Ajker Patrika

ইনস্টাগ্রামের মিউট অপশন কী, ব্যবহার করবেন যেভাবে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ইনস্টাগ্রামে কাউকে মিউট করা মানে হলো তাঁর উপস্থিতি প্ল্যাটফর্মটিতে আর টের পাওয়া যাবে না। ছবি: আলফার
ইনস্টাগ্রামে কাউকে মিউট করা মানে হলো তাঁর উপস্থিতি প্ল্যাটফর্মটিতে আর টের পাওয়া যাবে না। ছবি: আলফার

বর্তমান ডিজিটাল যুগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকা প্রায় সবার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম ইনস্টাগ্রামে প্রতিদিন আমরা বিভিন্ন ধরনের ছবি, ভিডিও ও স্টোরি দেখে থাকি। তবে কখনও কখনও এমন কিছু ব্যবহারকারী থাকেন, যাঁদের কনটেন্ট আমাদের ভালো নাও লাগতে পারে, অথচ তাঁদের আনফলো করাও সম্ভব হয়ে ওঠে না। এ রকম পরিস্থিতিতে ইনস্টাগ্রামের ‘মিউট’ অপশনটি অত্যন্ত কার্যকর।

ইনস্টাগ্রামে ‘মিউট’ অপশন কী

ইনস্টাগ্রামে কাউকে মিউট করা মানে হলো তাঁর উপস্থিতি প্ল্যাটফর্মটিতে আর টের পাওয়া যাবে না। আপনি তাঁর ফলোয়ারে থাকবেন এবং সে আপনারও ফলোয়ারে থাকবে, তবে আপনার ইন্টারঅ্যাকশনগুলো অনেকটা কমে যাবে। সৌভাগ্যবশত, ইনস্টাগ্রাম মিউট করার খবর সেই ব্যবহারকারীকে জানায় না।

ইনস্টাগ্রামে কাউকে মিউট করার ফলে যা হয়

  • যদি আপনি তাঁদের পোস্ট মিউট করেন, তাহলে তাঁদের পোস্টগুলো আপনার ফিডে আর প্রদর্শিত হবে না।
  • যদি আপনি তাঁদের স্টোরি মিউট করেন, তাহলে তাঁদের স্টোরিগুলো আপনার ফিডের শীর্ষে আর দেখা যাবে না।
  • যদি আপনি তাঁদের নোট মিউট করেন, তাহলে তাঁরা যে নোট শেয়ার করে তা আপনি দেখতে পাবেন না।
  • যদি আপনি তাঁদের মেসেজ ও কল মিউট করেন, তাহলে তাঁরা যখন আপনাকে মেসেজ বা কল করবে, তখন আপনি কোনো নোটিফিকেশন পাবেন না।

একটি বিষয় মনে রাখা জরুরি, মিউট করার পরও তাঁরা আপনার পোস্ট, স্টোরি ও প্রোফাইল দেখতে এবং সেগুলোর সঙ্গে ইন্টারঅ্যাক্ট করতে পারেন।

কারও অ্যাকাউন্ট মিউট করবেন যেভাবে

১. স্মার্টফোন থেকে ইনস্টাগ্রাম অ্যাপ চালু করুন।

২. এখন নিচের দিকে থাকা ‘সার্চ’ বাটনে ট্যাপ করুন।

৩. এবার যে অ্যাকাউন্ট মিউট করতে চান সার্চ বক্সে তার ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেল টাইপ করুন।

৪. সার্চ ফলাফলে কাঙ্ক্ষিত অ্যাকাউন্ট এলে তার ওপর ট্যাপ করুন।

৫. প্রোফাইলটি দেখা গেলে ‘ফলোয়িং’ বাটনের ওপর ট্যাপ করুন। এর ফলে একটি মেনু চালু হবে।

৬. মেনু থেকে ‘মিউট’ অপশনে ট্যাপ করুন।

৭. এরপর কোন কোন কনটেন্ট মিউট করা যাবে, তার অপশন দেখা যাবে। যেমন: স্টোরিস, পোস্ট ও নোটস।

৮. এখন অপশনগুলোর পাশে থাকা টগল বাটনে ট্যাপ করলেই ওই অ্যাকাউন্টের স্টোরিস, পোস্ট ও নোটস দেখা যাবে না।

ওপরের প্রক্রিয়ায় আবার কারও অ্যাকাউন্ট আনমিউটও করা যাবে। তবে এ ক্ষেত্রে টগল বাটনটি ট্যাপ করে বন্ধ করে দিতে হবে।

কল ও মেসেজ মিউট করবেন যেভাবে

১. স্মার্টফোন থেকে ইনস্টাগ্রাম অ্যাপ চালু করুন।

২. এখন ডান পাশের ওপরের দিকে থাকা ‘মেসেঞ্জার’ বাটনে ট্যাপ করুন।

৩. এবার যে চ্যাট থ্রেড থেকে কল ও মেসেজের নোটিফিকেশন পেতে চান না, সেটি চালু করুন।

৪. ওপরের বাম দিকে থাকা প্রোফাইল নামের ওপর ট্যাপ করুন। ফলে একটি নতুন পেজ চালু হবে।

৫. মেনু থেকে ‘মিউট’ বাটনে ট্যাপ করুন।

৬. এবার কল মিউট করার জন্য ‘মিউট কলস’ অপশনের পাশে থাকা টগল বাটনে ট্যাপ করুন।

আর মেসেজ মিউট করার জন্য ‘মিউট মেসেজেস’ অপশনের পাশে থাকা টগল বাটনে ট্যাপ করুন।

এভাবে মিউট অ্যাকাউন্ট থেকে কোনো কল বা মেসেজ এলেও আপনি কোনো নোটিফিকেশন পাবেন না। পরে ইনবক্স চালু করলেই কেবল তা দেখতে পারবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

মেষ

আজ আপনার তেজ এবং উদ্দীপনা আকাশ ছুঁয়েছে। সমস্যা হলো, এই পুরো শক্তিটা ভুল জায়গায় ব্যবহার করতে পারেন। হয়তো চা বানাতে গিয়ে ভুল করে মাইক্রোওয়েভে ডিম সেদ্ধ করার চেষ্টা করবেন, অথবা অফিসে সহকর্মীর কলম চুরি যাওয়া নিয়ে একটি রীতিমতো গোয়েন্দা অভিযান শুরু করে দেবেন। আপনার জন্য আজকের পরামর্শ: ‘শক্তিকে লাগান, তবে মাথাটাও লাগান!’ রাস্তায় হাঁটার সময় কোনো পাগলের সঙ্গে তর্ক করতে যাবেন না। সে আজ যুক্তিতে আপনাকে হারিয়ে দেবে।

বৃষ

আজকের দিনটি আপনার জন্য খাদ্য ও বিলাসের এক মহামিলন। প্রধান আর্থিক সিদ্ধান্ত হবে: ‘অতিরিক্ত একটি চিজ বার্গার অর্ডার করব, নাকি করব না?’ গ্রহ-নক্ষত্র বলছে, দ্বিধা করবেন না, সর্বদা ‘হ্যাঁ, অবশ্যই করব’ বলেন। তবে মনে রাখবেন, আলস্য আজ আপনার সেরা বন্ধু হতে পারে। আপনি এমন কঠিন কাজগুলো এড়িয়ে যাবেন, যা শোয়ার জায়গা থেকে দেড় মিটারের বেশি দূরে। যদি কোনো কাজ চেয়ার ছেড়ে উঠতে বাধ্য করে, তবে কাজটি আগামীকাল করার কথা ভাবুন।

মিথুন

আপনার ভেতরের দুটি সত্তা আজ চূড়ান্ত দ্বন্দ্বে লিপ্ত। একজন চাইবে একটি নতুন দক্ষতা শিখতে (যেমন, চীনা ভাষা বা পান সাজানো), আর অন্যজন চাইবে শুধু বিছানায় শুয়ে ইন্টারনেট স্ক্রল করতে। দিনটি কাটবে মূলত নিজের সঙ্গেই তুমুল ঝগড়া করে। আপনি আয়নার সামনে গিয়ে নিজেকেই বলবেন, ‘তুমি আমার জীবন নষ্ট করে দিচ্ছ!’ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একটি কয়েন টস করুন। এটি অন্তত আপনার একটি সত্তাকে কিছুক্ষণের জন্য চুপ করিয়ে দেবে। আজ কোনোভাবেই আয়নার দিকে তাকিয়ে বেশি হাসবেন না। নিজের হাসির প্রতিক্রিয়া দেখে আপনি আরও বিভ্রান্ত হতে পারেন।

কর্কট

আজ আপনার সংবেদনশীলতার মিটার ফুল স্কেলে! আপনি ডিটারজেন্টের বিজ্ঞাপনে আবেগের দৃশ্য দেখে কেঁদে ফেলতে পারেন, অথবা সামান্য ট্র্যাফিকের শব্দে জীবন নিয়ে গভীর দার্শনিক চিন্তায় ডুবে যেতে পারেন। মনে হবে যেন সবাই আপনার শত্রু এবং আপনাকে আঘাত করার জন্যই পৃথিবীতে এসেছে। ফলস্বরূপ, আপনি হয়তো একটি বিশাল বালিশের দুর্গ বানিয়ে তার ভেতরে লুকিয়ে থাকবেন। জরুরি অবস্থার জন্য আপনার বালিশের দুর্গে স্ন্যাকস এবং চকলেট মজুত রাখুন। আগে নিজে বাঁচুন, পরে পৃথিবী সামলানো যাবে। বালিশের দুর্গ থেকে না বেরিয়েও সফলভাবে টিভি রিমোট খুঁজে বের করাই হবে আজ দিনের সেরা অর্জন। মনে রাখবেন, ভাগ্য বলুন বা রাশিফল, সবচেয়ে বড় শক্তি হলো আপনার হাসির ক্ষমতা! উপভোগ করুন!

সিংহ

আজকের দিনটি আপনার জন্য স্পটলাইট! সমস্যা হলো, স্পটলাইটটা আজ আপনার দিকে ঘুরে আলমারি বা বাথরুমের ভুল জায়গায় ফোকাস করবে। আপনি চাইবেন সবাই আপনার প্রশংসা করুক, কিন্তু তারা হয়তো শুধু দেখবে আপনার জুতার তলায় লেগে থাকা চুইংগাম। আজকে ট্রাফিক জ্যাম মেজাজ খারাপ করবে। নিজেকে একটু আড়াল করুন। আজকের দিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন।

কন্যা

পারফেকশন আপনার রক্তে। আপনি হয়তো পুরো দিনটা কাটাবেন টুথব্রাশের ব্রিসলগুলো ঠিকঠাক সারিতে আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে। যদি জীবনের কোনো কিছু আজ ০.০০১ শতাংশও এদিক-ওদিক হয়, তবে হয়তো পৃথিবী উল্টে দেবেন। মস্তিষ্কে আজ একটি চেক-লিস্ট আছে যা শেষ হওয়া অসম্ভব। বুক ভরে শ্বাস নিন। পৃথিবীটা এলোমেলো, বিশৃঙ্খল এবং এটিই তার সৌন্দর্য। একটি মশা আজ ঠিক আপনার টেবিলে ল্যান্ড করলেও তাকে মাফ করে দিন। এমন একটি জিনিস খুঁজে বের করুন যা ত্রুটিপূর্ণ এবং সেটিকে সানন্দে উপেক্ষা করুন— এটিই আপনার জন্য আজকের পরামর্শ।

তুলা

আজ আপনার জীবন হলো একটি ভারসাম্যপূর্ণ দাঁড়িপাল্লা, যার একদিকে আছে সব কাজ ফেলে রেখে সিরিজ দেখা, আর অন্যদিকে আছে ‘আমার তো অনেক কাজ’— এই অপরাধবোধ। দিনের শেষে দেখা যাবে, দুটিই সমান ভারী এবং কাজ কিছুই হয়নি। সিদ্ধান্ত নিতে এতটাই বেশি সময় নেবেন যে, প্রিয় খাবারটা ততক্ষণে ঠান্ডা হয়ে যাবে। আজ যা ভালো লাগে, তাই করুন। কাউকে খুশি করতে যাবেন না, কারণ তাতে ব্যালেন্স স্কেল বিগড়ে যাবে। অন্য কাউকে আপনার হয়ে রাতের খাবার অর্ডার করতে দিন— এটা সবদিক থেকেই ভালো হবে।

বৃশ্চিক

আজ মস্তিষ্ক একটু বেশি সক্রিয় থাকবে, চিন্তাভাবনায় খুব উগ্র থাকবেন, সম্ভবত একটি সরল প্রশ্নকেও গভীর ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বলে মনে করবেন। যদি কেউ আপনাকে বলে, ‘আজ আবহাওয়া ভালো,’ আপনি সঙ্গে সঙ্গে ভাববেন, ‘হঠাৎ আমার সঙ্গে এই কথা কেন, নিশ্চয়ই এর পেছনে অন্য উদ্দেশ্য থাকতে পারে!’ আপনার ভেতরের গোয়েন্দা আজ ওভারটাইম ডিউটি করবে। কোনো ইমোজি ব্যবহার করে মেসেজ পাঠাবেন না। এর ফল মারাত্মক হতে পারে। কারণ প্রতিটা ইমোজির গভীর অর্থ খুঁজতে গিয়ে গুবলেট পাকিয়ে ফেলতে পারেন। নিজের ফোনটা আজ বারবার চেক করা বন্ধ করুন। কারণ আপনাকে কেউ ফলো করছে না।

ধনু

ভ্রমণের নেশা আজ পেয়ে বসবে। আপনি হয়তো ড্রয়িংরুম থেকেই এক ঘণ্টার মধ্যে গুগল ম্যাপে পৃথিবীর সবকটি দেশের রাজধানী দেখে ফেলবেন। অ্যাডভেঞ্চার আপনার জন্য অপেক্ষা করছে, তবে তা হয়তো রান্নাঘরের ফ্রিজের পেছনে লুকিয়ে থাকা পুরোনো জ্যামের বোতল খুঁজে বের করার মতো ছোটখাটো কিছু হতে পারে। আপনি যে মহান আবিষ্কারটি আজ করতে চলেছেন, তা হয়তো হলো— ‘বিছানার নিচে হারিয়ে যাওয়া চাবিটা আসলে আপনার হাতেই ছিল।’ অন্তত একটি দেশের নাম ভুল উচ্চারণ করুন, সেটা নিয়ে আবার গর্বও করুন। তাতে অন্তত অপমানিত হওয়ার অমোঘ নিয়তি থাকার পরও অল্পের ওপর দিয়ে যাবে।

মকর

দায়িত্বের বোঝা আজ কাঁধে হিমালয়ের মতো চেপে বসবে। এতটাই সিরিয়াস থাকবেন যে, কেউ যদি একটি জোকও বলে, আপনি সেটার নৈতিকতা ও কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনা শুরু করে দেবেন। মনে হবে, আপনি একাই গোটা পৃথিবীকে চালাচ্ছেন, এমনকি যদি দিনের বেশির ভাগ সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থহীন পোস্ট দেখেও কাটান। আজ অন্তত একবার কোনো কারণ ছাড়াই হাসুন। এটা খুব কঠিন হবে, কিন্তু চেষ্টা করুন। আজই অবসর গ্রহণের পরিকল্পনা করুন, যদিও আপনি সবে ক্যারিয়ার শুরু করেছেন।

কুম্ভ

আজ অন্যদের থেকে এক হাজার বছর এগিয়ে আছেন। আপনার চিন্তাগুলো এতই মৌলিক যে, কেউ সেগুলো বুঝতেই পারবে না। যখন সবাই ক্রিকেট নিয়ে কথা বলছে, আপনি তখন হয়তো মঙ্গল গ্রহে জলবায়ু পরিবর্তনের সমাধান নিয়ে গভীরভাবে মগ্ন। ফলস্বরূপ, নিজেকে সমাজের ভুল জায়গায় থাকা একজন এলিয়েন বলে মনে করবেন। আজ মানুষের সঙ্গে এমন একটি বিষয়ে কথা বলুন, যা গত দশ বছরে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আজ আপনার মোজা জোড়াটা উল্টো করে পরুন। এটা আপনার ব্যক্তিগত বিপ্লব!

মীন

আজ স্বপ্ন আর বাস্তবতার মাঝামাঝি ভাসছেন। কল্পনার জগতে এতটাই ডুবে থাকবেন যে, বাস্তব জীবনে আপনি হয়তো কফি কাপের বদলে রিমোট কন্ট্রোল দিয়ে কফি বানাতে চাইবেন। আপনার আবেগ আজ একটি সমুদ্র, যেখানে নিজেই ডুবে যেতে পারেন। গুরুত্বপূর্ণ কথোপকথনে ঢোকার আগে কান পরিষ্কার করুন। আপনি হয়তো অর্ধেক কথা ভুল শুনবেন। দিনের শেষে মনে করার চেষ্টা করুন, আপনি স্বপ্ন দেখছিলেন নাকি সত্যিই কাজটি করেছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সকালে মেথি ভেজানো পানি পান করার উপকারিতা ও নিয়ম

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
মেথির সম্ভাব্য উপকারের মধ্যে রয়েছে হজমশক্তি বাড়াতে সহায়তা করা, রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ উন্নত করা, প্রদাহ কমানো করা ইত্যাদি। ছবি: অনলি মাই হেলথ ডট কম
মেথির সম্ভাব্য উপকারের মধ্যে রয়েছে হজমশক্তি বাড়াতে সহায়তা করা, রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ উন্নত করা, প্রদাহ কমানো করা ইত্যাদি। ছবি: অনলি মাই হেলথ ডট কম

মেথি ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ একটি উদ্ভিদ। এটি সাধারণত রান্নায় মসলা এবং ভেষজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর বীজ কিছুটা তিতা স্বাদের। তবে এই উপাদানটি ভারত, মধ্যপ্রাচ্য এবং ভূমধ্যসাগরীয় রান্নায় ব্যবহৃত হয়। মেথিতে আরও আছে আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ। এর সম্ভাব্য উপকারের মধ্যে রয়েছে হজমশক্তির সহায়তা, রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ উন্নত করা, প্রদাহ হ্রাস করা ইত্যাদি।

মেথি ভেজানো পানি পানের উপকারিতা

মেথি ভেজানো পানি রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়ক বলে প্রমাণিত হয়েছে। ছবি:গুড হাউস কিপিং
মেথি ভেজানো পানি রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়ক বলে প্রমাণিত হয়েছে। ছবি:গুড হাউস কিপিং

উন্নত হজমশক্তি: মেথি পানিতে উচ্চ ফাইবার উপাদান থাকায় এটি বদহজম, পেট ফাঁপা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো হজমের সমস্যা কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটি পুষ্টির শোষণকেও উন্নত করতে পারে।

চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি: মেথি পানি চুল পড়া কমাতে, চুল গজাতে উদ্দীপনা জোগাতে এবং খুশকি বা চুলকানির মতো মাথার ত্বকের সমস্যা প্রতিরোধে সহায়ক বলে মনে করা হয়।

রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি: মেথি পানিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, যা শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমণ এবং রোগ থেকে রক্ষা করে।

ওজন কমাতে সাহায্য করে

মেথি পানি ক্ষুধা কমায়। অন্যদিকে এটি বিপাক হার বাড়ায় এবং ফ্যাট জমা কমাতে সাহায্য করে। এ কারণে এটি ওজন হ্রাসে সহায়তা করতে পারে।

কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস: মেথি পানি খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এমনকি এটি সামগ্রিক হৃদ্‌যন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। নিয়মিত পান করলে এই উপকার পাওয়া যায়।

রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ: মেথি পানি রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়ক বলে প্রমাণিত হয়েছে। এটি ডায়াবেটিস বা ইনসুলিন প্রতিরোধের সমস্যাযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য উপকারী।

প্রদাহরোধী বৈশিষ্ট্য: মেথি পানিতে এমন যৌগ রয়েছে যা প্রদাহরোধী প্রভাব ফেলে। ফলে আর্থ্রাইটিস এবং হাঁপানির মতো প্রদাহ-সম্পর্কিত অবস্থার উপশম ঘটাতে সাহায্য করে।

হরমোনের ভারসাম্য: মেথি পানি এর ফাইটোইস্ট্রোজেন উপাদানের জন্য পরিচিত। বিশেষত মেনোপজের উপসর্গ অনুভব করা নারীদের ক্ষেত্রে এটি হরমোনের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে। যারা মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তপাতের সমস্যায় ভোগেন, মেথি পানি তাঁদের কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে। মেথি জরায়ুর পেশি সংকোচন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, যা অতিরিক্ত প্রবাহ এবং মাসিকের ব্যথা কমাতে পারে। নিয়মিত পান করলে শরীর এই সময়ে সঠিক আয়রনের মাত্রা বজায় রাখতেও সাহায্য করে। মাসিকের সময় মেথি পানি পান করলে রক্তপাতের ভারসাম্য ঠিক থাকে এবং অতিরিক্ত দুর্বল বা ক্লান্ত বোধ করা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি: মেথি পানি নিয়মিত পান করা ব্রণ কমাতে, পরিষ্কার ত্বক বজায় রাখতে এবং ত্বকে স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা দিতে সহায়তা করে। সার্বিকভাবে এটি ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে পারে।

মানসিক চাপ কমায় মেথি পানি

মেথি পানি পান করার অভ্যাস মেজাজ ভালো রাখতে ও মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। শরীরে ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন হরমোনের পরিবর্তনের কারণে অনেক সময় কোনো স্পষ্ট কারণ ছাড়াই আবেগপ্রবণ, দুঃখী বা খিটখিটে লাগতে পারে। বিশেষ করে মাসিকের সময় মেথি ভেজানো পানি পান এই হরমোনগুলোকে ভারসাম্য রাখতে এবং মনকে স্বাভাবিকভাবে শান্ত রাখতে সাহায্য করতে পারে। মেথিতে ম্যাগনেশিয়াম এবং ভিটামিন বি৬-এর মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের সহায়তা করে এবং মানসিক চাপের মাত্রা কমায়। মন যখন শান্ত থাকে, তখন শরীরও ভালো অনুভব করে। একটি লম্বা কর্মময় দিনের শেষে আরাম পেতে আপনি প্রতিদিন একবার, বিশেষত সন্ধ্যায়, উষ্ণ মেথি পানি পান করতে পারেন।

কীভাবে তৈরি করবেন মেথি পানি

মেথি পানি প্রস্তুত করার প্রক্রিয়া বেশ সহজ। এর জন্য প্রথমে ১ থেকে ২ চা চামচ মেথি বীজ এক গ্লাস পানিতে সারা রাত (প্রায় ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা) বা কমপক্ষে ৪ ঘণ্টার জন্য ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খালি পেটে পানি থেকে মেথি ছেঁকে ফেলে দিয়ে পান করুন। হালকা স্বাদ চাইলে বীজগুলো গরম পানিতে ভেজাতে পারেন। চাইলে কয়েক মিনিট জলে ফুটিয়েও নিতে পারেন। অনেকেই বিশ্বাস করেন যে সকালে খালি পেটে মেথি পানি পান করা সবচেয়ে উপকারী। তবে আপনি আপনার পছন্দ বা প্রয়োজন অনুসারে দিনের অন্য যেকোনো সময় এটি পান করতে পারেন।

নিরাপত্তা এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

মেথি বেশির ভাগ মানুষের জন্য আপেক্ষিকভাবে নিরাপদ বলে মনে হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে ডায়রিয়া এবং বদহজমের মতো হালকা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। এ ছাড়া, এটি ক্ষুধা কমিয়ে দিতে পারে। যাঁরা ওজন বাড়াতে চান তাঁদের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। যেহেতু এটি রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে প্রভাব ফেলে, তাই যাঁরা ডায়াবেটিসের ওষুধ বা রক্তে শর্করা কমানোর অন্যান্য সাপ্লিমেন্ট নিচ্ছেন, তাঁদের মেথি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা উচিত।

সূত্র: হেলথ লাইন, হেলথ শর্টস

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কফি পান করুন দুপুরের আগেই—হার্ভার্ড চিকিৎসকের সাত পরামর্শ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

অনেকের জীবনেই অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে কফি। সকালে এক কাপ গরম কফির সুবাস যেমন একটি সুন্দর দিনের সূচনা করে, তেমনি বিকেলের এক চুমুক ক্লান্তি দূর করে দেয়। কিন্তু হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক ও গবেষক ডা. তৃষা পাসরিচা সতর্ক করেছেন—কফি ঠিকভাবে না খেলে উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হতে পারে। সম্প্রতি তিনি কফি পানের সাতটি স্বাস্থ্যসম্মত উপায় জানিয়েছেন।

প্রতি কাপে এক চামচের বেশি চিনি নয়

২০২২ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা চিনি ছাড়া কফি পান করেন, তাদের মৃত্যুঝুঁকি কম। এমনকি যারা দিনে চার কাপের বেশি কফি পান করেন, তাদের জীবনকালও তুলনামূলক দীর্ঘ হয়। সামান্য (প্রায় এক চা চামচ) চিনি ব্যবহার করলেও তেমন ক্ষতি হয় না।

প্রক্রিয়াজাত কফি ক্রিমার এড়িয়ে চলুন

বেশির ভাগ জনপ্রিয় ক্রিমারে উদ্ভিজ্জ তেল (যেমন পাম বা সয়াবিন তেল) ও অতিরিক্ত চিনি থাকে। এর পরিবর্তে দারুচিনি বা প্রাকৃতিক মসলা ব্যবহার করলে স্বাদ ও স্বাস্থ্যের ভারসাম্য বজায় থাকে।

কৃত্রিম মিষ্টিকারক ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন

আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, কৃত্রিম সুইটনার কফির প্রাকৃতিক উপকারিতা নষ্ট করে দেয়। ডা. পাসরিচা বলেন, এসব বিকল্প মিষ্টি সবাইকে জন্য স্বাস্থ্যকর নয়।

ফ্রেঞ্চ প্রেস ব্যবহার কমান

তিনি জানান, দিনে তিন থেকে পাঁচ কাপ এসপ্রেসো বা ছয় বা ততোধিক কাপ ফ্রেঞ্চ প্রেস কফি পান করলে কোলেস্টেরল বেড়ে যায়। কারণ এতে থাকা ‘ডিটারপিন’ নামক যৌগ লিভারের এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরল অপসারণ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। কাগজের ফিল্টার এই যৌগ আটকে রাখতে পারে।

ইনস্ট্যান্ট ও ডিক্যাফ কফিও ভালো বিকল্প

২০২২ সালের আরেক গবেষণায় বলা হয়েছে, ইনস্ট্যান্ট ও ডিক্যাফ কফিতেও প্রায় একই স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়।

দুপুরের আগে কফি শেষ করুন

২০২৫ সালের এক গবেষণায় ৪০ হাজার মার্কিন নাগরিকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে—যারা দুপুরের আগে কফি খান, তাদের মৃত্যুঝুঁকি ১৬ শতাংশ কম। বিকেল বা রাতে কফি পান করলে ‘মেলাটোনিন’ হরমোনের নিঃসরণ প্রায় ৩০ শতাংশ কমে যায়, যা ঘুম ও দেহঘড়ির ছন্দ নষ্ট করে।

হজম প্রক্রিয়ায় কফির ভূমিকা

কফি পাকস্থলীতে পৌঁছে সঙ্গে সঙ্গে কোলনে সংকোচন ঘটায়—এ কারণেই অনেকের কফি খাওয়ার পর টয়লেটে যেতে হয়। এটি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ও স্বাস্থ্যকর প্রতিক্রিয়া।

তাই, কফিপ্রেমীদের জন্য পরামর্শ হলো—কফি পান করুন, তবে বুঝেশুনে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শসার ৬টি স্বাস্থ্য উপকারিতা

ফিচার ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

শসাকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। এটি ফল নাকি সবজি, সে বিতর্ক করাই যায়। কিন্তু এর যে উপকারী দিক আছে, তা নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। শসা রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে।

শসার প্রায় ৯৬ শতাংশ পানি। এর সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে এটি খোসাসহ খাওয়া উচিত। খোসা ছাড়ালে আঁশ, সেই সঙ্গে কিছু ভিটামিন ও খনিজের পরিমাণও কমে যায়। শসায় উপকারী পুষ্টি ও নির্দিষ্ট উদ্ভিদ যৌগ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা কিছু রোগ নিরাময় ও প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। এতে ক্যালরি কম থাকে। এ ছাড়া এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে পানি ও দ্রবণীয় আঁশ। শসার এ সব উপাদান শরীর হাইড্রেটেড রাখতে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।

পুষ্টিতে ভরপুর শসা

খোসা না ছাড়ানো, কাঁচা ৩০০ গ্রাম শসাতে মোটামুটি যা থাকে, সেগুলো হলো,
উপাদানপরিমাণ
ক্যালোরি৪৫
মোট চর্বি ০.৩ গ্রাম০.৩ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট১১ গ্রাম
প্রোটিন২ গ্রাম
ফাইবার (আঁশ)১.৫ গ্রাম
ভিটামিন সি৮ গ্রাম
ভিটামিন কে৪৯ মাইক্রোগ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম৩৯ মাইক্রোগ্রাম
পটাসিয়াম৪৪২ মিলিগ্রাম
ম্যাঙ্গানিজ০.২ মিলিগ্রাম

উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হলো এমন অণু যা অক্সিডেশনকে বাধা দেয়। যেটি মূলত ফ্রি র‍্যাডিক্যালস নামে পরিচিত অত্যন্ত প্রতিক্রিয়াশীল পরমাণু তৈরি করে। শরীরে এই ক্ষতিকারক ফ্রি র‍্যাডিক্যালস জমা হলে বিভিন্ন ধরণের দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা তৈরি করতে পারে। সেগুলোর মধ্যে আছে ক্যানসার, হৃদ্‌রোগ, ফুসফুসের রোগ এবং অটোইমিউন রোগ। শসাসহ বিভিন্ন ফল ও সবজিতে উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি থাকে, যা এই অবস্থার ঝুঁকি কমাতে পারে। একটি টেস্ট-টিউব গবেষণায় দেখা গেছে, শসাতে ফ্ল্যাভোনয়েডস ও ট্যানিন রয়েছে, যা ক্ষতিকারক ফ্রি র‍্যাডিক্যালসগুলোকে আটকাতে বিশেষভাবে কার্যকর।

পানির ভারসাম্য তৈরি করতে সাহায্য করে

পানি শরীরের কার্যকারিতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং বর্জ্য ও পুষ্টি পরিবহনের মতো অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। পানির ভারসাম্য শারীরিক কর্মক্ষমতা থেকে শুরু করে বিপাক পর্যন্ত সবকিছুকে প্রভাবিত করতে পারে। মানুষ মূলত পানি বা অন্যান্য পানীয় পান করে তরলের বেশির ভাগ প্রয়োজন মেটায়। তবে খাদ্য থেকে মানুষ প্রায় ৪০ শতাংশ পানি পেতে পারে। ফল ও সবজি খাদ্যে পানির একটি ভালো উৎস। শসায় থাকে প্রায় ৯৬ শতাংশ পানি। তাই এটি কার্যকরভাবে শরীরে পানির ভারসাম্য রাখতে এবং দৈনন্দিন তরলের চাহিদা মেটাতে সহায়তা করতে পারে।

pexels-catscoming-406152

ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে

শসা কয়েকটি ভিন্ন উপায়ে ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। এতে ক্যালরি কম থাকে। প্রতিটি ১০৪ গ্রাম শসায় থাকে প্রায় ১৬ ক্যালরি। এর অর্থ হলো ওজন বাড়ার চিন্তা না করে প্রচুর পরিমাণে শসা খাওয়া যায়। শসা সালাদ, স্যান্ডউইচ এবং অন্যান্য খাবারে সতেজতা ও স্বাদ যোগ করে। এটি উচ্চ-ক্যালরিযুক্ত খাবারের বদলে ব্যবহার করা যেতে পারে। শসার উচ্চ জলীয় উপাদান ওজন কমাতে সাহায্য করে। বেশি পানি ও কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খেলে শরীরের ওজন উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায় বলে এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে।

রক্তে শর্করা কমাতে সাহায্য করতে পারে

বিভিন্ন প্রাণী ও টেস্ট-টিউব গবেষণায় দেখা গেছে যে, শসা রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে এবং ডায়াবেটিসের কিছু জটিলতা প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। প্রাণীর ওপর এক গবেষণায় দেখা গেছে, শসার খোসার নির্যাস রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস করেছে। এ ছাড়া, একটি টেস্ট-টিউব গবেষণায় দেখা গেছে, শসা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে এবং ডায়াবেটিস-সম্পর্কিত জটিলতাগুলো প্রতিরোধে কার্যকর হতে পারে। তবে, মানুষের রক্তে শসা কীভাবে প্রভাব ফেলতে পারে তা নির্ধারণের জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন।

পেট ভালো রাখতে সহায়তা করে

পানিশূন্যতা কোষ্ঠকাঠিন্যের একটি প্রধান ঝুঁকি। কারণ এটি পানির ভারসাম্যে পরিবর্তন আনে এবং মলত্যাগ কঠিন করে তোলে। শসাতে জলীয় অংশ বেশি এবং এটি হাইড্রেশনকে উৎসাহিত করে। হাইড্রেটেড থাকলে মলের ধারাবাহিকতা উন্নত হয়, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ ও নিয়মিত হয়। এ ছাড়া, শসাতে আঁশ থাকে, যা মলত্যাগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। বিশেষ করে, শসায় পাওয়া দ্রবণীয় আঁশ পেকটিন অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং মলত্যাগের হার বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।

সূত্র: হেলথলাইন ও ইভিএনএক্সপ্রেস

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত