
রাষ্ট্র ও সমাজ সব ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব ক্রমেই বাড়ছে। অধিকারকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছেন, ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম স্বাধীন মত প্রকাশে বাধা হয়ে উঠছে। তাদের তথাকথিত কমিউনিটি গাইডলাইনের দোহাই দিয়ে প্রয়োজনীয় ও যৌক্তিক কনটেন্ট মুছে ফেলা হচ্ছে। ব্যবসার খাতিরে এই প্ল্যাটফর্মগুলো কনটেন্ট সেন্সরের পাশাপাশি নিপীড়ক সরকারের সহযোগী হয়ে উঠছে। সরকারের দাবি মেনে নিয়মিত ভিন্ন মতাবলম্বী ও সমালোচকদের আইডি ও কনটেন্ট সরকারের কাছে সরবরাহ করছে তারা।
এবার দেখা যাচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়া শিক্ষাবিদ গবেষকদের কাজেও হস্তক্ষেপ শুরু করেছে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্তৃপক্ষের ওপর ছড়ি ঘোরাচ্ছে ফেসবুক। হার্ভার্ডের সাবেক গবেষক জোয়ান ডোনোভান অভিযোগ করেছেন, ফেসবুকের অনুবাদ বন্ধের হুমকি পেয়ে তাঁর চাকরিই খেয়ে দেওয়া হয়েছে!
একটি গবেষণাকে কেন্দ্র করে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ডোনোভানকে চাকরিচ্যুত করেছে। ওই গবেষকের সঙ্গে হার্ভার্ডের বিরোধটি স্পষ্টত একাডেমিক স্বাধীনতা, সোশ্যাল মিডিয়া এবং গবেষণার ওপর করপোরেট প্রভাবের একটি বৈশ্বিক বাস্তব দৃষ্টান্ত।
২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর একটি জুম মিটিংয়ে নিজের গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপনের ডাক পান ডোনোভান। তিনি তখন হার্ভার্ডে, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ভুয়া তথ্য বিষয়ক গবেষণা পরিচালক। এটি হার্ভার্ডের জন এফ কেনেডি স্কুল অব গভর্নমেন্টের অধীন ছিল। বৈঠকটি ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ধনী দাতাদের সঙ্গে, যাদের বলা হয় ডিনস কাউন্সিল।
ডোনোভান ইন্টারনেটে ভুয়া তথ্যের বিস্তার এবং আমেরিকান সমাজে এর প্রভাব সম্পর্কে তাঁর গবেষণার বিষয়ে দাতাদের ব্রিফ করেন। এই জুম মিটিংয়ের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে মেটার (তৎকালীন ফেসবুক) একজন সাবেক কর্মচারী ফ্রান্সেস হাউগেন টেক জায়ান্টটির হাজার হাজার পৃষ্ঠার অভ্যন্তরীণ নথি ফাঁস করে দেন।
হাউগেন সে বছরের ৫ অক্টোবর মার্কিন কংগ্রেসের সামনে এ নিয়ে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেন, এই নথিগুলোতে স্পষ্ট যে, ফেসবুকের পরিষেবাগুলো সমাজের ক্ষতি করছে, ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে এবং কিশোর–কিশোরীদের ক্ষতি করছে—এটি ফেসবুক কর্তৃপক্ষও জানে। কিন্তু তারা সামাজিক সুরক্ষা উপেক্ষা করে পয়সা কামানোকেই বেছে নিয়েছে।
ডোনোভান হার্ভার্ডের দাতাদের সামনে আরেকটি বোমা ফাটান: তিনি তাঁদের বলেন, তাঁর কাছেও এমন নথিপত্রের ভান্ডার রয়েছেন। বিপুল পরিমাণ নথি পেয়েছেন, তিনি যাকে ‘ইন্টারনেট ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথি’ বলে মনে করেন। হাউগেনের মতো তিনিও দাবি করেন, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তাদের পরিষেবার ক্ষতি সম্পর্কে জানে, কিন্তু কিছুই করে না।
ডোনোভানের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল, ফেসবুক নিজেই খারাপ লোকদের শিকার, নতুন প্রযুক্তিকে এসব মানুষ অসৎ উদ্দেশ্য সাধনে ব্যবহার করে—এটা যেমন সত্য, আবার ফেসবুক নিজেই এমন সিস্টেম ডিজাইন করেছে যা সবচেয়ে উত্তেজক বিষয়বস্তুকে উৎসাহিত করে।
তিনি মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসিকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সমস্যাটা হলো, সোশ্যাল মিডিয়া নিজেই খারাপ লোকদের যেচে সুবিধা দেয়, বিশেষত নতুন এবং আপত্তিকর বিষয়বস্তু—যেটি ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে— সেটিতেই তারা গুরুত্ব দেয়। এখানে যা ভুল হচ্ছে তা ফেসবুকের বাইরের বিশ্বের বিষয় নয়, বরং এটি রয়েছে কোম্পানির অ্যালগরিদমের ভেতরেই।’
ডোনোভান যখন জুম কলে তাঁর গবেষণার ফলাফলগুলো ব্যাখ্যা করা শেষ করেন, তখন জুম মিটিংয়ে থাকা একজন হাত তোলেন। তিনি ছিলেন ইলিয়ট শ্রেজ। তিনি হার্ভার্ডের ডিনস কাউন্সিলের দাতা গোষ্ঠীর সদস্য এবং ফেসবুকের গ্লোবাল কমিউনিকেশনস এবং পাবলিক পলিসির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট।
শ্রেজ এই গবেষণার ফলাফলের তীব্র বিরোধিতা করেন। বাগ্বিতণ্ডা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, মিটিংটি সেখানেই শেষ হয়ে যায়। বিষয়টি পরে তাঁর সুপারভাইজারকে জানিয়েছিলেন ডোনোভান। সুপারভাইজার জবাবে বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি, যদি তিনি পাগল না হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত ছিল।’
শ্রেজ অবশ্য এ ব্যাপারে সিএনবিসির কাছে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন। ফেসবুকও অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এর আগে ফেসবুকের গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড কমিউনিকেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগ (যুক্তরাজ্যের সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী) ফেসবুকের বিরুদ্ধে ওঠার এ ধরনের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর মতে, পছন্দমতো কিছু তথ্য–উপাত্ত নিয়ে এ ধরনের পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়।
ডোনোভান বলেন, এ ঘটনার পর থেকে হার্ভার্ডের ঊর্ধ্বতনদের কাছ থেকে তেমন সমর্থন পাননি। ফেসবুক গবেষণায় তিনি আর এগোতে পারেননি।
ওই বছরের নভেম্বরের শুরুতে কেনেডি স্কুলের তৎকালীন ডিন ডগলাস এলমেনডর্ফ ফেসবুকের প্রভাব নিয়ে গবেষণার বিষয়ে নানা প্রশ্ন তুলে ডোনোভানকে ই–মেইল করেন। এমনকি তিনি বলতে গেলে, গবেষণায় পাওয়া ফলাফল ও পর্যবেক্ষণের ভিত্তিকেই চ্যালেঞ্জ করেন।
এমন ই–মেইল পেয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েন ডোনোভান। ডিন ডগলাসের কণ্ঠে তিনি ফেসবুক নির্বাহীদের কণ্ঠেরই প্রতিধ্বনি শুনেছিলেন। কারণ তিনি জানতেন, ফেসবুকের মূল সংস্থা মেটার তৎকালীন প্রধান অপারেটিং অফিসার শেরিল স্যান্ডবার্গের সঙ্গে ডিন এলমেনডর্ফের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে।
এলমেনডর্ফ হার্ভার্ডে স্যান্ডবার্গের স্নাতক উপদেষ্টা ছিলেন। স্যান্ডবার্গ নিজেই হার্ভার্ডের কেনেডি স্কুলের বড় দাতা। এলমেনডর্ফ ২০২২ সালের গ্রীষ্মে স্যান্ডবার্গের বিয়েতেও আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন।
ডোনোভান বলেন, ‘আমাকে প্রিন্সিপালের অফিসে ডাকা হয়েছিল এবং আমি কেন ফেসবুক নিয়ে কথা বলছি সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আশ্চর্যের বিষয় হলো, ডিন আমাকে কখনো টুইটার বা ইউটিউব বা গুগল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেননি। অথচ এগুলো নিয়েও তদন্ত করেছি।’
হার্ভার্ডের একজন মুখপাত্রের মাধ্যমে এলমেনডর্ফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন। শেরিল স্যান্ডবার্গও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
হার্ভার্ডের কর্মকর্তারা দ্য ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছেন, এলমেনডর্ফ এবং স্যান্ডবার্গ কখনই ডোনোভানকে নিয়ে আলোচনা করেননি।
পরের মাসে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ এবং তাঁর স্ত্রী প্রিসিলা চ্যান পরিচালিত দাতব্য সংস্থা ঘোষণা দেয়: হার্ভার্ডে একটি নতুন ইনস্টিটিউট তৈরি করার জন্য ১৫ বছরের মধ্যে ৫০ কোটি ডলার দেওয়া দেবে তারা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) বিষয়ে জাকারবার্গের মায়ের নামে হবে ইনস্টিটিউট। জাকারবার্গ এবং প্রিসিলা দুজনেই হার্ভার্ডের প্রাক্তন।
এই সময় এ নিয়ে হার্ভার্ড ক্যাম্পাসে অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল। অনেক শিক্ষার্থীই বিশ্ববিদ্যালয়ে এভাবে করপোরেটের অনুপ্রবেশ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে হার্ভার্ডে সবচেয়ে বড় অনুদানটি এসেছিল চ্যান–জাকারবার্গ ইনিশিয়েটিভ থেকে। অবশ্য এটিই তাদের প্রথম অনুদান নয়। ২০১৮ সালের উপাত্ত দেখে বোঝা যায়, ফাউন্ডেশনটি হার্ভার্ড বা এর সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলোকে কোটি কোটি ডলার অনুদান দিয়েছে।
ডোনোভান বলেন, যত মাস যাচ্ছিল হার্ভার্ডে তাঁর অবস্থান ততই অস্থিতিশীল হয়ে উঠছিল। তাঁর মনে হচ্ছিল, কর্তৃপক্ষ চাচ্ছে তিনি চাকরিটা ছেড়ে দেন। তিনি বলেন, ‘আমি যখন বিশেষভাবে ফেসবুকের দিকে মনোযোগ দিই, তখনই চাপের মুখে পড়ি।’
২০২২ সালের গ্রীষ্মে ডিন এলমেনডর্ফের সঙ্গে বৈঠকে ডোনোভানকে জানানো হয়, তাঁর প্রোগ্রামটি বন্ধ করতে হবে। এটি ছিল প্রযুক্তি এবং সামাজিক পরিবর্তন বিষয়ক গবেষণা প্রকল্প। এর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৪ সালের জুনে।
ডোনোভান ছিলেন হার্ভার্ডের স্টাফ। ফ্যাকাল্টি না হওয়ার অজুহাতে তাঁকে শেষ পর্যন্ত আর সুরক্ষা দেওয়া হয়নি। ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই গবেষণা প্রকল্পটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। চাকরি হারান ডোনোভান।
ডোনোভানের চাকরি হারানোর বিস্তারিত বিবরণ গত বছরের ২৮ নভেম্বর হার্ভার্ডে পাঠায় হুইসেল ব্লোয়ার এইড। একই অলাভজনক গোষ্ঠী ২০২১ সালে ফেসবুক হুইসেল ব্লোয়ার হাউগেনের সঙ্গে কাজ করেছিল।
হুইসেলব্লোয়ার এইড ম্যাসাচুসেটসের অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসে ডোনোভানের অভিযোগ পাঠায়। এরপর ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব এডুকেশনের অফিস ফর সিভিল রাইটসের কাছেও ডোনোভানের অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। তবে কোনো পক্ষ থেকেই কোনো অগ্রগতি হয়নি।

রাষ্ট্র ও সমাজ সব ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব ক্রমেই বাড়ছে। অধিকারকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছেন, ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম স্বাধীন মত প্রকাশে বাধা হয়ে উঠছে। তাদের তথাকথিত কমিউনিটি গাইডলাইনের দোহাই দিয়ে প্রয়োজনীয় ও যৌক্তিক কনটেন্ট মুছে ফেলা হচ্ছে। ব্যবসার খাতিরে এই প্ল্যাটফর্মগুলো কনটেন্ট সেন্সরের পাশাপাশি নিপীড়ক সরকারের সহযোগী হয়ে উঠছে। সরকারের দাবি মেনে নিয়মিত ভিন্ন মতাবলম্বী ও সমালোচকদের আইডি ও কনটেন্ট সরকারের কাছে সরবরাহ করছে তারা।
এবার দেখা যাচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়া শিক্ষাবিদ গবেষকদের কাজেও হস্তক্ষেপ শুরু করেছে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্তৃপক্ষের ওপর ছড়ি ঘোরাচ্ছে ফেসবুক। হার্ভার্ডের সাবেক গবেষক জোয়ান ডোনোভান অভিযোগ করেছেন, ফেসবুকের অনুবাদ বন্ধের হুমকি পেয়ে তাঁর চাকরিই খেয়ে দেওয়া হয়েছে!
একটি গবেষণাকে কেন্দ্র করে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ডোনোভানকে চাকরিচ্যুত করেছে। ওই গবেষকের সঙ্গে হার্ভার্ডের বিরোধটি স্পষ্টত একাডেমিক স্বাধীনতা, সোশ্যাল মিডিয়া এবং গবেষণার ওপর করপোরেট প্রভাবের একটি বৈশ্বিক বাস্তব দৃষ্টান্ত।
২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর একটি জুম মিটিংয়ে নিজের গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপনের ডাক পান ডোনোভান। তিনি তখন হার্ভার্ডে, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ভুয়া তথ্য বিষয়ক গবেষণা পরিচালক। এটি হার্ভার্ডের জন এফ কেনেডি স্কুল অব গভর্নমেন্টের অধীন ছিল। বৈঠকটি ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ধনী দাতাদের সঙ্গে, যাদের বলা হয় ডিনস কাউন্সিল।
ডোনোভান ইন্টারনেটে ভুয়া তথ্যের বিস্তার এবং আমেরিকান সমাজে এর প্রভাব সম্পর্কে তাঁর গবেষণার বিষয়ে দাতাদের ব্রিফ করেন। এই জুম মিটিংয়ের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে মেটার (তৎকালীন ফেসবুক) একজন সাবেক কর্মচারী ফ্রান্সেস হাউগেন টেক জায়ান্টটির হাজার হাজার পৃষ্ঠার অভ্যন্তরীণ নথি ফাঁস করে দেন।
হাউগেন সে বছরের ৫ অক্টোবর মার্কিন কংগ্রেসের সামনে এ নিয়ে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেন, এই নথিগুলোতে স্পষ্ট যে, ফেসবুকের পরিষেবাগুলো সমাজের ক্ষতি করছে, ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে এবং কিশোর–কিশোরীদের ক্ষতি করছে—এটি ফেসবুক কর্তৃপক্ষও জানে। কিন্তু তারা সামাজিক সুরক্ষা উপেক্ষা করে পয়সা কামানোকেই বেছে নিয়েছে।
ডোনোভান হার্ভার্ডের দাতাদের সামনে আরেকটি বোমা ফাটান: তিনি তাঁদের বলেন, তাঁর কাছেও এমন নথিপত্রের ভান্ডার রয়েছেন। বিপুল পরিমাণ নথি পেয়েছেন, তিনি যাকে ‘ইন্টারনেট ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথি’ বলে মনে করেন। হাউগেনের মতো তিনিও দাবি করেন, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তাদের পরিষেবার ক্ষতি সম্পর্কে জানে, কিন্তু কিছুই করে না।
ডোনোভানের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল, ফেসবুক নিজেই খারাপ লোকদের শিকার, নতুন প্রযুক্তিকে এসব মানুষ অসৎ উদ্দেশ্য সাধনে ব্যবহার করে—এটা যেমন সত্য, আবার ফেসবুক নিজেই এমন সিস্টেম ডিজাইন করেছে যা সবচেয়ে উত্তেজক বিষয়বস্তুকে উৎসাহিত করে।
তিনি মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসিকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সমস্যাটা হলো, সোশ্যাল মিডিয়া নিজেই খারাপ লোকদের যেচে সুবিধা দেয়, বিশেষত নতুন এবং আপত্তিকর বিষয়বস্তু—যেটি ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে— সেটিতেই তারা গুরুত্ব দেয়। এখানে যা ভুল হচ্ছে তা ফেসবুকের বাইরের বিশ্বের বিষয় নয়, বরং এটি রয়েছে কোম্পানির অ্যালগরিদমের ভেতরেই।’
ডোনোভান যখন জুম কলে তাঁর গবেষণার ফলাফলগুলো ব্যাখ্যা করা শেষ করেন, তখন জুম মিটিংয়ে থাকা একজন হাত তোলেন। তিনি ছিলেন ইলিয়ট শ্রেজ। তিনি হার্ভার্ডের ডিনস কাউন্সিলের দাতা গোষ্ঠীর সদস্য এবং ফেসবুকের গ্লোবাল কমিউনিকেশনস এবং পাবলিক পলিসির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট।
শ্রেজ এই গবেষণার ফলাফলের তীব্র বিরোধিতা করেন। বাগ্বিতণ্ডা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, মিটিংটি সেখানেই শেষ হয়ে যায়। বিষয়টি পরে তাঁর সুপারভাইজারকে জানিয়েছিলেন ডোনোভান। সুপারভাইজার জবাবে বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি, যদি তিনি পাগল না হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত ছিল।’
শ্রেজ অবশ্য এ ব্যাপারে সিএনবিসির কাছে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন। ফেসবুকও অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এর আগে ফেসবুকের গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড কমিউনিকেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগ (যুক্তরাজ্যের সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী) ফেসবুকের বিরুদ্ধে ওঠার এ ধরনের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর মতে, পছন্দমতো কিছু তথ্য–উপাত্ত নিয়ে এ ধরনের পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়।
ডোনোভান বলেন, এ ঘটনার পর থেকে হার্ভার্ডের ঊর্ধ্বতনদের কাছ থেকে তেমন সমর্থন পাননি। ফেসবুক গবেষণায় তিনি আর এগোতে পারেননি।
ওই বছরের নভেম্বরের শুরুতে কেনেডি স্কুলের তৎকালীন ডিন ডগলাস এলমেনডর্ফ ফেসবুকের প্রভাব নিয়ে গবেষণার বিষয়ে নানা প্রশ্ন তুলে ডোনোভানকে ই–মেইল করেন। এমনকি তিনি বলতে গেলে, গবেষণায় পাওয়া ফলাফল ও পর্যবেক্ষণের ভিত্তিকেই চ্যালেঞ্জ করেন।
এমন ই–মেইল পেয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েন ডোনোভান। ডিন ডগলাসের কণ্ঠে তিনি ফেসবুক নির্বাহীদের কণ্ঠেরই প্রতিধ্বনি শুনেছিলেন। কারণ তিনি জানতেন, ফেসবুকের মূল সংস্থা মেটার তৎকালীন প্রধান অপারেটিং অফিসার শেরিল স্যান্ডবার্গের সঙ্গে ডিন এলমেনডর্ফের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে।
এলমেনডর্ফ হার্ভার্ডে স্যান্ডবার্গের স্নাতক উপদেষ্টা ছিলেন। স্যান্ডবার্গ নিজেই হার্ভার্ডের কেনেডি স্কুলের বড় দাতা। এলমেনডর্ফ ২০২২ সালের গ্রীষ্মে স্যান্ডবার্গের বিয়েতেও আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন।
ডোনোভান বলেন, ‘আমাকে প্রিন্সিপালের অফিসে ডাকা হয়েছিল এবং আমি কেন ফেসবুক নিয়ে কথা বলছি সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আশ্চর্যের বিষয় হলো, ডিন আমাকে কখনো টুইটার বা ইউটিউব বা গুগল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেননি। অথচ এগুলো নিয়েও তদন্ত করেছি।’
হার্ভার্ডের একজন মুখপাত্রের মাধ্যমে এলমেনডর্ফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন। শেরিল স্যান্ডবার্গও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
হার্ভার্ডের কর্মকর্তারা দ্য ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছেন, এলমেনডর্ফ এবং স্যান্ডবার্গ কখনই ডোনোভানকে নিয়ে আলোচনা করেননি।
পরের মাসে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ এবং তাঁর স্ত্রী প্রিসিলা চ্যান পরিচালিত দাতব্য সংস্থা ঘোষণা দেয়: হার্ভার্ডে একটি নতুন ইনস্টিটিউট তৈরি করার জন্য ১৫ বছরের মধ্যে ৫০ কোটি ডলার দেওয়া দেবে তারা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) বিষয়ে জাকারবার্গের মায়ের নামে হবে ইনস্টিটিউট। জাকারবার্গ এবং প্রিসিলা দুজনেই হার্ভার্ডের প্রাক্তন।
এই সময় এ নিয়ে হার্ভার্ড ক্যাম্পাসে অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল। অনেক শিক্ষার্থীই বিশ্ববিদ্যালয়ে এভাবে করপোরেটের অনুপ্রবেশ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে হার্ভার্ডে সবচেয়ে বড় অনুদানটি এসেছিল চ্যান–জাকারবার্গ ইনিশিয়েটিভ থেকে। অবশ্য এটিই তাদের প্রথম অনুদান নয়। ২০১৮ সালের উপাত্ত দেখে বোঝা যায়, ফাউন্ডেশনটি হার্ভার্ড বা এর সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলোকে কোটি কোটি ডলার অনুদান দিয়েছে।
ডোনোভান বলেন, যত মাস যাচ্ছিল হার্ভার্ডে তাঁর অবস্থান ততই অস্থিতিশীল হয়ে উঠছিল। তাঁর মনে হচ্ছিল, কর্তৃপক্ষ চাচ্ছে তিনি চাকরিটা ছেড়ে দেন। তিনি বলেন, ‘আমি যখন বিশেষভাবে ফেসবুকের দিকে মনোযোগ দিই, তখনই চাপের মুখে পড়ি।’
২০২২ সালের গ্রীষ্মে ডিন এলমেনডর্ফের সঙ্গে বৈঠকে ডোনোভানকে জানানো হয়, তাঁর প্রোগ্রামটি বন্ধ করতে হবে। এটি ছিল প্রযুক্তি এবং সামাজিক পরিবর্তন বিষয়ক গবেষণা প্রকল্প। এর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৪ সালের জুনে।
ডোনোভান ছিলেন হার্ভার্ডের স্টাফ। ফ্যাকাল্টি না হওয়ার অজুহাতে তাঁকে শেষ পর্যন্ত আর সুরক্ষা দেওয়া হয়নি। ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই গবেষণা প্রকল্পটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। চাকরি হারান ডোনোভান।
ডোনোভানের চাকরি হারানোর বিস্তারিত বিবরণ গত বছরের ২৮ নভেম্বর হার্ভার্ডে পাঠায় হুইসেল ব্লোয়ার এইড। একই অলাভজনক গোষ্ঠী ২০২১ সালে ফেসবুক হুইসেল ব্লোয়ার হাউগেনের সঙ্গে কাজ করেছিল।
হুইসেলব্লোয়ার এইড ম্যাসাচুসেটসের অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসে ডোনোভানের অভিযোগ পাঠায়। এরপর ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব এডুকেশনের অফিস ফর সিভিল রাইটসের কাছেও ডোনোভানের অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। তবে কোনো পক্ষ থেকেই কোনো অগ্রগতি হয়নি।

রাষ্ট্র ও সমাজ সব ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব ক্রমেই বাড়ছে। অধিকারকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছেন, ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম স্বাধীন মত প্রকাশে বাধা হয়ে উঠছে। তাদের তথাকথিত কমিউনিটি গাইডলাইনের দোহাই দিয়ে প্রয়োজনীয় ও যৌক্তিক কনটেন্ট মুছে ফেলা হচ্ছে। ব্যবসার খাতিরে এই প্ল্যাটফর্মগুলো কনটেন্ট সেন্সরের পাশাপাশি নিপীড়ক সরকারের সহযোগী হয়ে উঠছে। সরকারের দাবি মেনে নিয়মিত ভিন্ন মতাবলম্বী ও সমালোচকদের আইডি ও কনটেন্ট সরকারের কাছে সরবরাহ করছে তারা।
এবার দেখা যাচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়া শিক্ষাবিদ গবেষকদের কাজেও হস্তক্ষেপ শুরু করেছে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্তৃপক্ষের ওপর ছড়ি ঘোরাচ্ছে ফেসবুক। হার্ভার্ডের সাবেক গবেষক জোয়ান ডোনোভান অভিযোগ করেছেন, ফেসবুকের অনুবাদ বন্ধের হুমকি পেয়ে তাঁর চাকরিই খেয়ে দেওয়া হয়েছে!
একটি গবেষণাকে কেন্দ্র করে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ডোনোভানকে চাকরিচ্যুত করেছে। ওই গবেষকের সঙ্গে হার্ভার্ডের বিরোধটি স্পষ্টত একাডেমিক স্বাধীনতা, সোশ্যাল মিডিয়া এবং গবেষণার ওপর করপোরেট প্রভাবের একটি বৈশ্বিক বাস্তব দৃষ্টান্ত।
২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর একটি জুম মিটিংয়ে নিজের গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপনের ডাক পান ডোনোভান। তিনি তখন হার্ভার্ডে, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ভুয়া তথ্য বিষয়ক গবেষণা পরিচালক। এটি হার্ভার্ডের জন এফ কেনেডি স্কুল অব গভর্নমেন্টের অধীন ছিল। বৈঠকটি ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ধনী দাতাদের সঙ্গে, যাদের বলা হয় ডিনস কাউন্সিল।
ডোনোভান ইন্টারনেটে ভুয়া তথ্যের বিস্তার এবং আমেরিকান সমাজে এর প্রভাব সম্পর্কে তাঁর গবেষণার বিষয়ে দাতাদের ব্রিফ করেন। এই জুম মিটিংয়ের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে মেটার (তৎকালীন ফেসবুক) একজন সাবেক কর্মচারী ফ্রান্সেস হাউগেন টেক জায়ান্টটির হাজার হাজার পৃষ্ঠার অভ্যন্তরীণ নথি ফাঁস করে দেন।
হাউগেন সে বছরের ৫ অক্টোবর মার্কিন কংগ্রেসের সামনে এ নিয়ে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেন, এই নথিগুলোতে স্পষ্ট যে, ফেসবুকের পরিষেবাগুলো সমাজের ক্ষতি করছে, ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে এবং কিশোর–কিশোরীদের ক্ষতি করছে—এটি ফেসবুক কর্তৃপক্ষও জানে। কিন্তু তারা সামাজিক সুরক্ষা উপেক্ষা করে পয়সা কামানোকেই বেছে নিয়েছে।
ডোনোভান হার্ভার্ডের দাতাদের সামনে আরেকটি বোমা ফাটান: তিনি তাঁদের বলেন, তাঁর কাছেও এমন নথিপত্রের ভান্ডার রয়েছেন। বিপুল পরিমাণ নথি পেয়েছেন, তিনি যাকে ‘ইন্টারনেট ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথি’ বলে মনে করেন। হাউগেনের মতো তিনিও দাবি করেন, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তাদের পরিষেবার ক্ষতি সম্পর্কে জানে, কিন্তু কিছুই করে না।
ডোনোভানের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল, ফেসবুক নিজেই খারাপ লোকদের শিকার, নতুন প্রযুক্তিকে এসব মানুষ অসৎ উদ্দেশ্য সাধনে ব্যবহার করে—এটা যেমন সত্য, আবার ফেসবুক নিজেই এমন সিস্টেম ডিজাইন করেছে যা সবচেয়ে উত্তেজক বিষয়বস্তুকে উৎসাহিত করে।
তিনি মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসিকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সমস্যাটা হলো, সোশ্যাল মিডিয়া নিজেই খারাপ লোকদের যেচে সুবিধা দেয়, বিশেষত নতুন এবং আপত্তিকর বিষয়বস্তু—যেটি ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে— সেটিতেই তারা গুরুত্ব দেয়। এখানে যা ভুল হচ্ছে তা ফেসবুকের বাইরের বিশ্বের বিষয় নয়, বরং এটি রয়েছে কোম্পানির অ্যালগরিদমের ভেতরেই।’
ডোনোভান যখন জুম কলে তাঁর গবেষণার ফলাফলগুলো ব্যাখ্যা করা শেষ করেন, তখন জুম মিটিংয়ে থাকা একজন হাত তোলেন। তিনি ছিলেন ইলিয়ট শ্রেজ। তিনি হার্ভার্ডের ডিনস কাউন্সিলের দাতা গোষ্ঠীর সদস্য এবং ফেসবুকের গ্লোবাল কমিউনিকেশনস এবং পাবলিক পলিসির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট।
শ্রেজ এই গবেষণার ফলাফলের তীব্র বিরোধিতা করেন। বাগ্বিতণ্ডা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, মিটিংটি সেখানেই শেষ হয়ে যায়। বিষয়টি পরে তাঁর সুপারভাইজারকে জানিয়েছিলেন ডোনোভান। সুপারভাইজার জবাবে বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি, যদি তিনি পাগল না হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত ছিল।’
শ্রেজ অবশ্য এ ব্যাপারে সিএনবিসির কাছে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন। ফেসবুকও অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এর আগে ফেসবুকের গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড কমিউনিকেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগ (যুক্তরাজ্যের সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী) ফেসবুকের বিরুদ্ধে ওঠার এ ধরনের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর মতে, পছন্দমতো কিছু তথ্য–উপাত্ত নিয়ে এ ধরনের পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়।
ডোনোভান বলেন, এ ঘটনার পর থেকে হার্ভার্ডের ঊর্ধ্বতনদের কাছ থেকে তেমন সমর্থন পাননি। ফেসবুক গবেষণায় তিনি আর এগোতে পারেননি।
ওই বছরের নভেম্বরের শুরুতে কেনেডি স্কুলের তৎকালীন ডিন ডগলাস এলমেনডর্ফ ফেসবুকের প্রভাব নিয়ে গবেষণার বিষয়ে নানা প্রশ্ন তুলে ডোনোভানকে ই–মেইল করেন। এমনকি তিনি বলতে গেলে, গবেষণায় পাওয়া ফলাফল ও পর্যবেক্ষণের ভিত্তিকেই চ্যালেঞ্জ করেন।
এমন ই–মেইল পেয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েন ডোনোভান। ডিন ডগলাসের কণ্ঠে তিনি ফেসবুক নির্বাহীদের কণ্ঠেরই প্রতিধ্বনি শুনেছিলেন। কারণ তিনি জানতেন, ফেসবুকের মূল সংস্থা মেটার তৎকালীন প্রধান অপারেটিং অফিসার শেরিল স্যান্ডবার্গের সঙ্গে ডিন এলমেনডর্ফের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে।
এলমেনডর্ফ হার্ভার্ডে স্যান্ডবার্গের স্নাতক উপদেষ্টা ছিলেন। স্যান্ডবার্গ নিজেই হার্ভার্ডের কেনেডি স্কুলের বড় দাতা। এলমেনডর্ফ ২০২২ সালের গ্রীষ্মে স্যান্ডবার্গের বিয়েতেও আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন।
ডোনোভান বলেন, ‘আমাকে প্রিন্সিপালের অফিসে ডাকা হয়েছিল এবং আমি কেন ফেসবুক নিয়ে কথা বলছি সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আশ্চর্যের বিষয় হলো, ডিন আমাকে কখনো টুইটার বা ইউটিউব বা গুগল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেননি। অথচ এগুলো নিয়েও তদন্ত করেছি।’
হার্ভার্ডের একজন মুখপাত্রের মাধ্যমে এলমেনডর্ফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন। শেরিল স্যান্ডবার্গও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
হার্ভার্ডের কর্মকর্তারা দ্য ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছেন, এলমেনডর্ফ এবং স্যান্ডবার্গ কখনই ডোনোভানকে নিয়ে আলোচনা করেননি।
পরের মাসে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ এবং তাঁর স্ত্রী প্রিসিলা চ্যান পরিচালিত দাতব্য সংস্থা ঘোষণা দেয়: হার্ভার্ডে একটি নতুন ইনস্টিটিউট তৈরি করার জন্য ১৫ বছরের মধ্যে ৫০ কোটি ডলার দেওয়া দেবে তারা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) বিষয়ে জাকারবার্গের মায়ের নামে হবে ইনস্টিটিউট। জাকারবার্গ এবং প্রিসিলা দুজনেই হার্ভার্ডের প্রাক্তন।
এই সময় এ নিয়ে হার্ভার্ড ক্যাম্পাসে অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল। অনেক শিক্ষার্থীই বিশ্ববিদ্যালয়ে এভাবে করপোরেটের অনুপ্রবেশ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে হার্ভার্ডে সবচেয়ে বড় অনুদানটি এসেছিল চ্যান–জাকারবার্গ ইনিশিয়েটিভ থেকে। অবশ্য এটিই তাদের প্রথম অনুদান নয়। ২০১৮ সালের উপাত্ত দেখে বোঝা যায়, ফাউন্ডেশনটি হার্ভার্ড বা এর সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলোকে কোটি কোটি ডলার অনুদান দিয়েছে।
ডোনোভান বলেন, যত মাস যাচ্ছিল হার্ভার্ডে তাঁর অবস্থান ততই অস্থিতিশীল হয়ে উঠছিল। তাঁর মনে হচ্ছিল, কর্তৃপক্ষ চাচ্ছে তিনি চাকরিটা ছেড়ে দেন। তিনি বলেন, ‘আমি যখন বিশেষভাবে ফেসবুকের দিকে মনোযোগ দিই, তখনই চাপের মুখে পড়ি।’
২০২২ সালের গ্রীষ্মে ডিন এলমেনডর্ফের সঙ্গে বৈঠকে ডোনোভানকে জানানো হয়, তাঁর প্রোগ্রামটি বন্ধ করতে হবে। এটি ছিল প্রযুক্তি এবং সামাজিক পরিবর্তন বিষয়ক গবেষণা প্রকল্প। এর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৪ সালের জুনে।
ডোনোভান ছিলেন হার্ভার্ডের স্টাফ। ফ্যাকাল্টি না হওয়ার অজুহাতে তাঁকে শেষ পর্যন্ত আর সুরক্ষা দেওয়া হয়নি। ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই গবেষণা প্রকল্পটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। চাকরি হারান ডোনোভান।
ডোনোভানের চাকরি হারানোর বিস্তারিত বিবরণ গত বছরের ২৮ নভেম্বর হার্ভার্ডে পাঠায় হুইসেল ব্লোয়ার এইড। একই অলাভজনক গোষ্ঠী ২০২১ সালে ফেসবুক হুইসেল ব্লোয়ার হাউগেনের সঙ্গে কাজ করেছিল।
হুইসেলব্লোয়ার এইড ম্যাসাচুসেটসের অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসে ডোনোভানের অভিযোগ পাঠায়। এরপর ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব এডুকেশনের অফিস ফর সিভিল রাইটসের কাছেও ডোনোভানের অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। তবে কোনো পক্ষ থেকেই কোনো অগ্রগতি হয়নি।

রাষ্ট্র ও সমাজ সব ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব ক্রমেই বাড়ছে। অধিকারকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছেন, ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম স্বাধীন মত প্রকাশে বাধা হয়ে উঠছে। তাদের তথাকথিত কমিউনিটি গাইডলাইনের দোহাই দিয়ে প্রয়োজনীয় ও যৌক্তিক কনটেন্ট মুছে ফেলা হচ্ছে। ব্যবসার খাতিরে এই প্ল্যাটফর্মগুলো কনটেন্ট সেন্সরের পাশাপাশি নিপীড়ক সরকারের সহযোগী হয়ে উঠছে। সরকারের দাবি মেনে নিয়মিত ভিন্ন মতাবলম্বী ও সমালোচকদের আইডি ও কনটেন্ট সরকারের কাছে সরবরাহ করছে তারা।
এবার দেখা যাচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়া শিক্ষাবিদ গবেষকদের কাজেও হস্তক্ষেপ শুরু করেছে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্তৃপক্ষের ওপর ছড়ি ঘোরাচ্ছে ফেসবুক। হার্ভার্ডের সাবেক গবেষক জোয়ান ডোনোভান অভিযোগ করেছেন, ফেসবুকের অনুবাদ বন্ধের হুমকি পেয়ে তাঁর চাকরিই খেয়ে দেওয়া হয়েছে!
একটি গবেষণাকে কেন্দ্র করে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ডোনোভানকে চাকরিচ্যুত করেছে। ওই গবেষকের সঙ্গে হার্ভার্ডের বিরোধটি স্পষ্টত একাডেমিক স্বাধীনতা, সোশ্যাল মিডিয়া এবং গবেষণার ওপর করপোরেট প্রভাবের একটি বৈশ্বিক বাস্তব দৃষ্টান্ত।
২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর একটি জুম মিটিংয়ে নিজের গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপনের ডাক পান ডোনোভান। তিনি তখন হার্ভার্ডে, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ভুয়া তথ্য বিষয়ক গবেষণা পরিচালক। এটি হার্ভার্ডের জন এফ কেনেডি স্কুল অব গভর্নমেন্টের অধীন ছিল। বৈঠকটি ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ধনী দাতাদের সঙ্গে, যাদের বলা হয় ডিনস কাউন্সিল।
ডোনোভান ইন্টারনেটে ভুয়া তথ্যের বিস্তার এবং আমেরিকান সমাজে এর প্রভাব সম্পর্কে তাঁর গবেষণার বিষয়ে দাতাদের ব্রিফ করেন। এই জুম মিটিংয়ের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে মেটার (তৎকালীন ফেসবুক) একজন সাবেক কর্মচারী ফ্রান্সেস হাউগেন টেক জায়ান্টটির হাজার হাজার পৃষ্ঠার অভ্যন্তরীণ নথি ফাঁস করে দেন।
হাউগেন সে বছরের ৫ অক্টোবর মার্কিন কংগ্রেসের সামনে এ নিয়ে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেন, এই নথিগুলোতে স্পষ্ট যে, ফেসবুকের পরিষেবাগুলো সমাজের ক্ষতি করছে, ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে এবং কিশোর–কিশোরীদের ক্ষতি করছে—এটি ফেসবুক কর্তৃপক্ষও জানে। কিন্তু তারা সামাজিক সুরক্ষা উপেক্ষা করে পয়সা কামানোকেই বেছে নিয়েছে।
ডোনোভান হার্ভার্ডের দাতাদের সামনে আরেকটি বোমা ফাটান: তিনি তাঁদের বলেন, তাঁর কাছেও এমন নথিপত্রের ভান্ডার রয়েছেন। বিপুল পরিমাণ নথি পেয়েছেন, তিনি যাকে ‘ইন্টারনেট ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথি’ বলে মনে করেন। হাউগেনের মতো তিনিও দাবি করেন, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তাদের পরিষেবার ক্ষতি সম্পর্কে জানে, কিন্তু কিছুই করে না।
ডোনোভানের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল, ফেসবুক নিজেই খারাপ লোকদের শিকার, নতুন প্রযুক্তিকে এসব মানুষ অসৎ উদ্দেশ্য সাধনে ব্যবহার করে—এটা যেমন সত্য, আবার ফেসবুক নিজেই এমন সিস্টেম ডিজাইন করেছে যা সবচেয়ে উত্তেজক বিষয়বস্তুকে উৎসাহিত করে।
তিনি মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসিকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সমস্যাটা হলো, সোশ্যাল মিডিয়া নিজেই খারাপ লোকদের যেচে সুবিধা দেয়, বিশেষত নতুন এবং আপত্তিকর বিষয়বস্তু—যেটি ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে— সেটিতেই তারা গুরুত্ব দেয়। এখানে যা ভুল হচ্ছে তা ফেসবুকের বাইরের বিশ্বের বিষয় নয়, বরং এটি রয়েছে কোম্পানির অ্যালগরিদমের ভেতরেই।’
ডোনোভান যখন জুম কলে তাঁর গবেষণার ফলাফলগুলো ব্যাখ্যা করা শেষ করেন, তখন জুম মিটিংয়ে থাকা একজন হাত তোলেন। তিনি ছিলেন ইলিয়ট শ্রেজ। তিনি হার্ভার্ডের ডিনস কাউন্সিলের দাতা গোষ্ঠীর সদস্য এবং ফেসবুকের গ্লোবাল কমিউনিকেশনস এবং পাবলিক পলিসির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট।
শ্রেজ এই গবেষণার ফলাফলের তীব্র বিরোধিতা করেন। বাগ্বিতণ্ডা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, মিটিংটি সেখানেই শেষ হয়ে যায়। বিষয়টি পরে তাঁর সুপারভাইজারকে জানিয়েছিলেন ডোনোভান। সুপারভাইজার জবাবে বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি, যদি তিনি পাগল না হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত ছিল।’
শ্রেজ অবশ্য এ ব্যাপারে সিএনবিসির কাছে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন। ফেসবুকও অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এর আগে ফেসবুকের গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড কমিউনিকেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগ (যুক্তরাজ্যের সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী) ফেসবুকের বিরুদ্ধে ওঠার এ ধরনের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর মতে, পছন্দমতো কিছু তথ্য–উপাত্ত নিয়ে এ ধরনের পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়।
ডোনোভান বলেন, এ ঘটনার পর থেকে হার্ভার্ডের ঊর্ধ্বতনদের কাছ থেকে তেমন সমর্থন পাননি। ফেসবুক গবেষণায় তিনি আর এগোতে পারেননি।
ওই বছরের নভেম্বরের শুরুতে কেনেডি স্কুলের তৎকালীন ডিন ডগলাস এলমেনডর্ফ ফেসবুকের প্রভাব নিয়ে গবেষণার বিষয়ে নানা প্রশ্ন তুলে ডোনোভানকে ই–মেইল করেন। এমনকি তিনি বলতে গেলে, গবেষণায় পাওয়া ফলাফল ও পর্যবেক্ষণের ভিত্তিকেই চ্যালেঞ্জ করেন।
এমন ই–মেইল পেয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েন ডোনোভান। ডিন ডগলাসের কণ্ঠে তিনি ফেসবুক নির্বাহীদের কণ্ঠেরই প্রতিধ্বনি শুনেছিলেন। কারণ তিনি জানতেন, ফেসবুকের মূল সংস্থা মেটার তৎকালীন প্রধান অপারেটিং অফিসার শেরিল স্যান্ডবার্গের সঙ্গে ডিন এলমেনডর্ফের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে।
এলমেনডর্ফ হার্ভার্ডে স্যান্ডবার্গের স্নাতক উপদেষ্টা ছিলেন। স্যান্ডবার্গ নিজেই হার্ভার্ডের কেনেডি স্কুলের বড় দাতা। এলমেনডর্ফ ২০২২ সালের গ্রীষ্মে স্যান্ডবার্গের বিয়েতেও আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন।
ডোনোভান বলেন, ‘আমাকে প্রিন্সিপালের অফিসে ডাকা হয়েছিল এবং আমি কেন ফেসবুক নিয়ে কথা বলছি সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আশ্চর্যের বিষয় হলো, ডিন আমাকে কখনো টুইটার বা ইউটিউব বা গুগল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেননি। অথচ এগুলো নিয়েও তদন্ত করেছি।’
হার্ভার্ডের একজন মুখপাত্রের মাধ্যমে এলমেনডর্ফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন। শেরিল স্যান্ডবার্গও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
হার্ভার্ডের কর্মকর্তারা দ্য ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছেন, এলমেনডর্ফ এবং স্যান্ডবার্গ কখনই ডোনোভানকে নিয়ে আলোচনা করেননি।
পরের মাসে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ এবং তাঁর স্ত্রী প্রিসিলা চ্যান পরিচালিত দাতব্য সংস্থা ঘোষণা দেয়: হার্ভার্ডে একটি নতুন ইনস্টিটিউট তৈরি করার জন্য ১৫ বছরের মধ্যে ৫০ কোটি ডলার দেওয়া দেবে তারা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) বিষয়ে জাকারবার্গের মায়ের নামে হবে ইনস্টিটিউট। জাকারবার্গ এবং প্রিসিলা দুজনেই হার্ভার্ডের প্রাক্তন।
এই সময় এ নিয়ে হার্ভার্ড ক্যাম্পাসে অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল। অনেক শিক্ষার্থীই বিশ্ববিদ্যালয়ে এভাবে করপোরেটের অনুপ্রবেশ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে হার্ভার্ডে সবচেয়ে বড় অনুদানটি এসেছিল চ্যান–জাকারবার্গ ইনিশিয়েটিভ থেকে। অবশ্য এটিই তাদের প্রথম অনুদান নয়। ২০১৮ সালের উপাত্ত দেখে বোঝা যায়, ফাউন্ডেশনটি হার্ভার্ড বা এর সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলোকে কোটি কোটি ডলার অনুদান দিয়েছে।
ডোনোভান বলেন, যত মাস যাচ্ছিল হার্ভার্ডে তাঁর অবস্থান ততই অস্থিতিশীল হয়ে উঠছিল। তাঁর মনে হচ্ছিল, কর্তৃপক্ষ চাচ্ছে তিনি চাকরিটা ছেড়ে দেন। তিনি বলেন, ‘আমি যখন বিশেষভাবে ফেসবুকের দিকে মনোযোগ দিই, তখনই চাপের মুখে পড়ি।’
২০২২ সালের গ্রীষ্মে ডিন এলমেনডর্ফের সঙ্গে বৈঠকে ডোনোভানকে জানানো হয়, তাঁর প্রোগ্রামটি বন্ধ করতে হবে। এটি ছিল প্রযুক্তি এবং সামাজিক পরিবর্তন বিষয়ক গবেষণা প্রকল্প। এর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৪ সালের জুনে।
ডোনোভান ছিলেন হার্ভার্ডের স্টাফ। ফ্যাকাল্টি না হওয়ার অজুহাতে তাঁকে শেষ পর্যন্ত আর সুরক্ষা দেওয়া হয়নি। ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই গবেষণা প্রকল্পটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। চাকরি হারান ডোনোভান।
ডোনোভানের চাকরি হারানোর বিস্তারিত বিবরণ গত বছরের ২৮ নভেম্বর হার্ভার্ডে পাঠায় হুইসেল ব্লোয়ার এইড। একই অলাভজনক গোষ্ঠী ২০২১ সালে ফেসবুক হুইসেল ব্লোয়ার হাউগেনের সঙ্গে কাজ করেছিল।
হুইসেলব্লোয়ার এইড ম্যাসাচুসেটসের অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসে ডোনোভানের অভিযোগ পাঠায়। এরপর ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব এডুকেশনের অফিস ফর সিভিল রাইটসের কাছেও ডোনোভানের অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। তবে কোনো পক্ষ থেকেই কোনো অগ্রগতি হয়নি।

সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
৩৯ মিনিট আগে
চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়ায় সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী সাইনোটাইপ কর্মশালা। অশ্রু আর্কাইভ ও স্টুডিও শব্দ যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করে। গত শুক্রবার শুরু হওয়া এই সৃজনশীল কর্মযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয় অশ্রু আর্কাইভ এবং স্মরণ মৎস্য বীজ খামার প্রাঙ্গণে। রোববার ছিল তিন দিনব্যাপী আয়োজনের শেষ দিন।
১০ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই অন্য রকম অনুভূতি। একদিকে বছর শেষের সব হিসাবনিকাশ, নতুন বছরের আগমনী বার্তা; অন্যদিকে বিজয়ের আনন্দ আর পিঠা-পার্বণের আমেজ। সব মিলিয়ে এই মাসটি যেন সত্যিই বিশেষ। ডিসেম্বরে, বছরের শেষ সময়গুলো কীভাবে একটু অর্থবহ করা যায়, তা জেনে নিন।
২০ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
মেকআপ রিমুভার হিসেবে
বাড়িতে মেকআপ রিমুভার না থাকলে পেট্রোলিয়াম জেলি দিয়ে দারুণভাবে মেকআপ তোলার কাজটি সেরে নিতে পারেন। পেট্রোলিয়াম জেলি নিয়ে পুরো মুখে ম্যাসাজ করুন। এরপর তুলা দিয়ে আলতো করে মুছে নিন। চোখের মতো স্পর্শকাতর ত্বকের মেকআপ তুলতেও এটি ব্যবহার করা যায়।
নখের সুস্থতায়
নখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং ভঙ্গুরতা কমাতে জাদুকরি সমাধান পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি ব্যবহারে নখ সুস্থ থাকে।
সুগন্ধি দীর্ঘস্থায়ী করতে
যেখানে সুগন্ধি দেবেন, সেই জায়গায় আগে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি মালিশ করে নিন। এরপর সেখানে সুগন্ধি স্প্রে করুন। এতে দীর্ঘ সময় ত্বকে ঘ্রাণ স্থায়ী হবে।
ভ্রু ঘন করতে
অনেকের ভ্রু ঝরে পড়ে। এর ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে পেট্রোলিয়াম জেলি। রাতে ঘুমানোর আগে একটা আইব্রো ব্রাশে কিছুটা জেলি নিয়ে ভ্রু যুগলে লাগিয়ে নিন। ধীরে ধীরে ভ্রু ঘন হবে।

হাইলাইটার হিসেবে
মেকআপের পূর্ণতায় এখন প্রায় সবাই হাইলাইটার ব্যবহার করেন। গালে এবং ভ্রুর নিচের ত্বকে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করলে সেটা হাইলাইটার হিসেবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
ক্ষত শুকাতে সাহায্য করে
ত্বকে আঘাত পেলে বা ঘা হলে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা যেতে পারে। এটির ব্যবহারে ক্ষত দ্রুততম সময়ে শুকিয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া এটি তেলতেলে হওয়ায় ত্বক আর্দ্র থাকে। তাই ক্ষত শুকিয়ে ফেটে যায় না।
সূত্র: ফেমিনা ও অন্যান্য

সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
মেকআপ রিমুভার হিসেবে
বাড়িতে মেকআপ রিমুভার না থাকলে পেট্রোলিয়াম জেলি দিয়ে দারুণভাবে মেকআপ তোলার কাজটি সেরে নিতে পারেন। পেট্রোলিয়াম জেলি নিয়ে পুরো মুখে ম্যাসাজ করুন। এরপর তুলা দিয়ে আলতো করে মুছে নিন। চোখের মতো স্পর্শকাতর ত্বকের মেকআপ তুলতেও এটি ব্যবহার করা যায়।
নখের সুস্থতায়
নখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং ভঙ্গুরতা কমাতে জাদুকরি সমাধান পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি ব্যবহারে নখ সুস্থ থাকে।
সুগন্ধি দীর্ঘস্থায়ী করতে
যেখানে সুগন্ধি দেবেন, সেই জায়গায় আগে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি মালিশ করে নিন। এরপর সেখানে সুগন্ধি স্প্রে করুন। এতে দীর্ঘ সময় ত্বকে ঘ্রাণ স্থায়ী হবে।
ভ্রু ঘন করতে
অনেকের ভ্রু ঝরে পড়ে। এর ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে পেট্রোলিয়াম জেলি। রাতে ঘুমানোর আগে একটা আইব্রো ব্রাশে কিছুটা জেলি নিয়ে ভ্রু যুগলে লাগিয়ে নিন। ধীরে ধীরে ভ্রু ঘন হবে।

হাইলাইটার হিসেবে
মেকআপের পূর্ণতায় এখন প্রায় সবাই হাইলাইটার ব্যবহার করেন। গালে এবং ভ্রুর নিচের ত্বকে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করলে সেটা হাইলাইটার হিসেবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
ক্ষত শুকাতে সাহায্য করে
ত্বকে আঘাত পেলে বা ঘা হলে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা যেতে পারে। এটির ব্যবহারে ক্ষত দ্রুততম সময়ে শুকিয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া এটি তেলতেলে হওয়ায় ত্বক আর্দ্র থাকে। তাই ক্ষত শুকিয়ে ফেটে যায় না।
সূত্র: ফেমিনা ও অন্যান্য

রাষ্ট্র ও সমাজ সব ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব ক্রমেই বাড়ছে। অধিকারকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছেন, ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম স্বাধীন মত প্রকাশে বাধা হয়ে উঠছে। তাদের তথাকথিত কমিউনিটি গাইডলাইনের দোহাই দিয়ে প্রয়োজনীয় ও যৌক্তিক কনটেন্ট মুছে ফেলা হচ্ছে। ব্যবসার খাতিরে এই প্ল্যাটফ
০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়ায় সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী সাইনোটাইপ কর্মশালা। অশ্রু আর্কাইভ ও স্টুডিও শব্দ যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করে। গত শুক্রবার শুরু হওয়া এই সৃজনশীল কর্মযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয় অশ্রু আর্কাইভ এবং স্মরণ মৎস্য বীজ খামার প্রাঙ্গণে। রোববার ছিল তিন দিনব্যাপী আয়োজনের শেষ দিন।
১০ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই অন্য রকম অনুভূতি। একদিকে বছর শেষের সব হিসাবনিকাশ, নতুন বছরের আগমনী বার্তা; অন্যদিকে বিজয়ের আনন্দ আর পিঠা-পার্বণের আমেজ। সব মিলিয়ে এই মাসটি যেন সত্যিই বিশেষ। ডিসেম্বরে, বছরের শেষ সময়গুলো কীভাবে একটু অর্থবহ করা যায়, তা জেনে নিন।
২০ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়। ফলে রং করা চুল অনেকটাই ফ্যাকাশে হয়ে যায়। যাঁরা বাড়িতেই চুল রাঙান তাঁদের রং করার পর চুল ধোয়া থেকে শুরু করে শুকানোর পদ্ধতিতেও কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি।
সঠিক শ্যাম্পু বাছাই
চুলে রং করার পর প্রথমে কালার প্রোটেকটিভ শ্যাম্পু বাছাই করুন। এই শ্যাম্পুগুলো দীর্ঘদিন চুলে রং বজায় রাখতে সহায়তা করে।
চুলে ঘন ঘন শ্যাম্পু নয়
চুলে রং করার পর সপ্তাহে দু-তিনবার শ্যাম্পু করুন। তবে রোজ বাইরে গেলে প্রয়োজনে ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।
নিয়মিত তেল ব্যবহার
রং করার পর; বিশেষ করে চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই সপ্তাহে অন্তত দুদিন চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত তেল ম্যাসাজ করে নিন।
স্টাইলিং কম করুন
রং করা চুলে স্ট্রেটনার কিংবা কার্লার যত কম ব্যবহার করা যায়, ততই ভালো। কারণ, এর ফলে চুল আরও বেশি রুক্ষ হয়ে যেতে পারে।
নিয়ম করে প্যাক মাখুন
পাকা কলা ও মধু পেস্ট করে সপ্তাহে দুদিন চুলে মেখে রাখুন ২০ মিনিট করে। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল হবে মসৃণ।
সূত্র: ল’রিয়েল প্যারিস ইউকে ও অন্যান্য

চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়। ফলে রং করা চুল অনেকটাই ফ্যাকাশে হয়ে যায়। যাঁরা বাড়িতেই চুল রাঙান তাঁদের রং করার পর চুল ধোয়া থেকে শুরু করে শুকানোর পদ্ধতিতেও কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি।
সঠিক শ্যাম্পু বাছাই
চুলে রং করার পর প্রথমে কালার প্রোটেকটিভ শ্যাম্পু বাছাই করুন। এই শ্যাম্পুগুলো দীর্ঘদিন চুলে রং বজায় রাখতে সহায়তা করে।
চুলে ঘন ঘন শ্যাম্পু নয়
চুলে রং করার পর সপ্তাহে দু-তিনবার শ্যাম্পু করুন। তবে রোজ বাইরে গেলে প্রয়োজনে ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।
নিয়মিত তেল ব্যবহার
রং করার পর; বিশেষ করে চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই সপ্তাহে অন্তত দুদিন চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত তেল ম্যাসাজ করে নিন।
স্টাইলিং কম করুন
রং করা চুলে স্ট্রেটনার কিংবা কার্লার যত কম ব্যবহার করা যায়, ততই ভালো। কারণ, এর ফলে চুল আরও বেশি রুক্ষ হয়ে যেতে পারে।
নিয়ম করে প্যাক মাখুন
পাকা কলা ও মধু পেস্ট করে সপ্তাহে দুদিন চুলে মেখে রাখুন ২০ মিনিট করে। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল হবে মসৃণ।
সূত্র: ল’রিয়েল প্যারিস ইউকে ও অন্যান্য

রাষ্ট্র ও সমাজ সব ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব ক্রমেই বাড়ছে। অধিকারকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছেন, ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম স্বাধীন মত প্রকাশে বাধা হয়ে উঠছে। তাদের তথাকথিত কমিউনিটি গাইডলাইনের দোহাই দিয়ে প্রয়োজনীয় ও যৌক্তিক কনটেন্ট মুছে ফেলা হচ্ছে। ব্যবসার খাতিরে এই প্ল্যাটফ
০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
৩৯ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ায় সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী সাইনোটাইপ কর্মশালা। অশ্রু আর্কাইভ ও স্টুডিও শব্দ যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করে। গত শুক্রবার শুরু হওয়া এই সৃজনশীল কর্মযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয় অশ্রু আর্কাইভ এবং স্মরণ মৎস্য বীজ খামার প্রাঙ্গণে। রোববার ছিল তিন দিনব্যাপী আয়োজনের শেষ দিন।
১০ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই অন্য রকম অনুভূতি। একদিকে বছর শেষের সব হিসাবনিকাশ, নতুন বছরের আগমনী বার্তা; অন্যদিকে বিজয়ের আনন্দ আর পিঠা-পার্বণের আমেজ। সব মিলিয়ে এই মাসটি যেন সত্যিই বিশেষ। ডিসেম্বরে, বছরের শেষ সময়গুলো কীভাবে একটু অর্থবহ করা যায়, তা জেনে নিন।
২০ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী সাইনোটাইপ কর্মশালা।
অশ্রু আর্কাইভ ও স্টুডিও শব্দ যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করে। গত শুক্রবার শুরু হওয়া এই সৃজনশীল কর্মযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয় অশ্রু আর্কাইভ এবং স্মরণ মৎস্য বীজ খামার প্রাঙ্গণে। রোববার ছিল তিন দিনব্যাপী আয়োজনের শেষ দিন।
অশ্রু আর্কাইভের এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল কুষ্টিয়ার সমৃদ্ধ ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে সাইনোটাইপ মাধ্যমে নতুনভাবে উপস্থাপন করা এবং স্থানীয় শিল্পচর্চাকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরা। কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলা থেকে আসা বর্তমান, সাবেক শিক্ষার্থীসহ দেশবরেণ্য গুণী শিল্পীরা অংশ নেন।
তিন দিনব্যাপী এই নিবিড় কর্মশালায় মেন্টর ও প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন স্টুডিও শব্দর কর্ণধার শিল্পী নাজমুল হোসেন নয়ন। অশ্রু আর্কাইভের প্রতিষ্ঠাতা, বিশিষ্ট শিল্পী ও গবেষক শাওন আকন্দ কর্মশালা কিউরেট করেন।
কর্মশালার প্রথম দিনে সাইনোটাইপ শিল্পের ইতিহাস ও তাত্ত্বিক দিক তুলে ধরা হয়। পরবর্তী দিনগুলোতে ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা নিজেরাই সাইনোটাইপ প্রিন্ট তৈরি করার সুযোগ পান। আলো, কেমিক্যাল ও নকশার সঠিক ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
শিল্পী নাজমুল হোসেন নয়ন বলেন, ‘সাইনোটাইপ শুধু একটি বিকল্প ফটোগ্রাফিক প্রক্রিয়া নয়; এটি সময়, স্মৃতি ও স্থানকে ধারণ করার একধরনের নীরব ভাষা।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী শিল্পী তানজুম নাহার পর্ণা বলেন, ‘তিন দিনব্যাপী কর্মশালাটি আমাদের জন্য শুধু একটি কারিগরি প্রশিক্ষণই ছিল না; বরং এটি ছিল সময়, স্মৃতি এবং স্থানের সঙ্গে এক গভীর শিল্পভাষার সংযোগ। সাইনোটাইপের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কুষ্টিয়ার ইতিহাস, লোকজ সংস্কৃতি ও সামাজিক বাস্তবতাকে নতুনভাবে অনুধাবন করার সুযোগ পেয়েছি; বিশেষ করে রাসায়নিকের অনুপাত নির্ধারণ, কোটিং, এক্সপোজার, ওয়াশিং, টোনিং ও ড্রয়িং—প্রতিটি ধাপ হাতেকলমে শেখার অভিজ্ঞতা আমাদের অ্যানালগ ফটোগ্রাফির প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও গভীর করেছে।’
কিউরেটর শাওন আকন্দ বলেন, কুষ্টিয়ার ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে গবেষণার পাশাপাশি এ ধরনের সৃজনশীল এবং ঐতিহ্যবাহী ফটোগ্রাফিক কার্যক্রম নিয়ে ভবিষ্যতেও নিয়মিতভাবে কর্মশালা আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
১৮৪২ সালে স্যার জন হার্শেল আবিষ্কৃত সাইনোটাইপ বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ও ক্যামেরাবিহীন ফটোগ্রাফিক মুদ্রণ পদ্ধতি। এই প্রক্রিয়ায় অতিবেগুনি রশ্মি বা সূর্যালোকের সাহায্যে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে কাগজ বা কাপড়ে গাঢ় নীল রঙের (প্রুশিয়ান ব্লু) নান্দনিক ছাপ তৈরি করা হয়

কুষ্টিয়ায় সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী সাইনোটাইপ কর্মশালা।
অশ্রু আর্কাইভ ও স্টুডিও শব্দ যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করে। গত শুক্রবার শুরু হওয়া এই সৃজনশীল কর্মযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয় অশ্রু আর্কাইভ এবং স্মরণ মৎস্য বীজ খামার প্রাঙ্গণে। রোববার ছিল তিন দিনব্যাপী আয়োজনের শেষ দিন।
অশ্রু আর্কাইভের এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল কুষ্টিয়ার সমৃদ্ধ ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে সাইনোটাইপ মাধ্যমে নতুনভাবে উপস্থাপন করা এবং স্থানীয় শিল্পচর্চাকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরা। কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলা থেকে আসা বর্তমান, সাবেক শিক্ষার্থীসহ দেশবরেণ্য গুণী শিল্পীরা অংশ নেন।
তিন দিনব্যাপী এই নিবিড় কর্মশালায় মেন্টর ও প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন স্টুডিও শব্দর কর্ণধার শিল্পী নাজমুল হোসেন নয়ন। অশ্রু আর্কাইভের প্রতিষ্ঠাতা, বিশিষ্ট শিল্পী ও গবেষক শাওন আকন্দ কর্মশালা কিউরেট করেন।
কর্মশালার প্রথম দিনে সাইনোটাইপ শিল্পের ইতিহাস ও তাত্ত্বিক দিক তুলে ধরা হয়। পরবর্তী দিনগুলোতে ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা নিজেরাই সাইনোটাইপ প্রিন্ট তৈরি করার সুযোগ পান। আলো, কেমিক্যাল ও নকশার সঠিক ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
শিল্পী নাজমুল হোসেন নয়ন বলেন, ‘সাইনোটাইপ শুধু একটি বিকল্প ফটোগ্রাফিক প্রক্রিয়া নয়; এটি সময়, স্মৃতি ও স্থানকে ধারণ করার একধরনের নীরব ভাষা।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী শিল্পী তানজুম নাহার পর্ণা বলেন, ‘তিন দিনব্যাপী কর্মশালাটি আমাদের জন্য শুধু একটি কারিগরি প্রশিক্ষণই ছিল না; বরং এটি ছিল সময়, স্মৃতি এবং স্থানের সঙ্গে এক গভীর শিল্পভাষার সংযোগ। সাইনোটাইপের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কুষ্টিয়ার ইতিহাস, লোকজ সংস্কৃতি ও সামাজিক বাস্তবতাকে নতুনভাবে অনুধাবন করার সুযোগ পেয়েছি; বিশেষ করে রাসায়নিকের অনুপাত নির্ধারণ, কোটিং, এক্সপোজার, ওয়াশিং, টোনিং ও ড্রয়িং—প্রতিটি ধাপ হাতেকলমে শেখার অভিজ্ঞতা আমাদের অ্যানালগ ফটোগ্রাফির প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও গভীর করেছে।’
কিউরেটর শাওন আকন্দ বলেন, কুষ্টিয়ার ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে গবেষণার পাশাপাশি এ ধরনের সৃজনশীল এবং ঐতিহ্যবাহী ফটোগ্রাফিক কার্যক্রম নিয়ে ভবিষ্যতেও নিয়মিতভাবে কর্মশালা আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
১৮৪২ সালে স্যার জন হার্শেল আবিষ্কৃত সাইনোটাইপ বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ও ক্যামেরাবিহীন ফটোগ্রাফিক মুদ্রণ পদ্ধতি। এই প্রক্রিয়ায় অতিবেগুনি রশ্মি বা সূর্যালোকের সাহায্যে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে কাগজ বা কাপড়ে গাঢ় নীল রঙের (প্রুশিয়ান ব্লু) নান্দনিক ছাপ তৈরি করা হয়

রাষ্ট্র ও সমাজ সব ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব ক্রমেই বাড়ছে। অধিকারকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছেন, ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম স্বাধীন মত প্রকাশে বাধা হয়ে উঠছে। তাদের তথাকথিত কমিউনিটি গাইডলাইনের দোহাই দিয়ে প্রয়োজনীয় ও যৌক্তিক কনটেন্ট মুছে ফেলা হচ্ছে। ব্যবসার খাতিরে এই প্ল্যাটফ
০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
৩৯ মিনিট আগে
চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই অন্য রকম অনুভূতি। একদিকে বছর শেষের সব হিসাবনিকাশ, নতুন বছরের আগমনী বার্তা; অন্যদিকে বিজয়ের আনন্দ আর পিঠা-পার্বণের আমেজ। সব মিলিয়ে এই মাসটি যেন সত্যিই বিশেষ। ডিসেম্বরে, বছরের শেষ সময়গুলো কীভাবে একটু অর্থবহ করা যায়, তা জেনে নিন।
২০ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

ডিসেম্বর মানেই অন্য রকম অনুভূতি। একদিকে বছর শেষের সব হিসাবনিকাশ, নতুন বছরের আগমনী বার্তা; অন্যদিকে বিজয়ের আনন্দ আর পিঠা-পার্বণের আমেজ। সব মিলিয়ে এই মাসটি যেন সত্যিই বিশেষ। ডিসেম্বরে, বছরের শেষ সময়গুলো কীভাবে একটু অর্থবহ করা যায়, তা জেনে নিন।
নতুন বছরে আপনি কী কী করতে চান, তা এখনই ভেবে ফেলুন। একটু স্থির হয়ে বসে খাতা-কলমে লিখে আপনার নতুন বছরের উদ্দেশ্য স্থির করে নিন। লিখে রাখলে তা বিভিন্নভাবে উদ্দেশ্য পূরণে সহায়তা করবে।
পুরোনো বছরকে সুন্দর করে বিদায় দিতেই হোক বা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে—ঘর সাজান সুন্দর করে। কিছু ওয়ার্ম লাইট ও জানালা বা টেবিলে কিছু গাছ রেখে ঘরে দিন একটু উষ্ণতার ছোঁয়া। সঙ্গে পুরোনো অপ্রয়োজনীয় জিনিস অন্য কাউকে দিয়ে দিন। দেখবেন বাসায় একটা শান্ত ও পরিচ্ছন্ন ভাব আসবে।
পিঠা সংস্কৃতির অংশ। তাই ঐতিহ্য ধরে রাখাতে পরিবার ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে সময় করে একদিন বিভিন্ন রকম পিঠা বানাতে পারেন। বড় আয়োজন নয়, বরং চা-বিস্কুট আর পিঠা নিয়ে একটি ঘরোয়া আড্ডা জমান। পুরোনো দিনের স্মৃতিচারণা করুন। দেখবেন, মন থেকে অনেকখানি ভার নেমে গেছে।
ডিসেম্বরের আবহাওয়া বই পড়ার জন্য উপযুক্ত। ছুটির দিনে দুপুরগুলো কাজে লাগান। গায়ে হালকা কাঁথা জড়িয়ে একটা অলস দুপুর বই পড়ে দেখুন। অথবা একটা ভালো উপন্যাস নিয়ে শীতের মিষ্টি রোদে বসে পড়ুন। সঙ্গে রাখুন এক কাপ চা। দেখবেন, খুব ভালো লাগবে।
বছরের এই শেষ সময় এসেও নিজের জন্য সময় বের করুন। নিজের যত্ন নিন, নিজেকে নিজেই কিছু উপহার দিন। দেখবেন নিজেকে মূল্যবান ও যোগ্য মনে হবে। তা ছাড়া কাউকে কিছু উপহার দিতে চাইলেও দিতে পারেন। সেটাও কিন্তু নিজেকে সময় দেওয়ার কাজ করবে।

শীতকালে অনেক জায়গায় পিঠা মেলা বা হস্তশিল্প মেলা বসে। এই মেলাগুলোতে ঘুরে বেড়ান। উৎসবের কেনাকাটায় বড় শপিং মল এড়িয়ে স্থানীয় কারিগরদের কাছ থেকে কিছু কিনুন এবং শীতের খাবার চেখে দেখুন। এতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা উপকৃত হবেন। মনে রাখবেন, উদ্যোক্তাদের সহায়তা না করলে তারা বড় হতে পারবে না। তাদের বড় করতে সহায়তা করাও একটা উদ্যোগ বটে।
শীতকালে অসহায় মানুষদের কষ্ট কমাতে গরম কাপড় ও কম্বল দান করুন। ছোট ছোট কাজ করে অন্যের মুখে হাসি ফোটান; যেমন কাউকে চা বা কফি খাওয়ান, বাসে বয়স্ক কারও জন্য আসন ছেড়ে দিন, কাউকে রাস্তা পার করিয়ে দিন। ছোট একটি মানবিক কাজ আপনার জীবনকে অর্থবহ করে তুলবে।

পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে বসে অথবা একা বসে এই বছর কী কী ভালো ও খারাপ হয়েছে, তা নিয়ে ভাবুন। কী কী ভুল করেছেন, সেগুলো ভেবে দেখুন। সামনের বছরগুলোতে এসব ভুল যেন না হয়, সে জন্য সতর্ক হোন। এই বছর যা কিছু ইতিবাচক হয়েছে, সেগুলো একটি ডায়েরিতে লিখে সৃষ্টিকর্তাকে কৃতজ্ঞতা জানান। কারও সঙ্গে মনোমালিন্য হয়ে থাকলে তা মিটিয়ে নিন। অযথা মনে রাগ পুষে রেখে নিজেকে কষ্ট দেবেন না।
পুরোনো বন্ধুরা আসলে মানুষের ব্রিদিং স্পেস বা নিশ্বাস ফেলার জায়গা। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। সবার সঙ্গে সম্ভব না হলেও যাঁদের বা যাঁর সঙ্গে সম্ভব, তাঁদের বা তাঁর সঙ্গে দেখা করে কিছু সময় কাটিয়ে আসুন। মন খুলে হাসুন। স্মৃতিচারণা করুন। অন্তত এক বেলা একসঙ্গে বসে খেয়ে ফেলুন মনের মতো কোনো খাবার। দেখবেন নতুন বছর অন্য রকমভাবে শুরু হবে।
সূত্র: ক্যামিলিস্টাইল ও অন্যান্য

ডিসেম্বর মানেই অন্য রকম অনুভূতি। একদিকে বছর শেষের সব হিসাবনিকাশ, নতুন বছরের আগমনী বার্তা; অন্যদিকে বিজয়ের আনন্দ আর পিঠা-পার্বণের আমেজ। সব মিলিয়ে এই মাসটি যেন সত্যিই বিশেষ। ডিসেম্বরে, বছরের শেষ সময়গুলো কীভাবে একটু অর্থবহ করা যায়, তা জেনে নিন।
নতুন বছরে আপনি কী কী করতে চান, তা এখনই ভেবে ফেলুন। একটু স্থির হয়ে বসে খাতা-কলমে লিখে আপনার নতুন বছরের উদ্দেশ্য স্থির করে নিন। লিখে রাখলে তা বিভিন্নভাবে উদ্দেশ্য পূরণে সহায়তা করবে।
পুরোনো বছরকে সুন্দর করে বিদায় দিতেই হোক বা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে—ঘর সাজান সুন্দর করে। কিছু ওয়ার্ম লাইট ও জানালা বা টেবিলে কিছু গাছ রেখে ঘরে দিন একটু উষ্ণতার ছোঁয়া। সঙ্গে পুরোনো অপ্রয়োজনীয় জিনিস অন্য কাউকে দিয়ে দিন। দেখবেন বাসায় একটা শান্ত ও পরিচ্ছন্ন ভাব আসবে।
পিঠা সংস্কৃতির অংশ। তাই ঐতিহ্য ধরে রাখাতে পরিবার ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে সময় করে একদিন বিভিন্ন রকম পিঠা বানাতে পারেন। বড় আয়োজন নয়, বরং চা-বিস্কুট আর পিঠা নিয়ে একটি ঘরোয়া আড্ডা জমান। পুরোনো দিনের স্মৃতিচারণা করুন। দেখবেন, মন থেকে অনেকখানি ভার নেমে গেছে।
ডিসেম্বরের আবহাওয়া বই পড়ার জন্য উপযুক্ত। ছুটির দিনে দুপুরগুলো কাজে লাগান। গায়ে হালকা কাঁথা জড়িয়ে একটা অলস দুপুর বই পড়ে দেখুন। অথবা একটা ভালো উপন্যাস নিয়ে শীতের মিষ্টি রোদে বসে পড়ুন। সঙ্গে রাখুন এক কাপ চা। দেখবেন, খুব ভালো লাগবে।
বছরের এই শেষ সময় এসেও নিজের জন্য সময় বের করুন। নিজের যত্ন নিন, নিজেকে নিজেই কিছু উপহার দিন। দেখবেন নিজেকে মূল্যবান ও যোগ্য মনে হবে। তা ছাড়া কাউকে কিছু উপহার দিতে চাইলেও দিতে পারেন। সেটাও কিন্তু নিজেকে সময় দেওয়ার কাজ করবে।

শীতকালে অনেক জায়গায় পিঠা মেলা বা হস্তশিল্প মেলা বসে। এই মেলাগুলোতে ঘুরে বেড়ান। উৎসবের কেনাকাটায় বড় শপিং মল এড়িয়ে স্থানীয় কারিগরদের কাছ থেকে কিছু কিনুন এবং শীতের খাবার চেখে দেখুন। এতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা উপকৃত হবেন। মনে রাখবেন, উদ্যোক্তাদের সহায়তা না করলে তারা বড় হতে পারবে না। তাদের বড় করতে সহায়তা করাও একটা উদ্যোগ বটে।
শীতকালে অসহায় মানুষদের কষ্ট কমাতে গরম কাপড় ও কম্বল দান করুন। ছোট ছোট কাজ করে অন্যের মুখে হাসি ফোটান; যেমন কাউকে চা বা কফি খাওয়ান, বাসে বয়স্ক কারও জন্য আসন ছেড়ে দিন, কাউকে রাস্তা পার করিয়ে দিন। ছোট একটি মানবিক কাজ আপনার জীবনকে অর্থবহ করে তুলবে।

পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে বসে অথবা একা বসে এই বছর কী কী ভালো ও খারাপ হয়েছে, তা নিয়ে ভাবুন। কী কী ভুল করেছেন, সেগুলো ভেবে দেখুন। সামনের বছরগুলোতে এসব ভুল যেন না হয়, সে জন্য সতর্ক হোন। এই বছর যা কিছু ইতিবাচক হয়েছে, সেগুলো একটি ডায়েরিতে লিখে সৃষ্টিকর্তাকে কৃতজ্ঞতা জানান। কারও সঙ্গে মনোমালিন্য হয়ে থাকলে তা মিটিয়ে নিন। অযথা মনে রাগ পুষে রেখে নিজেকে কষ্ট দেবেন না।
পুরোনো বন্ধুরা আসলে মানুষের ব্রিদিং স্পেস বা নিশ্বাস ফেলার জায়গা। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। সবার সঙ্গে সম্ভব না হলেও যাঁদের বা যাঁর সঙ্গে সম্ভব, তাঁদের বা তাঁর সঙ্গে দেখা করে কিছু সময় কাটিয়ে আসুন। মন খুলে হাসুন। স্মৃতিচারণা করুন। অন্তত এক বেলা একসঙ্গে বসে খেয়ে ফেলুন মনের মতো কোনো খাবার। দেখবেন নতুন বছর অন্য রকমভাবে শুরু হবে।
সূত্র: ক্যামিলিস্টাইল ও অন্যান্য

রাষ্ট্র ও সমাজ সব ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব ক্রমেই বাড়ছে। অধিকারকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছেন, ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম স্বাধীন মত প্রকাশে বাধা হয়ে উঠছে। তাদের তথাকথিত কমিউনিটি গাইডলাইনের দোহাই দিয়ে প্রয়োজনীয় ও যৌক্তিক কনটেন্ট মুছে ফেলা হচ্ছে। ব্যবসার খাতিরে এই প্ল্যাটফ
০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
৩৯ মিনিট আগে
চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়ায় সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী সাইনোটাইপ কর্মশালা। অশ্রু আর্কাইভ ও স্টুডিও শব্দ যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করে। গত শুক্রবার শুরু হওয়া এই সৃজনশীল কর্মযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয় অশ্রু আর্কাইভ এবং স্মরণ মৎস্য বীজ খামার প্রাঙ্গণে। রোববার ছিল তিন দিনব্যাপী আয়োজনের শেষ দিন।
১০ ঘণ্টা আগে