
১০ হাজার এমএএইচ ক্ষমতার শক্তিশালী ব্যাটারি ও বিশাল ডিসপ্লের ট্যাবলেট প্যাড ৬ এস প্রো. নিয়ে এল শাওমি।
গতকাল বৃহস্পতিবার শাওমি ১৪ আল্ট্রা মডেলের সঙ্গে ট্যাবের এই মডেলটি উন্মোচন করা হয়।
এতে অক্টাকোর স্ন্যাপড্রাগন চিপসেট ব্যবহার করা হয়েছে এবং পেছনে দুটি ক্যামেরা রয়েছে। ট্যাবটি স্মার্ট টাচ কিবোর্ড ও স্ট্যাইলাস সমর্থন করবে।
রং: ট্যাবটি কালো, আকাশি ও হালকা সবুজ রঙে পাওয়া যাবে।
শাওমি প্যাড ৬ এসের দাম
ট্যাবটি চারটি র্যাম ও ইন্টারনাল স্টোরেজের সংস্করণে পাওয়া যাবে।
৮ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজের সংস্করণের দাম–৩ হাজার ২৯৯ চীনা ইউয়ান।
১২ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজের সংস্করণের দাম–৩ হাজার ৫৯৯ চীনা ইউয়ান।
১২ জিবি র্যাম ও ৫১২ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজের সংস্করণের দাম ৩ হাজার ৯৯৯ চীনা ইউয়ান।
১৬ জিবি র্যাম ও ১ টিবি ইন্টারনাল স্টোরেজের সংস্করণের দাম–৪ হাজার ৪৯৯ চীনা ইউয়ান।
স্মার্ট কিবোর্ড ও শাওমি ফোকাস স্টাইলাস আলাদাভাবে কিনতে হবে। কিবোর্ডটির দাম ৬৪৯ চীনা ইউয়ান ও স্টাইলাসটির দাম ৪৯৯ চীনা ইউয়ান।
শাওমি প্যাড ৬ এস প্রোর স্পেসিফিকেশন
পেছনের ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি সেন্সর ও ২ মেগাপিক্সেল ডেপথ সেন্সর।
সেলফি ক্যামেরা: ৩২ মেগাপিক্সেল ওভি ৩২সি সেন্সর, ১০৮০ পি ভিডিও রেকর্ডের সমর্থন দেবে।
আয়তন: ২৭৮.৭০ এমএম x ১৯১.৫৮ এমএম x ৬.২৬ এমএম
ওজন: ৫৯০ গ্রাম
ডিসপ্লে: ১২ দশমিক ৪ ইঞ্চি (৩,০৪৮ x ২,০৩২ পিক্সেলস)
বাইটনেস লেভেল: ৯০০ নিটস
রিফ্রেশ রেট: ১৪৪ হার্টজ
চিপসেট: স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ২
অপারেটিং সিস্টেম: হাইপারওএসভিত্তিক অ্যান্ড্রয়েড ১৪
মেমোরি: ৮ জিবি, ১২ জিবি ও ১৬ জিবি
ইন্টারনাল স্টোরেজ: ২৫৬ জিবি, ২৫৬ জিবি, ৫১২ জিবি ও ১ টিবি
স্পিকার: কোয়াড স্পিকার
ব্লুটুথ: ৫ দশমিক ৩
ইউএসবি: টাইপ সি
ব্যাটারি: ১০,০০০ এমএএইচ
চার্জিং: ১২০ ওয়াট
রঙ: কালো, আকাশি ও হালকা সবুজ
তথ্যসূত্র: গ্যাজেটস ৩৬০

১০ হাজার এমএএইচ ক্ষমতার শক্তিশালী ব্যাটারি ও বিশাল ডিসপ্লের ট্যাবলেট প্যাড ৬ এস প্রো. নিয়ে এল শাওমি।
গতকাল বৃহস্পতিবার শাওমি ১৪ আল্ট্রা মডেলের সঙ্গে ট্যাবের এই মডেলটি উন্মোচন করা হয়।
এতে অক্টাকোর স্ন্যাপড্রাগন চিপসেট ব্যবহার করা হয়েছে এবং পেছনে দুটি ক্যামেরা রয়েছে। ট্যাবটি স্মার্ট টাচ কিবোর্ড ও স্ট্যাইলাস সমর্থন করবে।
রং: ট্যাবটি কালো, আকাশি ও হালকা সবুজ রঙে পাওয়া যাবে।
শাওমি প্যাড ৬ এসের দাম
ট্যাবটি চারটি র্যাম ও ইন্টারনাল স্টোরেজের সংস্করণে পাওয়া যাবে।
৮ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজের সংস্করণের দাম–৩ হাজার ২৯৯ চীনা ইউয়ান।
১২ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজের সংস্করণের দাম–৩ হাজার ৫৯৯ চীনা ইউয়ান।
১২ জিবি র্যাম ও ৫১২ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজের সংস্করণের দাম ৩ হাজার ৯৯৯ চীনা ইউয়ান।
১৬ জিবি র্যাম ও ১ টিবি ইন্টারনাল স্টোরেজের সংস্করণের দাম–৪ হাজার ৪৯৯ চীনা ইউয়ান।
স্মার্ট কিবোর্ড ও শাওমি ফোকাস স্টাইলাস আলাদাভাবে কিনতে হবে। কিবোর্ডটির দাম ৬৪৯ চীনা ইউয়ান ও স্টাইলাসটির দাম ৪৯৯ চীনা ইউয়ান।
শাওমি প্যাড ৬ এস প্রোর স্পেসিফিকেশন
পেছনের ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি সেন্সর ও ২ মেগাপিক্সেল ডেপথ সেন্সর।
সেলফি ক্যামেরা: ৩২ মেগাপিক্সেল ওভি ৩২সি সেন্সর, ১০৮০ পি ভিডিও রেকর্ডের সমর্থন দেবে।
আয়তন: ২৭৮.৭০ এমএম x ১৯১.৫৮ এমএম x ৬.২৬ এমএম
ওজন: ৫৯০ গ্রাম
ডিসপ্লে: ১২ দশমিক ৪ ইঞ্চি (৩,০৪৮ x ২,০৩২ পিক্সেলস)
বাইটনেস লেভেল: ৯০০ নিটস
রিফ্রেশ রেট: ১৪৪ হার্টজ
চিপসেট: স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ২
অপারেটিং সিস্টেম: হাইপারওএসভিত্তিক অ্যান্ড্রয়েড ১৪
মেমোরি: ৮ জিবি, ১২ জিবি ও ১৬ জিবি
ইন্টারনাল স্টোরেজ: ২৫৬ জিবি, ২৫৬ জিবি, ৫১২ জিবি ও ১ টিবি
স্পিকার: কোয়াড স্পিকার
ব্লুটুথ: ৫ দশমিক ৩
ইউএসবি: টাইপ সি
ব্যাটারি: ১০,০০০ এমএএইচ
চার্জিং: ১২০ ওয়াট
রঙ: কালো, আকাশি ও হালকা সবুজ
তথ্যসূত্র: গ্যাজেটস ৩৬০

তাজা উপকরণে তৈরি দারুণ স্বাদের জন্য থাই খাবার বিশ্বজুড়ে দ্রুত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এর প্রাণবন্ত স্বাদ ও পুষ্টিগুণ মানুষকে আকৃষ্ট করছে। পুষ্টিবিদ কেরি বিসনের মতে, মসলা, ভেষজ ও তাজা উপাদানের এক প্রাণবন্ত মিশ্রণে তৈরি হয় থাই খাবার। কিন্তু এই খাবারের প্রেমে পড়া নুডলস অনুরাগীদের জন্য কিছুটা খারাপ খবর আছে...
১০ মিনিট আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জীবনের প্রতিটি খুঁটিনাটি তুলে ধরার এই যুগে, প্রেম বা দাম্পত্য সম্পর্ককে প্রকাশ্যে আনা বা ‘হার্ড-লঞ্চ’ করার ক্ষেত্রে দ্বিধা দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে তরুণী ও নারীদের মধ্যে এই প্রবণতা অনেক বেশি। পশ্চিমা দেশগুলোতে এই প্রবণতা এখন এতটাই প্রবল যে, ব্রিটিশ ভোগ ম্যাগাজিনও প্রশ্ন তুলেছে,
১৬ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য থাইল্যান্ড। নিয়মিত যাঁরা ভ্রমণ করেন, তাঁদের অনেকে দেশটিতে একাধিকবার গেছেন। এর অন্যতম কারণ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ। পর্যটকদের জন্য সব ধরনের আয়োজন রয়েছে দেশটিতে। কিন্তু সম্প্রতি দেশটির সরকারের এক সিদ্ধান্ত পর্যটকদের কপালে ভাঁজ এনে দিয়েছে।
২০ ঘণ্টা আগে
ফরসা রঙের মানুষদের একসময় সুন্দর বলা হতো; কিন্তু সৌন্দর্যের সেই ধারণা বর্তমানে বদলে গেছে। এখন সুন্দর বলতে বোঝায় দেহের সুন্দর গড়নকে। সেটিকে আমরা সুস্থতা না ধরে, ধরে নিয়েছি একটা নির্দিষ্ট মাপে, তা হলো ৩৬-২৪-৩৬। এটা যেন সব নারীর আরাধ্য ফিগার।
১ দিন আগেথাই খাবারের স্বাস্থ্য রহস্য
ফিচার ডেস্ক, ঢাকা

তাজা উপকরণে তৈরি দারুণ স্বাদের জন্য থাই খাবার বিশ্বজুড়ে দ্রুত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এর প্রাণবন্ত স্বাদ ও পুষ্টিগুণ মানুষকে আকৃষ্ট করছে। পুষ্টিবিদ কেরি বিসনের মতে, মসলা, ভেষজ ও তাজা উপাদানের এক প্রাণবন্ত মিশ্রণে তৈরি হয় থাই খাবার। কিন্তু এই খাবারের প্রেমে পড়া নুডলস অনুরাগীদের জন্য কিছুটা খারাপ খবর আছে। কারণ, অনেক সুস্বাদু থাই পদই ক্যালরির দিক থেকে বেশ ভারী হতে পারে।
কেন থাই খাবার স্বাস্থ্যকর
থাই খাবারের স্বাস্থ্যকর দিকগুলো এটিকে বিশ্বজুড়ে অন্যান্য হিসেবে পরিচিত ফাস্ট ফুডের চেয়ে এগিয়ে রাখে। থাই খাবারে ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ব্রকলি, সবুজ মটরশুঁটির মতো প্রচুর সবজি ব্যবহার করা হয়, যেগুলো দ্রুত ভাজা বা গ্রিল করা হয়। এতে পুষ্টিগুণ বজায় থাকে। এ ছাড়া থাই খাবারে ব্যবহৃত বেগুন আঁশ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামে ভরপুর। থাই রান্নায় ব্যবহৃত রসুন, আদা ও ধনেপাতা খাবারে স্বাস্থ্যকর উপাদান যোগ করে। যেমন রসুন প্রাকৃতিক অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ও প্রিবায়োটিক, যা পেটের স্বাস্থ্যের জন্য চমৎকার। আদা প্রদাহ কমাতে এবং হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

মরিচে ক্যাপসাইসিন থাকে, যা রক্তসঞ্চালন ভালো রাখে। খাবারে ব্যবহৃত ধনেপাতা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান; যেমন টারপিনিন, কুয়ারসেটিন এবং টোকোফেরলে সমৃদ্ধ। থাই অনেক ক্রিমজাতীয় পদে নারকেলের দুধ ব্যবহৃত হয়, যা ভেগান ও দুধ বা দুধ থেকে তৈরি খাবারে যাদের অ্যালার্জি আছে, তাদের জন্য উপযুক্ত। এতে লরিক অ্যাসিডের মতো মাঝারি-চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা শক্তি উৎপাদনে সহায়তা করে এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য ধারণ করে।
থাই খাবার অর্ডারের সময় যা মনে রাখবেন
সুস্বাদু থাই খাবারের স্বাস্থ্যকর সুবিধা পেতে কিছু বিষয়ে সচেতন থাকা প্রয়োজন—
নারকেলের দুধের ক্যালরি: নারকেলের দুধ স্বাস্থ্যকর হলেও এটি স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ক্যালরিতে বেশ উচ্চ। এর প্রতি কাপে প্রায় ৪৪৫ ক্যালরি থাকে। তাই এটি অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়।
চাল ও নুডলস: অনেক থাই পদে পরিশোধিত সাদা চাল বা নুডলস ব্যবহার করা হয়। তাতে আঁশের উপস্থিতি কম, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে সম্ভব হলে সাদা চালের পরিবর্তে ব্রাউন রাইস বা ফুলকপির রাইস বেছে নিতে পারেন।

রান্নার পদ্ধতি ও সস: উচ্চ তাপমাত্রায় ডিপ-ফ্রাই করা খাবার তেল ও খাদ্যের পুষ্টিগুণ নষ্ট করে দিতে পারে। ঘন ও চর্বিযুক্ত সসগুলোতে প্রচুর চর্বি ও চিনি থাকতে পারে।
সোডিয়াম (লবণ): সয়া সস ও ফিশ সসের মতো সিজনিং থেকে থাই খাবার খুব বেশি লবণাক্ত হতে পারে। প্রাপ্তবয়স্কদের দিনে ৬ গ্রামের বেশি লবণ না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। বেশির ভাগ থাই খাবার তাজা তৈরি হয়। তাই আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী কম তেল, লবণ বা সস ছাড়া রান্না করতে অনুরোধ করতে পারেন।
থাইল্যান্ড ভ্রমণকারীদের জন্য সেরা ৫টি পদ

আপনি যদি থাইল্যান্ড ভ্রমণে যান এবং সুস্বাদু থাই খাবার চেখে দেখার পাশাপাশি সুস্থ থাকতে চান, তবে পুষ্টিবিদ কেরি বিসনের সুপারিশ অনুযায়ী এই ৫টি পদ আপনার খাদ্যতালিকায় যুক্ত করতে পারেন।
সোম তাম: এটি মূলত সবুজ পেঁপের সালাদ। এর সঙ্গে থাকে কাঁচা বা হালকা রান্না করা ফল ও সবজি। এর স্বাদ খানিক টক। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি-তে ভরপুর। এতে চর্বি ও ক্যালরি কম। ২২০ গ্রাম সোম তামে মাত্র ১১১ ক্যালরি থাকে। তবে চিনি বেশি থাকতে পারে। তাই তৈরির সময় জানিয়ে দিন, কেমন মিষ্টি খাবেন।
টম ইয়াম গুং স্যুপ: এটি মূলত চিংড়ি স্যুপ। চিংড়ি, মরিচ, লেমন গ্রাস ও গ্যালানগ্যালযুক্ত টক ও ঝাল ঝোল থাকে এতে। এ খাবারের চর্বি ও ক্যালরি প্রাকৃতিকভাবে কম। আর এটি ভেষজ, ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-সমৃদ্ধ খাবার। ২৪০ গ্রাম স্যুপে মাত্র ৫০ ক্যালরি থাকে। তবে খাওয়ার আগে সতর্ক থাকবেন লবণের পরিমাণ নিয়ে। এতে সাধারণত লবণের পরিমাণ বেশি থাকে।
স্টিমড ফিশ: সি বাস বা অন্য মাছ আদা, লাইম জুস, রসুন ও মরিচ দিয়ে ম্যারিনেট করে ভাপানো হয়। খাবারটিতে চর্বি ও ক্যালরি কম। এটি লিন প্রোটিনের উৎস। এ ছাড়া এটি ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন বি১২ সমৃদ্ধ। এর ১০০ গ্রাম ফিলেতে থাকে প্রায় ১৩০ ক্যালরি। তবে চর্বি ৭ গ্রামের বেশি নয়।

গ্রিলড চিকেন: রসুন, ধনেপাতা ও লেমন গ্রাস দিয়ে ম্যারিনেট করা মুরগির মাংস বা চিংড়ি গ্রিল করা হয়। লিন প্রোটিন ও ভিটামিন বি এর উচ্চমাত্রা উপস্থিত থাকে এতে। তবে চর্বি ও শর্করার পরিমাণ কম। সস ছাড়া খেলে ক্যালরিও কম থাকে। প্রতি ১০০ গ্রাম গ্রিলড চিকেনে থাকে প্রায় ২৩০ ক্যালরি।
স্টার-ফ্রাইড ভেজিটেবলস: এই খাবারে থাকে তাজা সবজি, ভেষজ ও মসলা। সব মিশিয়ে একটু নাড়াচাড়া। এটি খাদ্যতালিকাগত আঁশ, ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো উৎস। ২৪০ গ্রাম খাবারে থাকে প্রায় ২০০ ক্যালরি। তবে সে ক্ষেত্রে কম তেল ও লবণ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
সূত্র: ডেইলি মেইল

তাজা উপকরণে তৈরি দারুণ স্বাদের জন্য থাই খাবার বিশ্বজুড়ে দ্রুত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এর প্রাণবন্ত স্বাদ ও পুষ্টিগুণ মানুষকে আকৃষ্ট করছে। পুষ্টিবিদ কেরি বিসনের মতে, মসলা, ভেষজ ও তাজা উপাদানের এক প্রাণবন্ত মিশ্রণে তৈরি হয় থাই খাবার। কিন্তু এই খাবারের প্রেমে পড়া নুডলস অনুরাগীদের জন্য কিছুটা খারাপ খবর আছে। কারণ, অনেক সুস্বাদু থাই পদই ক্যালরির দিক থেকে বেশ ভারী হতে পারে।
কেন থাই খাবার স্বাস্থ্যকর
থাই খাবারের স্বাস্থ্যকর দিকগুলো এটিকে বিশ্বজুড়ে অন্যান্য হিসেবে পরিচিত ফাস্ট ফুডের চেয়ে এগিয়ে রাখে। থাই খাবারে ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ব্রকলি, সবুজ মটরশুঁটির মতো প্রচুর সবজি ব্যবহার করা হয়, যেগুলো দ্রুত ভাজা বা গ্রিল করা হয়। এতে পুষ্টিগুণ বজায় থাকে। এ ছাড়া থাই খাবারে ব্যবহৃত বেগুন আঁশ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামে ভরপুর। থাই রান্নায় ব্যবহৃত রসুন, আদা ও ধনেপাতা খাবারে স্বাস্থ্যকর উপাদান যোগ করে। যেমন রসুন প্রাকৃতিক অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ও প্রিবায়োটিক, যা পেটের স্বাস্থ্যের জন্য চমৎকার। আদা প্রদাহ কমাতে এবং হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

মরিচে ক্যাপসাইসিন থাকে, যা রক্তসঞ্চালন ভালো রাখে। খাবারে ব্যবহৃত ধনেপাতা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান; যেমন টারপিনিন, কুয়ারসেটিন এবং টোকোফেরলে সমৃদ্ধ। থাই অনেক ক্রিমজাতীয় পদে নারকেলের দুধ ব্যবহৃত হয়, যা ভেগান ও দুধ বা দুধ থেকে তৈরি খাবারে যাদের অ্যালার্জি আছে, তাদের জন্য উপযুক্ত। এতে লরিক অ্যাসিডের মতো মাঝারি-চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা শক্তি উৎপাদনে সহায়তা করে এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য ধারণ করে।
থাই খাবার অর্ডারের সময় যা মনে রাখবেন
সুস্বাদু থাই খাবারের স্বাস্থ্যকর সুবিধা পেতে কিছু বিষয়ে সচেতন থাকা প্রয়োজন—
নারকেলের দুধের ক্যালরি: নারকেলের দুধ স্বাস্থ্যকর হলেও এটি স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ক্যালরিতে বেশ উচ্চ। এর প্রতি কাপে প্রায় ৪৪৫ ক্যালরি থাকে। তাই এটি অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়।
চাল ও নুডলস: অনেক থাই পদে পরিশোধিত সাদা চাল বা নুডলস ব্যবহার করা হয়। তাতে আঁশের উপস্থিতি কম, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে সম্ভব হলে সাদা চালের পরিবর্তে ব্রাউন রাইস বা ফুলকপির রাইস বেছে নিতে পারেন।

রান্নার পদ্ধতি ও সস: উচ্চ তাপমাত্রায় ডিপ-ফ্রাই করা খাবার তেল ও খাদ্যের পুষ্টিগুণ নষ্ট করে দিতে পারে। ঘন ও চর্বিযুক্ত সসগুলোতে প্রচুর চর্বি ও চিনি থাকতে পারে।
সোডিয়াম (লবণ): সয়া সস ও ফিশ সসের মতো সিজনিং থেকে থাই খাবার খুব বেশি লবণাক্ত হতে পারে। প্রাপ্তবয়স্কদের দিনে ৬ গ্রামের বেশি লবণ না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। বেশির ভাগ থাই খাবার তাজা তৈরি হয়। তাই আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী কম তেল, লবণ বা সস ছাড়া রান্না করতে অনুরোধ করতে পারেন।
থাইল্যান্ড ভ্রমণকারীদের জন্য সেরা ৫টি পদ

আপনি যদি থাইল্যান্ড ভ্রমণে যান এবং সুস্বাদু থাই খাবার চেখে দেখার পাশাপাশি সুস্থ থাকতে চান, তবে পুষ্টিবিদ কেরি বিসনের সুপারিশ অনুযায়ী এই ৫টি পদ আপনার খাদ্যতালিকায় যুক্ত করতে পারেন।
সোম তাম: এটি মূলত সবুজ পেঁপের সালাদ। এর সঙ্গে থাকে কাঁচা বা হালকা রান্না করা ফল ও সবজি। এর স্বাদ খানিক টক। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি-তে ভরপুর। এতে চর্বি ও ক্যালরি কম। ২২০ গ্রাম সোম তামে মাত্র ১১১ ক্যালরি থাকে। তবে চিনি বেশি থাকতে পারে। তাই তৈরির সময় জানিয়ে দিন, কেমন মিষ্টি খাবেন।
টম ইয়াম গুং স্যুপ: এটি মূলত চিংড়ি স্যুপ। চিংড়ি, মরিচ, লেমন গ্রাস ও গ্যালানগ্যালযুক্ত টক ও ঝাল ঝোল থাকে এতে। এ খাবারের চর্বি ও ক্যালরি প্রাকৃতিকভাবে কম। আর এটি ভেষজ, ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-সমৃদ্ধ খাবার। ২৪০ গ্রাম স্যুপে মাত্র ৫০ ক্যালরি থাকে। তবে খাওয়ার আগে সতর্ক থাকবেন লবণের পরিমাণ নিয়ে। এতে সাধারণত লবণের পরিমাণ বেশি থাকে।
স্টিমড ফিশ: সি বাস বা অন্য মাছ আদা, লাইম জুস, রসুন ও মরিচ দিয়ে ম্যারিনেট করে ভাপানো হয়। খাবারটিতে চর্বি ও ক্যালরি কম। এটি লিন প্রোটিনের উৎস। এ ছাড়া এটি ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন বি১২ সমৃদ্ধ। এর ১০০ গ্রাম ফিলেতে থাকে প্রায় ১৩০ ক্যালরি। তবে চর্বি ৭ গ্রামের বেশি নয়।

গ্রিলড চিকেন: রসুন, ধনেপাতা ও লেমন গ্রাস দিয়ে ম্যারিনেট করা মুরগির মাংস বা চিংড়ি গ্রিল করা হয়। লিন প্রোটিন ও ভিটামিন বি এর উচ্চমাত্রা উপস্থিত থাকে এতে। তবে চর্বি ও শর্করার পরিমাণ কম। সস ছাড়া খেলে ক্যালরিও কম থাকে। প্রতি ১০০ গ্রাম গ্রিলড চিকেনে থাকে প্রায় ২৩০ ক্যালরি।
স্টার-ফ্রাইড ভেজিটেবলস: এই খাবারে থাকে তাজা সবজি, ভেষজ ও মসলা। সব মিশিয়ে একটু নাড়াচাড়া। এটি খাদ্যতালিকাগত আঁশ, ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো উৎস। ২৪০ গ্রাম খাবারে থাকে প্রায় ২০০ ক্যালরি। তবে সে ক্ষেত্রে কম তেল ও লবণ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
সূত্র: ডেইলি মেইল

১০ হাজার এমএএইচ ক্ষমতার শক্তিশালী ব্যাটারি ও বিশাল ডিসপ্লের ট্যাবলেট প্যাড ৬ এস প্রো নিয়ে এল শাওমি। গত বৃহস্পতিবার শাওমি ১৪ আল্ট্রা মডেলের সঙ্গে ট্যাবের এই মডেলটি উন্মোচন করা হয়। এতে অক্টাকোর স্ন্যাপড্রাগন চিপসেট ব্যবহার করা হয়েছে ও পেছনে দুটি ক্যামেরা রয়েছে। ট্যাবটি স্মার্ট টাচ কিবোর্ড ও স্ট্যাইলাস
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জীবনের প্রতিটি খুঁটিনাটি তুলে ধরার এই যুগে, প্রেম বা দাম্পত্য সম্পর্ককে প্রকাশ্যে আনা বা ‘হার্ড-লঞ্চ’ করার ক্ষেত্রে দ্বিধা দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে তরুণী ও নারীদের মধ্যে এই প্রবণতা অনেক বেশি। পশ্চিমা দেশগুলোতে এই প্রবণতা এখন এতটাই প্রবল যে, ব্রিটিশ ভোগ ম্যাগাজিনও প্রশ্ন তুলেছে,
১৬ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য থাইল্যান্ড। নিয়মিত যাঁরা ভ্রমণ করেন, তাঁদের অনেকে দেশটিতে একাধিকবার গেছেন। এর অন্যতম কারণ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ। পর্যটকদের জন্য সব ধরনের আয়োজন রয়েছে দেশটিতে। কিন্তু সম্প্রতি দেশটির সরকারের এক সিদ্ধান্ত পর্যটকদের কপালে ভাঁজ এনে দিয়েছে।
২০ ঘণ্টা আগে
ফরসা রঙের মানুষদের একসময় সুন্দর বলা হতো; কিন্তু সৌন্দর্যের সেই ধারণা বর্তমানে বদলে গেছে। এখন সুন্দর বলতে বোঝায় দেহের সুন্দর গড়নকে। সেটিকে আমরা সুস্থতা না ধরে, ধরে নিয়েছি একটা নির্দিষ্ট মাপে, তা হলো ৩৬-২৪-৩৬। এটা যেন সব নারীর আরাধ্য ফিগার।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জীবনের প্রতিটি খুঁটিনাটি তুলে ধরার এই যুগে, প্রেম বা দাম্পত্য সম্পর্ককে প্রকাশ্যে আনা বা ‘হার্ড-লঞ্চ’ করার ক্ষেত্রে দ্বিধা দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে তরুণী ও নারীদের মধ্যে এই প্রবণতা অনেক বেশি। পশ্চিমা দেশগুলোতে এই প্রবণতা এখন এতটাই প্রবল যে, ব্রিটিশ ভোগ ম্যাগাজিনও প্রশ্ন তুলেছে, ‘প্রেমিক থাকা কি এখন লজ্জার ব্যাপার?’
ইনস্টাগ্রাম বা টিকটকে এখন অনেকেই সঙ্গীর মুখ আড়াল করে ছবি দিচ্ছেন, শুধু হাত বা পানীয়ের গ্লাস ঠোকাঠুকির মতো ইঙ্গিতপূর্ণ ‘সফট লঞ্চ’ করছেন। এর পেছনে রয়েছে ব্র্যান্ডিং, আত্মনির্ভরতার বার্তা দেওয়া এবং ব্যক্তিগত জীবনের গোপনীয়তা রক্ষার মতো একাধিক কারণ। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ প্রসঙ্গে দৃষ্টান্ত হিসেবে ইনফ্লুয়েন্সার তাওয়ানা মুসভাবুরির কথা উল্লেখ করেছে বিবিসি। তাওয়ানার ৩৩ হাজার ফলোয়ার রয়েছে। তিনি ইচ্ছা করে প্রেমিকের চেহারা আড়াল করে রাখেন। ২৪ বছর বয়সী এই তরুণী বলেন, তিনি এমন একটি ব্র্যান্ড তৈরি করেছেন যেখানে তাঁর প্রেমিকের কোনো অংশ নেই।
তিনি বিবিসি নিউজকে বলেন, ‘আমি নিজেকে একজন শক্তিশালী নারী হিসেবে তুলে ধরতে চাই, যেন মনে হয় আমার সবটা আমার নিয়ন্ত্রণে। আপনি চান না যে, লোকজনের মনে হোক যে এটি কোনো অংশ একজন পুরুষের সহায়তায় গড়ে উঠেছে। যখন আমি বলি, আমি এটি নিজেই করেছি, তখন সেটা আমাকে আরও বেশি তৃপ্তি দেয়।’
তাওয়ানার মতে, এমনকি যদি তিনি বাগদান বা বিয়েও করেন, তাহলেও সেই সম্পর্ক প্রকাশ্যে আনার জন্য শুধু একটি আংটিই যথেষ্ট নয়।
ভোগ ম্যাগাজিনের ভাইরাল হওয়া নিবন্ধে লেখক শঁতে জোসেফ উল্লেখ করেন, বিষমকামী নারীরা এখন তাঁদের সম্পর্ক অনলাইনে যেভাবে তুলে ধরছেন, তাতে একটি বড়সড় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নারীরা এখন সঙ্গী থাকার ‘সামাজিক সুবিধা’ উপভোগ করতে চাইলেও, একই সঙ্গে ‘বয়ফ্রেন্ড-পাগল’ হিসেবে পরিচিত হতে চান না।
জোসেফের মতে, ঘন ঘন সঙ্গীর ছবি পোস্ট করাকে অনেকে ‘বিরক্তিকর’ বা ‘সাংস্কৃতিক দিক থেকে ব্যর্থতার লক্ষণ’ বলে মনে করেন। আরও গুরুতর যে বিষয়টি তিনি উল্লেখ করেছেন সেটি হলো, প্রেমিক থাকা এখন আর ‘কোনো অর্জন’ হিসেবে বিবেচিত হয় না। তিনি মনে করেন, নারীরা এখন পিতৃতান্ত্রিক সমাজের ‘দমিয়ে রাখার’ প্রতিক্রিয়াস্বরূপ সম্পর্ক আড়াল করছেন।
ইনফ্লুয়েন্সারদের ক্ষেত্রে এটি কেবল সামাজিক ধারণা নয়, বরং উপার্জনের প্রশ্নও বটে। দক্ষিণ লন্ডনের কনটেন্ট ক্রিয়েটর স্টেফানি ইয়েবোয়াহ ভোগ ম্যাগাজিনকে জানান, একবার তাঁর প্রেমিকের ছবি পোস্ট করার পর তাঁর খুব অনুশোচনা হয়েছে।
তিনি বিবিসিকে বলেন, তাঁর ইনবক্সে বার্তা আসতে শুরু করে যে লোকেরা তাঁকে আর অনুসরণ করতে পারছে না। কারণ তাঁর কনটেন্টে এখন প্রেমিক যুক্ত হয়ে গেছেন। ইয়েবোয়াহ স্মরণ করেন, ‘সেই দিন প্রায় ১ হাজার মানুষ আমাকে আনফলো করেছিল।’
কিং’স কলেজ লন্ডনের ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ ড. জিলিয়ান ব্রুকস বলেন, ইনফ্লুয়েন্সাররা একটি স্বতন্ত্র রুচি বা নান্দনিকতা বিক্রি করেন। তাঁদের দর্শকদের জন্য একটি নির্দিষ্ট ব্র্যান্ড তৈরি করা হয়। যদি তাঁরা সেই ব্র্যান্ডের বাইরে চলে যান, তবে শ্রোতাদের বিভ্রান্ত করেন এবং এতে তাঁদের ফলোয়ার কমে যেতে পারে।
যারা ইনফ্লুয়েন্সার নন, তাঁদেরও সম্পর্ক আড়াল করার নিজস্ব অনেক কারণ আছে। যেমন: নির্ভরশীলতা এড়ানো—মিল্লি নামের ২৫ বছর বয়সী এক তরুণী বলেন, তিনি তাঁর বাগদত্তের ছবি দিতে দ্বিধা বোধ করেন। তিনি চান না যে তাঁকে সঙ্গীর ওপর ‘নির্ভরশীল’ বা এমন কেউ বলে মনে করা হোক যার ‘পুরো ব্যক্তিত্ব’টাই এই সম্পর্কের ওপর নির্ভরশীল।
গোপনীয়তা রক্ষাও এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ২০ বছর বয়সী শার্লট বিশ্বাস করেন, বন্ধুত্ব থেকে সম্পর্ককে ‘আরও বেশি ব্যক্তিগত’ রাখা উচিত। তিনি মনে করেন, ছবি পোস্ট করা মানেই লোককে বলা, ‘দেখো আমার কত গভীর নিখুঁত সম্পর্ক’—বাস্তবে এটি সত্য নয়।
কু-নজরের ভয়! প্রথম পাঠে খটকা লাগলেও অনেকে ক্ষেত্রে এটি সত্য। ২১ বছর বয়সী আথেরা জানান, তাঁর অনেক বন্ধু সম্পর্কের গোপনীয়তা রাখতে চান কু-নজর বা ‘ইভিল আই’-এর ভয়ে। প্রায় সব সংস্কৃতিতেই কু-নজর বলতে এমন একটি বিশ্বাস বা সংস্কার যে, ঈর্ষা বা বিদ্বেষপূর্ণ দৃষ্টির পড়লে ক্ষতি হতে পারে।
মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির সমাজ মনোবিজ্ঞানী ড. গোয়েনডোলিন সাইডম্যান মনে করেন, ব্যক্তিগত জীবনের এত বড় অংশ অনলাইনে শেয়ার করার সঙ্গে এক ধরনের উদ্বেগ জড়িত। এই উদ্বেগ মূলত অনলাইনে তথ্যের স্থায়িত্বের ভয় থেকে আসে। মানুষ এখন বুঝতে পেরেছে যে একবার কিছু অনলাইনে পোস্ট হলে তা মুছে ফেলা কঠিন। তাই তারা এখন আরও সতর্ক থাকতে চাচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জীবনের প্রতিটি খুঁটিনাটি তুলে ধরার এই যুগে, প্রেম বা দাম্পত্য সম্পর্ককে প্রকাশ্যে আনা বা ‘হার্ড-লঞ্চ’ করার ক্ষেত্রে দ্বিধা দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে তরুণী ও নারীদের মধ্যে এই প্রবণতা অনেক বেশি। পশ্চিমা দেশগুলোতে এই প্রবণতা এখন এতটাই প্রবল যে, ব্রিটিশ ভোগ ম্যাগাজিনও প্রশ্ন তুলেছে, ‘প্রেমিক থাকা কি এখন লজ্জার ব্যাপার?’
ইনস্টাগ্রাম বা টিকটকে এখন অনেকেই সঙ্গীর মুখ আড়াল করে ছবি দিচ্ছেন, শুধু হাত বা পানীয়ের গ্লাস ঠোকাঠুকির মতো ইঙ্গিতপূর্ণ ‘সফট লঞ্চ’ করছেন। এর পেছনে রয়েছে ব্র্যান্ডিং, আত্মনির্ভরতার বার্তা দেওয়া এবং ব্যক্তিগত জীবনের গোপনীয়তা রক্ষার মতো একাধিক কারণ। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ প্রসঙ্গে দৃষ্টান্ত হিসেবে ইনফ্লুয়েন্সার তাওয়ানা মুসভাবুরির কথা উল্লেখ করেছে বিবিসি। তাওয়ানার ৩৩ হাজার ফলোয়ার রয়েছে। তিনি ইচ্ছা করে প্রেমিকের চেহারা আড়াল করে রাখেন। ২৪ বছর বয়সী এই তরুণী বলেন, তিনি এমন একটি ব্র্যান্ড তৈরি করেছেন যেখানে তাঁর প্রেমিকের কোনো অংশ নেই।
তিনি বিবিসি নিউজকে বলেন, ‘আমি নিজেকে একজন শক্তিশালী নারী হিসেবে তুলে ধরতে চাই, যেন মনে হয় আমার সবটা আমার নিয়ন্ত্রণে। আপনি চান না যে, লোকজনের মনে হোক যে এটি কোনো অংশ একজন পুরুষের সহায়তায় গড়ে উঠেছে। যখন আমি বলি, আমি এটি নিজেই করেছি, তখন সেটা আমাকে আরও বেশি তৃপ্তি দেয়।’
তাওয়ানার মতে, এমনকি যদি তিনি বাগদান বা বিয়েও করেন, তাহলেও সেই সম্পর্ক প্রকাশ্যে আনার জন্য শুধু একটি আংটিই যথেষ্ট নয়।
ভোগ ম্যাগাজিনের ভাইরাল হওয়া নিবন্ধে লেখক শঁতে জোসেফ উল্লেখ করেন, বিষমকামী নারীরা এখন তাঁদের সম্পর্ক অনলাইনে যেভাবে তুলে ধরছেন, তাতে একটি বড়সড় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নারীরা এখন সঙ্গী থাকার ‘সামাজিক সুবিধা’ উপভোগ করতে চাইলেও, একই সঙ্গে ‘বয়ফ্রেন্ড-পাগল’ হিসেবে পরিচিত হতে চান না।
জোসেফের মতে, ঘন ঘন সঙ্গীর ছবি পোস্ট করাকে অনেকে ‘বিরক্তিকর’ বা ‘সাংস্কৃতিক দিক থেকে ব্যর্থতার লক্ষণ’ বলে মনে করেন। আরও গুরুতর যে বিষয়টি তিনি উল্লেখ করেছেন সেটি হলো, প্রেমিক থাকা এখন আর ‘কোনো অর্জন’ হিসেবে বিবেচিত হয় না। তিনি মনে করেন, নারীরা এখন পিতৃতান্ত্রিক সমাজের ‘দমিয়ে রাখার’ প্রতিক্রিয়াস্বরূপ সম্পর্ক আড়াল করছেন।
ইনফ্লুয়েন্সারদের ক্ষেত্রে এটি কেবল সামাজিক ধারণা নয়, বরং উপার্জনের প্রশ্নও বটে। দক্ষিণ লন্ডনের কনটেন্ট ক্রিয়েটর স্টেফানি ইয়েবোয়াহ ভোগ ম্যাগাজিনকে জানান, একবার তাঁর প্রেমিকের ছবি পোস্ট করার পর তাঁর খুব অনুশোচনা হয়েছে।
তিনি বিবিসিকে বলেন, তাঁর ইনবক্সে বার্তা আসতে শুরু করে যে লোকেরা তাঁকে আর অনুসরণ করতে পারছে না। কারণ তাঁর কনটেন্টে এখন প্রেমিক যুক্ত হয়ে গেছেন। ইয়েবোয়াহ স্মরণ করেন, ‘সেই দিন প্রায় ১ হাজার মানুষ আমাকে আনফলো করেছিল।’
কিং’স কলেজ লন্ডনের ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ ড. জিলিয়ান ব্রুকস বলেন, ইনফ্লুয়েন্সাররা একটি স্বতন্ত্র রুচি বা নান্দনিকতা বিক্রি করেন। তাঁদের দর্শকদের জন্য একটি নির্দিষ্ট ব্র্যান্ড তৈরি করা হয়। যদি তাঁরা সেই ব্র্যান্ডের বাইরে চলে যান, তবে শ্রোতাদের বিভ্রান্ত করেন এবং এতে তাঁদের ফলোয়ার কমে যেতে পারে।
যারা ইনফ্লুয়েন্সার নন, তাঁদেরও সম্পর্ক আড়াল করার নিজস্ব অনেক কারণ আছে। যেমন: নির্ভরশীলতা এড়ানো—মিল্লি নামের ২৫ বছর বয়সী এক তরুণী বলেন, তিনি তাঁর বাগদত্তের ছবি দিতে দ্বিধা বোধ করেন। তিনি চান না যে তাঁকে সঙ্গীর ওপর ‘নির্ভরশীল’ বা এমন কেউ বলে মনে করা হোক যার ‘পুরো ব্যক্তিত্ব’টাই এই সম্পর্কের ওপর নির্ভরশীল।
গোপনীয়তা রক্ষাও এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ২০ বছর বয়সী শার্লট বিশ্বাস করেন, বন্ধুত্ব থেকে সম্পর্ককে ‘আরও বেশি ব্যক্তিগত’ রাখা উচিত। তিনি মনে করেন, ছবি পোস্ট করা মানেই লোককে বলা, ‘দেখো আমার কত গভীর নিখুঁত সম্পর্ক’—বাস্তবে এটি সত্য নয়।
কু-নজরের ভয়! প্রথম পাঠে খটকা লাগলেও অনেকে ক্ষেত্রে এটি সত্য। ২১ বছর বয়সী আথেরা জানান, তাঁর অনেক বন্ধু সম্পর্কের গোপনীয়তা রাখতে চান কু-নজর বা ‘ইভিল আই’-এর ভয়ে। প্রায় সব সংস্কৃতিতেই কু-নজর বলতে এমন একটি বিশ্বাস বা সংস্কার যে, ঈর্ষা বা বিদ্বেষপূর্ণ দৃষ্টির পড়লে ক্ষতি হতে পারে।
মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির সমাজ মনোবিজ্ঞানী ড. গোয়েনডোলিন সাইডম্যান মনে করেন, ব্যক্তিগত জীবনের এত বড় অংশ অনলাইনে শেয়ার করার সঙ্গে এক ধরনের উদ্বেগ জড়িত। এই উদ্বেগ মূলত অনলাইনে তথ্যের স্থায়িত্বের ভয় থেকে আসে। মানুষ এখন বুঝতে পেরেছে যে একবার কিছু অনলাইনে পোস্ট হলে তা মুছে ফেলা কঠিন। তাই তারা এখন আরও সতর্ক থাকতে চাচ্ছে।

১০ হাজার এমএএইচ ক্ষমতার শক্তিশালী ব্যাটারি ও বিশাল ডিসপ্লের ট্যাবলেট প্যাড ৬ এস প্রো নিয়ে এল শাওমি। গত বৃহস্পতিবার শাওমি ১৪ আল্ট্রা মডেলের সঙ্গে ট্যাবের এই মডেলটি উন্মোচন করা হয়। এতে অক্টাকোর স্ন্যাপড্রাগন চিপসেট ব্যবহার করা হয়েছে ও পেছনে দুটি ক্যামেরা রয়েছে। ট্যাবটি স্মার্ট টাচ কিবোর্ড ও স্ট্যাইলাস
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
তাজা উপকরণে তৈরি দারুণ স্বাদের জন্য থাই খাবার বিশ্বজুড়ে দ্রুত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এর প্রাণবন্ত স্বাদ ও পুষ্টিগুণ মানুষকে আকৃষ্ট করছে। পুষ্টিবিদ কেরি বিসনের মতে, মসলা, ভেষজ ও তাজা উপাদানের এক প্রাণবন্ত মিশ্রণে তৈরি হয় থাই খাবার। কিন্তু এই খাবারের প্রেমে পড়া নুডলস অনুরাগীদের জন্য কিছুটা খারাপ খবর আছে...
১০ মিনিট আগে
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য থাইল্যান্ড। নিয়মিত যাঁরা ভ্রমণ করেন, তাঁদের অনেকে দেশটিতে একাধিকবার গেছেন। এর অন্যতম কারণ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ। পর্যটকদের জন্য সব ধরনের আয়োজন রয়েছে দেশটিতে। কিন্তু সম্প্রতি দেশটির সরকারের এক সিদ্ধান্ত পর্যটকদের কপালে ভাঁজ এনে দিয়েছে।
২০ ঘণ্টা আগে
ফরসা রঙের মানুষদের একসময় সুন্দর বলা হতো; কিন্তু সৌন্দর্যের সেই ধারণা বর্তমানে বদলে গেছে। এখন সুন্দর বলতে বোঝায় দেহের সুন্দর গড়নকে। সেটিকে আমরা সুস্থতা না ধরে, ধরে নিয়েছি একটা নির্দিষ্ট মাপে, তা হলো ৩৬-২৪-৩৬। এটা যেন সব নারীর আরাধ্য ফিগার।
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য থাইল্যান্ড। নিয়মিত যাঁরা ভ্রমণ করেন, তাঁদের অনেকে দেশটিতে একাধিকবার গেছেন। এর অন্যতম কারণ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ। পর্যটকদের জন্য সব ধরনের আয়োজন রয়েছে দেশটিতে। কিন্তু সম্প্রতি দেশটির সরকারের এক সিদ্ধান্ত পর্যটকদের কপালে ভাঁজ এনে দিয়েছে।
৮ নভেম্বর থেকে থাইল্যান্ডে দিনের বেলা নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে অ্যালকোহল পান গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে থাইল্যান্ডে। এই অপরাধ করলে প্রায় ৩০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী শুধু বিক্রেতা নয়, গ্রাহকেরাও এই জরিমানার আওতায় আসবেন।
নতুন নিয়ম
বিক্রির অনুমোদিত সময়ের বাইরে রেস্টুরেন্ট বা বিনোদনের স্থানে বসে অ্যালকোহল পান করা নিষেধ। ধরা পড়লে এই জরিমানা প্রযোজ্য হবে। অ্যালকোহল কেনার অনুমোদিত সময় হলো—
পর্যটন খাতের উদ্বেগ
নতুন নিয়মটি ঘোষণার পর থাইল্যান্ডের পর্যটন ও বিনোদন খাতের উদ্যোক্তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তাঁরা বলছেন, নিয়মটি করোনা-পরবর্তী পর্যটন অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের পথে বড় বাধা সৃষ্টি করতে পারে। এক রেস্টুরেন্টের মালিক জানান, নতুন নিয়ম অনুযায়ী অনুমোদিত সময়ের বাইরে গ্রাহকেরা অ্যালকোহলের দোকানে বসে থাকলেও তাঁর জরিমানা হতে পারে। অর্থাৎ, বেলা ১১টা থেকে ২টা কিংবা বিকেল ৫টা থেকে মধ্যরাতের মধ্যে মদ কেনা বৈধ হলেও যদি গ্রাহক সেই সময়ের বাইরে দোকানে মদ পান না করে বসে থাকলেও জরিমানা গুনতে হবে। রেস্টুরেন্ট মালিক ও পর্যটন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি পর্যটকদের জন্য অযৌক্তিক ও বিরক্তিকর। এমন নিয়ম পর্যটকেরা পছন্দ না-ও করতে পারেন। পর্যটন বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, শীতকালীন ছুটির মৌসুমে নতুন নিয়মের কারণে পর্যটক কমে যেতে পারে। পর্যটনশিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
নতুন আইনটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক মাধ্যম এবং আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অনেক বিদেশি সংবাদপত্র পর্যটকদের সতর্ক করেছে, যাতে তাঁরা থাইল্যান্ডে ভ্রমণের সময় নতুন নিয়ম সম্পর্কে সচেতন থাকেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পর্যটকেরা এই নিয়মকে অযৌক্তিক এবং পর্যটকবিরোধী বলে সমালোচনা করেছেন। তাঁরা লিখেছেন, এমন কঠোর নিয়মের কারণে পর্যটকেরা স্বচ্ছন্দে ঘুরতে পারবেন না এবং তাঁদের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা খারাপ হতে পারে। এমনকি কিছু বিদেশি পর্যটক সরাসরি বলেছেন, তাঁরা এবার থাইল্যান্ডে যাবেন না। এর পরিবর্তে পাশের দেশগুলোতে ছুটি কাটাবেন, যেখানে অ্যালকোহলের বিধিনিষেধ তুলনামূলক কম এবং পর্যটকদের জন্য সুবিধাজনক। এই প্রতিক্রিয়াগুলো দেখে বোঝা যায়, নতুন আইনটি আন্তর্জাতিক পর্যটকদের মধ্যে উদ্বেগ ও বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। এটি দীর্ঘ মেয়াদে থাইল্যান্ডের পর্যটনশিল্পকে প্রভাবিত করতে পারে।

সরকারের পদক্ষেপ
এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল নির্দেশ দিয়েছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে নতুন নিয়মে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে হবে। প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলোর মধ্যে রয়েছে অঞ্চলভিত্তিক নিষেধাজ্ঞা তুলে ফেলা, যাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে অ্যালকোহল পানের সময় এক রকম হয়। এর সঙ্গে পরিবেশনের অনুমোদিত সময় রাত ৪টা পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা। এ ছাড়া সরকার চাইছে, আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া জানুয়ারি ২০২৬-এর মধ্যে সম্পন্ন করা হোক। সরকার আশা করছে, অ্যালকোহল বিক্রির সময় বাড়ানো হলে পর্যটক বৃদ্ধি পাবে। রাতের সময়টা আরও জমজমাট হবে এবং এটি রাজস্ব বাড়াতে সাহায্য করবে।
পূর্ববর্তী বিধিনিষেধ
২০২৩ সালে ব্যাংকক, ফুকেট, চোনবুরি, চিয়াং মাই ও কো সমুই অঞ্চলের বিনোদনকেন্দ্রে রাত ৪টা পর্যন্ত অ্যালকোহল বিক্রির অনুমতি ছিল। তবে নিবন্ধন ও নিয়ম মানার প্রক্রিয়া জটিল হওয়ায় অনেক ব্যবসায়ী সমস্যায় পড়তেন।
মালিক ও পর্যটকের মন্তব্য
এক পর্যটন কর্মকর্তা মন্তব্য করেছেন, নিয়মটি ঠিকমতো না সাজালে পর্যটকেরা আতঙ্কিত হতে পারে। পর্যটনশিল্প এখনো পুনরুদ্ধারের সময়ে রয়েছে। নতুন আইন যদি শিথিল না হয়, তাহলে শীতকালীন পর্যটন মৌসুম ক্ষতির মুখে পড়বে।
এক রেস্টুরেন্ট মালিক আরও জানান, এমন কঠোর নিয়ম পর্যটকদের আগ্রহ কমাবে। সাধারণ পর্যটকেরা থাইল্যান্ড ভ্রমণে আগ্রহ হারাবেন। এটি সরাসরি পর্যটনশিল্পে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য থাইল্যান্ড। নিয়মিত যাঁরা ভ্রমণ করেন, তাঁদের অনেকে দেশটিতে একাধিকবার গেছেন। এর অন্যতম কারণ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ। পর্যটকদের জন্য সব ধরনের আয়োজন রয়েছে দেশটিতে। কিন্তু সম্প্রতি দেশটির সরকারের এক সিদ্ধান্ত পর্যটকদের কপালে ভাঁজ এনে দিয়েছে।
৮ নভেম্বর থেকে থাইল্যান্ডে দিনের বেলা নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে অ্যালকোহল পান গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে থাইল্যান্ডে। এই অপরাধ করলে প্রায় ৩০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী শুধু বিক্রেতা নয়, গ্রাহকেরাও এই জরিমানার আওতায় আসবেন।
নতুন নিয়ম
বিক্রির অনুমোদিত সময়ের বাইরে রেস্টুরেন্ট বা বিনোদনের স্থানে বসে অ্যালকোহল পান করা নিষেধ। ধরা পড়লে এই জরিমানা প্রযোজ্য হবে। অ্যালকোহল কেনার অনুমোদিত সময় হলো—
পর্যটন খাতের উদ্বেগ
নতুন নিয়মটি ঘোষণার পর থাইল্যান্ডের পর্যটন ও বিনোদন খাতের উদ্যোক্তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তাঁরা বলছেন, নিয়মটি করোনা-পরবর্তী পর্যটন অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের পথে বড় বাধা সৃষ্টি করতে পারে। এক রেস্টুরেন্টের মালিক জানান, নতুন নিয়ম অনুযায়ী অনুমোদিত সময়ের বাইরে গ্রাহকেরা অ্যালকোহলের দোকানে বসে থাকলেও তাঁর জরিমানা হতে পারে। অর্থাৎ, বেলা ১১টা থেকে ২টা কিংবা বিকেল ৫টা থেকে মধ্যরাতের মধ্যে মদ কেনা বৈধ হলেও যদি গ্রাহক সেই সময়ের বাইরে দোকানে মদ পান না করে বসে থাকলেও জরিমানা গুনতে হবে। রেস্টুরেন্ট মালিক ও পর্যটন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি পর্যটকদের জন্য অযৌক্তিক ও বিরক্তিকর। এমন নিয়ম পর্যটকেরা পছন্দ না-ও করতে পারেন। পর্যটন বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, শীতকালীন ছুটির মৌসুমে নতুন নিয়মের কারণে পর্যটক কমে যেতে পারে। পর্যটনশিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
নতুন আইনটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক মাধ্যম এবং আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অনেক বিদেশি সংবাদপত্র পর্যটকদের সতর্ক করেছে, যাতে তাঁরা থাইল্যান্ডে ভ্রমণের সময় নতুন নিয়ম সম্পর্কে সচেতন থাকেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পর্যটকেরা এই নিয়মকে অযৌক্তিক এবং পর্যটকবিরোধী বলে সমালোচনা করেছেন। তাঁরা লিখেছেন, এমন কঠোর নিয়মের কারণে পর্যটকেরা স্বচ্ছন্দে ঘুরতে পারবেন না এবং তাঁদের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা খারাপ হতে পারে। এমনকি কিছু বিদেশি পর্যটক সরাসরি বলেছেন, তাঁরা এবার থাইল্যান্ডে যাবেন না। এর পরিবর্তে পাশের দেশগুলোতে ছুটি কাটাবেন, যেখানে অ্যালকোহলের বিধিনিষেধ তুলনামূলক কম এবং পর্যটকদের জন্য সুবিধাজনক। এই প্রতিক্রিয়াগুলো দেখে বোঝা যায়, নতুন আইনটি আন্তর্জাতিক পর্যটকদের মধ্যে উদ্বেগ ও বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। এটি দীর্ঘ মেয়াদে থাইল্যান্ডের পর্যটনশিল্পকে প্রভাবিত করতে পারে।

সরকারের পদক্ষেপ
এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল নির্দেশ দিয়েছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে নতুন নিয়মে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে হবে। প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলোর মধ্যে রয়েছে অঞ্চলভিত্তিক নিষেধাজ্ঞা তুলে ফেলা, যাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে অ্যালকোহল পানের সময় এক রকম হয়। এর সঙ্গে পরিবেশনের অনুমোদিত সময় রাত ৪টা পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা। এ ছাড়া সরকার চাইছে, আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া জানুয়ারি ২০২৬-এর মধ্যে সম্পন্ন করা হোক। সরকার আশা করছে, অ্যালকোহল বিক্রির সময় বাড়ানো হলে পর্যটক বৃদ্ধি পাবে। রাতের সময়টা আরও জমজমাট হবে এবং এটি রাজস্ব বাড়াতে সাহায্য করবে।
পূর্ববর্তী বিধিনিষেধ
২০২৩ সালে ব্যাংকক, ফুকেট, চোনবুরি, চিয়াং মাই ও কো সমুই অঞ্চলের বিনোদনকেন্দ্রে রাত ৪টা পর্যন্ত অ্যালকোহল বিক্রির অনুমতি ছিল। তবে নিবন্ধন ও নিয়ম মানার প্রক্রিয়া জটিল হওয়ায় অনেক ব্যবসায়ী সমস্যায় পড়তেন।
মালিক ও পর্যটকের মন্তব্য
এক পর্যটন কর্মকর্তা মন্তব্য করেছেন, নিয়মটি ঠিকমতো না সাজালে পর্যটকেরা আতঙ্কিত হতে পারে। পর্যটনশিল্প এখনো পুনরুদ্ধারের সময়ে রয়েছে। নতুন আইন যদি শিথিল না হয়, তাহলে শীতকালীন পর্যটন মৌসুম ক্ষতির মুখে পড়বে।
এক রেস্টুরেন্ট মালিক আরও জানান, এমন কঠোর নিয়ম পর্যটকদের আগ্রহ কমাবে। সাধারণ পর্যটকেরা থাইল্যান্ড ভ্রমণে আগ্রহ হারাবেন। এটি সরাসরি পর্যটনশিল্পে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

১০ হাজার এমএএইচ ক্ষমতার শক্তিশালী ব্যাটারি ও বিশাল ডিসপ্লের ট্যাবলেট প্যাড ৬ এস প্রো নিয়ে এল শাওমি। গত বৃহস্পতিবার শাওমি ১৪ আল্ট্রা মডেলের সঙ্গে ট্যাবের এই মডেলটি উন্মোচন করা হয়। এতে অক্টাকোর স্ন্যাপড্রাগন চিপসেট ব্যবহার করা হয়েছে ও পেছনে দুটি ক্যামেরা রয়েছে। ট্যাবটি স্মার্ট টাচ কিবোর্ড ও স্ট্যাইলাস
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
তাজা উপকরণে তৈরি দারুণ স্বাদের জন্য থাই খাবার বিশ্বজুড়ে দ্রুত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এর প্রাণবন্ত স্বাদ ও পুষ্টিগুণ মানুষকে আকৃষ্ট করছে। পুষ্টিবিদ কেরি বিসনের মতে, মসলা, ভেষজ ও তাজা উপাদানের এক প্রাণবন্ত মিশ্রণে তৈরি হয় থাই খাবার। কিন্তু এই খাবারের প্রেমে পড়া নুডলস অনুরাগীদের জন্য কিছুটা খারাপ খবর আছে...
১০ মিনিট আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জীবনের প্রতিটি খুঁটিনাটি তুলে ধরার এই যুগে, প্রেম বা দাম্পত্য সম্পর্ককে প্রকাশ্যে আনা বা ‘হার্ড-লঞ্চ’ করার ক্ষেত্রে দ্বিধা দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে তরুণী ও নারীদের মধ্যে এই প্রবণতা অনেক বেশি। পশ্চিমা দেশগুলোতে এই প্রবণতা এখন এতটাই প্রবল যে, ব্রিটিশ ভোগ ম্যাগাজিনও প্রশ্ন তুলেছে,
১৬ ঘণ্টা আগে
ফরসা রঙের মানুষদের একসময় সুন্দর বলা হতো; কিন্তু সৌন্দর্যের সেই ধারণা বর্তমানে বদলে গেছে। এখন সুন্দর বলতে বোঝায় দেহের সুন্দর গড়নকে। সেটিকে আমরা সুস্থতা না ধরে, ধরে নিয়েছি একটা নির্দিষ্ট মাপে, তা হলো ৩৬-২৪-৩৬। এটা যেন সব নারীর আরাধ্য ফিগার।
১ দিন আগেনাহিদা আহমেদ

ফরসা রঙের মানুষদের একসময় সুন্দর বলা হতো; কিন্তু সৌন্দর্যের সেই ধারণা বর্তমানে বদলে গেছে। এখন সুন্দর বলতে বোঝায় দেহের সুন্দর গড়নকে। সেটিকে আমরা সুস্থতা না ধরে, ধরে নিয়েছি একটা নির্দিষ্ট মাপে, তা হলো ৩৬-২৪-৩৬। এটা যেন সব নারীর আরাধ্য ফিগার। কিন্তু ফিগার বাগে আনতে কিংবা বাড়তি ওজন কমানোর দৌড়ে আমরা কত দূর যাচ্ছি, কীভাবে যাচ্ছি, আর এর ফলটাই-বা কী?
সম্প্রতি এক ইনফ্লুয়েন্সার ও মেকআপ আর্টিস্টের মৃত্যুর ঘটনায় হয়তো এসব প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে রয়েছে। মাত্র ৬ মাসে ১২২ কেজি থেকে ৪২ কেজি ওজন কমিয়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। অস্বাস্থ্যকর ওম্যাড ডায়েট কিংবা ওয়ান মিল আ ডে ডায়েটের ফলে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কাছে তাঁকে হার মানতে হয়। অতিরিক্ত ওজন হওয়ার কারণে তিনি নানাভাবে বডিশেমিংয়ের শিকার হয়েছিলেন বলে বিভিন্ন সংবাদে উঠে এসেছে।
ওজন কমানোর ডায়েটে রয়েছে যে ধরনের ঝুঁকি
তিনি ওজন কমানোর জন্য বেছে নিয়েছিলেন বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় ‘ট্রেন্ড ওম্যাড ডায়েট’। ইংরেজিতে যাকে বলে ওএমএডি (ওম্যাড) বা ওয়ান মিল আ ডে। ওম্যাড ডায়েট হলো, দিনে ২৩ ঘণ্টা না খেয়ে থেকে নির্দিষ্ট সময়ে ১ ঘণ্টার মধ্যে সারা দিনের দরকারি খাবার খাওয়া। এই কঠিন ডায়েটের কারণে শরীরে ক্যালরির ঘাটতি হয়, ফলে দ্রুত ওজন কমে।
তবে এ পর্যন্ত যা জানা গেছে, তা হলো তিনি অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য নিজেই ওম্যাড ডায়েট শুরু করেছিলেন। এতে অনেকটা ওজন তাঁর কমেছিল ঠিকই; কিন্তু পরবর্তী সময়ে নানা শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। এরপর হাসপাতালে তিনি ভর্তি হন; কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি।
ওম্যাড ডায়েটের ফলে বিপাকক্রিয়ার হার এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায়। তা ছাড়া ডায়েটের ফলে দেহে ভিটামিনের ঘাটতি হয়। ফলে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য হারিয়ে যায়। চুল পড়ে যাওয়া বা অনিয়মিত মাসিকের সমস্যাও দেখা যায়। পাশাপাশি শরীরে স্ট্রেস হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়। ডায়াবেটিস বা হৃদ্রোগে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে এটি প্রাণঘাতী হতে পারে। সারা দিন না খেয়ে একসঙ্গে অনেক খাবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বেড়ে বা কমে যেতে পারে, যা কখনো কখনো মারাত্মক জটিলতা কিংবা মৃত্যুঝুঁকি সৃষ্টি করে।

সৌন্দর্যের জন্য ওজন কমাতে যা জেনে রাখা জরুরি
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, দেহের চাহিদামতো সঠিক খাদ্যতালিকা মেনে চলা। তখন ওজন কমানোর জন্য কোনো একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে হবে। পুষ্টিবিদ রক্তে শর্করার মাত্রা, কোলেস্টেরলের মাত্রা, লিভার ও কিডনির সুস্থতা, রক্তচাপের গতি, হরমোন অসমতা ইত্যাদি বিবেচনা করে বডি মাস ইনডেক্স কত হওয়া উচিত, তা জানিয়ে খাদ্যতালিকা তৈরি করে দেবেন। প্রত্যেক মানুষের ফিঙ্গারপ্রিন্ট যেমন আলাদা, তেমনি তাঁদের মেটাবলিজম বডি টাইপও আলাদা। তাই যেকোনো ধরনের খাদ্যে পরিবর্তন আনতে হলে অবশ্যই একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়া বা বিভিন্ন অ্যাপস দেখে ডায়েট করলে আপনি উপকৃত হবেন, তা কিন্তু নয়। সাময়িক ফল পেলেও দীর্ঘ মেয়াদে শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। এমনকি পরবর্তী সময়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
ডায়েট করার উদ্দেশ্য কী হওয়া উচিত
ডায়েটের উদ্দেশ্য হলো শরীর সুস্থ রাখা। না খেয়ে কিংবা ভুল খাদ্যাভ্যাস মেনে চলার মাধ্যমে কখনোই সেটা হতে পারে না। তবে সমস্যা হলো, শুধু অনলাইন ডায়েট প্ল্যান কিংবা ইউটিউব দেখে যোগব্যায়াম করার মাধ্যমে সুস্থতা অর্জন করা সম্ভব নয়। ওয়েলনেস ইনফ্লুয়েন্সারদের ভিডিও দেখে সেই লাইফস্টাইল নিজের করে নেওয়ার মধ্যেও বিশাল সমস্যা রয়েছে। এতেও পরবর্তী সময়ে ভয়াবহ স্বাস্থ্য জটিলতা সৃষ্টি যেতে পারে।
আবার ভুল খাবার বেছে নিচ্ছেন না তো
বাজারে এখন নানা ধরনের স্লিমিং টি বা জুস পাওয়া যাচ্ছে। বলা হচ্ছে, এক মাসে ৭ থেকে ৯ কেজি পর্যন্ত ওজন কমানো সম্ভব হবে সেসব জুস পান করলে; বিশেষ করে নারীরা এসব স্লিমিং টি ও জুস পানে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। কিন্তু এসবে গা ভাসিয়ে সুস্থতা ও সৌন্দর্য কোনোভাবেই পাওয়া যায় না। নিজের শরীর বুঝতে হবে। আপনার শরীর কী চায়, তা নানা পরীক্ষার মাধ্যমে বিশেষজ্ঞরা বলতে পারবেন।
লাল ও নীল বেরি জাতীয় ফল দিয়ে সাজানো ওট মিল, দামি কিনোয়া, অ্যাভোকাডো আর রঙিন সালাদসহ নামীদামি নানা খাবার রিলস কিংবা ভিডিওতে দেখতে সুন্দর লাগে। তবে আমাদের দেশে এগুলোর দাম আকাশছোঁয়া। তবে স্বীকার করতে হবে, এ ধরনের খাবার মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত বাঙালি রান্নাঘরের জন্য খুবই বেমানান। আবার আবহাওয়া ও জলবায়ুর সঙ্গে এসব খাবার শরীরে কতটা উপযোগী, সেটাও প্রশ্ন।
তাই সোশ্যাল মিডিয়া দেখে ডায়েট করাটা ভীষণ বোকামি। ডায়েট যদি করতেই হয়, তাহলে একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে দেশীয় সহজপ্রাপ্য ঘরের সাধারণ খাবার দিয়ে তালিকা বানিয়ে সেটা মেনে চলুন। ডায়েটকে এত কঠিন ও ব্যয়বহুল করার মানে নেই।
লেখক: পুষ্টিবিদ, ফরাজি হাসপাতাল, বারিধারা

ফরসা রঙের মানুষদের একসময় সুন্দর বলা হতো; কিন্তু সৌন্দর্যের সেই ধারণা বর্তমানে বদলে গেছে। এখন সুন্দর বলতে বোঝায় দেহের সুন্দর গড়নকে। সেটিকে আমরা সুস্থতা না ধরে, ধরে নিয়েছি একটা নির্দিষ্ট মাপে, তা হলো ৩৬-২৪-৩৬। এটা যেন সব নারীর আরাধ্য ফিগার। কিন্তু ফিগার বাগে আনতে কিংবা বাড়তি ওজন কমানোর দৌড়ে আমরা কত দূর যাচ্ছি, কীভাবে যাচ্ছি, আর এর ফলটাই-বা কী?
সম্প্রতি এক ইনফ্লুয়েন্সার ও মেকআপ আর্টিস্টের মৃত্যুর ঘটনায় হয়তো এসব প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে রয়েছে। মাত্র ৬ মাসে ১২২ কেজি থেকে ৪২ কেজি ওজন কমিয়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। অস্বাস্থ্যকর ওম্যাড ডায়েট কিংবা ওয়ান মিল আ ডে ডায়েটের ফলে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কাছে তাঁকে হার মানতে হয়। অতিরিক্ত ওজন হওয়ার কারণে তিনি নানাভাবে বডিশেমিংয়ের শিকার হয়েছিলেন বলে বিভিন্ন সংবাদে উঠে এসেছে।
ওজন কমানোর ডায়েটে রয়েছে যে ধরনের ঝুঁকি
তিনি ওজন কমানোর জন্য বেছে নিয়েছিলেন বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় ‘ট্রেন্ড ওম্যাড ডায়েট’। ইংরেজিতে যাকে বলে ওএমএডি (ওম্যাড) বা ওয়ান মিল আ ডে। ওম্যাড ডায়েট হলো, দিনে ২৩ ঘণ্টা না খেয়ে থেকে নির্দিষ্ট সময়ে ১ ঘণ্টার মধ্যে সারা দিনের দরকারি খাবার খাওয়া। এই কঠিন ডায়েটের কারণে শরীরে ক্যালরির ঘাটতি হয়, ফলে দ্রুত ওজন কমে।
তবে এ পর্যন্ত যা জানা গেছে, তা হলো তিনি অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য নিজেই ওম্যাড ডায়েট শুরু করেছিলেন। এতে অনেকটা ওজন তাঁর কমেছিল ঠিকই; কিন্তু পরবর্তী সময়ে নানা শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। এরপর হাসপাতালে তিনি ভর্তি হন; কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি।
ওম্যাড ডায়েটের ফলে বিপাকক্রিয়ার হার এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায়। তা ছাড়া ডায়েটের ফলে দেহে ভিটামিনের ঘাটতি হয়। ফলে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য হারিয়ে যায়। চুল পড়ে যাওয়া বা অনিয়মিত মাসিকের সমস্যাও দেখা যায়। পাশাপাশি শরীরে স্ট্রেস হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়। ডায়াবেটিস বা হৃদ্রোগে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে এটি প্রাণঘাতী হতে পারে। সারা দিন না খেয়ে একসঙ্গে অনেক খাবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বেড়ে বা কমে যেতে পারে, যা কখনো কখনো মারাত্মক জটিলতা কিংবা মৃত্যুঝুঁকি সৃষ্টি করে।

সৌন্দর্যের জন্য ওজন কমাতে যা জেনে রাখা জরুরি
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, দেহের চাহিদামতো সঠিক খাদ্যতালিকা মেনে চলা। তখন ওজন কমানোর জন্য কোনো একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে হবে। পুষ্টিবিদ রক্তে শর্করার মাত্রা, কোলেস্টেরলের মাত্রা, লিভার ও কিডনির সুস্থতা, রক্তচাপের গতি, হরমোন অসমতা ইত্যাদি বিবেচনা করে বডি মাস ইনডেক্স কত হওয়া উচিত, তা জানিয়ে খাদ্যতালিকা তৈরি করে দেবেন। প্রত্যেক মানুষের ফিঙ্গারপ্রিন্ট যেমন আলাদা, তেমনি তাঁদের মেটাবলিজম বডি টাইপও আলাদা। তাই যেকোনো ধরনের খাদ্যে পরিবর্তন আনতে হলে অবশ্যই একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়া বা বিভিন্ন অ্যাপস দেখে ডায়েট করলে আপনি উপকৃত হবেন, তা কিন্তু নয়। সাময়িক ফল পেলেও দীর্ঘ মেয়াদে শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। এমনকি পরবর্তী সময়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
ডায়েট করার উদ্দেশ্য কী হওয়া উচিত
ডায়েটের উদ্দেশ্য হলো শরীর সুস্থ রাখা। না খেয়ে কিংবা ভুল খাদ্যাভ্যাস মেনে চলার মাধ্যমে কখনোই সেটা হতে পারে না। তবে সমস্যা হলো, শুধু অনলাইন ডায়েট প্ল্যান কিংবা ইউটিউব দেখে যোগব্যায়াম করার মাধ্যমে সুস্থতা অর্জন করা সম্ভব নয়। ওয়েলনেস ইনফ্লুয়েন্সারদের ভিডিও দেখে সেই লাইফস্টাইল নিজের করে নেওয়ার মধ্যেও বিশাল সমস্যা রয়েছে। এতেও পরবর্তী সময়ে ভয়াবহ স্বাস্থ্য জটিলতা সৃষ্টি যেতে পারে।
আবার ভুল খাবার বেছে নিচ্ছেন না তো
বাজারে এখন নানা ধরনের স্লিমিং টি বা জুস পাওয়া যাচ্ছে। বলা হচ্ছে, এক মাসে ৭ থেকে ৯ কেজি পর্যন্ত ওজন কমানো সম্ভব হবে সেসব জুস পান করলে; বিশেষ করে নারীরা এসব স্লিমিং টি ও জুস পানে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। কিন্তু এসবে গা ভাসিয়ে সুস্থতা ও সৌন্দর্য কোনোভাবেই পাওয়া যায় না। নিজের শরীর বুঝতে হবে। আপনার শরীর কী চায়, তা নানা পরীক্ষার মাধ্যমে বিশেষজ্ঞরা বলতে পারবেন।
লাল ও নীল বেরি জাতীয় ফল দিয়ে সাজানো ওট মিল, দামি কিনোয়া, অ্যাভোকাডো আর রঙিন সালাদসহ নামীদামি নানা খাবার রিলস কিংবা ভিডিওতে দেখতে সুন্দর লাগে। তবে আমাদের দেশে এগুলোর দাম আকাশছোঁয়া। তবে স্বীকার করতে হবে, এ ধরনের খাবার মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত বাঙালি রান্নাঘরের জন্য খুবই বেমানান। আবার আবহাওয়া ও জলবায়ুর সঙ্গে এসব খাবার শরীরে কতটা উপযোগী, সেটাও প্রশ্ন।
তাই সোশ্যাল মিডিয়া দেখে ডায়েট করাটা ভীষণ বোকামি। ডায়েট যদি করতেই হয়, তাহলে একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে দেশীয় সহজপ্রাপ্য ঘরের সাধারণ খাবার দিয়ে তালিকা বানিয়ে সেটা মেনে চলুন। ডায়েটকে এত কঠিন ও ব্যয়বহুল করার মানে নেই।
লেখক: পুষ্টিবিদ, ফরাজি হাসপাতাল, বারিধারা

১০ হাজার এমএএইচ ক্ষমতার শক্তিশালী ব্যাটারি ও বিশাল ডিসপ্লের ট্যাবলেট প্যাড ৬ এস প্রো নিয়ে এল শাওমি। গত বৃহস্পতিবার শাওমি ১৪ আল্ট্রা মডেলের সঙ্গে ট্যাবের এই মডেলটি উন্মোচন করা হয়। এতে অক্টাকোর স্ন্যাপড্রাগন চিপসেট ব্যবহার করা হয়েছে ও পেছনে দুটি ক্যামেরা রয়েছে। ট্যাবটি স্মার্ট টাচ কিবোর্ড ও স্ট্যাইলাস
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
তাজা উপকরণে তৈরি দারুণ স্বাদের জন্য থাই খাবার বিশ্বজুড়ে দ্রুত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এর প্রাণবন্ত স্বাদ ও পুষ্টিগুণ মানুষকে আকৃষ্ট করছে। পুষ্টিবিদ কেরি বিসনের মতে, মসলা, ভেষজ ও তাজা উপাদানের এক প্রাণবন্ত মিশ্রণে তৈরি হয় থাই খাবার। কিন্তু এই খাবারের প্রেমে পড়া নুডলস অনুরাগীদের জন্য কিছুটা খারাপ খবর আছে...
১০ মিনিট আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জীবনের প্রতিটি খুঁটিনাটি তুলে ধরার এই যুগে, প্রেম বা দাম্পত্য সম্পর্ককে প্রকাশ্যে আনা বা ‘হার্ড-লঞ্চ’ করার ক্ষেত্রে দ্বিধা দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে তরুণী ও নারীদের মধ্যে এই প্রবণতা অনেক বেশি। পশ্চিমা দেশগুলোতে এই প্রবণতা এখন এতটাই প্রবল যে, ব্রিটিশ ভোগ ম্যাগাজিনও প্রশ্ন তুলেছে,
১৬ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য থাইল্যান্ড। নিয়মিত যাঁরা ভ্রমণ করেন, তাঁদের অনেকে দেশটিতে একাধিকবার গেছেন। এর অন্যতম কারণ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ। পর্যটকদের জন্য সব ধরনের আয়োজন রয়েছে দেশটিতে। কিন্তু সম্প্রতি দেশটির সরকারের এক সিদ্ধান্ত পর্যটকদের কপালে ভাঁজ এনে দিয়েছে।
২০ ঘণ্টা আগে