মাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার
লিলুয়া বাতাস, নিরাগ পানি, আয়েশি বৈঠার ছুপ।...
কনক আদিত্যের গাওয়া এই গানে বিল, হাওর আর বাঁওড়ের যে চিত্র ফুটে উঠেছে, সেটি কিন্তু শরৎকালের। বর্ষাকালে ঠিক এর উল্টো। এই সময় হাওরে লিলুয়া বাতাস বয়। কিন্তু পানিতে রাগ, মানে ঢেউ রয়েছে। ফলে চাইলেও এখন আয়েশ করে বৈঠা ফেলতে পারেন না মাঝিরা। হাওরে ভ্রমণের সময় কিন্তু এখনই।
আকাশে কালো মেঘ। আসি আসি করেও বৃষ্টি আসছে না। লিলুয়া বাতাস বয়ে যাচ্ছে। পানিতে ঢেউ। হঠাৎ ঝরঝরিয়ে নামল বৃষ্টি। পাড় অনেকটা দূরে। কী হবে এখন? আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল মনে! এমন একটা ভ্রমণ চাইলে ঘুরে আসুন মৌলভীবাজার থেকে। জলাভূমি, সবুজ পাহাড় ও সমতলভূমি নিয়ে সীমান্তবর্তী এই জেলা বর্ষায় স্নিগ্ধ হয়েছে আপনার জন্য। অনেক হাওর রয়েছে এই জেলায়। আছে নদী-নালা ও ছড়া। রয়েছে চা-বাগান। সবকিছু বৃষ্টির ছোঁয়ায় সতেজ, নিখুঁত আর পরিষ্কার। হাওরের স্বচ্ছ পানির সঙ্গে এখানে কথা বলে নীল আকাশ। এমন দৃশ্য বর্ষাকাল ছাড়া খুব একটা দেখা যাবে না। যেসব হাওরে যেতে পারেন—
হাকালুকি হাওর
এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এবং দেশের সবচেয়ে বড় মিঠাপানির হাওরটির আয়তন প্রায় ১৮ হাজার হেক্টর। এটি মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা, জুড়ী, কুলাউড়া এবং সিলেট জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলায় বিস্তৃত। বিশাল এই হাওর ভ্রমণের ক্ষেত্রে পর্যটকদের প্রথম পছন্দের।
বর্ষায় পানি বেড়েছে হাকালুকি হাওরে। সেই সঙ্গে এর প্রকৃতি আগের চেয়ে স্নিগ্ধ ও মনোহর। সারা বছর এখানে পর্যটকদের আনাগোনা থাকলেও বর্ষায় তা বেড়ে যায়। পর্যটকদের সুবিধার জন্য হাকালুকি হাওরের গভীরে রয়েছে একাধিক ওয়াচ টাওয়ার। সেগুলোতে উঠে হাওরের নিস্তব্ধ, শান্ত সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যায় সূর্য যখন অস্ত যায়, দিন ও রাতের সন্ধিক্ষণের সে সময় হাওরের সৌন্দর্য আরও বেড়ে যায়। সূর্যাস্তের সময় হাওর যেন ময়ূরের মতো রঙিন পেখম মেলে ধরে। এই সৌন্দর্য আকৃষ্ট করে পর্যটকদের।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকেরা হাকালুকিতে যেন ভোগান্তিতে না পড়েন, সে জন্য নৌযানের ব্যবস্থা রয়েছে। এই হাওরকে অনেকে মিনি কক্সবাজার নামে ডাকেন। হাকালুকিতে পর্যটকদের জন্য রয়েছে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত নৌযান, স্পিডবোট, শ্যালো ইঞ্জিনচালিত সুসজ্জিত নৌকা। রয়েছে লগি-বৈঠার নৌকাও। এসব নৌকা ঘণ্টা
ও দিন হিসেবে ভাড়া নেওয়া যায়। ভ্রমণের সময় বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছের দেখা মেলে মিঠাপানির এই হাওরে। বলে রাখি, বিস্তৃত জলরাশির সৌন্দর্য দেখতে হলে হাকালুকি হাওরে আসতে হবে বর্ষাকালে। হাজার হাজার অতিথি পাখির কলরবে মুখর হাওর দেখতে আসতে হবে শীতকালে। তবে সে সময় এখানে পানি কমে যায়।
কাউয়া দিঘি হাওর
মৌলভীবাজার জেলার অন্যতম সুন্দর হাওর কাউয়া দিঘি। এই হাওরের সৌন্দর্য ছড়িয়ে রয়েছে জেলার রাজনগর ও সদর উপজেলার বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে। পর্যটকদের জন্য কাউয়া দিঘি হাওরে ভ্রমণের ভালো সময় এখন। বর্ষায় পুরো হাওর ধারণ করে ভিন্নরূপ। শাপলা-শালুকসহ মনোমুগ্ধকর হাওর দেখা যাবে এখন।
কাউয়া দিঘি হাওরের রাজনগর উপজেলার অংশের পশ্চিম পাড়ে রয়েছে অন্তেহরী গ্রাম। এটি ভাসমান গ্রাম নামে পরিচিত। অংশটি হাওরের অন্যতম আকর্ষণীয় জায়গা। এখানে বছরের বেশির ভাগ সময় পানি থাকে এবং হাওরের ভাসমান সবুজ প্রকৃতি দেখা যায়।
হাইল হাওর
মৌলভীবাজার সদর, শ্রীমঙ্গল ও হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলা পর্যন্ত বিস্তৃত আরেকটি বড় জলাভূমির নাম হাইল হাওর। বৃহৎ এই হাওরে ভ্রমণের আদর্শ সময় বর্ষা মৌসুম। হাওরে ভ্রমণ করার জন্য অসংখ্য নৌকা রয়েছে। এসব নৌকায় ভ্রমণ করে প্রকৃতির সৌন্দর্য সহজে উপভোগ করা যায়। এই হাওরের শ্রীমঙ্গল অংশের নাম বাইক্কা বিল। এটি মৎস্য সম্পদের অভয়াশ্রম। বাইক্কা বিলে রয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। সেখান থেকে বর্ষায় স্থানীয় জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য এবং শীত মৌসুমে বিভিন্ন অতিথি পাখি দেখা যায়।
যেভাবে যাবেন
ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে রেলপথে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, শ্রীমঙ্গল, ভানুগাছ ও শমশেরনগর রেলস্টেশনে নেমে সহজে সিএনজিচালিত অটোরিকশা কিংবা বাসে করে হাওরে যাওয়া যায়।
বাসে করে ঢাকা থেকে সরাসরি মৌলভীবাজার, শ্রীমঙ্গল, কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখায় যাওয়া যায়। পরে লোকাল বাস, অটোরিকশাসহ স্থানীয় যানবাহনের মাধ্যমে কিংবা হেঁটে হাওরে যাওয়া যাবে। এ ছাড়া বাস অথবা স্থানীয় যানবাহনে সিলেট, ফেঞ্চুগঞ্জ, বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ থেকে হাওরের বিভিন্ন পয়েন্টে যাওয়া যাবে।
লিলুয়া বাতাস, নিরাগ পানি, আয়েশি বৈঠার ছুপ।...
কনক আদিত্যের গাওয়া এই গানে বিল, হাওর আর বাঁওড়ের যে চিত্র ফুটে উঠেছে, সেটি কিন্তু শরৎকালের। বর্ষাকালে ঠিক এর উল্টো। এই সময় হাওরে লিলুয়া বাতাস বয়। কিন্তু পানিতে রাগ, মানে ঢেউ রয়েছে। ফলে চাইলেও এখন আয়েশ করে বৈঠা ফেলতে পারেন না মাঝিরা। হাওরে ভ্রমণের সময় কিন্তু এখনই।
আকাশে কালো মেঘ। আসি আসি করেও বৃষ্টি আসছে না। লিলুয়া বাতাস বয়ে যাচ্ছে। পানিতে ঢেউ। হঠাৎ ঝরঝরিয়ে নামল বৃষ্টি। পাড় অনেকটা দূরে। কী হবে এখন? আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল মনে! এমন একটা ভ্রমণ চাইলে ঘুরে আসুন মৌলভীবাজার থেকে। জলাভূমি, সবুজ পাহাড় ও সমতলভূমি নিয়ে সীমান্তবর্তী এই জেলা বর্ষায় স্নিগ্ধ হয়েছে আপনার জন্য। অনেক হাওর রয়েছে এই জেলায়। আছে নদী-নালা ও ছড়া। রয়েছে চা-বাগান। সবকিছু বৃষ্টির ছোঁয়ায় সতেজ, নিখুঁত আর পরিষ্কার। হাওরের স্বচ্ছ পানির সঙ্গে এখানে কথা বলে নীল আকাশ। এমন দৃশ্য বর্ষাকাল ছাড়া খুব একটা দেখা যাবে না। যেসব হাওরে যেতে পারেন—
হাকালুকি হাওর
এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এবং দেশের সবচেয়ে বড় মিঠাপানির হাওরটির আয়তন প্রায় ১৮ হাজার হেক্টর। এটি মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা, জুড়ী, কুলাউড়া এবং সিলেট জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলায় বিস্তৃত। বিশাল এই হাওর ভ্রমণের ক্ষেত্রে পর্যটকদের প্রথম পছন্দের।
বর্ষায় পানি বেড়েছে হাকালুকি হাওরে। সেই সঙ্গে এর প্রকৃতি আগের চেয়ে স্নিগ্ধ ও মনোহর। সারা বছর এখানে পর্যটকদের আনাগোনা থাকলেও বর্ষায় তা বেড়ে যায়। পর্যটকদের সুবিধার জন্য হাকালুকি হাওরের গভীরে রয়েছে একাধিক ওয়াচ টাওয়ার। সেগুলোতে উঠে হাওরের নিস্তব্ধ, শান্ত সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যায় সূর্য যখন অস্ত যায়, দিন ও রাতের সন্ধিক্ষণের সে সময় হাওরের সৌন্দর্য আরও বেড়ে যায়। সূর্যাস্তের সময় হাওর যেন ময়ূরের মতো রঙিন পেখম মেলে ধরে। এই সৌন্দর্য আকৃষ্ট করে পর্যটকদের।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকেরা হাকালুকিতে যেন ভোগান্তিতে না পড়েন, সে জন্য নৌযানের ব্যবস্থা রয়েছে। এই হাওরকে অনেকে মিনি কক্সবাজার নামে ডাকেন। হাকালুকিতে পর্যটকদের জন্য রয়েছে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত নৌযান, স্পিডবোট, শ্যালো ইঞ্জিনচালিত সুসজ্জিত নৌকা। রয়েছে লগি-বৈঠার নৌকাও। এসব নৌকা ঘণ্টা
ও দিন হিসেবে ভাড়া নেওয়া যায়। ভ্রমণের সময় বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছের দেখা মেলে মিঠাপানির এই হাওরে। বলে রাখি, বিস্তৃত জলরাশির সৌন্দর্য দেখতে হলে হাকালুকি হাওরে আসতে হবে বর্ষাকালে। হাজার হাজার অতিথি পাখির কলরবে মুখর হাওর দেখতে আসতে হবে শীতকালে। তবে সে সময় এখানে পানি কমে যায়।
কাউয়া দিঘি হাওর
মৌলভীবাজার জেলার অন্যতম সুন্দর হাওর কাউয়া দিঘি। এই হাওরের সৌন্দর্য ছড়িয়ে রয়েছে জেলার রাজনগর ও সদর উপজেলার বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে। পর্যটকদের জন্য কাউয়া দিঘি হাওরে ভ্রমণের ভালো সময় এখন। বর্ষায় পুরো হাওর ধারণ করে ভিন্নরূপ। শাপলা-শালুকসহ মনোমুগ্ধকর হাওর দেখা যাবে এখন।
কাউয়া দিঘি হাওরের রাজনগর উপজেলার অংশের পশ্চিম পাড়ে রয়েছে অন্তেহরী গ্রাম। এটি ভাসমান গ্রাম নামে পরিচিত। অংশটি হাওরের অন্যতম আকর্ষণীয় জায়গা। এখানে বছরের বেশির ভাগ সময় পানি থাকে এবং হাওরের ভাসমান সবুজ প্রকৃতি দেখা যায়।
হাইল হাওর
মৌলভীবাজার সদর, শ্রীমঙ্গল ও হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলা পর্যন্ত বিস্তৃত আরেকটি বড় জলাভূমির নাম হাইল হাওর। বৃহৎ এই হাওরে ভ্রমণের আদর্শ সময় বর্ষা মৌসুম। হাওরে ভ্রমণ করার জন্য অসংখ্য নৌকা রয়েছে। এসব নৌকায় ভ্রমণ করে প্রকৃতির সৌন্দর্য সহজে উপভোগ করা যায়। এই হাওরের শ্রীমঙ্গল অংশের নাম বাইক্কা বিল। এটি মৎস্য সম্পদের অভয়াশ্রম। বাইক্কা বিলে রয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। সেখান থেকে বর্ষায় স্থানীয় জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য এবং শীত মৌসুমে বিভিন্ন অতিথি পাখি দেখা যায়।
যেভাবে যাবেন
ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে রেলপথে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, শ্রীমঙ্গল, ভানুগাছ ও শমশেরনগর রেলস্টেশনে নেমে সহজে সিএনজিচালিত অটোরিকশা কিংবা বাসে করে হাওরে যাওয়া যায়।
বাসে করে ঢাকা থেকে সরাসরি মৌলভীবাজার, শ্রীমঙ্গল, কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখায় যাওয়া যায়। পরে লোকাল বাস, অটোরিকশাসহ স্থানীয় যানবাহনের মাধ্যমে কিংবা হেঁটে হাওরে যাওয়া যাবে। এ ছাড়া বাস অথবা স্থানীয় যানবাহনে সিলেট, ফেঞ্চুগঞ্জ, বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ থেকে হাওরের বিভিন্ন পয়েন্টে যাওয়া যাবে।
কোথাও নেই কোনো ইট-পাথরের রাস্তা। চারপাশে শুধু থইথই পানি। সেই পানির বুকেই গড়ে উঠেছে বসতি—পুরো একটি গ্রাম। ঘরবাড়ি, দোকানপাট, স্কুল, উপাসনালয়—সবই আছে সেই গ্রামে। কিন্তু পানির ওপর! মোটরগাড়ি নেই, নেই বাহারি মোটরবাইক। ফলে শব্দদূষণ নেই। আর নেই দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়ার বুকে অ
১১ ঘণ্টা আগে‘শক্ত মনের মানুষ’ বলে একটি কথা আমরা প্রায়ই শুনে থাকি। কিন্তু সেই মানুষের বৈশিষ্ট্য কী? আর করেই বা কী? খেয়াল করলে দেখবেন, সেই মানুষ সাফল্যে খুব বেশি উচ্ছ্বাস দেখায় না, ব্যর্থতায় কারও কাছে সহানুভূতি চায় না, শোকে কাতর হয় না, প্রায় সব দায়িত্ব নীরবে পালন করে, কোনো কাজে অজুহাত দেখায় না ইত্যাদি।
১২ ঘণ্টা আগেরোজ লিপস্টিক ব্যবহারের ফলে ঠোঁটের রং স্বাভাবিক গোলাপি থাকে না। লিপস্টিক ভালোভাবে না তুললে বা এটির মান ভালো না হলেও ঠোঁটের রং কালচে হয়ে যেতে পারে। ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করে একে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করতে কিছু ঘরোয়া টিপস মেনে চলতে পারেন। এতে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হবে। সেই সঙ্গে ঠোঁটে ফিরবে গোলাপি আভা।
১৩ ঘণ্টা আগেবাজারে এখন যেসব সবজি পাওয়া যাচ্ছে, তার মধ্য়ে পটোল আর ঢ্যাঁড়স বলতে গেলে দু-এক দিন পরপরই কিনছেন প্রায় সবাই। কিন্তু সব সময় কি এগুলোর ভাজা আর তরকারি খেতে ভালো লাগে? মাঝেমধ্যে একটু ভিন্ন কায়দায় রান্না করলে এসব সবজিও একঘেয়ে অবস্থা কাটিয়ে হয়ে উঠতে পারে মুখরোচক।
১৭ ঘণ্টা আগে