
বরফরাজ্য অ্যান্টার্কটিকা পাড়ি দেওয়া মোটেই সহজ কাজ নয়। তারপর যদি যাত্রাটা হয় একাকী, তাহলে তো কথাই নেই। কিন্তু ১৯৯৭ সালের এই দিনে একাকী এবং কারও সাহায্য ছাড়া প্রথম মানুষ হিসেবে অ্যান্টার্কটিকা জয় করেন নরওয়ের বোর্জ অসল্যান্ড।
বোর্জ অসল্যান্ডের প্রথম অ্যান্টার্কটিকা পাড়ি দেওয়ার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। সেবার ৬২০ মাইলের বেশি পাড়ি দেন তিনি। তবে মহাদেশের শেষ প্রান্তে পৌঁছানোর বহু আগেই ফ্রস্টবাইটে (অস্বাভাবিক ঠান্ডায় শরীরে সৃষ্টি হওয়া জখম) প্রবলভাবে আক্রান্ত হওয়ার কারণে ফিরে আসতে হয় তাঁকে।
তবে হাল ছেড়ে দেওয়ার মানুষ নন বোর্জ অসল্যান্ড। পরের বছর আবার চেষ্টা করার সিদ্ধান্ত নিলেন। উপকূল ধরে অ্যান্টার্কটিকার শেষ মাথায় পৌঁছাতে চাইলেন তিনি। বাইরের কোনো সহায়তা ছাড়া একাকী অ্যান্টার্কটিকা জয়ের সংকল্প নিয়ে যাত্রা শুরু করলেন ১৯৯৬ সালের ১৫ নভেম্বর।
বারকনার দ্বীপের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছেন অসল্যান্ড। সামনে ধীরে ধীরে উঠে যাওয়া বরফের এলাকা দেখে মনে হলে পথের কোনো শেষ নেই। অসল্যান্ডের কাছে এ ধরনের কোনো অভিযানের শুরুটাই গোটা অভিযানে সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতিগুলোর একটি। বরফরাজ্যে প্রথম কিছুটা পথ এগোনো আসলেই কঠিন। মোটামুটি ১০ থেকে ১৪ দিন লাগে এই বৈরী পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে।
উড়োজাহাজ কিংবা হেলিকপ্টার থেকে তোলা ছবি দেখে অ্যান্টার্কটিকা জয়ের একটি সম্ভাব্য পথ ঠিক করেন অসল্যান্ড। এটি তাঁকে পূর্ব অ্যান্টার্কটিকার পেনসাকোলা পর্বতমালার ডুফেক ম্যাসিফ ধরে নিয়ে যাবে।
ধীরে ধীরে বরফরাজ্যে ওপরের দিকে উঠছিলেন। প্রচণ্ড বেগে ধেয়ে আসা শীতল বাতাস শরীরের হাড়মজ্জা কাঁপিয়ে দিচ্ছিল। আশ্রয় নেওয়ার মতো কোনো গাছ বা স্থাপনা নেই। আদিগন্ত চলে যাওয়া এই ভূপ্রকৃতিতে ব্যতিক্রম বলতে তুষার স্তূপ। এগুলোর কোনো কোনোটা উচ্চতায় ছয় ফুট। বাতাসের সঙ্গে ধেয়ে আসা তুষারে সৃষ্টি এগুলোর।
দক্ষিণ মেরুর বেস ক্যাম্প একটি লোভনীয় ফাঁদ হতে পারে—জানেন অসল্যান্ড। তাই সেখানে না থামার সিদ্ধান্ত নিলেন। একবার ভেতরে ঢুকে আরাম বোধ করলে এগিয়ে যাওয়া কঠিন হবে।
দক্ষিণ মেরুর চারপাশের মালভূমি শীতল, উচ্চতাও বেশি। তবে এখানে বাতাস তুলনামূলক কম। পর্বত এলাকার কাছাকাছি এলে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা প্রবল বাতাসের মুখোমুখি হতে হয়। অবশ্য অসল্যান্ড এই বাতাসকে উল্টো কাজে লাগান। একধরনের ঘুড়ির সাহায্যে বাতাসের সহায়তা নিয়ে দ্রুতগতিতে মাইলের পর মাইল স্কি করে যান তিনি। তবে বাধা সৃষ্টি করে পথে জমা বরফের স্তূপগুলো।
প্রবল গতিতে চলার সময় আচমকা কোনো একটায় হোঁচট খেয়ে পা ভাঙার আশঙ্কা প্রবল। আর একাকী এই অভিযানে এমন দুর্ঘটনার একটাই অর্থ—নিশ্চিত মৃত্যু।
দুপাশের পর্বতরাজ্যের মাঝখান দিয়ে যাওয়ার জন্য এক্সেল হোইবার্গ হিমবাহের পথ ধরার সিদ্ধান্ত নিলেন। তারপর ধরবেন বায়েরডমোর হিমবাহের পথ। এদিক দিয়ে গেলে কিছু ফাটল থাকলেও তুলনামূলক নিরাপদ পথটি। ১৯১১ সালে বিখ্যাত অভিযাত্রী অ্যামুন্ডসেন এই পথ ধরেছিলেন।
এক্সেল হেইবার্গ হিমবাহের পাদদেশে বরফের বিশাল একটি তাক আছে। এটি রস আইস শেলফ নামে পরিচিত। অসল্যান্ডকে এক বিজ্ঞানী বলেছিলেন এই বরফ তাকের বয়স এক লাখ বছর।
রস আইশেলফ থেকে ম্যাকমার্ডো যাওয়ার পথে রস দ্বীপের ঠিক নাকের ডগায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণা স্টেশন আছে। সেখানে পৌঁছাতে হলে ফাটলে ভরা একটি বিপজ্জনক এলাকা পেরোতে হয়। বড় সমস্যা, বরফরাজ্যের এই ফাটল বা চিড়গুলো অনেক সময় চোখ এড়িয়ে যায়। কখনো খুব পাতলা বরফের পর্দা দিয়ে আবৃত থাকে। তবে বোর্জ অসল্যান্ডের সঙ্গে বারো ফুটি কয়েকটি টাইটেনিয়ামের দণ্ড ছিল। এগুলো রেখেছিলেন স্লেজগাড়ি ও নিজের মাঝখানে। বারকনার দ্বীপে একবার টাইটেনিয়ামের এই দণ্ড তাঁর জীবন বাঁচায়। বরফের একটা পাতলা আবরণ অতিক্রমের সময় ধসে পড়ে সেটি। তবে এই দণ্ডগুলো বরফে আটকে কোনোভাবে রেহাই পান।
অ্যান্টার্কটিকার শেষ প্রান্ত স্কট বেসে অসল্যান্ড পৌঁছান ১৯৯৭ সালের ১৮ জানুয়ারি। আগের বছরের ১৫ নভেম্বর শুরু করা ওই যাত্রায় তিনি পেরোন ১ হাজার ৮৬৪ মাইল। সৌভাগ্যক্রমে স্কট বেসের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সময় সেখানে পৌঁছান তিনি। প্রথম এভারেস্ট বিজয়ী স্যার এডমন্ড হিলারিও ছিলেন এ উপলক্ষে সেখানে। হিলারির সঙ্গেই হেলিকপ্টারে চেপে দক্ষিণ মেরু যান অসল্যান্ড। পরে অসল্যান্ড বলেন, ‘যে দূরত্ব পেরোতে আমার এক মাসের বেশি লাগল, সেটা উড়ে গেলাম আড়াই ঘণ্টায়।
অবশ্য অসল্যান্ডের যাত্রা ১৮ জানুয়ারি শেষ হয়, নাকি ১৭ জানুয়ারি—এটি নিয়ে কিছুটা বিতর্ক আছে। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ও অনেক গণমাধ্যম যাত্রাটি ১৮ জানুয়ারি শেষ হয় বলে উল্লেখ করলেও গার্ডিয়ানের এক লেখায় অসল্যান্ড তারিখটা ১৭ জানুয়ারি বলে উল্লেখ করেন।
অসল্যান্ডের ওই অভিযানকে দেখা হয় কোনো সাহায্য ছাড়া প্রথম একাকী কারও অ্যান্টার্কটিকা বিজয় হিসেবে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক কলিন ও’ব্রেড ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অ্যান্টার্কটিকা জয়ের পর দাবি করেন, তিনিই প্রথম মানুষ হিসেবে কোনো ধরনের সহায়তা ছাড়া একাকী অ্যান্টার্কটিকা জয় করেন। অনেকে তাঁর দাবিটাকে গুরুত্বও দেন। কারণ তিনি তাঁর স্লেজটা নিজেই টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন গোটা যাত্রাপথে। অন্যদিকে অসল্যান্ড একটি ঘুড়ি ব্যবহার করে বাতাসের সাহায্যে এগিয়েছিলেন।
সূত্র: গার্ডিয়ান, ডিসকভারি.কম, উইকিপিডিয়া

বরফরাজ্য অ্যান্টার্কটিকা পাড়ি দেওয়া মোটেই সহজ কাজ নয়। তারপর যদি যাত্রাটা হয় একাকী, তাহলে তো কথাই নেই। কিন্তু ১৯৯৭ সালের এই দিনে একাকী এবং কারও সাহায্য ছাড়া প্রথম মানুষ হিসেবে অ্যান্টার্কটিকা জয় করেন নরওয়ের বোর্জ অসল্যান্ড।
বোর্জ অসল্যান্ডের প্রথম অ্যান্টার্কটিকা পাড়ি দেওয়ার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। সেবার ৬২০ মাইলের বেশি পাড়ি দেন তিনি। তবে মহাদেশের শেষ প্রান্তে পৌঁছানোর বহু আগেই ফ্রস্টবাইটে (অস্বাভাবিক ঠান্ডায় শরীরে সৃষ্টি হওয়া জখম) প্রবলভাবে আক্রান্ত হওয়ার কারণে ফিরে আসতে হয় তাঁকে।
তবে হাল ছেড়ে দেওয়ার মানুষ নন বোর্জ অসল্যান্ড। পরের বছর আবার চেষ্টা করার সিদ্ধান্ত নিলেন। উপকূল ধরে অ্যান্টার্কটিকার শেষ মাথায় পৌঁছাতে চাইলেন তিনি। বাইরের কোনো সহায়তা ছাড়া একাকী অ্যান্টার্কটিকা জয়ের সংকল্প নিয়ে যাত্রা শুরু করলেন ১৯৯৬ সালের ১৫ নভেম্বর।
বারকনার দ্বীপের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছেন অসল্যান্ড। সামনে ধীরে ধীরে উঠে যাওয়া বরফের এলাকা দেখে মনে হলে পথের কোনো শেষ নেই। অসল্যান্ডের কাছে এ ধরনের কোনো অভিযানের শুরুটাই গোটা অভিযানে সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতিগুলোর একটি। বরফরাজ্যে প্রথম কিছুটা পথ এগোনো আসলেই কঠিন। মোটামুটি ১০ থেকে ১৪ দিন লাগে এই বৈরী পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে।
উড়োজাহাজ কিংবা হেলিকপ্টার থেকে তোলা ছবি দেখে অ্যান্টার্কটিকা জয়ের একটি সম্ভাব্য পথ ঠিক করেন অসল্যান্ড। এটি তাঁকে পূর্ব অ্যান্টার্কটিকার পেনসাকোলা পর্বতমালার ডুফেক ম্যাসিফ ধরে নিয়ে যাবে।
ধীরে ধীরে বরফরাজ্যে ওপরের দিকে উঠছিলেন। প্রচণ্ড বেগে ধেয়ে আসা শীতল বাতাস শরীরের হাড়মজ্জা কাঁপিয়ে দিচ্ছিল। আশ্রয় নেওয়ার মতো কোনো গাছ বা স্থাপনা নেই। আদিগন্ত চলে যাওয়া এই ভূপ্রকৃতিতে ব্যতিক্রম বলতে তুষার স্তূপ। এগুলোর কোনো কোনোটা উচ্চতায় ছয় ফুট। বাতাসের সঙ্গে ধেয়ে আসা তুষারে সৃষ্টি এগুলোর।
দক্ষিণ মেরুর বেস ক্যাম্প একটি লোভনীয় ফাঁদ হতে পারে—জানেন অসল্যান্ড। তাই সেখানে না থামার সিদ্ধান্ত নিলেন। একবার ভেতরে ঢুকে আরাম বোধ করলে এগিয়ে যাওয়া কঠিন হবে।
দক্ষিণ মেরুর চারপাশের মালভূমি শীতল, উচ্চতাও বেশি। তবে এখানে বাতাস তুলনামূলক কম। পর্বত এলাকার কাছাকাছি এলে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা প্রবল বাতাসের মুখোমুখি হতে হয়। অবশ্য অসল্যান্ড এই বাতাসকে উল্টো কাজে লাগান। একধরনের ঘুড়ির সাহায্যে বাতাসের সহায়তা নিয়ে দ্রুতগতিতে মাইলের পর মাইল স্কি করে যান তিনি। তবে বাধা সৃষ্টি করে পথে জমা বরফের স্তূপগুলো।
প্রবল গতিতে চলার সময় আচমকা কোনো একটায় হোঁচট খেয়ে পা ভাঙার আশঙ্কা প্রবল। আর একাকী এই অভিযানে এমন দুর্ঘটনার একটাই অর্থ—নিশ্চিত মৃত্যু।
দুপাশের পর্বতরাজ্যের মাঝখান দিয়ে যাওয়ার জন্য এক্সেল হোইবার্গ হিমবাহের পথ ধরার সিদ্ধান্ত নিলেন। তারপর ধরবেন বায়েরডমোর হিমবাহের পথ। এদিক দিয়ে গেলে কিছু ফাটল থাকলেও তুলনামূলক নিরাপদ পথটি। ১৯১১ সালে বিখ্যাত অভিযাত্রী অ্যামুন্ডসেন এই পথ ধরেছিলেন।
এক্সেল হেইবার্গ হিমবাহের পাদদেশে বরফের বিশাল একটি তাক আছে। এটি রস আইস শেলফ নামে পরিচিত। অসল্যান্ডকে এক বিজ্ঞানী বলেছিলেন এই বরফ তাকের বয়স এক লাখ বছর।
রস আইশেলফ থেকে ম্যাকমার্ডো যাওয়ার পথে রস দ্বীপের ঠিক নাকের ডগায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণা স্টেশন আছে। সেখানে পৌঁছাতে হলে ফাটলে ভরা একটি বিপজ্জনক এলাকা পেরোতে হয়। বড় সমস্যা, বরফরাজ্যের এই ফাটল বা চিড়গুলো অনেক সময় চোখ এড়িয়ে যায়। কখনো খুব পাতলা বরফের পর্দা দিয়ে আবৃত থাকে। তবে বোর্জ অসল্যান্ডের সঙ্গে বারো ফুটি কয়েকটি টাইটেনিয়ামের দণ্ড ছিল। এগুলো রেখেছিলেন স্লেজগাড়ি ও নিজের মাঝখানে। বারকনার দ্বীপে একবার টাইটেনিয়ামের এই দণ্ড তাঁর জীবন বাঁচায়। বরফের একটা পাতলা আবরণ অতিক্রমের সময় ধসে পড়ে সেটি। তবে এই দণ্ডগুলো বরফে আটকে কোনোভাবে রেহাই পান।
অ্যান্টার্কটিকার শেষ প্রান্ত স্কট বেসে অসল্যান্ড পৌঁছান ১৯৯৭ সালের ১৮ জানুয়ারি। আগের বছরের ১৫ নভেম্বর শুরু করা ওই যাত্রায় তিনি পেরোন ১ হাজার ৮৬৪ মাইল। সৌভাগ্যক্রমে স্কট বেসের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সময় সেখানে পৌঁছান তিনি। প্রথম এভারেস্ট বিজয়ী স্যার এডমন্ড হিলারিও ছিলেন এ উপলক্ষে সেখানে। হিলারির সঙ্গেই হেলিকপ্টারে চেপে দক্ষিণ মেরু যান অসল্যান্ড। পরে অসল্যান্ড বলেন, ‘যে দূরত্ব পেরোতে আমার এক মাসের বেশি লাগল, সেটা উড়ে গেলাম আড়াই ঘণ্টায়।
অবশ্য অসল্যান্ডের যাত্রা ১৮ জানুয়ারি শেষ হয়, নাকি ১৭ জানুয়ারি—এটি নিয়ে কিছুটা বিতর্ক আছে। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ও অনেক গণমাধ্যম যাত্রাটি ১৮ জানুয়ারি শেষ হয় বলে উল্লেখ করলেও গার্ডিয়ানের এক লেখায় অসল্যান্ড তারিখটা ১৭ জানুয়ারি বলে উল্লেখ করেন।
অসল্যান্ডের ওই অভিযানকে দেখা হয় কোনো সাহায্য ছাড়া প্রথম একাকী কারও অ্যান্টার্কটিকা বিজয় হিসেবে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক কলিন ও’ব্রেড ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অ্যান্টার্কটিকা জয়ের পর দাবি করেন, তিনিই প্রথম মানুষ হিসেবে কোনো ধরনের সহায়তা ছাড়া একাকী অ্যান্টার্কটিকা জয় করেন। অনেকে তাঁর দাবিটাকে গুরুত্বও দেন। কারণ তিনি তাঁর স্লেজটা নিজেই টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন গোটা যাত্রাপথে। অন্যদিকে অসল্যান্ড একটি ঘুড়ি ব্যবহার করে বাতাসের সাহায্যে এগিয়েছিলেন।
সূত্র: গার্ডিয়ান, ডিসকভারি.কম, উইকিপিডিয়া

‘ম্যায় হু না’, ‘হায়দার’, ‘চিনি কম’, ‘চাঁদনি বার’ কিংবা ‘আন্ধাধুন’ সিনেমার কথা মনে আছে নিশ্চয়? তাহলেই মনে পড়বে টাবুর কথা। সু-অভিনয়, সাধারণ জীবনযাপন আর সময়ানুবর্তিতা—এই তিন মিলে তিনি টাবু। ৪ নভেম্বর ছিল তাঁর জন্মদিন। এই দিনে সামনে এসেছে তাঁর রূপরহস্যের কথা।...
২২ মিনিট আগে
ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক থেকে পাহাড় ও মাতামুহুরী নদীবেষ্টিত বান্দরবানের লামা উপজেলা দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে বৈচিত্র্যময়। কোথাও উঁচু, কোথাও নিচু সারি সারি সবুজ পাহাড়। সেই সবুজ পাহাড়ে মেঘের আড়ালে হারিয়ে যেতে নেই মানা। মাঝে মাঝে ঢুকে যাবেন মেঘের রাজ্যে।
৪ ঘণ্টা আগে
ইউরোপের অনেক দেশ পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন নিয়ম যোগ করেছে। এর কারণও আছে। অতিরিক্ত পর্যটকের কারণে স্থানীয় অধিবাসীরা স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছেন না। ফলে তাঁরা পর্যটকদের ওপর বিরক্ত। এসব বিষয়ে অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে বিভিন্ন দেশে।
৫ ঘণ্টা আগে
আজকে মেজাজটা যেন প্রেশার কুকার! যখন তখন ফোঁস করে উঠতে পারেন। ব্যবসা-বাণিজ্যে কপাল ফিরবে, বিশেষ করে যদি কোনো বিরিয়ানি বা ফুচকার মতো খানাদানার ব্যবসা থাকে। পুরোনো বকেয়া টাকা হাতে আসতে পারে, যার মানে অবশেষে আপনি সেই বন্ধুর ধারটা শোধ করতে পারবেন, যিনি ছয় মাস ধরে আপনাকে ‘টাকাটা কবে দিবি?’
৬ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

‘ম্যায় হু না’, ‘হায়দার’, ‘চিনি কম’, ‘চাঁদনি বার’ কিংবা ‘আন্ধাধুন’ সিনেমার কথা মনে আছে নিশ্চয়? তাহলেই মনে পড়বে টাবুর কথা। সু-অভিনয়, সাধারণ জীবনযাপন আর সময়ানুবর্তিতা—এই তিন মিলে তিনি টাবু। ৪ নভেম্বর ছিল তাঁর জন্মদিন। এই দিনে সামনে এসেছে তাঁর রূপরহস্যের কথা।
চুয়ান্নতম জন্মদিনে টাবু পার করছেন ভারতীয় সিনেমার জগতে তাঁর ৩৪ বছরের কর্মজীবন। এই দীর্ঘ কর্মময় জীবনে তাঁকে গ্ল্যামারের ওপর নির্ভর করতে হয়নি। দক্ষ অভিনয়, অভিব্যক্তি, কণ্ঠস্বর আর ব্যক্তিত্ব তাঁকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে। পর্দায় সহজ-সরল উপস্থিতি আসলে তাঁর সহজ-সরল জীবনযাপনেরই যেন প্রতিচ্ছবি। তাই বলে তিনি কি নিজের যত্নে উদাসীন? তা নয়; বরং তিনি নিজের ত্বক, চুলসহ শরীরের যত্নে বেশ সংবেদনশীল।
সহজে বিশ্বাসী
হ্যাঁ, টাবু জটিল ধরনের ত্বক পরিচর্যায় বিশ্বাসী নন। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তিনি সহজ ও ধারাবাহিকভাবে রুটিন মেনে চলার কথা জানিয়েছেন বহুবার। তাঁর সকালের রুটিনে সাধারণত ক্লিনজিং ও ময়শ্চারাইজিং এবং সান প্রোটেকশন বা সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে সুরক্ষার বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকে। এগুলোর কোনো ধাপ তিনি কখনোই বাদ দেন না।
দীর্ঘদিনের অভ্যাস
গোসলের আগে সি সল্ট ও পেট্রোলিয়াম জেলির মিশ্রণ দিয়ে এক্সফোলিয়েট করা তাঁর দীর্ঘদিনের অভ্যাস। তিনি মনে করেন, এটি তাঁর ত্বক নরম ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করে। তিনি হালকা, নন-গ্রিজি ময়শ্চারাইজার পছন্দ করেন এবং চরিত্রের প্রয়োজনে না হলে ভারী মেকআপ এড়িয়ে চলেন।

খাদ্য, পানি ও বিশ্রাম
ত্বকের যত্ন শুধু পণ্য ব্যবহারের বিষয় নয় বলে মনে করেন টাবু। তিনি জ্বালানি হিসেবে শরীর কোন ধরনের খাদ্য-পানীয় দিচ্ছেন, সেদিকেও মনোযোগ দেন। টাবু জানিয়েছেন, তিনি পর্যাপ্ত পানি পান করেন, প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলেন এবং তাঁর খাদ্যতালিকায় থাকে সুষম খাবারের উপস্থিতি। তাতে থাকে তাজা ফল, সবজি ও ঘরে তৈরি পুষ্টিকর সাধারণ ও সহজ খাবার।
টাবু বিশ্বাস করেন, তিনি কেমন বোধ করছেন এবং কেমন দেখাচ্ছেন, এ দুয়ের ওপর ঘুমের বড় ভূমিকা আছে। দীর্ঘ সময় কাজ করা এবং রাতের শুটিং স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে, তাই সুযোগ পেলেই তিনি বিশ্রাম নেওয়ার চেষ্টা করেন।
সেই একটি দামি ক্রিম
টাবু একবার কোনো সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, নিজের মেকআপ আর্টিস্টের পরামর্শে তিনি প্রায় ৫০ হাজার টাকা মূল্যের একটি ফেস ক্রিম কিনেছিলেন। পরে তিনি সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে হাসাহাসি করেন। তিনি সে ধরনের পণ্য আর কিনবেন না বলেও জানিয়েছিলেন। ‘ফিল্ম কম্প্যানিয়ন’কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি এটি একবার কিনেছিলাম এবং সেটাই শেষ।’ এসব দেখে বোঝা যায়, আর যা-ই হোক, তিনি ট্রেন্ড বা দামের ট্যাগ দেখে আবেগতাড়িত হন না। তাঁর জন্য সৌন্দর্য সব সময়ই স্বাচ্ছন্দ্য, ধারাবাহিকতা এবং একটি এমন রুটিনের বিষয়, যা বিলাসিতার চেয়ে অনেক বেশি প্রাকৃতিক।

ন্যূনতম মেকআপ, সর্বোচ্চ স্বাচ্ছন্দ্য
সাধারণত পাবলিক ইভেন্টেও টাবুকে কখনো ভারী মেকআপে দেখা যায় না। তিনি নিউট্রাল টোন, হালকা আইশ্যাডো এবং প্রাকৃতিক লুক পছন্দ করেন। এই ন্যূনতম মেকআপের জন্য তাঁর ত্বক স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে পারে। তিনি যেমন মিতভাষী ও আত্মবিশ্বাসী, তাঁর মেকআপও তেমনি মৃদু কিন্তু পূর্ণ।
তিনি দীর্ঘ শুটিংয়ের পর মেকআপ ঠিকঠাকমতো তুলে ফেলার বিষয়েও বিশেষ যত্নবান, যাতে তাঁর ত্বক সারা দিনের ক্ষয়ক্ষতি পুনরুদ্ধারের সময় পায়।
বয়সের সঙ্গে বদলে যাওয়া
টাবুকে অনন্য করে তুলেছে যে বিষয়টি, তা হলো তিনি কখনো বয়স লুকানোর চেষ্টা করেন না। তিনি এটিকে তাঁর জীবনের যাত্রাপথের একটি স্বাভাবিক অংশ হিসেবে মেনে নেন এবং এটিই সম্ভবত তাঁর সবচেয়ে বড় রহস্য। কোনো নির্দিষ্ট চেহারা বজায় রাখার চাপ নেই বা তার চেয়ে কম দেখানোরও কোনো তাড়না নেই; বরং তিনি সুস্থ বোধ করা, সক্রিয় থাকা এবং অনায়াসে জীবনযাপনের ওপর অনেক বেশি মনোযোগী।
সে জন্যই হয়তো তিনি বলতে পারেন, ‘আমি শুধু সেই গল্প বলতে চাই, যা আমাকে অনুভব করতে শেখায়।’

‘ম্যায় হু না’, ‘হায়দার’, ‘চিনি কম’, ‘চাঁদনি বার’ কিংবা ‘আন্ধাধুন’ সিনেমার কথা মনে আছে নিশ্চয়? তাহলেই মনে পড়বে টাবুর কথা। সু-অভিনয়, সাধারণ জীবনযাপন আর সময়ানুবর্তিতা—এই তিন মিলে তিনি টাবু। ৪ নভেম্বর ছিল তাঁর জন্মদিন। এই দিনে সামনে এসেছে তাঁর রূপরহস্যের কথা।
চুয়ান্নতম জন্মদিনে টাবু পার করছেন ভারতীয় সিনেমার জগতে তাঁর ৩৪ বছরের কর্মজীবন। এই দীর্ঘ কর্মময় জীবনে তাঁকে গ্ল্যামারের ওপর নির্ভর করতে হয়নি। দক্ষ অভিনয়, অভিব্যক্তি, কণ্ঠস্বর আর ব্যক্তিত্ব তাঁকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে। পর্দায় সহজ-সরল উপস্থিতি আসলে তাঁর সহজ-সরল জীবনযাপনেরই যেন প্রতিচ্ছবি। তাই বলে তিনি কি নিজের যত্নে উদাসীন? তা নয়; বরং তিনি নিজের ত্বক, চুলসহ শরীরের যত্নে বেশ সংবেদনশীল।
সহজে বিশ্বাসী
হ্যাঁ, টাবু জটিল ধরনের ত্বক পরিচর্যায় বিশ্বাসী নন। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তিনি সহজ ও ধারাবাহিকভাবে রুটিন মেনে চলার কথা জানিয়েছেন বহুবার। তাঁর সকালের রুটিনে সাধারণত ক্লিনজিং ও ময়শ্চারাইজিং এবং সান প্রোটেকশন বা সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে সুরক্ষার বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকে। এগুলোর কোনো ধাপ তিনি কখনোই বাদ দেন না।
দীর্ঘদিনের অভ্যাস
গোসলের আগে সি সল্ট ও পেট্রোলিয়াম জেলির মিশ্রণ দিয়ে এক্সফোলিয়েট করা তাঁর দীর্ঘদিনের অভ্যাস। তিনি মনে করেন, এটি তাঁর ত্বক নরম ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করে। তিনি হালকা, নন-গ্রিজি ময়শ্চারাইজার পছন্দ করেন এবং চরিত্রের প্রয়োজনে না হলে ভারী মেকআপ এড়িয়ে চলেন।

খাদ্য, পানি ও বিশ্রাম
ত্বকের যত্ন শুধু পণ্য ব্যবহারের বিষয় নয় বলে মনে করেন টাবু। তিনি জ্বালানি হিসেবে শরীর কোন ধরনের খাদ্য-পানীয় দিচ্ছেন, সেদিকেও মনোযোগ দেন। টাবু জানিয়েছেন, তিনি পর্যাপ্ত পানি পান করেন, প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলেন এবং তাঁর খাদ্যতালিকায় থাকে সুষম খাবারের উপস্থিতি। তাতে থাকে তাজা ফল, সবজি ও ঘরে তৈরি পুষ্টিকর সাধারণ ও সহজ খাবার।
টাবু বিশ্বাস করেন, তিনি কেমন বোধ করছেন এবং কেমন দেখাচ্ছেন, এ দুয়ের ওপর ঘুমের বড় ভূমিকা আছে। দীর্ঘ সময় কাজ করা এবং রাতের শুটিং স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে, তাই সুযোগ পেলেই তিনি বিশ্রাম নেওয়ার চেষ্টা করেন।
সেই একটি দামি ক্রিম
টাবু একবার কোনো সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, নিজের মেকআপ আর্টিস্টের পরামর্শে তিনি প্রায় ৫০ হাজার টাকা মূল্যের একটি ফেস ক্রিম কিনেছিলেন। পরে তিনি সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে হাসাহাসি করেন। তিনি সে ধরনের পণ্য আর কিনবেন না বলেও জানিয়েছিলেন। ‘ফিল্ম কম্প্যানিয়ন’কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি এটি একবার কিনেছিলাম এবং সেটাই শেষ।’ এসব দেখে বোঝা যায়, আর যা-ই হোক, তিনি ট্রেন্ড বা দামের ট্যাগ দেখে আবেগতাড়িত হন না। তাঁর জন্য সৌন্দর্য সব সময়ই স্বাচ্ছন্দ্য, ধারাবাহিকতা এবং একটি এমন রুটিনের বিষয়, যা বিলাসিতার চেয়ে অনেক বেশি প্রাকৃতিক।

ন্যূনতম মেকআপ, সর্বোচ্চ স্বাচ্ছন্দ্য
সাধারণত পাবলিক ইভেন্টেও টাবুকে কখনো ভারী মেকআপে দেখা যায় না। তিনি নিউট্রাল টোন, হালকা আইশ্যাডো এবং প্রাকৃতিক লুক পছন্দ করেন। এই ন্যূনতম মেকআপের জন্য তাঁর ত্বক স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে পারে। তিনি যেমন মিতভাষী ও আত্মবিশ্বাসী, তাঁর মেকআপও তেমনি মৃদু কিন্তু পূর্ণ।
তিনি দীর্ঘ শুটিংয়ের পর মেকআপ ঠিকঠাকমতো তুলে ফেলার বিষয়েও বিশেষ যত্নবান, যাতে তাঁর ত্বক সারা দিনের ক্ষয়ক্ষতি পুনরুদ্ধারের সময় পায়।
বয়সের সঙ্গে বদলে যাওয়া
টাবুকে অনন্য করে তুলেছে যে বিষয়টি, তা হলো তিনি কখনো বয়স লুকানোর চেষ্টা করেন না। তিনি এটিকে তাঁর জীবনের যাত্রাপথের একটি স্বাভাবিক অংশ হিসেবে মেনে নেন এবং এটিই সম্ভবত তাঁর সবচেয়ে বড় রহস্য। কোনো নির্দিষ্ট চেহারা বজায় রাখার চাপ নেই বা তার চেয়ে কম দেখানোরও কোনো তাড়না নেই; বরং তিনি সুস্থ বোধ করা, সক্রিয় থাকা এবং অনায়াসে জীবনযাপনের ওপর অনেক বেশি মনোযোগী।
সে জন্যই হয়তো তিনি বলতে পারেন, ‘আমি শুধু সেই গল্প বলতে চাই, যা আমাকে অনুভব করতে শেখায়।’

বরফ রাজ্য অ্যান্টার্কটিকা পাড়ি দেওয়া মোটেই সহজ কাজ নয়। তারপর যদি যাত্রাটা হয় একাকী, তাহলে তো কথাই নেই। কিন্তু ১৯৯৭ সালের এই দিনে একাকী ও কারও সাহায্য ছাড়া প্রথম মানুষ হিসেবে অ্যান্টার্কটিকা জয় করেন নরওয়ের বোর্জ অসল্যান্ড। অবশ্য বোর্জ অসল্যান্ডের প্রথম অ্যান্টার্কটিকা পাড়ি দেওয়ার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
১৮ জানুয়ারি ২০২৩
ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক থেকে পাহাড় ও মাতামুহুরী নদীবেষ্টিত বান্দরবানের লামা উপজেলা দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে বৈচিত্র্যময়। কোথাও উঁচু, কোথাও নিচু সারি সারি সবুজ পাহাড়। সেই সবুজ পাহাড়ে মেঘের আড়ালে হারিয়ে যেতে নেই মানা। মাঝে মাঝে ঢুকে যাবেন মেঘের রাজ্যে।
৪ ঘণ্টা আগে
ইউরোপের অনেক দেশ পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন নিয়ম যোগ করেছে। এর কারণও আছে। অতিরিক্ত পর্যটকের কারণে স্থানীয় অধিবাসীরা স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছেন না। ফলে তাঁরা পর্যটকদের ওপর বিরক্ত। এসব বিষয়ে অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে বিভিন্ন দেশে।
৫ ঘণ্টা আগে
আজকে মেজাজটা যেন প্রেশার কুকার! যখন তখন ফোঁস করে উঠতে পারেন। ব্যবসা-বাণিজ্যে কপাল ফিরবে, বিশেষ করে যদি কোনো বিরিয়ানি বা ফুচকার মতো খানাদানার ব্যবসা থাকে। পুরোনো বকেয়া টাকা হাতে আসতে পারে, যার মানে অবশেষে আপনি সেই বন্ধুর ধারটা শোধ করতে পারবেন, যিনি ছয় মাস ধরে আপনাকে ‘টাকাটা কবে দিবি?’
৬ ঘণ্টা আগেমিঠু দাশ, লামা, বান্দরবান

ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক থেকে পাহাড় ও মাতামুহুরী নদীবেষ্টিত বান্দরবানের লামা উপজেলা দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে বৈচিত্র্যময়। কোথাও উঁচু, কোথাও নিচু সারি সারি সবুজ পাহাড়। সেই সবুজ পাহাড়ে মেঘের আড়ালে হারিয়ে যেতে নেই মানা। মাঝে মাঝে ঢুকে যাবেন মেঘের রাজ্যে। সূর্যের আলো ফোটার আগে বোঝার উপায় নেই, এটি কোন জনপদ। সূর্যোদয়ের পর হেসে ওঠে সব। প্রকৃতি যেন তার সবটুকু রূপ দিয়ে সাজিয়ে তুলেছে বান্দরবানের লামাকে। সারি সারি পাহাড় আর সবুজ বনানীবেষ্টিত এলাকায় আপনার আগমনে যোগ হবে ভিন্ন মাত্রা। পাহাড় থেকে সূর্যাস্ত না দেখলে প্রকৃতির বর্ণনাতীত সৌন্দর্যের অনেকটাই অদেখা থেকে যায়। মেঘ আর কুয়াশাঢাকা পাহাড়ি পথে পাহাড়ের চূড়ায় ওঠার রোমাঞ্চকর অনুভূতি ডাকছে আপনাকে।
ভাষা, সংস্কৃতি, ধর্মবিশ্বাস অন্যান্য জেলার চেয়ে তিন পার্বত্য জেলা সম্পূর্ণ আলাদা। বান্দরবানের লামার মিরিঞ্জা পাহাড় থেকে দেখা যাবে লামা শহর, পাশের সবুজ সুন্দর প্রকৃতি এবং পশ্চিমে তাকালে উপকূলীয় সবুজ বনানীর পর মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, কুতুবদিয়া-মহেশখালী দ্বীপের বাইরে বঙ্গোপসাগরে ভাসমান জাহাজ এবং বোটগুলো যেন পাহাড়ি নদীর পানসি নৌকা! লামার বুকে বয়ে চলা মাতামুহুরী নদী যেন স্বপ্নের জগতে নিয়ে যাবে আপনাকে। মাঝেমধ্যে উঁচু উঁচু পাহাড়ের ফাঁকে ফাঁকে উঁকি দেয় সূর্যের আলো। প্রকৃতির খুব কাছাকাছি আসার, বুকভরে নির্মল বাতাস নেওয়ার আর স্বর্গীয় দৃশ্য দেখে চোখ জুড়ানোর একমাত্র জায়গা লামা। এখানে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। অরণ্য রানিখ্যাত লামার মিরিঞ্জা পাহাড়, সুখীয়া ও দুঃখীয়া পাহাড় এবং আশপাশের এলাকায় আবিষ্কৃত হয়েছে শতাধিক পর্যটনকেন্দ্র। দুর্গম সব পাহাড় আর বুনো প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে অনেক স্থান লোকচক্ষুর আড়ালে রয়ে গেছে।
মিরিঞ্জা
এই জায়গা এরই মধ্যে দেশজুড়ে পর্যটকদের মধ্যে যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে। এখানে আছে উপজেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণাধীন মিরিঞ্জা পর্যটন কমপ্লেক্স। মিরিঞ্জা নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ভরপুর এক পর্যটনকেন্দ্র। পাহাড়টি ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১ হাজার ৬০০ ফুট উঁচু। মিরিঞ্জা পর্যটনকেন্দ্র থেকে নয়ন ভরে সাগর, পাহাড়, আকাশ এবং হরেক রকম পাখি দেখা যায়। এর ওপর রয়েছে নীল আকাশে মেঘের বিচরণ। প্রতিনিয়ত মেঘ ছুঁয়ে যায় মিরিঞ্জা পাহাড়ের গা, দৃষ্টিনন্দন টাইটানিক ভিউ পয়েন্ট, ওয়াকওয়ে ও মিনি শিশুপার্ক। মিরিঞ্জা পর্যটন কমপ্লেক্সের গোড়াপত্তন হয়েছিল ২০০৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, প্রায় ৩৩ একর পাহাড়ি ভূমি ঘিরে।
সুখীয়া ও দুঃখীয়া ভ্যালি
মাতামুহুরী নদীর দুই তীরে সুখীয়া ও দুঃখীয়া ভ্যালি। চোখজুড়ানো সবুজ স্নিগ্ধ বনানীঘেরা এ দুই পাহাড়ের বুক চিরে সর্পিলাকারে বহমান মাতামুহুরী নদী। সুখীয়া ও দুঃখীয়া পাহাড়ের উঁচু চূড়ার মনোরম দৃশ্যের সমারোহ দেশ-বিদেশের ভ্রমণপিয়াসি পর্যটকদের হৃদয় মোহিত করেছে। এ দুই পাহাড়ের চূড়ায় উঠলে মনপ্রাণ ফুরফুরে হয়ে যাবে।
পাহাড়ে জুমিয়ারা বাগান পাহারা দেওয়া এবং ফসল সংগ্রহের জন্য জুমের খেতে বাঁশ ও ছন দিয়ে জুমঘর তৈরি করে থাকে। এ জুমঘরকে তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায় ‘প্রবাস্যা ঘর’, ম্রো ভাষায় ‘ঐবক’, মারমা ভাষায় ‘বাও’ এবং ত্রিপুরা ভাষায় ‘হুৎমাইঞা’ বলে। প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে এ জুমঘর বেশ জনপ্রিয় এখন। ইতিমধ্যে দেশজুড়ে পর্যটকদের মধ্যে যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে এই জুমঘর। মিরিঞ্জা পাহাড়, সুখীয়া-দুঃখীয়া পাহাড় এবং আশপাশের এলাকার নয়নাভিরাম পর্যটন স্থানগুলো ভ্রমণপিয়াসি পর্যটকদের প্রতিনিয়ত আকৃষ্ট করে চলেছে। লামায় পর্যটকদের তাত্ত্বিক জ্ঞানের পাশাপাশি পাহাড়ি সংস্কৃতি ও জুম চাষের সঙ্গে প্রত্যক্ষ পরিচয় ঘটার সুযোগ অনেক বেশি।
পর্বত, অরণ্য ও সমুদ্রপ্রেমী—এই তিন শ্রেণির পর্যটকের সেরা গন্তব্য মেঘে আবৃত পাহাড়, সবুজ উপত্যকার মায়াবী জনপদ লামা।
যেভাবে যাবেন
রাজধানী ঢাকার রাজারবাগ, ফকিরাপুল অথবা সায়েদাবাদ থেকে হানিফ কিংবা শ্যামলী এন আর ট্রাভেলস বাসে সরাসরি লামায় যাওয়া যায়। এ ছাড়া কক্সবাজারগামী যেকোনো বাসে চকরিয়া বাস টার্মিনাল পর্যন্ত গিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, জিপগাড়ি বা চাঁদের গাড়ি কিংবা বাসযোগে মিরিঞ্জা বাজারে নেমে ১০ মিনিট হেঁটে মিরিঞ্জা ভ্যালি যাওয়া যায়। ট্রেনে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে চকরিয়া স্টেশন পর্যন্ত যেতে হবে। সেখান থেকে চকরিয়া বাস টার্মিনালে গিয়ে অন্য পরিবহনে মিরিঞ্জায় যাওয়া যাবে। দেশের উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চল থেকে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম, তারপর লামায় যেতে হবে।
ভ্রমণকালীন সতর্কতা

ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক থেকে পাহাড় ও মাতামুহুরী নদীবেষ্টিত বান্দরবানের লামা উপজেলা দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে বৈচিত্র্যময়। কোথাও উঁচু, কোথাও নিচু সারি সারি সবুজ পাহাড়। সেই সবুজ পাহাড়ে মেঘের আড়ালে হারিয়ে যেতে নেই মানা। মাঝে মাঝে ঢুকে যাবেন মেঘের রাজ্যে। সূর্যের আলো ফোটার আগে বোঝার উপায় নেই, এটি কোন জনপদ। সূর্যোদয়ের পর হেসে ওঠে সব। প্রকৃতি যেন তার সবটুকু রূপ দিয়ে সাজিয়ে তুলেছে বান্দরবানের লামাকে। সারি সারি পাহাড় আর সবুজ বনানীবেষ্টিত এলাকায় আপনার আগমনে যোগ হবে ভিন্ন মাত্রা। পাহাড় থেকে সূর্যাস্ত না দেখলে প্রকৃতির বর্ণনাতীত সৌন্দর্যের অনেকটাই অদেখা থেকে যায়। মেঘ আর কুয়াশাঢাকা পাহাড়ি পথে পাহাড়ের চূড়ায় ওঠার রোমাঞ্চকর অনুভূতি ডাকছে আপনাকে।
ভাষা, সংস্কৃতি, ধর্মবিশ্বাস অন্যান্য জেলার চেয়ে তিন পার্বত্য জেলা সম্পূর্ণ আলাদা। বান্দরবানের লামার মিরিঞ্জা পাহাড় থেকে দেখা যাবে লামা শহর, পাশের সবুজ সুন্দর প্রকৃতি এবং পশ্চিমে তাকালে উপকূলীয় সবুজ বনানীর পর মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, কুতুবদিয়া-মহেশখালী দ্বীপের বাইরে বঙ্গোপসাগরে ভাসমান জাহাজ এবং বোটগুলো যেন পাহাড়ি নদীর পানসি নৌকা! লামার বুকে বয়ে চলা মাতামুহুরী নদী যেন স্বপ্নের জগতে নিয়ে যাবে আপনাকে। মাঝেমধ্যে উঁচু উঁচু পাহাড়ের ফাঁকে ফাঁকে উঁকি দেয় সূর্যের আলো। প্রকৃতির খুব কাছাকাছি আসার, বুকভরে নির্মল বাতাস নেওয়ার আর স্বর্গীয় দৃশ্য দেখে চোখ জুড়ানোর একমাত্র জায়গা লামা। এখানে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। অরণ্য রানিখ্যাত লামার মিরিঞ্জা পাহাড়, সুখীয়া ও দুঃখীয়া পাহাড় এবং আশপাশের এলাকায় আবিষ্কৃত হয়েছে শতাধিক পর্যটনকেন্দ্র। দুর্গম সব পাহাড় আর বুনো প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে অনেক স্থান লোকচক্ষুর আড়ালে রয়ে গেছে।
মিরিঞ্জা
এই জায়গা এরই মধ্যে দেশজুড়ে পর্যটকদের মধ্যে যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে। এখানে আছে উপজেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণাধীন মিরিঞ্জা পর্যটন কমপ্লেক্স। মিরিঞ্জা নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ভরপুর এক পর্যটনকেন্দ্র। পাহাড়টি ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১ হাজার ৬০০ ফুট উঁচু। মিরিঞ্জা পর্যটনকেন্দ্র থেকে নয়ন ভরে সাগর, পাহাড়, আকাশ এবং হরেক রকম পাখি দেখা যায়। এর ওপর রয়েছে নীল আকাশে মেঘের বিচরণ। প্রতিনিয়ত মেঘ ছুঁয়ে যায় মিরিঞ্জা পাহাড়ের গা, দৃষ্টিনন্দন টাইটানিক ভিউ পয়েন্ট, ওয়াকওয়ে ও মিনি শিশুপার্ক। মিরিঞ্জা পর্যটন কমপ্লেক্সের গোড়াপত্তন হয়েছিল ২০০৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, প্রায় ৩৩ একর পাহাড়ি ভূমি ঘিরে।
সুখীয়া ও দুঃখীয়া ভ্যালি
মাতামুহুরী নদীর দুই তীরে সুখীয়া ও দুঃখীয়া ভ্যালি। চোখজুড়ানো সবুজ স্নিগ্ধ বনানীঘেরা এ দুই পাহাড়ের বুক চিরে সর্পিলাকারে বহমান মাতামুহুরী নদী। সুখীয়া ও দুঃখীয়া পাহাড়ের উঁচু চূড়ার মনোরম দৃশ্যের সমারোহ দেশ-বিদেশের ভ্রমণপিয়াসি পর্যটকদের হৃদয় মোহিত করেছে। এ দুই পাহাড়ের চূড়ায় উঠলে মনপ্রাণ ফুরফুরে হয়ে যাবে।
পাহাড়ে জুমিয়ারা বাগান পাহারা দেওয়া এবং ফসল সংগ্রহের জন্য জুমের খেতে বাঁশ ও ছন দিয়ে জুমঘর তৈরি করে থাকে। এ জুমঘরকে তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায় ‘প্রবাস্যা ঘর’, ম্রো ভাষায় ‘ঐবক’, মারমা ভাষায় ‘বাও’ এবং ত্রিপুরা ভাষায় ‘হুৎমাইঞা’ বলে। প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে এ জুমঘর বেশ জনপ্রিয় এখন। ইতিমধ্যে দেশজুড়ে পর্যটকদের মধ্যে যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে এই জুমঘর। মিরিঞ্জা পাহাড়, সুখীয়া-দুঃখীয়া পাহাড় এবং আশপাশের এলাকার নয়নাভিরাম পর্যটন স্থানগুলো ভ্রমণপিয়াসি পর্যটকদের প্রতিনিয়ত আকৃষ্ট করে চলেছে। লামায় পর্যটকদের তাত্ত্বিক জ্ঞানের পাশাপাশি পাহাড়ি সংস্কৃতি ও জুম চাষের সঙ্গে প্রত্যক্ষ পরিচয় ঘটার সুযোগ অনেক বেশি।
পর্বত, অরণ্য ও সমুদ্রপ্রেমী—এই তিন শ্রেণির পর্যটকের সেরা গন্তব্য মেঘে আবৃত পাহাড়, সবুজ উপত্যকার মায়াবী জনপদ লামা।
যেভাবে যাবেন
রাজধানী ঢাকার রাজারবাগ, ফকিরাপুল অথবা সায়েদাবাদ থেকে হানিফ কিংবা শ্যামলী এন আর ট্রাভেলস বাসে সরাসরি লামায় যাওয়া যায়। এ ছাড়া কক্সবাজারগামী যেকোনো বাসে চকরিয়া বাস টার্মিনাল পর্যন্ত গিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, জিপগাড়ি বা চাঁদের গাড়ি কিংবা বাসযোগে মিরিঞ্জা বাজারে নেমে ১০ মিনিট হেঁটে মিরিঞ্জা ভ্যালি যাওয়া যায়। ট্রেনে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে চকরিয়া স্টেশন পর্যন্ত যেতে হবে। সেখান থেকে চকরিয়া বাস টার্মিনালে গিয়ে অন্য পরিবহনে মিরিঞ্জায় যাওয়া যাবে। দেশের উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চল থেকে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম, তারপর লামায় যেতে হবে।
ভ্রমণকালীন সতর্কতা

বরফ রাজ্য অ্যান্টার্কটিকা পাড়ি দেওয়া মোটেই সহজ কাজ নয়। তারপর যদি যাত্রাটা হয় একাকী, তাহলে তো কথাই নেই। কিন্তু ১৯৯৭ সালের এই দিনে একাকী ও কারও সাহায্য ছাড়া প্রথম মানুষ হিসেবে অ্যান্টার্কটিকা জয় করেন নরওয়ের বোর্জ অসল্যান্ড। অবশ্য বোর্জ অসল্যান্ডের প্রথম অ্যান্টার্কটিকা পাড়ি দেওয়ার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
১৮ জানুয়ারি ২০২৩
‘ম্যায় হু না’, ‘হায়দার’, ‘চিনি কম’, ‘চাঁদনি বার’ কিংবা ‘আন্ধাধুন’ সিনেমার কথা মনে আছে নিশ্চয়? তাহলেই মনে পড়বে টাবুর কথা। সু-অভিনয়, সাধারণ জীবনযাপন আর সময়ানুবর্তিতা—এই তিন মিলে তিনি টাবু। ৪ নভেম্বর ছিল তাঁর জন্মদিন। এই দিনে সামনে এসেছে তাঁর রূপরহস্যের কথা।...
২২ মিনিট আগে
ইউরোপের অনেক দেশ পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন নিয়ম যোগ করেছে। এর কারণও আছে। অতিরিক্ত পর্যটকের কারণে স্থানীয় অধিবাসীরা স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছেন না। ফলে তাঁরা পর্যটকদের ওপর বিরক্ত। এসব বিষয়ে অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে বিভিন্ন দেশে।
৫ ঘণ্টা আগে
আজকে মেজাজটা যেন প্রেশার কুকার! যখন তখন ফোঁস করে উঠতে পারেন। ব্যবসা-বাণিজ্যে কপাল ফিরবে, বিশেষ করে যদি কোনো বিরিয়ানি বা ফুচকার মতো খানাদানার ব্যবসা থাকে। পুরোনো বকেয়া টাকা হাতে আসতে পারে, যার মানে অবশেষে আপনি সেই বন্ধুর ধারটা শোধ করতে পারবেন, যিনি ছয় মাস ধরে আপনাকে ‘টাকাটা কবে দিবি?’
৬ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

ইউরোপের অনেক দেশ পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন নিয়ম যোগ করেছে। এর কারণও আছে। অতিরিক্ত পর্যটকের কারণে স্থানীয় অধিবাসীরা স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছেন না। ফলে তাঁরা পর্যটকদের ওপর বিরক্ত। এসব বিষয়ে অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে বিভিন্ন দেশে। আবার অতিরিক্ত পর্যটনের বিরুদ্ধে স্পেনের রাস্তায় বিক্ষোভ পর্যন্ত দেখা গেছে। ইউরোপ ছাড়িয়ে এমন পরিস্থিতির মুখে পড়েছে এশিয়ার পর্যটনশিল্পও।
পর্যটন বিশেষজ্ঞ গ্যারি বাওয়ারম্যান বলছেন, বালি, কিয়োটো এবং ফুকেট পর্যটকদের নিয়ে সমস্যার মুখে পড়েছে। আসলে ভ্রমণের জায়গা কম, এমনটা নয়। সমস্যা হলো, একই সময় একই জায়গায় অতিরিক্ত পর্যটক জড়ো হওয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের পর্যটক শ্যানন ক্লার্ক বলেন, ‘আমরা ভোর ৫টায় কিয়োটোর বিখ্যাত ফুশিমি ইনারি মন্দিরে গিয়েছিলাম। যাওয়ার পথে ভিড় কম ছিল। কিন্তু ফেরার সময় ঢল নামল পর্যটকের। হাঁটতেও খুব কষ্ট হচ্ছিল।’
মহামারির পর ভ্রমণের ঢল
মহামারির পর অনেকের ভ্রমণে আগ্রহ বেড়েছে। বিমান ভাড়া মধ্যবিত্তের হাতের নাগালে হওয়ায় এশিয়ার পর্যটন আবার চাঙা হয়ে উঠেছে। এ বছরের প্রথম ছয় মাসে উত্তর-পূর্ব এশিয়ায় পর্যটক বেড়েছে ২০ শতাংশ। ভিয়েতনামে বিভিন্ন শহরে এখন মানুষ গিজগিজ করছে। থাইল্যান্ডে সামান্য পর্যটক কমলেও ফুকেটের জনপ্রিয় জায়গাগুলোয় ভিড় কমছে না। যানজট, পানির সংকট এবং বর্জ্য—সব মিলিয়ে পর্যটনশিল্প চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
প্রকৃতি ও সংস্কৃতি
‘সাউথ ইস্ট এশিয়া ব্যাকপ্যাকার ম্যাগাজিন’-এর সম্পাদক নিকি স্কট বলেন, অতিরিক্ত পর্যটক পরিবেশ ধ্বংস করছে, প্রাকৃতিক সম্পদ শেষ করছে এবং স্থানীয় সংস্কৃতিকে বিকৃত করছে।
এ ক্ষেত্রে দ্বীপ ও সৈকত এলাকা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। বালিতে পানিসংকট, যানজট, প্লাস্টিকদূষণ এখন প্রতিদিনের ঘটনা। সেখানকার ধানখেত কেটে হোটেল বানানোর ফলে বন্যা আরও বেড়েছে। ফিলিপাইনের বোরাকায়ও একই সমস্যা হয়েছিল ২০১৮ সালে। ছয় মাস দ্বীপটি বন্ধ রেখে পর্যটন সংস্কার করা হয়েছিল।
কিয়োটোর সমস্যা
২০২৪ সালে ৫ কোটি ৬০ লাখ মানুষ কিয়োটো ভ্রমণ করেছে। এই বিশালসংখ্যক পর্যটক সামাল দিতে স্থানীয়দের প্রতিদিনের জীবন পড়েছে সংকটের মুখে। হাঁটার সংকীর্ণ রাস্তা কিংবা গণপরিবহন—সবই জনাকীর্ণ। জাপানের সংবাদমাধ্যম ‘ইওমিউরি শিম্বুন’-এর জরিপে দেখা গেছে, ৯০ শতাংশ বাসিন্দা অতিরিক্ত পর্যটন বা ওভার ট্যুরিজমে বিরক্ত। এসব কারণে স্থানীয় সরকার নতুন কিছু নিয়ম চালু করেছে। কিয়োটোর গিয়ন এলাকার মহল্লাগুলোর রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে। সেখানে ছবি তুললে রাখা হয়েছে জরিমানার ব্যবস্থা। তবে বড় শহরে ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব কঠিন।
সমাধান হলো ভ্রমণ সচেতনতা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কার্যকর সমাধান হলো পর্যটকের সংখ্যা সীমিত করা এবং নির্দিষ্ট এলাকা বন্ধ রাখা। তবে বড় শহরে তা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠছে। গ্যারি বাওয়ারম্যান বলেন, এশিয়ার দেশগুলো পর্যটনকে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির মূল খাত হিসেবে দেখছে। তাই তাদের পক্ষে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া অনেক সময় যথেষ্ট কঠিন।
নিকি স্কট পরামর্শ দেন, জনপ্রিয় ভ্রমণ গন্তব্যের বাইরে গিয়ে নতুন গন্তব্যগুলোকে সামনে আনা উচিত। এ নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলা জরুরি। এমন অনেক জায়গা আছে, যেগুলো প্রচারণার জন্য পিছিয়ে পড়েছে। তাই এককেন্দ্রিক ভ্রমণ পরিকল্পনা থেকে বের হতে হবে।
সূত্র: সিএনএন

ইউরোপের অনেক দেশ পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন নিয়ম যোগ করেছে। এর কারণও আছে। অতিরিক্ত পর্যটকের কারণে স্থানীয় অধিবাসীরা স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছেন না। ফলে তাঁরা পর্যটকদের ওপর বিরক্ত। এসব বিষয়ে অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে বিভিন্ন দেশে। আবার অতিরিক্ত পর্যটনের বিরুদ্ধে স্পেনের রাস্তায় বিক্ষোভ পর্যন্ত দেখা গেছে। ইউরোপ ছাড়িয়ে এমন পরিস্থিতির মুখে পড়েছে এশিয়ার পর্যটনশিল্পও।
পর্যটন বিশেষজ্ঞ গ্যারি বাওয়ারম্যান বলছেন, বালি, কিয়োটো এবং ফুকেট পর্যটকদের নিয়ে সমস্যার মুখে পড়েছে। আসলে ভ্রমণের জায়গা কম, এমনটা নয়। সমস্যা হলো, একই সময় একই জায়গায় অতিরিক্ত পর্যটক জড়ো হওয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের পর্যটক শ্যানন ক্লার্ক বলেন, ‘আমরা ভোর ৫টায় কিয়োটোর বিখ্যাত ফুশিমি ইনারি মন্দিরে গিয়েছিলাম। যাওয়ার পথে ভিড় কম ছিল। কিন্তু ফেরার সময় ঢল নামল পর্যটকের। হাঁটতেও খুব কষ্ট হচ্ছিল।’
মহামারির পর ভ্রমণের ঢল
মহামারির পর অনেকের ভ্রমণে আগ্রহ বেড়েছে। বিমান ভাড়া মধ্যবিত্তের হাতের নাগালে হওয়ায় এশিয়ার পর্যটন আবার চাঙা হয়ে উঠেছে। এ বছরের প্রথম ছয় মাসে উত্তর-পূর্ব এশিয়ায় পর্যটক বেড়েছে ২০ শতাংশ। ভিয়েতনামে বিভিন্ন শহরে এখন মানুষ গিজগিজ করছে। থাইল্যান্ডে সামান্য পর্যটক কমলেও ফুকেটের জনপ্রিয় জায়গাগুলোয় ভিড় কমছে না। যানজট, পানির সংকট এবং বর্জ্য—সব মিলিয়ে পর্যটনশিল্প চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
প্রকৃতি ও সংস্কৃতি
‘সাউথ ইস্ট এশিয়া ব্যাকপ্যাকার ম্যাগাজিন’-এর সম্পাদক নিকি স্কট বলেন, অতিরিক্ত পর্যটক পরিবেশ ধ্বংস করছে, প্রাকৃতিক সম্পদ শেষ করছে এবং স্থানীয় সংস্কৃতিকে বিকৃত করছে।
এ ক্ষেত্রে দ্বীপ ও সৈকত এলাকা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। বালিতে পানিসংকট, যানজট, প্লাস্টিকদূষণ এখন প্রতিদিনের ঘটনা। সেখানকার ধানখেত কেটে হোটেল বানানোর ফলে বন্যা আরও বেড়েছে। ফিলিপাইনের বোরাকায়ও একই সমস্যা হয়েছিল ২০১৮ সালে। ছয় মাস দ্বীপটি বন্ধ রেখে পর্যটন সংস্কার করা হয়েছিল।
কিয়োটোর সমস্যা
২০২৪ সালে ৫ কোটি ৬০ লাখ মানুষ কিয়োটো ভ্রমণ করেছে। এই বিশালসংখ্যক পর্যটক সামাল দিতে স্থানীয়দের প্রতিদিনের জীবন পড়েছে সংকটের মুখে। হাঁটার সংকীর্ণ রাস্তা কিংবা গণপরিবহন—সবই জনাকীর্ণ। জাপানের সংবাদমাধ্যম ‘ইওমিউরি শিম্বুন’-এর জরিপে দেখা গেছে, ৯০ শতাংশ বাসিন্দা অতিরিক্ত পর্যটন বা ওভার ট্যুরিজমে বিরক্ত। এসব কারণে স্থানীয় সরকার নতুন কিছু নিয়ম চালু করেছে। কিয়োটোর গিয়ন এলাকার মহল্লাগুলোর রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে। সেখানে ছবি তুললে রাখা হয়েছে জরিমানার ব্যবস্থা। তবে বড় শহরে ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব কঠিন।
সমাধান হলো ভ্রমণ সচেতনতা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কার্যকর সমাধান হলো পর্যটকের সংখ্যা সীমিত করা এবং নির্দিষ্ট এলাকা বন্ধ রাখা। তবে বড় শহরে তা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠছে। গ্যারি বাওয়ারম্যান বলেন, এশিয়ার দেশগুলো পর্যটনকে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির মূল খাত হিসেবে দেখছে। তাই তাদের পক্ষে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া অনেক সময় যথেষ্ট কঠিন।
নিকি স্কট পরামর্শ দেন, জনপ্রিয় ভ্রমণ গন্তব্যের বাইরে গিয়ে নতুন গন্তব্যগুলোকে সামনে আনা উচিত। এ নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলা জরুরি। এমন অনেক জায়গা আছে, যেগুলো প্রচারণার জন্য পিছিয়ে পড়েছে। তাই এককেন্দ্রিক ভ্রমণ পরিকল্পনা থেকে বের হতে হবে।
সূত্র: সিএনএন

বরফ রাজ্য অ্যান্টার্কটিকা পাড়ি দেওয়া মোটেই সহজ কাজ নয়। তারপর যদি যাত্রাটা হয় একাকী, তাহলে তো কথাই নেই। কিন্তু ১৯৯৭ সালের এই দিনে একাকী ও কারও সাহায্য ছাড়া প্রথম মানুষ হিসেবে অ্যান্টার্কটিকা জয় করেন নরওয়ের বোর্জ অসল্যান্ড। অবশ্য বোর্জ অসল্যান্ডের প্রথম অ্যান্টার্কটিকা পাড়ি দেওয়ার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
১৮ জানুয়ারি ২০২৩
‘ম্যায় হু না’, ‘হায়দার’, ‘চিনি কম’, ‘চাঁদনি বার’ কিংবা ‘আন্ধাধুন’ সিনেমার কথা মনে আছে নিশ্চয়? তাহলেই মনে পড়বে টাবুর কথা। সু-অভিনয়, সাধারণ জীবনযাপন আর সময়ানুবর্তিতা—এই তিন মিলে তিনি টাবু। ৪ নভেম্বর ছিল তাঁর জন্মদিন। এই দিনে সামনে এসেছে তাঁর রূপরহস্যের কথা।...
২২ মিনিট আগে
ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক থেকে পাহাড় ও মাতামুহুরী নদীবেষ্টিত বান্দরবানের লামা উপজেলা দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে বৈচিত্র্যময়। কোথাও উঁচু, কোথাও নিচু সারি সারি সবুজ পাহাড়। সেই সবুজ পাহাড়ে মেঘের আড়ালে হারিয়ে যেতে নেই মানা। মাঝে মাঝে ঢুকে যাবেন মেঘের রাজ্যে।
৪ ঘণ্টা আগে
আজকে মেজাজটা যেন প্রেশার কুকার! যখন তখন ফোঁস করে উঠতে পারেন। ব্যবসা-বাণিজ্যে কপাল ফিরবে, বিশেষ করে যদি কোনো বিরিয়ানি বা ফুচকার মতো খানাদানার ব্যবসা থাকে। পুরোনো বকেয়া টাকা হাতে আসতে পারে, যার মানে অবশেষে আপনি সেই বন্ধুর ধারটা শোধ করতে পারবেন, যিনি ছয় মাস ধরে আপনাকে ‘টাকাটা কবে দিবি?’
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজকে মেজাজটা যেন প্রেশার কুকার! যখন তখন ফোঁস করে উঠতে পারেন। ব্যবসা-বাণিজ্যে কপাল ফিরবে, বিশেষ করে যদি কোনো বিরিয়ানি বা ফুচকার মতো খানাদানার ব্যবসা থাকে। পুরোনো বকেয়া টাকা হাতে আসতে পারে, যার মানে অবশেষে আপনি সেই বন্ধুর ধারটা শোধ করতে পারবেন, যিনি ছয় মাস ধরে আপনাকে ‘টাকাটা কবে দিবি?’ বলে মেসেজ পাঠাচ্ছেন। তবে সাবধান, মুখের ওপর রাশ টানুন। আজ উল্টাপাল্টা কথা বলে সম্পর্ক নষ্ট করার যোগ আছে।
বৃষ
আজকের দিনটি আপনার জন্য দারুণ কর্মযোগপূর্ণ। কাজের চাপে ব্যক্তিগত জীবন এখন টিভির সিরিয়ালের মতো—এপিসোড কবে শেষ হবে, কেউ জানে না। বিদেশযাত্রার সুযোগ আসতে পারে। সাবধানে প্লেনের টিকিট কাটুন, না হলে দেখবেন ভুল করে নেপালি বাজারের বদলে নেপচুন গ্রহে চলে গেছেন! কর্মক্ষেত্রে বিশেষ সম্মান পেতে পারেন, তবে সহকর্মীদের কানের কাছে গিয়ে নিজের প্রশংসা করবেন না, তারা মিষ্টি কথায় ছুরি মারতে পারে। আজ ধৈর্যই আপনার সেভিংস অ্যাকাউন্ট।
মিথুন
ভিসা-সংক্রান্ত জটিলতা আজ কিছুটা সরল হবে, অনেকটা জ্যামিতির উপপাদ্যের মতো। পরিবহন ব্যবসায়ীরা আজ ভালো রোজগার করতে পারবেন। কিন্তু মনের ভেতরের অস্থিরতা আজ তুঙ্গে। কথা বলার ধরন আজ সামান্য খিটখিটে থাকতে পারে, তাই প্রতিটি শব্দের আগে মনে মনে একবার 'শান্তি, শান্তি' জপ করে নিন। কোনো তর্কে জড়াবেন না। কারণ, একবার শুরু করলে সহজে থামবেন না। আজ টাকা আসবে, তবে সেটা জলের মতো খরচ না করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
কর্কট
আজ বন্ধুর সাহায্যে আটকে থাকা কাজগুলো এগিয়ে যাবে। মনে রাখবেন, বিপদের সময় যে বন্ধু সাহায্য করে, সে আপনার আসল হিতাকাঙ্ক্ষী, আর যে শুধু পার্টিতে ডাকে, সে শুধুই 'ফ্রেন্ডলিস্ট'-এর সংখ্যা। ঠিকাদারি কাজে অপ্রত্যাশিত মুনাফা বা পুরোনো বকেয়া আদায়ের সম্ভাবনা। সংবেদনশীল মন আজ আপনার সম্পর্কের ভিত্তি আরও মজবুত করবে। বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে ভুল মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বসবেন না যেন!
সিংহ
আজ রাজার মেজাজে থাকবেন। প্রভাবশালী কোনো ব্যক্তির সাহায্যে কর্মক্ষেত্রে ভালো কিছু ঘটতে পারে। বাবা বা গুরুজনের পরামর্শ আজ ওষুধের মতো কাজ করবে, যদিও সেটা গিলতে চাইবেন না। নতুন আয়ের সুযোগ তৈরি হবে, তবে টাকা আসার সঙ্গে সঙ্গে খরচের তালিকাও লম্বা হবে। সামান্য বিষয়ে অহংকার দেখাতে যাবেন না, মনে রাখবেন, যতই সিংহ হোন না কেন, রাতের বেলা আপনাকেও মশারি টানিয়ে শুতে হয়।
কন্যা
আজ মন কিছুটা অশান্ত থাকতে পারে। শান্তি খুঁজতে বাইরে না গিয়ে বরং নিজের ভেতরের অশান্তি দূর করার চেষ্টা করুন। আর যদি ভেতরের শান্তি খুঁজে না পান, তাহলে নিজের ঘরটা ঝেড়েমুছে নিন। এতে অন্তত একটা কাজ তো হবে! কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ বাড়বে এবং বন্ধুর কারণে সামান্য ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। শারীরিক বিষয়ে যত্নশীল হন, পানিবাহিত রোগ থেকে সাবধানে থাকুন। বাইরের খাবার দেখলে আজ একটু দূরত্ব বজায় রাখুন, নয়তো পেট বাবাজি বিদ্রোহ ঘোষণা করতে পারে।
তুলা
ব্যবসায় আজ অগ্রগতি হবে, যা দেখে পুরোনো ভুলগুলো মনে পড়তে পারে। অতীত নিয়ে বেশি চিন্তা করে আজকের দিনটি নষ্ট করবেন না। চারপাশের মানুষজনের প্রতি সচেতন থাকা প্রয়োজন, কারণ কেউ কেউ বন্ধুর ছদ্মবেশে আপনার শত্রু হয়ে থাকতে পারে, যারা আপনার নতুন জামারও নিন্দা করে। অপ্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জ এলেও ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষমতা আপনাকে রক্ষা করবে। দাম্পত্য জীবনে সামান্য তর্ক হতে পারে—মনে রাখবেন, বিতর্কে জেতার চেয়ে সম্পর্ক ধরে রাখা জরুরি।
বৃশ্চিক
পারিবারিক জীবনে সুখ আর অংশীদারত্বে সফলতা আসবে। আজ কোনো হারানো প্রিয় বস্তু ফিরে পেতে পারেন, হতে পারে সেটা সেই পুরোনো পেনড্রাইভ, যার ভেতরে সব গোপন ফাইল ছিল। ইচ্ছা পূরণ হলে আনন্দে আত্মহারা হবেন। কিন্তু শত্রুরা আজ বিরক্ত করার চেষ্টা করবে। সাবধানে থাকুন, বিশেষ করে সেই সহকর্মীটির কাছ থেকে, যিনি কাজের চাপ কমানোর জন্য আপনার ডেস্কে মিষ্টি রেখে যান।
ধনু
আজকের দিনটি বেশ লাভজনক। সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত হবে। হয়তো কোনো সহকর্মী কফি খাওয়ানোর প্রস্তাব দেবে। প্রতিযোগিতামূলক কাজে সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উদ্ভাবনী ধারণাগুলোতে মনোযোগ দিন—হয়তো এমন কিছু আবিষ্কার করবেন, যা সকালে বিছানা থেকে উঠতে সাহায্য করে। তবে স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিন, ডায়েট কন্ট্রোল না করলে শরীরের ওজনের পাল্লাটা উল্টো দিকে ঘুরে যেতে পারে।
মকর
আজ ব্যক্তিগত এবং সামাজিক সম্পর্ক উন্নত করার জন্য একটি ভালো দিন। সাধারণত কাজের গুহায় লুকিয়ে থাকতে পছন্দ করেন, কিন্তু আজ একটু বাইরে বেরোন। মানুষের সঙ্গে মিশুন। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা আজ আপনাকে অনেক সমস্যার হাত থেকে বাঁচাবে। অতিরিক্ত একগুঁয়েমি পরিহার করুন। মাঝেমধ্যে অন্যের কথাও শুনুন, পৃথিবীটা আপনার পরিকল্পনামতো চলবে, এমন কোনো কথা নেই।
কুম্ভ
আজ আপনার সৃজনশীলতা তুঙ্গে। সম্পর্কগুলো আজ নতুন শক্তিতে ভরে উঠবে। প্রেমের ক্ষেত্রে আজ রোমান্টিক দিন। যাঁরা নতুন চাকরির খোঁজ করছেন, তাঁদের স্বপ্ন পূরণ হতে পারে। তবে একগুঁয়েমি আজ আপনার সবচেয়ে বড় শত্রু। ঊর্ধ্বতন বা গুরুজনদের কথা শুনুন, না হলে ট্রান্সফারের নামে আপনাকে এমন জায়গায় পাঠানো হতে পারে, যেখানে ওয়াইফাই নেই! পারিবারিক বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার আগে ভালো করে চিন্তা করুন।
মীন
ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে আজ ভালো রোজগার হওয়ার যোগ রয়েছে, যা দেখে মুখে হাসি ফুটবে। তবে আর্থিক লেনদেনের সময় সাবধানে থাকুন। না বুঝে কোথাও টাকা ঢালবেন না। সংবেদনশীলতা আজ মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে। নতুন অভিজ্ঞতার জন্য প্রস্তুত থাকুন, কিন্তু যেখানে সতর্কতা প্রয়োজন, সেখানে সতর্ক হন। দিনের শেষে নিজেকে প্রশ্ন করুন—আজ আমি কয়টা ভুল করেছি, আর কয়টা সুস্বাদু খাবার খেয়েছি?

মেষ
আজকে মেজাজটা যেন প্রেশার কুকার! যখন তখন ফোঁস করে উঠতে পারেন। ব্যবসা-বাণিজ্যে কপাল ফিরবে, বিশেষ করে যদি কোনো বিরিয়ানি বা ফুচকার মতো খানাদানার ব্যবসা থাকে। পুরোনো বকেয়া টাকা হাতে আসতে পারে, যার মানে অবশেষে আপনি সেই বন্ধুর ধারটা শোধ করতে পারবেন, যিনি ছয় মাস ধরে আপনাকে ‘টাকাটা কবে দিবি?’ বলে মেসেজ পাঠাচ্ছেন। তবে সাবধান, মুখের ওপর রাশ টানুন। আজ উল্টাপাল্টা কথা বলে সম্পর্ক নষ্ট করার যোগ আছে।
বৃষ
আজকের দিনটি আপনার জন্য দারুণ কর্মযোগপূর্ণ। কাজের চাপে ব্যক্তিগত জীবন এখন টিভির সিরিয়ালের মতো—এপিসোড কবে শেষ হবে, কেউ জানে না। বিদেশযাত্রার সুযোগ আসতে পারে। সাবধানে প্লেনের টিকিট কাটুন, না হলে দেখবেন ভুল করে নেপালি বাজারের বদলে নেপচুন গ্রহে চলে গেছেন! কর্মক্ষেত্রে বিশেষ সম্মান পেতে পারেন, তবে সহকর্মীদের কানের কাছে গিয়ে নিজের প্রশংসা করবেন না, তারা মিষ্টি কথায় ছুরি মারতে পারে। আজ ধৈর্যই আপনার সেভিংস অ্যাকাউন্ট।
মিথুন
ভিসা-সংক্রান্ত জটিলতা আজ কিছুটা সরল হবে, অনেকটা জ্যামিতির উপপাদ্যের মতো। পরিবহন ব্যবসায়ীরা আজ ভালো রোজগার করতে পারবেন। কিন্তু মনের ভেতরের অস্থিরতা আজ তুঙ্গে। কথা বলার ধরন আজ সামান্য খিটখিটে থাকতে পারে, তাই প্রতিটি শব্দের আগে মনে মনে একবার 'শান্তি, শান্তি' জপ করে নিন। কোনো তর্কে জড়াবেন না। কারণ, একবার শুরু করলে সহজে থামবেন না। আজ টাকা আসবে, তবে সেটা জলের মতো খরচ না করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
কর্কট
আজ বন্ধুর সাহায্যে আটকে থাকা কাজগুলো এগিয়ে যাবে। মনে রাখবেন, বিপদের সময় যে বন্ধু সাহায্য করে, সে আপনার আসল হিতাকাঙ্ক্ষী, আর যে শুধু পার্টিতে ডাকে, সে শুধুই 'ফ্রেন্ডলিস্ট'-এর সংখ্যা। ঠিকাদারি কাজে অপ্রত্যাশিত মুনাফা বা পুরোনো বকেয়া আদায়ের সম্ভাবনা। সংবেদনশীল মন আজ আপনার সম্পর্কের ভিত্তি আরও মজবুত করবে। বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে ভুল মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বসবেন না যেন!
সিংহ
আজ রাজার মেজাজে থাকবেন। প্রভাবশালী কোনো ব্যক্তির সাহায্যে কর্মক্ষেত্রে ভালো কিছু ঘটতে পারে। বাবা বা গুরুজনের পরামর্শ আজ ওষুধের মতো কাজ করবে, যদিও সেটা গিলতে চাইবেন না। নতুন আয়ের সুযোগ তৈরি হবে, তবে টাকা আসার সঙ্গে সঙ্গে খরচের তালিকাও লম্বা হবে। সামান্য বিষয়ে অহংকার দেখাতে যাবেন না, মনে রাখবেন, যতই সিংহ হোন না কেন, রাতের বেলা আপনাকেও মশারি টানিয়ে শুতে হয়।
কন্যা
আজ মন কিছুটা অশান্ত থাকতে পারে। শান্তি খুঁজতে বাইরে না গিয়ে বরং নিজের ভেতরের অশান্তি দূর করার চেষ্টা করুন। আর যদি ভেতরের শান্তি খুঁজে না পান, তাহলে নিজের ঘরটা ঝেড়েমুছে নিন। এতে অন্তত একটা কাজ তো হবে! কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ বাড়বে এবং বন্ধুর কারণে সামান্য ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। শারীরিক বিষয়ে যত্নশীল হন, পানিবাহিত রোগ থেকে সাবধানে থাকুন। বাইরের খাবার দেখলে আজ একটু দূরত্ব বজায় রাখুন, নয়তো পেট বাবাজি বিদ্রোহ ঘোষণা করতে পারে।
তুলা
ব্যবসায় আজ অগ্রগতি হবে, যা দেখে পুরোনো ভুলগুলো মনে পড়তে পারে। অতীত নিয়ে বেশি চিন্তা করে আজকের দিনটি নষ্ট করবেন না। চারপাশের মানুষজনের প্রতি সচেতন থাকা প্রয়োজন, কারণ কেউ কেউ বন্ধুর ছদ্মবেশে আপনার শত্রু হয়ে থাকতে পারে, যারা আপনার নতুন জামারও নিন্দা করে। অপ্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জ এলেও ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষমতা আপনাকে রক্ষা করবে। দাম্পত্য জীবনে সামান্য তর্ক হতে পারে—মনে রাখবেন, বিতর্কে জেতার চেয়ে সম্পর্ক ধরে রাখা জরুরি।
বৃশ্চিক
পারিবারিক জীবনে সুখ আর অংশীদারত্বে সফলতা আসবে। আজ কোনো হারানো প্রিয় বস্তু ফিরে পেতে পারেন, হতে পারে সেটা সেই পুরোনো পেনড্রাইভ, যার ভেতরে সব গোপন ফাইল ছিল। ইচ্ছা পূরণ হলে আনন্দে আত্মহারা হবেন। কিন্তু শত্রুরা আজ বিরক্ত করার চেষ্টা করবে। সাবধানে থাকুন, বিশেষ করে সেই সহকর্মীটির কাছ থেকে, যিনি কাজের চাপ কমানোর জন্য আপনার ডেস্কে মিষ্টি রেখে যান।
ধনু
আজকের দিনটি বেশ লাভজনক। সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত হবে। হয়তো কোনো সহকর্মী কফি খাওয়ানোর প্রস্তাব দেবে। প্রতিযোগিতামূলক কাজে সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উদ্ভাবনী ধারণাগুলোতে মনোযোগ দিন—হয়তো এমন কিছু আবিষ্কার করবেন, যা সকালে বিছানা থেকে উঠতে সাহায্য করে। তবে স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিন, ডায়েট কন্ট্রোল না করলে শরীরের ওজনের পাল্লাটা উল্টো দিকে ঘুরে যেতে পারে।
মকর
আজ ব্যক্তিগত এবং সামাজিক সম্পর্ক উন্নত করার জন্য একটি ভালো দিন। সাধারণত কাজের গুহায় লুকিয়ে থাকতে পছন্দ করেন, কিন্তু আজ একটু বাইরে বেরোন। মানুষের সঙ্গে মিশুন। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা আজ আপনাকে অনেক সমস্যার হাত থেকে বাঁচাবে। অতিরিক্ত একগুঁয়েমি পরিহার করুন। মাঝেমধ্যে অন্যের কথাও শুনুন, পৃথিবীটা আপনার পরিকল্পনামতো চলবে, এমন কোনো কথা নেই।
কুম্ভ
আজ আপনার সৃজনশীলতা তুঙ্গে। সম্পর্কগুলো আজ নতুন শক্তিতে ভরে উঠবে। প্রেমের ক্ষেত্রে আজ রোমান্টিক দিন। যাঁরা নতুন চাকরির খোঁজ করছেন, তাঁদের স্বপ্ন পূরণ হতে পারে। তবে একগুঁয়েমি আজ আপনার সবচেয়ে বড় শত্রু। ঊর্ধ্বতন বা গুরুজনদের কথা শুনুন, না হলে ট্রান্সফারের নামে আপনাকে এমন জায়গায় পাঠানো হতে পারে, যেখানে ওয়াইফাই নেই! পারিবারিক বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার আগে ভালো করে চিন্তা করুন।
মীন
ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে আজ ভালো রোজগার হওয়ার যোগ রয়েছে, যা দেখে মুখে হাসি ফুটবে। তবে আর্থিক লেনদেনের সময় সাবধানে থাকুন। না বুঝে কোথাও টাকা ঢালবেন না। সংবেদনশীলতা আজ মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে। নতুন অভিজ্ঞতার জন্য প্রস্তুত থাকুন, কিন্তু যেখানে সতর্কতা প্রয়োজন, সেখানে সতর্ক হন। দিনের শেষে নিজেকে প্রশ্ন করুন—আজ আমি কয়টা ভুল করেছি, আর কয়টা সুস্বাদু খাবার খেয়েছি?

বরফ রাজ্য অ্যান্টার্কটিকা পাড়ি দেওয়া মোটেই সহজ কাজ নয়। তারপর যদি যাত্রাটা হয় একাকী, তাহলে তো কথাই নেই। কিন্তু ১৯৯৭ সালের এই দিনে একাকী ও কারও সাহায্য ছাড়া প্রথম মানুষ হিসেবে অ্যান্টার্কটিকা জয় করেন নরওয়ের বোর্জ অসল্যান্ড। অবশ্য বোর্জ অসল্যান্ডের প্রথম অ্যান্টার্কটিকা পাড়ি দেওয়ার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
১৮ জানুয়ারি ২০২৩
‘ম্যায় হু না’, ‘হায়দার’, ‘চিনি কম’, ‘চাঁদনি বার’ কিংবা ‘আন্ধাধুন’ সিনেমার কথা মনে আছে নিশ্চয়? তাহলেই মনে পড়বে টাবুর কথা। সু-অভিনয়, সাধারণ জীবনযাপন আর সময়ানুবর্তিতা—এই তিন মিলে তিনি টাবু। ৪ নভেম্বর ছিল তাঁর জন্মদিন। এই দিনে সামনে এসেছে তাঁর রূপরহস্যের কথা।...
২২ মিনিট আগে
ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক থেকে পাহাড় ও মাতামুহুরী নদীবেষ্টিত বান্দরবানের লামা উপজেলা দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে বৈচিত্র্যময়। কোথাও উঁচু, কোথাও নিচু সারি সারি সবুজ পাহাড়। সেই সবুজ পাহাড়ে মেঘের আড়ালে হারিয়ে যেতে নেই মানা। মাঝে মাঝে ঢুকে যাবেন মেঘের রাজ্যে।
৪ ঘণ্টা আগে
ইউরোপের অনেক দেশ পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন নিয়ম যোগ করেছে। এর কারণও আছে। অতিরিক্ত পর্যটকের কারণে স্থানীয় অধিবাসীরা স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছেন না। ফলে তাঁরা পর্যটকদের ওপর বিরক্ত। এসব বিষয়ে অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে বিভিন্ন দেশে।
৫ ঘণ্টা আগে