টাকা ফেরত আসবে—তাই দ্রুত একটা নতুন বাজেট তৈরি করুন, যেখানে অন্তত ১০ পারসেন্ট ‘অহেতুক চিন্তা’-র জন্য বরাদ্দ থাকবে। স্ত্রীর ব্যবহারে শান্তি? এটি একটি বিরল গ্রহ-সংযোগ, উপভোগ করুন! কিন্তু প্রতিবেশী শত্রু হতে পারে, তাই ঝগড়া করে তাদের ট্রিট দিতে যাবেন না। কথাবার্তায় আজ অসাবধান হবেন না। আপনার বলা একটি নির্দোষ জোকস আজ কুরুক্ষেত্র বাঁধিয়ে দিতে পারে।
সিংহ
আজকের দিনটি বিশেষ, কারণ ভালো স্বাস্থ্য আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু করতে সাহায্য করবে। অর্থ উপার্জন ভালোই হবে, কিন্তু অর্থ লেনদেনে অসতর্কতা এড়িয়ে চলতে হবে। প্রেমের প্রস্তাব দিতে যাবেন না, নিরাশ হতে পারেন। আপনি আজ আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। এতটাই ভরপুর যে, মনে হতে পারে আপনিই বিশ্বের একমাত্র সিংহ। অর্থ লেনদেনে সতর্ক থাকুন, কারণ শিক্ষিত ও ভদ্র প্রতারকদের কাছ থেকে আজ ফাঁদ আসতে পারে। মানে, আপনার যে বন্ধুটা সবসময় ‘ব্যবসা শুরু করব’ বলে আপনার থেকে টাকা নেয়, তাকে এড়িয়ে চলুন। প্রেমের প্রস্তাব দিতে গেলে ‘না’ শুনতে হতে পারে, তাই তার বদলে বাড়িতে বসে ক্যাট ভিডিও দেখুন, যা আপনার অহংকারে আঘাত করবে না। আগুন থেকে সাবধান! রান্না করতে গিয়ে যদি আপনার রাজকীয় ডিনার পুড়ে যায়, নিজেকে দোষ দেবেন না।
কন্যা
একগুঁয়েমি দূর করুন, নইলে নিছক সময় নষ্ট হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে। তবে আজ সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যায় পড়তে পারেন এবং সর্দি-শ্লেষ্মার সমস্যা ভোগাতে পারে। গ্রহরা বলছে একগুঁয়েমি ছাড়তে—যেমনটা হয়তো আপনার কম্পিউটারকে বলছে—কিন্তু কেউই শোনার পাত্র নয়। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা হবে, তাই পারফেকশনিস্ট স্বভাবকে একটু বশে রাখুন, তাদের সামনে সবকিছু নিখুঁত করার চেষ্টা করতে গিয়ে সময় শেষ করে দেবেন না। সর্দি-শ্লেষ্মা হতে পারে, কারণ আপনার শরীর হয়তো এত নিখুঁত অর্গানাইজেশনের স্ট্রেস আর নিতে পারছে না। সিদ্ধান্ত নেওয়ার সমস্যা হলে, আজ বাজার থেকে কী কিনবেন, সেটাও বন্ধুকে জিজ্ঞেস করে নিন। লটারি থেকে অর্থপ্রাপ্তির যোগ আছে। তবে লটারি জেতার পর লটারির কাগজটা হারিয়ে ফেলবেন না যেন, কারণ আপনি কন্যা।
তুলা
আজ বাচ্চাদের সঙ্গে সান্ত্বনা খুঁজে নিন। কর্মক্ষেত্রে শত্রুতার মুখে পড়তে পারেন। সরকারি চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাবার স্বাস্থ্য নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়তে পারে। আজ জীবনে ভারসাম্য খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন হতে পারে, তাই বলা হচ্ছে বাচ্চাদের সঙ্গে থাকতে। বাচ্চারা তো আর ট্যাক্সের কথা বলবে না! কর্মক্ষেত্রে শত্রু? চিন্তা করবেন না, তারা শুধু আপনার সুন্দর টি-শার্ট দেখে হিংসা করছে। বাবার স্বাস্থ্য নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে, ডাক্তারের কথা শুনুন। আর যদি সরকারি চাকরির খবর পান, তাহলে বুঝবেন গ্রহরা সত্যিই আপনার জন্য একটা ব্রেকের ব্যবস্থা করেছে, যেখানে আর কারও সঙ্গে তর্ক করে সময় নষ্ট হবে না। চিকিৎসার খরচ আজ বাড়তে পারে। তাই আজ ভুল করেও রাস্তায় পড়ে থাকা পুরোনো ওয়ালেট তুলতে যাবেন না।
বৃশ্চিক
কর্মব্যস্ত দিন হওয়া সত্ত্বেও স্বাস্থ্য সুন্দর থাকবে। বন্ধুরা আপনাকে কোনো বিশেষ ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ করাবে যিনি আপনার চিন্তায় লক্ষণীয় প্রভাব ফেলতে পারেন। কর্মব্যস্ততা আপনার জন্মগত অধিকার, তাই আজ ব্যস্ত থাকবেন—হয় কাজ নিয়ে, নয়তো গভীর দার্শনিক চিন্তা নিয়ে। কিন্তু এই ব্যস্ততার মধ্যেও স্বাস্থ্য ভালো থাকবে—কারণ আপনি এতটাই তীব্র ও ক্ষিপ্র যে ভাইরাসও আপনার কাছে আসতে ভয় পায়। বন্ধু আজ যে ‘বিশেষ ব্যক্তির’ সঙ্গে আলাপ করাবে, তিনি হয়তো আপনার নতুন বস হতে পারেন, অথবা এমন কেউ যিনি আপনার সব থেকে গোপন রহস্যগুলো নিয়ে জোকস করতে পারেন। প্রস্তুত থাকুন! আজ মন ভালো জিনিসের প্রতি আগ্রহী হবে। সেই ভালো জিনিসটা যাতে প্রতিশোধের প্ল্যান না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
ধনু
স্বাস্থ্য সুস্থ থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। সুস্বাস্থ্যের কারণে নতুন সুযোগ আসবে। দুপুরের আগে জরুরি কাজ সেরে ফেলুন এবং আয়ের নতুন উৎস খুলতে পারে। স্বাস্থ্য এতটাই ভালো যে আজ মনে হবে আপনি চাইলেই মাউন্ট এভারেস্ট চড়তে পারবেন। এই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস নিয়ে আবার লটারিতে পুরো মাসের বেতন লাগিয়ে দেবেন না। জরুরি কাজ দুপুরের আগে শেষ করুন—এই প্রথমবার সময়মতো কিছু শেষ করার সুযোগ পাচ্ছেন। আয়ের নতুন উৎস মানে, আপনি হয়তো পুরোনো দিনের জমানো কয়েনগুলো খুঁজে পাবেন, যা আপনার অ্যাডভেঞ্চারের জন্য কাজে লাগতে পারে। আজ খুব বেশি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কোনো প্রতিশ্রুতি দেবেন না। কারণ গ্রহরা চায় না সব ফ্রি-টাইম অন্যের জন্য উৎসর্গ করুন।
মকর
দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাগুলো আজ গতি পাবে। সামাজিক কাজে ভালো ভাবমূর্তি উন্নত হবে। অন্যরা আপনার ভালো উদ্দেশ্যকে স্বার্থপরতা বলে ভুল করতে পারে। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগে কিছুটা সতর্ক থাকুন। অবশেষে আপনার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাগুলো নড়েচড়ে বসছে! মনে রাখবেন, ‘দীর্ঘমেয়াদি’ মানে ২০ বছর নয়, অন্তত পরের মাসের মধ্যে কিছু একটা করুন। আপনি আন্তরিকভাবে অন্যদের কল্যাণের কথা ভাবলেও, তারা ভাববে আপনি কেন তাদের আপনার কাজে লাগাচ্ছেন। আপনার কঠোর পরিশ্রমকে মানুষ ‘ট্যাক্স ফাঁকি’র প্ল্যানিংও ভাবতে পারে—অতএব, আজ একটু কম পারফেক্ট হোন। পরিবারের কোনো দূরবর্তী সদস্যকে মিস করতে পারেন। আজ তাকে একটা ফোন করুন, কিন্তু ভুলেও নিজের কাজের স্ট্রেস তাদের ওপর চাপিয়ে দেবেন না।
কুম্ভ
সাহস এবং বীরত্ব বাড়বে। রাজনীতিতে কর্মরতরা কাজে সাফল্য অর্জন করতে পারেন। তবে যানবাহন ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকুন এবং লোভ ও প্রলোভন এড়িয়ে চলুন। আপনার সাহস আজ এতটাই বাড়বে যে আপনি হয়তো আপনার পুরোনো ডায়েরিটা পাবলিকলি পোস্ট করে দেবেন। রাজনীতিতে সাফল্য মানে, সব বন্ধু আজ আপনার আইডিয়াই সবচেয়ে সেরা বলে মেনে নেবে। যানবাহন চালানোর সময় সতর্ক থাকুন, কারণ আপনার মন আজ পৃথিবী বাঁচানোর চিন্তায় ব্যস্ত থাকবে, রাস্তায় নয়। কোনো প্রলোভনে পড়বেন না! বিশেষ করে কোনো ‘অল্প সময়ে কোটিপতি’ হওয়ার স্কিমে, কারণ আপনার গ্রহরা জানে আপনি ওটা সামলাতে পারবেন না। আজ প্রেম জীবনের চেয়ে সামাজিক যোগাযোগে বেশি আগ্রহ দেখা যাবে। তাই ডেটিং অ্যাপের পরিবর্তে চ্যাট গ্রুপে বেশি সময় কাটান।
মীন
উন্নতির পথ খুলে যাবে এবং বন্ধুর মাধ্যমে আয়ের উৎসের সঙ্গে যোগাযোগ হতে পারে। অবিবাহিতরা সৌল মেটের সঙ্গে দেখা করতে পারে। স্বাস্থ্যের কিছুটা অবনতি হতে পারে, তাই সাবধানে বিবেচনা না করে কোনো প্রতিশ্রুতি দেবেন না। সৌল মেট আজ যে কোনো সময় দরজায় কড়া নাড়তে পারে! কিন্তু সাবধানে, তারা হয়তো আপনার সব থেকে বিশৃঙ্খল ঘরটা দেখতে পাবে। আয়ের নতুন উৎস মানে, হয়তো পুরোনো এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা হবে যে আপনাকে তার নতুন এমএলএম স্কিমে জয়েন করতে বলবে—গ্রহরা অবশ্য অন্য উৎসের কথা বলছে। স্বাস্থ্যের সামান্য অবনতি হতে পারে, কারণ আপনি হয়তো সারা দিন স্বপ্নে ছিলেন আর বাস্তবে ঘুমোতে ভুলে গেছেন। সাবধানে বিবেচনা না করে কোনো প্রতিশ্রুতি দেবেন না। বিশেষ করে যদি সঙ্গী আপনাকে জিজ্ঞেস করে, ‘তুমি কি আজীবন সার্বক্ষণিক আমার পাশে থাকবে?’

মেষ
আজকের দিনে স্বাস্থ্য খুবই চাঙা থাকবে, যা আপনাকে নতুন কিছু করে দেখানোর শক্তি দেবে। তবে গ্রহরা বলছে, এই অতিরিক্ত এনার্জি যেন আবার ঝগড়া-বিবাদের দিকে না যায়! কর্মক্ষেত্রে আবেগ প্রকাশে শান্ত থাকতে বলা হচ্ছে। ‘ভালো স্বাস্থ্য’ মানে হলো, আজ আপনি ব্রেকফাস্টে দুটো পরোটা বেশি খেতে পারবেন, কিন্তু সেটার সুযোগ নিয়ে বসকে তর্কযুদ্ধে হারানো যাবে না। শান্ত থাকুন। রাশিতে জেদ এবং তাড়াহুড়ো করার যে একটা গোপন চুক্তি আছে, আজ সেটাকে সাসপেন্ড করে দিন। জেদ করে আজ কোনো সিদ্ধান্ত নিলে, পরে দেখা যাবে সেটা ছিল জীবনের সবচেয়ে খারাপ ইন্টারনেট প্ল্যান।
বৃষ
আপনার ইতিবাচক মনোভাব আজ চারপাশে সুগন্ধি ছড়াবে। পুরোনো বিনিয়োগ থেকে অপ্রত্যাশিত সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। পারিবারিক জীবনে সুখ থাকবে এবং বাড়িতে কোনো অতিথির আগমন হতে পারে। পজিটিভ অ্যাটিটিউড দেখে চারপাশের মানুষজন মুগ্ধ হবে। এর মানে হলো, তারা আপনার বসের কাছে আপনার নামে নালিশ করবে না। পুরোনো বিনিয়োগ থেকে সুবিধা মানে, সেই শেয়ারটা আজ বাড়বে, যেটা আপনি বেচার কথা ভাবছিলেন না। আর বাড়িতে অতিথি আসছে? দ্রুত আপনার কফি টেবিলের নোংরা কাপগুলো আর গোপন চিপসের প্যাকেটগুলো লুকিয়ে ফেলুন! আপনার দায়িত্বশীল কথাবার্তা আজ সম্পর্ককে মধুর করবে, তবে বেশি দায়িত্ব নিতে গিয়ে যেন আবার ফ্রিজ সামলে রাখার দায়িত্বটা না নিয়ে নেন। আজ যে কোনো হঠকারিতা এড়িয়ে চলুন। তাড়াহুড়ো করে অনলাইনে জামাকাপড় কিনলে দেখবেন, সাইজ ভুল আসবেই।
মিথুন
আপনার ব্যক্তিত্ব আজ সুগন্ধির মতো কাজ করবে—মানুষ কাছে আসতে চাইবে। মানসিক সম্পর্ক উন্নত হবে এবং সামাজিক বন্ধনের জন্য দিনটি খুবই ভালো। তবে প্রেমের সম্পর্কে সন্দেহপ্রবণতা আজ তিক্ততা বাড়াতে পারে। ব্যক্তিত্বই আজ সুগন্ধি, কিন্তু মাথায় রাখবেন, সুগন্ধি অতিরিক্ত হলে সেটা কিন্তু গ্যাস-চেম্বারের মতো লাগে। দুটো মন আজ সৌভাগ্যবশত একই দিকে হাঁটছে, তাই আজ দ্বৈত সত্তা কম জ্বালাবে। সভা-সমাবেশে উৎসাহ বজায় রাখবেন, কিন্তু সন্দেহপ্রবণতা ছাড়ুন! সঙ্গী ফোন কেন দেখালেন না, তার কারণ তিনি হয়তো আপনার জন্য একটা সারপ্রাইজ প্ল্যান করছিলেন, অথবা শুধু একটা গেমে আপনার চেয়ে বেশি স্কোর করেছেন, আর আপনি সেটা দেখলে মানবেন না। আজ ভাই-বোনের সঙ্গে তর্কে জড়ালে সেটা ডব্লুডব্লুই ফাইটের পর্যায়ে যেতে পারে, সাবধানে!
কর্কট
আটকে থাকা পাওনা টাকা আজ ফেরত পেতে পারেন। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাগুলো আজ গতি পাবে। স্ত্রীর ব্যবহারে আজ মনে শান্তি থাকবে। নতুন কোনো প্রকল্প শুরু করার এটি দারুণ সময়। মন আজ ভালো জিনিসের প্রতি আগ্রহী হবে। এই ‘ভালো জিনিস’ সম্ভবত হয় সুস্বাদু বিরিয়ানি, নয়তো দুপুর বেলার একটা আরামের ঘুম। আটকে থাকা টাকা ফেরত আসবে—তাই দ্রুত একটা নতুন বাজেট তৈরি করুন, যেখানে অন্তত ১০ পারসেন্ট ‘অহেতুক চিন্তা’-র জন্য বরাদ্দ থাকবে। স্ত্রীর ব্যবহারে শান্তি? এটি একটি বিরল গ্রহ-সংযোগ, উপভোগ করুন! কিন্তু প্রতিবেশী শত্রু হতে পারে, তাই ঝগড়া করে তাদের ট্রিট দিতে যাবেন না। কথাবার্তায় আজ অসাবধান হবেন না। আপনার বলা একটি নির্দোষ জোকস আজ কুরুক্ষেত্র বাঁধিয়ে দিতে পারে।
সিংহ
আজকের দিনটি বিশেষ, কারণ ভালো স্বাস্থ্য আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু করতে সাহায্য করবে। অর্থ উপার্জন ভালোই হবে, কিন্তু অর্থ লেনদেনে অসতর্কতা এড়িয়ে চলতে হবে। প্রেমের প্রস্তাব দিতে যাবেন না, নিরাশ হতে পারেন। আপনি আজ আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। এতটাই ভরপুর যে, মনে হতে পারে আপনিই বিশ্বের একমাত্র সিংহ। অর্থ লেনদেনে সতর্ক থাকুন, কারণ শিক্ষিত ও ভদ্র প্রতারকদের কাছ থেকে আজ ফাঁদ আসতে পারে। মানে, আপনার যে বন্ধুটা সবসময় ‘ব্যবসা শুরু করব’ বলে আপনার থেকে টাকা নেয়, তাকে এড়িয়ে চলুন। প্রেমের প্রস্তাব দিতে গেলে ‘না’ শুনতে হতে পারে, তাই তার বদলে বাড়িতে বসে ক্যাট ভিডিও দেখুন, যা আপনার অহংকারে আঘাত করবে না। আগুন থেকে সাবধান! রান্না করতে গিয়ে যদি আপনার রাজকীয় ডিনার পুড়ে যায়, নিজেকে দোষ দেবেন না।
কন্যা
একগুঁয়েমি দূর করুন, নইলে নিছক সময় নষ্ট হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে। তবে আজ সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যায় পড়তে পারেন এবং সর্দি-শ্লেষ্মার সমস্যা ভোগাতে পারে। গ্রহরা বলছে একগুঁয়েমি ছাড়তে—যেমনটা হয়তো আপনার কম্পিউটারকে বলছে—কিন্তু কেউই শোনার পাত্র নয়। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা হবে, তাই পারফেকশনিস্ট স্বভাবকে একটু বশে রাখুন, তাদের সামনে সবকিছু নিখুঁত করার চেষ্টা করতে গিয়ে সময় শেষ করে দেবেন না। সর্দি-শ্লেষ্মা হতে পারে, কারণ আপনার শরীর হয়তো এত নিখুঁত অর্গানাইজেশনের স্ট্রেস আর নিতে পারছে না। সিদ্ধান্ত নেওয়ার সমস্যা হলে, আজ বাজার থেকে কী কিনবেন, সেটাও বন্ধুকে জিজ্ঞেস করে নিন। লটারি থেকে অর্থপ্রাপ্তির যোগ আছে। তবে লটারি জেতার পর লটারির কাগজটা হারিয়ে ফেলবেন না যেন, কারণ আপনি কন্যা।
তুলা
আজ বাচ্চাদের সঙ্গে সান্ত্বনা খুঁজে নিন। কর্মক্ষেত্রে শত্রুতার মুখে পড়তে পারেন। সরকারি চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাবার স্বাস্থ্য নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়তে পারে। আজ জীবনে ভারসাম্য খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন হতে পারে, তাই বলা হচ্ছে বাচ্চাদের সঙ্গে থাকতে। বাচ্চারা তো আর ট্যাক্সের কথা বলবে না! কর্মক্ষেত্রে শত্রু? চিন্তা করবেন না, তারা শুধু আপনার সুন্দর টি-শার্ট দেখে হিংসা করছে। বাবার স্বাস্থ্য নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে, ডাক্তারের কথা শুনুন। আর যদি সরকারি চাকরির খবর পান, তাহলে বুঝবেন গ্রহরা সত্যিই আপনার জন্য একটা ব্রেকের ব্যবস্থা করেছে, যেখানে আর কারও সঙ্গে তর্ক করে সময় নষ্ট হবে না। চিকিৎসার খরচ আজ বাড়তে পারে। তাই আজ ভুল করেও রাস্তায় পড়ে থাকা পুরোনো ওয়ালেট তুলতে যাবেন না।
বৃশ্চিক
কর্মব্যস্ত দিন হওয়া সত্ত্বেও স্বাস্থ্য সুন্দর থাকবে। বন্ধুরা আপনাকে কোনো বিশেষ ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ করাবে যিনি আপনার চিন্তায় লক্ষণীয় প্রভাব ফেলতে পারেন। কর্মব্যস্ততা আপনার জন্মগত অধিকার, তাই আজ ব্যস্ত থাকবেন—হয় কাজ নিয়ে, নয়তো গভীর দার্শনিক চিন্তা নিয়ে। কিন্তু এই ব্যস্ততার মধ্যেও স্বাস্থ্য ভালো থাকবে—কারণ আপনি এতটাই তীব্র ও ক্ষিপ্র যে ভাইরাসও আপনার কাছে আসতে ভয় পায়। বন্ধু আজ যে ‘বিশেষ ব্যক্তির’ সঙ্গে আলাপ করাবে, তিনি হয়তো আপনার নতুন বস হতে পারেন, অথবা এমন কেউ যিনি আপনার সব থেকে গোপন রহস্যগুলো নিয়ে জোকস করতে পারেন। প্রস্তুত থাকুন! আজ মন ভালো জিনিসের প্রতি আগ্রহী হবে। সেই ভালো জিনিসটা যাতে প্রতিশোধের প্ল্যান না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
ধনু
স্বাস্থ্য সুস্থ থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। সুস্বাস্থ্যের কারণে নতুন সুযোগ আসবে। দুপুরের আগে জরুরি কাজ সেরে ফেলুন এবং আয়ের নতুন উৎস খুলতে পারে। স্বাস্থ্য এতটাই ভালো যে আজ মনে হবে আপনি চাইলেই মাউন্ট এভারেস্ট চড়তে পারবেন। এই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস নিয়ে আবার লটারিতে পুরো মাসের বেতন লাগিয়ে দেবেন না। জরুরি কাজ দুপুরের আগে শেষ করুন—এই প্রথমবার সময়মতো কিছু শেষ করার সুযোগ পাচ্ছেন। আয়ের নতুন উৎস মানে, আপনি হয়তো পুরোনো দিনের জমানো কয়েনগুলো খুঁজে পাবেন, যা আপনার অ্যাডভেঞ্চারের জন্য কাজে লাগতে পারে। আজ খুব বেশি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কোনো প্রতিশ্রুতি দেবেন না। কারণ গ্রহরা চায় না সব ফ্রি-টাইম অন্যের জন্য উৎসর্গ করুন।
মকর
দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাগুলো আজ গতি পাবে। সামাজিক কাজে ভালো ভাবমূর্তি উন্নত হবে। অন্যরা আপনার ভালো উদ্দেশ্যকে স্বার্থপরতা বলে ভুল করতে পারে। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগে কিছুটা সতর্ক থাকুন। অবশেষে আপনার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাগুলো নড়েচড়ে বসছে! মনে রাখবেন, ‘দীর্ঘমেয়াদি’ মানে ২০ বছর নয়, অন্তত পরের মাসের মধ্যে কিছু একটা করুন। আপনি আন্তরিকভাবে অন্যদের কল্যাণের কথা ভাবলেও, তারা ভাববে আপনি কেন তাদের আপনার কাজে লাগাচ্ছেন। আপনার কঠোর পরিশ্রমকে মানুষ ‘ট্যাক্স ফাঁকি’র প্ল্যানিংও ভাবতে পারে—অতএব, আজ একটু কম পারফেক্ট হোন। পরিবারের কোনো দূরবর্তী সদস্যকে মিস করতে পারেন। আজ তাকে একটা ফোন করুন, কিন্তু ভুলেও নিজের কাজের স্ট্রেস তাদের ওপর চাপিয়ে দেবেন না।
কুম্ভ
সাহস এবং বীরত্ব বাড়বে। রাজনীতিতে কর্মরতরা কাজে সাফল্য অর্জন করতে পারেন। তবে যানবাহন ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকুন এবং লোভ ও প্রলোভন এড়িয়ে চলুন। আপনার সাহস আজ এতটাই বাড়বে যে আপনি হয়তো আপনার পুরোনো ডায়েরিটা পাবলিকলি পোস্ট করে দেবেন। রাজনীতিতে সাফল্য মানে, সব বন্ধু আজ আপনার আইডিয়াই সবচেয়ে সেরা বলে মেনে নেবে। যানবাহন চালানোর সময় সতর্ক থাকুন, কারণ আপনার মন আজ পৃথিবী বাঁচানোর চিন্তায় ব্যস্ত থাকবে, রাস্তায় নয়। কোনো প্রলোভনে পড়বেন না! বিশেষ করে কোনো ‘অল্প সময়ে কোটিপতি’ হওয়ার স্কিমে, কারণ আপনার গ্রহরা জানে আপনি ওটা সামলাতে পারবেন না। আজ প্রেম জীবনের চেয়ে সামাজিক যোগাযোগে বেশি আগ্রহ দেখা যাবে। তাই ডেটিং অ্যাপের পরিবর্তে চ্যাট গ্রুপে বেশি সময় কাটান।
মীন
উন্নতির পথ খুলে যাবে এবং বন্ধুর মাধ্যমে আয়ের উৎসের সঙ্গে যোগাযোগ হতে পারে। অবিবাহিতরা সৌল মেটের সঙ্গে দেখা করতে পারে। স্বাস্থ্যের কিছুটা অবনতি হতে পারে, তাই সাবধানে বিবেচনা না করে কোনো প্রতিশ্রুতি দেবেন না। সৌল মেট আজ যে কোনো সময় দরজায় কড়া নাড়তে পারে! কিন্তু সাবধানে, তারা হয়তো আপনার সব থেকে বিশৃঙ্খল ঘরটা দেখতে পাবে। আয়ের নতুন উৎস মানে, হয়তো পুরোনো এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা হবে যে আপনাকে তার নতুন এমএলএম স্কিমে জয়েন করতে বলবে—গ্রহরা অবশ্য অন্য উৎসের কথা বলছে। স্বাস্থ্যের সামান্য অবনতি হতে পারে, কারণ আপনি হয়তো সারা দিন স্বপ্নে ছিলেন আর বাস্তবে ঘুমোতে ভুলে গেছেন। সাবধানে বিবেচনা না করে কোনো প্রতিশ্রুতি দেবেন না। বিশেষ করে যদি সঙ্গী আপনাকে জিজ্ঞেস করে, ‘তুমি কি আজীবন সার্বক্ষণিক আমার পাশে থাকবে?’

নীলগিরি, চিম্বুক, শৈলপ্রপাত, নীলাচলের মতো জায়গা ভ্রমণ করে ভাজা ভাজা করে ফেলেছেন। এখন বান্দরবান শহরের কাছেই একটু ভিড়-বাট্টা কম এমন কয়েকটি জায়গা ঘুরে দেখতে চান, উপভোগ করতে চান প্রকৃতি। তাহলে আজকের এই লেখাটি আপনার জন্য।
১১ নভেম্বর ২০২৪
স্টাইল করে পোশাক পরতে জানলে শীতকালই কিন্তু সেরা সময়। রঙের মেলবন্ধন, পোশাকের কাটিং, টপ অ্যান্ড বটম নির্ধারণ করে শীতের পোশাক পরলেই আপনি ফিট। কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখলে শীতের পোশাকে নিজেকে অনবদ্যভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব।
১ ঘণ্টা আগে
শহর থেকে একটু দূরেই যাঁদের বসবাস, তাঁরা এরই মধ্য়ে হালকা শীতের কাপড় নামিয়ে ফেলেছেন। দীর্ঘদিন বাক্সবন্দী সোয়েটার, জ্যাকেট, উলের মোজা, টুপি, চাদর, কার্ডিগান বের করে সঙ্গে সঙ্গেই তো আর গায়ে তোলা যায় না।
২ ঘণ্টা আগে
আমাদের প্লেটে পরিবেশিত এমন অনেক জনপ্রিয় খাদ্য আছে, যেগুলো নিঃশব্দে পরিবেশের ক্ষতি করছে। এই খাবারগুলো বন উজাড়, পানি সংকট, জলবায়ু পরিবর্তনসহ পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতিকর বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত। এখন আমাদের খাদ্যাভ্যাসে সেই খাবারগুলো রাখা নিয়ে পুনর্বিবেচনা করার সময় এসেছে। খাদ্যপ্রবণতার উন্মাদনা ফিকে হয়ে...
২ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

স্টাইল করে পোশাক পরতে জানলে শীতকালই কিন্তু সেরা সময়। রঙের মেলবন্ধন, পোশাকের কাটিং, টপ অ্যান্ড বটম নির্ধারণ করে শীতের পোশাক পরলেই আপনি ফিট। কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখলে শীতের পোশাকে নিজেকে অনবদ্যভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব।
ক্ল্যাসিকে মাতিয়ে দিন
শীতকালের কিছু চিরায়ত পোশাক রয়েছে, যেগুলো ফ্যাশনের ধারা থেকে কখনো হারিয়ে যায় না। তেমনই একটি পোশাক হলো স্কিনি জিনসের সঙ্গে ঢিলেঢালা সোয়েটার। তবে এই লুকের সুবিধা হলো, এর সঙ্গে যেকোনো ধরনের জুতা; যেমন বুট, অ্যাঙ্কেল বুট, হাঁটু পর্যন্ত বুট কিংবা স্নিকার সহজে মানিয়ে যায়।
আরেকটি ক্ল্যাসিক লুক হলো মার্লিন প্যান্ট, বুট কাট জিনসের মতো চওড়া পায়ের প্যান্টের সঙ্গে ক্যাশমেয়ার কার্ডিগান, ক্রপড জাম্পার অথবা ছোট ব্লেজারের মতো ফিটিং টপ।
এই লুকে কোমরের অংশটি খুব সুন্দরভাবে হাইলাইট হয়। তা ছাড়া শীতকালের আরেকটি ক্ল্যাসিক ড্রেস হলো স্কার্ট। আপনার পছন্দমতো মিডি বা ম্যাক্সি স্কার্ট, সঙ্গে লেগিংস ও ছোট বা লম্বা বুট জুতা, আর ওপরে ক্রপ সোয়েটার বা ব্লেজার পরতে পারেন।
ক্যাজুয়াল ও আরামদায়ক পোশাক
এ সময় ওভারসাইজড জাম্পার, কার্ডিগান, চওড়া প্যান্ট এবং লম্বা কোট দিয়ে সহজে কিছু ক্যাজুয়াল লুক তৈরি করা যায়। যেমন ওভারসাইজ জাম্পারের ওপর লম্বা কোট এবং নিচে একটি লেদারের প্যান্ট, সঙ্গে এক জোড়া স্নিকার খুব সুন্দর ক্যাজুয়াল লুক দেয়। তা ছাড়া স্টেট জিনসের সঙ্গে লম্বা হাতার শার্ট এবং একটি নিটেড কার্ডিগান পরা যেতে পারে।
স্টাইলিশ ও চিক পোশাক
যাঁরা একটু স্টাইলিশ লুক চান, তাঁরা লেদারের মিডি স্কার্টের সঙ্গে লেগিংস, একটি শর্ট ফিটিং জ্যাকেট ও হাঁটু পর্যন্ত লম্বা বুট পরতে পারেন। তা ছাড়া লম্বা প্লিটেড স্কার্টের সঙ্গে ক্রপড উলের জাম্পারও পরতে পারেন। আরেকটি চিক লুক হতে পারে লম্বা উলের ড্রেসের সঙ্গে ব্লেজার ও কোমরে বেল্ট।
নিত্যদিনের ব্যবহারের উপযোগী ও উৎসবমুখী এ দুটি ক্যাটাগরিতে এবারের শীতপোশাকগুলো সাজানো হয়েছে। সব বয়সী নারীর কথা বিবেচনায় রেখে বেছে নিয়েছি সূক্ষ্ম কিন্তু নজরকাড়া রং, সাহসী কাট, যা প্রতিটি পোশাককে স্টেটমেন্ট পিসে পরিণত করে। ডিজাইনগুলোতে ফ্লেয়ার ও ফাংশনালিটি একসঙ্গে মিলেছে। মিনিমাল এই শীতপোশাকগুলো সঠিক অ্যাকসেসরিজের সঙ্গে স্টাইলিশ কিংবা ক্যাজুয়াল—দুভাবেই পরা যাবে। স্ট্রাইপ, ডার্ক টোন, ডুডল ডিজাইন এবং প্রিন্টেড প্যাটার্নের জ্যাকেট ও ব্লেজারগুলোয় ব্যবহার করা হয়েছে পান্না সবুজ ও স্যাফায়ারের রং, ক্রিম, মেরুন এবং ইলেকট্রিক ব্লু রঙের সংমিশ্রণ।
তাসনিম ফেরদৌস প্রতিষ্ঠাতা ও ডিজাইনার, ওয়্যারহাউস
অনুষ্ঠানে শীতের পোশাক
সাধারণত শীতকালজুড়ে বিভিন্ন রকমের অনুষ্ঠান থাকে। এসব অনুষ্ঠানে ক্যাজুয়াল চিক লুক চাইলে জিনসের সঙ্গে লম্বা হাতার উলের সোয়েটার অথবা স্কার্টের সঙ্গে পোলো নেক টপ পরতে পারেন। আবার সেমি ফরমাল লুক চাইলে স্কার্টের সঙ্গে ব্লেজার কিংবা মার্লিন প্যান্টের সঙ্গে লম্বা হাতার উলের সোয়েটার হবে আপনার জন্য সেরা অপশন। উষ্ণতার জন্য পোশাকের ওপর একটি শাল কিংবা উলের কোট যোগ করতে পারেন। এটি আপনার লুককে আরও বেশি স্মার্ট করে তুলবে।
তবে যেকোনো অনুষ্ঠানে পরার জন্য সঠিক রং বাছাই করা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেমন রাতের অনুষ্ঠানে একটু গাঢ় রঙের পোশাক মানানসই। সঠিক কাপড় ও রঙের পাশাপাশি ফিটিংয়ের দিকেও নজর দিতে হবে। সবকিছু ঠিক থাকার পরও ফিটিং যদি ঠিক না হয়, তাহলে দেখতে বড্ড বেমানান লাগে।

স্টাইল করে পোশাক পরতে জানলে শীতকালই কিন্তু সেরা সময়। রঙের মেলবন্ধন, পোশাকের কাটিং, টপ অ্যান্ড বটম নির্ধারণ করে শীতের পোশাক পরলেই আপনি ফিট। কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখলে শীতের পোশাকে নিজেকে অনবদ্যভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব।
ক্ল্যাসিকে মাতিয়ে দিন
শীতকালের কিছু চিরায়ত পোশাক রয়েছে, যেগুলো ফ্যাশনের ধারা থেকে কখনো হারিয়ে যায় না। তেমনই একটি পোশাক হলো স্কিনি জিনসের সঙ্গে ঢিলেঢালা সোয়েটার। তবে এই লুকের সুবিধা হলো, এর সঙ্গে যেকোনো ধরনের জুতা; যেমন বুট, অ্যাঙ্কেল বুট, হাঁটু পর্যন্ত বুট কিংবা স্নিকার সহজে মানিয়ে যায়।
আরেকটি ক্ল্যাসিক লুক হলো মার্লিন প্যান্ট, বুট কাট জিনসের মতো চওড়া পায়ের প্যান্টের সঙ্গে ক্যাশমেয়ার কার্ডিগান, ক্রপড জাম্পার অথবা ছোট ব্লেজারের মতো ফিটিং টপ।
এই লুকে কোমরের অংশটি খুব সুন্দরভাবে হাইলাইট হয়। তা ছাড়া শীতকালের আরেকটি ক্ল্যাসিক ড্রেস হলো স্কার্ট। আপনার পছন্দমতো মিডি বা ম্যাক্সি স্কার্ট, সঙ্গে লেগিংস ও ছোট বা লম্বা বুট জুতা, আর ওপরে ক্রপ সোয়েটার বা ব্লেজার পরতে পারেন।
ক্যাজুয়াল ও আরামদায়ক পোশাক
এ সময় ওভারসাইজড জাম্পার, কার্ডিগান, চওড়া প্যান্ট এবং লম্বা কোট দিয়ে সহজে কিছু ক্যাজুয়াল লুক তৈরি করা যায়। যেমন ওভারসাইজ জাম্পারের ওপর লম্বা কোট এবং নিচে একটি লেদারের প্যান্ট, সঙ্গে এক জোড়া স্নিকার খুব সুন্দর ক্যাজুয়াল লুক দেয়। তা ছাড়া স্টেট জিনসের সঙ্গে লম্বা হাতার শার্ট এবং একটি নিটেড কার্ডিগান পরা যেতে পারে।
স্টাইলিশ ও চিক পোশাক
যাঁরা একটু স্টাইলিশ লুক চান, তাঁরা লেদারের মিডি স্কার্টের সঙ্গে লেগিংস, একটি শর্ট ফিটিং জ্যাকেট ও হাঁটু পর্যন্ত লম্বা বুট পরতে পারেন। তা ছাড়া লম্বা প্লিটেড স্কার্টের সঙ্গে ক্রপড উলের জাম্পারও পরতে পারেন। আরেকটি চিক লুক হতে পারে লম্বা উলের ড্রেসের সঙ্গে ব্লেজার ও কোমরে বেল্ট।
নিত্যদিনের ব্যবহারের উপযোগী ও উৎসবমুখী এ দুটি ক্যাটাগরিতে এবারের শীতপোশাকগুলো সাজানো হয়েছে। সব বয়সী নারীর কথা বিবেচনায় রেখে বেছে নিয়েছি সূক্ষ্ম কিন্তু নজরকাড়া রং, সাহসী কাট, যা প্রতিটি পোশাককে স্টেটমেন্ট পিসে পরিণত করে। ডিজাইনগুলোতে ফ্লেয়ার ও ফাংশনালিটি একসঙ্গে মিলেছে। মিনিমাল এই শীতপোশাকগুলো সঠিক অ্যাকসেসরিজের সঙ্গে স্টাইলিশ কিংবা ক্যাজুয়াল—দুভাবেই পরা যাবে। স্ট্রাইপ, ডার্ক টোন, ডুডল ডিজাইন এবং প্রিন্টেড প্যাটার্নের জ্যাকেট ও ব্লেজারগুলোয় ব্যবহার করা হয়েছে পান্না সবুজ ও স্যাফায়ারের রং, ক্রিম, মেরুন এবং ইলেকট্রিক ব্লু রঙের সংমিশ্রণ।
তাসনিম ফেরদৌস প্রতিষ্ঠাতা ও ডিজাইনার, ওয়্যারহাউস
অনুষ্ঠানে শীতের পোশাক
সাধারণত শীতকালজুড়ে বিভিন্ন রকমের অনুষ্ঠান থাকে। এসব অনুষ্ঠানে ক্যাজুয়াল চিক লুক চাইলে জিনসের সঙ্গে লম্বা হাতার উলের সোয়েটার অথবা স্কার্টের সঙ্গে পোলো নেক টপ পরতে পারেন। আবার সেমি ফরমাল লুক চাইলে স্কার্টের সঙ্গে ব্লেজার কিংবা মার্লিন প্যান্টের সঙ্গে লম্বা হাতার উলের সোয়েটার হবে আপনার জন্য সেরা অপশন। উষ্ণতার জন্য পোশাকের ওপর একটি শাল কিংবা উলের কোট যোগ করতে পারেন। এটি আপনার লুককে আরও বেশি স্মার্ট করে তুলবে।
তবে যেকোনো অনুষ্ঠানে পরার জন্য সঠিক রং বাছাই করা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেমন রাতের অনুষ্ঠানে একটু গাঢ় রঙের পোশাক মানানসই। সঠিক কাপড় ও রঙের পাশাপাশি ফিটিংয়ের দিকেও নজর দিতে হবে। সবকিছু ঠিক থাকার পরও ফিটিং যদি ঠিক না হয়, তাহলে দেখতে বড্ড বেমানান লাগে।

নীলগিরি, চিম্বুক, শৈলপ্রপাত, নীলাচলের মতো জায়গা ভ্রমণ করে ভাজা ভাজা করে ফেলেছেন। এখন বান্দরবান শহরের কাছেই একটু ভিড়-বাট্টা কম এমন কয়েকটি জায়গা ঘুরে দেখতে চান, উপভোগ করতে চান প্রকৃতি। তাহলে আজকের এই লেখাটি আপনার জন্য।
১১ নভেম্বর ২০২৪
আজকের দিনে স্বাস্থ্য খুবই চাঙা থাকবে, যা আপনাকে নতুন কিছু করে দেখানোর শক্তি দেবে। তবে গ্রহরা বলছে, এই অতিরিক্ত এনার্জি যেন আবার ঝগড়া-বিবাদের দিকে না যায়! কর্মক্ষেত্রে আবেগ প্রকাশে শান্ত থাকতে বলা হচ্ছে।
৬ মিনিট আগে
শহর থেকে একটু দূরেই যাঁদের বসবাস, তাঁরা এরই মধ্য়ে হালকা শীতের কাপড় নামিয়ে ফেলেছেন। দীর্ঘদিন বাক্সবন্দী সোয়েটার, জ্যাকেট, উলের মোজা, টুপি, চাদর, কার্ডিগান বের করে সঙ্গে সঙ্গেই তো আর গায়ে তোলা যায় না।
২ ঘণ্টা আগে
আমাদের প্লেটে পরিবেশিত এমন অনেক জনপ্রিয় খাদ্য আছে, যেগুলো নিঃশব্দে পরিবেশের ক্ষতি করছে। এই খাবারগুলো বন উজাড়, পানি সংকট, জলবায়ু পরিবর্তনসহ পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতিকর বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত। এখন আমাদের খাদ্যাভ্যাসে সেই খাবারগুলো রাখা নিয়ে পুনর্বিবেচনা করার সময় এসেছে। খাদ্যপ্রবণতার উন্মাদনা ফিকে হয়ে...
২ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

শহর থেকে একটু দূরেই যাঁদের বসবাস, তাঁরা এরই মধ্য়ে হালকা শীতের কাপড় নামিয়ে ফেলেছেন। দীর্ঘদিন বাক্সবন্দী সোয়েটার, জ্যাকেট, উলের মোজা, টুপি, চাদর, কার্ডিগান বের করে সঙ্গে সঙ্গেই তো আর গায়ে তোলা যায় না। এগুলো ব্যবহার করার আগে কয়েক দিন ভালোভাবে কড়া রোদে এপাশ-ওপাশ শুকিয়ে তারপরই পরতে হবে। যেসব কাপড়ে আবার ধুলার গন্ধ থাকে, সেগুলো ধুয়ে ব্যবহার করাই ভালো।
শীতের পোশাকগুলো পরার আগে যা করতে হবে:
সোয়েটার পরার আগে ধুয়ে পরাই ভালো। ঠান্ডা পানিতে পরিমাণমতো শ্যাম্পু ও ভিনেগার মিশিয়ে আলতো করে সোয়েটার ধোয়া উচিত। এটি কখনোই ওয়াশিং মেশিনে ধোবেন না। তাতে এর বুনন নষ্ট হয়ে যায়। ধোয়ার পর হালকা করে পানি নিংড়ে তারপর রোদে শুকিয়ে নিন।
হালকা শীতে ফ্লানেলের শার্ট, ব্লাউজ, স্কার্ট আরামদায়ক। এসব কাপড় দীর্ঘদিন ভালো রাখতে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিতে পারেন। বেশি ময়লা হলে হালকা গরম পানিতে শ্যাম্পু মিশিয়ে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। পরে হালকা করে কেচে ধুয়ে নিন। কাপড় উল্টিয়ে রোদে শুকাতে দিন। এতে রং নষ্ট হবে না।
চাদর বের করে কড়া রোদে শুকিয়ে তারপর ব্যবহার করুন। ধোয়ার প্রয়োজন হলে ড্রাই ক্লিন করে নিতে পারেন। চাদর দীর্ঘদিন ভালো থাকবে।
চামড়ার জ্যাকেট পরিষ্কার করার জন্য কুসুম গরম পানির সঙ্গে ভিনেগার মিশিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণে তোয়ালে ভিজিয়ে নিংড়ে জ্যাকেটের উপরিভাগ মুছে নিন। এরপর হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে বাতাসে শুকিয়ে নিলেই, ব্যস।
শীতে প্রতিদিনই যে অনুষঙ্গগুলো ব্যবহৃত হয়; যেমন উলের মোজা, মাফলার, টুপি ইত্যাদি দ্রুত ময়লা হয়। তাই তিন-চার দিন পরপর কুসুম গরম পানি ও শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন।
সূত্র: হার জিন্দেগি ও অন্যান্য

শহর থেকে একটু দূরেই যাঁদের বসবাস, তাঁরা এরই মধ্য়ে হালকা শীতের কাপড় নামিয়ে ফেলেছেন। দীর্ঘদিন বাক্সবন্দী সোয়েটার, জ্যাকেট, উলের মোজা, টুপি, চাদর, কার্ডিগান বের করে সঙ্গে সঙ্গেই তো আর গায়ে তোলা যায় না। এগুলো ব্যবহার করার আগে কয়েক দিন ভালোভাবে কড়া রোদে এপাশ-ওপাশ শুকিয়ে তারপরই পরতে হবে। যেসব কাপড়ে আবার ধুলার গন্ধ থাকে, সেগুলো ধুয়ে ব্যবহার করাই ভালো।
শীতের পোশাকগুলো পরার আগে যা করতে হবে:
সোয়েটার পরার আগে ধুয়ে পরাই ভালো। ঠান্ডা পানিতে পরিমাণমতো শ্যাম্পু ও ভিনেগার মিশিয়ে আলতো করে সোয়েটার ধোয়া উচিত। এটি কখনোই ওয়াশিং মেশিনে ধোবেন না। তাতে এর বুনন নষ্ট হয়ে যায়। ধোয়ার পর হালকা করে পানি নিংড়ে তারপর রোদে শুকিয়ে নিন।
হালকা শীতে ফ্লানেলের শার্ট, ব্লাউজ, স্কার্ট আরামদায়ক। এসব কাপড় দীর্ঘদিন ভালো রাখতে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিতে পারেন। বেশি ময়লা হলে হালকা গরম পানিতে শ্যাম্পু মিশিয়ে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। পরে হালকা করে কেচে ধুয়ে নিন। কাপড় উল্টিয়ে রোদে শুকাতে দিন। এতে রং নষ্ট হবে না।
চাদর বের করে কড়া রোদে শুকিয়ে তারপর ব্যবহার করুন। ধোয়ার প্রয়োজন হলে ড্রাই ক্লিন করে নিতে পারেন। চাদর দীর্ঘদিন ভালো থাকবে।
চামড়ার জ্যাকেট পরিষ্কার করার জন্য কুসুম গরম পানির সঙ্গে ভিনেগার মিশিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণে তোয়ালে ভিজিয়ে নিংড়ে জ্যাকেটের উপরিভাগ মুছে নিন। এরপর হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে বাতাসে শুকিয়ে নিলেই, ব্যস।
শীতে প্রতিদিনই যে অনুষঙ্গগুলো ব্যবহৃত হয়; যেমন উলের মোজা, মাফলার, টুপি ইত্যাদি দ্রুত ময়লা হয়। তাই তিন-চার দিন পরপর কুসুম গরম পানি ও শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন।
সূত্র: হার জিন্দেগি ও অন্যান্য

নীলগিরি, চিম্বুক, শৈলপ্রপাত, নীলাচলের মতো জায়গা ভ্রমণ করে ভাজা ভাজা করে ফেলেছেন। এখন বান্দরবান শহরের কাছেই একটু ভিড়-বাট্টা কম এমন কয়েকটি জায়গা ঘুরে দেখতে চান, উপভোগ করতে চান প্রকৃতি। তাহলে আজকের এই লেখাটি আপনার জন্য।
১১ নভেম্বর ২০২৪
আজকের দিনে স্বাস্থ্য খুবই চাঙা থাকবে, যা আপনাকে নতুন কিছু করে দেখানোর শক্তি দেবে। তবে গ্রহরা বলছে, এই অতিরিক্ত এনার্জি যেন আবার ঝগড়া-বিবাদের দিকে না যায়! কর্মক্ষেত্রে আবেগ প্রকাশে শান্ত থাকতে বলা হচ্ছে।
৬ মিনিট আগে
স্টাইল করে পোশাক পরতে জানলে শীতকালই কিন্তু সেরা সময়। রঙের মেলবন্ধন, পোশাকের কাটিং, টপ অ্যান্ড বটম নির্ধারণ করে শীতের পোশাক পরলেই আপনি ফিট। কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখলে শীতের পোশাকে নিজেকে অনবদ্যভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব।
১ ঘণ্টা আগে
আমাদের প্লেটে পরিবেশিত এমন অনেক জনপ্রিয় খাদ্য আছে, যেগুলো নিঃশব্দে পরিবেশের ক্ষতি করছে। এই খাবারগুলো বন উজাড়, পানি সংকট, জলবায়ু পরিবর্তনসহ পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতিকর বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত। এখন আমাদের খাদ্যাভ্যাসে সেই খাবারগুলো রাখা নিয়ে পুনর্বিবেচনা করার সময় এসেছে। খাদ্যপ্রবণতার উন্মাদনা ফিকে হয়ে...
২ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

অ্যাভোকাডো টোস্ট, মাচা লাতে বা বিলাসবহুল চকলেট। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে এই খাবারগুলো বানানো এবং খাওয়ার ভিডিও এখন সবচেয়ে জনপ্রিয়। খাবারগুলো দেখতে চমৎকার, আকর্ষণীয়; এমনকি স্বাস্থ্যকর মনে হলেও এর আড়ালে লুকিয়ে আছে এক উদ্বেগজনক রহস্য। কারণ, এই খাবারগুলো বন উজাড়, পানি সংকট, জলবায়ু পরিবর্তনসহ পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতিকর বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত।
আমাদের প্লেটে পরিবেশিত এমন অনেক জনপ্রিয় খাদ্য আছে, যেগুলো নিঃশব্দে পরিবেশের ক্ষতি করছে। অথচ আমরা শুধু তাদের বাহ্যিক সৌন্দর্য এবং স্বাদের কারণে সেই সব খাবারের প্রতি আকৃষ্ট হই। তাই এখন আমাদের খাদ্যাভ্যাসে সেই খাবারগুলো রাখা নিয়ে পুনর্বিবেচনা করার সময় এসেছে। খাদ্যপ্রবণতার উন্মাদনা ফিকে হয়ে গেলেও এর পরিবেশগত ও সামাজিক মূল্য কিন্তু রয়েই যায়। এর প্রভাব আমাদের পছন্দের প্লেটের বাইরেও সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলে, যা দেখায় যে জনপ্রিয়তা মানেই টেকসই নয়।
পানি ও জমির ওপর চরম চাপ সৃষ্টিকারী খাদ্য

কিছু খাদ্য আছে, যেগুলোর উৎপাদন করতে গিয়ে পানির আধার শুকিয়ে যাচ্ছে। প্রাকৃতিক জমি ধ্বংস হচ্ছে। যেসব খাদ্য উৎপাদনে এমন ঘটনা ঘটছে, সেগুলোর মধ্যে আছে—
আমন্ড মিল্ক: আমণ্ড মিল্ক উৎপাদন করতে পরিবেশকে চরম মূল্য দিতে হয়। মাত্র ১৬টি আমন্ডের জন্য ১৫ গ্যালনের বেশি পানি প্রয়োজন। ক্যালিফোর্নিয়ায় বছরে দুই বিলিয়ন পাউন্ডের বেশি আমন্ড উৎপাদন করা হয়। সেখানে দীর্ঘ এক দশক ধরে খরা চলছে। নিবিড় সেচের ফলে ভূগর্ভস্থ পানি দ্রুত কমে যাচ্ছে। কীটনাশক পানিকে দূষিত করছে এবং প্রাকৃতিক জলাভূমি আমন্ড বাগানে রূপান্তরিত হচ্ছে।
পেস্তা: জলবায়ু-সহনশীল ফসল হিসেবে বাজারজাত করা হয় পেস্তা। প্রতি কিলোগ্রাম পেস্তা উৎপাদনে প্রায় ১০ হাজার লিটার পানির প্রয়োজন হয়। ফলে দুষ্প্রাপ্য পানির সংস্থান দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। স্পেনের মতো উৎপাদনকারী অঞ্চলে এখন খরা পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।

কফি: আপনার প্রিয় চার আউন্সের এক কাপ কফি উৎপাদনের জন্য পানির প্রয়োজন প্রায় ১৪০ লিটার। বৈশ্বিক চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কফি খামারগুলো এখন রাসায়নিক-নির্ভর সূর্য-আশ্রিত খামারে পরিণত হচ্ছে। এতে বন উজাড় ও জীববৈচিত্র্য নষ্ট হচ্ছে। সেই সঙ্গে বছরে ১৬ বিলিয়ন পর্যন্ত ডিসপোজিবল কাপ ব্যবহার ৪ বিলিয়ন গ্যালন পানি এবং লাখ লাখ গাছ নষ্ট করছে।
ভাত: গবাদিপশুর পরে ধান চাষ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিথেন নিঃসরণকারী উৎস। বছরে জার্মানির মোট গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের প্রায় সমান পরিমাণ গ্যাস নির্গত হয় ধানখেত থেকে, যার প্রধান কারণ পচনশীল খড়। প্রতি একর জমিতে প্রায় ৪ লাখ লিটার পানির প্রয়োজন হয়।
বন উজাড় ও জীববৈচিত্র্য কমার কারণ
অনেক জনপ্রিয় খাবার উৎপাদন করতে গিয়ে পৃথিবীর মূল্যবান বনভূমি ধ্বংস হচ্ছে। এমন খাবারগুলোর মধ্যে আছে—
সয়া বা টোফু: টোফুর মতো উদ্ভিদভিত্তিক প্রোটিনের ভিত্তি সয়া বিশ্বব্যাপী ব্যাপক পরিবেশগত ক্ষতির কারণ। দক্ষিণ আমেরিকায়, সয়া চাষের জন্য সেরাদো তৃণভূমির (৩ হাজারের বেশি প্রজাতির আবাসস্থল) অর্ধেক জমি হারিয়েছে। সয়ার ৭৫ শতাংশ সরাসরি মানুষ খায় না, বরং গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যা এর পরিবেশগত ক্ষতি আরও তীব্র করে।
পাম তেল: এটি বিশ্বের সর্বাধিক ব্যবহৃত উদ্ভিজ্জ তেল, যা অর্ধেকের বেশি মুদিদোকানের পণ্যে পাওয়া যায়। এর উৎপাদন ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় ব্যাপক বন উজাড়ের মূল কারণ। ফলে ওরাংগুটান জনসংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ কমে গেছে। রেইনফরেস্ট পরিষ্কার করার ফলে জীববৈচিত্র্য নষ্ট হয় এবং স্থানীয় সম্প্রদায়কে স্থানচ্যুত হতে হয়।
গরুর মাংস: গরুর মাংসের উৎপাদন এখনো লাতিন আমেরিকার ৭০ শতাংশের বেশি বন উজাড়ের কারণ। এটি প্রচুর মিথেন এবং নাইট্রাস অক্সাইড নির্গত করে; যা জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য প্রধান হুমকি। তথাকথিত টেকসই গরুর মাংসও একটি প্রধান জলবায়ু ঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত।
চকলেট: কোকো চাষের কারণে পশ্চিম আফ্রিকার ৯০ শতাংশের বেশি বনভূমি হারিয়ে গেছে। চকলেটের বার তৈরিতে পাম তেল এবং সয়া ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া আইভরি কোস্ট এবং ঘানার ছোট চাষিরা ন্যায্য মজুরি না পাওয়ায় শিশুশ্রমের মতো নৈতিক সমস্যাও বিদ্যমান।
সমুদ্র ও প্রথাগত কৃষির ওপর আঘাত
আমাদের খাদ্যপ্রবণতা শুধু জমি নয়, সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্র ও প্রথাগত কৃষকের জীবনকেও প্রভাবিত করছে।
মাছ: বিশ্বজুড়ে সুশি এবং পোক বাউলের জনপ্রিয়তা একটি গুরুতর পরিবেশগত ক্ষতি ডেকে এনেছে। অতিরিক্ত মাছ ধরার কারণে টুনা ও স্যামনের মতো মূল প্রজাতিগুলো বিলুপ্তির পথে। বিশ্বব্যাপী মাছ রপ্তানির অর্ধেক সরবরাহকারী উন্নয়নশীল দেশগুলোতে, মাছ স্থানীয় ভোগের পরিবর্তে বিলাসবহুল বাজারের জন্য রপ্তানি হয়, যা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর প্রোটিন ঘাটতি সৃষ্টি করে।
দুগ্ধজাতীয় ও অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত খাদ্য
সাধারণ দুগ্ধজাত পণ্য এবং প্রক্রিয়াজাত বাদামও পরিবেশের ওপর বড় ছাপ ফেলছে।
দই: গরুর মাংসের ব্যবহার কমলেও দুগ্ধজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়ছে; যা পরিবেশের ওপর বড় ছাপ ফেলছে। গ্রিক এবং ছাঁকা দই সাধারণ দইয়ের চেয়ে চার গুণ বেশি দুধ ব্যবহার করে। গবাদিপশুর মিথেন নিঃসরণ এবং ব্যাপক পশুকল্যাণ-সংক্রান্ত উদ্বেগের সঙ্গে মিলিত হয়ে, দুধ একটি উচ্চ-প্রভাবশালী জলবায়ু পরিবর্তনকারী কারণ হিসেবে পরিণত হয়েছে।
বাদামের মাখন কিছু বাদামের মাখনে পাম তেল থাকে। এ ছাড়া পানির প্রয়োজনকারী ক্যালিফোর্নিয়ার আমন্ড বা তুর্কি হ্যাজেলনাট এবং ভিয়েতনামের কাজুশিল্পে শিশুশ্রম ও মানবাধিকারের উদ্বেগ রয়েছে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

অ্যাভোকাডো টোস্ট, মাচা লাতে বা বিলাসবহুল চকলেট। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে এই খাবারগুলো বানানো এবং খাওয়ার ভিডিও এখন সবচেয়ে জনপ্রিয়। খাবারগুলো দেখতে চমৎকার, আকর্ষণীয়; এমনকি স্বাস্থ্যকর মনে হলেও এর আড়ালে লুকিয়ে আছে এক উদ্বেগজনক রহস্য। কারণ, এই খাবারগুলো বন উজাড়, পানি সংকট, জলবায়ু পরিবর্তনসহ পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতিকর বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত।
আমাদের প্লেটে পরিবেশিত এমন অনেক জনপ্রিয় খাদ্য আছে, যেগুলো নিঃশব্দে পরিবেশের ক্ষতি করছে। অথচ আমরা শুধু তাদের বাহ্যিক সৌন্দর্য এবং স্বাদের কারণে সেই সব খাবারের প্রতি আকৃষ্ট হই। তাই এখন আমাদের খাদ্যাভ্যাসে সেই খাবারগুলো রাখা নিয়ে পুনর্বিবেচনা করার সময় এসেছে। খাদ্যপ্রবণতার উন্মাদনা ফিকে হয়ে গেলেও এর পরিবেশগত ও সামাজিক মূল্য কিন্তু রয়েই যায়। এর প্রভাব আমাদের পছন্দের প্লেটের বাইরেও সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলে, যা দেখায় যে জনপ্রিয়তা মানেই টেকসই নয়।
পানি ও জমির ওপর চরম চাপ সৃষ্টিকারী খাদ্য

কিছু খাদ্য আছে, যেগুলোর উৎপাদন করতে গিয়ে পানির আধার শুকিয়ে যাচ্ছে। প্রাকৃতিক জমি ধ্বংস হচ্ছে। যেসব খাদ্য উৎপাদনে এমন ঘটনা ঘটছে, সেগুলোর মধ্যে আছে—
আমন্ড মিল্ক: আমণ্ড মিল্ক উৎপাদন করতে পরিবেশকে চরম মূল্য দিতে হয়। মাত্র ১৬টি আমন্ডের জন্য ১৫ গ্যালনের বেশি পানি প্রয়োজন। ক্যালিফোর্নিয়ায় বছরে দুই বিলিয়ন পাউন্ডের বেশি আমন্ড উৎপাদন করা হয়। সেখানে দীর্ঘ এক দশক ধরে খরা চলছে। নিবিড় সেচের ফলে ভূগর্ভস্থ পানি দ্রুত কমে যাচ্ছে। কীটনাশক পানিকে দূষিত করছে এবং প্রাকৃতিক জলাভূমি আমন্ড বাগানে রূপান্তরিত হচ্ছে।
পেস্তা: জলবায়ু-সহনশীল ফসল হিসেবে বাজারজাত করা হয় পেস্তা। প্রতি কিলোগ্রাম পেস্তা উৎপাদনে প্রায় ১০ হাজার লিটার পানির প্রয়োজন হয়। ফলে দুষ্প্রাপ্য পানির সংস্থান দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। স্পেনের মতো উৎপাদনকারী অঞ্চলে এখন খরা পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।

কফি: আপনার প্রিয় চার আউন্সের এক কাপ কফি উৎপাদনের জন্য পানির প্রয়োজন প্রায় ১৪০ লিটার। বৈশ্বিক চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কফি খামারগুলো এখন রাসায়নিক-নির্ভর সূর্য-আশ্রিত খামারে পরিণত হচ্ছে। এতে বন উজাড় ও জীববৈচিত্র্য নষ্ট হচ্ছে। সেই সঙ্গে বছরে ১৬ বিলিয়ন পর্যন্ত ডিসপোজিবল কাপ ব্যবহার ৪ বিলিয়ন গ্যালন পানি এবং লাখ লাখ গাছ নষ্ট করছে।
ভাত: গবাদিপশুর পরে ধান চাষ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিথেন নিঃসরণকারী উৎস। বছরে জার্মানির মোট গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের প্রায় সমান পরিমাণ গ্যাস নির্গত হয় ধানখেত থেকে, যার প্রধান কারণ পচনশীল খড়। প্রতি একর জমিতে প্রায় ৪ লাখ লিটার পানির প্রয়োজন হয়।
বন উজাড় ও জীববৈচিত্র্য কমার কারণ
অনেক জনপ্রিয় খাবার উৎপাদন করতে গিয়ে পৃথিবীর মূল্যবান বনভূমি ধ্বংস হচ্ছে। এমন খাবারগুলোর মধ্যে আছে—
সয়া বা টোফু: টোফুর মতো উদ্ভিদভিত্তিক প্রোটিনের ভিত্তি সয়া বিশ্বব্যাপী ব্যাপক পরিবেশগত ক্ষতির কারণ। দক্ষিণ আমেরিকায়, সয়া চাষের জন্য সেরাদো তৃণভূমির (৩ হাজারের বেশি প্রজাতির আবাসস্থল) অর্ধেক জমি হারিয়েছে। সয়ার ৭৫ শতাংশ সরাসরি মানুষ খায় না, বরং গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যা এর পরিবেশগত ক্ষতি আরও তীব্র করে।
পাম তেল: এটি বিশ্বের সর্বাধিক ব্যবহৃত উদ্ভিজ্জ তেল, যা অর্ধেকের বেশি মুদিদোকানের পণ্যে পাওয়া যায়। এর উৎপাদন ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় ব্যাপক বন উজাড়ের মূল কারণ। ফলে ওরাংগুটান জনসংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ কমে গেছে। রেইনফরেস্ট পরিষ্কার করার ফলে জীববৈচিত্র্য নষ্ট হয় এবং স্থানীয় সম্প্রদায়কে স্থানচ্যুত হতে হয়।
গরুর মাংস: গরুর মাংসের উৎপাদন এখনো লাতিন আমেরিকার ৭০ শতাংশের বেশি বন উজাড়ের কারণ। এটি প্রচুর মিথেন এবং নাইট্রাস অক্সাইড নির্গত করে; যা জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য প্রধান হুমকি। তথাকথিত টেকসই গরুর মাংসও একটি প্রধান জলবায়ু ঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত।
চকলেট: কোকো চাষের কারণে পশ্চিম আফ্রিকার ৯০ শতাংশের বেশি বনভূমি হারিয়ে গেছে। চকলেটের বার তৈরিতে পাম তেল এবং সয়া ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া আইভরি কোস্ট এবং ঘানার ছোট চাষিরা ন্যায্য মজুরি না পাওয়ায় শিশুশ্রমের মতো নৈতিক সমস্যাও বিদ্যমান।
সমুদ্র ও প্রথাগত কৃষির ওপর আঘাত
আমাদের খাদ্যপ্রবণতা শুধু জমি নয়, সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্র ও প্রথাগত কৃষকের জীবনকেও প্রভাবিত করছে।
মাছ: বিশ্বজুড়ে সুশি এবং পোক বাউলের জনপ্রিয়তা একটি গুরুতর পরিবেশগত ক্ষতি ডেকে এনেছে। অতিরিক্ত মাছ ধরার কারণে টুনা ও স্যামনের মতো মূল প্রজাতিগুলো বিলুপ্তির পথে। বিশ্বব্যাপী মাছ রপ্তানির অর্ধেক সরবরাহকারী উন্নয়নশীল দেশগুলোতে, মাছ স্থানীয় ভোগের পরিবর্তে বিলাসবহুল বাজারের জন্য রপ্তানি হয়, যা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর প্রোটিন ঘাটতি সৃষ্টি করে।
দুগ্ধজাতীয় ও অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত খাদ্য
সাধারণ দুগ্ধজাত পণ্য এবং প্রক্রিয়াজাত বাদামও পরিবেশের ওপর বড় ছাপ ফেলছে।
দই: গরুর মাংসের ব্যবহার কমলেও দুগ্ধজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়ছে; যা পরিবেশের ওপর বড় ছাপ ফেলছে। গ্রিক এবং ছাঁকা দই সাধারণ দইয়ের চেয়ে চার গুণ বেশি দুধ ব্যবহার করে। গবাদিপশুর মিথেন নিঃসরণ এবং ব্যাপক পশুকল্যাণ-সংক্রান্ত উদ্বেগের সঙ্গে মিলিত হয়ে, দুধ একটি উচ্চ-প্রভাবশালী জলবায়ু পরিবর্তনকারী কারণ হিসেবে পরিণত হয়েছে।
বাদামের মাখন কিছু বাদামের মাখনে পাম তেল থাকে। এ ছাড়া পানির প্রয়োজনকারী ক্যালিফোর্নিয়ার আমন্ড বা তুর্কি হ্যাজেলনাট এবং ভিয়েতনামের কাজুশিল্পে শিশুশ্রম ও মানবাধিকারের উদ্বেগ রয়েছে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

নীলগিরি, চিম্বুক, শৈলপ্রপাত, নীলাচলের মতো জায়গা ভ্রমণ করে ভাজা ভাজা করে ফেলেছেন। এখন বান্দরবান শহরের কাছেই একটু ভিড়-বাট্টা কম এমন কয়েকটি জায়গা ঘুরে দেখতে চান, উপভোগ করতে চান প্রকৃতি। তাহলে আজকের এই লেখাটি আপনার জন্য।
১১ নভেম্বর ২০২৪
আজকের দিনে স্বাস্থ্য খুবই চাঙা থাকবে, যা আপনাকে নতুন কিছু করে দেখানোর শক্তি দেবে। তবে গ্রহরা বলছে, এই অতিরিক্ত এনার্জি যেন আবার ঝগড়া-বিবাদের দিকে না যায়! কর্মক্ষেত্রে আবেগ প্রকাশে শান্ত থাকতে বলা হচ্ছে।
৬ মিনিট আগে
স্টাইল করে পোশাক পরতে জানলে শীতকালই কিন্তু সেরা সময়। রঙের মেলবন্ধন, পোশাকের কাটিং, টপ অ্যান্ড বটম নির্ধারণ করে শীতের পোশাক পরলেই আপনি ফিট। কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখলে শীতের পোশাকে নিজেকে অনবদ্যভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব।
১ ঘণ্টা আগে
শহর থেকে একটু দূরেই যাঁদের বসবাস, তাঁরা এরই মধ্য়ে হালকা শীতের কাপড় নামিয়ে ফেলেছেন। দীর্ঘদিন বাক্সবন্দী সোয়েটার, জ্যাকেট, উলের মোজা, টুপি, চাদর, কার্ডিগান বের করে সঙ্গে সঙ্গেই তো আর গায়ে তোলা যায় না।
২ ঘণ্টা আগে