Ajker Patrika

স্যামসাং গ্যালাক্সি এস সিরিজের নতুন ফোনের ছবি ফাঁস

আপডেট : ৩১ জুলাই ২০২৩, ০১: ৩৬
স্যামসাং গ্যালাক্সি এস সিরিজের নতুন ফোনের ছবি ফাঁস

শিগগরি বাজারে আসছে স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৩ এফই। এটি গ্যালাক্সি এস২১ এফই মডেলকে ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সম্প্রতি ফোনটির লাইভ ইমেজ ফাঁস হয়েছে। একটি ওয়্যারলেস চার্জিং ডেটাবেজেও ফোনটি দেখা গেছে। অপরাপর গ্যালাক্সি এস২৩ মডেলের চেয়ে এই ফোনের চার্জিং ক্ষমতা ধীরগতির হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

দুটি এসওসি ভ্যারিয়্যান্টসহ এই ফোন এর আগে গিকবেঞ্চে তালিকাভুক্ত হয়েছে। গিকবেঞ্চ হলো কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট ও মোবাইল ফোনের সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট ও গ্রাফিক প্রসেসিং ইউনিটের সক্ষমতা পরিমাপের মানদণ্ড। 

গ্যালাক্সি এস২৩ সিরিজের অংশ হতে যাচ্ছে আসন্ন এই ফ্যান এডিশন। এর আগে এই সিরিজের অংশ হয়েছে বেস গ্যালাক্সি এস২৩, গ্যালাক্সি এস২৩ প্লাস ও গ্যালাক্সি এস২৩ আল্ট্রা। 

গ্যালাক্সি এস২৩ এফই ফোন ওয়্যারলেস পাওয়ার কনসোর্টিয়ামেও তুলে ধরা হয়েছে। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, এটি ৪.৪ ওয়্যারলেস চার্জিং ক্ষমতাসম্পন্ন। তবে এই ইউএসবি টাইপসি কত ওয়াট সক্ষতার তা ওয়েবসাইটে উল্লেখ নেই। গ্যালাক্সি এস২৩ আল্ট্রা তারসহ ৪৫ ওয়াট ও তারহীন ১৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং ক্ষমতার। 

এদিকে স্যামসাং ক্লাব নামে নেদারল্যান্ডের ওয়েবসাইট, কথিত গ্যালাক্সি এস২৩ এফই মডেলের লাইভ ইমেজ ফাঁস করা হয়েছে। ছবি দেখে ধারণা করা হচ্ছে, ফোনটিতে ২.৫ডি মডেলের ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে। ফোনটির পেছনের অংশ সমান এবং এতে বাঁ পাশের কোনায় উল্লম্বভাবে তিনটি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে।

স্যামসাং দক্ষিণ আফ্রিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জাস্টিন হিউম সিউলে গ্যালাক্সি উন্মোচন অনুষ্ঠানে বলেন, গ্যালাক্সি এস২৩ এফই মডেলের ঘোষণা শিগগরিই আসতে পারে। কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ১ এসওসি বা স্ন্যাপড্রাগন ৮ ‍+ জেন ১ এসওসিসহ এটি যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বাজারে আসতে পারে। অন্যান্য অঞ্চলে ইনহাউস এক্সিনোস ২২০০ চিপসেটসহ ফোনটি মিলতে পারে।

এক নজরে স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ২৩
ফোনটিতে অক্টা–কোর প্রসেসর ও এন্ড্রয়েড ১৩ অপারেটিং সিস্টেম থাকবে। এক্সিনোস ভ্যারিয়েন্টে এক্সলিপ্স ৯২০ এমডি জিপইউ ব্যবহার করা হবে। ফোনটিতে ৮ জিবি এলডিডিআর র‍্যাম থাকবে। রোম হবে ২৫৬ জিবি ৩.১ ইউএফপিএস পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। 

পেছনের ক্যামেরায় ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি সেন্সরের সঙ্গে ১২ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা ওয়াইড সেন্সর, ১০ মেগাপিক্সেল এবং সামনের ক্যামেরায় ১২ মেগাপিক্সেল সেন্সর থাকবে। ফোনটিতে ৪৫০০ এমএএইচ ব্যাটারি থাকতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঘুরে আসুন লামা থেকে

মিঠু দাশ, লামা, বান্দরবান
ছবি: লেখক
ছবি: লেখক

ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক থেকে পাহাড় ও মাতামুহুরী নদীবেষ্টিত বান্দরবানের লামা উপজেলা দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে বৈচিত্র্যময়। কোথাও উঁচু, কোথাও নিচু সারি সারি সবুজ পাহাড়। সেই সবুজ পাহাড়ে মেঘের আড়ালে হারিয়ে যেতে নেই মানা। মাঝে মাঝে ঢুকে যাবেন মেঘের রাজ্যে। সূর্যের আলো ফোটার আগে বোঝার উপায় নেই, এটি কোন জনপদ। সূর্যোদয়ের পর হেসে ওঠে সব। প্রকৃতি যেন তার সবটুকু রূপ দিয়ে সাজিয়ে তুলেছে বান্দরবানের লামাকে। সারি সারি পাহাড় আর সবুজ বনানীবেষ্টিত এলাকায় আপনার আগমনে যোগ হবে ভিন্ন মাত্রা। পাহাড় থেকে সূর্যাস্ত না দেখলে প্রকৃতির বর্ণনাতীত সৌন্দর্যের অনেকটাই অদেখা থেকে যায়। মেঘ আর কুয়াশাঢাকা পাহাড়ি পথে পাহাড়ের চূড়ায় ওঠার রোমাঞ্চকর অনুভূতি ডাকছে আপনাকে।

ভাষা, সংস্কৃতি, ধর্মবিশ্বাস অন্যান্য জেলার চেয়ে তিন পার্বত্য জেলা সম্পূর্ণ আলাদা। বান্দরবানের লামার মিরিঞ্জা পাহাড় থেকে দেখা যাবে লামা শহর, পাশের সবুজ সুন্দর প্রকৃতি এবং পশ্চিমে তাকালে উপকূলীয় সবুজ বনানীর পর মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, কুতুবদিয়া-মহেশখালী দ্বীপের বাইরে বঙ্গোপসাগরে ভাসমান জাহাজ এবং বোটগুলো যেন পাহাড়ি নদীর পানসি নৌকা! লামার বুকে বয়ে চলা মাতামুহুরী নদী যেন স্বপ্নের জগতে নিয়ে যাবে আপনাকে। মাঝেমধ্যে উঁচু উঁচু পাহাড়ের ফাঁকে ফাঁকে উঁকি দেয় সূর্যের আলো। প্রকৃতির খুব কাছাকাছি আসার, বুকভরে নির্মল বাতাস নেওয়ার আর স্বর্গীয় দৃশ্য দেখে চোখ জুড়ানোর একমাত্র জায়গা লামা। এখানে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। অরণ্য রানিখ্যাত লামার মিরিঞ্জা পাহাড়, সুখীয়া ও দুঃখীয়া পাহাড় এবং আশপাশের এলাকায় আবিষ্কৃত হয়েছে শতাধিক পর্যটনকেন্দ্র। দুর্গম সব পাহাড় আর বুনো প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে অনেক স্থান লোকচক্ষুর আড়ালে রয়ে গেছে।

মিরিঞ্জা

এই জায়গা এরই মধ্যে দেশজুড়ে পর্যটকদের মধ্যে যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে। এখানে আছে উপজেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণাধীন মিরিঞ্জা পর্যটন কমপ্লেক্স। মিরিঞ্জা নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ভরপুর এক পর্যটনকেন্দ্র। পাহাড়টি ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১ হাজার ৬০০ ফুট উঁচু। মিরিঞ্জা পর্যটনকেন্দ্র থেকে নয়ন ভরে সাগর, পাহাড়, আকাশ এবং হরেক রকম পাখি দেখা যায়। এর ওপর রয়েছে নীল আকাশে মেঘের বিচরণ। প্রতিনিয়ত মেঘ ছুঁয়ে যায় মিরিঞ্জা পাহাড়ের গা, দৃষ্টিনন্দন টাইটানিক ভিউ পয়েন্ট, ওয়াকওয়ে ও মিনি শিশুপার্ক। মিরিঞ্জা পর্যটন কমপ্লেক্সের গোড়াপত্তন হয়েছিল ২০০৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, প্রায় ৩৩ একর পাহাড়ি ভূমি ঘিরে।

সুখীয়া ও দুঃখীয়া ভ্যালি

মাতামুহুরী নদীর দুই তীরে সুখীয়া ও দুঃখীয়া ভ্যালি। চোখজুড়ানো সবুজ স্নিগ্ধ বনানীঘেরা এ দুই পাহাড়ের বুক চিরে সর্পিলাকারে বহমান মাতামুহুরী নদী। সুখীয়া ও দুঃখীয়া পাহাড়ের উঁচু চূড়ার মনোরম দৃশ্যের সমারোহ দেশ-বিদেশের ভ্রমণপিয়াসি পর্যটকদের হৃদয় মোহিত করেছে। এ দুই পাহাড়ের চূড়ায় উঠলে মনপ্রাণ ফুরফুরে হয়ে যাবে।

পাহাড়ে জুমিয়ারা বাগান পাহারা দেওয়া এবং ফসল সংগ্রহের জন্য জুমের খেতে বাঁশ ও ছন দিয়ে জুমঘর তৈরি করে থাকে। এ জুমঘরকে তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায় ‘প্রবাস্যা ঘর’, ম্রো ভাষায় ‘ঐবক’, মারমা ভাষায় ‘বাও’ এবং ত্রিপুরা ভাষায় ‘হুৎমাইঞা’ বলে। প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে এ জুমঘর বেশ জনপ্রিয় এখন। ইতিমধ্যে দেশজুড়ে পর্যটকদের মধ্যে যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে এই জুমঘর। মিরিঞ্জা পাহাড়, সুখীয়া-দুঃখীয়া পাহাড় এবং আশপাশের এলাকার নয়নাভিরাম পর্যটন স্থানগুলো ভ্রমণপিয়াসি পর্যটকদের প্রতিনিয়ত আকৃষ্ট করে চলেছে। লামায় পর্যটকদের তাত্ত্বিক জ্ঞানের পাশাপাশি পাহাড়ি সংস্কৃতি ও জুম চাষের সঙ্গে প্রত্যক্ষ পরিচয় ঘটার সুযোগ অনেক বেশি।

পর্বত, অরণ্য ও সমুদ্রপ্রেমী—এই তিন শ্রেণির পর্যটকের সেরা গন্তব্য মেঘে আবৃত পাহাড়, সবুজ উপত্যকার মায়াবী জনপদ লামা।

যেভাবে যাবেন

রাজধানী ঢাকার রাজারবাগ, ফকিরাপুল অথবা সায়েদাবাদ থেকে হানিফ কিংবা শ্যামলী এন আর ট্রাভেলস বাসে সরাসরি লামায় যাওয়া যায়। এ ছাড়া কক্সবাজারগামী যেকোনো বাসে চকরিয়া বাস টার্মিনাল পর্যন্ত গিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, জিপগাড়ি বা চাঁদের গাড়ি কিংবা বাসযোগে মিরিঞ্জা বাজারে নেমে ১০ মিনিট হেঁটে মিরিঞ্জা ভ্যালি যাওয়া যায়। ট্রেনে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে চকরিয়া স্টেশন পর্যন্ত যেতে হবে। সেখান থেকে চকরিয়া বাস টার্মিনালে গিয়ে অন্য পরিবহনে মিরিঞ্জায় যাওয়া যাবে। দেশের উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চল থেকে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম, তারপর লামায় যেতে হবে।

ভ্রমণকালীন সতর্কতা

  • সার্বিক নিরাপত্তার প্রয়োজনে কিছু জায়গায় তল্লাশি হতে পারে। তাই সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র বা পেশাগত বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে হবে।
  • পাহাড়ের ওপর নির্বিঘ্নে চলাফেরা করার জন্য ভালো গ্রিপসহ জুতা পরতে হবে।
  • টর্চ লাইট, ওরস্যালাইন, দড়ি, প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জাম সঙ্গে রাখতে হবে। কাঁধের ব্যাগ যেন খুব বেশি ভারী হয়ে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
  • ভ্রমণের জন্য গাইড নিতে হবে।
  • বৃষ্টি হলে পাহাড়ি ঝরনাগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।
  • ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিনয়ী আচরণ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, তাদের জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতি আপনার চেয়ে আলাদা। তাই তাদের সামাজিক মূল্যবোধ ও সংস্কৃতিকে সম্মান করতে হবে।
  • খাবারের প্যাকেট, পানির বোতলসহ যেকোনো আবর্জনা যেখানে-সেখানে ফেলা যাবে না।
  • পাহাড়ি এলাকায় সন্ধ্যার পর রাত্রিযাপনের জায়গার আশপাশে থাকুন। সন্ধ্যার পর নিরিবিলি অন্ধকারাচ্ছন্ন এলাকা এড়িয়ে চলা উত্তম।
  • হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ভাড়া ও অন্যান্য ব্যয় সময়ের সঙ্গে পরিবর্তন হয়। তাই ভ্রমণে যাওয়ার আগে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে পরিবর্তিত ব্যয় জেনে নেওয়া ভালো।
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এশিয়ার ভ্রমণ গন্তব্যে বাড়ছে ভিড় ও বিশৃঙ্খলা

ফিচার ডেস্ক
এশিয়ার ভ্রমণ গন্তব্যে বাড়ছে ভিড় ও বিশৃঙ্খলা

ইউরোপের অনেক দেশ পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন নিয়ম যোগ করেছে। এর কারণও আছে। অতিরিক্ত পর্যটকের কারণে স্থানীয় অধিবাসীরা স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছেন না। ফলে তাঁরা পর্যটকদের ওপর বিরক্ত। এসব বিষয়ে অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে বিভিন্ন দেশে। আবার অতিরিক্ত পর্যটনের বিরুদ্ধে স্পেনের রাস্তায় বিক্ষোভ পর্যন্ত দেখা গেছে। ইউরোপ ছাড়িয়ে এমন পরিস্থিতির মুখে পড়েছে এশিয়ার পর্যটনশিল্পও।

পর্যটন বিশেষজ্ঞ গ্যারি বাওয়ারম্যান বলছেন, বালি, কিয়োটো এবং ফুকেট পর্যটকদের নিয়ে সমস্যার মুখে পড়েছে। আসলে ভ্রমণের জায়গা কম, এমনটা নয়। সমস্যা হলো, একই সময় একই জায়গায় অতিরিক্ত পর্যটক জড়ো হওয়া।

যুক্তরাষ্ট্রের পর্যটক শ্যানন ক্লার্ক বলেন, ‘আমরা ভোর ৫টায় কিয়োটোর বিখ্যাত ফুশিমি ইনারি মন্দিরে গিয়েছিলাম। যাওয়ার পথে ভিড় কম ছিল। কিন্তু ফেরার সময় ঢল নামল পর্যটকের। হাঁটতেও খুব কষ্ট হচ্ছিল।’

মহামারির পর ভ্রমণের ঢল

মহামারির পর অনেকের ভ্রমণে আগ্রহ বেড়েছে। বিমান ভাড়া মধ্যবিত্তের হাতের নাগালে হওয়ায় এশিয়ার পর্যটন আবার চাঙা হয়ে উঠেছে। এ বছরের প্রথম ছয় মাসে উত্তর-পূর্ব এশিয়ায় পর্যটক বেড়েছে ২০ শতাংশ। ভিয়েতনামে বিভিন্ন শহরে এখন মানুষ গিজগিজ করছে। থাইল্যান্ডে সামান্য পর্যটক কমলেও ফুকেটের জনপ্রিয় জায়গাগুলোয় ভিড় কমছে না। যানজট, পানির সংকট এবং বর্জ্য—সব মিলিয়ে পর্যটনশিল্প চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

প্রকৃতি ও সংস্কৃতি

‘সাউথ ইস্ট এশিয়া ব্যাকপ্যাকার ম্যাগাজিন’-এর সম্পাদক নিকি স্কট বলেন, অতিরিক্ত পর্যটক পরিবেশ ধ্বংস করছে, প্রাকৃতিক সম্পদ শেষ করছে এবং স্থানীয় সংস্কৃতিকে বিকৃত করছে।

এ ক্ষেত্রে দ্বীপ ও সৈকত এলাকা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। বালিতে পানিসংকট, যানজট, প্লাস্টিকদূষণ এখন প্রতিদিনের ঘটনা। সেখানকার ধানখেত কেটে হোটেল বানানোর ফলে বন্যা আরও বেড়েছে। ফিলিপাইনের বোরাকায়ও একই সমস্যা হয়েছিল ২০১৮ সালে। ছয় মাস দ্বীপটি বন্ধ রেখে পর্যটন সংস্কার করা হয়েছিল।

কিয়োটোর সমস্যা

২০২৪ সালে ৫ কোটি ৬০ লাখ মানুষ কিয়োটো ভ্রমণ করেছে। এই বিশালসংখ্যক পর্যটক সামাল দিতে স্থানীয়দের প্রতিদিনের জীবন পড়েছে সংকটের মুখে। হাঁটার সংকীর্ণ রাস্তা কিংবা গণপরিবহন—সবই জনাকীর্ণ। জাপানের সংবাদমাধ্যম ‘ইওমিউরি শিম্বুন’-এর জরিপে দেখা গেছে, ৯০ শতাংশ বাসিন্দা অতিরিক্ত পর্যটন বা ওভার ট্যুরিজমে বিরক্ত। এসব কারণে স্থানীয় সরকার নতুন কিছু নিয়ম চালু করেছে। কিয়োটোর গিয়ন এলাকার মহল্লাগুলোর রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে। সেখানে ছবি তুললে রাখা হয়েছে জরিমানার ব্যবস্থা। তবে বড় শহরে ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব কঠিন।

সমাধান হলো ভ্রমণ সচেতনতা

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কার্যকর সমাধান হলো পর্যটকের সংখ্যা সীমিত করা এবং নির্দিষ্ট এলাকা বন্ধ রাখা। তবে বড় শহরে তা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠছে। গ্যারি বাওয়ারম্যান বলেন, এশিয়ার দেশগুলো পর্যটনকে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির মূল খাত হিসেবে দেখছে। তাই তাদের পক্ষে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া অনেক সময় যথেষ্ট কঠিন।

নিকি স্কট পরামর্শ দেন, জনপ্রিয় ভ্রমণ গন্তব্যের বাইরে গিয়ে নতুন গন্তব্যগুলোকে সামনে আনা উচিত। এ নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলা জরুরি। এমন অনেক জায়গা আছে, যেগুলো প্রচারণার জন্য পিছিয়ে পড়েছে। তাই এককেন্দ্রিক ভ্রমণ পরিকল্পনা থেকে বের হতে হবে।

সূত্র: সিএনএন

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজকের রাশিফল: ইচ্ছা পূরণের দিন, তবে তর্কে জেতার চেয়ে সম্পর্ক টেকানো জরুরি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১০: ১০
আজকের রাশিফল: ইচ্ছা পূরণের দিন, তবে তর্কে জেতার চেয়ে সম্পর্ক টেকানো জরুরি

মেষ

আজকে মেজাজটা যেন প্রেশার কুকার! যখন তখন ফোঁস করে উঠতে পারেন। ব্যবসা-বাণিজ্যে কপাল ফিরবে, বিশেষ করে যদি কোনো বিরিয়ানি বা ফুচকার মতো খানাদানার ব্যবসা থাকে। পুরোনো বকেয়া টাকা হাতে আসতে পারে, যার মানে অবশেষে আপনি সেই বন্ধুর ধারটা শোধ করতে পারবেন, যিনি ছয় মাস ধরে আপনাকে ‘টাকাটা কবে দিবি?’ বলে মেসেজ পাঠাচ্ছেন। তবে সাবধান, মুখের ওপর রাশ টানুন। আজ উল্টাপাল্টা কথা বলে সম্পর্ক নষ্ট করার যোগ আছে।

বৃষ

আজকের দিনটি আপনার জন্য দারুণ কর্মযোগপূর্ণ। কাজের চাপে ব্যক্তিগত জীবন এখন টিভির সিরিয়ালের মতো—এপিসোড কবে শেষ হবে, কেউ জানে না। বিদেশযাত্রার সুযোগ আসতে পারে। সাবধানে প্লেনের টিকিট কাটুন, না হলে দেখবেন ভুল করে নেপালি বাজারের বদলে নেপচুন গ্রহে চলে গেছেন! কর্মক্ষেত্রে বিশেষ সম্মান পেতে পারেন, তবে সহকর্মীদের কানের কাছে গিয়ে নিজের প্রশংসা করবেন না, তারা মিষ্টি কথায় ছুরি মারতে পারে। আজ ধৈর্যই আপনার সেভিংস অ্যাকাউন্ট।

মিথুন

ভিসা-সংক্রান্ত জটিলতা আজ কিছুটা সরল হবে, অনেকটা জ্যামিতির উপপাদ্যের মতো। পরিবহন ব্যবসায়ীরা আজ ভালো রোজগার করতে পারবেন। কিন্তু মনের ভেতরের অস্থিরতা আজ তুঙ্গে। কথা বলার ধরন আজ সামান্য খিটখিটে থাকতে পারে, তাই প্রতিটি শব্দের আগে মনে মনে একবার 'শান্তি, শান্তি' জপ করে নিন। কোনো তর্কে জড়াবেন না। কারণ, একবার শুরু করলে সহজে থামবেন না। আজ টাকা আসবে, তবে সেটা জলের মতো খরচ না করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

কর্কট

আজ বন্ধুর সাহায্যে আটকে থাকা কাজগুলো এগিয়ে যাবে। মনে রাখবেন, বিপদের সময় যে বন্ধু সাহায্য করে, সে আপনার আসল হিতাকাঙ্ক্ষী, আর যে শুধু পার্টিতে ডাকে, সে শুধুই 'ফ্রেন্ডলিস্ট'-এর সংখ্যা। ঠিকাদারি কাজে অপ্রত্যাশিত মুনাফা বা পুরোনো বকেয়া আদায়ের সম্ভাবনা। সংবেদনশীল মন আজ আপনার সম্পর্কের ভিত্তি আরও মজবুত করবে। বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে ভুল মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বসবেন না যেন!

সিংহ

আজ রাজার মেজাজে থাকবেন। প্রভাবশালী কোনো ব্যক্তির সাহায্যে কর্মক্ষেত্রে ভালো কিছু ঘটতে পারে। বাবা বা গুরুজনের পরামর্শ আজ ওষুধের মতো কাজ করবে, যদিও সেটা গিলতে চাইবেন না। নতুন আয়ের সুযোগ তৈরি হবে, তবে টাকা আসার সঙ্গে সঙ্গে খরচের তালিকাও লম্বা হবে। সামান্য বিষয়ে অহংকার দেখাতে যাবেন না, মনে রাখবেন, যতই সিংহ হোন না কেন, রাতের বেলা আপনাকেও মশারি টানিয়ে শুতে হয়।

কন্যা

আজ মন কিছুটা অশান্ত থাকতে পারে। শান্তি খুঁজতে বাইরে না গিয়ে বরং নিজের ভেতরের অশান্তি দূর করার চেষ্টা করুন। আর যদি ভেতরের শান্তি খুঁজে না পান, তাহলে নিজের ঘরটা ঝেড়েমুছে নিন। এতে অন্তত একটা কাজ তো হবে! কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ বাড়বে এবং বন্ধুর কারণে সামান্য ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। শারীরিক বিষয়ে যত্নশীল হন, পানিবাহিত রোগ থেকে সাবধানে থাকুন। বাইরের খাবার দেখলে আজ একটু দূরত্ব বজায় রাখুন, নয়তো পেট বাবাজি বিদ্রোহ ঘোষণা করতে পারে।

তুলা

ব্যবসায় আজ অগ্রগতি হবে, যা দেখে পুরোনো ভুলগুলো মনে পড়তে পারে। অতীত নিয়ে বেশি চিন্তা করে আজকের দিনটি নষ্ট করবেন না। চারপাশের মানুষজনের প্রতি সচেতন থাকা প্রয়োজন, কারণ কেউ কেউ বন্ধুর ছদ্মবেশে আপনার শত্রু হয়ে থাকতে পারে, যারা আপনার নতুন জামারও নিন্দা করে। অপ্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জ এলেও ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষমতা আপনাকে রক্ষা করবে। দাম্পত্য জীবনে সামান্য তর্ক হতে পারে—মনে রাখবেন, বিতর্কে জেতার চেয়ে সম্পর্ক ধরে রাখা জরুরি।

বৃশ্চিক

পারিবারিক জীবনে সুখ আর অংশীদারত্বে সফলতা আসবে। আজ কোনো হারানো প্রিয় বস্তু ফিরে পেতে পারেন, হতে পারে সেটা সেই পুরোনো পেনড্রাইভ, যার ভেতরে সব গোপন ফাইল ছিল। ইচ্ছা পূরণ হলে আনন্দে আত্মহারা হবেন। কিন্তু শত্রুরা আজ বিরক্ত করার চেষ্টা করবে। সাবধানে থাকুন, বিশেষ করে সেই সহকর্মীটির কাছ থেকে, যিনি কাজের চাপ কমানোর জন্য আপনার ডেস্কে মিষ্টি রেখে যান।

ধনু

আজকের দিনটি বেশ লাভজনক। সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত হবে। হয়তো কোনো সহকর্মী কফি খাওয়ানোর প্রস্তাব দেবে। প্রতিযোগিতামূলক কাজে সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উদ্ভাবনী ধারণাগুলোতে মনোযোগ দিন—হয়তো এমন কিছু আবিষ্কার করবেন, যা সকালে বিছানা থেকে উঠতে সাহায্য করে। তবে স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিন, ডায়েট কন্ট্রোল না করলে শরীরের ওজনের পাল্লাটা উল্টো দিকে ঘুরে যেতে পারে।

মকর

আজ ব্যক্তিগত এবং সামাজিক সম্পর্ক উন্নত করার জন্য একটি ভালো দিন। সাধারণত কাজের গুহায় লুকিয়ে থাকতে পছন্দ করেন, কিন্তু আজ একটু বাইরে বেরোন। মানুষের সঙ্গে মিশুন। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা আজ আপনাকে অনেক সমস্যার হাত থেকে বাঁচাবে। অতিরিক্ত একগুঁয়েমি পরিহার করুন। মাঝেমধ্যে অন্যের কথাও শুনুন, পৃথিবীটা আপনার পরিকল্পনামতো চলবে, এমন কোনো কথা নেই।

কুম্ভ

আজ আপনার সৃজনশীলতা তুঙ্গে। সম্পর্কগুলো আজ নতুন শক্তিতে ভরে উঠবে। প্রেমের ক্ষেত্রে আজ রোমান্টিক দিন। যাঁরা নতুন চাকরির খোঁজ করছেন, তাঁদের স্বপ্ন পূরণ হতে পারে। তবে একগুঁয়েমি আজ আপনার সবচেয়ে বড় শত্রু। ঊর্ধ্বতন বা গুরুজনদের কথা শুনুন, না হলে ট্রান্সফারের নামে আপনাকে এমন জায়গায় পাঠানো হতে পারে, যেখানে ওয়াইফাই নেই! পারিবারিক বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার আগে ভালো করে চিন্তা করুন।

মীন

ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে আজ ভালো রোজগার হওয়ার যোগ রয়েছে, যা দেখে মুখে হাসি ফুটবে। তবে আর্থিক লেনদেনের সময় সাবধানে থাকুন। না বুঝে কোথাও টাকা ঢালবেন না। সংবেদনশীলতা আজ মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে। নতুন অভিজ্ঞতার জন্য প্রস্তুত থাকুন, কিন্তু যেখানে সতর্কতা প্রয়োজন, সেখানে সতর্ক হন। দিনের শেষে নিজেকে প্রশ্ন করুন—আজ আমি কয়টা ভুল করেছি, আর কয়টা সুস্বাদু খাবার খেয়েছি?

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইচি বুটস: এক নারী বাইকারের বিশ্বভ্রমণ

ফিচার ডেস্ক
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ১৬
ইচি বুটস: এক নারী বাইকারের বিশ্বভ্রমণ

ভ্রমণ ও বাইক চালানো—দুটি বিষয়ই বেশ উপভোগ করেন নরালি সাভেলকুল। অনেকে তাঁকে চেনেন ‘ইচি বুটস’ নামে। তিনি শুধু ভ্রমণ করেন না; বাইকে ভ্রমণের অভিজ্ঞতার ভিডিও তুলে ধরেন দর্শকদের জন্য।

২০১৮ সালে নরালি তাঁর ভূতত্ত্ববিদের চাকরি ছেড়ে দেন। এরপর বাড়ি ও সব সম্পদ বিক্রি করে নেদারল্যান্ডস ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন এক অনন্ত যাত্রায়। একা বাইকে চড়ে তিনি পাড়ি দিয়েছেন প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার কিলোমিটার। ভ্রমণ করেছেন ৮০টির বেশি দেশ। এই যাত্রায় তাঁর সঙ্গী ছিল ৬টি ভিন্ন বাইক।

ভূতত্ত্ব থেকে ভ্রমণপথে

২৩ বছর বয়সে নরালি জিওকেমিস্ট্রিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পিএইচডি শুরু করার আগেই তিনি গবেষণার জন্য অস্ট্রেলিয়া পাড়ি দেন। ভেবেছিলেন দেশে ফিরে উচ্চশিক্ষা চালিয়ে যাবেন। কিন্তু প্রকৃতি, ভ্রমণ আর স্বাধীন জীবনযাপন তাঁকে বদলে দেয়। অস্ট্রেলিয়া থেকে নিউজিল্যান্ড, এরপর ভারত ঘুরতে যান। ভারতে থাকার সময় বুঝতে পারেন, এই গতানুগতিক জীবনে থাকতে চান না তিনি। নরালি পিএইচডি বাতিল করেন এবং ঘুরতে থাকেন দেশ থেকে দেশে। কিছুদিন পর টাকার অভাবে অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যান। সেখানে এক খনি প্রতিষ্ঠানে ভূতত্ত্ববিদ হিসেবে কাজ করেন ছয় মাস। সেই অর্থ নিয়ে আবারও বেরিয়ে পড়েন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা ঘুরে বেড়ান। দুই বছর পর নিঃস্ব অবস্থায় ফিরে আসেন নেদারল্যান্ডসে।

নতুন করে শুরু

দেশে ফিরে তিনি আন্তর্জাতিক একটি ড্রেজিং প্রতিষ্ঠানে চাকরি পান। পরের পাঁচ বছরে কাজের সূত্রে ছিলেন বাহামা, ব্রাজিল, কুয়েত, কাজাখস্তান, মরক্কো, পানামাসহ আরও কয়েকটি দেশে। ছুটির সময়েও ভ্রমণ থেমে থাকেনি তাঁর। রাশিয়া থেকে মঙ্গোলিয়া পেরিয়ে সাইবেরিয়া এক্সপ্রেসে যাত্রা; গ্রিনল্যান্ডসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেন একে একে। কিন্তু অফিসের চাকরির পাশাপাশি এই খুচরা ভ্রমণে তাঁর মন ভরছিল না। তাই ২০১৮ সালের জুলাইয়ে আবারও সব ছেড়ে তিনি সিদ্ধান্ত নেন, এবারের ভ্রমণ হবে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য।

ব্যাকপ্যাকের থেকে বাইক ট্রাভেলার

প্রথমে নরালি ভেবেছিলেন, ব্লগ লিখবেন, অন্য ভ্রমণপ্রেমীদের গাইড দেবেন। সেই ভাবনা থেকেই তৈরি হয় ব্লগ ‘ইচি বুটস’। ভারত ও বাংলাদেশ ঘুরে তিনি লেখালেখি শুরু করেন। উত্তর ভারতের মানালি শহরে তিনি দেখলেন, বাইক ভাড়া নেওয়া খুব সহজ ও সস্তা। আগে থেকেই বাইক চালানোর অভ্যাস ছিল তাঁর। নেদারল্যান্ডসে তিনি চালাতেন নিজের ডুকাটি মনস্টার ৭৯৬। মানালিতে ভাড়া নিলেন সাদা রয়্যাল এনফিল্ড। একাই ৩ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিলেন। সেই অভিজ্ঞতাই তাঁর জীবন বদলে দেয়। বুঝলেন, ব্যাকপ্যাক নয়, এবার ভ্রমণ হবে বাইকে চড়ে।

475134130_18268315525264110_1639687652454808722_n

বাইকে ভারত থেকে ইউরোপ

মানালি ভ্রমণের পর নরালি দিল্লি থেকে কিনলেন নতুন রয়্যাল এনফিল্ড হিমালয়ান। নাম রাখলেন বাসন্তী। সেই বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন ভারত থেকে মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, থাইল্যান্ডের উদ্দেশে। ভেবেছিলেন, শুধু ব্লগ লিখবেন; কিন্তু পথচলার এই গল্প ক্যামেরায় ধারণের ইচ্ছা থেকে খুললেন নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘ইচি বুটস’। এরপর বাসন্তীকে নিয়ে আবার বেরিয়ে পড়লেন। ওমান, ইরান, মধ্য এশিয়া ও তুরস্ক হয়ে ইউরোপে ফিরে গেলেন তিনি। ৮ মাসে ২৫টি দেশ ঘুরে প্রায় ৩৬ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিলেন, একা।

পাটাগোনিয়া থেকে আলাস্কা

ইউরোপে ফিরে শুরু হলো তাঁর নতুন অভিযান দক্ষিণ আমেরিকার পাটাগোনিয়া থেকে আলাস্কা পর্যন্ত। এবার সঙ্গে ছিল নতুন বাইক, ধান্ন। সেটি নিয়ে আর্জেন্টিনা, চিলি, বলিভিয়া ও পেরু ঘুরে বেড়ালেন ৫ মাসে। কিন্তু করোনার কারণে থেমে যেতে হলো। পেরুতে বাইক রেখে নেদারল্যান্ডসে ফিরতে হয় তাঁকে।

469254775_18261857962264110_6071069470213556597_n

ইউরোপ ও আফ্রিকা

২০২০ সালে ইউরোপ ভ্রমণ পুনরায় শুরু হলে তিনি কিনলেন হোন্ডার সিবি৫০০এক্স। নাম দিলেন রনিন। সেই বাইকে আইসল্যান্ড, ডেনমার্ক, সুইডেন এবং নরওয়ে ঘুরে এলেন। পরের শীতে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় চলে যান। সেখানে হোন্ডা কোম্পানির আরেকটি বাইক কেনেন। নাম দেন সাভানা। দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া, বতসোয়ানা ও জিম্বাবুয়ে ঘুরে বাইকটি দান করেন সাউথ আফ্রিকার একটি বাইক জাদুঘরে।

আবার আলাস্কা, তারপর আফ্রিকা

দুই বছর পর তিনি আবার শুরু করেন তাঁর পাটাগোনিয়া থেকে আলাস্কা যাত্রা। এবার তিনি পৌঁছে যান আর্কটিক মহাসাগর পর্যন্ত। এটাই ছিল তাঁর জীবনের বড় সাফল্য। ৪৩ হাজার কিলোমিটার পার করে এবার তিনি বাইকটিকে নতুন রূপে সাজালেন এবং বেরিয়ে পড়েন আফ্রিকা অভিযানে। মরক্কো, পশ্চিম আফ্রিকা, পূর্ব আফ্রিকা—সবখানেই ঘুরে বেড়ালেন। তবে তানজানিয়ায় এক দুর্ঘটনায় কাঁধ ভেঙে যায় তাঁর। তাই ভ্রমণ শেষ করতে হয় সেখানেই।

নরালি সাভেলকুলের সাম্প্রতিক ভ্রমণে তিনি ইয়ামাহা এক্সটি ৬০০জি বাইক নিয়ে যাত্রা শুরু করেন। এবারের গন্তব্য ইস্তাম্বুল থেকে এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ।

সূত্র: ইচি বুটস ওয়েবসাইট

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত