Ajker Patrika

প্রথম স্মার্টফোন কোন কোম্পানির, কেমন ছিল সেটি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৬ আগস্ট ২০২৫, ১৩: ২৬
প্রথম মোবাইল ফোনের জন্মের দুই দশক পর বাজারে আসে প্রথম স্মার্টফোন। ছবি: সংগৃহীত
প্রথম মোবাইল ফোনের জন্মের দুই দশক পর বাজারে আসে প্রথম স্মার্টফোন। ছবি: সংগৃহীত

স্মার্টফোন এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ। তবে শুরুর দিকের স্মার্টফোনগুলোতে এত ফিচার ছিল না এবং এত বিস্তৃত পরিসরেও ব্যবহার করা যেত না। সেই সময়ের স্মার্টফোনগুলো ছিল বড়, ভারী ও সীমিত ক্ষমতার।

প্রথম স্মার্টফোনটি কোন কোম্পানি তৈরি করেছে বা কেমন ছিল তা বর্তমান প্রজন্মের অনেকেরই অজানা। তাই এবার দেখে নেওয়া যাক, কেমন ছিল বিশ্বের প্রথম স্মার্টফোন এবং কী ছিল এর বৈশিষ্ট্য।

ইতিহাসের প্রথম স্মার্টফোন

প্রথম মোবাইল ফোনের জন্মের দুই দশক পর বাজারে আসে প্রথম স্মার্টফোন—আইবিএম সাইমন। এই ফোনকে ‘সাইমন পার্সোনাল কমিউনিকেটর’ নামেও ডাকা হয়।

এই ডিভাইস ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি—মাত্র ৫০ হাজার ইউনিট বিক্রি হয় এবং ১৯৯৪ সালের আগস্ট থেকে ১৯৯৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ফোনটি বাজারে পাওয়া গিয়েছিল। তবে এর একটি প্রোটোটাইপ ১৯৯২ সালে প্রদর্শিত হয়েছিল।

সাধারণ ফোনের মতো কল করার পাশাপাশি সাইমন বেশ কয়েকটি নতুন ফিচার নিয়ে আসে। এসব ফিচারের মধ্যে ছিল—ফ্যাক্স পাঠানো ও ই-মেইল পরিচালনা করা।

বাজারে কম সাড়া পাওয়া ও সীমাবদ্ধতার পেছনে নানা কারণ ছিল। যেমন: এটি শুধু যুক্তরাষ্ট্রে পাওয়া যেত, বেলসাউথ অপারেটরের সঙ্গে যুক্ত ছিল এবং দাম ছিল উচ্চ। দুই বছরের চুক্তিসহ এর দাম ছিল ৯০০ ডলার অথবা চুক্তি ছাড়া প্রায় ১ হাজার ১০০ ডলার।

প্রথম স্মার্টফোনেটির বৈশিষ্ট্য

আকার এবং ব্যাটারির স্থায়িত্ব আজকের মানদণ্ডে চমকপ্রদ। উচ্চতা ছিল ২০ সেন্টিমিটার, প্রস্থ ৬ দশমিক ৪ সেন্টিমিটার এবং প্রায় ৪ সেন্টিমিটার পুরু, ওজন ছিল আধা কেজিরও বেশি আর ব্যাটারি চলত মাত্র এক ঘন্টা।

সাইমনের আরেকটি নতুনত্ব ছিল টাচস্ক্রীন, একটি প্রেডিক্টিভ কীবোর্ড যা প্রথম ছয়টি সম্ভাব্য অক্ষর ‘অনুমান’ করত, এবং কিছু আজকের অ্যাপসের মতো ফিচার যেমন: ক্যালকুলেটর, ক্যালেন্ডার, ফ্যাক্স ও ই-মেইল।

‘স্মার্টফোন’ হিসেবে প্রথম নামকরণ

যদিও ১৯৯৪ সালে প্রথম স্মার্টফোন বাজারে আসে, ‘স্মার্টফোন’ শব্দটি আলাদা করে ব্যবহারের প্রথম নজির মেলে ১৯৯৭ সালে এরিকসনের জেএস ৮৮ (পেনেলোপ) ফোনের ক্ষেত্রে। তবে, এটি কখনো বাজারে আসেনি, শুধুমাত্র প্রোটোটাইপ হিসেবে ছিল যার বাক্সে ‘স্মার্টফোন’ লেখা ছিল।

২০০০ সালে আর ৩৮০ স্মার্টফোন বাজারে আনে এরিকসন ছবি: সংগৃহীত
২০০০ সালে আর ৩৮০ স্মার্টফোন বাজারে আনে এরিকসন ছবি: সংগৃহীত

প্রথাগত মোবাইল ফোনের আকৃতির প্রথম স্মার্টফোন

২০০০ সালে আর ৩৮০ স্মার্টফোন বাজারে আনে এরিকসন, যা তুলনামূলক ছোট আকারে প্রথম স্মার্টফোন এবং মোবাইল ফোনের মতো আকৃতির ছিল। এর দাম ছিল প্রায় ৭০০ ডলার। স্মার্টফোনটির একটি সাদা–কালো টাচস্ক্রীন ছিল, যার এক অংশ ঢাকনা দিয়ে ঢাকা যেত। এর মধ্যে ছিল সিম্বিয়ান অপারেটিং সিস্টেম। ই-মেইল পাঠানো ও গ্রহণের জন্য ছিল ইন্টিগ্রেটেড মোডেম, ২ এমবি র‍্যাম ও ৪ এমবি আরওএম। ওজন ছিল মাত্র ১৬৪ গ্রাম।

২০০০ সালে আর ৩৮০ স্মার্টফোন বাজারে আনে এরিকসন। ছবি: সংগৃহীত
২০০০ সালে আর ৩৮০ স্মার্টফোন বাজারে আনে এরিকসন। ছবি: সংগৃহীত

প্রথম আইওএস স্মার্টফোন

২০০৭ সালে অ্যাপল প্রথম আইফোন চালু করে, যা আইওএস অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা প্রথম স্মার্টফোন ছিল। মূল্য শুরু হয় ৪৯৯ ডলার থেকে এবং কেবল যুক্তরাষ্ট্রের এটি অ্যান্ডটি পরিসেবার মাধ্যমে এটি ব্যবহার করা যেত। টাইম ম্যাগাজিন একে ‘ইনভেনশন অব দ্য ইয়ার’ ঘোষণা করেছিল, যা মোবাইল ফোনের মানদণ্ড পরিবর্তন করে দেয়।

অ্যান্ড্রয়েড চালিত প্রথম স্মার্টফোন ছিল এইচটিসি ড্রিম। ছবি: সংগৃহীত
অ্যান্ড্রয়েড চালিত প্রথম স্মার্টফোন ছিল এইচটিসি ড্রিম। ছবি: সংগৃহীত

প্রথম অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন

অ্যান্ড্রয়েড চালিত প্রথম স্মার্টফোন ছিল এইচটিসি ড্রিম। অ্যাপলের মত এটি পুরোপুরি টাচস্ক্রিন না থাকলেও, এতে বাহ্যিক কীবোর্ড ছিল। এইচটিসি ম্যাজিক ছিল সম্পূর্ণ টাচস্ক্রীন। অ্যান্ড্রয়েড প্রথমবারে মতো এইটিসি–ই গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং ব্যবহার করে।

তথ্যসূত্র: টেলিফোনিকা

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কফি পান করুন দুপুরের আগেই—হার্ভার্ড চিকিৎসকের সাত পরামর্শ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

অনেকের জীবনেই অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে কফি। সকালে এক কাপ গরম কফির সুবাস যেমন একটি সুন্দর দিনের সূচনা করে, তেমনি বিকেলের এক চুমুক ক্লান্তি দূর করে দেয়। কিন্তু হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক ও গবেষক ডা. তৃষা পাসরিচা সতর্ক করেছেন—কফি ঠিকভাবে না খেলে উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হতে পারে। সম্প্রতি তিনি কফি পানের সাতটি স্বাস্থ্যসম্মত উপায় জানিয়েছেন।

প্রতি কাপে এক চামচের বেশি চিনি নয়

২০২২ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা চিনি ছাড়া কফি পান করেন, তাদের মৃত্যুঝুঁকি কম। এমনকি যারা দিনে চার কাপের বেশি কফি পান করেন, তাদের জীবনকালও তুলনামূলক দীর্ঘ হয়। সামান্য (প্রায় এক চা চামচ) চিনি ব্যবহার করলেও তেমন ক্ষতি হয় না।

প্রক্রিয়াজাত কফি ক্রিমার এড়িয়ে চলুন

বেশির ভাগ জনপ্রিয় ক্রিমারে উদ্ভিজ্জ তেল (যেমন পাম বা সয়াবিন তেল) ও অতিরিক্ত চিনি থাকে। এর পরিবর্তে দারুচিনি বা প্রাকৃতিক মসলা ব্যবহার করলে স্বাদ ও স্বাস্থ্যের ভারসাম্য বজায় থাকে।

কৃত্রিম মিষ্টিকারক ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন

আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, কৃত্রিম সুইটনার কফির প্রাকৃতিক উপকারিতা নষ্ট করে দেয়। ডা. পাসরিচা বলেন, এসব বিকল্প মিষ্টি সবাইকে জন্য স্বাস্থ্যকর নয়।

ফ্রেঞ্চ প্রেস ব্যবহার কমান

তিনি জানান, দিনে তিন থেকে পাঁচ কাপ এসপ্রেসো বা ছয় বা ততোধিক কাপ ফ্রেঞ্চ প্রেস কফি পান করলে কোলেস্টেরল বেড়ে যায়। কারণ এতে থাকা ‘ডিটারপিন’ নামক যৌগ লিভারের এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরল অপসারণ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। কাগজের ফিল্টার এই যৌগ আটকে রাখতে পারে।

ইনস্ট্যান্ট ও ডিক্যাফ কফিও ভালো বিকল্প

২০২২ সালের আরেক গবেষণায় বলা হয়েছে, ইনস্ট্যান্ট ও ডিক্যাফ কফিতেও প্রায় একই স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়।

দুপুরের আগে কফি শেষ করুন

২০২৫ সালের এক গবেষণায় ৪০ হাজার মার্কিন নাগরিকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে—যারা দুপুরের আগে কফি খান, তাদের মৃত্যুঝুঁকি ১৬ শতাংশ কম। বিকেল বা রাতে কফি পান করলে ‘মেলাটোনিন’ হরমোনের নিঃসরণ প্রায় ৩০ শতাংশ কমে যায়, যা ঘুম ও দেহঘড়ির ছন্দ নষ্ট করে।

হজম প্রক্রিয়ায় কফির ভূমিকা

কফি পাকস্থলীতে পৌঁছে সঙ্গে সঙ্গে কোলনে সংকোচন ঘটায়—এ কারণেই অনেকের কফি খাওয়ার পর টয়লেটে যেতে হয়। এটি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ও স্বাস্থ্যকর প্রতিক্রিয়া।

তাই, কফিপ্রেমীদের জন্য পরামর্শ হলো—কফি পান করুন, তবে বুঝেশুনে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শসার ৬টি স্বাস্থ্য উপকারিতা

ফিচার ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

শসাকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। এটি ফল নাকি সবজি, সে বিতর্ক করাই যায়। কিন্তু এর যে উপকারী দিক আছে, তা নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। শসা রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে।

শসার প্রায় ৯৬ শতাংশ পানি। এর সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে এটি খোসাসহ খাওয়া উচিত। খোসা ছাড়ালে আঁশ, সেই সঙ্গে কিছু ভিটামিন ও খনিজের পরিমাণও কমে যায়। শসায় উপকারী পুষ্টি ও নির্দিষ্ট উদ্ভিদ যৌগ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা কিছু রোগ নিরাময় ও প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। এতে ক্যালরি কম থাকে। এ ছাড়া এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে পানি ও দ্রবণীয় আঁশ। শসার এ সব উপাদান শরীর হাইড্রেটেড রাখতে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।

পুষ্টিতে ভরপুর শসা

খোসা না ছাড়ানো, কাঁচা ৩০০ গ্রাম শসাতে মোটামুটি যা থাকে, সেগুলো হলো,
উপাদানপরিমাণ
ক্যালোরি৪৫
মোট চর্বি ০.৩ গ্রাম০.৩ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট১১ গ্রাম
প্রোটিন২ গ্রাম
ফাইবার (আঁশ)১.৫ গ্রাম
ভিটামিন সি৮ গ্রাম
ভিটামিন কে৪৯ মাইক্রোগ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম৩৯ মাইক্রোগ্রাম
পটাসিয়াম৪৪২ মিলিগ্রাম
ম্যাঙ্গানিজ০.২ মিলিগ্রাম

উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হলো এমন অণু যা অক্সিডেশনকে বাধা দেয়। যেটি মূলত ফ্রি র‍্যাডিক্যালস নামে পরিচিত অত্যন্ত প্রতিক্রিয়াশীল পরমাণু তৈরি করে। শরীরে এই ক্ষতিকারক ফ্রি র‍্যাডিক্যালস জমা হলে বিভিন্ন ধরণের দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা তৈরি করতে পারে। সেগুলোর মধ্যে আছে ক্যানসার, হৃদ্‌রোগ, ফুসফুসের রোগ এবং অটোইমিউন রোগ। শসাসহ বিভিন্ন ফল ও সবজিতে উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি থাকে, যা এই অবস্থার ঝুঁকি কমাতে পারে। একটি টেস্ট-টিউব গবেষণায় দেখা গেছে, শসাতে ফ্ল্যাভোনয়েডস ও ট্যানিন রয়েছে, যা ক্ষতিকারক ফ্রি র‍্যাডিক্যালসগুলোকে আটকাতে বিশেষভাবে কার্যকর।

পানির ভারসাম্য তৈরি করতে সাহায্য করে

পানি শরীরের কার্যকারিতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং বর্জ্য ও পুষ্টি পরিবহনের মতো অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। পানির ভারসাম্য শারীরিক কর্মক্ষমতা থেকে শুরু করে বিপাক পর্যন্ত সবকিছুকে প্রভাবিত করতে পারে। মানুষ মূলত পানি বা অন্যান্য পানীয় পান করে তরলের বেশির ভাগ প্রয়োজন মেটায়। তবে খাদ্য থেকে মানুষ প্রায় ৪০ শতাংশ পানি পেতে পারে। ফল ও সবজি খাদ্যে পানির একটি ভালো উৎস। শসায় থাকে প্রায় ৯৬ শতাংশ পানি। তাই এটি কার্যকরভাবে শরীরে পানির ভারসাম্য রাখতে এবং দৈনন্দিন তরলের চাহিদা মেটাতে সহায়তা করতে পারে।

pexels-catscoming-406152

ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে

শসা কয়েকটি ভিন্ন উপায়ে ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। এতে ক্যালরি কম থাকে। প্রতিটি ১০৪ গ্রাম শসায় থাকে প্রায় ১৬ ক্যালরি। এর অর্থ হলো ওজন বাড়ার চিন্তা না করে প্রচুর পরিমাণে শসা খাওয়া যায়। শসা সালাদ, স্যান্ডউইচ এবং অন্যান্য খাবারে সতেজতা ও স্বাদ যোগ করে। এটি উচ্চ-ক্যালরিযুক্ত খাবারের বদলে ব্যবহার করা যেতে পারে। শসার উচ্চ জলীয় উপাদান ওজন কমাতে সাহায্য করে। বেশি পানি ও কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খেলে শরীরের ওজন উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায় বলে এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে।

রক্তে শর্করা কমাতে সাহায্য করতে পারে

বিভিন্ন প্রাণী ও টেস্ট-টিউব গবেষণায় দেখা গেছে যে, শসা রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে এবং ডায়াবেটিসের কিছু জটিলতা প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। প্রাণীর ওপর এক গবেষণায় দেখা গেছে, শসার খোসার নির্যাস রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস করেছে। এ ছাড়া, একটি টেস্ট-টিউব গবেষণায় দেখা গেছে, শসা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে এবং ডায়াবেটিস-সম্পর্কিত জটিলতাগুলো প্রতিরোধে কার্যকর হতে পারে। তবে, মানুষের রক্তে শসা কীভাবে প্রভাব ফেলতে পারে তা নির্ধারণের জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন।

পেট ভালো রাখতে সহায়তা করে

পানিশূন্যতা কোষ্ঠকাঠিন্যের একটি প্রধান ঝুঁকি। কারণ এটি পানির ভারসাম্যে পরিবর্তন আনে এবং মলত্যাগ কঠিন করে তোলে। শসাতে জলীয় অংশ বেশি এবং এটি হাইড্রেশনকে উৎসাহিত করে। হাইড্রেটেড থাকলে মলের ধারাবাহিকতা উন্নত হয়, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ ও নিয়মিত হয়। এ ছাড়া, শসাতে আঁশ থাকে, যা মলত্যাগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। বিশেষ করে, শসায় পাওয়া দ্রবণীয় আঁশ পেকটিন অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং মলত্যাগের হার বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।

সূত্র: হেলথলাইন ও ইভিএনএক্সপ্রেস

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দিনে দুবার ব্রাশ করাই দাঁতের সুরক্ষায় সেরা উপায় নয়

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ২৫
দিনে দুবার ব্রাশ করাই দাঁতের সুরক্ষায় সেরা উপায় নয়

প্রতিদিন দুবার দাঁত ব্রাশ করা যেন দাঁতের সুরক্ষায় প্রধান কাজ। শিশু বয়স থেকে এই নিয়ম মেনে চলার জন্য বলা হয়। কিন্তু আসলেই দাঁতের সুরক্ষায় দুই বেলা দাঁত ব্রাশ করাই কার্যকরী সমাধান? ইউনিভার্সিটি অব বার্মিংহামের ডেন্টিস্ট্রি স্কুলের চিকিৎসক প্রবীণ শর্মা বললেন ভিন্ন কথা। তিনি জানান, নিয়মিত দাঁতের চিকিৎসকের কাছে যাওয়া যেমন জরুরি, তেমনি আরও কিছু অভ্যাস বদলালেই দাঁতের স্বাস্থ্য অনেকটা উন্নত হতে পারে।

ডা. প্রবীণ শর্মা আরও জানান, অধিকাংশ প্রাপ্তবয়স্কদের জীবনের কোনো না কোনো সময়ে মাড়ির রোগ হয় এবং প্রাথমিক লক্ষণ হলো মাড়ি থেকে রক্তপাত। তিনি বলেন, ‘যদি আপনার মাড়ি থেকে রক্তপাত হয় বা মাড়ি ফোলা থাকে, তবে এটি থেকে বুঝতে হবে যে আপনাকে আরও ভালোভাবে ব্রাশ করতে হবে।’

বিবিসির ‘হোয়াটস আপ ডকস’ পডকাস্টে ডা. প্রবীণ শর্মা এমন চারটি প্রচলিত দাঁতের যত্নের ধরন তুলে ধরেন, যা আমরা প্রায় সবাই করি এবং সেগুলো ভুল।

১. দিনে দুবার তাড়াহুড়োয় দাঁত ব্রাশ করার চেয়ে ভালোমতো একবার ব্রাশ করা ভালো

দাঁতের যত্নের সবচেয়ে পরিচিত নিয়ম হলো, দিনে দুবার দাঁত মাজতে হবে।

তবে ডা. শর্মার মতে, আসল বিষয় হলো গুণগত মান, সংখ্যা নয়। অর্থাৎ দাঁত যদি একবারও মাজেন, তবে মনোযোগ দিয়ে, সঠিকভাবে ও পর্যাপ্ত সময় নিয়ে মাজেন, সেটি তাড়াহুড়ো করে দুবার মাজার চেয়ে অনেক বেশি উপকারী।

তিনি বলেন, ‘সময় পেলে অবশ্যই দিনে দুবার দাঁত মাজা ভালো। কিন্তু তাড়াহুড়ো করে দুবার মাজার চেয়ে একবার মনোযোগ দিয়ে ভালোভাবে মাজাই অনেক বেশি কার্যকর।’

যদি কেউ দিনে একবারই দাঁত মাজেন, তবে রাতে শোয়ার আগে মাজাই সবচেয়ে ভালো সময় বলে তিনি পরামর্শ দেন। সঙ্গে ফ্লস করা বা দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাবার পরিষ্কার করাও জরুরি।

দাঁতের যত্নে সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করা জরুরি। ছবি: পেক্সেলস
দাঁতের যত্নে সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করা জরুরি। ছবি: পেক্সেলস

অবশ্য অনেকেই ফ্লস করতে পছন্দ করেন না। তবে ডা. শর্মার মতে, ইন্টারডেন্টাল ব্রাশ, বিশেষ করে রাবার দিয়ে তৈরি ছোট ব্রাশগুলো ব্যবহার করলে কাজটা সহজ হয় এবং দাঁতের ফাঁক পরিষ্কার করতে ব্যথাও কম লাগে।

প্রতিটি দাঁতের বাইরের, কামড়ানোর ও ভেতরের দিক এই তিনটি অংশই সমানভাবে পরিষ্কার করা প্রয়োজন।

ডা. শর্মা অতিরিক্ত চাপ না দিয়ে প্রতিটি অংশে ছোট ছোট ঘূর্ণায়মান (circular) গতিতে ব্রাশ চালাতে পরামর্শ দেন। তিনি আরও বলেন, দাঁত ও মাড়ির সংযোগস্থলে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। কারণ, মাড়ির রোগ সাধারণত এখান থেকেই শুরু হয়।

আর ডা. জ্যান্ডে বলেন, দাঁত মাজার সময় ‘ব্রাশের রোয়া বা ব্রিসলের ছোঁয়া অনুভব করার দিকে মনোযোগ দিন।’ তিনি বলেন, ‘এটি এমন একটি কাজ যা মনোযোগের সঙ্গে করতে হয়। মোবাইলে স্ক্রল করতে করতে নয়।’

দাঁতের যত্নে সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করা জরুরি। ছবি: পেক্সেলস
দাঁতের যত্নে সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করা জরুরি। ছবি: পেক্সেলস

২. নাশতার পর নয়, নাশতার আগে দাঁত মাজুন

অনেকেই নাশতা শেষ করে দাঁত মাজেন। কিন্তু এতে দাঁতের এনামেল বা বাহ্যিক আবরণ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ডা. শর্মা বলেন, ‘দাঁত মাজা উচিত নাশতার আগে। খাবারের অম্লীয় (acidic) উপাদান খাওয়ার পরই ব্রাশ করতে চাওয়া উচিত নয়।’

তিনি আরও বলেন, যদি নাশতার পরেই ব্রাশ করতে চান, তাহলে অন্তত কিছু সময় বিরতি দিন। কারণ, ফলের রস, কফি ইত্যাদিতে থাকা অ্যাসিড দাঁতের এনামেলকে নরম করে ফেলে, আর খাওয়ার পরপরই ব্রাশ করলে তা সহজেই ঘষে উঠে যেতে পারে।

ডা. ক্রিসের পরামর্শ, নাশতা শেষে মুখ পানি দিয়ে ভালোভাবে কুলি করুন, এতে অ্যাসিড কিছুটা দূর হবে। এরপর অন্তত ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে দাঁত মাজলে ক্ষতির ঝুঁকি অনেক কমে যাবে।

৩. দাঁত মাজার পর মুখ ধোবেন না!

দাঁত মাজার পর থুতু ফেলে সঙ্গে সঙ্গে মুখ কুলি করেন বা গার্গল করে ফেলি আমরা। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধাপটি না করাই ভালো।

ডা. শর্মা বলেন, ‘থুতু ফেলুন, কিন্তু মুখ ধুবেন না। কারণ, কুলি করলে টুথপেস্টে থাকা ফ্লোরাইডের ঘন স্তর ধুয়ে যায়, যা দাঁতের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।’

অর্থাৎ অতিরিক্ত টুথপেস্ট ফেলে দিন, কিন্তু মুখ ধুয়ে ফেলবেন না। এতে টুথপেস্টে থাকা পাতলা ফ্লোরাইডের আস্তরণ দাঁতের ওপর থেকে যাবে এবং আরও দীর্ঘ সময় ধরে দাঁতকে সুরক্ষা দেবে।

৪. দামি টুথপেস্ট মানেই ভালো নয়

বাজারে এখন নানা ধরনের টুথপেস্ট পাওয়া যায়। কারও দাবি দাঁত ফর্সা করে, কেউ আবার বলে এনামেল মজবুত করে বা চারকোল দিয়ে পরিষ্কার রাখে। এতে অনেকেই ধরে নেন, দামি টুথপেস্ট মানেই কার্যকর।

কিন্তু ডা. শর্মার মতে, টুথপেস্টের ব্র্যান্ড বা দাম নয়, মূল বিষয় হলো একটি উপাদান। সেটি হলো ফ্লোরাইড।

তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ আপনার টুথপেস্টে ফ্লোরাইড আছে, ততক্ষণ ব্র্যান্ড বা দামের তেমন পার্থক্য নেই।’

নিজের অভ্যাসের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি সাধারণত যেটা সস্তা বা অফারে পাওয়া যায়, সেটাই কিনি।’

ফ্লোরাইড দাঁতের এনামেলকে সুরক্ষা দেয় এবং পচন (decay) রোধ করে। দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

অতএব, দাঁত ব্রাশ করায় মনোযোগ দিন। কয়বার ব্রাশ করলেন বা কত দামি টুথপেস্ট দিয়ে তার চেয়ে বেশি জরুরি মনোযোগ দিয়ে সঠিকভাবে ব্রাশ করা। এতে দাঁত থাকবে সুস্থ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তরুণ প্রজন্মের নিরীক্ষামূলক পোশাকে টেরাকোটা

নাহিন আশরাফ 
মডেল: নিধি ও জুঁই পোশাক নকশা: আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া ফ্যাশন ডিরেকশন: ফারদিন বায়জিদ  মেকআপ: মারুফ মুন্না। ছবি: আব্দুল্লাহ্ আল রায়হান
মডেল: নিধি ও জুঁই পোশাক নকশা: আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া ফ্যাশন ডিরেকশন: ফারদিন বায়জিদ মেকআপ: মারুফ মুন্না। ছবি: আব্দুল্লাহ্ আল রায়হান

বাংলার ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে রয়েছে টেরাকোটা বা পোড়ামাটির গল্প। বহু আগে থেকে বাংলার মাটিতে মসজিদ, মন্দির ও গৃহসজ্জায় দেখা যায় টেরাকোটার ব্যবহার। প্রাচীনকালের সেই মসজিদ ও মন্দির থেকে উঠে আসা টেরাকোটা জায়গা করে নেয় ফ্যাশন দুনিয়ায়। খুব অল্প সময়ে নতুন প্রজন্মের কাছে এর নকশা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রাচীন কিছু স্থাপনায় টেরাকোটার ব্যবহার দেখা যায়। সেগুলোর মধ্যে রাজশাহীর পুঠিয়া রাজবাড়ী ও বাঘা মসজিদ, দিনাজপুরের কান্তজিউ মন্দির ও নয়াবাদ মসজিদ, যশোরের চাঁচড়া শিবমন্দির, কুমিল্লার শালবন বিহার ও জগন্নাথ মন্দির এবং নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার পাহাড়পুরের প্রাচীন স্থাপনায় টেরাকোটার নিদর্শন পাওয়া যায়। এগুলো মূলত এই অঞ্চলে টেরাকোটা শিল্পের প্রাচীনতম নিদর্শন। মাটি ও আগুনের সহায়তায় সৃজনশীল মানুষ আজ থেকে কয়েক শ বছর আগে এসব শিল্পের চর্চা করত।

ফ্যাশনে এই টেরাকোটা এখন অনন্য ট্রেন্ড। তরুণেরা বিভিন্ন প্রেক্ষাপট থেকে এটি নিয়ে কাজ করছেন। দীর্ঘদিন রোদে পুড়ে এবং বৃষ্টিতে ভিজে টেরাকোটাসমৃদ্ধ স্থাপনাগুলো যে রং ধারণ করেছে, বর্তমান সময়ের ডিজাইনাররা পোশাকের রঙের ক্ষেত্রে তাকে বেছে নিচ্ছেন। শুধু তা-ই নয়, নকশাকারেরা টেরাকোটায় ব্যবহার হওয়া বিভিন্ন জ্যামিতিক প্যাটার্ন ও মোটিফ ব্যবহার করছেন পোশাকের নকশা করার কাজে। কখনো সেগুলোর সঙ্গে মিশিয়ে দিচ্ছেন নিজের চিন্তাভাবনা।

বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই শিল্পের বিভিন্ন মোটিফ নানাভাবে পোশাকে তুলে ধরার চেষ্টা করে চলেছেন বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজির স্নাতকোত্তর পর্বের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া। তিনি এর আগে ক্লাবহাউস নামের একটি ফ্যাশন হাউসের ডিজাইনার ছিলেন। আব্দুল্লাহ জানান, তাঁর নিরীক্ষামূলক পোশাকের ডিজাইনের অনুপ্রেরণা হিসেবে ছিল রাজশাহীর বাঘা মসজিদ ও দিনাজপুরের কান্তজিউ মন্দির।

ধর্মীয় এই স্থাপনাগুলো ইতিহাস, সংস্কৃতি ও নান্দনিকতার বড় উদাহরণ। বাঘা মসজিদের দেয়াল ও দরজায় পোড়ামাটির ফুল, লতাপাতা, আরবি ক্যালিগ্রাফি ও জ্যামিতিক নকশার নিখুঁত কারুকাজ দেখা যায়। আবার কান্তজিউ মন্দিরে রয়েছে রামায়ণ, মহাভারত, কৃষ্ণলীলা, বিভিন্ন পুরাণ কাহিনিসহ ফুল ও লতাপাতার নকশা।

এই দুইয়ের মিশ্রণে আব্দুল্লাহ তৈরি করেছেন টেরাকোটাকেন্দ্রিক নকশা ও রঙের পোশাক। টেরাকোটার রঙের সঙ্গে পোশাক আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে তিনি ব্যবহার করেছেন হাতে আঁকা মাটির মোটিফ, ব্লক প্রিন্ট, টেরাকোটা টেক্সচার এমব্রয়ডারি, জামদানির নকশা ইত্যাদি। এ ছাড়া পোশাকে অ্যাকসেসরিজ হিসেবে যোগ করা হয়েছে নানান লেইস, কোকোনাট বাটন, টারসেল ইত্যাদি।

মডেল: নিধি ও জুঁই পোশাক নকশা: আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া ফ্যাশন ডিরেকশন: ফারদিন বায়জিদ  মেকআপ: মারুফ মুন্না। ছবি: আব্দুল্লাহ্ আল রায়হান
মডেল: নিধি ও জুঁই পোশাক নকশা: আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া ফ্যাশন ডিরেকশন: ফারদিন বায়জিদ মেকআপ: মারুফ মুন্না। ছবি: আব্দুল্লাহ্ আল রায়হান

আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন, নতুন প্রজন্মের কথা বিবেচনায় রেখে মূলত তিনি এসব পোশাকের নকশা করেছেন, যাতে আধুনিকতার পাশাপাশি এই প্রজন্মের তরুণেরা নিজেদের ঐতিহ্যকেও ভালো করে চিনতে এবং জানতে পারেন।

তরুণ প্রজন্মের কাছে আরও গ্রহণযোগ্য করে তুলতে পোড়ামাটির উষ্ণ বাদামি-কমলা রঙের টোন এখন জিনস, জ্যাকেট, স্কার্ট কিংবা গাউনে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। শাড়ি, কুর্তি, সালোয়ার কামিজে যেমন টেরাকোটার বিভিন্ন অনুষঙ্গের ছোঁয়া আছে, তেমনি আছে ওয়েস্টার্ন পোশাকে। আব্দুল্লাহর আশা, শাড়ি কিংবা সালোয়ার-কামিজের মতো দেশীয় পোশাকে টেরাকোটার নকশা ও অন্যান্য বিষয় যেমন সবাই গ্রহণ করে নিয়েছিল, ওয়েস্টার্ন পোশাকে এর উপস্থিতিকেও মানুষ তেমন আপন করে নেবে। ফরমাল কিংবা ক্যাজুয়াল—সব ধরনের লুকের সঙ্গে এ ধরনের নকশা মানিয়ে যায়। তা ছাড়া গায়ের

রং যেমনই হোক না কেন, টেরাকোটার রং প্রায় সব ধরনের ত্বকের সঙ্গে মানিয়ে যায় বলে স্বচ্ছন্দে এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে যে কেউ চাইলে এ ধরনের নকশার পোশাক ব্যবহার করতে পারে।

টেরাকোটার এই বিশেষ কালেকশনের নাম দেওয়া হয়েছে ক্লে স্টোন। আগামী প্রজন্ম যাতে আধুনিকতার পাশাপাশি নিজের শিকড়কে ভুলে না যায়, তাই এ ধরনের পোশাক তৈরিতে আগ্রহ আব্দুল্লাহ ভুঁইয়ার।

হারিয়ে যাওয়া মসজিদ কিংবা মন্দির থেকে টেরাকোটা যখন উঠে আসে আধুনিক ফ্যাশনে, তখন নতুন করে পুরোনো গল্প প্রাণ পায়। আব্দুল্লাহ ভুঁইয়া পোশাকে সে গল্পই শোনাতে চান এই প্রজন্মের মানুষদের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত