Ajker Patrika

ব্যবসায় ফেসবুক গ্রুপের গুরুত্ব, খুলবেন কীভাবে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
প্রথমে স্মার্টফোন থেকে ফেসবুকে প্রবেশ করুন। ছবি: এক্সপোজার ডট কম
প্রথমে স্মার্টফোন থেকে ফেসবুকে প্রবেশ করুন। ছবি: এক্সপোজার ডট কম

ডিজিটাল যুগে মানুষদের একত্রিত করার জন্য শক্তিশালী মাধ্যমে হয়ে উঠেছে ফেসবুক। তবে যদি কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চান বা একটি কমিউনিটি তৈরি করতে চান, তবে ফেসবুক গ্রুপ একটি অত্যন্ত কার্যকরী টুল। এ ছাড়া ফেসবুক গ্রুপ ব্যবসার জন্যও শক্তিশালী টুল হিসেবে কাজ করতে পারে।

ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে যেকোনো সদস্য নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারেন, আলোচনা করতে পারেন ও একে অপরের সাহায্য নিতে পারেন। এটি একটি নিরাপদ ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করে, যা গ্রুপ সদস্যদের মধ্যে আরও সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহমর্মিতা তৈরি করে।

ফেসবুক গ্রুপ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে। ব্যবসা ও সংগঠনগুলো তাদের গ্রাহক ও সম্ভাব্য গ্রাহকদের বিভিন্ন পণ্য ও ইভেন্ট বা আপডেট সম্পর্কে জানাতে ফেসবুক গ্রুপ ব্যবহার করে।

ব্যবসায় ফেসবুক গ্রুপের গুরুত্ব

কমিউনিটি গঠন: আপনি যদি কোনো পছন্দের ফলোয়ার নিয়ে একটি কমিউনিটি তৈরি করতে চান, ফেসবুক গ্রুপ আপনার জন্য আদর্শ। এখানে সদস্যরা নিজেদের মতামত শেয়ার করতে পারেন এবং একে অপরকে সাহায্য করতে পারেন।

ব্যবসা বা ব্র্যান্ড প্রচারণা: আপনার ব্যবসা বা ব্র্যান্ডের জন্য ফেসবুক গ্রুপ একটি শক্তিশালী টুল হতে পারে। পণ্য ও সেবা সম্পর্কে আলোচনা ও পণ্যের আপডেট সম্পর্কে শেয়ার করার কাজ গ্রুপের মাধ্যমে সহজ হয়ে ওঠে।

গ্রাহক সম্পর্ক উন্নয়ন: ফেসবুক গ্রুপ গ্রাহকদের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপনের একটি চমৎকার মাধ্যম। গ্রাহকেরা সহজে প্রশ্ন করতে পারেন, সমাধান পেতে পারেন এবং আপনার পণ্য বা সেবার বিষয়ে তাঁদের মতামত জানাতে পারেন। এটি আপনার ব্যবসার প্রতি বিশ্বাস ও আনুগত্য তৈরি করতে সহায়তা করে।

ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর তৈরি: গ্রুপের সদস্যরা যদি আপনার ব্র্যান্ডের প্রতি আস্থা অনুভব করেন, তাহলে তাঁরা স্বেচ্ছায় আপনার পণ্য বা সেবা প্রচারে সহায়তা করতে পারেন। তাঁরা আপনার ব্র্যান্ডের অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করবেন এবং আপনার ব্যবসা আরও বিস্তৃত হতে সহায়তা করবেন।

পণ্য বা সেবার জন্য ফিডব্যাক নেওয়া: গ্রুপের সদস্যরা সরাসরি তাঁদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারবেন, যা থেকে আপনি আপনার পণ্য বা সেবা উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ফিডব্যাক পেতে পারেন।

প্রচার ও মার্কেটিং: গ্রুপে আপনি নতুন পণ্য বা সেবার খবর, ডিসকাউন্ট, বিশেষ অফার ইত্যাদি শেয়ার করতে পারেন। এতে আপনার গ্রাহকেরা দ্রুত সেই তথ্য পেয়ে যাবেন এবং আপনি তাঁদের কাছ থেকে ভালো প্রতিক্রিয়া পেতে পারেন।

নেটওয়ার্কিং: পেশাগত জীবনে যাঁদের সঙ্গে সংযোগ গড়তে চান, তাঁদের জন্য ফেসবুক গ্রুপ একটি কার্যকরী উপায় হতে পারে। এখানে আপনি একই পেশার মানুষের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন, অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারেন ও নতুন সুযোগ খুঁজে পেতে পারেন।

ফেসবুক গ্রুপ খুলবেন যেভাবে

১. প্রথমে স্মার্টফোন থেকে ফেসবুকে প্রবেশ করুন।

২. এবার ডান পাশের ওপরের দিকে থাকা প্রোফাইল ছবির ওপর ট্যাপ করুন।

৩. এখন ‘গ্রুপস’ অপশনটি খুঁজে বের করুন ও এতে ট্যাপ করুন।

৪. এবার ‘ক্রিয়েট আ গ্রুপ’ অপশনে ট্যাপ করুন।

৫. গ্রুপের নাম লেখার টেক্সট বক্সে গ্রুপের নাম টাইপ করুন।

৬. এখন ‘চুজ প্রাইভেসি’ লেখার পাশে নিম্নমুখী তীরে ট্যাপ করুন।

গ্রুপের প্রাইভেসি নির্বাচনের জন্য পাবলিক বা প্রাইভেট অপশনে ট্যাপ করুন। এবার ‘ডান’ অপশনে ট্যাপ করুন।

৭. নাম ও প্রাইভেসি সেট করার পর নিচের দিকে থাকা ‘ক্রিয়েট বাটনে’ ট্যাপ করুন।

গ্রুপটি এখন ‘শেয়ার গ্রুপ’ অপশনের মাধ্যমে অন্য গ্রুপের সঙ্গে শেয়ার করতে পারবেন। এ ছাড়া ই–মেইলের মাধ্যমে গ্রুপে যুক্ত হওয়ার জন্য আহ্বান জানাতে পারবেন। সেই সঙ্গে নিচের দিকে স্ক্রল করে ফেসবুক বন্ধুতালিকা থেকে বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানাতে পারবেন।

৮. আমন্ত্রণ জানানো শেষ হলে ওপরের ডান দিকে থাকা ‘নেক্সট’ বাটনে ট্যাপ করুন।

৯. পরের পেজে গ্রুপের একটি কভার ছবি যুক্ত করতে পারবেন। এ জন্য ‘এডিট’ বাটনে ট্যাপ করুন।

১০. এখন ‘আপলোড ফটো’ অপশনে ট্যাপ করুন। এবার ফোনের গ্যালারি থেকে যেকোনো ছবির নির্বাচন করুন।

১১. ওপরের ডান পাশে থাকা ‘সেভ’ বাটনে ট্যাপ করুন।

১২. এখন ‘নেক্সট’ বাটনে ট্যাপ করুন।

১৩. পরের পেজে গ্রুপটি সম্পর্কে কিছু লিখুন।

১৪. এবার নতুন গ্রুপের জন্য কোনো পোস্ট তৈরি করতে পারেন। পোস্ট তৈরি না করতে চাইলে এখন ডান বাটনে ট্যাপ করুন।

এভাবে নতুন একটি গ্রুপ তৈরি হয়ে যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাজারে পাওয়া যাচ্ছে আমলকী, জেনে নিন তার স্বাস্থ্য উপকারিতা

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
প্রাচীনকাল থেকে আমলকী ঔষধি গুণের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ছবি: ফ্রিপিক
প্রাচীনকাল থেকে আমলকী ঔষধি গুণের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ছবি: ফ্রিপিক

আমলকী মূলত দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিচিত একটি ফল। ছোট, গোলাকার, হলুদে সবুজ এ ফলের স্বাদ তেতো। প্রাচীনকাল থেকে এটি ঔষধি গুণের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আধুনিক গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকী ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, হৃদ্‌রোগ ও হজম প্রক্রিয়ার জন্য বেশ উপকারী। এ ছাড়া আমলকীতে থাকা ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও আঁশ ত্বক এবং চুলের যত্নেও সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ

আমলকীতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ফ্ল্যাভোনয়েড, পলিফেনলস ও ভিটামিন রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এগুলো কোষের ক্ষয়রোধ করে এবং কার্বোহাইড্রেটের হজম ধীর করে। ফল প্যানক্রিয়াস পর্যাপ্ত ইনসুলিন উৎপাদন করতে পারে। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে।

রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

আমলকীতে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া এতে ট্যানিন, এলকালয়েড ও পলিফেনলস রয়েছে। এটি কোষ রক্ষা করে, প্রদাহ কমায় এবং দীর্ঘ মেয়াদে সুস্থতা নিশ্চিত করে।

হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে

গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকীর সাপ্লিমেন্ট কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে সাহায্য করে। একটি গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা ১২ সপ্তাহ ধরে দৈনিক দুবার ৫০০ মিলিগ্রাম আমলকী এক্সট্র্যাক্ট নিয়েছিলেন। ফলাফলে দেখা যায়, তাদের কোলেস্টেরল ও রক্তে চর্বির পরিমাণ কমে গেছে এবং কোনো উল্লেখযোগ্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি।

প্রতি ১০০ গ্রাম আমলকীতে থাকে মাত্র ৪৫ ক্যালরি। ছবি: ফ্রিপিক
প্রতি ১০০ গ্রাম আমলকীতে থাকে মাত্র ৪৫ ক্যালরি। ছবি: ফ্রিপিক

ক্যানসার প্রতিরোধ

আমলকীতে থাকা ভিটামিন ‘সি’, কোয়ারসেটিন ও এলেজিক অ্যাসিড প্রদাহ কমাতে ও ক্যানসার কোষের বৃদ্ধির ঝুঁকি কমাতে পারে। এটি ক্যানসারের ওষুধের সঙ্গে ব্যবহার করলে সেগুলোর কার্যকারিতা বাড়াতে ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমাতে সাহায্য করতে পারে।

হজম সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে

আমলকীর আঁশ হজম প্রক্রিয়া সহজ করে। এটি অতিরিক্ত অ্যাসিড তৈরি না করে হজম ঠিক রাখে, যা গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ এবং অন্যান্য পেটের সমস্যায় উপকারী।

পুষ্টিতথ্য

১০০ গ্রাম আমলকীতে থাকে

ক্যালরি: ৪৫

চর্বি: ০.৫ গ্রাম

শর্করা: ১০ গ্রাম

আঁশ: ৪ গ্রাম

প্রোটিন: ১ গ্রাম

সতর্কতা

আমলকী রক্ত পাতলা করে। তাই রক্তপাতজনিত ওষুধ সেবনের সময় সাবধানতা জরুরি। যাঁদের আমলকীতে অ্যালার্জি রয়েছে, এটি খেলে তাঁদের পেটের হালকা সমস্যা হতে পারে।

খাওয়ার পরামর্শ

সাধারণত আমলকী পাওয়া যায় নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত। তবে, কিছু অঞ্চলে এটি আগস্ট থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত পাওয়া যায়। আমলকীকে খাদ্যতালিকায় যোগ করার কিছু সহজ উপায়—

  • আমাদের দেশে আমলকী অন্যান্য ফলের মতো খাওয়া হয়। একটি আমলকী মুখে পুড়ে ধীরে ধীরে চিবিয়ে তার রস বের করে খেতে থাকুন। একপর্যায়ে তার তেতো স্বাদ চলে যাবে। খেতে ভালো লাগবে।
  • ওটমিল বা দইয়ের সঙ্গে অল্প আমলকী পাউডার মিশিয়ে খেতে পারেন।
  • কলা বা বেরি জাতীয় ফলের সঙ্গে ব্লেন্ড করে নারকেল পানির সঙ্গে স্মুদি তৈরি করেও পান করতে পারেন।
  • তাজা আমলকীর রস চেপে পান করা যেতে পারে।
  • শুকনো আমলকী গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে এক কাপ চা তৈরি করা যায়।

আমলকী শুধু খাওয়ার জন্য নয়, ত্বকের যত্নেও বেশ কার্যকর। অনেক অ্যান্টিএজিং পণ্যে এটি ব্যবহৃত হয়। এটি ত্বকের দাগ হালকা করে এবং উজ্জ্বলতা বাড়ায়। গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকী এক্সট্র্যাক্টযুক্ত জেল ব্যবহারে ত্বকের ভাঁজ, স্থিতিস্থাপকতা ও আর্দ্রতা রক্ষায় কার্যকর।

আমলকী সাপ্লিমেন্ট

আমলকী ট্যাবলেট, ক্যাপসুল বা পাউডার আকারে পাওয়া যায়। কিন্তু এর সঠিক ডোজ ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি ত্বক ও হজমে বেশ উপকারী। এ ছাড়া শীতকালীন সর্দি-কাশি উপশমে সাহায্য করে আমলকী।

খুশকির সমস্যা কমায়

খুশকির সমস্যা কমাতে চুলে ব্যবহার করা যায় আমলকীর রস। আমলকী বেটে বা সেদ্ধ করেও ব্যবহার করা যায় চুল ও মাথার ত্বকে।

শুধু খুশকির সমস্যা কমাতে নয়, নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে আমলকীর রস। নিয়মিত ব্যবহার করতে পারলে চুলের গোড়া মজবুত হবে, চুল পড়ার সমস্যা কমে, নতুন চুলও গজায়। আমলকীর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’। তাই এ ফলের রস চুলে মাখলে চুল থাকবে চকচকে ও নরম। শ্যাম্পু করার আগে আমলকীর রস ব্যবহার করতে পারেন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।

আমলকী স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ফল। এটি রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, হৃদ্‌রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও হজমে সাহায্য করে। এ ছাড়া ক্যানসার প্রতিরোধ ও ত্বকের যত্নেও সহায়ক। দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় আমলকী যোগ করা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।

সূত্র: হেলথ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পুরুষেরও নারীর মতো মেনোপজ হয়, বুঝবেন যেভাবে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মেনোপজ একজন পুরুষের দৈনন্দিন জীবন ও মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
মেনোপজ একজন পুরুষের দৈনন্দিন জীবন ও মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলতে পারে। ছবি: সংগৃহীত

নারীর মেনোপজের বিষয়টি নিয়ে অনেকের ধারণা থাকলেও পুরুষেরও মেনোপজ হতে পারে এটি অনেকেই জানেন না। ৪০ থেকে ৫০-এর ঘরে পা রাখলে পুরুষেরও কিছু শারীরিক ও মানসিক উপসর্গ প্রকাশ্যে আসে যা জানান দেয় তার মেনোপজের কথা। অনেক পুরুষ বিষণ্নতায় ভোগেন। অনেকের যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যায় আবার ইরেকটাইল ডিসফাংশন-এর সমস্যায় পড়েন অনেকে।

পুরুষের মেনোপজের বিষয়টি নিয়ে বেশি আলোচনা না হওয়ায় এ সময় উপসর্গগুলো বুঝে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। আপনি বা আপনার আশেপাশের চল্লিশোর্ধ্ব পুরুষটির মেনোপজ হয়েছে কি না সেটা বুঝতে পারবেন যেসব লক্ষণ দেখে তা জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য সেবা কর্তৃপক্ষ। সেগুলো হলো—

১. মেজাজের ওঠানামা ও খিটখিটে হয়ে যাওয়া

২. পেশিতে ভর দেওয়া এবং ব্যায়াম করার সক্ষমতা কমতে থাকা

৩. শরীরে চর্বি জমে যাওয়া, বিশেষ করে পেটের চারপাশে বা বুকের অংশে চর্বি জমা (‘ম্যান বুবস’ বা গাইনোকোম্যাস্টিয়া)

৪. উদ্যম বা শক্তির অভাব

৫. অনিদ্রা বা সব সময় ক্লান্ত বোধ করা

৬. মনোযোগ ও স্বল্পমেয়াদি স্মৃতিশক্তি

এসব উপসর্গ একজন পুরুষের দৈনন্দিন জীবন ও মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এর মূল কারণ চিহ্নিত করে যথাযথ চিকিৎসা বা পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

‘মেল মেনোপজ’কে অ্যান্ড্রোপজ নামেও পরিচিত। তবে এই বিষয়টির ভুল ব্যাখ্যা দেখা যায় অনেক সময়। বলা হয়, পুরুষদের মধ্যবয়সে নারীদের মতো হঠাৎ করে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে যায়। আসলে তা ঘটে না।

পুরুষদের টেস্টোস্টেরন মাত্রা বয়সের সঙ্গে ধীরে ধীরে কমে। প্রায় ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সের পর প্রতি বছর গড়ে ১ শতাংশ করে। এই স্বাভাবিক হ্রাস সাধারণত কোনো বড় সমস্যা সৃষ্টি করে না।

তবে কিছু পুরুষের ক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি, যাকে বলা হয় লেট-অনসেট হাইপোগোনাডিজম (late-onset hypogonadism) দেখা দিতে পারে। তখন ক্লান্তি, যৌন আকাঙ্ক্ষা হ্রাস, বা মেজাজের পরিবর্তনের মতো উপসর্গ দেখা যায়।

তবুও অনেক সময় এই ধরনের উপসর্গের সঙ্গে হরমোনের কোনো সম্পর্কই থাকে না। মানসিক চাপ, ঘুমের সমস্যা, জীবনযাত্রা বা অন্যান্য শারীরিক অসুস্থতাও এর কারণ হতে পারে।

পুরুষদের অনেক উপসর্গের পেছনে হরমোন নয়, বরং জীবনযাত্রা বা মানসিক কারণই দায়ী হতে পারে। যেমন—যৌন আকাঙ্ক্ষা হ্রাস, ইরেকটাইল ডিসফাংশন (যৌন অক্ষমতা) বা মেজাজের ওঠানামার মতো সমস্যা হতে পারে—চাপ (stress), বিষণ্নতা (depression) ও উদ্বেগ (anxiety)।

তাছাড়া ইরেকটাইল ডিসফাংশনের শারীরিক কারণও থাকতে পারে। যেমন—ধূমপান, হৃদ্‌রোগ বা রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা।

এ ছাড়া যে মানসিক সমস্যাগুলো সাধারণত দেখা যায়, সেগুলো হলো—কাজের চাপ, সম্পর্কের জটিলতা, অর্থনৈতিক দুশ্চিন্তা বা বয়স্ক বাবা-মাকে নিয়ে উদ্বেগ থেকে।

এছাড়াও অনেক পুরুষ ‘মিডলাইফ ক্রাইসিস’-এর মধ্য দিয়ে যান। জীবনের অর্ধেক পথ পার করার পর তাঁরা নিজের সাফল্য, পেশা বা ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনিশ্চয়তা ও হতাশায় ভোগেন, যা কখনো কখনো বিষণ্নতার পর্যায়েও পৌঁছে যেতে পারে।

‘মেল মেনোপজ’-এর অন্যান্য সম্ভাব্য কারণ

অনেক সময় এসব উপসর্গের পেছনে থাকে হরমোন নয়, বরং জীবনযাপনের নানা অভ্যাস। যেমন—পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব, অস্বাস্থ্যকর বা অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম না করা, অতিরিক্ত ধূমপান বা মদ্যপান ও আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি।

লেট-অনসেট হাইপোগোনাডিজম (Late-onset hypogonadism)

সব সময় জীবনযাত্রার ধরন বা মানসিক সমস্যাই যে কারণ হবে তাও নয়। এর পেছনে থাকতে পারে হাইপোগোনাডিজম নামের একটি শারীরিক অবস্থা। এ অবস্থায় টেস্টিস পর্যাপ্ত পরিমাণে হরমোন (বিশেষত টেস্টোস্টেরন) উৎপন্ন করতে ব্যর্থ হয়।

হাইপোগোনাডিজমের ধরন বেশ কয়েক রকমের হয়ে থাকে।

জন্মগত (congenital) : জন্ম থেকেই থাকে, ফলে কৈশোরে দেরিতে যৌবনাগমন বা ছোট আকারের টেস্টিসের মতো উপসর্গ দেখা যায়।

অর্জিত বা পরবর্তীকালে হওয়া (acquired) : জীবনের পরে কোনো পর্যায়ে দেখা দিতে পারে, বিশেষ করে স্থূলতা (obesity) বা টাইপ-২ ডায়াবেটিস–এ আক্রান্ত পুরুষদের মধ্যে।

এই অবস্থাকে বলা হয় লেট-অনসেট হাইপোগোনাডিজম, যা ‘মেল মেনোপজ’-এর মতো উপসর্গ তৈরি করতে পারে।

তবে এটি খুবই বিরল এবং চিকিৎসার মাধ্যমেও সমাধান হয়।

এটি নির্ণয়ের জন্য সাধারণত চিকিৎসক আপনার উপসর্গ এবং রক্ত পরীক্ষায় টেস্টোস্টেরনের মাত্রা যাচাই করে সিদ্ধান্ত দেন।

যদি আপনি এই উপসর্গগুলোর কোনোটি অনুভব করেন, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করা জরুরি। চিকিৎসক সাধারণত আপনার কাজের পরিবেশ, ব্যক্তিগত জীবন এবং মানসিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইবেন, যেন বোঝা যায় উপসর্গগুলো স্ট্রেস বা উদ্বেগজনিত কি না।

যদি মানসিক কারণ থাকে তাহলে ওষুধ, টকিং থেরাপি সহায়ক হতে পারে। এ ছাড়া ব্যায়াম এবং রিলাক্সেশন টেকনিকও কার্যকর।

পাশাপাশি আপনার টেস্টোস্টেরন লেভেল যাচাই করতে চিকিৎসক রক্ত পরীক্ষা করতে পারেন। যদি পরীক্ষায় দেখা যায় আপনার টেস্টোস্টেরন ঘাটতি রয়েছে, তাহলে আপনাকে এন্ডোক্রাইনোলজিস্টের (হরমোন বিশেষজ্ঞ) কাছে পাঠানো হতে পারে।

বিশেষজ্ঞ যদি নিশ্চিত করেন, এটি হরমোনজনিত সমস্যা তাহলে টেস্টোস্টেরন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপির মাধ্যমে এর সমাধান হতে পারে। যা হরমোনের ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করে এবং ধীরে ধীরে উপসর্গগুলো কমিয়ে আনে। এই চিকিৎসা সাধারণত ইনজেকশন বা জেল আকারে দেওয়া হয়।

সূত্র: ইংল্যান্ডের সরকারি স্বাস্থ্য সেবা এনএইচএস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট গোলাপি করার উপায়

বিভাবরী রায়
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৬: ২৪
ছবি: পেক্সেলস
ছবি: পেক্সেলস

শীত আসি আসি করছে, আর এর মধ্য়েই ঠোঁট কালচে হয়ে উঠেছে। তাই হয়তো ইদানীং বাইরে বের হওয়ার সময় একটু গাঢ়রঙা লিপস্টিক পরে বের হচ্ছেন। রং দিয়ে বিবর্ণ ঠোঁট ঢেকে তো রাখছেন, কিন্তু মন থেকে কি হাসতে পারছেন? মনে হয় না। যদি ঠোঁটের রং স্বাভাবিকভাবেই গোলাপি করে তুলতে চান এবং ঠোঁটের নমনীয়তা ফিরে পেতে চান, তাহলে জেনে রাখুন, ঘরোয়া উপায়েও তা সম্ভব।

বেশ কিছু ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে, যার মাধ্যমে ঠোঁটকে স্থায়ীভাবে গোলাপি করে তোলা যায়। পাশাপাশি মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম, তাহলে কিছুদিনের মধ্য়ে ঠোঁট হয়ে উঠবে প্রাকৃতিকভাবে গোলাপি।

যেসব প্রাকৃতিক উপাদান গোলাপি ঠোঁট পেতে সাহায্য় করবে

টমেটো

টমেটোতে সেলেনিয়াম থাকে, যা আপনার ঠোঁটকে রোদের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করতে সাহায্য় করবে। প্রতিদিন এটি সালাদ হিসেবে খেতে পারেন। যাঁরা রোজ বাইরে বের হন বা যাঁদের দীর্ঘক্ষণ রোদে থাকতে হয়, তাঁরা টমেটোবাটা ঠোঁটে ব্যবহার করলেও উপকার পাবেন।

নারকেল ও ডাবের পানি

সম্ভব হলে প্রতিদিন ডাবের পানি পান করুন। প্রতিদিনের কোনো একটি খাবারে নারকেল যোগ করুন। এতে ত্বকের পাশাপাশি ঠোঁটও কোমল থাকবে। এ ছাড়াও মুখ ও ঠোঁটে নারকেল তেল ব্যবহার করুন।

আখরোট

আখরোট ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি সমৃদ্ধ উৎস, যা আপনার ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে পারে। এটি কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়। তারুণ্যদীপ্ত ত্বকের জন্য নিয়মিত এসব খাবার খান। এমনকি আপনার ঠোঁটের মৃত ত্বক অপসারণ এবং ঠোঁট গোলাপি রাখার জন্য একটি আখরোট দিয়ে স্ক্রাবও তৈরি করতে পারেন।

টক দই

টক দই ও দইয়ের মতো দুগ্ধজাত খাবারে যে প্রোটিন থাকে, তা ত্বক ফাটা প্রতিরোধে সহায়ক। প্রতিদিন টক দই খেলে এই উপকার পাওয়া যাবে। ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করতে স্নানের সময় একটু টক দই ঠোঁটে মেখে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে নিলে কয়েক দিনের মধ্য়ে ভালো ফল চোখে পড়বে।

ছবি: পেক্সেলস
ছবি: পেক্সেলস

মধু

মধুকে বলা হয় প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার। প্রতিদিন এক চা-চামচ মধু খাওয়ার অভ্যাস করলে পেলব ঠোঁট পাওয়া যায়। এ ছাড়াও রাতে ঘুমানোর আগে ঠোঁটে মধু মেখে নিলে ঠোঁট গোলাপি হয়ে উঠবে। মধুতে ম্যাগনেশিয়াম এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা ঠোঁটের রং বিবর্ণ হওয়া রোধ করে।

কালচে ঠোঁটে গোলাপি আভা ফিরিয়ে আনতে সপ্তাহে দু-তিন দিন ঠোঁটের যত্ন নিতে হবে। বাইরে থেকে ফিরে অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করে লিপস্টিক তুলতে হবে। মুখ ধোয়ার পর লিপবাম লাগাতে হবে। সপ্তাহে দুই দিন দুধের সরের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ঠোঁটে লাগালে কালচে ভাব ধীরে ধীরে কেটে যাবে। শারমিন কচি রূপবিশেষজ্ঞ, স্বত্বাধিকারী, বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ার

লেবু

যদি আপনি সকালে খালি পেটে হালকা গরম পানির সঙ্গে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে পান করেন, তাহলে এটি আপনার শরীরকে বিষমুক্ত করার পাশাপাশি ঠোঁটেও গোলাপি ভাব এনে দেবে। যেহেতু লেবুতে ব্লিচিংয়ের বৈশিষ্ট্য রয়েছে, তাই ঠোঁটে লেবুর রস লাগাতে পারেন। চাইলে চিনির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে স্ক্রাবও তৈরি করে নেওয়া যায়।

ছবি: পেক্সেলস
ছবি: পেক্সেলস

বিটরুট

ডায়াবেটিস না থাকলে ঠোঁট গোলাপি করতে আপনার নিয়মিত এ সবজিটি খাওয়া উচিত। এতে খনিজ ও ভিটামিন রয়েছে, যা আপনার ত্বকের জন্য উপকারী হতে পারে। এটি ত্বকের বার্ধক্য ও বিবর্ণতা রোধ করে। তাই রং হালকা করতে ও ত্বককে আর্দ্র রাখতে বিটরুটের রস ঠোঁটে ব্যবহার করতে পারেন।

যা মেনে চলতে হবে

রাসায়নিকের পরিবর্তে প্রাকৃতিক বিকল্প ব্যবহার

প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট গোলাপি করে তুলতে চাইলে রাসায়নিক উপাদানযুক্ত লিপস্টিক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। যদিও এ টিপসটি মেকআপপ্রেমীদের জন্য গ্রহণ করা কঠিন। তবে রাসায়নিক উপাদানযুক্ত লিপস্টিক ব্যবহারে ঠোঁট অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে ওঠে। এর পরিবর্তে প্রাকৃতিক বিকল্প যেমন ডালিম, বিটরুট বা স্ট্রবেরির রস যদি ঠোঁটে ব্যবহার করা যায়, তাহলে ঠোঁটে গোলাপি আভার পাশাপাশি আর্দ্রতাও বজায় থাকে।

ছবি: পেক্সেলস
ছবি: পেক্সেলস

লিপস্টিক ব্যবহার করতে চাইলে আগে ঠোঁট প্রাইম করতে হবে

লিপস্টিক লাগানোর আগে বাদাম বা নারকেল তেল দিয়ে হালকাভাবে ঠোঁট ব্রাশ করে নেওয়া ভালো। এগুলো ব্যবহার করার পর কয়েক মিনিট অপেক্ষা করে তারপর লিপস্টিক ব্যবহার করুন। এসব তেলের পরিবর্তে লিপ বামও ব্যবহার করা যেতে পারে। তেল বা লিপবামের এই কোট একটি প্রতিরক্ষামূলক স্তর হিসেবে কাজ করে ও ঠোঁটকে আর্দ্র রাখে। ফলে লিপস্টিকের কারণে ঠোঁট অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়ে না।

গোলাপি ঠোঁট পেতে যা এড়িয়ে চলতে হবে

এখন সবার কাছে লং লাস্টিং লিপস্টিক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। লিকুইড ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহার করলে তা ঠোঁটে দীর্ঘ সময় ধরে থাকে, কিন্তু টানা ব্যবহার করতে থাকলে ঠোঁটের রং কালচে হয়ে যেতে শুরু করে।

যত রাতে বাড়ি ফিরুন বা যতই ক্লান্ত থাকুন, ঘুমানোর আগে সব সময় লিপস্টিক ভালোভাবে তুলে তারপর বিছানায় যাবেন। লিপস্টিক তোলার পর ঠোঁটকে আর্দ্র করার জন্য লিপবাম বা প্রাকৃতিক যেকোনো তেল ব্যবহার করতে পারেন।

রক্তে পুষ্টি উপাদান পৌঁছানোর জন্য নারকেল বা বাদাম তেলের সঙ্গে পেপারমিন্ট তেল মিশিয়ে ঠোঁটে লাগাতে পারেন। এটি রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং ঠোঁটকে আর্দ্র রাখে।

ঠোঁট গোলাপি রাখতে চাইলে ধূমপান এড়াতে হবে। ধূমপানের একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো ঠোঁট কালো হয়ে যাওয়া।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

লাল শাপলায় শর্ষে ইলিশ

ফিচার ডেস্ক
ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা
ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা

বাজারে শাপলা পাওয়া যাচ্ছে। লাল শাপলা পেয়ে থাকলে ফ্রিজে রাখা ইলিশ মাছের মাথা ও লেজ দিয়ে রান্না করুন জম্পেশ করে। আপনাদের জন্য লাল শাপলায় শর্ষে ইলিশের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা

উপকরণ

লাল শাপলা ২ আঁটি, ইলিশ মাছের মাথা ও লেজ ১টি করে, পেঁয়াজকুচি আধা কাপ, আদা ও রসুনবাটা এক চা-চামচ, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া ও ধনেগুঁড়া এক চা-চামচ করে, লবণ স্বাদমতো, কাঁচা মরিচ ফালি ছয়-সাতটা, সরিষাবাটা ৪ টেবিল চামচ, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ।

প্রণালি

লাল শাপলা কেটে লবণ মাখিয়ে রেখে দিন ১ থেকে ২ ঘণ্টা। এরপর ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজকুচি হালকা ভেজে আদা ও রসুনবাটা, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া ও লবণ দিন। এরপর কষানোর জন্য পানি দিন। কষানো মসলায় মাছের মাথা, লেজ ও শাপলা দিন। এবার ফুটে উঠলে ঢাকনাসহ রান্না করুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। শেষে সরিষাবাটা আর কাঁচা মরিচ ফালি দিয়ে লবণ দেখে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল লাল শাপলায় শর্ষে ইলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত