অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া
একজন গর্ভবতী তাঁর অনাগত সন্তানের আগমনের জন্য অধীর আগ্রহে প্রস্তুতি নেন। এ সময় তিনি সঙ্গীর কাছ থেকে ভালোবাসা, সাহায্য ও সহমর্মিতা আশা করেন। এসব পাওয়ার পরিবর্তে যদি তিনি আবিষ্কার করেন, তাঁর সঙ্গী পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েছেন; তাহলে এর ফল তাঁর শরীর ও মনের ওপর প্রভাব ফেলে। পাশাপাশি অনাগত সন্তানের স্বাস্থ্য ও দম্পতির ভবিষ্যৎ সম্পর্কের মধ্যেও তা হুমকি হয়ে ওঠে।
স্ত্রীর গর্ভাবস্থায় পরকীয়া কতটা সাধারণ
কিছু পুরুষ ঘনিষ্ঠতার পরিবর্তন, আসন্ন দায়িত্বের ভয় অথবা ব্যক্তিগত নিরাপত্তাহীনতার সঙ্গে লড়াই করেন। এ সময় কোনো পথ বের করতে না পেরে সাময়িক মানসিক শান্তির জন্য অন্য়ের কাছে যান। সামাজিক জীবন ঠিক রেখে নিজের মানসিক আনন্দের জন্য তাঁরা মূলত প্রতারণা করেন। আর ঠিক এ কারণেই পতিতালয়ে যত পুরুষ যাতায়াত করেন, তাঁদের বিরাট অংশ বিবাহিত। অন্যদিকে প্রায় ৭০ ভাগ পরকীয়ার ঘটনা ঘটে স্ত্রীর গর্ভকালে। পরে সন্তান হওয়ার পর তাঁরা আবার ঘরের মানুষ হয়ে ওঠেন। কিন্তু এর ভুক্তভোগী সাধারণত গর্ভবতী স্ত্রী ও অনাগত সন্তান।
একজন গর্ভবতী নারী প্রতারণার শিকার হলে যেসব ক্ষতি হতে পারে
মানসিক যন্ত্রণা, উদ্বেগ ও দীর্ঘমেয়াদি বিষণ্নতা
একজন নারী যখন গর্ভবতী এবং সেই সন্তান জন্ম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তখন স্বাভাবিকভাবে নিজের, অনাগত সন্তান ও সঙ্গীর প্রতি যত্ন আরও বাড়িয়ে দেন। ফলে তিনি যদি কখনো সঙ্গীর বিশ্বাসঘাতকতা আবিষ্কার করেন, তখন তা তীব্র মানসিক যন্ত্রণায় পরিণত হয়। দুঃখ, রাগ ও মূল্যহীনতার অনুভূতি তীব্রভাবে তাঁর মধ্য়ে কাজ করে। এই যন্ত্রণা দীর্ঘমেয়াদি উদ্বেগ বা বিষণ্নতায় পরিণত হতে পারে। এই অবস্থা গর্ভবতীর ক্ষেত্রে নিজের স্বাস্থ্য ও শিশুর সুস্থতার ওপর মনোযোগ দেওয়া কঠিন করে তোলে।
বর্ধিত চাপের মাত্রা গর্ভাবস্থার ক্ষতি করতে পারে
গর্ভাবস্থায় চাপ কেবল মানসিক বোঝা নয়, এর পরিণতি শারীরিকও। উচ্চ মানসিক চাপের মাত্রা অকালপ্রসব, কম ওজনের সন্তান প্রসব এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো জটিলতার সঙ্গে যুক্ত। এর সবই শিশুর বিকাশে নিতেবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
আত্মসম্মান, আত্মবিশ্বাস ও আত্মমূল্যে আঘাত
গর্ভাবস্থা অনেক শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন নিয়ে আসে। এ সময়ে প্রতারিত হলে একজন নারী নিজেকে অবাঞ্ছিত বা অযোগ্য ভাবতে শুরু করেন। আত্মসম্মানের এই আঘাত স্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। শিশুর জন্মের পরেও সম্পর্কের প্রতি তাঁর আত্মবিশ্বাসে নেতিবাচক প্রভাব থেকে যেতে পারে। এই অবস্থা পরে আর কখনো ঠিক না-ও হতে পারে।
ভবিষ্যতের সম্পর্ক প্রভাবিত করতে পারে
বিশ্বাস ভেঙে যাওয়ায় বা প্রতারিত হওয়ার ফলে একজন নারীর বর্তমান বা ভবিষ্যতের সম্পর্কগুলোতে নিরাপদ বোধ করা কঠিন হয়ে পড়ে। আবার বিশ্বাসঘাতকতার ভয় মানসিকভাবে প্রত্যাহার, নিরাপত্তাহীনতা বা গভীর সংযোগ তৈরিতে অসুবিধার কারণ হতে পারে।
ঘুম ও ক্ষুধার ব্যাঘাত মাতৃস্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে
প্রতারক সঙ্গীর বিশ্বাসঘাতকতার ফলে রাতের ঘুম না হওয়া, ক্ষুধা কমে যাওয়া বা মানসিক যন্ত্রণার কারণে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়তে পারে। কম ঘুম ও পুষ্টি মা-শিশু উভয়ের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলাসহ জটিলতার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
সম্পর্ক ভাঙনের দিকে যেতে পারে
গর্ভাবস্থায় প্রতারণা দম্পতিকে বিবাহবিচ্ছেদের দিকে পরিচালিত করে প্রায়শ। এর ফলে গর্ভবতীকে একক মাতৃত্বের পথ বেছে নিতে হয়। একক পিতামাতা হওয়া অনেক ক্ষেত্রে তৃপ্তিদায়ক হতে পারে। তবে এটি খুব একটা সহজ নয়।

পুরুষ কেন তাঁদের গর্ভবতী স্ত্রীদের সঙ্গে প্রতারণা করেন
গর্ভাবস্থা নারী-পুরুষ উভয়ের জীবন বদলে দেয়। এখানে মানসিক ও শারীরিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরুষের দিক থেকে যত পরকীয়ার ঘটনা ঘটে, তার ৭০ শতাংশই স্ত্রীর গর্ভাবস্থায়। কিন্তু কেন?
দায়িত্বের ভয় ও মানসিক চাপ থেকে সাময়িক অব্যাহতির আশা
বাবা হওয়া একটি জীবন বদলে দেওয়া ঘটনা। তবে কিছু পুরুষ আসন্ন দায়িত্বে বেশ মানসিক চাপ বোধ করেন। তাঁরা বাস্তবতা থেকে পালানোর উপায় হিসেবে বেপরোয়া সম্পর্কে লিপ্ত হতে পারেন।
ঘনিষ্ঠতার অভাব
গর্ভাবস্থা প্রায়শই হরমোনের পরিবর্তন, অস্বস্তি বা চিকিৎসকের পরামর্শে সীমাবদ্ধতার কারণে শারীরিক ঘনিষ্ঠতায় পরিবর্তন আনে। যদি কোনো পুরুষ এই পরিবর্তনগুলোর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে লড়াই করেন, তবে তিনি নিজের চাহিদা প্রকাশ করার পরিবর্তে অন্য কোথাও শারীরিক বা মানসিক তৃপ্তি খুঁজতে পারেন।
বৈধতার প্রয়োজনে
গর্ভাবস্থায় একজন নারীর মনোযোগ স্বাভাবিকভাবে তাঁর স্বাস্থ্য ও শিশুর সুস্থতার দিকে চলে যায়। এ জন্য কিছু পুরুষ অন্য ব্যক্তির কাছ থেকে নিজের আবেগের বৈধতা পাওয়ার আশায় ছুটে যান। কেউ কেউ নিজের মানসিক চাপের কথা কারও সঙ্গে ভাগ করে নিতে নিতেই শারীরিক ও মানসিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তাঁদের অনেকের পরে তীব্র অপরাধবোধ হয়।
মানসিক অপরিপক্বতা
যেসব পুরুষের মানসিক পরিপক্বতার অভাব থাকে, তাঁরা গর্ভাবস্থায় সম্পর্কের পরিবর্তনগুলো মোকাবিলা করতে হিমশিম খান। সহায়তা প্রদানের পরিবর্তে তাঁরা স্বার্থপর আচরণ করে এমন আচরণে লিপ্ত হন, যা স্বল্প মেয়াদে আনন্দ নিয়ে এলেও দীর্ঘ মেয়াদে করুণ পরিণতি ডেকে আনে।

যেভাবে বুঝবেন সঙ্গী পরকীয়ায় যুক্ত
মোবাইল ফোন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত গোপনীয়তা
নারীর গর্ভাবস্থায় পুরুষ সঙ্গীর মোবাইল ফোন বিষয়ে অতিরিক্ত সতর্কতা, কল লগ মুছে ফেলা, ঘন ঘন পাসওয়ার্ড পরিবর্তন, গভীর রাতে টেক্সটিং, পাশের ঘরে গিয়ে কথা বলা ইত্যাদি পরকীয়ার লক্ষণ হতে পারে।
মানসিক দূরত্ব ও সম্পৃক্ততার অভাব
প্রতারক সঙ্গী আবেগ গতভাবে বিচ্ছিন্ন থাকেন। স্ত্রীর সঙ্গে কথোপকথনে আগ্রহী নন অথবা গর্ভাবস্থা ও এ সময়ের চিকিৎসাসম্পর্কিত বিষয়গুলোতে উদাসীন থাকেন। এসব লক্ষণ সাধারণত কোনো হবু বাবার মধ্য়ে থাকার কথা নয়। এমন হলে খোলাখুলি কথা বলতে হবে।
অনুপস্থিতি ও অস্বাভাবিক অজুহাত
যদি আপনার সঙ্গী হঠাৎ করে আরও বেশি দেরিতে কাজ করে বাড়ি ফেরেন, অপ্রত্যাশিত ভ্রমণে যান এবং আপনাকে সঙ্গী করতেও অজুহাত দেন অথবা তিনি কখন কোথা আছেন, সে বিষয়ে অস্পষ্ট ব্যাখ্যা থাকে, তাহলে এটি অসততার ইঙ্গিত হতে পারে।
অপরাধবোধ চালিত উদারতা ও অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণ
কিছু সঙ্গী প্রতারণা করে কিন্তু স্ত্রীকে অতিরিক্ত উপহার, প্রশংসা বা স্নেহ দিয়ে অপরাধবোধ কমানোর চেষ্টা করে। যদিও দয়া স্বাভাবিক, কিন্তু কারণ ছাড়া এমন আচরণ পরিবর্তন সন্দেহজনক হতে পারে।
আত্মরক্ষামূলক মনোভাব এবং প্রশ্নের প্রতি অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া
একজন সঙ্গী যদি অতিরিক্ত আত্মরক্ষামূলক হয়ে ওঠেন, উল্টো আপনাকে অযৌক্তিক বলে অভিযুক্ত করেন অথবা আপনার উদ্বেগ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন, তাহলে ভেবে নেওয়া যেতে পারে, তিনি আপনার সন্দেহ দূর করতে চাচ্ছেন।
স্ত্রীর সঙ্গে প্রতারণা থেকে নিজেকে সামলে নিতে যা করা যেতে পারে
গর্ভাবস্থায় একজন নারীর মানসিক ও শারীরিক পরিবর্তন ঘটে। এ সময় পরকীয়া এড়াতে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্য়ে আবেগীয় বন্ধন শক্তিশালী করা, গর্ভকালজনিত উদ্বেগের সুরাহা করা এবং প্রতিটি সমস্যার খোলামেলা আলোচনার চর্চা থাকা জরুরি। এ সময় কিছু বিষয় মেনে চলা যেতে পারে।
খোলামেলা আলোচনা করুন
গর্ভাবস্থা জীবনের অনেক পরিবর্তন নিয়ে আসে। গর্ভবতী নারী ও তাঁর স্বামী— দুজনের ভয়, উদ্বেগ ও প্রত্যাশা থাকতে পারে। দুজনে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তায় ভুগতে পারেন। ফলে দুজন দুজনের কথা বলা এবং অভিজ্ঞতা শেয়ার করার নিরাপদ স্থান হয়ে উঠুন। এতে অন্যের কাছে নিজের কষ্টের কথা বলার এবং সান্ত্বনা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা কমে যাবে। প্রতিরাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একে অপরের সঙ্গে সারা দিনের সবকিছু ঘটনা শেয়ার করতে পারেন। পাশাপাশি সামনের দিনগুলোয় নিয়ে পরিকল্পনা করতে পারেন। এতে দুজনের কর্টিসল লেভেল কমবে।

নতুন উপায়ে শারীরিক ঘনিষ্ঠতাকে প্রাধান্য দিন
হরমোনের পরিবর্তন ও চিকিৎসাসংক্রান্ত উদ্বেগের কারণে গর্ভাবস্থায় শারীরিক ঘনিষ্ঠতা প্রায়শই পরিবর্তিত হয়। তবে ঘনিষ্ঠতা মানেই কিন্তু যৌনতা নয়। এর মধ্যে স্নেহ, স্পর্শ ও মানসিক বন্ধনও জড়িত।
হাতে হাত রাখা, আলিঙ্গন করা, মনোযোগসহকারে একে অপরের কথা শোনা ইত্যাদিও সঙ্গীর প্রতি প্রেম বাড়িয়ে তুলতে পারে। সপ্তাহে এক দিন নিয়ম করে সিনেমা দেখতে পারেন। কখনো গর্ভবতী স্ত্রীর হাতে, পায়ে, পেটে হট অয়েল ম্যাসাজ করে দিতে পারেন। এতে গর্ভজনিত শরীরে পানি আসা, ব্যথার মতো উপসর্গ কমবে। সেই সঙ্গে অনাগত সন্তানের সঙ্গেও বাবার একটা যোগসূত্র তৈরি হবে।
পেশাদার সাইকোথেরাপিস্টের সাহায্য নিন
যদি গর্ভাবস্থা-সম্পর্কিত চাপ সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, তাহলে কাপল থেরাপি নিতে পারেন। একজন অভিজ্ঞ থেরাপিস্ট গর্ভধারণকারী দম্পতিকে আরও কার্যকরভাবে যোগাযোগ করতে, ভয় মোকাবিলা করতে এবং তাঁদের মানসিক সংযোগ শক্তিশালী করতে সহায়তা করতে পারেন।
লেখক: চিকিৎসক ও কাউন্সেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার, বাংলাদেশ

একজন গর্ভবতী তাঁর অনাগত সন্তানের আগমনের জন্য অধীর আগ্রহে প্রস্তুতি নেন। এ সময় তিনি সঙ্গীর কাছ থেকে ভালোবাসা, সাহায্য ও সহমর্মিতা আশা করেন। এসব পাওয়ার পরিবর্তে যদি তিনি আবিষ্কার করেন, তাঁর সঙ্গী পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েছেন; তাহলে এর ফল তাঁর শরীর ও মনের ওপর প্রভাব ফেলে। পাশাপাশি অনাগত সন্তানের স্বাস্থ্য ও দম্পতির ভবিষ্যৎ সম্পর্কের মধ্যেও তা হুমকি হয়ে ওঠে।
স্ত্রীর গর্ভাবস্থায় পরকীয়া কতটা সাধারণ
কিছু পুরুষ ঘনিষ্ঠতার পরিবর্তন, আসন্ন দায়িত্বের ভয় অথবা ব্যক্তিগত নিরাপত্তাহীনতার সঙ্গে লড়াই করেন। এ সময় কোনো পথ বের করতে না পেরে সাময়িক মানসিক শান্তির জন্য অন্য়ের কাছে যান। সামাজিক জীবন ঠিক রেখে নিজের মানসিক আনন্দের জন্য তাঁরা মূলত প্রতারণা করেন। আর ঠিক এ কারণেই পতিতালয়ে যত পুরুষ যাতায়াত করেন, তাঁদের বিরাট অংশ বিবাহিত। অন্যদিকে প্রায় ৭০ ভাগ পরকীয়ার ঘটনা ঘটে স্ত্রীর গর্ভকালে। পরে সন্তান হওয়ার পর তাঁরা আবার ঘরের মানুষ হয়ে ওঠেন। কিন্তু এর ভুক্তভোগী সাধারণত গর্ভবতী স্ত্রী ও অনাগত সন্তান।
একজন গর্ভবতী নারী প্রতারণার শিকার হলে যেসব ক্ষতি হতে পারে
মানসিক যন্ত্রণা, উদ্বেগ ও দীর্ঘমেয়াদি বিষণ্নতা
একজন নারী যখন গর্ভবতী এবং সেই সন্তান জন্ম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তখন স্বাভাবিকভাবে নিজের, অনাগত সন্তান ও সঙ্গীর প্রতি যত্ন আরও বাড়িয়ে দেন। ফলে তিনি যদি কখনো সঙ্গীর বিশ্বাসঘাতকতা আবিষ্কার করেন, তখন তা তীব্র মানসিক যন্ত্রণায় পরিণত হয়। দুঃখ, রাগ ও মূল্যহীনতার অনুভূতি তীব্রভাবে তাঁর মধ্য়ে কাজ করে। এই যন্ত্রণা দীর্ঘমেয়াদি উদ্বেগ বা বিষণ্নতায় পরিণত হতে পারে। এই অবস্থা গর্ভবতীর ক্ষেত্রে নিজের স্বাস্থ্য ও শিশুর সুস্থতার ওপর মনোযোগ দেওয়া কঠিন করে তোলে।
বর্ধিত চাপের মাত্রা গর্ভাবস্থার ক্ষতি করতে পারে
গর্ভাবস্থায় চাপ কেবল মানসিক বোঝা নয়, এর পরিণতি শারীরিকও। উচ্চ মানসিক চাপের মাত্রা অকালপ্রসব, কম ওজনের সন্তান প্রসব এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো জটিলতার সঙ্গে যুক্ত। এর সবই শিশুর বিকাশে নিতেবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
আত্মসম্মান, আত্মবিশ্বাস ও আত্মমূল্যে আঘাত
গর্ভাবস্থা অনেক শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন নিয়ে আসে। এ সময়ে প্রতারিত হলে একজন নারী নিজেকে অবাঞ্ছিত বা অযোগ্য ভাবতে শুরু করেন। আত্মসম্মানের এই আঘাত স্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। শিশুর জন্মের পরেও সম্পর্কের প্রতি তাঁর আত্মবিশ্বাসে নেতিবাচক প্রভাব থেকে যেতে পারে। এই অবস্থা পরে আর কখনো ঠিক না-ও হতে পারে।
ভবিষ্যতের সম্পর্ক প্রভাবিত করতে পারে
বিশ্বাস ভেঙে যাওয়ায় বা প্রতারিত হওয়ার ফলে একজন নারীর বর্তমান বা ভবিষ্যতের সম্পর্কগুলোতে নিরাপদ বোধ করা কঠিন হয়ে পড়ে। আবার বিশ্বাসঘাতকতার ভয় মানসিকভাবে প্রত্যাহার, নিরাপত্তাহীনতা বা গভীর সংযোগ তৈরিতে অসুবিধার কারণ হতে পারে।
ঘুম ও ক্ষুধার ব্যাঘাত মাতৃস্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে
প্রতারক সঙ্গীর বিশ্বাসঘাতকতার ফলে রাতের ঘুম না হওয়া, ক্ষুধা কমে যাওয়া বা মানসিক যন্ত্রণার কারণে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়তে পারে। কম ঘুম ও পুষ্টি মা-শিশু উভয়ের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলাসহ জটিলতার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
সম্পর্ক ভাঙনের দিকে যেতে পারে
গর্ভাবস্থায় প্রতারণা দম্পতিকে বিবাহবিচ্ছেদের দিকে পরিচালিত করে প্রায়শ। এর ফলে গর্ভবতীকে একক মাতৃত্বের পথ বেছে নিতে হয়। একক পিতামাতা হওয়া অনেক ক্ষেত্রে তৃপ্তিদায়ক হতে পারে। তবে এটি খুব একটা সহজ নয়।

পুরুষ কেন তাঁদের গর্ভবতী স্ত্রীদের সঙ্গে প্রতারণা করেন
গর্ভাবস্থা নারী-পুরুষ উভয়ের জীবন বদলে দেয়। এখানে মানসিক ও শারীরিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরুষের দিক থেকে যত পরকীয়ার ঘটনা ঘটে, তার ৭০ শতাংশই স্ত্রীর গর্ভাবস্থায়। কিন্তু কেন?
দায়িত্বের ভয় ও মানসিক চাপ থেকে সাময়িক অব্যাহতির আশা
বাবা হওয়া একটি জীবন বদলে দেওয়া ঘটনা। তবে কিছু পুরুষ আসন্ন দায়িত্বে বেশ মানসিক চাপ বোধ করেন। তাঁরা বাস্তবতা থেকে পালানোর উপায় হিসেবে বেপরোয়া সম্পর্কে লিপ্ত হতে পারেন।
ঘনিষ্ঠতার অভাব
গর্ভাবস্থা প্রায়শই হরমোনের পরিবর্তন, অস্বস্তি বা চিকিৎসকের পরামর্শে সীমাবদ্ধতার কারণে শারীরিক ঘনিষ্ঠতায় পরিবর্তন আনে। যদি কোনো পুরুষ এই পরিবর্তনগুলোর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে লড়াই করেন, তবে তিনি নিজের চাহিদা প্রকাশ করার পরিবর্তে অন্য কোথাও শারীরিক বা মানসিক তৃপ্তি খুঁজতে পারেন।
বৈধতার প্রয়োজনে
গর্ভাবস্থায় একজন নারীর মনোযোগ স্বাভাবিকভাবে তাঁর স্বাস্থ্য ও শিশুর সুস্থতার দিকে চলে যায়। এ জন্য কিছু পুরুষ অন্য ব্যক্তির কাছ থেকে নিজের আবেগের বৈধতা পাওয়ার আশায় ছুটে যান। কেউ কেউ নিজের মানসিক চাপের কথা কারও সঙ্গে ভাগ করে নিতে নিতেই শারীরিক ও মানসিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তাঁদের অনেকের পরে তীব্র অপরাধবোধ হয়।
মানসিক অপরিপক্বতা
যেসব পুরুষের মানসিক পরিপক্বতার অভাব থাকে, তাঁরা গর্ভাবস্থায় সম্পর্কের পরিবর্তনগুলো মোকাবিলা করতে হিমশিম খান। সহায়তা প্রদানের পরিবর্তে তাঁরা স্বার্থপর আচরণ করে এমন আচরণে লিপ্ত হন, যা স্বল্প মেয়াদে আনন্দ নিয়ে এলেও দীর্ঘ মেয়াদে করুণ পরিণতি ডেকে আনে।

যেভাবে বুঝবেন সঙ্গী পরকীয়ায় যুক্ত
মোবাইল ফোন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত গোপনীয়তা
নারীর গর্ভাবস্থায় পুরুষ সঙ্গীর মোবাইল ফোন বিষয়ে অতিরিক্ত সতর্কতা, কল লগ মুছে ফেলা, ঘন ঘন পাসওয়ার্ড পরিবর্তন, গভীর রাতে টেক্সটিং, পাশের ঘরে গিয়ে কথা বলা ইত্যাদি পরকীয়ার লক্ষণ হতে পারে।
মানসিক দূরত্ব ও সম্পৃক্ততার অভাব
প্রতারক সঙ্গী আবেগ গতভাবে বিচ্ছিন্ন থাকেন। স্ত্রীর সঙ্গে কথোপকথনে আগ্রহী নন অথবা গর্ভাবস্থা ও এ সময়ের চিকিৎসাসম্পর্কিত বিষয়গুলোতে উদাসীন থাকেন। এসব লক্ষণ সাধারণত কোনো হবু বাবার মধ্য়ে থাকার কথা নয়। এমন হলে খোলাখুলি কথা বলতে হবে।
অনুপস্থিতি ও অস্বাভাবিক অজুহাত
যদি আপনার সঙ্গী হঠাৎ করে আরও বেশি দেরিতে কাজ করে বাড়ি ফেরেন, অপ্রত্যাশিত ভ্রমণে যান এবং আপনাকে সঙ্গী করতেও অজুহাত দেন অথবা তিনি কখন কোথা আছেন, সে বিষয়ে অস্পষ্ট ব্যাখ্যা থাকে, তাহলে এটি অসততার ইঙ্গিত হতে পারে।
অপরাধবোধ চালিত উদারতা ও অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণ
কিছু সঙ্গী প্রতারণা করে কিন্তু স্ত্রীকে অতিরিক্ত উপহার, প্রশংসা বা স্নেহ দিয়ে অপরাধবোধ কমানোর চেষ্টা করে। যদিও দয়া স্বাভাবিক, কিন্তু কারণ ছাড়া এমন আচরণ পরিবর্তন সন্দেহজনক হতে পারে।
আত্মরক্ষামূলক মনোভাব এবং প্রশ্নের প্রতি অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া
একজন সঙ্গী যদি অতিরিক্ত আত্মরক্ষামূলক হয়ে ওঠেন, উল্টো আপনাকে অযৌক্তিক বলে অভিযুক্ত করেন অথবা আপনার উদ্বেগ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন, তাহলে ভেবে নেওয়া যেতে পারে, তিনি আপনার সন্দেহ দূর করতে চাচ্ছেন।
স্ত্রীর সঙ্গে প্রতারণা থেকে নিজেকে সামলে নিতে যা করা যেতে পারে
গর্ভাবস্থায় একজন নারীর মানসিক ও শারীরিক পরিবর্তন ঘটে। এ সময় পরকীয়া এড়াতে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্য়ে আবেগীয় বন্ধন শক্তিশালী করা, গর্ভকালজনিত উদ্বেগের সুরাহা করা এবং প্রতিটি সমস্যার খোলামেলা আলোচনার চর্চা থাকা জরুরি। এ সময় কিছু বিষয় মেনে চলা যেতে পারে।
খোলামেলা আলোচনা করুন
গর্ভাবস্থা জীবনের অনেক পরিবর্তন নিয়ে আসে। গর্ভবতী নারী ও তাঁর স্বামী— দুজনের ভয়, উদ্বেগ ও প্রত্যাশা থাকতে পারে। দুজনে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তায় ভুগতে পারেন। ফলে দুজন দুজনের কথা বলা এবং অভিজ্ঞতা শেয়ার করার নিরাপদ স্থান হয়ে উঠুন। এতে অন্যের কাছে নিজের কষ্টের কথা বলার এবং সান্ত্বনা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা কমে যাবে। প্রতিরাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একে অপরের সঙ্গে সারা দিনের সবকিছু ঘটনা শেয়ার করতে পারেন। পাশাপাশি সামনের দিনগুলোয় নিয়ে পরিকল্পনা করতে পারেন। এতে দুজনের কর্টিসল লেভেল কমবে।

নতুন উপায়ে শারীরিক ঘনিষ্ঠতাকে প্রাধান্য দিন
হরমোনের পরিবর্তন ও চিকিৎসাসংক্রান্ত উদ্বেগের কারণে গর্ভাবস্থায় শারীরিক ঘনিষ্ঠতা প্রায়শই পরিবর্তিত হয়। তবে ঘনিষ্ঠতা মানেই কিন্তু যৌনতা নয়। এর মধ্যে স্নেহ, স্পর্শ ও মানসিক বন্ধনও জড়িত।
হাতে হাত রাখা, আলিঙ্গন করা, মনোযোগসহকারে একে অপরের কথা শোনা ইত্যাদিও সঙ্গীর প্রতি প্রেম বাড়িয়ে তুলতে পারে। সপ্তাহে এক দিন নিয়ম করে সিনেমা দেখতে পারেন। কখনো গর্ভবতী স্ত্রীর হাতে, পায়ে, পেটে হট অয়েল ম্যাসাজ করে দিতে পারেন। এতে গর্ভজনিত শরীরে পানি আসা, ব্যথার মতো উপসর্গ কমবে। সেই সঙ্গে অনাগত সন্তানের সঙ্গেও বাবার একটা যোগসূত্র তৈরি হবে।
পেশাদার সাইকোথেরাপিস্টের সাহায্য নিন
যদি গর্ভাবস্থা-সম্পর্কিত চাপ সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, তাহলে কাপল থেরাপি নিতে পারেন। একজন অভিজ্ঞ থেরাপিস্ট গর্ভধারণকারী দম্পতিকে আরও কার্যকরভাবে যোগাযোগ করতে, ভয় মোকাবিলা করতে এবং তাঁদের মানসিক সংযোগ শক্তিশালী করতে সহায়তা করতে পারেন।
লেখক: চিকিৎসক ও কাউন্সেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার, বাংলাদেশ

যে বয়সে মানুষ কৈশোরে পা রাখে ঠিক সেই বয়সেই, অর্থাৎ মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেশান্তরী হয়েছিলেন জাইমা রহমান। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নাতনি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একমাত্র কন্যা জাইমার কৈশোর কেটেছে লন্ডনে।
৮ ঘণ্টা আগে
বড়দিন বা ক্রিসমাস মানেই ডাইনিং টেবিলে সাজানো বড়সড় এক টার্কি রোস্ট। কিন্তু উত্তর আমেরিকার আদি নিবাসী এই পাখি কীভাবে ইউরোপীয়দের উৎসবের প্রধান অনুষঙ্গ হয়ে উঠল, তা বেশ কৌতূহল উদ্দীপক। ষোড়শ শতাব্দীর শুরুতে স্পেনীয় অভিযাত্রীদের মাধ্যমে টার্কি প্রথম ইউরোপে আসে। তার আগে উৎসবের ভোজ বলতে ছিল রাজহাঁস, ময়ূর
১০ ঘণ্টা আগে
কাজুবাদামকে বলা হয় ‘পুষ্টির ছোট প্যাকেট’। এটি যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর। এ কারণে যে আপনি মুঠো মুঠো করে সব সময় এটি খেতেই থাকবেন, তা হবে না। নিয়মিত কাজুবাদাম পরিমিত খেতে হবে। এতে আপনি পেতে পারেন দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক সুস্থতা। মূলত ব্রাজিলীয় বংশোদ্ভূত এই বৃক্ষজাত বীজ বর্তমানে বিশ্বজুড়ে তার
১৩ ঘণ্টা আগে
কড়াইসহ যেকোনো ধাতব হাঁড়িপাতিল কেন বাঁকা হয়ে যায়, জানেন? এর উত্তর লুকিয়ে আছে ধাতব পাত্রে ঠান্ডা পানি ঢালার অভ্যাসের মধ্যে। চুলা থেকে নামানো গরম কড়াইয়ে হঠাৎ ঠান্ডা পানি ঢাললে যে শব্দ হয়, অনেকের কাছে তা সাধারণ মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এটি একটি সতর্কবার্তা।
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যে বয়সে মানুষ কৈশোরে পা রাখে ঠিক সেই বয়সেই, অর্থাৎ মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেশান্তরী হয়েছিলেন জাইমা রহমান। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নাতনি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একমাত্র কন্যা জাইমার কৈশোর কেটেছে লন্ডনে। সেখানেই স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে এখন ব্যারিস্টার তিনি।
তবে, জাইমা রহমানের শৈশবের পুরোটা সময় বাংলাদেশেই কেটেছে। প্রাথমিকে পড়াশোনা করেছেন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকায় (আইএসডি)। এই স্কুলেরই ফুটবল দলের সদস্য ছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, গোলকিপার হিসেবে দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও সামাল দিয়েছেন। এমনকি জয় করেছেন মেডেলও।
সম্প্রতি বাংলাদেশে ফিরে আসাকে সামনে রেখে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে শৈশবের সেই অভিজ্ঞতার স্মৃতিচারণা করেন জাইমা। তিনি জানান, ফুটবল খেলে তিনি যে মেডেলটি পেয়েছিলেন, সেটি দাদিকে দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলেন দাদির অফিসেই।
সেই সময়টিতে জাইমা রহমানের দাদি বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। নাতনির মুখে মেডেল জয়ের গল্পটি তিনি বেশ মনোযোগ দিয়ে শুনছিলেন এবং এই গল্পটি তিনি অন্যদের সঙ্গেও খুব গর্ব করে বলতেন।
এ বিষয়ে জাইমা লিখেছেন—‘আমার বয়স তখন এগারো। আমাদের স্কুলের ফুটবল টিম একটা টুর্নামেন্ট জিতেছিল, আর আমি মেডেল পেয়েছিলাম। আম্মু আমাকে সরাসরি দাদুর অফিসে নিয়ে গিয়েছিলেন, আমি যেন নিজেই দাদুকে আমার বিজয়ের গল্পটা বলতে পারি; তাঁকে আমার বিজয়ের মেডেলটা দেখাতে পারি। আমি খুব উচ্ছ্বসিত হয়ে গোলকিপার হিসেবে কী-কী করেছি, সেটা বলছিলাম; আর স্পষ্ট টের পাচ্ছিলাম, দাদু প্রচণ্ড মনোযোগ নিয়ে আমাকে শুনছেন। তিনি এতটাই গর্বিত হয়েছিলেন যে, পরে সেই গল্পটা তিনি অন্যদের কাছেও বলতেন।’
১৭ বছর পর বাবা-মায়ের সঙ্গে আবারও দেশে ফিরে আসা জাইমা রহমান এখন ৩০ বছরের পরিপূর্ণ এক ব্যক্তিত্ব। লন্ডনে গিয়ে তাঁর জীবন নতুনভাবে গড়ে ওঠে। শেকড় হারানোর বেদনার সঙ্গে যুক্ত হয় নতুন সমাজ, নতুন ভাষা, নতুন লড়াই। কিন্তু তিনি থেমে থাকেননি। লন্ডনের ম্যারিমাউন্ট গার্লস স্কুল থেকে তিনি ও-লেভেল পাস করেন। পরে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি নেন লন্ডনের কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি থেকে। পরে তিনি লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী আইন প্রতিষ্ঠান ‘ইনার টেম্পল’ থেকে ‘বার-এট-ল’ কোর্স সম্পন্ন করে ব্যারিস্টার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন।

যে বয়সে মানুষ কৈশোরে পা রাখে ঠিক সেই বয়সেই, অর্থাৎ মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেশান্তরী হয়েছিলেন জাইমা রহমান। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নাতনি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একমাত্র কন্যা জাইমার কৈশোর কেটেছে লন্ডনে। সেখানেই স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে এখন ব্যারিস্টার তিনি।
তবে, জাইমা রহমানের শৈশবের পুরোটা সময় বাংলাদেশেই কেটেছে। প্রাথমিকে পড়াশোনা করেছেন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকায় (আইএসডি)। এই স্কুলেরই ফুটবল দলের সদস্য ছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, গোলকিপার হিসেবে দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও সামাল দিয়েছেন। এমনকি জয় করেছেন মেডেলও।
সম্প্রতি বাংলাদেশে ফিরে আসাকে সামনে রেখে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে শৈশবের সেই অভিজ্ঞতার স্মৃতিচারণা করেন জাইমা। তিনি জানান, ফুটবল খেলে তিনি যে মেডেলটি পেয়েছিলেন, সেটি দাদিকে দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলেন দাদির অফিসেই।
সেই সময়টিতে জাইমা রহমানের দাদি বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। নাতনির মুখে মেডেল জয়ের গল্পটি তিনি বেশ মনোযোগ দিয়ে শুনছিলেন এবং এই গল্পটি তিনি অন্যদের সঙ্গেও খুব গর্ব করে বলতেন।
এ বিষয়ে জাইমা লিখেছেন—‘আমার বয়স তখন এগারো। আমাদের স্কুলের ফুটবল টিম একটা টুর্নামেন্ট জিতেছিল, আর আমি মেডেল পেয়েছিলাম। আম্মু আমাকে সরাসরি দাদুর অফিসে নিয়ে গিয়েছিলেন, আমি যেন নিজেই দাদুকে আমার বিজয়ের গল্পটা বলতে পারি; তাঁকে আমার বিজয়ের মেডেলটা দেখাতে পারি। আমি খুব উচ্ছ্বসিত হয়ে গোলকিপার হিসেবে কী-কী করেছি, সেটা বলছিলাম; আর স্পষ্ট টের পাচ্ছিলাম, দাদু প্রচণ্ড মনোযোগ নিয়ে আমাকে শুনছেন। তিনি এতটাই গর্বিত হয়েছিলেন যে, পরে সেই গল্পটা তিনি অন্যদের কাছেও বলতেন।’
১৭ বছর পর বাবা-মায়ের সঙ্গে আবারও দেশে ফিরে আসা জাইমা রহমান এখন ৩০ বছরের পরিপূর্ণ এক ব্যক্তিত্ব। লন্ডনে গিয়ে তাঁর জীবন নতুনভাবে গড়ে ওঠে। শেকড় হারানোর বেদনার সঙ্গে যুক্ত হয় নতুন সমাজ, নতুন ভাষা, নতুন লড়াই। কিন্তু তিনি থেমে থাকেননি। লন্ডনের ম্যারিমাউন্ট গার্লস স্কুল থেকে তিনি ও-লেভেল পাস করেন। পরে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি নেন লন্ডনের কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি থেকে। পরে তিনি লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী আইন প্রতিষ্ঠান ‘ইনার টেম্পল’ থেকে ‘বার-এট-ল’ কোর্স সম্পন্ন করে ব্যারিস্টার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন।
একজন গর্ভবতী তাঁর অনাগত সন্তানের আগমনের জন্য অধীর আগ্রহে প্রস্তুতি নেন। এ সময় তিনি সঙ্গীর কাছ থেকে ভালোবাসা, সাহায্য ও সহমর্মিতা আশা করেন। এসব পাওয়ার পরিবর্তে যদি তিনি আবিষ্কার করেন, তাঁর সঙ্গী পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েছেন; তাহলে এর ফল তাঁর শরীর ও মনের ওপর প্রভাব ফেলে। পাশাপাশি অনাগত সন্তানের...
১৮ জুলাই ২০২৫
বড়দিন বা ক্রিসমাস মানেই ডাইনিং টেবিলে সাজানো বড়সড় এক টার্কি রোস্ট। কিন্তু উত্তর আমেরিকার আদি নিবাসী এই পাখি কীভাবে ইউরোপীয়দের উৎসবের প্রধান অনুষঙ্গ হয়ে উঠল, তা বেশ কৌতূহল উদ্দীপক। ষোড়শ শতাব্দীর শুরুতে স্পেনীয় অভিযাত্রীদের মাধ্যমে টার্কি প্রথম ইউরোপে আসে। তার আগে উৎসবের ভোজ বলতে ছিল রাজহাঁস, ময়ূর
১০ ঘণ্টা আগে
কাজুবাদামকে বলা হয় ‘পুষ্টির ছোট প্যাকেট’। এটি যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর। এ কারণে যে আপনি মুঠো মুঠো করে সব সময় এটি খেতেই থাকবেন, তা হবে না। নিয়মিত কাজুবাদাম পরিমিত খেতে হবে। এতে আপনি পেতে পারেন দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক সুস্থতা। মূলত ব্রাজিলীয় বংশোদ্ভূত এই বৃক্ষজাত বীজ বর্তমানে বিশ্বজুড়ে তার
১৩ ঘণ্টা আগে
কড়াইসহ যেকোনো ধাতব হাঁড়িপাতিল কেন বাঁকা হয়ে যায়, জানেন? এর উত্তর লুকিয়ে আছে ধাতব পাত্রে ঠান্ডা পানি ঢালার অভ্যাসের মধ্যে। চুলা থেকে নামানো গরম কড়াইয়ে হঠাৎ ঠান্ডা পানি ঢাললে যে শব্দ হয়, অনেকের কাছে তা সাধারণ মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এটি একটি সতর্কবার্তা।
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বড়দিন বা ক্রিসমাস মানেই ডাইনিং টেবিলে সাজানো বড়সড় এক টার্কি রোস্ট। কিন্তু উত্তর আমেরিকার আদি নিবাসী এই পাখি কীভাবে ইউরোপীয়দের উৎসবের প্রধান অনুষঙ্গ হয়ে উঠল, তা বেশ কৌতূহল উদ্দীপক। ষোড়শ শতাব্দীর শুরুতে স্পেনীয় অভিযাত্রীদের মাধ্যমে টার্কি প্রথম ইউরোপে আসে। তার আগে উৎসবের ভোজ বলতে ছিল ময়ূর বা রাজহাঁসের মাংস।
ইংল্যান্ডের রাজা হেনরি অষ্টম প্রথম ব্রিটিশ সম্রাট হিসেবে বড়দিনের ভোজে টার্কি খেয়েছিলেন বলে ধারণা করা হয়। তবে টার্কিকে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে দেওয়ার মূল কৃতিত্ব ভিক্টোরিয়ান যুগের। রানি ভিক্টোরিয়া যখন তাঁর রাজকীয় ক্রিসমাস ভোজে টার্কি খাওয়া শুরু করেন, তখন থেকেই এটি আভিজাত্যের প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়।

রাজকীয় পছন্দের বাইরে সাধারণ মানুষের ঘরে টার্কিকে জনপ্রিয় করার পেছনে বড় ভূমিকা ছিল লেখক চার্লস ডিকেন্সের। ১৮৪৩ সালে প্রকাশিত তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’-এ দেখা যায়, একসময়ের কৃপণ ইবেনেজার স্ক্রুজ বড়দিনে ক্র্যাচিট পরিবারকে একটি বিশাল টার্কি উপহার পাঠাচ্ছেন। এই গল্প সাধারণ মানুষের মনে গেঁথে দেয় যে—বড়দিনের আদর্শ খাবার মানেই টার্কি।
কেন টার্কিই সেরা পছন্দ
টার্কি জনপ্রিয় হওয়ার পেছনে কিছু ব্যবহারিক কারণও রয়েছে। আকার ও উপযোগিতা—গরু দুধ দেয় আর মুরগি দেয় ডিম; কিন্তু টার্কির অন্য কোনো ব্যবহার নেই। এ ছাড়া একটি বড় টার্কি দিয়ে অনায়াসেই পুরো পরিবারের ভোজ সম্পন্ন করা যায়। অনেকগুলো ছোট পাখি রান্না করার চেয়ে একটি বড় পাখি রান্না করা অনেক বেশি সাশ্রয়ী।
হিমায়িত বা ফ্রোজেন টার্কি—রেফ্রিজারেশন বা ফ্রিজ আবিষ্কারের আগে টাটকা টার্কি কেনা ছিল বেশ ঝক্কির কাজ। কিন্তু ফ্রোজেন টার্কি বাজারে আসার পর মানুষ আগে থেকেই পরিকল্পনা করে এটি কিনতে শুরু করে, যা এর জনপ্রিয়তা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।

পরদিনের চমৎকার নাশতা—বড়দিনের পরদিন অর্থাৎ ‘বক্সিং ডে’তে টার্কির বেঁচে যাওয়া মাংস (Leftovers) দিয়ে স্যান্ডউইচ, স্টু, কারি বা পাই তৈরি করা যায়। বিশেষ করে, টার্কি কারি এখন অনেক দেশেই বেশ জনপ্রিয়।
যুক্তরাজ্যে টার্কির একটি দীর্ঘ ঐতিহাসিক ঐতিহ্য রয়েছে। সেই ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় আজও ক্রিসমাসে টার্কি খাওয়ার রীতি বজায় আছে।
যাঁরা বড় টার্কি রান্না করতে চান না বা ঝামেলা ছাড়াই উৎসবের খাবার উপভোগ করতে চান, তাঁদের জন্যও আজ নানা ধরনের প্রস্তুত টার্কি খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে—যা ক্রিসমাস উদ্যাপনকে আরও সহজ করে তুলেছে। বড়দিনের এই দীর্ঘ ঐতিহ্যের কারণে আজও বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ টার্কি ছাড়া উৎসবের কথা কল্পনাও করতে পারেন না। আপনিও কি এবার বড়দিনের আয়োজনে টার্কি রাখছেন?

বড়দিন বা ক্রিসমাস মানেই ডাইনিং টেবিলে সাজানো বড়সড় এক টার্কি রোস্ট। কিন্তু উত্তর আমেরিকার আদি নিবাসী এই পাখি কীভাবে ইউরোপীয়দের উৎসবের প্রধান অনুষঙ্গ হয়ে উঠল, তা বেশ কৌতূহল উদ্দীপক। ষোড়শ শতাব্দীর শুরুতে স্পেনীয় অভিযাত্রীদের মাধ্যমে টার্কি প্রথম ইউরোপে আসে। তার আগে উৎসবের ভোজ বলতে ছিল ময়ূর বা রাজহাঁসের মাংস।
ইংল্যান্ডের রাজা হেনরি অষ্টম প্রথম ব্রিটিশ সম্রাট হিসেবে বড়দিনের ভোজে টার্কি খেয়েছিলেন বলে ধারণা করা হয়। তবে টার্কিকে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে দেওয়ার মূল কৃতিত্ব ভিক্টোরিয়ান যুগের। রানি ভিক্টোরিয়া যখন তাঁর রাজকীয় ক্রিসমাস ভোজে টার্কি খাওয়া শুরু করেন, তখন থেকেই এটি আভিজাত্যের প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়।

রাজকীয় পছন্দের বাইরে সাধারণ মানুষের ঘরে টার্কিকে জনপ্রিয় করার পেছনে বড় ভূমিকা ছিল লেখক চার্লস ডিকেন্সের। ১৮৪৩ সালে প্রকাশিত তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’-এ দেখা যায়, একসময়ের কৃপণ ইবেনেজার স্ক্রুজ বড়দিনে ক্র্যাচিট পরিবারকে একটি বিশাল টার্কি উপহার পাঠাচ্ছেন। এই গল্প সাধারণ মানুষের মনে গেঁথে দেয় যে—বড়দিনের আদর্শ খাবার মানেই টার্কি।
কেন টার্কিই সেরা পছন্দ
টার্কি জনপ্রিয় হওয়ার পেছনে কিছু ব্যবহারিক কারণও রয়েছে। আকার ও উপযোগিতা—গরু দুধ দেয় আর মুরগি দেয় ডিম; কিন্তু টার্কির অন্য কোনো ব্যবহার নেই। এ ছাড়া একটি বড় টার্কি দিয়ে অনায়াসেই পুরো পরিবারের ভোজ সম্পন্ন করা যায়। অনেকগুলো ছোট পাখি রান্না করার চেয়ে একটি বড় পাখি রান্না করা অনেক বেশি সাশ্রয়ী।
হিমায়িত বা ফ্রোজেন টার্কি—রেফ্রিজারেশন বা ফ্রিজ আবিষ্কারের আগে টাটকা টার্কি কেনা ছিল বেশ ঝক্কির কাজ। কিন্তু ফ্রোজেন টার্কি বাজারে আসার পর মানুষ আগে থেকেই পরিকল্পনা করে এটি কিনতে শুরু করে, যা এর জনপ্রিয়তা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।

পরদিনের চমৎকার নাশতা—বড়দিনের পরদিন অর্থাৎ ‘বক্সিং ডে’তে টার্কির বেঁচে যাওয়া মাংস (Leftovers) দিয়ে স্যান্ডউইচ, স্টু, কারি বা পাই তৈরি করা যায়। বিশেষ করে, টার্কি কারি এখন অনেক দেশেই বেশ জনপ্রিয়।
যুক্তরাজ্যে টার্কির একটি দীর্ঘ ঐতিহাসিক ঐতিহ্য রয়েছে। সেই ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় আজও ক্রিসমাসে টার্কি খাওয়ার রীতি বজায় আছে।
যাঁরা বড় টার্কি রান্না করতে চান না বা ঝামেলা ছাড়াই উৎসবের খাবার উপভোগ করতে চান, তাঁদের জন্যও আজ নানা ধরনের প্রস্তুত টার্কি খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে—যা ক্রিসমাস উদ্যাপনকে আরও সহজ করে তুলেছে। বড়দিনের এই দীর্ঘ ঐতিহ্যের কারণে আজও বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ টার্কি ছাড়া উৎসবের কথা কল্পনাও করতে পারেন না। আপনিও কি এবার বড়দিনের আয়োজনে টার্কি রাখছেন?
একজন গর্ভবতী তাঁর অনাগত সন্তানের আগমনের জন্য অধীর আগ্রহে প্রস্তুতি নেন। এ সময় তিনি সঙ্গীর কাছ থেকে ভালোবাসা, সাহায্য ও সহমর্মিতা আশা করেন। এসব পাওয়ার পরিবর্তে যদি তিনি আবিষ্কার করেন, তাঁর সঙ্গী পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েছেন; তাহলে এর ফল তাঁর শরীর ও মনের ওপর প্রভাব ফেলে। পাশাপাশি অনাগত সন্তানের...
১৮ জুলাই ২০২৫
যে বয়সে মানুষ কৈশোরে পা রাখে ঠিক সেই বয়সেই, অর্থাৎ মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেশান্তরী হয়েছিলেন জাইমা রহমান। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নাতনি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একমাত্র কন্যা জাইমার কৈশোর কেটেছে লন্ডনে।
৮ ঘণ্টা আগে
কাজুবাদামকে বলা হয় ‘পুষ্টির ছোট প্যাকেট’। এটি যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর। এ কারণে যে আপনি মুঠো মুঠো করে সব সময় এটি খেতেই থাকবেন, তা হবে না। নিয়মিত কাজুবাদাম পরিমিত খেতে হবে। এতে আপনি পেতে পারেন দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক সুস্থতা। মূলত ব্রাজিলীয় বংশোদ্ভূত এই বৃক্ষজাত বীজ বর্তমানে বিশ্বজুড়ে তার
১৩ ঘণ্টা আগে
কড়াইসহ যেকোনো ধাতব হাঁড়িপাতিল কেন বাঁকা হয়ে যায়, জানেন? এর উত্তর লুকিয়ে আছে ধাতব পাত্রে ঠান্ডা পানি ঢালার অভ্যাসের মধ্যে। চুলা থেকে নামানো গরম কড়াইয়ে হঠাৎ ঠান্ডা পানি ঢাললে যে শব্দ হয়, অনেকের কাছে তা সাধারণ মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এটি একটি সতর্কবার্তা।
১৫ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

কাজুবাদামকে বলা হয় ‘পুষ্টির ছোট প্যাকেট’। এটি যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর। এ কারণে যে আপনি মুঠো মুঠো করে সব সময় এটি খেতেই থাকবেন, তা হবে না। নিয়মিত কাজুবাদাম পরিমিত খেতে হবে। এতে আপনি পেতে পারেন দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক সুস্থতা। মূলত ব্রাজিলীয় বংশোদ্ভূত এই বৃক্ষজাত বীজ বর্তমানে বিশ্বজুড়ে তার স্বাস্থ্যগুণের জন্য সমাদৃত। হৃদ্রোগ প্রতিরোধ থেকে শুরু করে ওজন নিয়ন্ত্রণ—কাজুবাদামের আছে বহুমুখী উপকারিতা। এটি নিয়মিত খাওয়ার পেছনে অনেকগুলো স্বাস্থ্যগত কারণ আছে। আবার খাওয়ার ক্ষেত্রে রয়েছে কিছু সতর্কতাও। তাই নিজের খাবারের তালিকায় কাজুবাদাম রাখার আগে ভালো ও খারাপ দিক জেনে রাখুন।
হৃদ্যন্ত্রের সুরক্ষা
কাজুবাদামে রয়েছে প্রচুর অসম্পৃক্ত চর্বি। এটি রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বা এলডিএলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত বাদাম খেলে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ২৭ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। এ ছাড়া এতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
ওজন নিয়ন্ত্রণ
কাজুবাদাম উচ্চ ক্যালরিযুক্ত হলেও এটি ওজন কমাতে সহায়ক হতে পারে। এর কারণ হলো, কাজুবাদামের সবটুকু ক্যালরি শরীর শোষণ করতে পারে না। এর ভেতরের আঁশ বা ফাইবার চর্বিকে আটকে ফেলে, যা হজমের সময় শরীরে পুরোপুরি শোষিত হয় না। ফলে এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে এবং আজেবাজে খাওয়ার প্রবণতা কমায়।
ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী
টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য কাজুবাদাম খুবই উপকারী। এতে থাকা আঁশ রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যাওয়া রোধ করে। এ ছাড়া এর ম্যাগনেশিয়াম ইনসুলিন হরমোনের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, দৈনিক ক্যালরির ১০ শতাংশ কাজুবাদাম থেকে গ্রহণ করলে ইনসুলিনের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসে।
শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধক্ষমতা
কাজুবাদাম কপার ও জিঙ্কের চমৎকার উৎস। এই দুটি খনিজ উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে শক্তিশালী রাখতে অপরিহার্য। এ ছাড়া এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (পলিফেনল ও ক্যারোটিনয়েড) শরীরের ভেতরের ব্যথা কমাতে এবং কোষের ক্ষতি রোধ করতে কাজ করে।
হাড় ও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য
কাজুবাদামে আছে ভরপুর ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, ভিটামিন কে। এগুলো হাড়ের গঠনে ভূমিকা রাখে। এর কপার উপাদান মস্তিষ্কের সুস্থ বিকাশ ও শক্তি উৎপাদনে সরাসরি সাহায্য করে।
কাঁচা কাজু নিরাপদ কি না
আমরা বাজারে যে কাজুবাদাম কাঁচা হিসেবে কিনি, তা আসলে পুরোপুরি কাঁচা নয়। গাছের তাজা কাজুবাদামের খোসায় ইউরুশিয়াল নামক বিষাক্ত উপাদান থাকে, যা ত্বকে অ্যালার্জি বা ফোসকা তৈরি করতে পারে। প্রক্রিয়াজাত করার সময় তাপ দিয়ে এই বিষাক্ত অংশ দূর করা হয়। তাই গাছ থেকে সরাসরি পেড়ে কাজু খাওয়া নিরাপদ নয়।
খাদ্যাভ্যাসে যুক্ত করার সহজ উপায়
কাজুবাদাম খুব সহজে প্রতিদিনের খাবারে যোগ করা যায়। বিকেলের নাশতায় এক মুঠো ভাজা কাজু খেতে পারেন। সালাদ, স্যুপ বা স্ট্যুতে কাজুবাদাম ছড়িয়ে দিলে স্বাদ ও পুষ্টি—দুই-ই বেড়ে যায়। কাজুবাদাম ভিজিয়ে ব্লেন্ড করে দুধ মুক্ত ক্রিম বা পনির তৈরি করা সম্ভব। টোস্ট বা ওটমিলের সঙ্গে কাজু বাটার ব্যবহার করা যায়।
মনে রাখবেন
পরিমাণ: কাজুবাদাম অত্যন্ত পুষ্টিকর হলেও এতে ক্যালরি বেশি। তাই দিনে ২৮ গ্রাম বা প্রায় ১৮টি বাদাম খাওয়াই যথেষ্ট।
লবণ ও তেল: অতিরিক্ত লবণ বা তেলে ভাজা কাজুর চেয়ে শুকনো ভাজা বা আনসলটেড কাজু বেছে নেওয়া ভালো।
অ্যালার্জি: যাদের কাঠবাদাম বা পেস্তাবাদামে অ্যালার্জি আছে, তাদের কাজু খাওয়ার আগে সতর্ক হওয়া উচিত। শ্বাসকষ্ট বা চুলকানির মতো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সূত্র: হেলথ লাইন, ইভিএন এক্সপ্রেস, ওয়েব মেড

কাজুবাদামকে বলা হয় ‘পুষ্টির ছোট প্যাকেট’। এটি যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর। এ কারণে যে আপনি মুঠো মুঠো করে সব সময় এটি খেতেই থাকবেন, তা হবে না। নিয়মিত কাজুবাদাম পরিমিত খেতে হবে। এতে আপনি পেতে পারেন দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক সুস্থতা। মূলত ব্রাজিলীয় বংশোদ্ভূত এই বৃক্ষজাত বীজ বর্তমানে বিশ্বজুড়ে তার স্বাস্থ্যগুণের জন্য সমাদৃত। হৃদ্রোগ প্রতিরোধ থেকে শুরু করে ওজন নিয়ন্ত্রণ—কাজুবাদামের আছে বহুমুখী উপকারিতা। এটি নিয়মিত খাওয়ার পেছনে অনেকগুলো স্বাস্থ্যগত কারণ আছে। আবার খাওয়ার ক্ষেত্রে রয়েছে কিছু সতর্কতাও। তাই নিজের খাবারের তালিকায় কাজুবাদাম রাখার আগে ভালো ও খারাপ দিক জেনে রাখুন।
হৃদ্যন্ত্রের সুরক্ষা
কাজুবাদামে রয়েছে প্রচুর অসম্পৃক্ত চর্বি। এটি রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বা এলডিএলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত বাদাম খেলে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ২৭ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। এ ছাড়া এতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
ওজন নিয়ন্ত্রণ
কাজুবাদাম উচ্চ ক্যালরিযুক্ত হলেও এটি ওজন কমাতে সহায়ক হতে পারে। এর কারণ হলো, কাজুবাদামের সবটুকু ক্যালরি শরীর শোষণ করতে পারে না। এর ভেতরের আঁশ বা ফাইবার চর্বিকে আটকে ফেলে, যা হজমের সময় শরীরে পুরোপুরি শোষিত হয় না। ফলে এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে এবং আজেবাজে খাওয়ার প্রবণতা কমায়।
ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী
টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য কাজুবাদাম খুবই উপকারী। এতে থাকা আঁশ রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যাওয়া রোধ করে। এ ছাড়া এর ম্যাগনেশিয়াম ইনসুলিন হরমোনের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, দৈনিক ক্যালরির ১০ শতাংশ কাজুবাদাম থেকে গ্রহণ করলে ইনসুলিনের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসে।
শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধক্ষমতা
কাজুবাদাম কপার ও জিঙ্কের চমৎকার উৎস। এই দুটি খনিজ উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে শক্তিশালী রাখতে অপরিহার্য। এ ছাড়া এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (পলিফেনল ও ক্যারোটিনয়েড) শরীরের ভেতরের ব্যথা কমাতে এবং কোষের ক্ষতি রোধ করতে কাজ করে।
হাড় ও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য
কাজুবাদামে আছে ভরপুর ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, ভিটামিন কে। এগুলো হাড়ের গঠনে ভূমিকা রাখে। এর কপার উপাদান মস্তিষ্কের সুস্থ বিকাশ ও শক্তি উৎপাদনে সরাসরি সাহায্য করে।
কাঁচা কাজু নিরাপদ কি না
আমরা বাজারে যে কাজুবাদাম কাঁচা হিসেবে কিনি, তা আসলে পুরোপুরি কাঁচা নয়। গাছের তাজা কাজুবাদামের খোসায় ইউরুশিয়াল নামক বিষাক্ত উপাদান থাকে, যা ত্বকে অ্যালার্জি বা ফোসকা তৈরি করতে পারে। প্রক্রিয়াজাত করার সময় তাপ দিয়ে এই বিষাক্ত অংশ দূর করা হয়। তাই গাছ থেকে সরাসরি পেড়ে কাজু খাওয়া নিরাপদ নয়।
খাদ্যাভ্যাসে যুক্ত করার সহজ উপায়
কাজুবাদাম খুব সহজে প্রতিদিনের খাবারে যোগ করা যায়। বিকেলের নাশতায় এক মুঠো ভাজা কাজু খেতে পারেন। সালাদ, স্যুপ বা স্ট্যুতে কাজুবাদাম ছড়িয়ে দিলে স্বাদ ও পুষ্টি—দুই-ই বেড়ে যায়। কাজুবাদাম ভিজিয়ে ব্লেন্ড করে দুধ মুক্ত ক্রিম বা পনির তৈরি করা সম্ভব। টোস্ট বা ওটমিলের সঙ্গে কাজু বাটার ব্যবহার করা যায়।
মনে রাখবেন
পরিমাণ: কাজুবাদাম অত্যন্ত পুষ্টিকর হলেও এতে ক্যালরি বেশি। তাই দিনে ২৮ গ্রাম বা প্রায় ১৮টি বাদাম খাওয়াই যথেষ্ট।
লবণ ও তেল: অতিরিক্ত লবণ বা তেলে ভাজা কাজুর চেয়ে শুকনো ভাজা বা আনসলটেড কাজু বেছে নেওয়া ভালো।
অ্যালার্জি: যাদের কাঠবাদাম বা পেস্তাবাদামে অ্যালার্জি আছে, তাদের কাজু খাওয়ার আগে সতর্ক হওয়া উচিত। শ্বাসকষ্ট বা চুলকানির মতো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সূত্র: হেলথ লাইন, ইভিএন এক্সপ্রেস, ওয়েব মেড
একজন গর্ভবতী তাঁর অনাগত সন্তানের আগমনের জন্য অধীর আগ্রহে প্রস্তুতি নেন। এ সময় তিনি সঙ্গীর কাছ থেকে ভালোবাসা, সাহায্য ও সহমর্মিতা আশা করেন। এসব পাওয়ার পরিবর্তে যদি তিনি আবিষ্কার করেন, তাঁর সঙ্গী পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েছেন; তাহলে এর ফল তাঁর শরীর ও মনের ওপর প্রভাব ফেলে। পাশাপাশি অনাগত সন্তানের...
১৮ জুলাই ২০২৫
যে বয়সে মানুষ কৈশোরে পা রাখে ঠিক সেই বয়সেই, অর্থাৎ মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেশান্তরী হয়েছিলেন জাইমা রহমান। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নাতনি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একমাত্র কন্যা জাইমার কৈশোর কেটেছে লন্ডনে।
৮ ঘণ্টা আগে
বড়দিন বা ক্রিসমাস মানেই ডাইনিং টেবিলে সাজানো বড়সড় এক টার্কি রোস্ট। কিন্তু উত্তর আমেরিকার আদি নিবাসী এই পাখি কীভাবে ইউরোপীয়দের উৎসবের প্রধান অনুষঙ্গ হয়ে উঠল, তা বেশ কৌতূহল উদ্দীপক। ষোড়শ শতাব্দীর শুরুতে স্পেনীয় অভিযাত্রীদের মাধ্যমে টার্কি প্রথম ইউরোপে আসে। তার আগে উৎসবের ভোজ বলতে ছিল রাজহাঁস, ময়ূর
১০ ঘণ্টা আগে
কড়াইসহ যেকোনো ধাতব হাঁড়িপাতিল কেন বাঁকা হয়ে যায়, জানেন? এর উত্তর লুকিয়ে আছে ধাতব পাত্রে ঠান্ডা পানি ঢালার অভ্যাসের মধ্যে। চুলা থেকে নামানো গরম কড়াইয়ে হঠাৎ ঠান্ডা পানি ঢাললে যে শব্দ হয়, অনেকের কাছে তা সাধারণ মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এটি একটি সতর্কবার্তা।
১৫ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

কড়াইসহ যেকোনো ধাতব হাঁড়িপাতিল কেন বাঁকা হয়ে যায়, জানেন? এর উত্তর লুকিয়ে আছে ধাতব পাত্রে ঠান্ডা পানি ঢালার অভ্যাসের মধ্যে।
চুলা থেকে নামানো গরম কড়াইয়ে হঠাৎ ঠান্ডা পানি ঢাললে যে শব্দ হয়, অনেকের কাছে তা সাধারণ মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এটি একটি সতর্কবার্তা। আপনার কড়াইটি তখন থার্মাল শকের শিকার হচ্ছে, যা ধীরে ধীরে রান্নার পাত্রের আয়ু কমিয়ে দেয়। অনেক গৃহিণী ও রান্নাপ্রেমী মনে করেন, গরম কাড়াই সরাসরি সিঙ্কে নিয়ে ঠান্ডা পানি ঢাললে পোড়া খাবারের অংশ সহজে উঠে যায়। কিন্তু অল-ক্ল্যাড ও ক্যালফালনের মতো নামকরা কুকওয়্যার ব্রান্ড সতর্ক করে বলছে, এটি কড়াই নষ্ট হওয়ার বড় কারণগুলোর একটি।
থার্মাল শক কীভাবে ক্ষতি করে
ধাতু গরম হলে প্রসারিত হয় এবং ঠান্ডা হলে সংকুচিত হয়। এটি পদার্থবিজ্ঞানের সাধারণ নিয়ম। যখন প্রায় ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার একটি কড়াই হঠাৎ ঠান্ডা পানির সংস্পর্শে আসে, তখন ধাতব অণুগুলো দ্রুত সংকুচিত হয়। এই হঠাৎ পরিবর্তনই সৃষ্টি করে থার্মাল শক, যা কড়াইয়ের গঠনকে স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
কড়াই বাঁকা হয়ে যাওয়া
থার্মাল শকের সবচেয়ে সাধারণ ফল হলো কড়াই বাঁকা হয়ে যাওয়া। হঠাৎ ঠান্ডায় কড়াইয়ের নিচের অংশ সংকুচিত হয়ে ভাঁজ হয়ে যায়। ফলে কড়াই চুলার ওপর ঠিকভাবে বসে না এবং তাপ সমানভাবে ছড়ায় না। এর ফল হিসেবে রান্নার সময় এক পাশে খাবার পুড়ে যায়, অন্য পাশে ঠিকমতো রান্না হয় না।
নন-স্টিক কড়াই বাড়তি ঝুঁকি
নন-স্টিক কড়াইয়ের ক্ষেত্রে থার্মাল শক আরও বেশি ক্ষতিকর। কারণ, প্যানের ধাতু ও নন-স্টিক কোটিংয়ের প্রসারণ ও সংকোচনের হার এক নয়। হঠাৎ ঠান্ডা হলে কোটিং ফেটে যেতে বা উঠে যেতে পারে। এতে প্যানের নন-স্টিক ক্ষমতা নষ্ট হয় এবং কোটিংয়ের ক্ষুদ্র কণা খাবারের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো, ক্ষতিগ্রস্ত নন-স্টিক কোটিং থেকে পিএফএএস জাতীয় ক্ষতিকর রাসায়নিক নির্গত হতে পারে। যেগুলো দীর্ঘ মেয়াদে স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এবং ক্যানসারের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
ফাটল ধরার ঝুঁকি
কাস্ট আয়রন, স্টোনওয়্যার বা সিরামিক প্যানের ক্ষেত্রে থার্মাল শক কখনো কখনো তাৎক্ষণিক ফাটল ধরাতে পারে। এসব উপাদান স্টেইনলেস স্টিল বা অ্যালুমিনিয়ামের তুলনায় বেশি ভঙ্গুর হওয়ায় হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তন সহ্য করতে পারে না।

কড়াই রক্ষা করার নিয়ম
বিশেষজ্ঞদের মতে, কড়াই ভালো রাখার সহজ নিয়ম হলো ধৈর্য। এ ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে—
রান্না শেষ হলে কড়াইটি চুলার ওপর বা পাশে রেখে স্বাভাবিকভাবে ঠান্ডা হতে দিন।
পুরোপুরি ঠান্ডা হলে তারপর ধুয়ে ফেলুন।
তাড়াহুড়া থাকলে ঠান্ডা পানির বদলে গরম বা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন, যাতে তাপমাত্রার পার্থক্য কম থাকে।
আরও কিছু সাধারণ ভুল
বিশেষজ্ঞরা আরও কয়েকটি ভুলের কথা উল্লেখ করেন। সেগুলো হলো—
ঠান্ডা পানিতে লবণ দিলে লবণের কণা তলায় জমে স্টেইনলেস স্টিলের পাত্রে ক্ষুদ্র গর্ত তৈরি করতে পারে। তাই পানি ফুটে ওঠার পর লবণ যোগ করা ভালো।
নন-স্টিক প্যান একটির ওপর আরেকটি রাখলে ওপরের প্যানের তলা নিচের প্যানের কোটিংয়ে আঁচড় ফেলতে পারে।
নন-স্টিক প্যানে ধাতব স্ক্রাবার বা শক্ত ঘষামাজা একেবারেই এড়িয়ে চলা উচিত।
কাস্ট আয়রন প্যান পরিষ্কারে সাবান কম ব্যবহার করে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে দ্রুত শুকিয়ে হালকা তেল মেখে রাখা ভালো, এতে মরিচা ধরবে না।
রান্নার পাত্রের যত্ন নেওয়া মানে শুধু খরচ বাঁচানো নয়; এটি খাবারের মান, স্বাদ এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখে। একটি ভালো পাত্র দীর্ঘদিন ভালো থাকলে সমানভাবে রান্না হয়। খাবার পুড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমে এবং ক্ষতিকর পদার্থ খাবারের সঙ্গে মিশে যাওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়। গরম প্যানে ঠান্ডা পানি ঢালার অভ্যাসটি ত্যাগ করলে কড়াইয়ের গঠন ও কোটিং অক্ষত এবং সেটি দীর্ঘদিন ব্যবহারের উপযোগী থাকবে।
সূত্র: হাফ পোস্ট

কড়াইসহ যেকোনো ধাতব হাঁড়িপাতিল কেন বাঁকা হয়ে যায়, জানেন? এর উত্তর লুকিয়ে আছে ধাতব পাত্রে ঠান্ডা পানি ঢালার অভ্যাসের মধ্যে।
চুলা থেকে নামানো গরম কড়াইয়ে হঠাৎ ঠান্ডা পানি ঢাললে যে শব্দ হয়, অনেকের কাছে তা সাধারণ মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এটি একটি সতর্কবার্তা। আপনার কড়াইটি তখন থার্মাল শকের শিকার হচ্ছে, যা ধীরে ধীরে রান্নার পাত্রের আয়ু কমিয়ে দেয়। অনেক গৃহিণী ও রান্নাপ্রেমী মনে করেন, গরম কাড়াই সরাসরি সিঙ্কে নিয়ে ঠান্ডা পানি ঢাললে পোড়া খাবারের অংশ সহজে উঠে যায়। কিন্তু অল-ক্ল্যাড ও ক্যালফালনের মতো নামকরা কুকওয়্যার ব্রান্ড সতর্ক করে বলছে, এটি কড়াই নষ্ট হওয়ার বড় কারণগুলোর একটি।
থার্মাল শক কীভাবে ক্ষতি করে
ধাতু গরম হলে প্রসারিত হয় এবং ঠান্ডা হলে সংকুচিত হয়। এটি পদার্থবিজ্ঞানের সাধারণ নিয়ম। যখন প্রায় ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার একটি কড়াই হঠাৎ ঠান্ডা পানির সংস্পর্শে আসে, তখন ধাতব অণুগুলো দ্রুত সংকুচিত হয়। এই হঠাৎ পরিবর্তনই সৃষ্টি করে থার্মাল শক, যা কড়াইয়ের গঠনকে স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
কড়াই বাঁকা হয়ে যাওয়া
থার্মাল শকের সবচেয়ে সাধারণ ফল হলো কড়াই বাঁকা হয়ে যাওয়া। হঠাৎ ঠান্ডায় কড়াইয়ের নিচের অংশ সংকুচিত হয়ে ভাঁজ হয়ে যায়। ফলে কড়াই চুলার ওপর ঠিকভাবে বসে না এবং তাপ সমানভাবে ছড়ায় না। এর ফল হিসেবে রান্নার সময় এক পাশে খাবার পুড়ে যায়, অন্য পাশে ঠিকমতো রান্না হয় না।
নন-স্টিক কড়াই বাড়তি ঝুঁকি
নন-স্টিক কড়াইয়ের ক্ষেত্রে থার্মাল শক আরও বেশি ক্ষতিকর। কারণ, প্যানের ধাতু ও নন-স্টিক কোটিংয়ের প্রসারণ ও সংকোচনের হার এক নয়। হঠাৎ ঠান্ডা হলে কোটিং ফেটে যেতে বা উঠে যেতে পারে। এতে প্যানের নন-স্টিক ক্ষমতা নষ্ট হয় এবং কোটিংয়ের ক্ষুদ্র কণা খাবারের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো, ক্ষতিগ্রস্ত নন-স্টিক কোটিং থেকে পিএফএএস জাতীয় ক্ষতিকর রাসায়নিক নির্গত হতে পারে। যেগুলো দীর্ঘ মেয়াদে স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এবং ক্যানসারের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
ফাটল ধরার ঝুঁকি
কাস্ট আয়রন, স্টোনওয়্যার বা সিরামিক প্যানের ক্ষেত্রে থার্মাল শক কখনো কখনো তাৎক্ষণিক ফাটল ধরাতে পারে। এসব উপাদান স্টেইনলেস স্টিল বা অ্যালুমিনিয়ামের তুলনায় বেশি ভঙ্গুর হওয়ায় হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তন সহ্য করতে পারে না।

কড়াই রক্ষা করার নিয়ম
বিশেষজ্ঞদের মতে, কড়াই ভালো রাখার সহজ নিয়ম হলো ধৈর্য। এ ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে—
রান্না শেষ হলে কড়াইটি চুলার ওপর বা পাশে রেখে স্বাভাবিকভাবে ঠান্ডা হতে দিন।
পুরোপুরি ঠান্ডা হলে তারপর ধুয়ে ফেলুন।
তাড়াহুড়া থাকলে ঠান্ডা পানির বদলে গরম বা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন, যাতে তাপমাত্রার পার্থক্য কম থাকে।
আরও কিছু সাধারণ ভুল
বিশেষজ্ঞরা আরও কয়েকটি ভুলের কথা উল্লেখ করেন। সেগুলো হলো—
ঠান্ডা পানিতে লবণ দিলে লবণের কণা তলায় জমে স্টেইনলেস স্টিলের পাত্রে ক্ষুদ্র গর্ত তৈরি করতে পারে। তাই পানি ফুটে ওঠার পর লবণ যোগ করা ভালো।
নন-স্টিক প্যান একটির ওপর আরেকটি রাখলে ওপরের প্যানের তলা নিচের প্যানের কোটিংয়ে আঁচড় ফেলতে পারে।
নন-স্টিক প্যানে ধাতব স্ক্রাবার বা শক্ত ঘষামাজা একেবারেই এড়িয়ে চলা উচিত।
কাস্ট আয়রন প্যান পরিষ্কারে সাবান কম ব্যবহার করে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে দ্রুত শুকিয়ে হালকা তেল মেখে রাখা ভালো, এতে মরিচা ধরবে না।
রান্নার পাত্রের যত্ন নেওয়া মানে শুধু খরচ বাঁচানো নয়; এটি খাবারের মান, স্বাদ এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখে। একটি ভালো পাত্র দীর্ঘদিন ভালো থাকলে সমানভাবে রান্না হয়। খাবার পুড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমে এবং ক্ষতিকর পদার্থ খাবারের সঙ্গে মিশে যাওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়। গরম প্যানে ঠান্ডা পানি ঢালার অভ্যাসটি ত্যাগ করলে কড়াইয়ের গঠন ও কোটিং অক্ষত এবং সেটি দীর্ঘদিন ব্যবহারের উপযোগী থাকবে।
সূত্র: হাফ পোস্ট
একজন গর্ভবতী তাঁর অনাগত সন্তানের আগমনের জন্য অধীর আগ্রহে প্রস্তুতি নেন। এ সময় তিনি সঙ্গীর কাছ থেকে ভালোবাসা, সাহায্য ও সহমর্মিতা আশা করেন। এসব পাওয়ার পরিবর্তে যদি তিনি আবিষ্কার করেন, তাঁর সঙ্গী পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েছেন; তাহলে এর ফল তাঁর শরীর ও মনের ওপর প্রভাব ফেলে। পাশাপাশি অনাগত সন্তানের...
১৮ জুলাই ২০২৫
যে বয়সে মানুষ কৈশোরে পা রাখে ঠিক সেই বয়সেই, অর্থাৎ মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেশান্তরী হয়েছিলেন জাইমা রহমান। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নাতনি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একমাত্র কন্যা জাইমার কৈশোর কেটেছে লন্ডনে।
৮ ঘণ্টা আগে
বড়দিন বা ক্রিসমাস মানেই ডাইনিং টেবিলে সাজানো বড়সড় এক টার্কি রোস্ট। কিন্তু উত্তর আমেরিকার আদি নিবাসী এই পাখি কীভাবে ইউরোপীয়দের উৎসবের প্রধান অনুষঙ্গ হয়ে উঠল, তা বেশ কৌতূহল উদ্দীপক। ষোড়শ শতাব্দীর শুরুতে স্পেনীয় অভিযাত্রীদের মাধ্যমে টার্কি প্রথম ইউরোপে আসে। তার আগে উৎসবের ভোজ বলতে ছিল রাজহাঁস, ময়ূর
১০ ঘণ্টা আগে
কাজুবাদামকে বলা হয় ‘পুষ্টির ছোট প্যাকেট’। এটি যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর। এ কারণে যে আপনি মুঠো মুঠো করে সব সময় এটি খেতেই থাকবেন, তা হবে না। নিয়মিত কাজুবাদাম পরিমিত খেতে হবে। এতে আপনি পেতে পারেন দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক সুস্থতা। মূলত ব্রাজিলীয় বংশোদ্ভূত এই বৃক্ষজাত বীজ বর্তমানে বিশ্বজুড়ে তার
১৩ ঘণ্টা আগে