সানজিদা সামরিন, ঢাকা
প্রসব-পরবর্তীকালে নতুন মায়েরা যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন, সেগুলোর মধ্য়ে সবার আগে বলতে হয় পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনের কথা। নিজের শরীর, শারীরিক গঠন ও মানসিক শান্তি পুনরায় ফিরে পাওয়ার এই যাত্রা যেন মন্থরগতির মনে হয়। সেলিব্রিটি মায়েরাও এর ব্যতিক্রম নন। বলিউডের নামী তারকা মায়েরাও সোশ্যাল মিডিয়ায় ও বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে নিজেদের পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনের দিনগুলো এবং তা থেকে উতরে ওঠার কথা ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন।
সন্তান প্রসবের দেড় মাস পর নিজেকে উপলব্ধি করতে পারি!: আলিয়া ভাট
বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাট নতুন মায়েদের জন্য সত্যিকারের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন। মা হওয়ার পরপরই যে ফিটনেস রুটিনে ফেরা সম্ভব, সেটি তাঁর ইনস্টাগ্রাম অনুসরণকারীরা ভালো জানেন। খুব স্বাভাবিকভাবে গর্ভকালে মায়েদের ওজন বেড়ে যায়। প্রসব-পরবর্তীকালে বাড়তি ওজন আলিয়াকে মানসিক চাপে ফেলে দিয়েছিল। তাই দ্রুত তিনি ফিটনেস রুটিনে নজর দেন। তিনি বলেন, ‘সন্তান প্রসবের দেড় মাস পর আমি ধীরে ধীরে নিজেকে উপলব্ধি করতে পারি। নিজের ভেতরের আমির সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করার ক্ষমতা ফিরে পাই। তখন আমার যোগব্যায়াম প্রশিক্ষকের সহযোগিতায় আবার অনুশীলন শুরু করি।’
তবে আলিয়া প্রসব-পরবর্তী শরীরচর্চা নিয়ে সতর্ক হতে বলেছেন। জানিয়েছেন, প্রসবের পর নিজের শরীরের কথা শোনা গুরুত্বপূর্ণ। শরীর ‘হ্যাঁ’ না বললে জোর করে কিছুই করবেন না।
প্রসব-পরবর্তী নিজের ওয়ার্কআউট সম্পর্কে আলিয়া জানান, প্রথম এক বা দুই সপ্তাহ ধরে তিনি কেবল গভীরভাবে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করেছেন এবং নিয়মিত হেঁটেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, প্রসবের পর নিজের শরীর পুনরায় ভালোবাসতে পারাটা চ্যালেঞ্জিং, তবে ধীরে ধীরে তা সহজ হয়ে ওঠে। সে জন্য সময় নেওয়া জরুরি। প্রতিটি শরীর আলাদা। ফলে প্রসব-পরবর্তী ব্যায়াম করার আগে নিজের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া নিরাপদ বলে মনে করেন আলিয়া ভাট।
পোস্টপার্টামের দিনগুলোয় নিজের প্রতি সদয় হওয়ার চেষ্টা করেছি: বিপাশা বসু
২০২০ সালে মা হওয়া অভিনেত্রী বিপাশা বসু তাঁর পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন কাটিয়ে ওঠার মুহূর্তগুলো ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করতেন। ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা ভিডিওতে বিপাশাকে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক কসরত করতে দেখা যেত। তবে বিভিন্ন সময়ে বিপাশা বলার চেষ্টা করেছেন, ‘পোস্টপার্টামের এই সংগ্রাম বাস্তব। কিন্তু কিছুই অসম্ভব নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে নিজেকে এবং আমার শরীরকে ভালোবাসি। ফলে পোস্টপার্টামের দিনগুলোয় নিজের প্রতি সদয় হওয়ার চেষ্টা করেছি। নিজেকে মনে করিয়ে দিয়েছি, আমি সবেমাত্র একজন নতুন মানুষের জন্ম দিয়েছি। এটিই একটা বড় শক্তি। বারবার নিজেকে বলেছি, আমি একজন সুস্থ ও সুখী মা। আর এতেই আমি গর্বিত।’
নিজেকে পুনরায় অনুভব করতে ১৬ মাস লেগেছে: সোনম কাপুর
অভিনেত্রী সোনম কাপুর ২০২২ সালে প্রথম সন্তানের মা হন। প্রসব-পরবর্তীকালে তিনি ইনস্টাগ্রামে নিজের বিভিন্ন সময়ের ছবি ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন। পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন বিষয়ে তিনি লিখেছেন, ‘আমাকে আবার নিজের মতো অনুভব করতে ১৬ মাস সময় লেগেছে।’ বাড়তি ওজন ঝরাতে কোনো ক্র্যাশ ডায়েট এবং কঠিন ওয়ার্কআউট তিনি করেননি। কেবল ধারাবাহিকভাবে নিজের যত্ন ও শিশুর যত্ন করে গেছেন। এই কাজগুলো সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পেরেই নিজেকে সফল মনে হতো তাঁর। বারবার নিজেকে বলতেন, এই সময়টাও একটা সময় কেটে যাবে। তিনি নিজের কাঙ্ক্ষিত রূপ ফিরে পাবেন। কিন্তু নারী হওয়ার যে অলৌকিক ব্যাপারটা, তা অনুভব করার সময় এখনই!
প্রসব-পরবর্তী প্রথম কয়েক সপ্তাহ ধরে অনেক সমস্যা হয়েছে: সোহা আলি খান
সোহা আলি খান তাঁর অভিভাবকত্বের ধরন এবং সর্বোপরি বাস্তবতা বজায় রাখার জন্য ইন্টারনেটে সব সময় প্রশংসিত হয়েছেন। তাঁর কন্যার নাম ইয়ানা। ২০১৭ সালে সোহা জানিয়েছিলেন, পোস্টপার্টামের দিনগুলোয় তাঁর সন্তানের কান্না দেখে তিনিও কাঁদতেন। স্বামীর সহায়তা তাঁকে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করেছিল। প্রসব-পরবর্তী সময়ের হতাশার কথাও তিনি বলেছিলেন। জানিয়েছেন, সেই হতাশা তাঁর মাতৃত্বকে অশান্ত করে তুলেছিল।
‘ফিল্মফেয়ারে’র একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘একজন নতুন মা মানসিকভাবে বিভিন্ন উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যান। তিনি হতাশাগ্রস্ত হন, খারাপ বোধ করেন। সবাই হয়তো অনুষ্ঠানে যাচ্ছে, মজা করছে; কিন্তু নতুন মাকে বাড়িতে থাকতে হচ্ছে। এগুলোও মন খারাপের জন্ম দেয়। প্রসব-পরবর্তী প্রথম কয়েক সপ্তাহ আমার অনেক সমস্যা হয়েছে, কিন্তু ধীরে ধীরে তা সামলেও নিয়েছি।’ তাঁর ভাষ্য, সময় সব ঠিক করে দেয়।
পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন কাটিয়ে উঠতে সাহায্য় করেছিলেন মা: এশা দেওল
বলিউড তারকা এশা দেওল তাঁর দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের পর গভীর মানসিক চাপ অনুভব করেছিলেন। আগেও তিনি একবার মা হয়েছেন। তবু দ্বিতীয় সন্তান প্রসবের পর পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন তাঁকে অনেকটা কাবু করে দিয়েছিল। একটি সাক্ষাৎকারে এই অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘যখন প্রথমবার মা হই, তখন প্রসবোত্তর বিষণ্নতা ছিল না। মানুষ আমার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করত, ‘তুমি ভালো আছ তো?’ তখন আমি ভাবতাম, কেন তারা এভাবে জিজ্ঞাসা করছে! কিন্তু আমার দ্বিতীয় প্রসবের পরে, আমি লোক ভর্তি ঘরে থেকেও কেমন একা বোধ করতে লাগলাম! হঠাৎ আমার কান্নার মতো অনুভব হয়েছিল। আমি চুপচাপ ও খুব নিস্তেজ, নিচু হয়ে বসে ছিলাম। আমার জীবনের অত্যন্ত আনন্দের দিনেও আমি হাসতে পারছিলাম না।’
এশা আরও বলেন, তাঁর মা হেমা মালিনী বুঝতে পেরেছিলেন, তিনি কোন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। এটাই যে পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন, সেটা মা-ই এশাকে বোঝান এবং কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করেন।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস ও অন্যান্য
প্রসব-পরবর্তীকালে নতুন মায়েরা যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন, সেগুলোর মধ্য়ে সবার আগে বলতে হয় পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনের কথা। নিজের শরীর, শারীরিক গঠন ও মানসিক শান্তি পুনরায় ফিরে পাওয়ার এই যাত্রা যেন মন্থরগতির মনে হয়। সেলিব্রিটি মায়েরাও এর ব্যতিক্রম নন। বলিউডের নামী তারকা মায়েরাও সোশ্যাল মিডিয়ায় ও বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে নিজেদের পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনের দিনগুলো এবং তা থেকে উতরে ওঠার কথা ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন।
সন্তান প্রসবের দেড় মাস পর নিজেকে উপলব্ধি করতে পারি!: আলিয়া ভাট
বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাট নতুন মায়েদের জন্য সত্যিকারের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন। মা হওয়ার পরপরই যে ফিটনেস রুটিনে ফেরা সম্ভব, সেটি তাঁর ইনস্টাগ্রাম অনুসরণকারীরা ভালো জানেন। খুব স্বাভাবিকভাবে গর্ভকালে মায়েদের ওজন বেড়ে যায়। প্রসব-পরবর্তীকালে বাড়তি ওজন আলিয়াকে মানসিক চাপে ফেলে দিয়েছিল। তাই দ্রুত তিনি ফিটনেস রুটিনে নজর দেন। তিনি বলেন, ‘সন্তান প্রসবের দেড় মাস পর আমি ধীরে ধীরে নিজেকে উপলব্ধি করতে পারি। নিজের ভেতরের আমির সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করার ক্ষমতা ফিরে পাই। তখন আমার যোগব্যায়াম প্রশিক্ষকের সহযোগিতায় আবার অনুশীলন শুরু করি।’
তবে আলিয়া প্রসব-পরবর্তী শরীরচর্চা নিয়ে সতর্ক হতে বলেছেন। জানিয়েছেন, প্রসবের পর নিজের শরীরের কথা শোনা গুরুত্বপূর্ণ। শরীর ‘হ্যাঁ’ না বললে জোর করে কিছুই করবেন না।
প্রসব-পরবর্তী নিজের ওয়ার্কআউট সম্পর্কে আলিয়া জানান, প্রথম এক বা দুই সপ্তাহ ধরে তিনি কেবল গভীরভাবে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করেছেন এবং নিয়মিত হেঁটেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, প্রসবের পর নিজের শরীর পুনরায় ভালোবাসতে পারাটা চ্যালেঞ্জিং, তবে ধীরে ধীরে তা সহজ হয়ে ওঠে। সে জন্য সময় নেওয়া জরুরি। প্রতিটি শরীর আলাদা। ফলে প্রসব-পরবর্তী ব্যায়াম করার আগে নিজের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া নিরাপদ বলে মনে করেন আলিয়া ভাট।
পোস্টপার্টামের দিনগুলোয় নিজের প্রতি সদয় হওয়ার চেষ্টা করেছি: বিপাশা বসু
২০২০ সালে মা হওয়া অভিনেত্রী বিপাশা বসু তাঁর পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন কাটিয়ে ওঠার মুহূর্তগুলো ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করতেন। ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা ভিডিওতে বিপাশাকে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক কসরত করতে দেখা যেত। তবে বিভিন্ন সময়ে বিপাশা বলার চেষ্টা করেছেন, ‘পোস্টপার্টামের এই সংগ্রাম বাস্তব। কিন্তু কিছুই অসম্ভব নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে নিজেকে এবং আমার শরীরকে ভালোবাসি। ফলে পোস্টপার্টামের দিনগুলোয় নিজের প্রতি সদয় হওয়ার চেষ্টা করেছি। নিজেকে মনে করিয়ে দিয়েছি, আমি সবেমাত্র একজন নতুন মানুষের জন্ম দিয়েছি। এটিই একটা বড় শক্তি। বারবার নিজেকে বলেছি, আমি একজন সুস্থ ও সুখী মা। আর এতেই আমি গর্বিত।’
নিজেকে পুনরায় অনুভব করতে ১৬ মাস লেগেছে: সোনম কাপুর
অভিনেত্রী সোনম কাপুর ২০২২ সালে প্রথম সন্তানের মা হন। প্রসব-পরবর্তীকালে তিনি ইনস্টাগ্রামে নিজের বিভিন্ন সময়ের ছবি ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন। পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন বিষয়ে তিনি লিখেছেন, ‘আমাকে আবার নিজের মতো অনুভব করতে ১৬ মাস সময় লেগেছে।’ বাড়তি ওজন ঝরাতে কোনো ক্র্যাশ ডায়েট এবং কঠিন ওয়ার্কআউট তিনি করেননি। কেবল ধারাবাহিকভাবে নিজের যত্ন ও শিশুর যত্ন করে গেছেন। এই কাজগুলো সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পেরেই নিজেকে সফল মনে হতো তাঁর। বারবার নিজেকে বলতেন, এই সময়টাও একটা সময় কেটে যাবে। তিনি নিজের কাঙ্ক্ষিত রূপ ফিরে পাবেন। কিন্তু নারী হওয়ার যে অলৌকিক ব্যাপারটা, তা অনুভব করার সময় এখনই!
প্রসব-পরবর্তী প্রথম কয়েক সপ্তাহ ধরে অনেক সমস্যা হয়েছে: সোহা আলি খান
সোহা আলি খান তাঁর অভিভাবকত্বের ধরন এবং সর্বোপরি বাস্তবতা বজায় রাখার জন্য ইন্টারনেটে সব সময় প্রশংসিত হয়েছেন। তাঁর কন্যার নাম ইয়ানা। ২০১৭ সালে সোহা জানিয়েছিলেন, পোস্টপার্টামের দিনগুলোয় তাঁর সন্তানের কান্না দেখে তিনিও কাঁদতেন। স্বামীর সহায়তা তাঁকে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করেছিল। প্রসব-পরবর্তী সময়ের হতাশার কথাও তিনি বলেছিলেন। জানিয়েছেন, সেই হতাশা তাঁর মাতৃত্বকে অশান্ত করে তুলেছিল।
‘ফিল্মফেয়ারে’র একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘একজন নতুন মা মানসিকভাবে বিভিন্ন উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যান। তিনি হতাশাগ্রস্ত হন, খারাপ বোধ করেন। সবাই হয়তো অনুষ্ঠানে যাচ্ছে, মজা করছে; কিন্তু নতুন মাকে বাড়িতে থাকতে হচ্ছে। এগুলোও মন খারাপের জন্ম দেয়। প্রসব-পরবর্তী প্রথম কয়েক সপ্তাহ আমার অনেক সমস্যা হয়েছে, কিন্তু ধীরে ধীরে তা সামলেও নিয়েছি।’ তাঁর ভাষ্য, সময় সব ঠিক করে দেয়।
পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন কাটিয়ে উঠতে সাহায্য় করেছিলেন মা: এশা দেওল
বলিউড তারকা এশা দেওল তাঁর দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের পর গভীর মানসিক চাপ অনুভব করেছিলেন। আগেও তিনি একবার মা হয়েছেন। তবু দ্বিতীয় সন্তান প্রসবের পর পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন তাঁকে অনেকটা কাবু করে দিয়েছিল। একটি সাক্ষাৎকারে এই অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘যখন প্রথমবার মা হই, তখন প্রসবোত্তর বিষণ্নতা ছিল না। মানুষ আমার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করত, ‘তুমি ভালো আছ তো?’ তখন আমি ভাবতাম, কেন তারা এভাবে জিজ্ঞাসা করছে! কিন্তু আমার দ্বিতীয় প্রসবের পরে, আমি লোক ভর্তি ঘরে থেকেও কেমন একা বোধ করতে লাগলাম! হঠাৎ আমার কান্নার মতো অনুভব হয়েছিল। আমি চুপচাপ ও খুব নিস্তেজ, নিচু হয়ে বসে ছিলাম। আমার জীবনের অত্যন্ত আনন্দের দিনেও আমি হাসতে পারছিলাম না।’
এশা আরও বলেন, তাঁর মা হেমা মালিনী বুঝতে পেরেছিলেন, তিনি কোন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। এটাই যে পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন, সেটা মা-ই এশাকে বোঝান এবং কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করেন।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস ও অন্যান্য
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়া। জঙ্গল ট্রেকিং, রেইনফরেস্ট আর পৃথিবীর বৃহত্তম ওরাংওটাং অভয়াশ্রমের জন্য এটি রোমাঞ্চপ্রিয় অভিযাত্রীদের কাছে এক অনন্য ঠিকানা। দর্শনার্থীরা দেশটির মনোরম জাতীয় উদ্যানগুলোয় হাইকিং করতে পারেন, স্ফটিক-স্বচ্ছ পানিতে স্নরকেলিং করার সুযোগ আছে, এমনকি রাত কাটানো যাবে কোন
৫ ঘণ্টা আগেডিম দীর্ঘ সময় ধরে ঘরের তাপমাত্রায় রেখে দিলে তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই ডিম সংরক্ষণের ভালো উপায় হলো ফ্রিজে রাখা। অনেকের বিশ্বাস, ডিম ধুয়ে, একটি সিল করা কনটেইনারে ঢুকিয়ে ফ্রিজে রাখলে তা অন্য খাবারে ব্যাকটেরিয়া ছড়ানো রোধ করে। এ তথ্য কি সত্যি?
১৪ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৪৯ মিলিয়ন পরিবারে অন্তত একটি করে বিড়াল আছে। কিন্তু কীভাবে? শুধু আদরের প্রাণী বলেই কি? নাকি এর পেছনে কোনো ব্যাখ্যা আছে? গবেষকেরা বলছেন, বিড়ালেরা শুধু আদরের পোষা প্রাণীই নয়, এটি মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগেকোনো কাজ নিখুঁতভাবে করতে, মনোযোগ দিতে এবং সেখান থেকে সেরা ফল অর্জন করার জন্য পারফেকশনিস্টরা প্রায়শই প্রশংসিত হন। কিন্তু একজন পারফেকশনিস্ট কাজে-কর্মে যতটা নিখুঁত, তাঁর মানসিক স্থিতিশীলতা কিন্তু ততটাই কম। কারণ, সেরা ও ত্রুটিহীন কাজ করতে গিয়ে মানসিকভাবে তাঁরা নানান চাপ, উদ্বেগ, এমনকি বিষণ্নতায় ভোগেন।
১ দিন আগে