অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া
‘আগে তো বুঝি নাই, সে এমন!’ আমাদের চারপাশে প্রায়শই এ ধরনের কথা শোনা যায়। যখন কেউ এসব কথা বলে, বুঝতে হবে সময়টা পেরিয়ে গেছে বেশ খানিক। কিন্তু তাতেই কি সব শেষ? না। বিষয়টি তেমন নয়। যাঁর সঙ্গে জীবন কাটাবেন, তাঁকে বুঝে নেওয়া শিখতে হবে। সেভাবে তাঁর সঙ্গে নিজের আচরণের প্যারামিটার নির্ধারণ করতে হবে। সম্ভব হলে আপনার সঙ্গীর এসব লক্ষণ আগে বুঝে নিন।
‘কোভার্ট নার্সিসিজম’ বলে একটি বিষয় আছে মনোবিদ্যার জগতে। কোভার্ট নার্সিসিস্টরা সেই জগতে অনেকটা ছুপা রুস্তম। তাদের সহজে ধরতে পারা কঠিন। একে দুর্বল নার্সিসিজমও বলে। কারণ, কোভার্ট নার্সিসিস্ট মানুষ অনেকটাই অন্তর্মুখী। তাদের নিজস্ব নিরাপত্তাহীনতা আছে। তারা নিজেদের গুরুত্ব চাইবার প্রবণতাকে ঢেকে রাখতে পারে। পক্ষান্তরে তারা অনেক বেশি অন্যের কাছ থেকে মনোযোগে চায়। এমনকি দেখা গেছে, বহুদিন ধরে সম্পর্কে থাকার পরেও এদের বোঝা যায় না। সে কারণে এরা খানিকটা বেশি বিপজ্জনক। ফলে এদের সামাল দেওয়া কঠিন। কারণ, এরা চট করে রাগ প্রকাশ করে না। এরা চিৎকার-চেঁচামেচি বা প্রকাশ্যে বিবাদ না করেও বেশি প্রতিশোধ নিতে পারে। এ ধরনের মানুষ তাদের সত্যিকারের অনুভূতি গোপন রাখতে পারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের লক্ষ্য বাকি সব নার্সিসিস্টের মতো। ভয়ংকর ব্যাপার হচ্ছে, এরা মনে করে না যে এরা কিছু ভুল করছে।
এদের মধ্যে আরেকটি প্রবণতা থাকে। যেটিকে বলা হয় প্যাসিভ অ্যাগ্রেশন। অর্থাৎ এরা সরাসরি আপনাকে রাগ দেখাবে না। কিন্তু আচরণে ঠিকই বুঝিয়ে দেবে। আর এটাকে তারা ম্যানিপুলেশন করার জন্য অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবে।
প্যাসিভ অ্যাগ্রেশনমূলক আচরণের মধ্যে আছে
নার্সিসিজম কী
‘নার্সিসিজম’ বলতে প্রচলিত অর্থে আত্মকেন্দ্রিক, আত্মরতি, আত্মমুগ্ধতা, আত্মমগ্নতা ইত্যাদি নানা ধরনের বাংলা শব্দ ব্যবহৃত হতে পারে। কারও কারও ব্যক্তিত্বে নার্সিসিস্টিক প্রবণতা ও বৈশিষ্ট্য থাকে। ক্ষেত্রবিশেষে এই প্রবণতা মারাত্মক পর্যায়ে গেলে সেটা ব্যক্তিত্বের ব্যাধিতে অর্থাৎ নার্সিসিস্টিক পারসোনালিটি ডিসঅর্ডারে পরিণত হয়। যেখানে আক্রান্ত ব্যক্তি নিজের সম্পর্কে অবাস্তব ধারণা পোষণ করেন। যেমন মনে করেন, তিনি অতিরিক্ত গুরুত্ব ও প্রশংসার দাবিদার কিংবা সবাই তার কথা শুনতে বাধ্য ইত্যাদি। এ প্রবণতা মানুষের আন্তসম্পর্ক ও প্রাত্যহিক জীবনযাপনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
‘ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিক্যাল ম্যানুয়াল অব মেন্টাল ডিসঅর্ডার’ পঞ্চম এডিশনে (ডিএসএম-৫) এই ব্যক্তিত্বের ব্যাধিকে ক্লাস্টার বি শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে। এর বিভিন্ন ধরন আছে। কোভার্ট নার্সিসিস্ট তার মধ্যে একটি।
যেসব কারণে মানুষ কোভার্ট নার্সিসিস্ট হয়
কিসে একজন কোভার্ট নার্সিসিস্ট উদ্দীপ্ত হয়
একজন কোভার্ট নার্সিসিস্ট জানে, কীভাবে অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হয়। এ জন্য হুলুস্থুল না করে ঠান্ডা মাথায় নিজের দিকে অন্যের মনোযোগ টেনে নিতে চেষ্টা করে।
কীভাবে বুঝবেন, আপনার সঙ্গী কোভার্ট নার্সিসিস্ট
কোভার্ট নার্সিসিস্টদের কথাবার্তায় কিছু লক্ষণ পাওয়া যায়। যেমন—
এরা অন্যের কাছ থেকে প্রশংসা আদায়ের জন্য বিভিন্নভাবে অন্যকে লজ্জা দেয়। ফলে আপনি যখন প্রত্যুত্তর দিতে যাবেন, তখন তারা আত্মরক্ষার বর্মের মধ্যে ঢুকে যাবে। এমনভাবে তাদের যুক্তি উপস্থাপন করতে থাকে যে মনে হবে সব দোষ অন্যের।
কোভার্ট নার্সিসিস্টদের বৈশিষ্ট্য
কোভার্ট নার্সিসিস্ট দাম্পত্য বা রোমান্টিক সম্পর্ক কেমন
যেভাবে সামাল দেবেন কোভার্ট নার্সিসিস্ট সঙ্গীকে
লেখক: চিকিৎসক ও কাউন্সেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার, বাংলাদেশ
‘আগে তো বুঝি নাই, সে এমন!’ আমাদের চারপাশে প্রায়শই এ ধরনের কথা শোনা যায়। যখন কেউ এসব কথা বলে, বুঝতে হবে সময়টা পেরিয়ে গেছে বেশ খানিক। কিন্তু তাতেই কি সব শেষ? না। বিষয়টি তেমন নয়। যাঁর সঙ্গে জীবন কাটাবেন, তাঁকে বুঝে নেওয়া শিখতে হবে। সেভাবে তাঁর সঙ্গে নিজের আচরণের প্যারামিটার নির্ধারণ করতে হবে। সম্ভব হলে আপনার সঙ্গীর এসব লক্ষণ আগে বুঝে নিন।
‘কোভার্ট নার্সিসিজম’ বলে একটি বিষয় আছে মনোবিদ্যার জগতে। কোভার্ট নার্সিসিস্টরা সেই জগতে অনেকটা ছুপা রুস্তম। তাদের সহজে ধরতে পারা কঠিন। একে দুর্বল নার্সিসিজমও বলে। কারণ, কোভার্ট নার্সিসিস্ট মানুষ অনেকটাই অন্তর্মুখী। তাদের নিজস্ব নিরাপত্তাহীনতা আছে। তারা নিজেদের গুরুত্ব চাইবার প্রবণতাকে ঢেকে রাখতে পারে। পক্ষান্তরে তারা অনেক বেশি অন্যের কাছ থেকে মনোযোগে চায়। এমনকি দেখা গেছে, বহুদিন ধরে সম্পর্কে থাকার পরেও এদের বোঝা যায় না। সে কারণে এরা খানিকটা বেশি বিপজ্জনক। ফলে এদের সামাল দেওয়া কঠিন। কারণ, এরা চট করে রাগ প্রকাশ করে না। এরা চিৎকার-চেঁচামেচি বা প্রকাশ্যে বিবাদ না করেও বেশি প্রতিশোধ নিতে পারে। এ ধরনের মানুষ তাদের সত্যিকারের অনুভূতি গোপন রাখতে পারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের লক্ষ্য বাকি সব নার্সিসিস্টের মতো। ভয়ংকর ব্যাপার হচ্ছে, এরা মনে করে না যে এরা কিছু ভুল করছে।
এদের মধ্যে আরেকটি প্রবণতা থাকে। যেটিকে বলা হয় প্যাসিভ অ্যাগ্রেশন। অর্থাৎ এরা সরাসরি আপনাকে রাগ দেখাবে না। কিন্তু আচরণে ঠিকই বুঝিয়ে দেবে। আর এটাকে তারা ম্যানিপুলেশন করার জন্য অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবে।
প্যাসিভ অ্যাগ্রেশনমূলক আচরণের মধ্যে আছে
নার্সিসিজম কী
‘নার্সিসিজম’ বলতে প্রচলিত অর্থে আত্মকেন্দ্রিক, আত্মরতি, আত্মমুগ্ধতা, আত্মমগ্নতা ইত্যাদি নানা ধরনের বাংলা শব্দ ব্যবহৃত হতে পারে। কারও কারও ব্যক্তিত্বে নার্সিসিস্টিক প্রবণতা ও বৈশিষ্ট্য থাকে। ক্ষেত্রবিশেষে এই প্রবণতা মারাত্মক পর্যায়ে গেলে সেটা ব্যক্তিত্বের ব্যাধিতে অর্থাৎ নার্সিসিস্টিক পারসোনালিটি ডিসঅর্ডারে পরিণত হয়। যেখানে আক্রান্ত ব্যক্তি নিজের সম্পর্কে অবাস্তব ধারণা পোষণ করেন। যেমন মনে করেন, তিনি অতিরিক্ত গুরুত্ব ও প্রশংসার দাবিদার কিংবা সবাই তার কথা শুনতে বাধ্য ইত্যাদি। এ প্রবণতা মানুষের আন্তসম্পর্ক ও প্রাত্যহিক জীবনযাপনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
‘ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিক্যাল ম্যানুয়াল অব মেন্টাল ডিসঅর্ডার’ পঞ্চম এডিশনে (ডিএসএম-৫) এই ব্যক্তিত্বের ব্যাধিকে ক্লাস্টার বি শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে। এর বিভিন্ন ধরন আছে। কোভার্ট নার্সিসিস্ট তার মধ্যে একটি।
যেসব কারণে মানুষ কোভার্ট নার্সিসিস্ট হয়
কিসে একজন কোভার্ট নার্সিসিস্ট উদ্দীপ্ত হয়
একজন কোভার্ট নার্সিসিস্ট জানে, কীভাবে অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হয়। এ জন্য হুলুস্থুল না করে ঠান্ডা মাথায় নিজের দিকে অন্যের মনোযোগ টেনে নিতে চেষ্টা করে।
কীভাবে বুঝবেন, আপনার সঙ্গী কোভার্ট নার্সিসিস্ট
কোভার্ট নার্সিসিস্টদের কথাবার্তায় কিছু লক্ষণ পাওয়া যায়। যেমন—
এরা অন্যের কাছ থেকে প্রশংসা আদায়ের জন্য বিভিন্নভাবে অন্যকে লজ্জা দেয়। ফলে আপনি যখন প্রত্যুত্তর দিতে যাবেন, তখন তারা আত্মরক্ষার বর্মের মধ্যে ঢুকে যাবে। এমনভাবে তাদের যুক্তি উপস্থাপন করতে থাকে যে মনে হবে সব দোষ অন্যের।
কোভার্ট নার্সিসিস্টদের বৈশিষ্ট্য
কোভার্ট নার্সিসিস্ট দাম্পত্য বা রোমান্টিক সম্পর্ক কেমন
যেভাবে সামাল দেবেন কোভার্ট নার্সিসিস্ট সঙ্গীকে
লেখক: চিকিৎসক ও কাউন্সেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার, বাংলাদেশ
নীল রং নিয়ে আমাদের আদিখ্যেতার শেষ নেই। কত যে উপমা তৈরি করা হয়েছে এই রং নিয়ে, তার হিসাব নেই। কিন্তু জানেন তো, এটি কষ্টেরও রং! শুধু মানসিক কষ্ট নয়, ত্বকবিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনার ব্যবহার করা মোবাইল ফোন, কম্পিউটারসহ যেকোনো ডিভাইস থেকে বের হওয়া নীল আলো বা ব্লু লাইট ত্বকেরও কষ্টের কারণ!
১১ মিনিট আগেস্বভাবে অলস, অথচ গাছপ্রেমী; এমন মানুষদের অফিসের ডেস্কে, ড্রয়িংরুমে কিংবা বেড সাইড টেবিলে যে উদ্ভিদ শোভা পায়, তার নাম লাকি ব্যাম্বু। সহজে মাটি অথবা পানিতে বেড়ে ওঠা এই উদ্ভিদ আমাদের দেশেও ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে গত ১০ বছরে।
১ ঘণ্টা আগেবাড়িতে লোকসংখ্যা যত, ব্যাগও কি তত? হিসাব করলে দেখা যাবে, ব্যাগের সংখ্যা বাসার মানুষের চেয়ে বেশি।
২ ঘণ্টা আগেআমার বয়স ৩৫ বছর। পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি করছি। ইদানীং চুল খুব বেশি পড়ে যাচ্ছে। তা ছাড়া চুল পেকে যাচ্ছে। কী করলে সমস্যা থেকে আমি মুক্তি পেতে পারি?
৩ ঘণ্টা আগে